ইসলামের ইতিহাসে রোমাঞ্চের প্রতিশব্দ 'উমারইবনুল-খাত্তাব। ঠিক যেদিন তরবারি হাতে হত্যা করতে এসেছিলেন নবিজিকে, সেদিনই ইসলাম বরণ করেন এই লৌহমানব। এক লহমায় ঘোরতর এই শত্রু হয়ে ওঠেন ইসলামের অন্যতম শক্তি।
নবিজির হাত ধরে জন্ম নিয়েছিল যে-ইসলামি রাষ্ট্র, আবু বাক্রের হাতে যে-রাষ্ট্র পার করেছে কৈশোর, ‘উমারের সময়ে সেই রাষ্ট্র পরিণত হয় পৃথিবীর প্রধান পরাশক্তিতে।ব্যক্তিত্বের মূর্ছনা আর নেতৃত্বের মুন্সিয়ানায় বিস্তির্ন অঞ্চল জুড়ে সম্প্রসার করেছেন ইসলামি রাষ্ট্রের সীমানা।তার হাতেই গড়ে ওঠে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান,নানা অবকাঠামো । বর্তমান সময়ে উম্মাহর এই টালমাটাল অবস্থায় একে সঠিক পথে টেনে তুলতে প্রয়োজন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব। হয়তো তার এই জীবনীর আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হবে উম্মাহ,বেরিয়ে আসবে তেমনি এক ভবিষ্যৎ নেতা।
বিস্তৃত পরিসরে ইসলামি ইতিহাস সংকলনের জন্য ড.আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বর্তমান সময়ের এক প্রসিদ্ধ নাম।ইতিহাসের পাতাগুলো পাঠকের চোখে জীবন্ত হয়ে উঠছে তার কলমের ছোঁয়ায়।১৯৬৩ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে তার জন্ম। মদীনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলরস করেছেন প্রথম স্থান অধিকার করে। মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেছেন সুদানের উমদুরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে।
Dr. Ali Muhammad as-Sallabi, a prolific writer, is famous for his detailed books of history and biography that bring the past to life for modern readers.
Dr. as-Sallabi was born in Benghazi, Libya in 1383 H/1963 CE, and earned a bachelor’s degree at the Islamic University of Madinah, graduating first in his class. He completed his master’s and doctorate degrees at Omdurman Islamic University in Sudan. He has also studied the entire Qur’an and various Islamic sciences with respected scholars in Madinah and other parts of Saudi Arabia, as well as in Libya and Yemen.
• ولد في مدينة بنغازي بليبيا عام 1383 هـ / 1963 م. • حصل على درجة الإجازة العالمية (الليسانس) من كلية الدعوة وأصول الدين من جامعة المدينة المنورة بتقدير ممتاز وكان الأول على دفعته عام 1413/ 1414 هـ الموافق 1992/ 1993م. • نال درجة الماجستير من جامعة أم درمان الإسلامية كلية أصول الدين قسم التفسير ? وعلوم القرآن عام 1417 هـ / 1996 م. • نال درجة الدكتوراه في الدراسات الإسلامية بمؤلفه فقه التمكين في القرآن الكريم. جامعة أم درمان الإسلامية بالسودان عام 1999 م.
صدرت له عدة كتب من أهمها: • عقيدة المسلمين في صفات رب العالمين. • الوسطية في القرآن الكريم. • السيرة النبوية عرض وقائع وتحليل أحداث ?. • الانشراح ورفع الضيق في سيرة أبي بكر الصديق شخصيته وعصره. • فصل الخطاب في سيرة أمير المؤمنين عمر بن الخطاب. • تيسير الكريم المنان في سيرة عثمان بن عفان. • أسمى المطالب في سيرة أمير المؤمنين علي بن أبي طالب. • سيرة أمير المؤمنين خامس الخلفاء الراشدين «الحسن بن علي بن أبي طالب». • فاتح القسطنطينية السلطان محمد الفاتح.
আমীরুল মুমিনীন উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু, এমন এক নাম যা স্মরণ করলে নিজের মধ্যে এক অন্যকরম শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও শক্তি অনুভব হয়। উনার মহান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে লিখার জন্য না আছে আমার কোনো যোগ্যতা আর না আছে পর্যাপ্ত সাহস। আর তিনি এমন কেউও নন যাঁকে আপনাদের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন আছে।
তাই সরাসরি আলোচনায় চলে আসি উল্লেখ্য বই নিয়ে আমার অনুভূতির ব্যাপারে।বইটির শুরু অন্য যেকোনো জীবনী গ্রন্থের মতোই। উমারের বংশ পরিচয় থেকে শুরু করে উনার শৈশব কাল,কঠোরতার মধ্যে বেড়ে উঠা, জাহিলি জীবনের আচার-স্বভাব, ইসলামের বিরোধিতা, ইসলাম গ্রহণ,চরম আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে ইসলাম পালন,হিজরত, জিহাদ এক কথায় আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরালোক গমন পর্যন্ত সবকিছুই সংক্ষিপ্ত কিন্তু সুন্দরভাবে আলোচনা হয়েছে।
আমার কাছে মনে হয়েছে বইয়ের মূল আলোচ্য বিষয় হলো খলিফা উমার। তাই উনার শাসন আমল শুরু হওয়ার আগের ইতিহাস সংক্ষিপ্ত হওয়াটা যুক্তিযুক্ত। আমার কাছে বিষয়টা ইতিবাচক মনে হয়েছে। আর আমার মতো যারা আগে একটা হলেও সিরাহ পড়েছেন তাদেরও বিষয়টি ভালো লাগবে ইন শা আল্লাহ। বইয়ের শুরুটা অন্যান্য জীবনী গ্রন্থের মতো হলেও সামনের দিকে গিয়ে এক ভিন্ন প্যাটার্ন অনুসরণ করেছেন লেখক। তিনি অধ্যায়গুলো কালানুক্রমিকভাবে না সাজিয়ে বিষয়ভিত্তিক ভাবে সাজিয়েছেন। বিষয়টা প্রথমদিকে একটু বেখাপ্পা মনে হলেও পরে আর এতোটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি।
আল্লাহর রাসূলের ও আবু বকর-এর নেতৃত্বের আমলে তিনি কেমন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাসন আমল নিয়ে আলোচনার পূর্বে উনার তারবিয়াত কিভাবে হয়েছে,কিভাবে তিনি কোরআন ও আল্লাহর রাসূলের সোহবত দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন, কিভাবে দ্বীনের এতো গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন তা নিয়ে অসাধারণ আলোচনা এসেছে।
এ থেকে আমরা সামনের দিকে যখন পড়া চালিয়ে যাই তখন আমারা দেখতে পারি এই তারবিয়াতের বদৌলতে কোন পর্যায়ের ইজতিহাদ ক্ষমতা আল্লাহ উনাকে দিয়েছেন। আল্লাহ কি চান,কুরআন কি বুঝাতে চাচ্ছে,আল্লাহর রাসূল কি বুঝাতে চেয়েছেন এসব বিষয়ে কতো স্পষ্ট ও গভীর উপলব্ধি ছিলো উনার। আর এগুলোই উনাকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সফল একজন শাসক হতে সাহায্য করেছে।
আমার কাছে বইয়ের সবচেয়ে প্রিয় অংশ উমারের শাসন আমল। যে শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিলো তাক্বওয়া ও ইনসাফ। খলিফা উমার পুরো বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন একজন আদর্শ মুসলিম শাসক কেমন হয়। দেখিয়ে দিয়েছেন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে সমাজের রুপ কেমন হয়। কিভাবে একটি রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগ কোরআনের শিক্ষা ও আইন মোতাবেক চললে তা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চুড়ায় পৌঁছে যায়।
নগরায়ণ,শিক্ষাব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা,বিচারব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইত্যাদি রাষ্ট্রের সবকটি বিভাগেই খলিফা উমারের শাসন আমলে ইনসাফের সাথে পরিচালিত হয়েছে এবং যার অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে রাষ্ট্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সবগুলো বিভাগের উন্নয়নে কিভাবে উমারের বিচক্ষণ ও দূরদর্শিতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত সমূহের সরাসরি প্রভাব ছিলো তা সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। এই অধ্যায়গুলো এক কথায় অসাধারণ।
রাতের টহল নিয়েও একটি অধ্যায় আছে। যেখানে লোকজনের প্রকৃত অবস্থা অবলোকন করার উদ্দেশ্যে খলিফা রাতে ঘুরে বেড়াতেন। এই অধ্যায়ে সেই টহল গুলোর কিছু বিষ্ময়কর ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে কেমন ছিলেন তা নিয়েও একটি অধ্যায় আছে। যেখানে খলিফা কোনো ব্যাপারে সাধারণ জনগনের তুলনায় নিজের ও নিজের পরিবারের উপর কতটা কঠোর ছিলেন এ নিয়ে কিছু উদাহরণ পেশ করা হয়েছে।
খলিফা উমারের শাসন ব্যবস্থায় জনগনের প্রাপ্য অধিকার দেয়া,কল্যাণ সাধন ও স্বার্থরক্ষা মুখ্য বিষয় ছিলো।এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্তের বেলায় তিনি বিজ্ঞ সাহাবায়ে কেরাম ও জ্ঞানী-গুণীদের পরামর্শ নিতেন। মতপ্রকাশে ছিলো ব্যাপক স্বাধীনতা। পরামর্শের মাধ্যমে যদি নিজের নেয়া সিদ্ধান্ত থেকে অন্যটা উত্তম দেখতেন তবে উত্তমটাই গ্রহণ করতেন এবং সর্বাগ্রে নিজের ভুল স্বীকার করে নিতেন।
সামারিক বাহিনী সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করা, সীমান্ত রক্ষা এসব ব্যাপারে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। সামরিক বাহিনীর উন্নয়নে বাইতুল মালের একটি বড় অংশ ব্যয় করতেন। তিনি নির্বাহী বিভাগ থেকে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। যা ঐসময় কল্পনাতিত একটি বিষয় ছিল এমনকি আজ থেকে দেড়শ দু'শ বছর আগেও। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এতোটাই কার্যকরী ছিলো যে,স্বয়ং খলিফাকেও ঘটনাক্রমে বিচারকের সামনে একজন সাধারণ মুসলমানের মতো দাঁড়াতে হয়েছে।
যে কেউ সমাজ ও রাষ্ট্রে, প্রতিষ্ঠিত ইসলামের রুপ দেখতে চায় তার এই বই পড়া উচিত। যে কেউ ইসলামকে বিজয়ী অবস্থায় কেমন দেখায় তা দেখতে চায় তার এই বই পড়া উচিত। এটি শুধু ইতিহাসের বই নয় এ বইয়ে শরীয়াত সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবো আমরা। ইসলামি জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা লাভ করতে পারবো ইন শা আল্লাহ । এ জন্যে লেখকের বিশেষ প্রশংসা করতেই হয়।
সর্বোপরি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যারা কাজ করছেন তাদেরও এই বই পড়া উচিত। যাতে তারা কিসের জন্য এই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা অর্জন করতে পারেন আর কাজ চালিয়ে যান আরো অধিক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে।
বইয়ের প্রচ্ছদ, ফন্ট, পেইজ সেট আপ সবকিছুই উচ্চমানের। অনুবাদের মানও খুবই ভালো। তবে টাইপিং মিস্টেক রয়েছে অনেক জায়গায় যা যদিও মেজর কিছু না। তবুও আশা করি দ্বিতীয় সংস্করণে সেগুলো শুধরে নিবেন। দোয়া রইলো সংস্লিষ্ট সবার জন্য আর জাযাকাল্লাহ খাইর এতো সুন্দর ও মূল্যবান একটি বই উপহার দেয়ার জন্যে। যার বদৌলতে আজ আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাবের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পেলো আরো কয়েকগুণ। রাদিয়াল্লাহু আনহু। সকল প্রশংসা এই বিশ্বজাহানের একক স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহর।
বিঃদ্রঃ আমি আসলে প্রথমে মাকতাবাতুল ফুরকানের অনুবাদটি দিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম পড়েও ফেলি প্রায় দু,শ পৃষ্ঠার মতন। কিন্তু ঐ বইটির অনুবাদ,বানান,বাক্য গঠনের মান চরম হতাশাজনক ছিলো। অন্তন এক জায়গায় তো অনুবাদে পুরো অর্থই পরিবর্তন হয়ে গেছে। এসব কারণে আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফুরকানের দ্বিতীয় খন্ডটিও আমার কাছে আছে সেটা অবশ্য উলটপালট করে দেখে ভালোই মনে হয়েছে। আর অনুবাদও করেছেন শায়েখ আদম আলি নিজেই। বাকিটা আল্লাহু আ'লাম। সিয়ানের বইটি আমি আগের যতটুকু পড়া এর পর থেকে শুরু করি।
This is an evergreen biography, powerfully written, genius in presentation & a meticulous compilation of historical facts from a time where detail history & authenticity was becoming a science.
Highest esteem & respects to the writer. May God bless you & your work to eternity.
Let me start off by saying this book is a collection of Hadith’s in more or less chronological order that mention Umar Ibn Al-Khattab. There is a lot of information on here, and for that reason this book is not exactly a page turner. It reads a like a textbook. Secondly, after some hadith’s the author offers his insight and what we should take away from them. But some hadith’s he doesn’t, leaving the reader very confused. For example, the one where Sabeegh Ibn Aseel goes to Umar for insight. Umar asks him if he is either Jewish or Christian, than starts to whip him. Afterwords he sends him back to his people where he is tormented and ridiculed until he dies. What? I searched his name on google for further insight but he isn’t mentioned anywhere except for in this book. Another thing that caught me off guard; When the author was voicing Umar’s views on marrying women from other faiths. The author quotes the Qur’an (2:221) and offers his translation - That Allah forbid marriage to Mushrik women, and that marrying a slave women “even if she is black and poor” is better. The actual translation of this Ayat does not include mention the skin color of the slave. Is this a fault of the author or the English Translator, I don’t know.
Pros; - Every bit of information you could possibly want on Umar Ibn Al-Khattab is mentioned - The author cites every Hadith - After some Hadith’s, the author offers translation and insight which is helpful - The author cites multiple versions of each Hadith - More or less in chronological order
Cons; - The book can be very boring at times - Some Hadith’s are confusing - Some error in translations as mentioned above - Some Hadith’s are repeated - Need to be familiar with Islamic history to grasp what’s happening at times
প্রতি পেজে কমপক্ষে এভারেজে ২ লাইন কোথাও কোথাও ৩/৪ লাইনো এড করা যেত। এতে ১৫/২০ পেজের মত কম লাগত। ফন্ট সাইজ আর এক কমালেতো ১০০ পেজেই কমে যেত। শুধু এরা না আজকাল বেশ কিছু ইসলামিক প্রকাশনী এগুলা করতেছে। ক্যান করে তারা আর আল্লাহই ভালো জানে।
রাসুল(সঃ) ও আবু বকর(র) এর পর যে ব্যক্তিটি ছিলেন ইসলামের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি তিনি হলেন উমর ইবনুল খাত্তাব(র)। যে ইসলামে প্রবেশের আগে ছিলেন ইসলাম গ্রহণকারীদের জন্য ত্রাস। বলা হয়ে থাকে তখনকার মুসলিমদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার করেছিলেন তিনি। কঠোরতায় তার ছিলো আরবজুড়ে নাম।
সেই উমর একসময় ইসলাম গ্রহণ করলো এমনকি পরবর্তীতে নেতৃত্ব দিয়েছিলো মুসলিম বিশ্বের। সে হয়েছিলো আমাদের শাসক। এমন শাসক যে ভৃত্যকে সওয়ারিতে বসিয়ে নিজে হেটেছেন খালি পায়ে। তিনি ছিলেন একজন বিজেতা অর্ধপৃথিবী যিনি ন্যায়ের সাথে শাসন করেছিলেন। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে শাসক জীবনে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শাসন পদ্ধতির পাশাপাশি চারিত্রিক উৎকর্ষতা, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন, জ্ঞান ও জ্ঞানীদের কদর এবং শিক্ষা প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবন ও সসম্প্রসারণে তার ভূমিকা ছিলো অতুলনীয়। নবী(স) এর পর মানুষের জন্য কান্না করা দ্বিতীয় ব্যক্তি হলে উমর(র)। তিনি মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে অনেককেই বেত দিয়ে আঘাত করতেন। পরবর্তীতে তার ভুল বুঝার সাথে সাথে প্রহারকৃত ব্যক্তি বেতটি দিয়ে তাকে আঘাত করতে বলতেন৷ এবং আল্লাহর দরবারে কেঁদে ক্ষমা চাইতেন।
প্রথম খন্ডে ব্যক্তি উমরের যাবতীয় গুন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় তার গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়। দ্বিতীয় খন্ডে বেশির ভাগই তার সময়ে হওয়া যুদ্ধের বর্ণনা দেয়া হয়েছে
বইটি না পড়লেও একজন মুসলিম হিসেবে হযরত উমরের জীবনী পাঠ করা আবশ্যক বলে মনে করি। মুসলিম না হলেও পড়ে দেখতে পারেন তাতে বর্তমান মুসলিমদের দিয়ে অন্তত ইসলামকে পরিমাপ করবেন না৷ ☺
Great Refefrence book for seraah of the sahaba, Dr. Ali Muhammad as sallabi really done a great job in compeling many scripture regarding one sahaba in one books. he also make it incredibly organized, make us easy to understand the context of the story. Very Recomended Books.