ফিরে দেখা শহর কলকাতায় সাড়া জাগানাে এগারোটি মামলাকে, ফিরে দেখা প্রতিটি ঘটনার রহস্যভেদের রুদ্ধশ্বাস চড়াই-উতরাই। কল্পনার গোয়েন্দাকাহিনির তদন্ত যদি হয় সবুজে সবুজ ইডেন গার্ডেন্স, তুলনায় বাস্তবের গােয়েন্দার চারণভূমি হল পাড়ার ছিরিছাদহীন মাঠ। রুক্ষ, রােম্যান্সধর্জিত। সেই রুক্ষ জমিতে সত্যানুসন্ধানের ফসল ফলানাের নেপথ্যকথা ধরা রয়েছে এই বইয়ে, অভিজ্ঞ আই পি এস অফিসার সুপ্রতিম সরকারের টানটান লিখনশৈলীতে। ১৯৪৮ থেকে ২০১০-এর বিস্তৃত সময়সীমা লেখক বেছে নিয়েছেন বাস্তবের সেই কাহিনীগুলিই, যার প্রতিটি আনাচেকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ফেলু-ব্যোমকেশের প্রাণান্ত পরিশ্রম, অনন্ত ধৈর্য, অপরাধ-মনস্তত্ত্বের নিপুণ কাটাছেঁড়া এবং মগজাস্ত্রের ম্যাজিক। কেন লালবাজারকে “স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড' বলা হয়, তার নমুনা যেমন ধরা রয়েছে এ বইয়ের পাতায় পাশাপাশি স্টোনম্যান-বৃত্তান্তে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ইতিহাসে বিরল ব্যর্থতার খতিয়ানও। তিন দশক আগের স্টোনম্যান মামলা কৌতুহলের নিরিখে আজও জনমানসে অবিসংবাদিত শীর্ষ বাছাই। প্রামাণ্য বিবরণে সেই কৌতুহল নিরসন ঘটিয়েছেন লেখক। 'গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার’-এর প্রথম খণ্ড বাংলা অপরাধ-সাহিত্যের সূচনা করেছিল নতুন ধারার। সেই ধারাই অনায়াস সাবলীলতায় বহমান দ্বিতীয়তে।
সুপ্রতিম সরকারের জন্ম কলকাতায়, ৩০ মে ১৯৭১। আশৈশব কৃতী ছাত্র। ছাত্রজীবন কেটেছে সেন্ট লরেন্স হাই স্কুলে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণির স্নাতক। আনন্দবাজার পত্রিকায় স্বল্প দিনের সাংবাদিকতার পর ১৯৯৭ সালে যোগ দেন ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে। কর্মজীবনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং কলকাতায় নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে কলকাতা পুলিশে অতিরিক্ত কমিশনার পদে কর্মরত। কর্মক্ষেত্রে প্রশংসনীয় দক্ষতার জন্য ২০১৫-য় সম্মানিত হয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত ‘ইন্ডিয়ান পুলিশ মেডেল’-এ, ২০১৭-য় ভূষিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্ত বিশেষ সম্মানপদকে।পেশায় আই পি এস অফিসার, নেশায় আপাদমস্তক ক্রিকেটানুরাগী। লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই ‘গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার’।
১৯৮৯ থেকে '৯০ সাল একে একে বারোটি খুন। সবগুলো একই প্যাটার্নে। ভারি পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ভিকটিম সবাই নিরীহ। রাতের কলকাতায় পথে-ঘাটে ঘুমান৷ খুনিকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। পাগল হওয়ার জোগাড়। একনাগাড়ে হত্যার পর কলকাতার একটি ইংরেজি দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করলো,
' The Stoneman strikes again '
তখন থেকেই এই খুনি স্টোনম্যান নামে পরিচিত। সর্বশক্তি প্রয়োগ করলো কলকাতা পুলিশ। তদন্তে কী পেলো পুলিশ তা পড়ে নেবেন।
পরপর ছয়টি ব্যাংকে ডাকাতি। রাতে নয়, প্রকাশ্য দিবালোকে। গোয়েন্দা পুলিশ আদা-জল খেয়ে নেমে গেল তদন্তে। কোনো সূত্র নেই। তাহলে কীভাবে খুঁজে পাবে ডাকাতদের?
ফ্ল্যাটবাড়িতে একাই থাকতেন পঞ্চাশোর্ধ আইনজীবী। পরিবারের সাথে সংযোগ নেই। নৃশংসভাবে খুন হলেন। চারদিন পর মৃতদেহ যখন আবিষ্কার হলো, তখন দেহে পচন ধরেছে। খুন করেছে অথচ কোনোকিছু নেয়নি। তাহলে এই হত্যার মোটিভ কী?
এটিএম কার্ডের জালিয়াতির খেসারত দিতে হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংককে। ইতোমধ্যে বিশ লাখ টাকার কার্ড জালিয়াতি হয়েছে। পুরো ব্যাংকিং সেক্টরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এমন অপরাধের সাথে একেবারেই অপরিচিত লালবাজার। কেমন করে এই অপরাধের মোকাবেলা করবে লালবাজার?
স্ত্রীসহ পাঁচকন্যাকে হত্যা। স্বামী কোথায়?
'গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার -১'-এর সাথে দ্বিতীয় খণ্ডের তুলনা দিলে প্রথম খণ্ডকেই এগিয়ে রাখব। কাহিনি বাছাই প্রথম খণ্ডে অতুলনীয়। সেই বিবেচনায় দ্বিতীয় খণ্ড কিছুটা অনুজ্জ্বল। একই ধাঁচের কয়েকটি ঘটনা রয়েছে এবং দু'একটি ঘটনা ঠিক স্থান পাওয়ার মতো নয়। তবু বলব, সত্যিকারের অপরাধীগণ, গল্প-উপন্যাসের খুনিদের চাইতে শতগুণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। ব্যোমকেশ কিংবা ফেলুদাদের চাইতে বাস্তবের গোয়েন্দারা কম অযোগ্য নন। বরং কিছুক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রগামী।
বরাবরের মতোই ভালো একটা বই, যদিও প্রথম খন্ডের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ লেগেছে। রেটিং ৩.৫★ হবে আসলে। কয়েকটা কেসের সমাধার বেশ ভালো লেগেছে। লেখকের লেখার হাত বেশ ভালো, বাস্তব কেসগুলোকে গল্প আকারে লেখা খুব সহজ কাজ নয়। লেখক এইদিকে সফল। ব্যাক্তিগত মতামত ২/৩টা কেস সিলেকশন এ আরেকটু আলাদা কেস নিলে বেশি ভালো লাগত কারন কয়েকটা কেসের প্যাটার্ন একই লেগেছে, সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য বই ছিল।
প্রথম পর্বের মতোই সুলিখিত একটা বই। এসব বই না পড়লে বিশ্বাসই করা যায় না একটা ক্রাইমের পিছনে লুকিয়ে থাকে মানুষের মনের কতই না বিচিত্র চাহিদা, কত বিচিত্র রিপু! সেইসাথে অপরাধীকে ধরতে পুলিশদের প্রাণান্ত পরিশ্রম আর মাথা খাটানোর কাহিনীগুলোও অবিশ্বাস্য। এককথায় দারুন, লা জবাব বই।
I suspect the Bengali version packs a greater punch, but this translated work is endlessly fascinating--though in a macabre way. All the cases, except the last one, deal with murder and each reveals the extent to which men and women can go to satisfy greed or bloodlust.
I would not recommend reading this book at night (as I did) because it tends to make you paranoid.
The author narrates the cases in an interesting mixed manner. He gives us a third-person account of the events and throws in relevant information on criminology, interrogation methods, theory vs. practical experience of catching criminals, and so on.
Frequently, he draws a comparison between fact and fiction (movies, novels) and explains how sometimes fact is indeed stranger than fiction. Startling coincidences do occur. But, for the most part, the work of a detective is not as exciting or smooth as we read in Feluda or Byomkesh Bakshi novels. Some cases, like the Stoneman murders, are never solved.
Also, the pressure created by the media on the police and the detectives to solve cases as quickly as possible is an aspect I hadn't thought about. Constant comparisons to Scotland Yard are brought out to ridicule the police on their supposed inefficiency and ineptitude.
I am not familiar with any of the cases except for the last one, which occurred in 2010. Many cases happened before mobile phones became popular in India. The author explains the painstaking method in which detectives verified alibis before mobile tower locations could be used to determine one's location.
The 2010 case was about credit card skimming. At the time this theft occurred, cybercrime was an emerging area of crime and the police had no idea how to go about it. I was able to appreciate the immense effort and patience it takes to catch clever criminals, especially when the crime is digital.
And lastly, I learned how despite having enough evidence, criminals may walk free if there are loopholes in the chargesheet. In honoring the tenet of "innocent until proven guilty," sometimes the guilty escape due to lack of legally admissible evidence or even biased judges.
It's not a fair world and I have developed a fresh appreciation for the work that the police have to do.
প্রথম বইটির মতোই এই বইটিতেও উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের বেশ সাড়া জাগানো, রোমহর্ষক এগারোটি মামলা, যার মধ্যে একটি হল বহু আলোচিত স্টোনম্যান মামলা। প্রথমটি বাদ দিলে বাকি প্রতিটা মামলাই খুব বেশি পুরনো নয়। এ বইয়ের তদন্তগুলিতে তাই উল্লেখযোগ্যভাবে চোখে পড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার, সাথে সাথে অপরাধের ধরণ পদ্ধতিও বদলেছে। তাতেও তদন্তকারী অফিসারদের কৃতিত্ব কোনও অংশে কমে না। বাস্তবের গোয়েন্দাদের রসকষহীন তদন্ত, অপরাধীকে ধরা এবং তার শাস্তি সুনিশ্চিত করতে তাঁদের কঠোর পরিশ্রম উঠে এসেছে বইটিতে। সাথে সাথে কলকাতা পুলিশের বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অপরাধীকে ধরতে ব্যর্থ হওয়ার বিবরণ ধরা হয়ে থাকে স্টোনম্যান মামলায়। পড়তে পড়তেই ঘটনাগুলি যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কত নানান রকম কারণে একজন মানুষ আর একজন মানুষকে খুন করতে পারে তা পড়ে সত্যিই অবাক হতে হয়। আমাদের আশেপাশের আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক হাজার হাজার মানুষের মধ্যেই হয়তো ঘুরে বেড়াচ্ছে কত রকমের অপরাধী বা ভবিষ্যতের অপরাধী, একথাটা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে, অথচ এটাই বাস্তব।
সুপ্রতিমবাবুর লেখার প্রশংসা অবশ্যই আলাদা করে করতে হয়। শুধুমাত্র ঘটনার বিবরণী দিলেই হয়না, তাকে সুখপাঠ্য করে তোলা, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠকের কৌতূহল ধরে রাখা, এর জন্যে লেখকের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। প্রথম বইটির পরও যে উনি দ্বিতীয় বইটিকে এতটা উপভোগ্য করে তুলেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুপ্রতিমবাবুকে।
স্টোন ম্যান মামলা ও আরও ১০টি বাস্তবের কাহিনী (১৯৪৮-২০১০এর সময়সীমার মধ্যে ঘটা)আছে বইটিতে। কল্পনার কাহিনী গুলোতে অতিরঞ্জিত বর্ণনা এসে যায়, কিন্তু এখানে উল্লিখিত প্রতিটা ঘটনা সত্য, এখানে কল্পনার রং ঢালার প্রশ্নই ওঠে না। য��হেতু এগুলো সত্য ঘটনা তাই, প্লট নিয়ে কিছু বলা যায় না। এখানে খুন, ডাকাতি,জালিয়াতি সব ঘটনাই আছে। "ডক্টর জেকিল, না মিস্টার হাইড" এ যে বীভৎস ভাবে খুন করা হয়েছে ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে, যেহেতু বাস্তব ঘটনা।তবে প্রতিটা কেসের সাথে যে ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে তা ঠিক পরিষ্কার না। আর বহুল আলোচিত স্টোন ম্যান কেস, যা নিয়ে অনেক সিনেমা, web সিরিজও হয়েছে, সেই স্টোন ম্যানের কেসটা সমাধান করতে পারেনি "স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড" খ্যাত লালবাজার পুলিশ। লেখক কিন্তু প্রতিটা কেস খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন।
তবে হ্যাঁ,দুটো খণ্ডের তুলনা করলে প্রথম বইটিই আমার বেশি ভালো লেগেছিল।প্রথম বইএর কেসগুলোর তুলনায় এই বইএর কেসগুলো simple লেগেছে আমার কাছে।
গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার দুইটা পর্বের মাঝে আমি প্রথম পর্বটাকেই এগিয়ে রাখব (যদিও দুইটাতেই রেটিং প্রায় সমান দেয়া, অর্ধেক দেয়ার অপশন থাকলে এই বই পেত ৩.৫) এই বইয়ে সবচেয়ে চমক লাগানিয়া মনে হয়েছে স্টোনম্যান রহস্য যদিও রহস্যটা অধরাই হয়ে ছিল।
প্রতিটি অপরাধের পেছনে উদ্দেশ্য থাকে । সে উদ্দেশ্য আপনার কাছে আমার কাছে ঠুনকো হোক কিংবা যথেষ্ট না হোক কিন্তু অপরাধীর কাছে কিন্তু ঐ উদ্দেশ্যটা সত্যিই আদর্শ উদ্দেশ্য । সুপ্রতিম সরকার গোয়েন্দা হিসেবে কেমন জানি না কিন্তু ভদ্রলোক লেখে ভালো । হত্যা মামলা গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আর আগেরবারের মতো এইবারেও তার পাঠকের কৌতূহল ধরে রাখার জন্য কথার মারপ্যাঁচ প্রশংসার যোগ্য । প্রত্যেকটা হত্যার কাহিনিই যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং এবং উপভোগ্য ছিলো । বিশেষ করে একটা হত্যা কাহিনি ছিলো এরকম যে এক লোক তার স্ত্রী আর পাঁচ শিশু কন্যারে হত্যা করে শুধুমাত্র স্ত্রীর আরেক জায়গায় সম্পর্ক আছে সেই সন্দেহে । তারে যখন ধরা হইলো এবং জিজ্ঞাস করা হইলো আপনি স্ত্রী রে হত্যা করছেন সন্দেহ কইরা বুঝলাম কিন্তু বাচ্চা গুলা রে মারলেন কেন ? ভদ্রলোক নির্বিকার জবাব দিলো – ‘’ কি লাভ হতো ওদের বাঁচিয়ে রেখে ? কে দেখতো ওদের ? আমার বড় ভাইয়ের নিজের সংসার ছিলো তার পক্ষে সম্ভব হতো না পাঁচ টা মেয়ের ভার নেওয়া । বেঁচে থাকলে ওদের অসুবিধাই হতো । সেটার কথা চিন্তা করেই মেরে ফেলছি ‘’ হা হা হা হা হা ঐ যে বললাম সবার ই কোন না কোন উদ্দেশ্য থাকে । উদ্দেশ্য ছাড়া অপরাধ করা যায় না আবার সৎ কাজ ও করা যায় না । আমার আপনার কাছে হয়তো কিছু উদ্দেশ্য নিছক মস্তিষ্ক বিকৃতি এবং ভুল কিন্তু কারু না কারু কাছে ঐটাই স্বাভাবিক এবং মহান । কিছু মানুষ সত্যিই ভাবে লোভে পাপ আর পাপে মুক্তি … দারিদ্র থেকে মুক্তি , অপমান থেকে মুক্তি , দায়িত্ব থেকে মুক্তি , অশান্তি থেকে মুক্তি ।
সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ পূর্বের বইটির মত এই বইটিও সাজানো হয়েছে বিভিন্ন সময়ে কলকাতা পুলিশের তদন্ত করা রোমহর্ষক কয়েকটি মামলা নিয়ে। তবের আগের বইটির সাথে এবার একটা বড় পার্থক্য আছে। এবারের বইটিতে যুক্ত হয়েছে "স্টোনম্যান মার্ডার কেইস", যেটি কলকাতা পুলিশ, বিশেষত লালবাজারের জন্য একটা কালো দাগ। ১৯৮৯ থেকে চলা প্রায় নয় মাস ব্যাপী সময়ে স্টোনম্যান খুন করে বারোজনকে, যার সুরাহা হয়নি আজ পর্যন্ত। তিন দশক পরেও এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে এই কাহিনী। বইটির কেইসগুলোর সময়ব্যপ্তী দেশভাগের পর থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত।
ব্যক্তিগত মতামতঃ গোয়েন্দা গল্প পড়তে কার না ভাল লাগে? আর তা যদি হয় সত্যিকারের, তাহলে উত্তেজনার পারদ যেনো আরো একধাপ চড়ে যায়। যারা পুলিশ থ্রিলার পড়ে অভ্যস্ত, তারা বইটি বেশি উপভোগ করবেন বলে আমার ধারণা। সহজ, সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষা বইটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলেছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
বই ভালো লেগেছে। রেটিং চার তারাই দিতাম। বাদ সাধলো ছবিগুলো। পুরোনো ছবি ছাপাখানা হয়ে পাঠকের হাতে ঝাঁ-চকচকে অবস্থায় পৌঁছেবে না, এ তো জানা কথাই। তাই বলে পাতার পর পাতা লো-রেজুলেশনের পাঠোদ্ধার অযোগ্য ডকুমেন্ট ছাপানো কোনো কাজের কথা না। এমনকি ছোট ছোট ডিংব্যাট গুলো যে থাকে, সেগুলোতে পর্যন্ত লো-রেজুলেশনের আইকন ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে প্রকাশক আনন্দর মত অভিজ্ঞ প্রকাশনা সংস্থা এবং বইয়ের দামও নিতান্ত কম নয়।
কলকাতা লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের ১৯৩৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অগণিত জটিল খুনের মামলাগুলির থেকে ১২ টি কাহিনী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কল্পনার কাহিনীতে অপরাধীকে চিহ্নিত করাতেই গোয়েন্দাদের কাজ শেষ হয়। বাস্তবের গোয়েন্দাদের কাজ কিন্তু শুধু অপরাধীকে চিহ্নিত করাতেই শেষ নয়, নিখুঁত তদন্তে অপরাধীর শাস্তিবিধান নিশ্চিত করতে পারলে তবেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয় তদন্তের। জটিল খুনের এই তদন্ত যেমন অনেকাংশে তুলনীয় টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে। আবার তেমনই কলকাতা পুলিশকে একসময় তুলনা করা হতো স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গেও। এছাড়া বইটিতে বিভিন্ন মামলার চার্জশিট ছবির সাথে তুলে ধরেছেন লেখক, যা ঘটনাগুলির সত্যতাই প্রমাণ করে। আর একটা বিষয় যেটা না বললেই নয়, সেটা হলো প্রত্যেকটি কাহিনীর নামকরণ। যা সত্যিই বেশ আকর্ষণীয়।
খুন খারাপির কাহিনী তো আর এই জীবনে কম পড়া হলো না কিন্তু যখন এই বইয়ে লেখা ঘটনাগুলো সত্যি সত্যি ঘটে গেছে তখনই মনের মধ্যে একটা শীতল ভয়ের স্রোত বয়ে যায় ।
অপরাধ ঘটে যাবার পর পুলিশে খবর দেয়া থেকে পুলিশের চার্জশিট দেওয়া পর্যন্ত যে প্রসেস টা ছিলো .. সেটা সচরাচর অন্য কোনো গল্পে(!) পাওয়া যায় না .. এই জিনিস টা আগে পাই নাই কোথাও ।
প্রতিটা কেস এ অপরাধের ছবি আর আদালতের পর্যবেক্ষণ গুলো আলাদা একটা মাত্রা এনে দিয়েছে ।
আগের বারের বইটার সেকেন্ড ইনস্টলমেন্ট এটা। সত্যিকার ক্রাইমের গল্প বলে প্লট নিয়ে ভাললাগার কিছু নেই। লেখা ভাল তবে কিছু জায়গায় বর্ণনা অতি কাব্যিক এবং কোন কোন জায়গায় দর্শন এবং অতি নাটকীয় বর্ণনা কিছুটা অস্বস্তির সৃষ্টি করে। তবে কাহিনী এবং ইনভেস্টিগেশনের ব্যাপারগুলো পড়া শুরু করে থেমে যাওয়া মুশকিল। যারা ক্রাইম থ্রিলার পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য রেকমেন্ডেড।
প্রথমটা পড়ে একটু সময় নিয়েই দ্বিতীয়টা ধরলাম। স্টোনম্যান এর কাহিনী পড়ার জন্যই মূলত পড়া। বাকি কাহিনী গুলাও বেশ আকর্ষণীয়। কিন্তু দ্বিতীয় খণ্ডের তুলনা দিলে প্রথম খণ্ডকেই এগিয়ে রাখব। কাহিনি বাছাই প্রথম খণ্ডে অতুলনীয়। সেই বিবেচনায় দ্বিতীয় খণ্ড কিছুটা অনুজ্জ্বল। হয়ত আরেকটু মনোযোগ দেওয়া যেতে পারত কাহিনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এই বিষয়টা বাদে, বইএ তেমন কোন খামতি নেই। একবসায় পড়ে ফেলার মতো।
গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার সিরিজ #২ গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার লেখক - সুপ্রতিম সরকার প্রকাশক - আনন্দ মূল্য - 400/-
ফিরে দেখা শহর কলকাতায় সাড়া জাগানাে এগারোটি মামলাকে, ফিরে দেখা প্রতিটি ঘটনার রহস্যভেদের রুদ্ধশ্বাস চড়াই-উতরাই। কল্পনার গোয়েন্দাকাহিনির তদন্ত যদি হয় সবুজে সবুজ ইডেন গার্ডেন্স, তুলনায় বাস্তবের গােয়েন্দার চারণভূমি হল পাড়ার ছিরিছাদহীন মাঠ। রুক্ষ, রােম্যান্সধর্জিত। সেই রুক্ষ জমিতে সত্যানুসন্ধানের ফসল ফলানাের নেপথ্যকথা ধরা রয়েছে এই বইয়ে, অভিজ্ঞ আই পি এস অফিসার সুপ্রতিম সরকারের টানটান লিখনশৈলীতে। ১৯৪৮ থেকে ২০১০-এর বিস্তৃত সময়সীমা লেখক বেছে নিয়েছেন বাস্তবের সেই কাহিনীগুলিই, যার প্রতিটি আনাচেকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ফেলু-ব্যোমকেশের প্রাণান্ত পরিশ্রম, অনন্ত ধৈর্য, অপরাধ-মনস্তত্ত্বের নিপুণ কাটাছেঁড়া এবং মগজাস্ত্রের ম্যাজিক। কেন লালবাজারকে “স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড' বলা হয়, তার নমুনা যেমন ধরা রয়েছে এ বইয়ের পাতায় পাশাপাশি স্টোনম্যান-বৃত্তান্তে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ইতিহাসে বিরল ব্যর্থতার খতিয়ানও। তিন দশক আগের স্টোনম্যান মামলা কৌতুহলের নিরিখে আজও জনমানসে অবিসংবাদিত শীর্ষ বাছাই। প্রামাণ্য বিবরণে সেই কৌতুহল নিরসন ঘটিয়েছেন লেখক। 'গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার’-এর প্রথম খণ্ড বাংলা অপরাধ-সাহিত্যের সূচনা করেছিল নতুন ধারার। সেই ধারাই অনায়াস সাবলীলতায় বহমান দ্বিতীয়তে।
পটভূমি - মোট ১১টি খুনের মামলার বিবরণী দেওয়া আছে এই বইটিতে, প্রত্যেকটি মামলা আলাদা আলাদা করে আমি আলোচনা করবো না, কয়েকটা চাঞ্চল্যকর মামলা যা পড়ে আমিও রীতিমত অবাক হয়েছি সেগুলো নিচে আলোচনা করে রাখলাম -
১. ডঃ জেকিল না মি: হাইড - সাল ১৯৪৮, মেজর রোশানলাল সিং, মনি দেবীর সঙ্গে বিয়ে, হত্যা এবং মৃতদেহ লোপাট, ফাঁসির সাজা হয়েছিলো রোশনলাল এর। ২. মেলাবেন তিনি মেলাবেন - ১৯৯৭ ওয়াটগঞ্জ থানা, উদয় সিং হত্যা মামলা, দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, হত্যা খুবই সাধারণ ওপেন অ্যান্ড সাট কেস, কিন্তু দুষ্কৃতীরা যদি আদালত এর রায় কে প্রভাবিত করতে পারে সেক্ষেত্রে পুলিশ আধিকারিক দের কি করণীয় সেই পরিস্থিতি দারুন ভাবে বর্ণনা করেছেন। ৩. দরজা ভাঙলেই গুলি করবো - আকুঞ্জী মামলা, ১৯৯৭ সালে তিন মাসে পাঁচটি ব্যাংক ডাকাতি, শহর কলকাতার বুকে, লালবাজার এর পুলিশ এর কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছিল এই কেসটি। ৪. শরীর, শুধু শরীর? - ১৯৯৯ লীনা সেন হত্যা মামলা, আরেকটি নৃশংস ঠান্ডা মাথার খুন দেহ লোপাট করার চেষ্টা। এই ঘটনাটি প্রথম পার্ট এও ছিল, পরিণতি নাম দিয়ে শেষ ঘটনা, কেনো রিপিট করা হলো জানা নেই। ৯. বিশ্বাসই বিশ্বাসঘাতক - ২০০৯ মঞ্জুরানি ঘোষাল হত্যা রহস্য। একা সিনিয়র সিটিজেন থাকতেন একটা ফ্ল্যাটে, খুন হলেন, সঙ্গে ঘরের কিছু টাকা পয়সাও গায়েব, কোনো বিশ্বাসী লোক ছাড়া এই খুন করা সম্ভব হবে না। পুলিশ প্রসিডিংস এর দারুন উদাহরণ, কতদিন কত সময় চলে যায় শুধু নথি তৈরি করতে, তারপর শুরু হয় তদন্ত। ১০. ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন - ২০০৯ ও ২০১০ সালে কোলকাতা শহরে কার্ড স্কিমিং এর এক অদ্ভূত ঘটনা, বিদেশি ক্রেডিট কার্ড এর সমস্ত তথ্য, আর তার ব্যালান্স চুরি হয়ে যাওয়ার এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে তুলে আনে কোলকাতা পলিশ। ১১. পারফেক্ট ক্রাইম - ১৯৮৯ সালে মোট ১২ টি খুন, কোলকাতা শহরের রাজপথে নিরীহ ফুটপাথবাসি খুন হতে থাকে, আর সামনে পাওয়া যায় একটি পাথর, যা দিয়েই হত্যা করা হয়েছে সেই নিরীহ মানুষ গুলিকে। তদন্ত করে যে সকল সন্দেহভাজন দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারাও ছাড়া পেয়ে যায়, এই কেসটি লালবাজার গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে অমীমাংসিত একটা কেস, যা নিয়ে বহু চর্চা লেখালেখি ও এক কিছুই হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া - কলকাতা লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের ১৯৪৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অগণিত জটিল খুনের মামলাগুলির থেকে ১১ টি কাহিনী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। জটিল খুন থেকে শুরু করে ডাকাতি কার্ড স্কিমিং এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার এ অপরাধ এবং শেষ অব্দি স্টোনম্যান এর মত অমীমাংসিত কেস, বইয়ের এই পার্ট টি বেশ ইন্টারেস্টিং। সত্যি ঘটোর স্বাদ সবসময় এই আলাদা হয়। খুনের মোটিভ, অস্ত্র, পদ্ধতি সবকিছু জানার পরেও চার্জশিট এবং কোর্টে প্রমাণ করে দোষীদের শাস্তি দিয়েই পুলিশ এর কাজ এর সমাপ্তি। মামলা গুলোর নৃশংসতা মনের উপর একটা প্রভাব বিস্তার করে। অনেকসময় পড়তে ইচ্ছা করবে না, আর মাঝে মাঝে মনে হবে এমনও কেউ করতে পারে? কল্পনার কাহিনীর মতো টানটান উত্তেজনা না থাকলেও রহস্যপিপাসু পাঠকের রসনাতৃপ্তির রসদ অবশ্যই আছে।
Shri. Supratim Sarkar was serving as ACP, Kolkata at the time of this book being published. Serving in the police force, he's compiled 11 truly sensational cases, out of which the 'Stoneman' case remains a mystery to be unrevealed. It's not only about systematic investigation that cracks a case, it's those chance moments that lead the investigative officer closer to the truth. A park gate keeper suspicious about 2 people; a police officer sipping tea at a road side tea stall, observes a fleet of trucks carrying bricks; police officer's argument with a dhabha manager regarding usage of fresh vegetables; real meaning behind MSR, originally it reads as Magnetic Strip Reader. The above instances help the investigative officers to close in on the culprits. Well, I came to know what Lalbazar in Kolkata means. Well, if you want to know what it is, read the book. Commendable job by Ms. Yajnaseni Chakraborty, who has translated this book into English language.
Key takeaway: If you find a key, a piece of garment or anything similar hiding in the bushes, report to the Police. It could be all that police needs to solve a major murder, rape or any other serious case
A captivating, sensational and sufficiently detailed compilation of stories from the files of Lalbazar. With the flavour of the city appropriately maintained throughout. The author has covered the timeline from 1950s to late 2010s - showing the gradual adoption of technology both by the police and the criminals. Overall, a very well written book and highly recommended!
P.S.- The Lalbazar - Dalhousie - BBD Bagh is actually the most elegant area in the city
প্রথম পর্বের মতই উপভোগ্য তবে প্রথম এবং শেষ কেসটা সত্যি সত্যিই গা শিউরে ওঠার মত। মানুষ এতটা নিষ্ঠুর কি করে হতে পারে। Stoneman Killer কে ধরতে পারলে আমরা হয়ত তার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ পেতাম। কিন্তু কিছু রহস্য শেষ পর্যন্ত রহস্যই থেকে যায়, তার স্বরূপ জানা যায় না...
প্রথমটার মতই দুর্দান্ত। নন-ফিকশন... তাও আবার পুলিশের বাস্তব রসকষহীন তদন্তের কাহিনি... যে এত উপাদেয় হতে পারে, ভাবা যায় না। আরও দু-চারটা পর্ব বের হওয়া উচিত।
রিভিউঃ ২য় কিস্তির স্বাদ যেন প্রথমটার থেকে অনেক আলাদা।লালবাজারের প্রথম পার্টে কিছু কিছু গল্প এতটাও সাজানো ছিল না। মনে হয়েছিল যেন কেস ফাইলের সিরিয়াল মোতাবেক এক্সাক্ট পয়েন্টগুলো তুলে দিয়েছেন।আর এ বইয়ে প্রতিটা গল্পেরই সুসজ্জিত ক্লাইমেক্স রয়েছে।একজন অফিসার কেস নিয়ে প্রথমে কোন আগা-মাথা বুঝতে না পেরে আশাহত হয়। দীর্ঘদিন কেসের কোন অগ্রগতি নেই।অতঃপর একদিন সে তার অভ্যাস বহির্ভূত কাজ করে বসেন আর কেসের একটা ক্লু পেয়ে যান।তারপর এক এক করে খুলে আসতে থাকে সব রহস্যের বাধন।কারো কাছে এমন সাজানো গল্প সিনেমাটিক লাগবে।আমি ইনজয় করেছি বেশ।কারণ,এমন একটা কেসের গল্প আছে যা সলভই হয় নি।আর সেটাও লেখক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন তার লেখনিতে।শুধু এটাই না কেস সলভ হওয়ার পর আদালতে তা কিভাবে প্রমাণ করা হল আর সেটা প্রমাণ করতে কি কি বিপত্তি পেরোতে হলো এটাও পাওয়া যায় বইটিতে। ডজনখানেক গল্প কলকাতার লালবাজারের এক ঐতিহ্যই বহন করে।যে কারনে লালবাজারকে এশিয়ার স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলা হয়।
This 'book' is just a collection of case files narrated in the most inconsistent manner. There are hardly any insights or analysis provided on the cases beyond what is already in the public domain. And in the rare occasions where an insight is provided, it is outright wrong. For ex, the author states at one point that lack of empathy turns a person into psychopath, while anyone with a passing interest in psychology is aware that lack of empathy is a symptom and not a cause of psychopathy.
And the translation is the final nail in the coffin. The English is rudimentary and rife with grammatical errors. The use of simple present tense is extremely distracting. I have seen reviewers on Goodreads with far superior proficiency in English than this translator.
I would give this book a negative rating if I could.
This book was a fast paced reading for me. Some events were very interesting to read, but, unfortunately, most of the stories in this part 2 failed to grab much interest. Those were a bit monotonous as I had already read the first part. First part was way too better.This may be one of the reasons why the second part didn't impress more. After reading the first part, I had much expectations from this one.
Anyway, the writing style is impressive. It would be unfair if I do not mention the last story specially - the much talked about 'Stoneman' story. The author mentioned it as a perfect crime which the detective department could not solve. These books both the first part and second part prove that truth is indeed stranger than fiction!
Even though the stories are from the time of 1957 to 2010, the way these crimes took place even at that time and the way the Indian police department solved these cases will keep one glued to the book. which are the best cases in the history of police departments can't ever be justified but the ex-officer aka our author filtered out the 11 best cases that happened during his tenure. The stories will actually make it clear why the stories of Sherlock Holmes, Feluda, and Bomkesh Bakshi are called Fiction and how the fictions are so different from real-life detections. Originally the book was written in Bengali and was limited to a very few portions of the public but thanks to the translator that this is now available even to Western people.
After reading the first book I was super eager to read the second one but I have to say...this did the meet my expectations. I was expecting a lot more.
The writing style and the use of language is up to the mark. After reading the first book, this one felt a little repetitive in some places. I liked the pacing of the book, it's keeps you engaged once you start reading. Overall it was a good read but not worth re-reading.