হিমযুগ ফিরে আসছে আবার। তুষার জমছে মানুষের মনে। কলকাতা থেকে পাহাড়ে চাকরি নিয়ে যাওয়া রুক্মরথ দেখে এমনই এক হিমযুগ যেন নেমেছে নামকরা লেখক মেঘাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে, সংসারে। তাঁর স্ত্রী জয়া যেন এখানে থেকেও নেই। বড়দাদা হিমাদ্রি মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রথম পক্ষের মেয়ে কুটু সারাক্ষণ এক অব্যক্ত রাগে আর ঘৃণায় নিজে যেমন ছিন্নভিন্ন হয় তেমন ছিন্নভিন্ন করে দিতে চায় আশেপাশের সবাইকে। মাঝে এসে পড়ে সুদর্শন কলেজের প্রফেসর সুনাভ৷ মেঘাদ্রির গুণগ্রাহী এই যুবকটি ক্রমশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে জয়ীর প্রতি। আর এইসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছোট ঘাসফুলের মতো বেঁচে থাকে হিমাদ্রির একমাত্র মেয়ে বাসু। অসুস্থ মেঘাদ্রি বোঝেন ভালবাসার জয়ী ক্রমে শত্রু হয়ে উঠছে। বুঝতে পারেন মেয়েও সরে যাচ্ছে দূরে। আর এইসব ভাঙনের মধ্যে প্রতীকের মতো দাঁড়িয়ে থাকে কবেকার এক ভিন্টেজ গাড়ি। ছোট্ট একটা পাহাড়ি শহরের ঘৃণা, দ্বেষ, বিশ্বাসঘাতকতার বরফশীতল কাঠিন্যের গল্প যেন এই সময়ের মানুষজনের গল্পের প্রতীক হয়ে ওঠে। তবু এর মধ্যে থেকেও উত্তরণের একমাত্র উপায় যে ভালবাসা, বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস সে কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দেয় ‘হিমযুগ’ উপন্যাস।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
ছোট্ট একটা পাহাড়ি শহরের ঘৃণা, দ্বেষ, বিশ্বাসঘাতকতার বরফশীতল কাঠিন্যের গল্প যেন এই সময়ের মানুষজনের গল্পের প্রতীক হয়ে ওঠে । তবু এর মধ্যে থেকেও উত্তরণের একমাত্র উপায় যে ভালোবাসা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব , সেই কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দেয় এই উপন্যাস । এই সবকিছুর মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে একটা ভিন্টেজ গাড়ী ।
এই উপন্যাসের মায়াবী বরফ, ঢেউয়ের মতো সাজানো গাছ, পাহাড়, রোদ আর অন্ধকার এমন কিছু গল্প বলে... যা ‘স্মরণজিৎ-প্রেমী’দের অনেকদিন পযর্ন্ত মনে গাঁথা থাকবে ।
মানুষের জীবন, মন সর্বক্ষণ পরিবর্তনশীল। কখন কি ঘটবে কেও জানেনা। সেটারই উদাহরণ আছে এই বইতে।
আপনার ব্রেকআপ হয়েছে, ভেবেছেন আর কখনো কারোর প্রেমে পড়বেন না। কিভাবে কখন আবার একটা নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে যাবেন, কিংবা আপনার অতীত খুবই ভয়ঙ্কর, যা আপনি ভুলতে পারছেন না, সব কিছু ভুলে কখন যে নতুন করে আবার জীবন শুরু করতে ইচ্ছা হবে ধরতে পারবেন না 🌝।
❄️উপন্যাসটিতে দেখা যায় একজন নামকরা লেখক মেঘাদ্রি চট্টোপাধ্যায় কলকাতা ছেড়ে পাহাড়ে নিরিবিলি যায়গাতে গিয়ে বসবাস করছেন। তার সাথে আছে আগের পক্ষের মেয়ে কুটু, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী জয়া। আর মানসিক ভাবে অসুস্থ বড়ো দাদা হিমাদ্রি চট্টোপাধ্যায় আর দাদার মেয়ে বাসু।
একদিন রুকু নামের একটি ছেলে মেঘাদ্রির এসিস্টেন্ট হিসাবে যোগ দেয়। এর পরেই সে পরিচিত হতে থাকে এই পরিবারের সবার সাথে, জানতে পারে এই পরিবারের অতীত।
তার নিজের অতীত ও কম কিসে, সে অতীতে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল,
⛄সেটা কি রাখতে পারবে?
আবার মেঘাদ্রির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সাথে তার আরেক গুনগ্রাহী যুবক প্রেমে পড়ে।
⛄কত দূর এগোবে এই সম্পর্ক? ⛄মেঘাদ্রি কি জানতে পারবে এই সম্পর্কের কথা?
কুটু সব সময়ে রুকু কে অপমান আর কুৎসিত ভাষায় গালাগালি দিতে থাকে, বাবা মা সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। বার বার আত্মহত্যা করতে যায়
⛄কেন করে সে এসব?
সব শেষে একটা টুইস্ট আছে, দোষীরা শাস্তি পেয়েছে, আর একটা সুন্দর সম্পর্কের স্থাপন হয়েছে ❤
🏔️বইটাতে পাহাড়ের যে সুন্দর বর্ণনা তা পড়ার সময়ে দারুন উপভোগ করেছি, যখন পাহাড়ে গেছিলাম, বইটা পড়ার সময়ে বার বার সেই কথা মনে হচ্ছিলো।
🏔️প্রতিটা চরিত্রকে খুব ভালো ভাবে নির্মাণ করেছেন। এক একটা চরিত্রকে ধরে, তার গভীরে গিয়ে পাঠক কে দেখিয়েছেন।
🏔️কুটু র চরিত্রের অন্ধকার দিকটাই বেশি দেখিয়েছেন, আর সেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফেরার এন্ডিংটা খুব ভালো লেগেছে।
❤️আমি স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর লেখা আগে কোনো বই পড়িনি, অনেক ভালো- খারাপ সবই শুনেছি। বইটা পড়ে আমার বেশ ভালো লেগেছে❤️। তবে ভালোবাসার থেকে এখানে আমার মনে হয়েছে যৌনতার দিকটা বেশি আছে।
এই ধরনের আরও রিভিউ পেতে এবং নিত্য নতুন বই সম্পর্কিত তথ্য পেতে like, follow..করে সাপোর্ট করতে পারেন আমার ফেসবুক পেজ Books With Amir কে❤️। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং অতি অবশ্যই সাহিত্যে থাকুন ❤। ধন্যবাদ🙏
"জীবনের গলিগুলো সব সরু শিরা উপশিরার মতো। তাও ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে আশেপাশের বাড়ির চাপে। জালের মতো শিকড় জড়িয়ে ধরছে।"
আজকাল মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক গুলোয় যেন কোনো উষ্ণতা নেই, নেই একে অপরকে বোঝার তাগিদ, মানুষ অন্যের কথা শোনে উত্তর দেওয়ার জন্য, তাকে বোঝার জন্য নয়। ভূগোলের নিরিখে পৃথিবীতে হয়তো এখনও হিমযুগ আসেনি, তবে তা এসে গেছে মানুষের মনে, সম্পর্কে, জীবনে।
রুকু কলকাতা ছেড়ে চলে এসেছে ছোট্ট পাহাড়ি শহর বার্চ এন্ডে। ঝিলামের ঘটনাটার পর আর মামা মামীর শীতল ব্যবহারে কলকাতায় তার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বিখ্যাত লেখক মেঘাদ্রি বাবুর অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পাহাড়ের কোলে দিন কাটছে তাঁর। পরিচয় হয় কুটু, বাসু, হিমাদ্রি ও অন্যান্য কিছু মানুষের সাথে। এদের সবার জীবনেই নিজেদের গল্প আছে। এসব ওঠা পড়া নিয়েই এগিয়ে চলে উপন্যাস আর মানুষের জীবন।
এই উপন্যাসে আমার লেখক মেঘাদ্রি বাবুর চরিত্রটিকে আত্মকেন্দ্রিক ও বিরক্তিকর মনে হয়েছে। আর মনে হয়েছে বাস্তবের পৃথিবীতেও সব কুটুর জীবনে যেন একজন রুকু আসে। খুব ভালো লেগেছে আমার এই উপন্যাসটি। প্রেম ও সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে উপন্যাস পড়তে চাইলে পড়ে দেখতেই পারেন এই বইটা।
"সব উষ্ণতা হারিয়ে যাচ্ছে জয়ী। সবাই বরফের হয়ে যাচ্ছে। দেখো, প্রকৃতিতে এখনও না এলেও, মানুষের মধ্যে কিন্তু চলে এসেছে হিমযুগ।"
"Himjug" (The Ice Age) is such a fitting title for this book because it shows how cold and distant people's feelings can become, even inside a family.
The story drops us into a small hill town to witness the chaotic home life of renowned writer Meghadri Chatterjee. The whole family is a mess: his wife, Jaya, seems completely checked out; his daughter, Kutu, is constantly dealing with painful anger; and everything gets more tense when a good-looking professor named Sunav takes an interest in Jaya. We see all of this through the eyes of Ruku, an outsider who arrives in the town.
Smaranjit Chakraborty uses all the fighting, jealousy, and broken trust in this little mountain setting to reflect how icy and untrusting many relationships feel in our modern world.
It's a tough, raw look at human emotions, but I love the final takeaway. It tells you that even when things feel completely frozen, the only way to thaw that "ice" is to choose love, friendship, and belief in others. A powerful reminder that warmth is always possible; you just have to keep searching for it.
The sequencing and connecting tge past throughiut the story it just perfect. The modern development of relationships is pictured nicely. Overall a good read.