What do you think?
Rate this book
Inside the Mind of Xi Jinping
Xi Jinping wants to become the world's most powerful leader. To succeed, he must balance Mao's Little Red Book with the Analects of Confucius, and more.
For Xi, the task ahead of China is to preserve the guiding ideology of Marxism, while challenging mistaken credos like neoliberalism, constitutional democracy, and 'universal values'. China must have total faith in its own brand of socialism, blended meaningfully with Chinese tradition. And this system must revolve around one man--around Xi and 'Xi-ism'.
François Bougon's compelling biography exposes the historical, philosophical, political and personal narratives that Xi has skilfully woven together to create a superpower in his own image. Is Xi's China a land of 'new market totalitarianism'? Will this be the price of the Chinese dream?
For Xi, the task ahead of China is to preserve the guiding ideology of Marxism, while challenging mistaken credos like neoliberalism, constitutional democracy, and 'universal values'. China must have total faith in its own brand of socialism, blended meaningfully with Chinese tradition. And this system must revolve around one man--around Xi and 'Xi-ism'.
François Bougon's compelling biography exposes the historical, philosophical, political and personal narratives that Xi has skilfully woven together to create a superpower in his own image. Is Xi's China a land of 'new market totalitarianism'? Will this be the price of the Chinese dream?
148 pages, Kindle Edition
Published October 17, 2018
66 people are currently reading
426 people want to read
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 33 reviews
December 9, 2021
বই: Inside the Mind of Xi Jinping
লেখক: Francois Bougon
প্রকাশক: C Hurst & Co Publishers Ltd
পৃষ্ঠা: ২৩২
মূল্য: ১৩৮৬
২০১২ সালের শেষ দিকে জি জিনপিং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তার কয়েক মাস পরে ২০১৩ সালে চীনের পার্লামেন্ট জিনপিংকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। ২০১৭-র অক্টোবরে জিনপিং দ্বিতীয় বারের জন্য পার্টির এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান নির্বাচিত হন।
২০১৮-র মার্চে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসে। সেখানে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
ততদিন যে রকম ছিল চীনা পার্টির সংবিধান, তাতে সেই সম্মেলনে আর পার্টির শীর্ষ পদ পাওয়ার কথা নয় জিনপিঙের। কিন্তু ‘জিনপিং চিন্তাধারা’ নামে একটি তত্ত্বকে পার্টির সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে জিনপিংকে নিয়মের ঊর্ধ্বে তুলে ধরে চীনের শাসক দল।
যা প্রত্যাশিত ছিল, তা-ই হয় ২০২১ সালে। বেজিংয়ের সামরিক হোটেলে যে রুদ্ধদ্বার প্লেনাম চলছিল, তার সমাপ্তিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাশ করে জিনপিঙের ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়: পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, পার্টি, সেনাবাহিনী এবং চীনের নাগরিকরা যেন জি-র নেতৃত্বে আরও ঐক্যবদ্ধ হন এবং চীনা চরিত্র বজায় রেখে সমাজবাদের নতুন যুগ প্রবর্তনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বলা হয়: ‘‘জি-র ভাবনাই চীনের সংস্কৃতি ও আত্মার পরাকাষ্ঠা, পার্টির হৃদয়কেন্দ্রে তাঁর অবস্থানই চীনা জাতির পুনরুত্থানে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে,’’
পার্টির এবং সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদে যাতে তিনি অনির্দিষ্ট কাল থেকে যেতে পারেন, সে বন্দোবস্তও পাকা করে ফেলা হয়।
মাও জে দঙের পর থেকে আর কোনও চীনা নেতা সে দেশে সর্বময় ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেননি। দেং শিওয়াও পিঙের নেতৃত্বে যে যৌথ নেতৃত্বের অভ্যাস গড়ে উঠেছিল, পরবর্তী নেতারা তাকেই অনুসরণ করেছেন।
জিয়াং জেমিন এবং হু জিনতাও পর পর দু’টি করে মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থেকেছেন। তার পরে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর করে সরে গিয়েছেন। জিনপিঙের জমানায় সেই ধারা ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে।
অদ্ভুত দেশ !! অদ্ভুত মানুষ এই জি। অদ্ভুত এর উত্থান !!
তাঁর বাবা ছিলেন মাও জে দং-য়ের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু তাতে কোনও বাড়তি সুবিধে হয়নি জিনপিঙের। কার্যত শূন্য থেকে শুরু করেন জিনপিং। ১৯৪৯ সালে মাও জে দং-য়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় পিপলস রিপাবলিক অব চায়না। এরপর দলের তথা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন চিনফিংয়ের বাবা, জি ঝোংজান।
তবে দল এবং সরকারের সঙ্গে বারবার মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঝোংজান। তার মাশুলও তাঁকে দিতে হয়। ১৯৬৩ সালে তাঁকে দল থেকে সরিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হেনান প্রদেশে, একটি কারখানায় কাজের জন্য। ১৯৬৬ সালে গোটা চীন উত্তাল ‘গ্রেট প্রোলেটারিয়ান কালচারাল রেভোলিউশন’-এ। ব্যাহত হয় জিনপিঙের পড়াশোনা। পাশাপাশি, কয়েক বছরের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাবার সঙ্গে যোগাযোগ। ‘কালচারাল রেভোলিউশন’-এর বিরোধিতা করায় বন্দি করা হয় ঝোংজানকে।
১৯৬৮ থেকে ১৯৭২, এই চার বছর জি ঝোংজান ছিলেন পরিবারবিচ্ছিন্ন এবং কারাবন্দি।ছয়ের দশকের শেষে চিনে শুরু হল মাও জে দংয়ের ‘ডাউন টু দ্য কান্ট্রিসাইড মুভমেন্ট’। তরুণ জিনপিংকে পাঠিয়ে দেওয়া হল শানজি প্রদেশের ইয়ানচুয়ান গ্রামে। সেখানে রোজ কাঁধে প্রায় ১০০ কেজি ওজনের গমের দানা নিয়ে পাড়ি দিতে হত পাহাড়ি পাকদণ্ডি।
১৯৭১ সালে জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির যুবশাখায় যোগ দেন। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি চেষ্টা শুরু করেন কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের। প্রথম না'বার অসফল হন। সাফল্য আসে দশম বারের প্রচেষ্টায়।
আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। ব্রুটাসের বলা সেই কথাগুলোর মতো অনেকটা --
But 'tis a common proof,
That lowliness is young ambition's ladder,
Whereto the climber-upward turns his face;
But when he once attains the upmost round
He then unto the ladder turns his back.....
দাবার পারফেক্ট চালের মতোই এগিয়েছে মানুষটার ক্যারিয়ার -গ্রাফ।
২০০৭ সালে সপ্তদশ পার্টি কংগ্রেসে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন। তার পরের বছরই তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার চার বছর পরে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি পদের দায়িত্বে এবং ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, চীন বদলাতে শুরু করে ১৯৮৯ থেকে, তিনটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে। বলা হয় ‘ট্রাইফেক্টা’। অভিধানে এর অর্থ, দৌড় প্রতিযোগিতায় পর পর তিনটি ইভেন্টে জয়। চীনের ‘ট্রাইফেক্টা’ শুরু হয় তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে ছাত্রদের উপর গুলিচালনা (১৯৮৯), সোভিয়েট ইউনিয়নের পতন (১৯৯১) এবং উপসাগরীয় যুদ্ধে আমেরিকার জয়ের (১৯৯১) মধ্যে দিয়ে।
‘ট্রাইফেক্টা’র মাধ্যমে চীন চেনে তার ভবিষ্যতের প্রতিদ্বন্দ্বীকে, বোঝে যে সোভিয়েট আর তার প্রধান শত্রু নয়, সুদৃঢ় করতে শুরু করে ভবিষ্যতের ‘গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’।
গল্পের শুরু এর আরও অনেক আগে। ঘটনাক্রম বুঝতে হলে বুঝতে হবে জাতীয়তাবাদ।
জাতীয়তাবাদ না চিনলে চীনকে বোঝা যাবে না।
এই চীনা জাতীয়তাবাদ কোনও উপনিবেশের হাত ধরে আসেনি। নিজের সভ্যতা নিয়ে চীন বরাবর আত্মগর্বে গরীয়ান। ছাপাখানা, বারুদ থেকে জনস্বাস্থ্যের টিকা, আমলাতন্ত্র সব কিছুর জন্ম তার মাটিতে। ১৮৩০ সালে লি রুঝেন নামে এক চীনা ঔপন্যাসিক লিখছেন, ‘চীনই স্রষ্টা, অন্য দেশের সভ্যতা তার থেকেই শুরু।’
আধুনিক ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখবো ১৯৪৫ অবধি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে টানা প্রতিরোধ চীনের। ওই লড়াই থেকে জন্ম নিল চীনা জাতীয়তাবাদের অন্যতম চরিত্র: জাপ-বৈরিতা।
মহাযুদ্ধের সময়েই টানা আট বছর জাপানকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে চীন। স্তালিন তখন চিয়াং কাই-শেককে অস্ত্র এবং সমরকৌশলে ইন্ধন জুগিয়েছেন। তাঁর ভয়, জাপান ফুরসত পেলেই সোভিয়েত সীমান্তে আক্রমণ শানাবে।
ব্রিটেনও কম যায়নি। তার ভয়, চীন নিয়ে ব্যস্ত না থাকলে জাপান অচিরে বার্মা এবং ভারতে হানা দেবে। চীন-জাপান লড়াই না থাকলে যুদ্ধের ফল কী হত, বলা যায় না। তবু যুদ্ধশেষে পশ্চিমি শক্তি চীনকে মনে রাখেনি। ভুলে-যাওয়া মিত্র। ফরগট্ন অ্যালাই!
জাপানের সঙ্গে যুদ্ধই কমিউনিস্ট পার্টিতে নরমপন্থীদের কোণঠাসা করে দেয়, মাও এবং হার্ডলাইনাররা ক্ষমতা দখল করেন। নইলে ইতিহাস অন্য রকম হত।
চীনকে বুঝতে সময় নিয়েছে বিশ্ব। চীনকে না বুঝতে পারার এক প্রধান কারণ দেং জিয়াও পিং। দেং-এর তত্ত্ব ‘তাও গুয়াং ইয়াং হুই’, অর্থাৎ ‘সময় না আসা পর্যন্ত নিজেকে আড়ালে রেখে অপেক্ষা করো’, তা চীনকে বোঝার জন্য জরুরি। আশির দশকে পার্টি ও বিভিন্ন দলীয় কমিশনের মাথায় থাকা দেং।
দেং বলেছিলেন, লেনিনবাদী ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধে হল, এক বার সিদ্ধান্ত নিলে সেই সিদ্ধান্তকে দ্রুত বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা।”
আনুমানিক ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সমর-দার্শনিক সান জু-র ‘যুদ্ধে দ্রুত জয়ই কাম্য’ তত্ত্ব বার বার প্রভাবিত করেছে ২,৫০০ বছর পরের কমিউনিস্ট নেতৃত্বকে।
বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমেরিকা থেকে তাইল্যান্ড, সবাই যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ জলে ভাসিয়েছিল। চীন ভাসাল ২০১৭ সালে, বিমান বহনকারী জাহাজ আবিষ্কারের ১০০ বছর পরে। চীনের আর্থিক সঙ্গতি ও সাংগঠনিক শক্তি ছিল। কিন্তু কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে চীনের চিন্তা আলাদা।
কিন্তু আদতে তো এ বৈজ্ঞানিক চিন্তায়, গণতান্ত্রিক বোধে ঋদ্ধ এক দেশ। কনফুসিয়াসের দেশ। কনফুসিয়াসের প্রাচীন নীতি রাজাকে ভক্তি, বাবাকে শ্রদ্ধা, সামাজিক শৃঙ্খলা ছুড়ে ফেলে দাও।
এই ভাবধারাকে অস্বীকার করতে পারেননি কোনও নেতা।
পরে মাও জে দং বলবেন, ‘সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে যে বুর্জোয়া-গণতান্ত্রিক বিপ্লব শুরু হয়েছিল, ৪ মে’র আন্দোলন তারই প্রথম ধাপ। সেখান থেকে শুরু সাংস্কৃতিক বিপ্লব। জাতীয়তাবাদী চিয়াং কাই-শেক আবার জানাবেন, ‘একটা ভুল ছিল। আধুনিকতা মানে কনফুসিয়াসকে ছুড়ে ফেলা নয়। তাঁর নীতির সঙ্গে সাযুজ্য ঘটিয়ে এগোতে হবে।’
এক শতক আগের আগের এই ইতিহাস চমকে দেয় ভাঁজে ভাঁজে। প্রথমত, দেং জিয়াও পিং তো সে-দিনের ব্যাপার, প্রথম মহাযুদ্ধেই চিন ইউরোপীয় শক্তির সঙ্গে হিসেবনিকাশ কষছিল। দ্বিতীয়ত, কনফুসিয়াস-বিতর্ক।
২০১২ সালের শেষ দিক। জি জিনপিং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নতুন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বললেন - ‘পশ্চিমি ধনতন্ত্রে আজকের আর্থিক মন্দায় কনফুসিয়াস দিশা দেখাতে পারেন।’
তা নিয়ে অনেক হাসাহাসি হল। কিন্তু একটা ঘটনা পরিষ্কার হল -- চীনে ‘আধুনিকতা’র অন্যতম বিষয়: কনফুসিয়াসের সঙ্গে বোঝাপড়া।
শুধু মাও, কমিউনিস্ট পার্টি বা দেং-এর বাজার অর্থনীতি দিয়ে চীনকে বোঝা যায় না। মাও আর দেং মোটেই পরস্পরবিরোধী নন। দু’জনেই চেয়েছেন শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্র এবং তাকে চালনার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির একচ্ছত্র ক্ষমতা। তফাত একটাই। মাও কনফুসিয়াস-নীতিকে প্রাচীন কুসংস্কার ভাবতেন। দেং সেখান থেকে সরে আসেন।
প্রথমে মাও , তারপর জিনপিং। ‘পার্টির শতবর্ষের সংগ্রামে ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা এবং গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য’ শীর্ষক এই প্রস্তাবে বলা হলো , জি-র নেতৃত্বে চীন ঐতিহাসিক রূপান্তর এবং ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে। জাতীয়তাবাদী চীন বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্টির একশো বছরের ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়ে সেই ইতিহাসে নিজের অবস্থানটিকেও ‘ঐতিহাসিক’ উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেলেন জিনপিং। এর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দু’বার এমন প্লেনারি ডেকে বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। ১৯৪৫ সালে মাও জে দং এমনই এক প্রস্তাবের বলে পার্টিতে তাঁর নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
জিনপিঙের শাসনামলে কী দেখলো বিশ্ব :
ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকে নিজের পূর্বসূরিদের অনেক উপরে তুলে নিয়ে যেতে সক্রিয় থেকেছেন জি জিনপিং।
Personality Cult নামক বস্তুটি একনায়কদের প্রথম প্রথম ভালো লাগে না। ঐতিহাসিক স্টিফেন কোটকিন স্তালিনের একটি উদ্ধৃতির উল্লেখ করেছেন।
পৌনঃপুনিক স্তাবকতায় বিরক্ত স্তালিন, তাঁর ডেপুটি লাজার কাগানোভিচকে একবার বলেন - “What is this? Why do you praise me alone, as if one man decides everything?” মাও নিজেও গোড়ার দিকে পার্সোনালিটি কাল্টের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে যান দুজনেই।
জিনপিঙের ওসব দেখনদারির বালাই নেই। প্রত্যেক সিসিপি ক্যাডারের ফোনেই রয়েছে জিনপিং অ্যাপ। দেশের রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে সপ্তাহে পাঁচদিন প্রচারিত হয় জিনপিঙের চিন্তাধারা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান। স্কুল ও কলেজের পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্ত তাঁর জীবনী।
এই বইয়ের লেখক বলছেন : Is there such a thing as ‘Xi-ism’? Perhaps something similar to Maoism—that sinified version of Marxism–Leninism that once appealed to so many Western youths?
This is an important question in China and is heavily discussed within academic circles. It is all the more interesting since each leader leaves his mark, a sort of theoretical legacy, in the Constitution and Party statutes.
This comes in the form of a personal slogan, which serves as a summary of the leader’s political objectives and is repeated like a mantra and reprised by his successors.
The Xi ‘magic formula’ adopted by the Nineteenth Congress in autumn 2017 was ‘Xi Jinping Thought on Socialism with Chinese Characteristics for a New Era’.
গোটা চীন জুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ করেছে জিনপিঙের নেতৃত্বাধীন প্রসাসন। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার নামে জিনপিং দল এবং সরকার থেকে নিজের বিরোধী গোষ্ঠীর সব লোককে ছেঁটে ফেলেছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ক্রমশ তীব্র হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেই জিনপিঙের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে। যে ভাবে নিজের কর্তৃত্ব আরও নিরঙ্কুশ করার পথে হাঁটছেন জিনপিং, তাতে ক্ষোভ আরও বাড়বে বলে একাংশের আশঙ্কা।
যে পথে হেঁটে চিন গত কয়েক দশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে, সেই যৌথ নেতৃত্বের পথ থেকে দেশকে সরিয়ে নিয়ে জিনপিং খুব বড় ভুল করছেন বলে এই বইয়ের ছত্রে ছত্রে বলা হয়েছে।
এই বজ্রআঁটুনি ক্রমে আরও শক্ত হবে। আজকের চীন আক্ষরিক অর্থে একটি পুলিশ-রাষ্ট্র। গণতন্ত্রের দাবিতে লড়তে থাকা মানবাধিকার কর্মী টুইটারে লেখেন , ‘সম্রাট শিয়ের যুগ’। চিনের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবো-তে কেউ লেখেন ‘‘এ বার আমার সত্যিই মনে হচ্ছে আমি উত্তর কোরিয়ায় বাস করছি।’’ সরকারের সমালোচনা করে আক্ষরিক অর্থে গায়েব হয়ে যান জ্যাক মা-র মতো ধনকুবের , অদৃশ্য হয়ে যান সংবাদপত্রের মালিক , জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
সব ভ্যানিশ !!
বলা হয়েছে : Unfortunately, the orientation of the CCP and recent political developments in China strongly suggest that the country’s trajectory will remain biased toward further tightening. Even possible loosening will be tightly limited by the fundamental needs of the CCP. As the CCP nears the 100th anniversary of its founding in 1921, with seven decades spent as the sole governing authority in China, analysts have fairly good idea of how the party operates and what it wants. While this experience does not rule out the possibility of a more fundamental directional shift toward political pluralism and a rights-based approach to social rule, it seems a wishful hope at best.
এই বইয়ের লেখক জিনপিঙের আমলের তুলনা করেছেন জর্জ অরওয়েলের '১৯৮৪' এর ডিস্টোপিয়ার সাথে চূড়ান্ত দক্ষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রসূত সার্ভেইলেন্সের সমন্বয়। সকলের ওপর সর্বক্ষণের নজরদারি। ঠিক যেমন চতুর্দশ লুই তাঁর উত্তরসূরিকে বলেছিলেন : "Diplomacy consists of knowing the real thoughts of all the princes in Europe, knowing everything that people try to conceal from us, their secrets, and keeping close watch over them.”
ভবিষ্যৎ কী এই রাষ্ট্রের? জিনপিঙের কাল্ট পলিটিক্স কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে চীনকে ?
লেখক বলছেন : So, will Xi Jinping win his bet? Will he ensure that the Party keeps pace with a society in motion? More importantly, will he succeed in linking neo-authoritarianism and technological innovation? If he succeeds, China may well become the perfect twenty-first-century dictatorship.
As sinologist François Godement of the European Council on Foreign Relations has pointed out, ‘Xi’s Chinese Dream is a resurrection of Mao’s totalitarianism, but with the benefit of technological tools that Mao could only dream of’. ‘Communism is the Soviets plus electricity,’
Lenin once said; a full century later, Xi could well reply, ‘Chinese communism is the Party plus artificial intelligence and facial recognition’.
ভারতের এক পদস্থ অফিসার গত তিন মাসে তিনটি বিবৃতি দিয়েছিলেন।
প্রথমটায় তিনি বলেন - "Territorial ambitions of China and Pakistan require India's armed forces to remain alert and deployed along disputed borders and also along the coastal regions round the year,"
এরপর বলেন : "China's partnership with Pakistan and its stand on Jammu and Kashmir can be best described as an anti-India nexus,"
সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেন : "China has a habit of using money power and economics to gain popularity in the countries..."
তাই তিন বছরে চীনের বিরুদ্ধে সর্বমোট ১২৯ টি জ্বালাময়ী বিবৃতি দেওয়া সেই সমরনায়কের যখন বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে , তা-ও চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্তি উদযাপনের ঠিক কয়েক মাস আগে , গন্ধটা সন্দেহজনক লাগে বৈকি।
অলমিতি।
লেখক: Francois Bougon
প্রকাশক: C Hurst & Co Publishers Ltd
পৃষ্ঠা: ২৩২
মূল্য: ১৩৮৬
২০১২ সালের শেষ দিকে জি জিনপিং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তার কয়েক মাস পরে ২০১৩ সালে চীনের পার্লামেন্ট জিনপিংকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। ২০১৭-র অক্টোবরে জিনপিং দ্বিতীয় বারের জন্য পার্টির এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান নির্বাচিত হন।
২০১৮-র মার্চে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসে। সেখানে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
ততদিন যে রকম ছিল চীনা পার্টির সংবিধান, তাতে সেই সম্মেলনে আর পার্টির শীর্ষ পদ পাওয়ার কথা নয় জিনপিঙের। কিন্তু ‘জিনপিং চিন্তাধারা’ নামে একটি তত্ত্বকে পার্টির সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে জিনপিংকে নিয়মের ঊর্ধ্বে তুলে ধরে চীনের শাসক দল।
যা প্রত্যাশিত ছিল, তা-ই হয় ২০২১ সালে। বেজিংয়ের সামরিক হোটেলে যে রুদ্ধদ্বার প্লেনাম চলছিল, তার সমাপ্তিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাশ করে জিনপিঙের ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়: পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, পার্টি, সেনাবাহিনী এবং চীনের নাগরিকরা যেন জি-র নেতৃত্বে আরও ঐক্যবদ্ধ হন এবং চীনা চরিত্র বজায় রেখে সমাজবাদের নতুন যুগ প্রবর্তনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বলা হয়: ‘‘জি-র ভাবনাই চীনের সংস্কৃতি ও আত্মার পরাকাষ্ঠা, পার্টির হৃদয়কেন্দ্রে তাঁর অবস্থানই চীনা জাতির পুনরুত্থানে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে,’’
পার্টির এবং সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদে যাতে তিনি অনির্দিষ্ট কাল থেকে যেতে পারেন, সে বন্দোবস্তও পাকা করে ফেলা হয়।
মাও জে দঙের পর থেকে আর কোনও চীনা নেতা সে দেশে সর্বময় ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেননি। দেং শিওয়াও পিঙের নেতৃত্বে যে যৌথ নেতৃত্বের অভ্যাস গড়ে উঠেছিল, পরবর্তী নেতারা তাকেই অনুসরণ করেছেন।
জিয়াং জেমিন এবং হু জিনতাও পর পর দু’টি করে মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থেকেছেন। তার পরে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর করে সরে গিয়েছেন। জিনপিঙের জমানায় সেই ধারা ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে।
অদ্ভুত দেশ !! অদ্ভুত মানুষ এই জি। অদ্ভুত এর উত্থান !!
তাঁর বাবা ছিলেন মাও জে দং-য়ের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু তাতে কোনও বাড়তি সুবিধে হয়নি জিনপিঙের। কার্যত শূন্য থেকে শুরু করেন জিনপিং। ১৯৪৯ সালে মাও জে দং-য়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় পিপলস রিপাবলিক অব চায়না। এরপর দলের তথা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন চিনফিংয়ের বাবা, জি ঝোংজান।
তবে দল এবং সরকারের সঙ্গে বারবার মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঝোংজান। তার মাশুলও তাঁকে দিতে হয়। ১৯৬৩ সালে তাঁকে দল থেকে সরিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হেনান প্রদেশে, একটি কারখানায় কাজের জন্য। ১৯৬৬ সালে গোটা চীন উত্তাল ‘গ্রেট প্রোলেটারিয়ান কালচারাল রেভোলিউশন’-এ। ব্যাহত হয় জিনপিঙের পড়াশোনা। পাশাপাশি, কয়েক বছরের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাবার সঙ্গে যোগাযোগ। ‘কালচারাল রেভোলিউশন’-এর বিরোধিতা করায় বন্দি করা হয় ঝোংজানকে।
১৯৬৮ থেকে ১৯৭২, এই চার বছর জি ঝোংজান ছিলেন পরিবারবিচ্ছিন্ন এবং কারাবন্দি।ছয়ের দশকের শেষে চিনে শুরু হল মাও জে দংয়ের ‘ডাউন টু দ্য কান্ট্রিসাইড মুভমেন্ট’। তরুণ জিনপিংকে পাঠিয়ে দেওয়া হল শানজি প্রদেশের ইয়ানচুয়ান গ্রামে। সেখানে রোজ কাঁধে প্রায় ১০০ কেজি ওজনের গমের দানা নিয়ে পাড়ি দিতে হত পাহাড়ি পাকদণ্ডি।
১৯৭১ সালে জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির যুবশাখায় যোগ দেন। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি চেষ্টা শুরু করেন কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের। প্রথম না'বার অসফল হন। সাফল্য আসে দশম বারের প্রচেষ্টায়।
আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। ব্রুটাসের বলা সেই কথাগুলোর মতো অনেকটা --
But 'tis a common proof,
That lowliness is young ambition's ladder,
Whereto the climber-upward turns his face;
But when he once attains the upmost round
He then unto the ladder turns his back.....
দাবার পারফেক্ট চালের মতোই এগিয়েছে মানুষটার ক্যারিয়ার -গ্রাফ।
২০০৭ সালে সপ্তদশ পার্টি কংগ্রেসে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন। তার পরের বছরই তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার চার বছর পরে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি পদের দায়িত্বে এবং ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, চীন বদলাতে শুরু করে ১৯৮৯ থেকে, তিনটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে। বলা হয় ‘ট্রাইফেক্টা’। অভিধানে এর অর্থ, দৌড় প্রতিযোগিতায় পর পর তিনটি ইভেন্টে জয়। চীনের ‘ট্রাইফেক্টা’ শুরু হয় তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে ছাত্রদের উপর গুলিচালনা (১৯৮৯), সোভিয়েট ইউনিয়নের পতন (১৯৯১) এবং উপসাগরীয় যুদ্ধে আমেরিকার জয়ের (১৯৯১) মধ্যে দিয়ে।
‘ট্রাইফেক্টা’র মাধ্যমে চীন চেনে তার ভবিষ্যতের প্রতিদ্বন্দ্বীকে, বোঝে যে সোভিয়েট আর তার প্রধান শত্রু নয়, সুদৃঢ় করতে শুরু করে ভবিষ্যতের ‘গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’।
গল্পের শুরু এর আরও অনেক আগে। ঘটনাক্রম বুঝতে হলে বুঝতে হবে জাতীয়তাবাদ।
জাতীয়তাবাদ না চিনলে চীনকে বোঝা যাবে না।
এই চীনা জাতীয়তাবাদ কোনও উপনিবেশের হাত ধরে আসেনি। নিজের সভ্যতা নিয়ে চীন বরাবর আত্মগর্বে গরীয়ান। ছাপাখানা, বারুদ থেকে জনস্বাস্থ্যের টিকা, আমলাতন্ত্র সব কিছুর জন্ম তার মাটিতে। ১৮৩০ সালে লি রুঝেন নামে এক চীনা ঔপন্যাসিক লিখছেন, ‘চীনই স্রষ্টা, অন্য দেশের সভ্যতা তার থেকেই শুরু।’
আধুনিক ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখবো ১৯৪৫ অবধি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে টানা প্রতিরোধ চীনের। ওই লড়াই থেকে জন্ম নিল চীনা জাতীয়তাবাদের অন্যতম চরিত্র: জাপ-বৈরিতা।
মহাযুদ্ধের সময়েই টানা আট বছর জাপানকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে চীন। স্তালিন তখন চিয়াং কাই-শেককে অস্ত্র এবং সমরকৌশলে ইন্ধন জুগিয়েছেন। তাঁর ভয়, জাপান ফুরসত পেলেই সোভিয়েত সীমান্তে আক্রমণ শানাবে।
ব্রিটেনও কম যায়নি। তার ভয়, চীন নিয়ে ব্যস্ত না থাকলে জাপান অচিরে বার্মা এবং ভারতে হানা দেবে। চীন-জাপান লড়াই না থাকলে যুদ্ধের ফল কী হত, বলা যায় না। তবু যুদ্ধশেষে পশ্চিমি শক্তি চীনকে মনে রাখেনি। ভুলে-যাওয়া মিত্র। ফরগট্ন অ্যালাই!
জাপানের সঙ্গে যুদ্ধই কমিউনিস্ট পার্টিতে নরমপন্থীদের কোণঠাসা করে দেয়, মাও এবং হার্ডলাইনাররা ক্ষমতা দখল করেন। নইলে ইতিহাস অন্য রকম হত।
চীনকে বুঝতে সময় নিয়েছে বিশ্ব। চীনকে না বুঝতে পারার এক প্রধান কারণ দেং জিয়াও পিং। দেং-এর তত্ত্ব ‘তাও গুয়াং ইয়াং হুই’, অর্থাৎ ‘সময় না আসা পর্যন্ত নিজেকে আড়ালে রেখে অপেক্ষা করো’, তা চীনকে বোঝার জন্য জরুরি। আশির দশকে পার্টি ও বিভিন্ন দলীয় কমিশনের মাথায় থাকা দেং।
দেং বলেছিলেন, লেনিনবাদী ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধে হল, এক বার সিদ্ধান্ত নিলে সেই সিদ্ধান্তকে দ্রুত বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা।”
আনুমানিক ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সমর-দার্শনিক সান জু-র ‘যুদ্ধে দ্রুত জয়ই কাম্য’ তত্ত্ব বার বার প্রভাবিত করেছে ২,৫০০ বছর পরের কমিউনিস্ট নেতৃত্বকে।
বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমেরিকা থেকে তাইল্যান্ড, সবাই যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ জলে ভাসিয়েছিল। চীন ভাসাল ২০১৭ সালে, বিমান বহনকারী জাহাজ আবিষ্কারের ১০০ বছর পরে। চীনের আর্থিক সঙ্গতি ও সাংগঠনিক শক্তি ছিল। কিন্তু কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে চীনের চিন্তা আলাদা।
কিন্তু আদতে তো এ বৈজ্ঞানিক চিন্তায়, গণতান্ত্রিক বোধে ঋদ্ধ এক দেশ। কনফুসিয়াসের দেশ। কনফুসিয়াসের প্রাচীন নীতি রাজাকে ভক্তি, বাবাকে শ্রদ্ধা, সামাজিক শৃঙ্খলা ছুড়ে ফেলে দাও।
এই ভাবধারাকে অস্বীকার করতে পারেননি কোনও নেতা।
পরে মাও জে দং বলবেন, ‘সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে যে বুর্জোয়া-গণতান্ত্রিক বিপ্লব শুরু হয়েছিল, ৪ মে’র আন্দোলন তারই প্রথম ধাপ। সেখান থেকে শুরু সাংস্কৃতিক বিপ্লব। জাতীয়তাবাদী চিয়াং কাই-শেক আবার জানাবেন, ‘একটা ভুল ছিল। আধুনিকতা মানে কনফুসিয়াসকে ছুড়ে ফেলা নয়। তাঁর নীতির সঙ্গে সাযুজ্য ঘটিয়ে এগোতে হবে।’
এক শতক আগের আগের এই ইতিহাস চমকে দেয় ভাঁজে ভাঁজে। প্রথমত, দেং জিয়াও পিং তো সে-দিনের ব্যাপার, প্রথম মহাযুদ্ধেই চিন ইউরোপীয় শক্তির সঙ্গে হিসেবনিকাশ কষছিল। দ্বিতীয়ত, কনফুসিয়াস-বিতর্ক।
২০১২ সালের শেষ দিক। জি জিনপিং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নতুন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বললেন - ‘পশ্চিমি ধনতন্ত্রে আজকের আর্থিক মন্দায় কনফুসিয়াস দিশা দেখাতে পারেন।’
তা নিয়ে অনেক হাসাহাসি হল। কিন্তু একটা ঘটনা পরিষ্কার হল -- চীনে ‘আধুনিকতা’র অন্যতম বিষয়: কনফুসিয়াসের সঙ্গে বোঝাপড়া।
শুধু মাও, কমিউনিস্ট পার্টি বা দেং-এর বাজার অর্থনীতি দিয়ে চীনকে বোঝা যায় না। মাও আর দেং মোটেই পরস্পরবিরোধী নন। দু’জনেই চেয়েছেন শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্র এবং তাকে চালনার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির একচ্ছত্র ক্ষমতা। তফাত একটাই। মাও কনফুসিয়াস-নীতিকে প্রাচীন কুসংস্কার ভাবতেন। দেং সেখান থেকে সরে আসেন।
প্রথমে মাও , তারপর জিনপিং। ‘পার্টির শতবর্ষের সংগ্রামে ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা এবং গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য’ শীর্ষক এই প্রস্তাবে বলা হলো , জি-র নেতৃত্বে চীন ঐতিহাসিক রূপান্তর এবং ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে। জাতীয়তাবাদী চীন বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্টির একশো বছরের ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়ে সেই ইতিহাসে নিজের অবস্থানটিকেও ‘ঐতিহাসিক’ উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেলেন জিনপিং। এর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দু’বার এমন প্লেনারি ডেকে বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। ১৯৪৫ সালে মাও জে দং এমনই এক প্রস্তাবের বলে পার্টিতে তাঁর নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
জিনপিঙের শাসনামলে কী দেখলো বিশ্ব :
ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকে নিজের পূর্বসূরিদের অনেক উপরে তুলে নিয়ে যেতে সক্রিয় থেকেছেন জি জিনপিং।
Personality Cult নামক বস্তুটি একনায়কদের প্রথম প্রথম ভালো লাগে না। ঐতিহাসিক স্টিফেন কোটকিন স্তালিনের একটি উদ্ধৃতির উল্লেখ করেছেন।
পৌনঃপুনিক স্তাবকতায় বিরক্ত স্তালিন, তাঁর ডেপুটি লাজার কাগানোভিচকে একবার বলেন - “What is this? Why do you praise me alone, as if one man decides everything?” মাও নিজেও গোড়ার দিকে পার্সোনালিটি কাল্টের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে যান দুজনেই।
জিনপিঙের ওসব দেখনদারির বালাই নেই। প্রত্যেক সিসিপি ক্যাডারের ফোনেই রয়েছে জিনপিং অ্যাপ। দেশের রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে সপ্তাহে পাঁচদিন প্রচারিত হয় জিনপিঙের চিন্তাধারা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান। স্কুল ও কলেজের পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্ত তাঁর জীবনী।
এই বইয়ের লেখক বলছেন : Is there such a thing as ‘Xi-ism’? Perhaps something similar to Maoism—that sinified version of Marxism–Leninism that once appealed to so many Western youths?
This is an important question in China and is heavily discussed within academic circles. It is all the more interesting since each leader leaves his mark, a sort of theoretical legacy, in the Constitution and Party statutes.
This comes in the form of a personal slogan, which serves as a summary of the leader’s political objectives and is repeated like a mantra and reprised by his successors.
The Xi ‘magic formula’ adopted by the Nineteenth Congress in autumn 2017 was ‘Xi Jinping Thought on Socialism with Chinese Characteristics for a New Era’.
গোটা চীন জুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ করেছে জিনপিঙের নেতৃত্বাধীন প্রসাসন। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার নামে জিনপিং দল এবং সরকার থেকে নিজের বিরোধী গোষ্ঠীর সব লোককে ছেঁটে ফেলেছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ক্রমশ তীব্র হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেই জিনপিঙের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে। যে ভাবে নিজের কর্তৃত্ব আরও নিরঙ্কুশ করার পথে হাঁটছেন জিনপিং, তাতে ক্ষোভ আরও বাড়বে বলে একাংশের আশঙ্কা।
যে পথে হেঁটে চিন গত কয়েক দশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে, সেই যৌথ নেতৃত্বের পথ থেকে দেশকে সরিয়ে নিয়ে জিনপিং খুব বড় ভুল করছেন বলে এই বইয়ের ছত্রে ছত্রে বলা হয়েছে।
এই বজ্রআঁটুনি ক্রমে আরও শক্ত হবে। আজকের চীন আক্ষরিক অর্থে একটি পুলিশ-রাষ্ট্র। গণতন্ত্রের দাবিতে লড়তে থাকা মানবাধিকার কর্মী টুইটারে লেখেন , ‘সম্রাট শিয়ের যুগ’। চিনের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবো-তে কেউ লেখেন ‘‘এ বার আমার সত্যিই মনে হচ্ছে আমি উত্তর কোরিয়ায় বাস করছি।’’ সরকারের সমালোচনা করে আক্ষরিক অর্থে গায়েব হয়ে যান জ্যাক মা-র মতো ধনকুবের , অদৃশ্য হয়ে যান সংবাদপত্রের মালিক , জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
সব ভ্যানিশ !!
বলা হয়েছে : Unfortunately, the orientation of the CCP and recent political developments in China strongly suggest that the country’s trajectory will remain biased toward further tightening. Even possible loosening will be tightly limited by the fundamental needs of the CCP. As the CCP nears the 100th anniversary of its founding in 1921, with seven decades spent as the sole governing authority in China, analysts have fairly good idea of how the party operates and what it wants. While this experience does not rule out the possibility of a more fundamental directional shift toward political pluralism and a rights-based approach to social rule, it seems a wishful hope at best.
এই বইয়ের লেখক জিনপিঙের আমলের তুলনা করেছেন জর্জ অরওয়েলের '১৯৮৪' এর ডিস্টোপিয়ার সাথে চূড়ান্ত দক্ষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রসূত সার্ভেইলেন্সের সমন্বয়। সকলের ওপর সর্বক্ষণের নজরদারি। ঠিক যেমন চতুর্দশ লুই তাঁর উত্তরসূরিকে বলেছিলেন : "Diplomacy consists of knowing the real thoughts of all the princes in Europe, knowing everything that people try to conceal from us, their secrets, and keeping close watch over them.”
ভবিষ্যৎ কী এই রাষ্ট্রের? জিনপিঙের কাল্ট পলিটিক্স কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে চীনকে ?
লেখক বলছেন : So, will Xi Jinping win his bet? Will he ensure that the Party keeps pace with a society in motion? More importantly, will he succeed in linking neo-authoritarianism and technological innovation? If he succeeds, China may well become the perfect twenty-first-century dictatorship.
As sinologist François Godement of the European Council on Foreign Relations has pointed out, ‘Xi’s Chinese Dream is a resurrection of Mao’s totalitarianism, but with the benefit of technological tools that Mao could only dream of’. ‘Communism is the Soviets plus electricity,’
Lenin once said; a full century later, Xi could well reply, ‘Chinese communism is the Party plus artificial intelligence and facial recognition’.
ভারতের এক পদস্থ অফিসার গত তিন মাসে তিনটি বিবৃতি দিয়েছিলেন।
প্রথমটায় তিনি বলেন - "Territorial ambitions of China and Pakistan require India's armed forces to remain alert and deployed along disputed borders and also along the coastal regions round the year,"
এরপর বলেন : "China's partnership with Pakistan and its stand on Jammu and Kashmir can be best described as an anti-India nexus,"
সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেন : "China has a habit of using money power and economics to gain popularity in the countries..."
তাই তিন বছরে চীনের বিরুদ্ধে সর্বমোট ১২৯ টি জ্বালাময়ী বিবৃতি দেওয়া সেই সমরনায়কের যখন বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে , তা-ও চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্তি উদযাপনের ঠিক কয়েক মাস আগে , গন্ধটা সন্দেহজনক লাগে বৈকি।
অলমিতি।
September 29, 2019
Can't wait to read it. By the cover it sounds like the delirium of a simple mind, channeling the spirits to get an "inside the mind of Xi".
July 25, 2020
I couldn’t have read this book at a better time. China is becoming aggressive with each passing day and is becoming dangerous to world peace and balance. Xi is in 2020 what Hitler was in 1936. He is at best from conservative camp with a modern economic view. The book describes how he came from the days of penury and humiliation. His mother has a profound impact on what he is today. He is stronger than a metal and resilient as a water. He was forced to destitution because his father was purged during the cultural revolution by the same party he is heading right now. He was a peasant at margins in his teenage days and is known to have eaten anything that came his way for survival (Well, let’s not get into what they eat. Because, we all know where it has landed us at ☹)
Seeing his journey from a party secretary to a governor province to the Premier of China is relentless. To call him ruthless would be an understatement. He has systematically eliminated his competitors/rivals, his opponents and anything and everything that came on his way to Premiership. The way the book describes his anti-corruption crusade but at the same time no holds barred strategy for grabbing power describes him more as a power-hungry person. He doesn’t care for personal fortune. The book describes how he wants to establish himself as a pioneer of Chinese Superpower while carrying the legacy of Marx and Mao. He is even ready to sacrifice his own people to further his and China��s interests. His power comes from the fact on how he has made himself identify China with himself and vice-versa. He won’t leave an inch to spare when it comes to crushing his opponents. He knows and vows only to win, come what may.
As far as book’s writing styling is concerned, it is esoteric. If I say it is plainly boring, I wouldn’t be wrong. There are some parts which I had to skip because it hammered my head. Biographies are generally quite engaging. This wasn’t. I completed 2 other books in an attempt to complete this book. The only reason why I continued with this book is to understand or predict what Xi’s next move could be. But it doesn’t give that insights. The author has done more of a secondary research based on events, columns, articles etc. He needs to speak to people close to Xi but that is a daunting task given China’s censorship record. The least he can do is meet dignitaries/bureaucrats from other countries who have worked in China and know how China’s bureaucracy operate, government takes decisions. The book can lend some good insights only then.
Little Deviation: There are only two significant world leaders who can beat Xi at his game and that is undoubtedly Modi and Putin. Xi’s hunger for power and victory matches those with Modi and Putin. As long as Xi remains in power, world peace and balance is at peril.
Seeing his journey from a party secretary to a governor province to the Premier of China is relentless. To call him ruthless would be an understatement. He has systematically eliminated his competitors/rivals, his opponents and anything and everything that came on his way to Premiership. The way the book describes his anti-corruption crusade but at the same time no holds barred strategy for grabbing power describes him more as a power-hungry person. He doesn’t care for personal fortune. The book describes how he wants to establish himself as a pioneer of Chinese Superpower while carrying the legacy of Marx and Mao. He is even ready to sacrifice his own people to further his and China��s interests. His power comes from the fact on how he has made himself identify China with himself and vice-versa. He won’t leave an inch to spare when it comes to crushing his opponents. He knows and vows only to win, come what may.
As far as book’s writing styling is concerned, it is esoteric. If I say it is plainly boring, I wouldn’t be wrong. There are some parts which I had to skip because it hammered my head. Biographies are generally quite engaging. This wasn’t. I completed 2 other books in an attempt to complete this book. The only reason why I continued with this book is to understand or predict what Xi’s next move could be. But it doesn’t give that insights. The author has done more of a secondary research based on events, columns, articles etc. He needs to speak to people close to Xi but that is a daunting task given China’s censorship record. The least he can do is meet dignitaries/bureaucrats from other countries who have worked in China and know how China’s bureaucracy operate, government takes decisions. The book can lend some good insights only then.
Little Deviation: There are only two significant world leaders who can beat Xi at his game and that is undoubtedly Modi and Putin. Xi’s hunger for power and victory matches those with Modi and Putin. As long as Xi remains in power, world peace and balance is at peril.
July 22, 2022
This was a very good book.
It was filled with some very well-researched predictions on the future for the CCP, China, and - in retrospect, the world.
Scary but informative read.
Highly recommend to learn more.
Don't miss this book!
4.7/5
It was filled with some very well-researched predictions on the future for the CCP, China, and - in retrospect, the world.
Scary but informative read.
Highly recommend to learn more.
Don't miss this book!
4.7/5
June 1, 2020
A great idea for a topic, we are all very interested.
Unfortunately we learn very little. Bougon is too lazy to trace Xi's career at the municipal, provincial and central level. We learn nothing about how his praxis shaped his thoughts.
We also learn nothing about Xi Jinping Thought. The author realises this in the very last chapter, and acknowledges that Xi is way to nationalist to be a Leftist, but has way to much Mao nostalgia to be a Rightist. Then who is he? Perhaps this book could have been the place to epxplain it...
We also learn little about how he is different than previous Chinese leaders. Why does the author think he is worse? Was China authoritarian before? Certainly. The West chose to ignore it. Was the WWW hidden behind the Great Firewall before? Certainly. What IS new about Xi?
The little that we do learn about him is actually quite supportable. Anti corruption? Please! Modesty for the party? Absolutely. Studying Confucius and world literature? Why not? Being assertive internationally? Who isn't? China Dream? Some have an American Dream, some a China Dream...
Unfortunately we learn very little. Bougon is too lazy to trace Xi's career at the municipal, provincial and central level. We learn nothing about how his praxis shaped his thoughts.
We also learn nothing about Xi Jinping Thought. The author realises this in the very last chapter, and acknowledges that Xi is way to nationalist to be a Leftist, but has way to much Mao nostalgia to be a Rightist. Then who is he? Perhaps this book could have been the place to epxplain it...
We also learn little about how he is different than previous Chinese leaders. Why does the author think he is worse? Was China authoritarian before? Certainly. The West chose to ignore it. Was the WWW hidden behind the Great Firewall before? Certainly. What IS new about Xi?
The little that we do learn about him is actually quite supportable. Anti corruption? Please! Modesty for the party? Absolutely. Studying Confucius and world literature? Why not? Being assertive internationally? Who isn't? China Dream? Some have an American Dream, some a China Dream...
October 28, 2018
Xi Jingping is a leader and not a mere political representative. The book uncovers the “why” and the very ethos of Xi’s thinking. The impact of his years as a youth leader working at yellow earth to his largesse towards Confuscian school.
All in all, a good perspective on what shapes the leader he is today.
As the author comments :” People expected a Chinese Gorbachev but instead got a Chinese Putin” !
Why is Xi authoritative and purged all media / legal freedom? The answer lies more within Xi rather than outside factors.
All in all, a good perspective on what shapes the leader he is today.
As the author comments :” People expected a Chinese Gorbachev but instead got a Chinese Putin” !
Why is Xi authoritative and purged all media / legal freedom? The answer lies more within Xi rather than outside factors.
January 17, 2021
Highly readable - a precise and specific overview of how Xi works. Read it quickly
December 9, 2019
Reading this book gives me chilling.
China that we know is not what it is.
It is neither bad nor good. It is conflicting.
XI is the theme of the book, yet when discussing him one cannot not to discuss China.
His influence on China has made him inseparable from the country.
There are a lot of insights that we as normal citizens could have learned and applied to our daily life. In particular, how China that seems ‘static’ is actually very agile. In-fact open-minded. They claimed that they are socialism. Yet the word itself doesn’t do the justice in picturing the ever-changing China. China is always changing adapting and re-inventing itself over and over again to match with the ages of times. We should too.
In regards to the writer, he seems conflicted. Perplexes. Does Xi (and China) is good? Or bad? He can’t answered it straightly. But I think that reflects the reality, for anyone who read the book will in fact feel exactly the same. There are respect and awe towards the man, yet at the same time fear to see that one man has gotten hold so much power in his hand.
Time will tell whether power in the hand of Xi & China will do good or the other way around.
Meanwhile, anyone who are willing to learned would not be disappointed to learned from the progressive China.
Totally recommended this book.
This entire review has been hidden because of spoilers.
March 25, 2021
This is quite an interesting book. While it does not go into his mind, Francois Bougon has done an excellent job in identifying some of the philosophy that has influenced Xi Jingping's thought.
His earlier experience during the Cultural Revolution was critical, as it helped him 'identify' with the masses. I was wondering how someone from a relatively privileged background built up such a personality cult.
If you have not been following Xi Jinping, this is a good place to start. Also, the book does give a good overview of his philosophy, and everything that has influenced him.
Sadly, Francois has not explored the rationale behind China's recent expansionist moves. We get a picture of an implacable man, behind the suave exterior.
What will happen to Xi Jinping and China? We will have to wait and watch.
His earlier experience during the Cultural Revolution was critical, as it helped him 'identify' with the masses. I was wondering how someone from a relatively privileged background built up such a personality cult.
If you have not been following Xi Jinping, this is a good place to start. Also, the book does give a good overview of his philosophy, and everything that has influenced him.
Sadly, Francois has not explored the rationale behind China's recent expansionist moves. We get a picture of an implacable man, behind the suave exterior.
What will happen to Xi Jinping and China? We will have to wait and watch.
June 10, 2023
Sem dúvida que nos habituámos a avaliar os outros países, por mais longínquos que sejam, pela nossa bitola cultural, de valores, política, religiosa, etc.
A China não pode ser vista por este “nosso” prisma e é legítima a escolha de caminhos diferentes dos nossos, ditos “ocidentais”. E por isso, devemos ler, conhecer a história, perceber o caminho (o tao). E este livro ajuda bastante nesse aspecto, uma vez que grande parte da construção de Xi, é uma construção baseada em muitos elementos históricos. Principalmente naqueles que lhe são mais convenientes.
Apesar disso, dessa pretensa legitimidade, formal mas não real, porque de facto não se sabe o que os chineses realmente querem, apenas sabemos o que o Partido, cada vez mais confundido com a própria China, quer, mesmo na nossa visão “enviesada”, não podemos concordar com muitos dos princípios e políticas adoptadas.
Saber, por palavras do próprio Xi que “Há um registo de todos aqueles que erram. Tudo é anotado aí. […] Por isso não façam parvoíces. Há sempre um poder superior a vigiar-vos por cima do ombro; o melhor é terem-no em conta com receio e respeito.”, ou “todos os grupos étnicos devem unir-se como as sementes de uma romã” ou ainda pelo facto assumido de ter conseguido fazer “equivaler a nação ao Partido e fazê-lo de modo que a maioria das pessoas acreditem que, mesmo com os seus defeitos, não há alternativa ao Partido para cuidar dos interesses nacionais da China”, não podemos deixar de nos questionar se é este o sistema que os chineses no seu todo defendem. O problema é que, para o sabermos, Xi não poderia ser Xi, o “novo imperador “.
A China não pode ser vista por este “nosso” prisma e é legítima a escolha de caminhos diferentes dos nossos, ditos “ocidentais”. E por isso, devemos ler, conhecer a história, perceber o caminho (o tao). E este livro ajuda bastante nesse aspecto, uma vez que grande parte da construção de Xi, é uma construção baseada em muitos elementos históricos. Principalmente naqueles que lhe são mais convenientes.
Apesar disso, dessa pretensa legitimidade, formal mas não real, porque de facto não se sabe o que os chineses realmente querem, apenas sabemos o que o Partido, cada vez mais confundido com a própria China, quer, mesmo na nossa visão “enviesada”, não podemos concordar com muitos dos princípios e políticas adoptadas.
Saber, por palavras do próprio Xi que “Há um registo de todos aqueles que erram. Tudo é anotado aí. […] Por isso não façam parvoíces. Há sempre um poder superior a vigiar-vos por cima do ombro; o melhor é terem-no em conta com receio e respeito.”, ou “todos os grupos étnicos devem unir-se como as sementes de uma romã” ou ainda pelo facto assumido de ter conseguido fazer “equivaler a nação ao Partido e fazê-lo de modo que a maioria das pessoas acreditem que, mesmo com os seus defeitos, não há alternativa ao Partido para cuidar dos interesses nacionais da China”, não podemos deixar de nos questionar se é este o sistema que os chineses no seu todo defendem. O problema é que, para o sabermos, Xi não poderia ser Xi, o “novo imperador “.
March 13, 2019
Summary of main points:
His ideological vision: combine elements of traditional Chinese Confucianism and Legalism (society over individual, modesty, submission to power, law as a tool of the state), Maoism, and Market Capitalism to form the perfect neo-authoritarian 21st century dictatorship, providing a viable and unquestionable alternative to the Western liberal democracy model
His background: father in the Red Guard during Mao, spend childhood in the North of China with peasants, rose through usual bureaucratic ranks quickly
Personal: famous singer wife, beloved 'uncle Xi', well-read in Chinese classics, forming a cult of personality
Why he's different: full return to Mao style totalitarian thinking, synthesis of Mao and Confucius, uses special time in history at the decline of US to promote alternative models (Hungary, Russia, Turkey)
A good narrative of one of the most powerful man in 2019. His motivations are made clear with plenty of examples and references which may have escaped the Western reader. Rather often these points are repeated, and the book could have used a better, clearer structure. Overall an enjoyable read.
His ideological vision: combine elements of traditional Chinese Confucianism and Legalism (society over individual, modesty, submission to power, law as a tool of the state), Maoism, and Market Capitalism to form the perfect neo-authoritarian 21st century dictatorship, providing a viable and unquestionable alternative to the Western liberal democracy model
His background: father in the Red Guard during Mao, spend childhood in the North of China with peasants, rose through usual bureaucratic ranks quickly
Personal: famous singer wife, beloved 'uncle Xi', well-read in Chinese classics, forming a cult of personality
Why he's different: full return to Mao style totalitarian thinking, synthesis of Mao and Confucius, uses special time in history at the decline of US to promote alternative models (Hungary, Russia, Turkey)
A good narrative of one of the most powerful man in 2019. His motivations are made clear with plenty of examples and references which may have escaped the Western reader. Rather often these points are repeated, and the book could have used a better, clearer structure. Overall an enjoyable read.
This entire review has been hidden because of spoilers.
January 23, 2021
Why should you read this book?
The book is written by a journalist and has closely observed the clandestine Chinese governance for the past 5 years. The very first chapter talks about Xi Jinping's "Chinese Dream". The author gradually builds the backdrop for Xi's entry into international politics and more importantly his role and contribution in the Chinese Politburo.
》Review🔥
The book is a must read to understand how Xi has masterfully weaved ideology and politics to drive the Chinese dream. His personal convictions and upbringing has been a huge influence for the rise of China in a stifling political atmosphere.
"Xi defied expectations. Some expected a Chinese Gorbachev and got a Chinese Putin instead."
The author has outlined Xi's personality while divulging honest information. Xi revived Confusianism in China with his charismatic presence as the son of Hu.
Inhibiting corruption, driving meritocracy in Politburo, strict control over media were some of his key initiatives to establish ideology for the "Chinese Dream."
》Rating 3/5🌟
Add this to your shelf to get a sneak peak into the most revolutionary minds of the 20th century.
The book is written by a journalist and has closely observed the clandestine Chinese governance for the past 5 years. The very first chapter talks about Xi Jinping's "Chinese Dream". The author gradually builds the backdrop for Xi's entry into international politics and more importantly his role and contribution in the Chinese Politburo.
》Review🔥
The book is a must read to understand how Xi has masterfully weaved ideology and politics to drive the Chinese dream. His personal convictions and upbringing has been a huge influence for the rise of China in a stifling political atmosphere.
"Xi defied expectations. Some expected a Chinese Gorbachev and got a Chinese Putin instead."
The author has outlined Xi's personality while divulging honest information. Xi revived Confusianism in China with his charismatic presence as the son of Hu.
Inhibiting corruption, driving meritocracy in Politburo, strict control over media were some of his key initiatives to establish ideology for the "Chinese Dream."
》Rating 3/5🌟
Add this to your shelf to get a sneak peak into the most revolutionary minds of the 20th century.
May 24, 2023
The title of this book may be misleading, as "Inside the Mind of Xi," despite its claim, offers only minimal insight into Xi's political stance and the underlying rationale behind his policies, particularly in terms of foreign and economic matters.
It may be thought-provoking for readers primarily interested in a superficial examination of Xi's neo-authoritarian philosophy, but as a reader who grew up within the confines of the Great Firewall, I find it devoid of value in enhancing my understanding of key themes, such as Xi's censorship.
In comparison to its referenced works, such as Michael Dillon's "China in the Age of Xi," Louisa Lim's "The People's Republic of Amnesia," and the writings of Richard McGregor and Jasper Becker, this book falls short in providing comprehensive and informative content.
It may be thought-provoking for readers primarily interested in a superficial examination of Xi's neo-authoritarian philosophy, but as a reader who grew up within the confines of the Great Firewall, I find it devoid of value in enhancing my understanding of key themes, such as Xi's censorship.
In comparison to its referenced works, such as Michael Dillon's "China in the Age of Xi," Louisa Lim's "The People's Republic of Amnesia," and the writings of Richard McGregor and Jasper Becker, this book falls short in providing comprehensive and informative content.
January 3, 2021
The book is detailed, at times monotonous in driving its point home by reinforcing its arguments with more that necessary examples. Despite this, the book is useful in understanding the contradictions that China is today. The book goes into great length into detailing the emergence of Xi, his tight-rope walk on the interplay of these contradictions and a paradigm shift in Chinese identity & personality in contrast to the times of his predecessors. Irrespective of one's alignment in favour or against the Chinese system, the jury is still out on the success/failure of Xi's approach in sustaining China under its current political framework.
June 30, 2020
This book is all about how CCP had run china in the past. Control the country socially, economically. Dont fall for western influence esp. democracy and individual freedom. Communism is the best thing happened to china and CCP has to do whatever it takes to never let it fall, otherwise china will be next soviet.Xi Jingping is no different but with the new wealth and power he believes its time for China to come out and show its power openly. Otherwise, as the title suggests, it still hard to get inside his mind even after reading this book.
This entire review has been hidden because of spoilers.
July 1, 2020
Reminds me of Mein kampf
If you recollect Mein kampf, you will consciously now the parallel events. An ancient civilization, a battered down past, a race belief to recapture lost glory, and total authoritative individuals who sell dreams.
Problem begins when home grown success is prescribed to world - ignoring rights, cultural diversity & equality.
The book definitely helps to gain insight to mind of Xi Jinping. Read to know how current events will unfold future years. Personally, I feel sorry for the misplaced global dreams.
If you recollect Mein kampf, you will consciously now the parallel events. An ancient civilization, a battered down past, a race belief to recapture lost glory, and total authoritative individuals who sell dreams.
Problem begins when home grown success is prescribed to world - ignoring rights, cultural diversity & equality.
The book definitely helps to gain insight to mind of Xi Jinping. Read to know how current events will unfold future years. Personally, I feel sorry for the misplaced global dreams.
January 22, 2021
The author has swiftly touched upon what goes through the mind of one of the most powerful man of the 21st century Xi Jinping. In doing so he has briefly discussed the working of Chinese Communist Party in general and ambitions of Xi in particular and how he made his way upto the ranks of the party to the top post of the Chairman of CPC. The personality traits of Xi are discussed quiet well by the author and his dream of turning PRC into a superpower by 2050 seems quiet realistic.
July 20, 2019
An excellent account of Xi Jinping's life and career, what drives him and why he is different from his predecessors, including Mao, who he seems to idolize.
The author expertly dissects how Xi has exploited the myth of China's past to create an unashamedly authoritarian vision of the future. Must read for anybody who wants to understand China's rise and its implications for the world order.
The author expertly dissects how Xi has exploited the myth of China's past to create an unashamedly authoritarian vision of the future. Must read for anybody who wants to understand China's rise and its implications for the world order.
August 10, 2019
Dictatorship in China
Interesting to learn a little about Xi Jinping's background. Leaning on the culture side and a bit of the Make China Great again. Interesting quote from Orban in later part of book.
If you believe in democracy and rights of the individual then difficult to reconcile with Xi's perspective.
On balance worth taking the time to read.
Interesting to learn a little about Xi Jinping's background. Leaning on the culture side and a bit of the Make China Great again. Interesting quote from Orban in later part of book.
If you believe in democracy and rights of the individual then difficult to reconcile with Xi's perspective.
On balance worth taking the time to read.
May 16, 2021
A well researched and detailed read into various acpects of Xi Jinping-the person. His philosophies, his political leanings, brand of leadership, his rise in the party and his vision for future. The author dissects the public knowledge, his speeches and other data points to gain insight into the person.
A good read, though slight heavy at times due to language that delves a lot into philosophy since it has to dive into the realm of Conficus, Marx and other thinkers and philosophers.
A good read, though slight heavy at times due to language that delves a lot into philosophy since it has to dive into the realm of Conficus, Marx and other thinkers and philosophers.
August 14, 2023
O Ditador casado com uma estrela de música e de Televisão. Marxista, Capitalista, Maoista, Confucionista, leninista, tudo e mais alguma coisa.
O Líder de estado incontestavel que diz ler muito, gosta de Hemingway, Jack London, Voltaire, Thomas Paine, Tolstoi, Sartre.
O mais intelectual da China, pelo menos aparentemente...
O Líder de estado incontestavel que diz ler muito, gosta de Hemingway, Jack London, Voltaire, Thomas Paine, Tolstoi, Sartre.
O mais intelectual da China, pelo menos aparentemente...
October 16, 2023
François Bougon helps us understand Xi Jinping's personality, his formative years, education and personality. He establishes a connection to the fears and challenges that the Chinese Communist Party faces, and Xi Jinping's approaches and solutions to them, linking his Marxist formation to Chinese philosophical currents.
August 27, 2019
Outstanding book. Offers a clear and insightful view into the leadership of the communist party, but only by analysing what Xi Jinping does, or what he says. An overall very compelling narrative, highly recommended.
January 3, 2020
Good compact book on Xi Jinping and the contemporary Chinese Communist Party.
Draws heavily from Xi's own writings and historical documents to reveal the gaps and overlaps between Xi's rhetoric and actions.
Draws heavily from Xi's own writings and historical documents to reveal the gaps and overlaps between Xi's rhetoric and actions.
January 16, 2020
Fascinating
Fascinating insight into the thinking and motivation of Xi Jinming. Invaluable for anyone who wishes to understand what is driving China’s leader — and what it means for the future of the country he governs.
Fascinating insight into the thinking and motivation of Xi Jinming. Invaluable for anyone who wishes to understand what is driving China’s leader — and what it means for the future of the country he governs.
July 30, 2020
Detailed and Studied Analysis
The Author does his best to penetrate the Mask of One of the Most Powerful World Leader. How far are his efforts on the mark, only time will tell. But he should be commended for an intelligent and praiseworthy effort
The Author does his best to penetrate the Mask of One of the Most Powerful World Leader. How far are his efforts on the mark, only time will tell. But he should be commended for an intelligent and praiseworthy effort
June 1, 2021
A good introduction to the "man of the hour". The book is a little disjointed in places but it's great as a quick read on the topic. Some interesting but also scary stuff currently going on there behind the "Iron Curtain".
January 3, 2019
Not a complete book/biography , but can be a quick read on the mindset of the current leader.
June 18, 2019
Good insight on Xi's placement and schema. Interesting how he uses his personal history - or at least the official version of it - to help drive modern Chinese policy.
August 31, 2020
The brief story behind the man, when the whole world is talking about him. The history, social and cultural influences which had on him and where he is going to take China and the world.
Displaying 1 - 30 of 33 reviews