যুগের পর যুগ ধরে লেখা হয়েছে হাজারো পৃষ্ঠা, কত শত ঘন্টা পেরিয়ে গেছে তাঁর স্মৃতি রোমন্থনে। হৃদয় থেকে হৃদয়ে ছুঁয়ে গেছে তাঁর ভালোবাসা। হাজার বছর পরও লেখকদের কলমের কালি আজও ফুরিয়ে যায়নি, মিটে যায়নি নবীপ্রেমিকের হৃদয়ের তৃষ্ণা, অশ্রুসজল হৃদয়ের আবেগে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। তাঁর সম্পর্কে আরো একটু জানার আকাঙ্ক্ষায়, আরো একটু হৃদয়ের কাছাকাছি যাওয়ার আশায় আজও আমরা খুঁজে ফিরি নতুন কোন পাণ্ডুলিপি। তিনি আমাদের নবীজী, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আমি কাউকে সীরাহ পড়তে বললে প্রথমেই এই সিরিজের সাজেশন দেই। এতো সুন্দর করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবনী বর্ণিত হয়েছে, পাঠক নিজেকে ইসলামের প্রথম যুগের সেই মক্কা মদীনাতে খুঁজে পাবেন।
অন্ধকার অরণ্যে এক ছটা আলোর কিরণ কিংবা ঘোর অমানিশায় উজ্জ্বল তারাকার মত জন্ম যার। সততার অটল আদর্শে সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুণ আল আমীন একদিন ওহীর পরশে সমগ্র মানবজাতির কাছে হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন। কখনো স্বজাতির প্রস্তরাঘাতে ক্ষতবিক্ষত শির,কখনো বদর উহুদের রক্তে ভেজা জমিন মাড়িয়ে দ্বীনের ঝান্ডা বয়ে নিয়ে চলা। সন্তানের মৃত্যুতে ক্রন্দনরত পিতার হৃদয়, কখনো বা কিশোরী স্ত্রীর খেলার সাথী। যুগের পর যুগ ধরে লেখা হয়েছে হাজারো পৃষ্ঠা, কত শত ঘন্টা পেরিয়ে গেছে তার স্মৃতি রোমন্থনে। হৃদয় থেকে হৃদয় ছুঁয়ে গেছে তার ভালোবাসা। . হাজার বছর পরেও লেখকের কলমের কালি আজও ফুড়িয়ে যায়নি। মিটে যায়নি নবীপ্রেমিকের হৃদয়ের তৃষ্ণা, অশ্রুসজল হৃদয়ের আবেগে এতটুকুও ভাটা পড়ে নি। তার সম্পর্কে আরো একটু জানার আকাঙ্ক্ষায়, আরো একটু হৃদয়ের কাছাকাছি যাওয়ার আশায় আজও আমরা খুজে ফিরি নতুন কোনো পান্ডুলিপি। . তিনি আমাদের নবীজি, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 💓💓💓
এই খন্ডে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যে বৈশিষ্ট্য মূলত ফুটে উঠেছে সেটা হলো উনার নেতৃত্ব দানের দক্ষতা। জিহাদের ময়দান থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা আবার আম জনতার একেবারে ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণে তিনি ছিলেন সদা প্রস্তুত। সর্বক্ষেত্রেই তিনি একজন বিজ্ঞ নেতার পরিচয় দিয়েছেন। আর চূড়ান্ত সাহায্যকারী ও তৌফিক দাতা তো আল্লাহই। যারা ইসলামকে কেবল নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠানে বেধে রাখতে চায় তারা এই পুরো অধ্যায়টা অস্বীকার করুক!
আল্লাহর রাসূল ছিলেন হাইলি পজিটিভ মেন্টালিটির একজন মানুষ। হতাশা,হাহাকার,হাল ছেড়ে বসে থাকা এগুলোর ছিটেফোঁটাও ছিলো না উনার মধ্যে। যতোই কঠিন ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতিই হোক না কেন তিনি সর্বদা এর মধ্যে থেকেও কোনো না কোনো ভাবে উত্তরণের উপায় বা অন্তন কোনো ইতিবাচক কাজ করার পথ বের করে নিতেন। হতাশ হয়ে বেকার বসে থাকা উনার বৈশিষ্ট্য ছিলো না যা দুঃখজনক ভাবে অনেক মুসলিমদের মধ্যে আজ বিরাজমান।
আল্লাহর রাসূলের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা উনার এক মহা গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। যা উম্মাহর এক বিরাট অংশ ভুলে বসে আছে। হুদাইবিয়ার সন্ধি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তাছাড়া মদিনা পরিচালনার পুরো সময়টায়ই উনার নেয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো এর ঐতিহাসিক সাক্ষী।
জিহাদের ময়দানে উনার নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ থেকে ফুটে উঠেছে উনার সামরিক ক্ষেত্রে দক্ষতার চিত্র। বদর,উহুদ,হুনাইন প্রমুখ গাযওয়ায় উনার নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এর প্রমাণ পেশ করে। আর সাহাবাদের প্রতি উনার যত্ন নেয়ার ও মহব্বতের উদাহরণ রয়েছে পুরো বই জুড়েই। যে কেউ এসে উনার সাথে একান্ত ব্যক্তিগত কথাও বলতে পারতো রাজা-বাদশাদের দরবারের মতো কোনো বাধা ছিলো না,ছিলো না কোনো মিথ্যে দম্ভ।
আর সাহাবাদের আল্লাহর রাসূলের প্রতি মহব্বত, শাহাদাত ও জিহাদের তামান্না। এগুলো যেন আল্লাহর রাসূলের দাওয়াহ’র এক অনিবার্য ফল। দ্বীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীবন-মরণ ঈমান আর ইসলামের নামে, আল্লাহ আর আল্লাহর রাসূলের মহব্বতে। জীবনের যেন আর কোনো মানেই নেই। রাদিয়াল্লাহু 'আনহুম।
যারা নবুয়তের এসবকিছু অস্বীকার করে, দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদকে অস্বীকার করে, তারা আল্লাহর কসম অন্য কোনো নবীর উপর ঈমান এনেছে। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর নয়। যার আনীত দ্বীন, যার ইজ্জতের মহব্বতে জান দেওয়া ও নেওয়ার সিলসিলা সেই চৌদ্দশ বছর আগে থেকে চলে আসছে। আল্লাহ আমাদেরকেও তৌফিক দিন।
এই অমূল্য বই উপহার দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা দান করুন। হাউযে কাউসারে আমাদের সকলকে একত্রিত করুন। আমীন। সকল প্রশংসা এই বিশ্বজাহানের একক স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহর!!
আলহাদুলিল্লাহ্। রেইনড্রপস মিডিয়ার সৌজন্যে পড়া সীরাহ মুহাম্মদ (সঃ) এক কথায় অসাধারণ। ২য় খন্ডে মূলত: রাসুলুল্লাহ্ (সঃ) এর মদীনার জীবন সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। অনেকাংশেই তা তৎকালীন বিশ্বে পরাক্রমশালী মুসলিমদের বিজয়েরর খন্ডচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আশ্চর্য এক মহামানব ছিলেন আমার রাসূল (সঃ)। তাঁর ব্যাক্তিত্ব, জ্ঞান, বিনয়, ক্ষমা, রণকৌশল, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা, সহানুভূতি, প্রার্থনা, ইবাদতের সমতুল্য কোন মানব নাই। কি নিষ্ঠার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন তীব্র কষ্টের মাঝে! দৃষ্টান্ত প্রত্যেক মুসলিমের কাছে। শেষ কয়েক পৃষ্টা পড়ে রীতিমতো চোখ ভরে গেছে পানিতে। তাঁর বিদায়টাও যেন মহামান্বিত। সাহাবী, পরিবার, বন্ধু সকলে কষ্ট পেয়েছেন, হারিয়েছেন যেন এত পিতা, বন্ধু, তাঁদের সব। কি প্রগাঢ় ভালোবাসা ছিল তাঁর এক আল্লাহ্ এর প্রতি যে মৃত্যুর সময় বলেছেন - "ওয়ালহিক্বনী বির- রফিক্বিল আ'লা" [আমাকে সর্বোচ্চ সঙ্গীর (আল্লাহ্) সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দিন]। এত ইবাদত করেও যিনি আল্লাহ্ এর ভয়ে দিনাতিপাত করেছেন তাঁর জীবনী এত অল্পতে শেষ করা যায় না। এই ২ খন্ড পড়ার পর বোধ হয়েছে নাহ "আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া" পড়তেই হবে। মুহাম্মদ (সঃ) কেবল একজন নবীই নন, এক বিস্ময়। এক পথপ্রদর্শক, যার রেখে যাওয়া চিহ্নে চললে নিজের জান্নাত নিয়ে ভয় থাকবে না। আমরাও বলতে পারবো আল্লাহ্ আমাকে আপনার সাক্ষাত দিয়ে ধন্য করুন। সীরাহ বইদুটো জানার ক্ষুধা আরো বাড়িয়ে দিলো। কত কিছু শিখলাম, জানলাম। আল্লাহ্ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুক।
সত্যি বলতে যেকোনো মানুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তুমি কি রাসুলুল্লাহকে ﷺ ভালোবাসো না? সবাই প্রতিউত্তরে এক নিমিষে বলবে, “অবশ্যই! কেন নয়!” কিন্তু আপনি যখন জিজ্ঞেস করবেন তোমা�� কি কখনো তার জীবনী পড়া হয়েছে? তখন একটু ইতস্তত বোধ করে ৯৫ ভাগ মুসলিমের উত্তর হবে, “না।” . তাহলে আমাদের ভালোবাসাটা কিসের ভিত্তিতে? যদি আমরা তাঁকে ﷺ সত্যিই ভালোবাসতাম তাহলে তার জীবনী কি আমাদের বারবার পড়া উচিত নয়? তাঁর ﷺ জীবনীর রঙে ঢঙে আমাদের জীবনী সাজানো উচিত নয়? এটি সকল মুসমিলের জন্যে অবশ্য করণীয় দায়িত্ব। . রেইনড্রপসের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি বর্তমান মুসলিমদের প্রেক্ষাপটের সাথে সর্বাধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাষায় লিখিত সীরাহ। প্রতিটি ঘটনার সাথে বর্তমান মুসলিমদের শিক্ষণীয় দিকটি আলোচনা করা হয়েছে। তাই অন্যান্য নিছক ইতিহাসপাঠ বা বিনোদনমূলক বইয়ের বদলে এটি প্রত্যেক মুসলিমের জীবন গঠনে সহায়ক বই হবে ইন শা আল্লাহ।
জীবনে বেশ কয়েকটি সীরাত পড়েছি। সামনেও ইনশাআল্লাহ আরও পড়ব। সীরাত পড়তে গেলেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। নিজের ঈমানের দুর্বলতা অনুভব করি। সাহাবীদের সামনে আমাদের ঈমান যে একেবারেই নেই।
সবচেয়ে কষ্ট লাগে নবীজীর ইন্তিকালের বিবরণ পড়তে। আমার মনে হয় না, পৃথিবীতে এমন কোনো মুসলিম আছে, যে নবীজীর মৃত্যুর কথা পড়বে আর তার চোখ থেকে পানি ঝরবে না। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বেদনাবিধূর দিন, যেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুনিয়া থেকে চলে গেছে। ----- বই নিয়ে কথা প্রথম খণ্ডের মতো দ্বিতীয় খণ্ডের ভাষাও বেশ সাবলীল। তবে কিছু জায়গায় ভাষাগত ত্রুটি ছিল। মাদরাসা-শিক্ষায় পড়ার সুবাদে বইয়ের কিছু জায়গায় ফিকহী কিছু ভুলও নজরে এসেছে। আশা করি প্রকাশকগণ ভবিষ্যতে বইটির শরয়ী সম্পাদনা করাবেন। লেখককে অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাহুল্লাহু আহসানাল জাযা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর জীবনটাই এমন যত জানব তত ভালোবাসবো আর যত ভালবাসব তত বেশি জানতে ইচ্ছা করবে। কি অসাধারণ একটা মানুষ যার জন্য আজকে আমরা ইসলামের ছায়াতলে।বইটা পড়তে পড়তে যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আসে তখন বই পড়া থামিয়ে দিয়। মনে হচ্ছিল যে থাকুক না আমার মনের মধ্যে জীবিত। নিজের জীবনটাকে সাজিয়ে নিতে ইচ্ছা করছে খুব তার মত করে।এই একটা মানুষ যিনি সারাটা জীবন তার উম্মতের জন্য কষ্ট এবং কাজ করে গেছেন। হে রাসুল আমরা সাক্ষ্য দেব নিশ্চয়ই আপনি আপনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আমাদের আন্তরিক উপদেশ দিয়েছেন। সালাম বর্ষিত হোক মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি এবং সাহাবীদের প্রতি।
অন্ধকার এক গহীন অরণ্যে পূর্ণিমার আলো হয়ে আগমন। নিজেকে সবটুকু বিলিয়ে দিয়ে ভালোবাসা আর বিনয়ে বিলিয়ে দিতে একটুও কুন্ঠাবোধ করে নি, মানব জাতির মুক্তির পথের দিশারী, ক্লান্ত দেহে সারারাত জেগে মুক্তির দাবিতে দন্ডায়মান সে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তিত্ব মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সা.)। তার(সা.) জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত যেভাবে ভালোবাসার সঞ্চার করে ঠিক তার বিদায় মুহুর্তগুলো মনকে করে তোলে উত্তাল, চোখে ঝরায় রক্ত অশ্র। আমরা আপনাকে বড্ড ভালোবাসি ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)। অতি শীঘ্রই আপনার সাথে মিলিত হওয়ার স্বপ্ন বুনেছি। আপনার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটাতে আমার জীবন কুরবান।
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ، اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ একটা দীর্ঘ সফর শেষ করলাম। শেষ করে মনে হবে কত কিছু অজানা রয়ে গেলো ; কত কিছু জানা হলো না। রাসুল (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّم) এর ব্যাপারে আমাদের জানাটা জরুরি এবং সেই জানা থেকেই সীরাহগ্রন্থ পাঠ করাটা একটা আবশ্যক কাজ।
পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটির জীবনটা খুব প্রাঞ্জল এবং সহজ ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে এই দুই খণ্ডের বইয়ে। বিভিন্ন ঘটনার পটভূমি এবং তা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো আলাদা করা এই সীরাহ গ্রন্থটির অন্যরকম বিশেষত্ব। আমি রেইনড্রপস এর ইউটিউব চ্যানেলে অন্যান্য নবীদের জীবনী নিয়ে তৈরি অডিও সিরিজগুলো শুনেছি। তাদের কাজ সুন্দর। আল্লাহ তাদের ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের জন্য কবুল করে নিক এই দোয়া থাকলো। আমিন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান এবং কাছের মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় হই”।
রিভিউ নয়, ভালো লাগা ব্যক্ত করছি।
কারো সম্পর্কে না জেনে তাকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসা যায় না। আর নবীজি (ﷺ) সম্পর্কে যত জানবে তার ব্যক্তিত্ব পাঠকদের ততই মুগ্ধ করবে, তাকে ভালোবাসতে বাধ্য করবে। মু’মিন হতে হলে রাসূল (ﷺ ) কে ভালোবাসতে হবে, আর ভালোবাসতে হলে তার (���) সম্পর্কে পড়তে হবে।
কোনো বই পড়ে আগে আমি এতো অভিভূত হইনি। কোনো সাহিত্যের বই নয়, দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, সায়্যেদুল মুরসালিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর জীবনী, যার জন্যে জীবন কুরবান।
নবুয়তের পূর্বের আরব, শৈশব, নবুয়াহ, দাওয়াত, হিজরত, বদরের যুদ্ধ থেকে শুরু করে মক্কা বিজয়, তাবুকের যুদ্ধ পর্যন্ত সবকিছু খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে ।মনে হচ্ছিলো আনসার ও মুহাজির বাহিনীর সাথে আমিও হেঁটে চলেছি প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে। বইটির দু’টি বিষয় সবচেয়ে ভালো লেগেছে, ১) সীরাতের প্রতিটা ঘটনা এবং ২) প্রতিটা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং তার থেকে কি শেখার আছে তা পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
যারা নবী করিম (ﷺ ) এর সিরাত পড়বেন বলে আশা করেছেন তাদের জন্যে অবশ্যপাঠ্য একটা বই। সিরিজটা ‘রেইনড্রপ মিডিয়া’র একটা মাস্টারপিস।
দুনিয়াতে নবিজী (ﷺ) -র শেষ সময় সম্পর্কিত ‘বিদায়বেলা’ চ্যাপ্টারটা পড়তে গিয়ে বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছিলো। আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা সবাইকে হিদায়াত দান করুক এবং তার নবী (ﷺ) -র জন্যে প্রত্যেক উম্মতের হৃদয়ে ভালোবাসা সঞ্চার করুক।