Jump to ratings and reviews
Rate this book

পঞ্চপুত্তলী

Rate this book
তেরো চৌদ্দ বছরের ভীতু ছেলে মলিন একদিন বাড়ি থেকে বলা নাই কওয়া নাই হুট করে পালিয়ে গেলো । মলিনের মা ভূত প্রেত সাপ খোপ কে ভয় পায় না, আসল ভয় হলো তার ছেলে বড় মুখচোরা, অসামাজিক।মানুষের সাথে তার ব্যবহার টা ঠিক খাপ খাওয়ার মতো নয়।

এদিকে আবার লড়িয়া দিঘি নামে এক জায়গায়; এক অবস্থাসম্পন্ন লোক নদীতে স্নান করতে গিয়ে এক নাম না জানা দেবীর মূর্তির ভগ্নাংশ খুঁজে পেলেন ।তিনি ঘোষনা করলেন এ মহালক্ষীর মূর্তি। তিনি মহালক্ষী প্রতিষ্ঠা করবেন ।ভাষ্কর ডেকে বিগ্রহ তৈরি করবেন তার পাশে এটিও থাকবে। তো বিখ্যাত এক কারিগর ডাকা হলো। যেই সেই কারিগর নন ইনি রীতিমত ভদ্রলোক। ভদ্রলোকের কাজ করার পদ্ধতি বিচিত্র। খানিকটা কাজ করেন তারপর একটু পেছনে হটে নানা ভঙ্গিতে মূর্তি দেখেন।গ্রামের ছেলে ছোকরারা অবাক বিস্ময়ে তার কাজ করা দেখে। ভীড় নিয়ন্ত্রন করার জন্য একজন লোক নিযুক্ত করা হয়েছিলো , সে একটু পরপর ছেলেদের তাড়িয়ে দেয়।
কারিগর ভদ্রলোক হাসেন , বলেন ''থাক দেখো। একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেখো''
তা এমনি একদিনের ঘটনা। কারিগরের অনেক দিনের অভ্যসে বারোটার পরে ঘন্টা দুয়েক বিশ্রাম করা। স্বভাবতই কাজ থেমে গেলে আর কেউ ধারেকাছে থাকে না। আশপাশ নির্জন; কেমন নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এসময়েই তিনি দেখলেন দশ এগারো বছরের সুদর্শন ছেলে প্রতিমার সামনে বসে আছে । ছেলেটির বসে থাকার মধ্যে এমন একটা কিছু ছিলো যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আশ্চর্য রকমের শান্ত, নড়ছে না ,চোখের পলক ও পড়ছে না শুধু দেখছে।
কারিগর ডাকলেন ,
-কি খোকা , ঠাকুর দেখতে এসেছো?

241 pages

First published August 1, 1956

93 people want to read

About the author

Tarashankar Bandyopadhyay

130 books288 followers
Tarashankar Bandyopadhyay (Bangla: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়) was born at his ancestral home at Labhpur village in Birbhum district, Bengal Province, British India (now West Bengal, India). He wrote 65 novels, 53 story-books, 12 plays, 4 essay-books, 4 autobiographies and 2 travel stories. For his novel Arogyaniketan, he received the Rabindra Puraskar in 1955 and the Sahitya Akademi Award in 1956. In 1966, he received the Jnanpith Award for his novel গণদেবতা. He was honoured with the Padma Shri in 1962 and the Padma Bhushan in 1969.

Tarasankar is one of those writers of the third decades of the twentieth centuries who broke the poetic tradition in novels but took to writing prose with the world around them adding romance to human relationship breaking the indifference of the so called conservative people of the society who dare to call a spade a spade. Tarasankar’s novels, so to say, do not look back to the realism in rejection, but accepted it in a new way allowing the reader to breathe the truth of human relationship restricted so far by the conservative and hypocrisy of the then society.

He learned to see the world from various angles. He seldom rose above the matter soil and his Birbhum exists only in time and place. He had never been a worshipper of eternity. Tarasankar’s chief contribution to Bengal literature is that he dared writing unbiased. He wrote what he believed. He wrote what he observed.

His novels are rich in material and potentials. He preferred sensation to thought. He was ceaselessly productive and his novels are long, seemed unending and characters belonged to the various classes of people from zaminder down to pauper. Tarasankar experimented in his novels with the relationships, even so called illegal, of either sexes. He proved that sexual relation between man and women sometimes dominate to such an extent that it can take an upperhand over the prevailing laws and instructions of society. His novel ‘Radha’ can be set for an example in this context.

His historical novel ‘Ganna Begum’ is an attempt worth mentioning for its traditional values. Tarasankar ventured into all walks of Bengali life and it’s experience with the happenings of socio-political milieu. Tarasankar will be remembered for his potential to work with the vast panorama of life where life is observed with care and the judgment is offered to the reader. and long ones, then any other author. He is a region novelist, his country being the same Birbhum. He mainly flourished during the war years, having produced in that period a large number of novels and short stories.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
8 (29%)
4 stars
13 (48%)
3 stars
5 (18%)
2 stars
1 (3%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 10 of 10 reviews
Profile Image for Momin আহমেদ .
112 reviews49 followers
June 2, 2020
RECOMMENDED BY DEHAN VAI
DEHAN VAI I LOVE YOU
এই বই নিয়ে কি বোলব আমি জানি না।মনে হচ্ছে পুরা বইটা এইখানে তুলে দেই তাও যদি আমি সবাই কে এই বই টা পড়াইতে পারতাম।এমন একটা বই এ পর্যন্ত আমি দেখতেছি দুই জন পড়ছে।এই লকডাউনে কাছে আর কোন বই ছিল না বলে ডাউনলোড করে পি ডি এফ পড়ছিলাম তাও দিহান ভাই রেকমেন্ড করছিল বলে।তা না হলে তো এই বই এর নাম ও জানতে পারতাম না।
দয়া করে সবাই এই বই টা পড়েন।প্লিজ প্লিজ প্লিজ............
যে কারও বই টা লাগলে https://bn.bdebooks.com/books/%E0%A6%...
এই লিঙ্ক এ দেখবেন।তাও যদি না হয় একটু দয়া করে বলবেন আমার কাছে সফটকপি টা আছে।
সবাই কে অনুরোধ বই টা পড়বেন
Profile Image for Samiha Anu.
37 reviews19 followers
December 24, 2025
বোহেমিয়ান হওয়ার ব্যাপক শখ জাগে মাঝেমাঝে। এলিয়টের প্রুফ্রক নিজের গোটা জীবনকে মাপতে পারতো একটা কফির চামচে। এমন জীবন তো চাই না। আবার তারাশঙ্কর যখন মলিন দাসের মতো চরিত্র এনে দেখিয়ে দেন বিচিত্র জীবনযাপন, মানুষের উথাল পাতাল সৃষ্টিছাড়া চৈতন্য– তখন কেবল প্রশ্ন জাগে, একজন মানুষের সুখ আদতে কোথায়!

পঞ্চপুত্তলী শব্দের ডিসেকশন এমন; পঞ্চ = পাঁচ, পুত্তলী = প্রতিমূর্তি। নামটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং একটা লিটারেরি ডিভাইস পান (Pun) হিসাবে কাজ করসে– অর্থাৎ একটা শব্দ দিয়ে দুটো অর্থ হোল্ড করা। একদিকে মলিন রায় পুতুলের কারিগর, এ-ই আইডেন্টিটি। আরেকদিকে সে নিজেই জগতসংসারে পুতুল। জীবনের একেক অধ্যায়ে একেক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। দর্শক ওরফে পাঠকেরা অবাক দৃষ্টিতে দেখেছে দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তর।

উপন্যাসের শেষে একটা বিশাল চমক পাইলাম। নিয়তি বা ভাগ্য বা তকদির যা-ই বলি না কেন, আবর্তনের মতো। ঘুরেফিরে অতীতের কাছেই নিয়ে যায় মানুষকে। শেষ কিছু মুহুর্তে মলিন দাস যখন প্রাণ খুলে কাঁদলো, মনে হইসিলো এতো অলৌকিক সুন্দর এন্ডিং আর হয় না।

তারাশঙ্কর একজন গ্রেট সাহিত্যিক। মহৎ সাহিত্যকে ক্রিটিসাইজ করার ইচ্ছা বা সাহস বা অহংবোধ কোনোটাই বোধহয় নেই আমার৷ নাহয় এই উপন্যাসকে ছুড়ি কাঁচির নিচে ফেলে ভুল বা ঘাটতি ধরার শিশুসুলভ একটা চেষ্টা করতাম।
Profile Image for Farzana Raisa.
530 reviews238 followers
June 12, 2020
কেউ কেউ আছে, যার জীবনের লক্ষ্য সিদ্ধার্থের মতো হওয়া কিংবা কিং সলোমন। এসবে না পোষালে আটপৌরে যাপিত-জীবন। সমাজে এ ধরণের প্রানী ছাড়াও আরেক প্রকারের প্রানী আছে। বন্ধনহীন, পিছুটান ভুলে যাযাবরের মতো হেঁটে বেড়ায় পৃথিবীর পথে পথে৷ কী খুঁজে ফেরে তারা? কী সুখেই বা বাঁধন ছিঁড়ে পথে নামে? অন্যদের খবর জানি না, মলিন রায় কিংবা মলিন দাস অথবা মলীন্দ বা মণীন্দ্র-ও বলা যেতে পারে, সে পথে নেমেছিল অতীত ভুলতে.. অজানা এক টানে।

তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পঞ্চ পুত্তলী'-এ এক অন্যরকম সৃষ্টি। জাত-পাত আর বিচ্ছিরি অতীতের বলি এক অসাধারণ কারিগর মলিন রায় কিংবা মলিন দাশ কিংবা দেবগ্রামের মুখচোরা ছোট্ট ছেলে মলিন। কাব্যে, সাহিত্যে খুব বড় বড় ডায়লগ আছে, 'জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো।' অথচ কর্ম ভালো হয়েও দু'দন্ড শান্তি মেলেনি মলিনের জীবনে৷ 'পালাই পালাই' করে কেটেছে গোটা জীবন। এই ভবঘুরে জীবনে অর্থের মোহে না ছুটলেও, পরিশ্রম আর গুণের কল্যাণে এমনি আসে বিত্ত, আসে খ্যাতি। কুলটা মা কিংবা দিদির ছায়া তাকে তাড়া করে বেড়িয়েছে গোটা জীবন। জীবনের মানে আর উদ্দেশ্য খুঁজতে খুঁজতে প্রেম আসে তার জীবনে। যখনই মনে হয় কিছুটা থিতু হওয়া যাক হয় হিংস্র শ্বাপদের মতো থাবা তুলে পিছু নেয় অতীত। আবারও পালাই পালাই করে উঠে মন। বোহেমিয়ান জীবন যার, তার আর ঘর কি! অজানা এক তাড়নায় মলিন ছুটে বেড়াতে থাকে পৃথিবীর পথে পথে। ওই যে জীবনানন্দের কবিতায় আছে না, 'সন্ধ্যার নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি, কোন পথে কোন ঘরে যাব! কোথায় উদ্যম নাই, কোথায় আবেগ নাই- চিন্তা, স্বপ্ন ভুলে গিয়ে শান্তি আমি পাব!' বৃদ্ধ হতে চলেছে মোহন কারিগর৷ অথচ এখনও সে খুঁজে পায়নি জীবনের মানে। গঙ্গা-যমুনা দিয়ে তদ্দিনে বয়ে গেছে অনেক অনেক জল৷ চুলে পাক ধরেছে তার। পরাধীন ভারত পেয়েছে তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। চারপাশে বদলের সুর৷ কিন্তু সেই আগের মতোই আছে মলিন কারিগর৷

বহুকাল এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে কানে বাজে তার জীবনানন্দের নক্ষত্রের উত্তর, 'তোমারই নিজের ঘরে ফিরে যাও।' ফিরে আসে সে কোলকাতায়। তারাশংকরের লেখনীর গুণে চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই ছোট্ট একটা ছেলে, হাতে একটা কঞ্চি নিয়ে কেমন অদ্ভুত ভঙ্গিতে হেলেদুলে চলে যাচ্ছে৷ চোখের সামনে গ্রামের মেঠোপথটি বদলে যেতে যেতে হয়ে যায় নবদ্বীপ, ত্রিবেণী আরও কতো কী হয়ে শেষমেশ গঙ্গার ধারে ছোট্ট মাটির পুতুলের দোকান। এক বৃদ্ধ তার সামনে সাজানো গোটা জীবন। কিছু মূর্তি- সাপ, ব্যাঙ, বোষ্টমী, কনে পুতুল, চুড়িওয়ালী, আর মোহিনী মায়া।



বি.দ্র. গুডরিডসকে বিশাল একটা ধন্যবাদ। আর আরও বিশেষ ধন্যবাদ আমার আগে যারা যারা এই বই পড়ে, রিভিউ আর রেটিং দিয়ে বইটা পড়ার উৎসাহ দিয়েছেন। ❤




#বই_হোক_অক্সিজেন
#Happy_reading
Profile Image for Amit Das.
179 reviews117 followers
October 12, 2020
দেবীগ্রামের মুখচোরা ভীতু ছেলে মলিন রায়ের জীবনের পাঁচটি অধ্যায়কে উপন্যাসের পাঁচটি পর্বে স্থান দিয়েছেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। পুত্তলি-র মানে হলো প্রতিকৃতি বা প্রতিমূর্তি, সেদিক দিয়ে 'পঞ্চপুত্তলী' নামটি যথার্থই।
চমৎকার এই উপন্যাসটি রেকমেন্ড করার জন্য @Momin ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Profile Image for Afifa Habib.
89 reviews271 followers
September 24, 2020
সাধারণত যখন কোনো বই আমাকে টানে না, তখন আমি সেটা মাঝপথেই ছেড়ে দেই। জোর করে পড়িনা। কারন বই হচ্ছে আমার কাছে ভালবাসার আধার। বই নিজেকে উজাড় করে দেবে আর আমি যতটা সম্ভব নেব। সেই ভালবাসা জোর করে আদায় তত্ত্বে আমি বিশ্বাসী নই। কিন্তু এই বই টা পড়তে গিয়ে ঘটল ব্যাতিক্রম। শুরুর দিকে বইটা আমাকে টানছিলও না, আবার আমি ছাড়তেও পারছিলাম না। জানিনা কোন মায়ায় আঁকড়ে পরেছিলাম বইটা।
ক্রমেই যত এগোতে থাকলাম এই মায়া তত ডালপালা ছড়াতে লাগলো। একসময় পাকাপোক্ত শেকড় গেড়ে বসলো।
তবুও বুঝে উঠতে পারলাম না মলিনকে। বুঝব কিভাবে? এই মলিন তো নিজেই জানে না সে কি চায়। অথচ শেষাংশে যখন মলিন চিৎকার করে কাঁদছিল, তখন অবাক হয়ে খেয়াল করলাম আমিও কাঁদছি। মনে হচ্ছিল পেয়ে গেছি, সব পেয়ে গেছি। সেই সঙ্গে এটাও বুঝে গেছি যে মলিন কি চায়।
না! আর কোনো দুঃখ নেই, কোনো কষ্ট নেই।
Profile Image for Akhi Asma.
232 reviews464 followers
July 23, 2022
বইটা ভালো। বেশ ভালো৷ গুডরিডসে কার রিভিউ দেখে যেন বুকস অফ বেঙ্গলে অর্ডার করি কিন্তু তারা বইটা পায়নি। পরে পিডিএফ এই পড়লাম মলিন এর কাহিনী।

তারাশঙ্করের লেখার মধ্যে কেমন জানি মায়া আছে, কবি পড়ার সময়ও সেকি কান্না! মলিন রায়ের কাহিনী পড়েও চোখ ভিজে উঠছিল।

সবাইকে পড়তে বলবো।
Profile Image for Baishali Datta.
25 reviews51 followers
September 24, 2020
Recommended by Momin Ahmed..

ওনার রিভিউ + সাজেশনে বইটার প্রতি আগ্রহী হয়ে ছিলাম৷

কিন্তু এই তারাশঙ্কর এত অস্থির কেন?! কোথাও স্থির হতে পারে না। কবি, রাইকমল এর পর এটা পড়লাম। কিন্তু কোথাও কনফিউশান থেকে বের হতে দেখলাম না।

তবে ফড়িং কে বেশ লেগেছিলো। ওকেও মেরে দিলো!
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
August 21, 2020
মলিন রায় নামের এক গরীব ঘরের গুনবান ছেলের গল্প। যেকিনা নিজের প্রতিভার সদ্ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠা পায় মূর্তিকারিগর সমাজে। কিন্তু অদ্ভুত মনের অধিকারী মলিন কোন জায়গায়ই স্থির নয়। সেটা স্থান হোক আর পাত্রই হোক। নেশা কেটে গেলেই সরে যায় জায়গা থেকে। এই মলিনের গল্পই বলেছেন তারাশংকর। এই লেখকের লেখা কেমন সে ধৃষ্টতা আমি দেখাতে চাই না। তবে বইটা পড়ে শেষ করে কেমন জানি বিষন্ন লাগল। মলিনের মত লেখককে বলা লাগে ফড়িং এর পরিণতিটা কি আরেকটু ভাল করে আঁকা যেত না????
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
156 reviews88 followers
June 14, 2020
উপন্যাসের প্রথম অর্ধেক পড়ার পর অবধারিত ভাবেই 'অপরাজিত' আর 'দৃষ্টিপ্রদীপ' এর কথা মনে পড়বে। যদিও এই উপন্যাসের মলীনের সাথে অপু বা জিতু কারোরই একদম মিল নাই। আর এই অমিলের কারণেই বোধহয় এই বই ঐগুলার মতো এতো জনপ্রিয় নয়। মানুষ নায়কের জীবনে ট্র‍্যাজেডি দেখতে চায়। কিন্তু শিল্পী মলীন জীবনে আর যাই হোক হার মানে না। সে এত্ত দৃঢ় চিত্তের মানুষ যে সবকিছুই অনায়েসে কাটিয়ে উঠতে পারে। সেটা রসু দস্যির লাল চোখই হোক আর হোক নিজের সমস্যা জর্জরিত অতিত। তাই এই উপন্যাসে অন্তত ট্র‍্যাজেডির দেখা মিলবে না।

হুম, আরেকটা বিষয়। অপু আর জিতুর মতো কিংবদন্তী তুল্য চরিত্রগুলো জীবনের আদ্ধেক পথেই পরিপূর্ণতা পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মলীন শেষ বয়েসে এসেই যা খোজছিল তা পেয়েছে। তাই এই উপন্যাসকে বলা যেতে পারে একজন শিল্পীর পুরো জীবনের এক প্রতিচ্ছবি। দেবতার তুল্য কোনো মহান শিল্পী না, ভালো-মন্দের মিশেলে বাস্তবিক এক মানুষ শিল্পীর মধ্য দিয়েই হয়ত তারাশংকর জীবনের মানে খোজার চেষ্টা করেছেন।
Profile Image for Gain Manik.
340 reviews4 followers
January 17, 2025
Not up to the mark. Disappointed. This is not the Tarashankar where I inspire air
Displaying 1 - 10 of 10 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.