সৌমিত্র বিশ্বাস-এর জন্ম ১৯৬৫ কলকাতায়। শিক্ষা নিউ আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুলে। পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অর্থনীতির ছাত্র। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাঠ শেষে রাজ্য সরকারের আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলার অধ্যাপিকা মৈত্রেয়ী সরকারের অনুপ্রেরণায় আরও মনোযোগী হয়ে ওঠেন সাহিত্যে। দেশ পত্রিকা আয়োজিত রহস্য গল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করে তাঁর ‘মুখোশ’ গল্পটি। দ্বিতীয় গল্প ‘নাস্তিক’ও প্রশংসিত। প্রথম উপন্যাস ‘হেরুক’। আবাল্য সত্য সাইবাবার শিক্ষায় অনুপ্রাণিত মানুষটি ভালবাসেন আড়ম্বরহীন, সৎ জীবনযাপন আর সমাজসেবা। বই ও বন্ধুদের সঙ্গে মননশীল আড্ডায় সমান উৎসাহী।
চরম হতাশ! ৪৫৫ পাতার একটা বইয়ের প্রথম ১৪৭ পাতা মিথ্যের ভিতের ওপরে বানানো লুণ্ঠন, ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, আর ষড়যন্ত্রের কাহিনি। এই বই যে জন্য কেনা, সেই সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতার লিপির রহস্য নিয়ে এই সুবিশাল বইয়ে যে আলোচনা আছে তা অত্যন্ত কম। তবে হ্যাঁ, সেই লিপিকে কীভাবে ক্রিপ্টোগ্রাম হিসেবে ব্যবহার করে আজকেও খবর বিনিময় করা যায়, এই তত্ত্বটি আমার কৌতূহলপ্রদ লাগল। কিন্তু সেটুকু ছিল মোট বইয়ের ৫% জুড়ে। বাকিটা ওই 'কাল্পনিক ইতিহাস' আর আধুনিক রাজনীতির কচকচি। হতাশ। ভীষণ-ভীষণ হতাশ।
ভাষা কুহকিনী। সৌমিত্র বিশ্বাস। বুকফার্ম। Book 75 of 2020 তথ্য যে কাল্পনিক মিশেলের সাথে মিশে অনেক সময় মারাত্মক ভাবে প্রক্ষিপ্ত হতে হতে অর্ধসত্যে পরিণত হয়, এই বৃহৎ চর্বিতচর্বন বই তার প্রমান। কাল্পনিক ইতিহাসের আখ্যানে আপ্লুত পৃষ্ঠাসংখ্যা। তাড়াহুড়োর লেখা ও সম্পাদনা স্পষ্টরূপে প্রতিফলিত অনেক জায়গায়। রাজনৈতিক কড়চা না হয় ঠিক আছে, অগণিত "কাগুজে চরিত্র" ও নিয়েও না হয় অনন্তসময়ের আসা-যাওয়ার ভীড় প্রতিপন্ন করা গেলো। কিন্তু ইতিহাস তো মনগড়ন কাহিনী নয়, তাই না? বইটি সংক্ষেপে সুন্দর করা যেত। বাঁধুনি ও ছবি সত্যি সুন্দর। কিন্তু আবর্জনা ভরিয়ে, পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়িয়ে, বাংলা ভাষায় আরেকটি ভারী পুরান-ইতিহাস-তন্ত্র-সভ্যতা পেপারওয়েট না বানালেই কি চলছিল না? কিছু উদাহরণ দি। আদিপর্বের আখ্যানটি ছোট, তাই সুবিধার্থে এটা নিয়ে বলি একটু। ভালো মন্দ দুটিই: - ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বে অনার্যরা গোলাপজলে পা ধুচ্ছেন? (পৃষ্ঠা ৪১) - সরসবতী থেকে সরস্বতীর ক্রমবিকাশ লক্ষণীয়। - মহিলচরিত্ররা সবাই কাগুজে এখানে। হাস্যকর। - ঋষিকারা কই? না নাম না উল্লেখ। ক্রমবিকাশ না হয় বাদ দিলাম। - যজ্ঞকাণ্ডের সমাহার, অথচ সেখানে "দম্পতি" নেই। শুধুই একজন হোতা/নেতা। (পৃষ্ঠা ৫১) - আমলকি গাছের উল্লেখ পেলাম সেই সময়। নতুন তথ্য বটে। (পৃষ্ঠা ৫২) - "অনার্য" পুরোহিতকন্যা কুভা যে অদত্তা, তিনি হঠাৎ "রানী" নামে সম্বোধিত হচ্ছেন। (পৃষ্ঠা ৭১) - "অনার্য" মন্দির ও আরতি? সেই সময়ে? বাহ্! অপূর্ব। (পৃষ্ঠা ৭২) - সোমরস "নেশা" করার বস্তু ছিল না। অনেকটা আজকের চা/পাতার নির্যাসের মতো পানীয় ছিল। তবে "দৈবপানীয়"। (পৃষ্ঠা ১১৯) - মায়া/মায়ু/মায়ীন কহন যে হঠাৎ পারস্য শব্দ "জাদু" হয়ে গেলো ধরতেই পারলাম না মশায়।
"Words are pale shadows of forgotten names." - Patrick Rothfuss (The Name of the Wind)
- "ভাষা কুহকিনী" - শৌনক, সিন্ধুলিপি পাঠ নিয়ে এক পাঠচক্রের সাথে যুক্ত। এই কাজেই সে অযোধ্যা পাহাড়ে স্থানীয় মাওবাদীদের হাতে পড়ে। সবাই আশা ছেড়ে দিলেও তার স্ত্রী তিথি তাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছাড়ে না। - রজত মন্ডল, প্রাচীন ইতিহাসের একজন অধ্যাপক, যিনি অনেক বছর ধরেই সিন্ধুলিপি পাঠোদ্ধারের চেস্টা করছেন। তারই বর্তমান সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী শালিনী এবং তার রিসার্চ ফেলো অহনা সহ তিনি জড়িয়ে যান সিন্ধুলিপি সংক্রান্ত এক গোলকধাধায়। - শাক্য চৌধুরী, অযোধ্যা পাহাড়ে মাওবাদীদের হটানোর জন্য গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রধান। তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে থাকেন সাংবাদিক পল্লব বাহা। ঘটনাক্রমে তারাও জড়িয়ে যান সিন্ধুলিপির সেই রহস্যে। - খ্রিস্টপুর্ব ১৫০০ স্বরসতী নদীর এক তীরে আসেন তিনজন আর্য। ধীরে ধীরে গড়ে তুলেন শুন্য থেকে এক বিশাল সাম্রাজ্য। শুরু হয় এক বিশাল এক কিংবদন্তি যা চলতে থাকে হাজার বছর পর্যন্ত। - এখন শৌনকের শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল? মাওবাদীদের ধোয়াশার ঘেরা সেই নেতাটি কে? এই রহস্যের সাথে কিভাবে তিথি, পল্লব, রজত, শালিনী, অহনা, শাক্য জড়িয়ে যায়? এদের সাথে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের কোন ঘটনাটি জড়িয়ে আছে? তা জানতে হলে পড়তে হবে সৌমিত্র বিশ্বাসের "ভাষা কুহকিনী"। - "ভাষা কুহকিনী" মোটামুটি বিশাল কলেবরের এক উপন্যাস যা দুই ভাগে বিভক্ত, আদী পর্ব এবং আধুনিক পর্ব। আদী পর্বের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ এবং আধুনিক পর্বের সময়কাল বর্তমান সময়। আদী পর্বে কিছু হিস্টোরিক্যাল ইনঅ্যাকুরেসি থাকলেও এই পর্ব আধুনিক পর্বের চেয়ে বহুগুনে ভালো। তবে বইটি শেষ করার পরে পুরো আদী পর্বকেই বাহুল্য মনে হয়েছে। যে ঘটনা মাত্র ৫-১০ পেইজেই তা বলা যেত টেনে টেনে ১৪০ পেইজের মতো বলা হয়েছে। - "ভাষা কুহকিনী" বইটির আধুনিক সময়ও এই বাহুল্য দোষে যুক্ত। আধুনিক পর্বের মূল কাহিনী পড়তে গিয়ে অনেক সময়ই মনে হয়েছে "কেন এমন হচ্ছে", কিছু জায়গায় কাহিনী কোনমতেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। অনর্থকভাবে কোন ঘটনা পৃষ্ঠার পরে পৃষ্ঠা জুড়ে চলছে আবার অনেক পৃষ্ঠা ধরে একটা সিচুয়েশন তৈরি করে তার যথাযোগ্য সমাধান না করেই এগিয়ে গেছে ঘটনা, কিছুদুর গিয়ে হয়তো এক-দুই লাইনে সেই ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য নয়। "ভাষা কুহকিনী" বইটির লেখনীও তেমন একটা টানেনি, সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার যেখানে দারুনভাবে বর্ণনা করা যেত সেভাবে কিছুই করা যায়নি মনে হয়েছে। প্রায় পুরো বই শেষ করার পরে শেষে যেই দুই একটি টুইস্ট দেয়ার চেস্টা করেছেন লেখক তার একটা একেবারে অপ্রয়োজনীয় আরেকটা মেইন টুইস্ট আধুনিক পর্বের অর্ধেক পড়লেই গেস করা যায়। তো বলা যায় বইটির টুইস্টও আমাকে হতাশ করেছে। - "ভাষা কুহকিনী" বইয়ের আরেক হতাশাজনক আর প্রবলেমেটিক দিক এর চরিত্রায়ন। বিশেষ করে নারী চরিত্রগুলো একেবারেই ওয়ান ডাইমেনশনাল। একটি চরিত্রকে তৈরি করার পরে হঠাৎ হঠাৎ এমন কাজ দেখিয়েছেন যা সেই চরিত্রের সাথে একেবারেই যায় না, যা বেশ প্রবলেমেটিক মনে হয়েছে। - "ভাষা কুহকিনী" বইয়ের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ইলাস্ট্রেশন, সেটা মোটামুটি ভালো হলেও যেভাবে কয়েকটি ছবি বসানো হয়েছে তা দৃষ্টিকটু। যেমন ৫৮-৫৯ পেইজে যে ইলাস্ট্রেশন এসেছে তার কাহিনী এসেছে ৬৬ পেইজে। কাহিনীর এত আগে এই ছবি দেয়া একেবারেই অ্যাবসার্ড মনে হয়েছে। বইয়ের বাধাই ভালো, বানান ভুল কম চোখে পড়েছে। প্রচ্ছদে বইয়ের এক ঘটনার ইলাস্ট্রশেনটিই দেয়া হয়েছে যার দ্বারা বইয়ের পুরো ঘটনা ফুটে উঠেনি। সবমিলিয়ে "ভাষা কুহকিনী" বইটি পড়ে আমি মোটামুটিভাবে হতাশ। যাদের সিন্ধুলিপি নিয়ে আগ্রহ আছে তারা কিছুটা পড়ে দেখতে পারেন, এছাড়া রেগুলার থ্রিলার পাঠকদের আমি বইটি সাজেস্ট করবো না।
অনেক সাধনা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে শেষ করলাম। একটি ★ শুধু মাত্র সিন্ধু লীপির জন্য। হেরুক পড়ার পর যে ভালো লাগা তৈরি হয়েছিলো তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেলো। আধা সিদ্ধ ডাল আর কেরি পোকায় খাওয়া চালের, নুন ছাড়া খিচুড়ি একমাত্র এই থ্রিলারের (বলা যায় কি!) তুলনা।
যারা বইটি পড়েছেন বা পড়বেন বলে ভাবছেন তাদের সবার ম��োই আমারও বইটা পড়ার পিছনে সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় ছিল সিন্ধু লিপি। স্কুলের বই এর পাতায় পড়েছিলাম ৫০০০ বছর আগেকার সেই সিন্ধু সভ্যতার কথা,প্রচুর আগ্রহ জন্মেছিল সিন্ধু লিপি নিয়ে,ছোটো থেকেই প্রচুর প্রশ্নও ছিল এই বিষয় সম্বন্ধে।
তাই যখন বইটি সম্পর্কে জানতে পারলাম যে সিন্ধু লিপি বইটির মূল বিষয় সত্যি বলতে নিজেকে আর আটকাতে পারিনি। বইটা শুধু কিনেছিলাম এটা দেখার জন্য যে লেখক কিভাবে সিন্ধু লিপির মতো একটা আগ্রহী বিষয়কে রহস্যের আবরণে ঢেকে পুরো বিষয়টাকে একটা থ্রিলারের রূপ দেন।
কিন্তু পড়তে গিয়ে বারবার হোচট খেয়েছি। মূল বিষয় থেকে বহুবার বহুদূরে ছিটকে পড়ে গিয়েছি,আবার মূলস্রোতে ফিরে আসার চেষ্টাও করেছি। বহুবার ব্যর্থ হয়েছি, ঘটনার অবাঞ্ছিত ঘনঘটা আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
পড়তে পড়তে অনেক সময় মনে হয়েছে,থাক! আর পড়বো না। তাও অনেক চেষ্টায় শেষপর্যন্ত ৪৫৪ পাতা পর্যন্ত পৌঁছেছি। পড়া শেষ করে ভাবতে বসলাম,নতুন কি কি পেলাম বইটাতে? পুরুলিয়ায় জঙ্গল মহলের সেই জঙ্গি সংগঠন,স্পেশাল টাস্ক ফোর্স,খুন,জখম,নৃশংসতা এসব কোনোকিছুই যেন আমার মনকে সেইভাবে স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু এসবের মধ্যেও সিন্ধু লিপি নিয়ে লেখক যৎসামান্য যা বর্ণনা করেছেন সেটা কিছুটা হলেও নতুন ভাবনার উপকরণ যুগিয়েছে।
যদি প্রকৃত থ্রিলার পড়তে চান,তাহলে এই বইকে উপেক্ষা করতে পারেন। কেননা প্রকৃত থ্রিলারের অনেককিছুই এখানে হয়তো পাবেন না, কিন্তু যদি সিন্ধুর লিপি বা তদবিষয়ে কোনোরূপ আগ্রহ থেকে থাকে এবং আপনার কাছে ৪৫৪ পাতার একটা বই পড়ার মতো সময় ও ধৈর্য থাকে তাহলে বইটা পড়তেও পারেন।
ভাষা কুহকিনী। লেখকঃ সৌমিত্র বিশ্বাস, প্রকাশকঃ বুকফার্ম বিভাগঃ থ্রিলার
প্রথমে জানিয়ে রাখি বেশ ভালো লেগেছে। এবারে জানাই কেন? এই থ্রিলার বহুস্তরের, তার একস্তরে থাকে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল মহল, সেখানকার সাধারন মানুষের বেঁচে থাকা, যাদের একদিকে রয়েছে ঘরের ছেলেপুলেদের বনপার্টি আর অন্যদিকে রয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। মাথার উপরের আকাশ হয়ে রয়েছে দারিদ্র। অন্যস্তরে থাকে আমাদের ইতিহাস বই থেকে জানা সভ্যতা। আর্য অনার্য ইত্যাদি। এই যে দুটি স্তর তারা তো দুটো সময়কালে ছড়িয়ে রয়েছে। একটা স্তর আমাদের সমসাময়িক, অন্যটি সম্পর্কে পণ্ডিতেরা অনেক গবেষণা করে আমাদের সামনে অনেক কিছু হাজির করেছেন। আমি ইতিহাসের ছাত্র নই, উপন্যাসটা আমাকে আটকে রাখে তার ব্যাতিক্রমি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের কারনে। আমি সমসাময়িক পশ্চিমবঙ্গকে দেখেছি তার সমস্যা ইত্যাদির সম্পর্কে অবহিত খবরের কাগজের আর টিভির নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে। আর এখান থেকে একটা টুকরোকে তুলে নিয়ে লেখক অবিশ্বাস্য মুন্সিয়ানায় আমাকে আকৃষ্ঠ করে রাখতে পেরেছেন উপন্যাসের শেষ লাইন অবধি। বহু চরিত্রের আসা যাওয়া এত মসৃণ যে কোথাও হোচট লাগে না। তারা অনায়াসে কাহিনীর মধ্যে আসছেন তাদের কাজটুকু করে দিয়ে বিদায় নিচ্ছেন এমন সুন্দর ভাবে যে মনে হচ্ছে এটাই স্বাভাবিক এটা না হলেই বুঝি হোঁচট লাগত। পুরুলিয়ার এত সুন্দর অনুপুঙ্খ বর্ণনা এর আগে পড়িনি। লেখকের দেখার চোখকে সেলাম কারণ সরকারি কাজে উনি এই সমস্ত জায়গাতে গেছেন সেটা শুরুতে জানিয়েছেন। শেষে ওনার সৃষ্টিকে নমস্কার জানাই এই কারণে যে দুটো সময়কালকে উনি অনবদ্য দক্ষতায় মিলিয়েছেন আর তাকে ঢেকে দিয়েছেন একটা স্নিগ্ধ আপত্য স্নেহের চাদরে। বিস্তর পড়ে এই উপন্যাসের সৃষ্টি করেছেন সৌমিত্র বিশ্বাস মশাই। বিশ্বাস করে পড়ে ফললে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই এটুকু বলতে পারি। আর হ্যাঁ ছবি এই উপন্যাসের একটা আকর্ষন অবশ্যই। প্রকাশক বুকফার্ম কে ধন্যবাদ বইটা প্রকাশের জন্য।
সৌমিত্র বিশ্বাস এর "ভাষা কুহকিনী" 2019 বইমেলার আমার পড়া অন্যতম সেরা উপন্যাস গুলির একটি। চমৎকার গতিময় এই উপন্যাস টি তে লেখক ভারতের ঐতিহাসিক পর্বের ঊষা কাল থেকে নিয়ে বর্তমান যুগের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বৃহৎ সময়কাল কে ভিত্তি করে তাঁর কাহিনী সাজিয়েছেন। তত্ত্ব তথ্য যুক্তির ভিন্নমত হয়তো আছে কিন্তু তা উপন্যাস টির বাঁধুনিকে কখনোই খাটো করেছে বলে মনে হয়নি। সর্বোপরি এটি একটি আদ্যন্ত সফল থ্রিলার যা অবশ্য পাঠ্য।
৫০ পাতা মত পড়ার পরেই বুঝতে পারলাম যে রিভিউগুলিতে যা যা বলা হয়েছে তা তা একদমই ঠিক। তাই বাকি বইটা পড়ার চেষ্টা করলাম না। ভাগ্যিস পয়সা দিয়ে কিনতে হয় নি। হেরুককে যেখানে টু-স্টারের বেশি দিতে পারিনি সেখানে এই বইটাকে তো...