Jump to ratings and reviews
Rate this book

नील दर्पण

Rate this book
This work has been selected by scholars as being culturally important and is part of the knowledge base of civilization as we know it.

This work is in the public domain in the United States of America, and possibly other nations. Within the United States, you may freely copy and distribute this work, as no entity (individual or corporate) has a copyright on the body of the work.

Scholars believe, and we concur, that this work is important enough to be preserved, reproduced, and made generally available to the public. To ensure a quality reading experience, this work has been proofread and republished using a format that seamlessly blends the original graphical elements with text in an easy-to-read typeface.

We appreciate your support of the preservation process, and thank you for being an important part of keeping this knowledge alive and relevant.

163 pages, Hardcover

First published January 1, 1859

43 people are currently reading
632 people want to read

About the author

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
61 (26%)
4 stars
90 (39%)
3 stars
57 (25%)
2 stars
11 (4%)
1 star
7 (3%)
Displaying 1 - 19 of 19 reviews
Profile Image for Muhammad .
152 reviews11 followers
November 7, 2013
ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশে নীলকরদের অত্যাচারের গল্প নীলদর্পণ। এ দর্পণে প্রতিফলিত হয়েছে নীলচাষিদের ওপর নেমে আসা প্রচণ্ড অত্যাচারের ছবি। সাদা চামড়ার নীলকর সাহেবরা কি ভীষণ কালো মনের হতেন সময়ে সময়ে, সে কথা ইতিহাসের বইতে হয়ত অনেকই লেখা আছে কিন্তু সাহিত্যের পাতায় এই ভীষণ কষ্টের সময়টিকে ধরার বড় দরকার ছিলো। দীনবন্ধু মিত্র সে কাজটিই করলেন 'নীলদর্পণ' নাটকে। এই নাটকের নাট্যায়ন এবং এর ইংরাজী অনুবাদ The Indigo Planting Mirror দেশে বিদেশে ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে যার ফলশ্রুতিতে ইন্ডিগো কমিশন গঠন করা হয় নীলচাষিদের অধিকার আদায়ের জন্য। আইন প্রণয়ন করে নীলকরদের ক্ষমতাও অনেকাংশে সংকুচিত করা হয়। এর আগে নীলকর সাহেবেরা তাদের কুঠি বাড়ী বসিয়ে নীলের চাষ করত। চাষিদের জোর করে চাষের জন্য দাদন (অগ্রিম টাকা) দেয়া হত এই কুঠি বাড়ি থেকে। কেউ দাদন নিতে না চাইলে তার ওপর নেমে আসত অমানুষিক নির্যাতন। মারধোর করে মন তো আর ফেরানো যায়না সবসময়। তাই বিদ্রোহী চাষিদের শায়েস্তা করতে নীলকরেরা সবচেয়ে সহজ এবং নোংরা কৌশলটাই অবলম্বন করত। চাষিদের স্ত্রী, কন্যা এদের ধরে আনা হত সাহেবের কুঠিতে। এই কুঠিগুলো এমন অনেক স্ত্রী-কন্যা-মাতার ধর্ষণের সাক্ষী। এই কুঠিগুলো অনেক চাষির বুকে বুটের প্রাণঘাতী লাথিরও সাক্ষী। সত্যজিৎ রায়ের কিছু গল্পেও এমন 'হন্টেড' কুঠির কথা এসেছে। মাসের পর মাস চলে যেত, গরীব চাষিরা তাদের নীল চাষের মজুরি কখনও পেতনা। এ নিয়ে গোল পাকাবারও বেশী একটা অবকাশ ছিলোনা। তাহলেই তো স্ত্রীর বা কন্যার ডাক পড়বে কুঠিবাড়ীতে। চাষির বউ তুলে আনা, গ্রামকে গ্রাম আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া, সন্তানসম্ভবা মা'র পেটে ঘুঁষি মেরে গর্ভপাত করিয়ে দেয়া, জমি কেড়ে নেয়া; কি করতে না বাকি রেখেছে "ব্রিটিশ লায়নেরা"! ভাবতে গেলে আজ ২০০ বছর পরেও শিহরিত হতে হয়। সমকালীন সময়ে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত ঘটনা গুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে থাকাটা কী ভয়ানক দুঃস্বপ্নময়! দু'শ বছর পরে যে অত্যাচার এর গল্প পড়ে আমার চোখে পানি আসে, সেই ঘটনার সাক্ষী থেকে দীনবন্ধু মিত্রের কেমন লেগেছিলো?

'নীলদর্পণ' পড়বার সময় অন্ধ এক ক্রোধ ভর করে মাথায়। মন চলে যেতে চায় ২০০ বছর পেছনে। সাহেবের মুখে ঘন ঘন শোনা 'বাঞ্চত' কথাটিকে বুট জুতো বানিয়ে বহুগুণে তাকে ফেরত দিতে বড় ইচ্ছে করে। বেঁচে থাকুক 'নীলদর্পণ', আমাদের বাঙ্গালীদের মনে, ক্রোধ আর কান্নার দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বেঁচে থাকুক The Indigo Planting Mirror ব্রিটিশদেরও মনে, ব্রিটিশ পতাকা 'ইউনিয়ন জ্যাক' এর নীল রঙের মাঝে।
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews87 followers
January 23, 2023
নীলদর্পণ ' বলতে গেলে বাংলা সাহিত্যের প্রথম আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা নাটক। তৎকালীন নীলকরদের অমানুষিক অত্যাচার আর ঘৃণ্য অপকর্মের সাক্ষী এই গ্রন্থ। দীনবন্ধু মিত্র সেই সময়ের নীলকরদের অমানবিকতা আর কৃষকদের জীবনের বিভীষিকা এই নাটকে চিত্রিত করেছেন অত্যন্ত সার্থকভাবে। এই গ্রন্থের দর্পণে আজকের কোন সভ্য ইংরেজ যখন নিজেদের পূর্বপুরুষের অসভ্যতা দেখবে তখন কি ঘৃণা হবে যেমনটা আমার হয়েছিলো মানুষরুপী শকুনদের দেখে?

নীলদর্পণ' ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে।দীনবন্ধু মিত্র ওই সময়টাকে তুলে রেখেছেন এই নাটকে। এদিক দিয়ে উনি সার্থক কিন্তু যথাযথ নাট্যকলার বিচারে এই গ্রন্থে বেশ খামতি আছে।শেষের ঘটনাগুলো সংহতির অভাবে পাঠকের মনে ট্র্যাজিক বেদনাবোধ তেমন জাগাতে পারেনা যদিও দুঃখ ঠিকই ছুঁয়ে যায়। আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হয়তো অভিনব বিবেচিত হয়েছিলো সেসময় কিন্তু বর্তমানে এর জন্য বেশ কাটখোড় পোড়াতে হয় পড়ার জন্য। যেমনই হোক এই নাটক পাঠ করার আমাদের সবার দরকার ইতিহাসের দায় মেটাতে..
Profile Image for Torsa Mukherjee.
5 reviews
August 16, 2023
১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ বিরোধী 'নীল বিদ্রোহের' অন্যতম অনুপ্রেরণা হিসাবে 'নীলদর্পণ' নাটকটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য।লেখক নিজেই লিখেছেন - "নীলকরনিকরকের নীল-দর্পণ অর্পণ করিলাম। এক্ষণে তাঁহারা নিজ নিজ মুখ সন্দর্শনপূর্ব্বক তাঁহাদিগের ললাটে বিরাজমান স্বার্থপরতা - কলঙ্ক - তিলক বিমোচন করিয়া তৎপরিবর্তে পরোপকার - শ্বেতচন্দন ধারণ করুন, তাহা হইলেই আমার পরিশ্রমের সাফল্য, নিরাশ্রয় ‍প্রজাব্রজের মঙ্গল এবং বিলাতের মুখ রক্ষা।"
১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দে গিরিশচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বাংলা থিয়েটারের উৎপত্তি ও 'ন্যাশনাল থিয়েটারের' প্রতিস্থাপন কালে এই নাটকটিই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে মঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বাংলা থিয়েটারের প্রচলনের পেছনেও এর অবদান কোনো অংশেই কম নয়।
তবে, নাটকটি মঞ্চ সফল হলেও শিল্প সফল নয়। বিশেষত নাটকের শেষের দিকের ঘটনা গুলি সংহতিপূর্ণ নয় যা নাটকের মান কে অনেকাংশেই নীচের দিকে পরিচালিত করেছে। এছাড়াও আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের কারণে বেশ কিছু জায়গা পাঠোদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়।
Profile Image for Fahad Jewel.
33 reviews14 followers
December 28, 2016
প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ
বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।সময়কাল ১৮৬০ ইং।বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক।প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'।দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি।
স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ।
জেনে রাখা ভালো,
১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়।
২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্বারা প্রকাশিত কোন বাংলা বইয়ের নামও "নীল দর্পন"।
৩। বিদেশী পত্রিকায় প্রথম কোন বাংলা বইয়ের উপর সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার দাবিদারও এই বইটি।
এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হওয়ার পর এবং দেশ বিদেশে নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন ও সমালোচনা শুরু হলে সরকার শেষ পর্যন্ত নীল কমিশন স্থাপন করতে বাধ্য হয়।যা নীলকরদের দৌরাত্ম্য থেকে দরিদ্র কৃষকদের বাচাতে সহায়ক হয়।

কাহিনী সংক্ষেপঃ
গ্রামের নাম স্বরপুর।গোলকচন্দ্র বসু এ গ্রামেরই সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত ও গৃহস্থ সম্পন্ন একজন।স্ত্রী সাবিত্রী, দুই পুত্র নবীন মাধব ও বিন্দু মাধব এবং দুই পুত্রবধূ সৈরিন্ধ্রী ও সরলতাকে নিয়ে তার সুখের সংসার।নবীন মাধব উদারচেতা,প্রজাবৎসল ও হৃদয়বান পুরুষ;বাড়িতে থেকেই বিষয়কর্মের দেখাশোনা করেন।তার ছোট ভাই বিন্দুমাধব কলকাতার কলেজে পড়াশোনা করে।

এই পরিবারের বাইরেএ আরেকটি পরিবারের কথাও নাটকে উল্লেখ আছে,সাধুচরনের পরিবার।স্ত্রী রেবতী, কন্যা ক্ষেত্রমনি আর ভাই রাইচরনকে নিয়ে তাদের সংসার।এই সংসারগুলোর সুখ স্থায়ী হয়নি বেশিদিন!কেন?
"বাড়া ভাতে ছাই তব বাড়া ভাতে ছাই
ধরেছে নীলের যমে আর রক্ষা নাই।"

ইংল্যান্ডে নীলের চাহিদা বেড়ে গেলে, বহু নীলকর ইংল্যান্ড থেকে এদেশে আগমন করে।তেমনি এক নীলকরের গ্রাসে পরিণত হয় তাদের ফসলী জমিগুলো।কিন্তু সমস্ত ভালো জমিতে নীল বুনলে তাদের সারা বছরের ভাত জুটবে ��ি করে?

নবীন মাধব কিছু জমি ফসলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নীলকর সাহেব গোলকবসুর নামে মামলা করে।কারন বাবাকে গ্রেফতার করলেই নবীন মাধব গোল বাধাতে সাহস করবেনা।বিচারের সম্মুখীন করা হয় গোলক বসুকে।কিন্তু বিচারের নামে হয় প্রহসন!শেষ পর্যন্ত লজ্জা আর লাঞ্চনা মাথায় নিয়ে কারাগারেই মৃত্যুবরন করে গোলক বসু।

ওদিকে বিবাহিত ক্ষেত্রমনির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নীলকর সাহেবের।জোর করে কুঠিতে তুলে নেয় তাকে।সতীত্ব নাশের চেষ্টাকালে নবীন মাধব কয়েকজন অনুগত প্রজাকে নিয়ে ক্ষেত্রমনিকে উদ্ধার করে।কিন্তু তারপরও সাহবের লাথির আঘাতে সন্তান সম্ভাব্য ক্ষেত্রমনির অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যেতে থাকে।

বাবার শ্রাদ্ধের আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ের জমিতে নীল না বোনার জন্য নীলকরের প্রতি অনুরোধ জানায় নবীন মাধব,৫০ টাকা সেলামিও দিতে চায়।কিন্তু প্রতি উত্তরে নীলকর সাহেব মৃত বাবার উদ্দেশ্যে হীন মন্তব্য করলে ক্ষীপ্ত হয়ে নবীন মাধব সাহেবের বুকে পদাঘাত করে।ভাড়াটে লাঠিয়ালরা নবীন মাধবকে ঘিরে ফেললে নীলকর সাহেব লাঠি দিয়ে নবীনের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায় সে।
এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে ঘটনা,শেষ পর্যন্ত এক ট্রাজিক পরিনতির মাধ্যমে শেষ হয় নাটকের শেষ অঙ্ক।
পড়ার আমন্ত্রন রইল।

পড়া শেষ হলে, আপনার হয়তো সাদা চামড়ার নাক উচু ইংরেজ নীলকরদের বারবার উচ্চারিত "শালা" আর "বাঞ্চত" শব্দটিকে পায়ের জুতো কিংবা মুখের থুতু বানিয়ে ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে সহস্রবার।
Profile Image for Hanif.
154 reviews6 followers
July 5, 2023
১৮৬০ সালে দীনবন্ধু কর্তৃক রচিত, বাংলার সাধারণ কৃষকদের উপর জোরপূর্বক নীল চাষের জন্য ব্রিটিশদের দ্বারা অত্যচার ও নিপীড়নের ঐতিহাসিক বিষয়টি সাহিত্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ইংরেজ সরকারের অত্যচার আমরা প্রায়ই ইতিহাস হতে জানতে পেরেছি। সাহিত্যকে বলা হয় সমাজের দর্পণ স্বরূপ।
ব্রিটিশ বিরোধী, নীল বিদ্রোহের ফলাফল তো আমাদের সবারই জানা। এ আন্দোলনের অনেকাংশ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, এ নীল দর্পণ নাটকটি, তা অবশ্যই অনস্বীকার্য।
Profile Image for Shihab Uddin.
289 reviews1 follower
August 12, 2025
দীনবন্ধু মিত্র তাঁর নাটকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইংরেজ শাসক ও ভারতীয় কৃষকদের উপর চলা শোষণ ও অত্যাচারের নির্মম বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। যেমন মার্কিন নারী ঔপন্যাসিক হ্যারিয়েট বিচার স্টো আমেরিকার নিগ্রো দাসপ্রথার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন, তেমনি দীনবন্ধু মিত্র ইংরেজ শেতাঙ্গ নীলকরদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে আওয়াজ তুলেছিলেন।

এই নাটকে চিত্রিত শোষণ ও অবিচারের কাহিনি শুধু দেশে নয়, বিদেশেও সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। ইংরেজ শেতাঙ্গ নীলকররা এদেশের কৃষি অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য কৃষকদের জোরপূর্বক নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে কৃষকসমাজ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সাধুচরণের করুণ ভাষ্য,

"এখন তো আর সুখের বাস নাই। আপনার বাগান গিয়াছে, গ্যাঁতিও যায় যায় হয়েছে। আহা! তিন বৎসর হয়নি, সাহেব পত্তনি লয়েছে। এর মধ্যে গ্যাঁখান ছারখার করে তুলেছে। দক্ষিণ পাড়ার মোড়লদের বাড়ির দিকে চাওয়া যায় না, আহা! কি ছিল, কি হয়েছে! তিন বৎসর আগে দুবেলায় ৬০ খান পাত পড়তো, ১০ খান লাঙল ছিল, দামড়াও ৪০/৫০ টা হবে। কি উঠানই ছিল যেন দৌড়াদৌড়ের মাঠ, আহা! অসাধানের পালা সাজানো বোধ হতো যেন চন্দন বিলে পদ্মফুল ফুটে রয়েছে। গোয়ালখান ছিল যেন একটা পাহাড়। গেল সন, গোয়াল সারিতে না পারায় উড়ানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে রয়েছে। ধানের ভুঁয়ে নীল করেনি বলে মেজো সেজো দুই ভাইকে ধরে সাহেব বেটা আর বৎসর কি মারাটিই মেরেছিল; উহাদের খালাস করে আনতে কত দুঃখ—হালগরু বিক্রি হয়ে যা। ঐ চোটেই দুই মৌড়ল গাঁছাড়া হয়।"

দীনবন্ধু মিত্রের নাটকে কৃষি সমাজের বিপর্যস্ত চিত্র বিস্তৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে নীবন মাধব ও ক্ষেত্রমণি চরিত্রের আরেকটু পরিশীলিত সংস্করণ নাটককে আরও প্রাঞ্জল করে তুলতে পারত।

একজন ক্ষুদ্র পাঠক হিসেবে আমার অনুভূতি,
"কৃষি সমাজের চিত্রের তুলনায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিশ্লেষণ নাটকে কিছুটা অধিক হয়ে গেছে, যা মাঝে মাঝে পাঠকের মনোযোগকে মূল বিষয়ের বাইরে সরিয়ে দেয় এবং একপ্রকার গাত্রদাহের সৃষ্টি করে।"
Profile Image for Suraiya Ratri.
43 reviews2 followers
March 5, 2021
The ending is a bit of a mess no? I'm not asking for a happy ending in a play like this but it could have been less chaotic. Tragedy doesn't necessarily mean pointless deaths left and right. Anyway, a good read. Such a shame people suffered so terribly
Profile Image for Monica.
399 reviews
February 22, 2022
Read this for a class, totally lost. Maybe it was the translation. I used the Guttenberg Project to read it, so likely the translation was the 1861 translation that put people in jail. I came to GoodReads to get a synopsis of the play before I went to class, so I'm giving it 5 Stars since it's obviously an Indian classic, and helped start a Bengal Revolution. But for me? I had no idea what was going on.
Profile Image for Jackie Hoang.
70 reviews
February 27, 2025
I really did not hate this— the message was there and I understand the context of which this is important but I had to read this in 1 day for my Victorian literature class and it really made me want to die.
Profile Image for fia.
54 reviews
March 5, 2017
বইটা হাত থেকে রেখে বুঝতে পরলাম যে বইএর অর্ধেকই বুঝিনি।এখন আাপাতত আধবোঝা পড়েই রেটিং দিলাম। যেদিন মনে হবে এখন পড়লে বুঝতে পারব সেদিন পড়ে আবার রিভিউ লিখব। আপাতত ৩ স্টারই থাকুক।
Profile Image for মুনাম কবির.
69 reviews7 followers
April 16, 2022
বই: নীল দর্পণ
লেখক: দীনবন্ধু মিত্র
ধরণ: নাটক
প্রকাশনী: শব্দশিল্প
মুদ্রিত মূল্য: একশো টাকা মাত্র

পাঠপ্রতিক্রিয়া: আমার এর আগে নাটকের বই তেমন পড়া হয়নি। সুতরাং এটা আমার কাছে নতুন ছিল এবং একটু কঠিনও। কারণ ভাষাশৈলী গ্রাম্য এবং সাধু যা বোধগম্য হতে কষ্টকর ছিল। তাই বেশিদূর এগোতে পারিনা।

নাটকের মূল পটভূমি নীল চাষের জন্য সাধারণ কৃষকদের উপর ইংরেজ শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়ন।
Profile Image for Sabbir Rahman.
23 reviews1 follower
February 17, 2025
এটি শুধু নাটক নয়, এক ধরনের সামাজিক আন্দোলনেরই প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতা করে এবং কৃষকদের অধিকারের কথা তুলে ধরে। নীলদর্পণ ছিল বাঙালি নাটকের ইতিহাসে একটি বিশাল মোড়।
যদি এটাকে আমি একটা নাটক হিসেবেই বলি তাহলে মনে হয় ভুল কারণ এটাকে নীল বিদ্রোহের ঐতিহাসিক দলিল বলা যায়।
Profile Image for Chiro Pipashito T H.
317 reviews2 followers
January 8, 2017
Although the reading was a little tedious, but it is a depiction of the plight of the indigo farmers in Bengal during the British colonial rule. I would certainly recommend this book to those who love classics and history.
Profile Image for Shaimon.
15 reviews
February 16, 2021
দীনবন্ধু মিত্রের ঐতিহাসিক নাটক "নীল দর্পণ", নাটকটির সাহিত্যিক মান যাই হোক না কেন এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অসাধারণ,যে সময়ে নাটকটি রচিত হয়েছে মূলত সেই সময়ই একে এবং এর নাট্যকারকে বিখ্যাত করেছে,সব মিলিয়ে ভালোই।প্রত্যেকের পড়ে দেখা উচিৎ এই ঐতিহাসিক নাটকটি
Profile Image for Amjad Hossain.
196 reviews1 follower
October 14, 2021
কিঞ্চিৎ জটিল লাগলো বটে।
কি এক দুর্বিষহ সময় কাটিয়েছে তখন তারা😥।
৩.৫
Profile Image for Faahad.
9 reviews
October 12, 2022
It's just a book which carries our history. That's it. Don't expect anything.
Profile Image for Raunak.
68 reviews9 followers
July 28, 2018
It is an old translation of the original Bengali play offering a very interesting perspective from POV of planters of how the ruthless British exploitation for producing indigo deeply affected families, villages and culture itself.
Displaying 1 - 19 of 19 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.