মেয়েটা কেঁদেই চলেছে। আমি কখনোই মানুষের কান্না সহ্য করতে পারি না। আর আল্লাহ আমার কাছেই সবাইকে কাঁদতে পাঠায়! কী করবো আমি? কী বলে সান্তনা দেবো? কিছু ভেবে না পেয়ে বললাম, "আচ্ছা আচ্ছা.. এখন এসব বাদ দাও, ঘুমাও।"
আমি লাইট অফ করে শুয়ে পড়লাম। ও একই ভাবে কাঁদতে থাকলো। অদ্ভুত তো! এই মেয়ে কান্না থামায় না কেন? কী হবে কী না হবে তা না ভেবে আমি ওর হাতটা ধরে ওকে কাছে টেনে এনে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। কিছু বললাম না। শুধু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম অনেকক্ষণ ধরে। এটুকু আমি করলাম শুধুমাত্র একজন মানুষ হিসেবে। ও আমাকে ধরলো না। কেমন জড়োসড়ো হয়ে রইলো। একসময় ওর কান্নাটা থেমে গেলো। পুরুষ মানুষকে আল্লাহ দুটো ক্ষমতা অনেক বেশী করে দিয়েছেন। এক নারীকে কাঁদানোর ক্ষমতা আর দুই নারীর কান্না থামানোর ক্ষমতা!
লেখিকা উল্লেখ করেছিলেন এই বইটি তিনি বহু আগে শখ করে তার ডায়েরিতে প্রথম লিখেছিলেন। লেখাটা আসলে ডায়েরিতেই থাকা দরকার ছিলো, বের করে পাবলিশ করা নয়। এইসব উইপোকাদের আহারযোগ্য উপাদান।
আমার পড়া এই বছরের সবচেয়ে ফালতু বই। লেখিকা গদ্য আকারে হিন্দি সিরিয়ালের উদ্ভট পর্ব লিখেছেন। সাথে ছিল এক মুঠো ন্যাকামি আর দুমুঠো আদিখ্যেতা। সাধারণ একটা গল্প লিখলেও বেশ হতো। তবে লেখিকা বলিউড সিনেমা আর সিরিয়ালের জগাখিচুড়ি বানিয়ে ঝামেলা পাকিয়েছেন। বইয়ের একমাত্র ভালো দিক এর লেখনী। মাঝখানে বইটা ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করলেও লেখনীর জন্যই শেষ পর্যন্ত পড়া গেছে। মারাত্মক দুর্বল কাহিনি এবং অবাস্তব সব ঘটনা বইটার সাড়ে সর্বনাশ করেছে। আর লেখিকার উপন্যাসের টাইমলাইনটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল- নব্বইয়ের দশকে টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু হয়নি।
অভিমানিনী ২০১৯ বইমেলার বেস্টসেলার বইগুলোর মধ্যে একটি। "অভিমানিনী" মৌরি মরিয়ম এর প্রকাশিত ২য় বই। লেখিকার প্রথম বই "প্রেমাতাল" ও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
গুডরিডস রেটিং, চলমান হাইপ, জনপ্রিয়তা - সবকিছু মিলিয়ে "অভিমানিনী" পড়ার সিদ্ধান্ত নিই। তবে পড়ার পর একেবারেই হতাশ হয়েছি।
গল্পটি লেখিকার স্কুল লাইফে, টিনএজ বয়সে লিখা। তাই লেখার মধ্যে আবেগের ছড়াছড়ি অনেক বেশি। এতোটাই যে, আমি নিজে এখনো টিনেজার হয়েও অতিমাত্রার আবেগে বিরক্ত হয়েছি।
গল্পের প্লট বেশ ভালো হলেও নাটকীয়তা ছিল অনেক অনেক বেশি। বাস্তবিকতারও খুব কাছ দিয়ে গল্প গিয়েছে এমনও না। তবে গল্পের মেসেজটা ভালো ছিল।
লেখকের লেখার হাত এখনো পোক্ত হয়ে উঠে নি, তা ধারণা করা যায়। সদ্য প্রেমে পড়া অথবা সদ্য টিনেজে পা রাখা কিশোরী ব্যতীত অন্য কারো জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে বইটি সাজেস্ট করবো না।
এইটা বিরাট রকমের অখ্যাদ্য। মানে এই যুগে এসে শাবানা মার্কা ক্যারেক্টারকে কেন গ্লোরিফাই করেন একজন লেখক? গল্পের দুই বধূ এক স্বামী। দুই বধূ তো বধূ নয়, স্টার জলসার নায়িকা। এতো ন্যাকামি সহ্য করা যায়না। চরম মিসোজিনিস্ট একটা গল্প। নায়ক স্টার প্লাসের সেই গোপি বহুর হাজব্যান্ড এহেমের মত ডাম্ব। আর নায়িকা দুইটাই গোপি বহুর থেকেও কয়েক কাঠি সরেস। সাহিত্য মনে সুখের অনুভূতি জাগায়। এটা ভয়াবহ বিরক্তি জাগিয়েছে। এর সাথে প্রেমাতাল তুলনা করলে মাস্টারপিস জাতীয় মনে হয়। অ্যাট লিস্ট এর থেকে কম সিরিয়ালীয় ন্যাকামি আর মিসোজিনি অনেক কম ছিল।
এই বইয়ে বাস্তবতা আর অবাস্তবতার ছাড়াছড়ি।কিছু জায়গায় মনে হবে যে আরে এটা তো অহরহ হয় আর কিছু জায়গায় মনে হবে কিরে ভাই ইন্ডিয়ান সিরিয়াল কেনো।মিশ্র অনুভূতি পুরাই।তাও যখন পড়েছি তখন মুটামুটি লেগেছে।
লেখিকার অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইটির লেখনী কাঁচা লেগেছে। কৈশোরে লেখা হয়েছে তাই হয়তো। প্লট খারাপ ছিল না তবে ডায়েরিতে এভাবে কেউ ডায়লগ সহ কাহিনি লেখে জানা ছিল না আমার।
According to goodreads 1 star means I did not liked it. The writer has done marvelous job designing the love triangle between the three main characters, considering that the story was written during her adolescence. Her writing style is also "smart" - building small sentences and easy to read. However, except these pros the whole plot was trash. One of my teacher always told about his approaches for CR that they are laid on faulty reasonings, you break the foundation, you break the argument. Similarly, in this book there are several logical fallacies, for which the whole story turned into garbage.
And many other readers already noted the blatant incongruity of T20 during the 90s.
In conclusion, Ovimanini (The Sensitive Girl) is not worth the time to learn something. Rather if you are suffering from readers blog, or are in a hurry or are travelling and finding something easy to pass the moment, then it is ideal to have it in your reading list.
বইটি পড়ে ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণ কাহিনিটা অসম্ভব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আমরা যারা জীবনে ভালোবাসার জন্য নিজেকে উজার করে দিতে পারি তাদের গল্প। যারা ভেঙে গিয়েও আবারও ভালোবাসতে শিখে তাদের গল্প। যারা সব কষ্ট সহ্য করে ধৈর্যের সাথে ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকে তাদের গল্প।
শুরুর দিকে ভালই ছিল। মাঝের দিকে এসে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। Star জলসা ও fail 🤦🏻♀️ মানসী সাবানাকেও ছাড়িয়ে দিসে। কোনো আসল বাবা মা কি এমন plan করে নাকি! লেখনী ভালো ছিল বলে পড়ে ফেললাম কিন্তু এই ড্রামা গুলো অবাস্তবিক। Main কথা মৌরি আপু নায়ক চরিত্র গুলো খুব সুন্দর লিখেন , ফানুস বাদে। কেউ বলবেন এখানে অভিমাণিনী বলতে কাকে বা কি বুঝিয়েছে!