ইসলামী আকীদার জ্ঞান একজন মুসলিমের সবচেয়ে বড় কর্তব্য। আল্লাহ সম্পর্কে, তাঁর নাম ও গুণ সম্পর্কে, আল্লাহর রবুবিয়াত ও উলুহিয়াত সম্পর্কে একজন মুসলিমের যথাযথ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তাছাড়া ঈমানের অন্যান্য রুকন সম্পর্কেও তাকে জানতে হবে। তাকে জানতে হবে ফিরিশতা, নবী-রাসূল, কিতাব, আখেরাত ও তাকদীরের উপর ঈমান কিভাবে সম্পন্ন হবে। অনুরূপ আরও কিছু আকীদার বিষয় যাতে মানুষ দ্বিধা দ্বন্দ্বে রয়েছে। আলোচ্য গ্রন্থে লেখক আকীদার ইতিহাস, ঈমানের রুকনসমূহ কুরআন ও সুন্নাহর দলীল সহকারে সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন।
ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন একাধারে ইসলামী চিন্তাবিদ, টিভি আলোচক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক আলেম, গবেষক ও লেখক ।
তিনি পিস টিভি, ইসলামিক টিভি, এটিএন ও এনটিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। ফরেন টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি ইউএস-এর উপদেষ্টা ছিরেন তিনি । এছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, মসজিদের খুতবায় ও টিভি আলোচনায় খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে দেশের সহজ-সরল মুসলমানদের ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়গুলো আলোচনা করে জনসচেতনতা তৈরি করে আসছিলেন।
এই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের জন্ম হয় ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামে। তার পিতা খোন্দকার আনওয়ারুজ্জামান ও মা বেগম লুৎফুন্নাহার।
তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন । এরপর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল ও ১৯৭৯ সালে হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করার উচ্চতর শিক্ষার জন্যে সৌদি আরব গমন করেন। রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮৬ সালে অনার্স, ১৯৯২ সালে মাস্টার্স ও ১৯৯৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর রিয়াদ ইসলামি সেন্টারে দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রিয়াদে অধ্যয়নকালে তিনি বর্তমান সৌদি বাদশাহ ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমানের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন। সৌদিতে তিনি শায়খ বিন বাজ বিন উসায়মিন, আল জিবরিন ও আল ফাউজান সহ বিশ্ববরেণ্য স্কলারদের সান্নিধ্যে থেকে ইসলাম প্রচারে বিশেষ দীক্ষা গ্রহণ করেন।
রিয়াদে অধ্যয়নকালে তিনি উত্তর রিয়াদ ইসলামি সেন্টারে দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে প্রায় তিন বছর কর্মরত ছিলেন।
লেখাপড়া শেষ করে ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৯৯ সালে তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে ইসলামি উন্নয়ন ও আরবি ভাষা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
২০০৯ সালে তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে প্রফেসর পদে উন্নীত হন।
ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুরে আল ফারুক একাডেমি ও আস সুন্নাহ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন বরেণ্য এই ইসলামী ব্যক্তিত্ব। সেখানে ছেলেমেয়েদের হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হিসেবে কাজ করেছেন শিক্ষা ও ঝিনাইদহের চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইনস্টিটিউটের।
এছাড়াও তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দারুস সালাম মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শায়খুল হাদিস হিসেবে সহীহ বুখারীর ক্লাস নিতেন। তিনি ওয়াজ মাহফিলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন আলোচক ছিলেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফর করে তিনি মানুষকে শোনাতেন শাশ্বত ইসলামের বিশুদ্ধ বাণী।
বাংলা ইংরেজি ও আরবি ভাষায় সমাজ সংস্কার, গবেষণা ও শিক্ষামূলক প্রায় পঞ্চাশের অধিক গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- এহয়াউস সুনান, তরিকে বেলায়েত, হাদিসের নামে জালিয়াতি, ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ইত্যাদি।
ফুরফুরা শরীফের পীর আবদুল কাহহার সিদ্দীকির মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
পড়া শেষ করিনি, তবে! যতোটুকু পড়েছি, সবার বাসায় এই বইটা থাকা/পড়া দরকার। জানা দরকার আকীদা নিয়ে।আমি জাস্ট ভাবতাসি কত্তোওওও কি জানতাম না আগে! বইটা না ধরলে এসব কে শেখাতো? আলহামদুলিল্লাহ। দেশে অনেক ধার্মিক মুসলিম আছে কিন্তু আকীদা নিয়ে কারো সঠিক ধারোণা নেই ই! তাজবি জপ্তে পারলেই দায়িত্ত শেষ, জ্ঞান অর্জন যে ফরজ জানি ই না! আমিও জানতাম না, কেও গুরুত্বপূর্ণ ও মনে করে না অথচ এগুলা ফরয!
বাংলা ভাষায় আকিদা বিষয়ক বই অনেক থাকলেও এই বইটি অনেকটা ভিন্ন। এক মলাটে এ টু জেড সব বিষয় খুব কম বইতেই পাবেন।
আকীদা বিষয়ক এমন অনেক বিষয় আছে যা রাসূল সা. বা সাহাবিদের সময়ে চর্চা হতো না৷ কিন্তু একটা সময় পর সেই বিষয়গুলোকেই ইমান ও আকিদার অংশ হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়৷ তাছাড়া স্পষ্ট শিরক, বিদআত ছড়িয়ে পড়ে সমাজে।
বইটিতে ইমানের মূল বিষয়, কিসে কিসে বিশ্বাস রাখা বাধ্যতামূলক বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি শিরক, বিদআর ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
একজন মুসলিমের জন্য ইসলামিক আকিদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর এবং অপরিহার্য ব্যাপার। কারন আকিদাগত কিছু ভ্রান্তির জন্য একজন মুসলিমের সকল ইবাদতই নষ্ট হয়েতো যেতই পারে উপরন্তু এর সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু ভুলের কারনে ঈমানও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সাধারন দৃষ্টিতে তাকালে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই আকিদা নিয়ে নুন্যতম পরিস্কার ধারনাও দেখতে পাওয়া যায়না। এর কারন তথাকথিত জীবনধারায় বড় হওয়া এবং আকিদার মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার সম্পর্কে অনীহা বা অজ্ঞ থাকা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর "কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা" বইটি এ কারনে গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যাপাক আকারে উধাহরন এবং সালাফগনের কর্মপদ্ধতির ভিত্তিতে আকিদার গুরুত্ব ও বিভ্রান্তি ও সমাধান নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন সামাজিক,ব্যাক্তি কেন্রিক বা অজ্ঞতার বেড়াজালের কারনে একজন মুসলিম হয়েও কিরূপে ভ্রান্ত আকিদায় পতিত হতে পারে এবং গড়ে উঠা বিচ্ছিন্ন ফিরকা, বিদআত বা আকিদার অপব্যাক্ষার কবলে পরে তার পরকাল পরিনতি কতটা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে যেমনটা পূর্বযুগীয় অসংখ্য নব উদ্ভাবিত ফিরকাবাজদের অধীনে সংঘটিত হয়েছে, পাশাপাশি কি ভাবে একজন মুসলিম তার আকিদাকে শুদ্ধতায় পৌঁছে দিয়ে পরম করুনাময়েরর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সচেষ্ট হতে পারে। বইটির প্রথমার্ধে কিছু কিছু স্থানের ব্যাখ্যা একজন নতুন পাঠকের জন্য কিঞ্চিৎ সরল হলেও সামগ্রীক বিচারে বইটি অত্যন্ত সহায়ক।
আশা করি বইটি আকিদার জ্ঞান অন্বেষণকারীদের জন্য অপরিহার্য ভুমিকা পালন করবে। আল্লাহ আমাদের সঠিক আকিদার জ্ঞানে উজ্জীবিত করুক এই প্রত্যাশা করি।
বাংলা ভাষার সাধারণ পাঠককের যারা ইসলামী আকীদার বিষয়ে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য সহজ সাবলীলভাবে পাঠযোগ্য কিতাবের সংখ্যা খুব কমই বলা চলে। এক্ষেত্রে দেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের লেখা এই কিতাব এক অনন্য সংযোজন। কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে এই কিতাবে ইসলামী আকীদাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা সর্ব মহলে সমাদৃত। আশা করি তা বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদেরকেও তাদের আকীদা বিষয়ক জিজ্ঞাসার উপযুক্ত জবাব আঞ্জাম দিতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ্।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমার ইমানকে খাঁটি কর। অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।” এই হাদিস থেকে নিজেদের ইমান-আকীদা ঠিক করার গুরুত্ব খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করা যায়। সাধারণভাবে আমরা যা জানি তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুবই সংক্ষিপ্ত এবং ভাসা ভাসা জ্ঞান। কিন্তু আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত মুমিন বান্দা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য আকীদা বা বিশ্বাস সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানা অত্যন্ত জরুরি। জরুরি বলতে ‘ফরজ’। আকীদা সংক্রান্ত বিষয়াদি সহিহভাবে শিক্ষা করার জন্য হক্কানি আলিমদের সোহবত এবং তাদের লেখা এই সকল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
বইটি ৭০০+ পৃষ্ঠার হলেও পড়তে একঘেয়ে লাগে নি মোটেও। খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের সাবলীল লেখনী এবং সহজ-সরল উপস্থাপনা যেকোনো পাঠককে মুগ্ধ করে। এইভাবে জানা-শেখার চর্চাটা সবার জন্য সহজ ও তৃপ্তিময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আমার মতো জেনারেল শিক্ষিত যারা আছে, তাদের জন্য।
কথা বলবো, ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ এর রচিত 'কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা' বইটি নিয়ে। বইটি প্রকাশ করেছে আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪০ আর গায়ের দাম ৪০০ টাকা। . [রিভিউ] ছোটবেলায় হুজুরকে পড়া দেওয়ার তাগিদে মুখস্ত করেছিলাম ঈমানে মুফাসসাল। আমানতু বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহী ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়াল ক্বদরী খইরিহী ওয়া শাররিহী মিনাল্লাহি তা'আলা ওয়াল বা'সি বা'দাল মাওত। . যার অর্থ করলে দ্বারায়, আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাসমূহের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগনের প্রতি, তাকদীদের ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয় - এর প্রতি এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত হওয়ার প্রতি। . ঈমানে মুফাসসালে যেই বিশ্বাসগুলোর কথা বলা আছে, সেগুলো হচ্ছে আরকানুল ঈমান (ঈমানের খুঁটিসমূহ)। একজন মানুষকে মু'মিন হতে হলে অবশ্যই আন্তরিকভাবে উপরের ছয়টি বিশ্বাস নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে। . কিন্তু ঈমানে মুফাসসাল তো শুধু মুখস্ত করে রাখলেই হবেনা। আমি যে বললাম, 'আমি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম' এই বিশ্বাস স্থাপনের স্বরুপ কি? এই কথা দ্বারা মূলত কি বোঝায়? ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস দ্বারা কি বোঝায়? কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাসের দ্বারা কি বোঝায়? রাসূলগনের প্রতি বিশ্বাস দ্বারা কি বোঝায়? আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস দ্বারাই বা কি বোঝায়? তাকদীরের স্বরুপ কি আসলে? মৃত্যুর পরে পুনরুত্থিত হওয়ার মানে কি? এগুলোর স্বরুপ অন্বেষণ করাটাই মূলত ঈমানের দাবী। . তো, এগুলোর স্বরুপ সন্ধান করতে, এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইসলামী আকীদার উপরে নির্ভরযোগ্য ��ই খোঁজা শুরু করলাম। সন্ধান পেয়ে গেলাম ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত 'কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা' বইটির। স্যারের নাম দেখেই কিনে নিলাম। এরপর যখন বইটি পড়তে লাগলাম তখন নতুন এক নিজেকে আবিস্কার করলাম। ভাবতে লাগলাম, ইসলামী আকীদার এত বিস্তৃত ভান্ডার সম্পর্কে দেখি একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম আমি! . তো, কি আছে বইটির ভেতর? বইটির ভেতর প্রথমেই আপনি পাবেন ঈমান, আকীদা ও এধরণের টার্ম দ্বারা আসলে কি বোঝায় সে সম্পর্কে আলোচনা। তারপর আলোচনা এসেছে ইসলামী আকীদার উৎস ও এর গুরুত্ব নিয়ে। তারপর ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে উপরে উল্লেখিত আরকানুল ঈমানসমূহ নিয়ে। . বইটিতে যে শুধুমাত্র আরকানুল ঈমান নিয়ে আলোচনা এসেছে তা কিন্তু নয়। এই আরকানুল ঈমান নিয়ে মুসলিম সমাজে যে ভ্রান্ত বিশ্বাসগুলো আছে বা পূর্বে ছিল লেখক সেগুলোও তুলে ধরেছেন। সেই ভ্রান্ত বিশ্বাসগুলোর বেশিরভাগই রাসূল সা. কে ঘিরে। সেগুলোর অন্যতম হলো, রাসূল সা. ইলমুল গায়েব জানেন, রাসূল সা. ইন্তেকাল করেননি, রাসূল সা. এর সব জায়গায় হাজির-নাযির হওয়া ইত্যাদি ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়েও স্যার রাহি. আলোচনা করেছেন। . এরপর স্যার রাহিমাহুল্লাহ কুফর, শিরক ও বিদ'আত নিয়ে বেশ চমৎকার ও কম্প্রিহেন্সিভ আলোচনা নিয়ে এসেছেন। . সবশেষে শাইখ রাহিমাহুল্লাহ আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের সাথে। তারপর সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেছেন বাতিল ফিরকাগুলির পরিচয় ও বিভ্রান্তিগুলো নিয়ে। . বইটির ব্যাপারে একটু দৃষ্টিকটু লেগেছে, বইটির বাইন্ডিং মান। তবে এতো ভালো না হলেও তা এভারেজ মানের। আর কিছু টাইপিং মিস্টেক চোখে পড়েছে, যা এতো বড় কলেবরের বইতে থাকাটা অনেক স্বাভাবিক। . তো সব মিলিয়ে যারা বইটা পড়েননি তাদের উদ্দেশ্যে এটা বলতে চাই, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আকীদা জানতে এবং এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য স্যারের এই বইটি অবশ্যপাঠ্য। আল্লাহ তা'আলা স্যারের কবরে রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন।
আলহামদুল্লিলাহ এই বইটা থেকে অনেক সুন্দর করে শিরক,বিদয়াত সম্পকে জানতে পারলাম। শুধু কাজে না বিশ্বাস বা মনে করা বা ধারণা করা যে আমাদের কত পাপের মধ্যে ঢুবাই দিচ্ছে এটা আগে বুঝিনি।
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের এক অসাধারণ বই। এই বইতে উনি ইসলামের আকিদা বিষয়ক প্রায় সব দিক ই তুলে ধরেছেন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে। একজন সাধারণ মুসলিমের জন্য এই বইটা পড়া অনেক জুরুরী। আকিদার অনেক বিষয়ই আমাদের কাছে পরিষ্কার না। এই বইতে সেই দিক গুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।