কিছু বেঁচে থাকার গল্প, কিছু অলক্ষ্যে থেকে যাওয়া মানুষের জীবনের ছোট কিন্তু প্রগাঢ় ছাপ ফেলে যাওয়া যৎসামান্য কাহিনী নিয়েই “অসমাপ্ত ঠিকানা”।
মানবজন্মের গন্তব্য আসলে ঠিক কোথায়, কেন পাওয়া না পাওয়ার সমীকরণে ঠেশে উঠবে জীবনের অলিন্দ নিলয় সব- জানা নেই। তবু তৃপ্তি এটুকুই যে শেষ পর্যন্ত হলেও একটা না একটা অবলম্বনকে ঘিরে মানুষ বাঁচতে শিখে যায়। দুই মলাটে আবদ্ধ এই বইয়ের পাতায় সেই বেঁচে থাকার কিছু গল্প আঁকা রয়েছে।
পৃথিবীর বুকে বাঁচতে গিয়ে মানুষের যে অসমাপ্ত ঠিকানা খুঁজে ফেরা হয় জীবনভর, তারই কিছু অক্ষর বিন্যাসের কাঁচা পাঁকা রোদের আলো দেখুক পাঠকেরা কিছু সময়ের জন্য। আমন্ত্রণ!
পৈত্রিক সূত্রে চট্টগ্রামের মানুষ। যদিও বান্দরবান, ঢাকা আর সিলেটেই থাকা হয়েছে জীবনের বেশির ভাগ সময়। বাবা মোঃ আয়ুব ও মা ফাহিমা পারভীন রিতা। একমাত্র বড় বোন শারমিন আক্তার শিমু। পড়াশোনা করেছি চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে। বিএসসি শেষ করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছি চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। ছোটবেলা থেকেই আঁকা আঁকির সাথে ছিলাম। ঘটনাক্রমে লেখক হয়ে গেছি। দুটো শখ মানুষের কখনো থাকে না একসাথে। তবুও মাঝে মধ্যে নিজেকে আঁকিয়ে, কখনো বা লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে আনন্দ পাই। নিজের সম্পর্কে এটুকুই।
ফরহাদ চৌধুরী শিহাব কতটা শক্তিশালী এবং সম্ভাবনাময়ী লেখক - উনি নিজে স্বয়ং তা জানেন কি না, তা নিয়ে আমার প্রবল সন্দেহ। না জানাই হয়ত তার লেখক সত্ত্বার জন্য শ্রেয়৷ তবে লেখকের মাঝে লেখালেখির আগ্রহ বা প্রয়াসের ঘাটতি চোখে পড়ে মাঝেমাঝেই। আজ থেকে ১০ বছর পর ফরহাদ চৌধুরী শিহাব - সাহিত্য জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর একজনে পরিণত না হলে - আফসোসটা হবে অনেক বেশি।
অসমাপ্ত ঠিকানা - বইটির ব্যাপারে আসি৷ ১০টি ছোটগল্পের সংকলন বইটি৷ সবগুলো গল্পই মন ছুয়ে যাওয়ার মত। বিশেষ করে 'তথাপি', 'অসমাপ্ত ঠিকানা', 'কবিয়াল'।
কিছু কিছু গল্পের এন্ডিং আবার অনেকটা অনুমেয়। অনেক সময় বর্ণনার আধিক্য ছিল। লেখকের বর্ণনাভঙ্গি বেশ সুন্দর। তবে ছোটগল্পে বর্ণনার মাত্রার সীমারেখা টানাও আরেক ধরণের শিল্প।
ছোটগল্প যাদের ভালো লাগে, তাদের জন্য বইটি Recommended.
এবার বই মেলা থেকে কেনা বই গুলোর ভেতরে অসমাপ্ত ঠিকানা সব থেকে চমৎকার বই গুলোর ভেতরে একটা। প্রতিটি গল্পের শেষেই তীব্র ভাল লাগার এক অনুভূতির জন্ম হয়েছে মনে। কোন কোন টাতে চোখে এসেছে জল