বাংলাদেশে লালন সাঁইয়ের পরিচয় মরমি সাধক হিসেবে। এই সাধনার যে গোপনতা, তার কোনো রাজনীতি বা সমাজতত্ত্ব আছে? সাধারণ মানুষের পক্ষে কি লালনের বাণীর মর্ম অনুধাবন সম্ভব? লালনের বাণী কি একেবারেই অরাজনৈতিক? আজকের বৈষম্য ও সংঘাতপ্রবণ পরিস্থিতিতে বৈষম্যহীন ও ন্যায্য সমাজ গড়ার ব্যাপারে লালনের রচনায় কি কোনো নির্দেশনা আছে এবং আজকের রাজণোইতিক সংকট মোকাবেলায় লালন কতটুকু প্রাসঙ্গিক? এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা হয়েছে এই গ্রন্থে।
লালন শাহ কে সাধারণত আমরা মরমী সাধক বলে জানি ও মানি। কিন্তু লালন সাঁই কে শুধুমাত্র মিস্টিক বলে শেষ করে দেয়া যায়না। লালনের প্রভাব তৎকালীন সমাজ তো বটেই এখন পর্যস্ত নানান দিক দিয়ে বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যময় ভূমিকা রাখছে। সাধক লালনের বাইরেও আরো লালন আছেন। লেখক উক্ত গ্রন্থে লালনের 'রাজনীতি ' নিয়ে ভিন্ন এক ব্যাখ্যা দিবার চেষ্টা করেছেন যা বেশ ইন্টারেস্টিং। লেখক এখানে ' রাজনীতি ' বলতে তথাকথিত পলিটিক্স বোঝাননি। লালন কিভাবে তৎকালীন সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কার, বৈষম্য, শোষণ ইত্যাদির সাথে ' ডিল' করেছেন তার একটা চমৎকার ন্যারাটিভ লেখক দাড় করিয়েছেন। লালনের স্বরূপসন্ধানে এ এক ভিন্নতর সংযোজন।