Jump to ratings and reviews
Rate this book

গল্পসংগ্রহ

Rate this book
গল্পসংগ্রহ

432 pages, Hardcover

Published January 1, 2018

2 people are currently reading
22 people want to read

About the author

Pramatha Choudhury

12 books16 followers
Pramathanath Chaudhuri (Bengali: প্রমথনাথ চৌধুরী), known as Pramatha Chaudhuri, alias Birbal, is an exceptionally illuminating persona in modern Bengali literature. It is astounding how he kept hold of his uniqueness in all-pervasive era of Rabindranath Tagore. As the editor of Sabuj Patra ("Green Leaves",1914) and the mentor of the group that gathered around this journal, Chaudhuri left a lasting legacy to the literature of Bengal.

Profoundly patriotic and a stated cosmopolitan, aficionado of Sanskrit, Pramatha Chaudhuri had immense faith in the native genius of the Bengali. “Today if the traditional high Bengali with its stilted Sanskritic elements makes place, more and more, for a form of spoken Bengali, if ‘current’ Bengali is considered an effective medium of literature of Bengal (including the part that is now Bangladesh)- much of the credit must go to Pramatha Chaudhuri and his magazine Sabuj Patra,” says Arun Kumar Mukhopadhyay. Rabindranath Tagore evoked, “He (Chaudhuri) gave this magazine (Sabuj Patra) its distinctive character and paved the way for my literary activities to brunch out in new directions.”

Pramatha Chaudhuri was not only a pioneer; he was also a creative author of exceptional abilities in writing essays and fiction in specific. According to Arun Kumar Mukhopadhyay, “He is undoubtedly one of the most influential makers of the Bengali language and literature in the twentieth century.”

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
4 (66%)
4 stars
1 (16%)
3 stars
1 (16%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 of 1 review
Profile Image for Dev D..
171 reviews26 followers
March 4, 2020
ছোটবেলায় প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধ পড়েছিলাম পাঠ্য বইয়ে, সেখান থেকেই জানার সুযোগ হয়েছিলো তিনি বাংলা চলিত গদ্য রীতির জনক, সবুজপত্র নামে একটি মাসিক পত্রিকা এককালে সম্পাদনা করতেন, তার ছদ্মনাম ছিলো বীরবল এরকম বেশকিছু তথ্য, তবে তার লেখার সাথে বিস্তারিত পরিচয় হতে আরও দীর্ঘদিন লেগেছে। অনেক পরে ই-বই থেকে তার আত্মকথা পড়েছিলাম, বিশেষ যে ভালো লেগেছিলো তা নয়, এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানা হয়েছিলো তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড়ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিয়ে করেছিলেন, যদিও ঠাকুর পরিবারের সাথে এর আগে থেকেই তাদের আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক ছিলো। প্রমথ চৌধুরী যে ছোটগল্প লিখতেন এবং তার বেশ কয়েকটি যে বেশ উঁচুমানের সে সম্পর্কে একেবারেই কোন ধারণা ছিলো না দীর্ঘদিন। ই-বই এর মাধ্যমেই প্রথম চার ইয়ারী কথা পড়ার সুযোগ হয়েছিলো। সেটিকে অবশ্য বড় গল্প হিসেবেই সংজ্ঞায়িত করতে হবে। এর পর থেকে প্রমথ চৌধুরীর গল্প পড়ার ক্ষুধা বেড়ে গেলো। এর পরে একটা সংকলনে পড়েছিলাম ঘোষালের হেঁয়ালী, দ্বিতীয়বারেও প্রমথ চৌধুরী আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করলেন, পরবর্তীতে পড়লাম অবনীভূষণের সাধনা ও সিদ্ধি, এবারে আর ততো মুগ্ধ হতে পারলাম না। এক মলাটের ভিতর প্রমথ চৌধুরীর সবগুলো গল্প দীর্ঘদিন থেকেই খুঁজছিলাম, অবশেষে পেলাম এই বইয়ের মাধ্যমে। প্রকাশকাল অনুসারে প্রমথ চৌধুরী ৪০ বছরেরও উপর গল্প লিখেছেন। কিন্তু সাকুল্যে তার গল্প সংখ্যা ৫০ পেরোয় নি, অর্থাৎ এ্যাভারেজ করলে তার বছর প্রতি গল্প সংখ্যা প্রায় একটি, একালের বাণিজ্যিক সাহিত্যিকরা এই তথ্যে নিজেদের বিশাল সাহিত্যকর্ম নিয়ে গর্ববোধ করতে পারেন, কিন্তু আমার আফসোসই হলো। এমন না যে, প্রমথ চৌধুরীর সব গল্পই দুর্দান্ত, কিছু গল্প সাদামাটা কিছু হয়তো একেবারেই ভালো লাগে নি, তবে সবমিলিয়ে লেখাগুলোর একটি ভিন্ন মেজাজ আছে । প্রমথ চৌধুরীর আদি বাড়ি পূর্ববঙ্গে, শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনা জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। পড়াশোনায় বরাবর ভালো ছিলেন, বিলেত থেকে সেই উনিশ শতকের শেষভাগে ব্যারিস্টারী পাস করে এলেও বেশিদিন আইন ব্যবসা করেন নি। করেছেন অধ্যাপনা, ঠাকুর এস্টেট এর ম্যানেজারী, পত্রিকার সম্পাদনা এবং অবশ্যই সাহিত্যচর্চা। তার পারিবারিক পরিচয়, শিক্ষা, রুচি , যে পরিবেশে তিনি বাস করতেন যাদের সাথে তার ওঠাবসা ছিলো এবং তার বিলেতবাস তার সাহিত্যকর্মকে প্রভাবিত করেছে। তার গল্পের ধরনে একটা বৈঠকীভাব আছে, বেশিরভাগ গল্পই কোন এক গল্পকথক অন্য একজনকে গল্প শোনাচ্ছেন এমন একটা পটভূমি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। গল্পের চরিত্রগুলো প্রমথ চৌধুরীর পরিচিত সমাজের মানুষ, তাদের কেউ জমিদার, কেউ জমিদার এর মোসাহেব, কেউ ব্যবহারজীবি, সম্পাদক, শিক্ষক, উচ্চপদস্থ কেরানী, ইংরেজ সাহেব, ইত্যাদি। তিনি রোমান্টিক গল্প লিখেছেন কম, একেবারে লেখেন নি তা নয়, তবে তার গল্পের নারী চরিত্রগলো ষোড়শী পল্লীবালা নয়, সেকালের লেখকরা তো প্রেমের গল্প উপন্যাসে ১৫/১৬ বছরের মেয়েকে অকালপক্ক নায়িকা হিসেবে চিত্রিত করতেন। বর্তমান হিসেবে যাদেরকে শিশু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে হয় তারাই তো ছিলেন সেসময়ের রোমান্টিক গল্পের নায়িকা। উপায় ছিলো না, কেননা বাঙালি মেয়েরা তখন কুড়িতেই বুড়ি হতো আর শিক্ষিত সমাজেও মেয়েদের অল্পবয়সেই বিয়ের চল ছিলো। পাঠকরা কুমারী কন্যাকেই প্রিয়ারুপে দেখতে আগ্রহী তাই সে আমলের গল্পের নায়িকা চরিত্রগুলো শৈশব পেরোনোর আগেই পাকা পাকা কথা বলে। প্রমথ চৌধুরী অবশ্য সে পথে হাটেন নি।

তার চার ইয়ারী কথার চারটি নারী চরিত্রই শেতাঙ্গিনী, ঘোষালের হেয়ালী গল্পের ঘোষাল তিন জন নারীর কাছে হাবুডুবু খাচ্ছিলো, তাদের একজন বিধবা, আরেকজন সধবা, আরেকজন না সধবা, না বিধবা না কুমারী, তিনি একজন বৈষ্ণবী। বীনা বাঈ গল্পের বীনা বাঈও সংসার ত্যাগী নারী, সম্পাদক ও বন্ধুর গল্পে সম্পাদকটি এমন এক নারীর মনে ব্যথা না দিতে সেই নারীর ছেলের অখাদ্য কবিতা ছেপেছিলেন যার সাথে অনেকবছর পূর্বে তার বিয়ের কথা চলছিলো, অর্থাৎ এদের একজনও বালিকা নন। আরেকটি গল্পে একজন শিক্ষক তার চেয়ে বয়েসে অনেক ছোট একটি মেয়ের প্রেমে পড়েও কিভাবে সেই সম্পর্ক হতে সরে আসতে পেড়েছিলেন সেই বর্ণনা আছে। ফরমায়েশী গল্পের নায়িকার বয়েস যতদূর মনে পড়ে ২৩/২৪, অন্য গল্পগুলোতে হয়তো রোমান্টিকতা নেই তবু নারী চরিত্রগুলো আর যাই হোক বালিকা নয়। প্রমথ চৌধুরীর গল্পে তিনটি চরিত্র একাধিকবার এসেছে, তারা হচ্ছে নীললোহিত, ঘোষাল ও সারদা দাদা।

নীললোহিত সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের প্রথম গুলবাজ চরিত্র। সে কখনও কলকাতা শহর ছেড়ে কোথাও যায় নি কিন্তু দাবী করে সে নাকি গারো পাহাড়ের জঙ্গলে পাগলা হাতি ধরেছিলো, দার্জিলিং এর পাহাড় থেকে ঘোড়া সমেত পড়েছিলো হাজার ফুট নিচে, তিন তিনবার জলে ডুবেছিলো নীললোহিত, তৃতীয়বার তার সাথে স্বয়ং জার্মান কাইজারের পরিচয় আর বন্ধুত্ব হয়ে যায়, কাইজার তাকে জার্মান সাবমেরীনের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন নেহাত বেতনে পোষায় নি দেখে নীললোহিত রাজী হয় নি। নীললোহিত ডাকাতি করেছে, রাজপুত পাহাড়াওলাদের সর্দারী করেছে, সুরাটে কংগ্রেসের সম্মেলনে গিয়ে জুতো ছুড়ে মেরে সভা পন্ড করেছে যদিও এর সবই ডাহা মিথ্যা। লেখক নিজেই বলেছেন নীললোহিত যা বলে তার এক বর্ণও সত্যি নয়, তার মানে এই নয় যে সে যা বলে তা মিথ্যা, তা হচ্ছে কল্পনা, আর যা সত্য তা দিয়ে আর যাই হোক গল্প হয় না। লেখকের মতে তিনি নিজে বাস করতেন বৃটিশ রাজ্যে আর নীললোহিতের বাস কল্পরাজ্যে, যখন তাকে কল্পনার রাজ্য থেকে বিদায় নিয়ে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে চাকরী বাকরী স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবনযাপন শুরু করতে হলো, তখন তার জীবন থেকে গল্প হারিয়ে গেলো তখনই শুরু হলো তার মিথ্যে জীবন।

ঘোষাল চরিত্রটি কোন এক জমিদার রায় সাহেবের বেতনভুক্ত সভাসদ, জমিদারটির সান্ধ্যকালীন আড্ডায় সে গল্প শোনায়। তার বুদ্ধি প্রচুর, জ্ঞান ও বিপুল, সঙ্গীতে ও শাস্ত্রে তার দখল অনেক। সে কতটুকু সত্য বলে তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তার গল্পকে লেখক নীললোহিতের মতো সোজাসুজি মিথ্যে বলে ঘোষণা করেন নি। সারদা দাদা বিভিন্ন জমিদার পরিবারের লতায় পাতায় আত্মীয় এবং তাদের দ্বারাই আশ্রিত। তিনিও আরেক গল্পবাজ, তার গল্পও গুল বলেই মনে হয় তবে তিনিও ঘোষালের দলেই। প্রমথ চৌধুরীর প্রথম ও দ্বিতীয় গল্পের প্রকাশের ব্যবধান প্রায় ১৭/১৮ বছর। এতো দীর্ঘ বিরতির কি কারণ কে জানে, তিনি সেকালের অনেক বিখ্যাত পত্রিকাতেই লিখেছেন। লিখেছেন ভারতী, বসুমতী, সবুজপত্র, আনন্দবাজার, যুগান্তর এমনকি কল্লোল পত্রিকাতেও। তার চার ইয়ারী গল্প আত্মজীবনীমূলক বলে কেউ কেউ ধারণা প্রকাশ করায় তিনি নিজেই লিখেছিলেন তৃতীয় গল্পের রিণীর মতো একটি মেয়ের সাথে তার বিলেতে পরিচয় হয়েছিলো, সেই একটি মেয়েকে ভেঙ্গেই তিনি চারটি নারী চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। রিণী চরিত্রটির নিঃসন্দেহে ভীষণ এক আকষর্ণী ক্ষমতা আছে। তার গল্পে দরিদ্র জীবনের কাহিনী তেমনভাবে আসেনি হয়তো সেই জীবনের সাথে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিলো না বলেই, কিন্তু দিদিমার গল্প, রাম ও শ্যাম, সোনার গাছ হীরের ফুল, একটি সাদা গল্প, যখ, ঝোট্টন ও লোট্টন, অ্যাডভেঞ্চার : জলে এরকম অনেক গল্পেই গভীর জীবন বোধের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রমথ চৌধুরী হয়তো খুব বেশি লিখে যান নি, তবে তার লেখার একটা আলাদা মেজাজ আছে। বুদ্ধিদীপ্ত, সরস, সহজ ভাষায় লেখা গল্পগুলো আজকের দিনেও বোধহয় আধুনিক, চিন্তার খোরাক যোগাবার মতোই।
Displaying 1 of 1 review

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.