সোহম ইতিহাসের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, আরো রিসার্চ করার জন্য তার স্কলারশিপ দরকার। বৃষ্টি, সোহমের বন্ধু, তার দাদুর নামে ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সোহমের নাম বৃষ্টি সুপারিশ করায়, বৃষ্টির বাবা সোহমকে বাড়ি ডেকে পাঠান, এবং এক ধাঁধার জট খোলার দায়িত্ব দেন, যা তাকে তার বন্ধু সোমনাথ পাঠিয়েছিল। এই জট খুলতে পারলে, বাংলার ইতিহাসের এক অমূল্য স্মারক খুজে পাওয়া যাবে। সোহম এই ধাঁধা সমাধান করলে, তা তাকে আরেক ধাঁধার কাছে নিয়ে যায়। এদিকে এই ধাঁধার জট যত খোলা হচ্ছে কেউ যেন সোহমের প্রতি মুভমেন্টের দিকে লক্ষ রাখছে, কিছু লোক যখনি তাকে সোমনাথের সঙ্গে তার কিছু মিলের কথা বলতে যাচ্ছে, সে সঙ্গে সঙ্গে খুন হয়ে যাচ্ছে। কি এই রহস্য? এই কিছু নিরীহ লোক কেন খুন হয়ে গেল? কি মিলের কথা বলতে চাইছিল এরা সোহমকে?
এই সিনেমাটা যেহেতু প্রায় সবাই দেখেছেন, সবাই জানেন এর গল্প। তাও বইটা কিনেছিলাম কারন – কিছু ছড়ার মত ধাঁধার মধ্যে দিয়ে সমস্ত কলকাতার ইতিহাস বলার চেষ্টা হয়েছে। কলকাতা, এবং শহরতলী, ও পলাশী পূর্ব ও পশ্চাৎ মুর্শিদাবাদের ইতিহাস কিছুটা হলেও সুললিত ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। এরকম ইতিহাস্রিত থ্রিলার বাংলায় বিশেষ নেই, সেইদিক দিয়ে বইটাকে বেশ উচু নম্বরই দেওয়া যায়।