প্রতি যুগে যে গোষ্ঠীর মানুষ যে যে বিষয়ে উৎকর্ষের অহঙ্কার করেছে, নিজ প্রেরিত নবীদের সত্যতা প্রমাণের জন্য আল্লাহ তাদের সেই সর্বোচ্চ পারফর্মেন্সকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। একে মুজিযা বলে। মুসা আলাইহিস সালামকে দিয়ে ‘যাদুবিদ্যা’কে চ্যালেঞ্জ করিয়েছেন, ঈসা আলাইহিস সালামকে দিয়ে ‘চিকিৎসাশাস্ত্র’কে। শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব দেশের জন্য, সব যুগের জন্য। তাই তাকে এমন একটা কিছু দিতে হবে, যা সব দেশের উৎকর্ষের মোকাবেলায় তাদেরকে অবাক করে দেবে। সব যুগের উৎকর্ষকে চ্যালেঞ্জ করে বোদ্ধাদের অবাক করে দেবে। আরবে প্রথম যুগ ছিল কাব্যসাহিত্যের, কুরআন এসে সেই সর্বোচ্চ পারফর্মেন্সকে চ্যালেঞ্জ করেছে— পারলে এরকম একটা কিতাব, নয়তো একটা সূরা, নয়তো একটা আয়াতই লিখে নিয়ে এসো। আরবি স্বভাবকবিরা হয়রান হয়ে ঘোষণা করে দিয়েছে— এটা কোন মানুষের রচনা নয়। বর্তমান যুগ— পর্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞানের, যাকে আমরা ‘বিজ্ঞান’ নামে চিনি। আমাদের সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স বিজ্ঞান, আমাদের অহংকার, মানবসভ্যতা এতো ক্ষমতা আগে কখনও পায়নি। আজও তাহলে কুরআনের বিধানের চ্যালেঞ্জ করার কথা আধুনিকতম আবিষ্কারকে, আর বোদ্ধাদের হবার কথা হয়রান, নির্বাক, হতবুদ্ধি। এসো, সমালোচনা তো রাস্তার পাগলেও করতে পারে; পারলে এর মত বা আরও ভাল সমাধান বাতলে দেখাও। চ্যালেঞ্জ।
কি আর বলবো, সুপার্ব বই। সেক্যুলারদের ভালো লাগবে না অবশ্যই, তবে চিন্তাশীল যে কেউ গভীর ভাবনায় জড়িয়ে পড়বে। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ইস্যুতে এমন বই বাংলায় আর আছে বলে মনে হয় না। বিভিন্ন গবেষণার ভিত্তিতে বইটি সাজানো, টানা পড়ে গেলে কিছুটা একঘেয়ে ঠেকতে পারে। তবে এক কথায় - মাস্টারপিস।
শুরুতেই একটু ব্যক্তিগত আবেগ ঝেড়ে নেই। আমার যদি সামর্থ্য থাকতো তাহলে আমার সমবয়সী সব ছেলে-মেয়েকে বইটা পড়বার ব্যবস্থা করে দিতাম।
‘ধর্ষণ’ আমাদের পাশের দেশ ভারতে বিরিয়ানি-আলুর মতো। বাংলাদেশেও এখন তা ধীরে ধীরে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
দেশে যখনই কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তখনই দেশের মানুষ ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় ১. মেয়েটির পোশাক এবং ভঙ্গিতে দোষ ছিলো। ২. ছেলেটা কেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা? এই ২ টা ভাগ একটা কমন জিনিসের মধ্যে পরে গেছে। আমরা বেশী বিব্রত হই যখন কোনো বাচ্চা বা পুরুষ বলাৎকারের শিকার হয়৷ কারণ, এইক্ষেত্রে আর উপরের ২ টা যুক্তি খাটেনা৷ পোশাকের ফ্যাক্টর তো বটেই!
তবে ইদানীংকালের প্রগতিবাদীদের দাপটে আমরা যারা একটা সিস্টেম নিয়ে বসে থাকি, তাঁরা হাত উঁচিয়ে কিছু বলবার আগেই থেমে যায়, তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়।
একটা ঘটনা ঘটার পরে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের খেলা চললেও এর প্রায়োগিক এবং স্থায়ী সমাধানের দিকটা নিয়ে কেউ খুব একটা আলোচনা করতে আগ্রহী না৷ এই ব্যাপারটা বরবারই ঊহ্যই থাকে। কারণ, এতে পশ্চিমা মুনাফাখোরদের ব্যবসা থেমে যাবে৷
লেখক খুব সুন্দরভাবে ঘটনা কেন ঘটে, এর পিছের সাইকোলজি কী! ছেলেটা হুট করেই কেন ধর্ষণ করলো, নাকি দীর্ঘদিন ধরে বলিউড - হলিউড কালচার, আইটেম সং আর অধুনা নারীবাদীদের টাইট ফিটিংস পোশাকে নারী অবয়ব দেখে দীর্ঘদিন ধরে ট্রিগারড হয়ে ছিলো সেই জিনিসটা ধারাবাহিক কিন্তু সাবলীলভাবে বর্ণনা করেছেন৷ তেমন আহামরি কিছু না! কিছু পরিসংখ্যানগত উপাত্ত আর সামান্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যা স্কুলের বারান্দায় পা না দেওয়া ব্যক্তিটিও বুঝবে এসবের অর্থ কী! অবশ্য আমার ভয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের নিয়েই। ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় পরে সুস্থভাবে চিন্তা করতেই ভুলে গেছে।
আধুনিককালের পশ্চিমা প্রবর্তিত ‘নারী স্বাধীনতা’, ‘আমার ইচ্ছা আমি পরবো’ ইত্যাদি যে কত ভয়াবহ সব চিন্তাভাবনা, এই বই না পড়লে কেউ আপনাকে বুঝাতে পারবেনা।
একটা ছেলে হয়েও আমি নিজেই নিজের সম্বন্ধে অন্ধকারে ছিলাম। আমি নিশ্চিত অধিকাংশ ছেলেই অন্ধকারে। আমি জানিনা, চ্যালেঞ্জের মুখে পরলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো কিনা! অথবা অন্য কেউ পারবে কিনা৷ কিন্তু বইটা পড়ার পরে আমার ব্যক্তিত্ব সহস্র শতাংশের ক্ষুদ্রতম একক হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেই নিজেকে চিনেছি, অন্যদের সাইকোলজিও বুঝেছি।
সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। আর সমাধানগুলো ১৪০০ বছর ধরে কারা যেন আগলে আছে।
পরিশেষে সবাইকে অনুরোধ করছি। পড়ুন৷ নিজের বোনের নিরাপত্তার জন্য পড়ুন। আপন ভাইয়ের বিপথগামীতা রোধ করতে পড়ুন৷ একটা পেঁচানো সাইকোলজিকে ভালোভাবে বুঝতে পড়ুন। আগামীতে একটা সুন্দর প্রজন্মের দায়িত্ব নিতে পড়ুন৷ তবুও পড়ুন। জাস্ট পড়ুন৷ কারণ, ধর্ষণ জনিত সমস্যার সমাধানকল্পে এই বইটিই আল্টিমেট বই।
ধর্ষণ। ধর্ষণ কেন হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে আমাদের দেশের মানুষ দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। একদল বলে [শুধুমাত্র] পোশাকই ধর্ষণের কারণ।আরেকদল ধর্ষণের জন্য পুরুষের মানসিকতা দায়ী করে হতাশার কালো ব্যাজ ধারণ করে থাকে। কিন্তু এই মানসিকতা কেন ডেভেলপ হলো?কী ফ্যাক্টর দায়ী? কী কী ফ্যাক্টর দূর করলে এমন মানসিকতাসম্পন্ন পুরুষ আর জন্ম নেবে না? এমন প্রশ্নে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।
লেখক দক্ষ হাতে এসব বিষয় নিয়ে 'মানসাঙ্ক' বইটিতে স্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। বইটির প্রতিটি অধ্যায়ই রেফারেন্সে ঠাঁসা তাই কারো কারো একঘেয়েমি লাগতে পারে(যদিও আমার লাগেনি)। লেখকের মতে, "পুরো বইয়ের শুধু হাতেগোনা কিছু কথা কেবল আমার। আমি এই বইয়ের লেখক না। আমি বিভিন্ন রিসার্চ সুতোয় গেঁথেছি, গ্রন্থনা করেছি সে হিসেবে গ্রন্থাকার বলা যেতে পারে। গেঁথে গেঁথে মালা বানিয়েছি।আর একটা মালা বানিয়ে অবাক হয়ে দেখেছি, ১৪০০ বছর আগে থেকেই একদল মানুষ সেই মালা গলায় দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।"
বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ধর্ষণের সাইকোলজি, এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে বইটি অবশ্যপাঠ্য।
সব সমস্যার গোড়া চিহ্নিত কর, আর সেই গোড়ায় গিয়ে মোক্ষম আঘাত কর। সমস্যা আর পালানোর পথ পাবে না। এই ব্যাপারটাই এত স্পষ্ট, এত বাস্তবিক, এত নিখুতভাবে সমাধানসহ ফুটে এসেছে বইটিতে যে পাতায় পাতায় হতবাক হয়ে যেতে হয়।
মা শা আল্লাহ। এমন এক বই, অসাধারণ, অকল্পনীয় বললেও কম হয়ে যায়।
এই বইটি পড়লাম। লেখক ভালো লিখেন এটা বলাটা মিথ্যা বলা হবে। লেখক ভালো লেখার চেষ্টা করেন। বইটির মূল বিষয় সমাজে কেন ধর্ষণ হয় এবং এর প্রতিকার কি হতে পারে। যদি বইয়ের প্রথম অংশ দেখি তাহলে লেখকের বক্তব্য যথেষ্ট পরিস্কার। ধর্ষণের কারন হিসেবে যা দেখিয়েছেন তার সাথে আমি অনেকটাই একমত। লেখক ধর্ষকের মানসিক দিকটি খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। কেন একজন মানুষ ধর্ষক হয়? আর কেন ধর্ষণ হয়? কারণ গুলো উপযুক্ত রেফারেন্স দিয়েই উনি লিখেছেন। তবে কিছু ব্যাখ্যার ব্যাপারে আমি একটু দ্বিমত পোষণ করছি। প্রথমত উনার বক্তব্যের ইঙ্গিতে আমার মনে হয়েছে উপযুক্ত প্রভাবক পেলে পৃথিবীর যেকোনো পুরুষ ধর্ষণ করবে। এই ইঙ্গিত টি অতিরিক্ত সাধারণ। এই জায়গায় আমি বলবো লেখকের আরো জ্ঞানের দরকার আছে। দ্বিতীয়ত: উনি বিভিন্ন রেফার্ড পরিসংখ্যান দিয়ে বিভিন্ন ধর্ষনের কারনের ও ধর্ষক হওয়ার কারনের শতকরা হিসাব দেখিয়েছেন। উদাহরণ ৭২% এই কারনে ধর্ষক হয়; কিন্তু উনি বাকি ২৮% এই কারনের পরেও ধর্ষণ করে নাই বা ধর্ষক মানসিকতার না তা নিয়ে কোনো বক্তব্য নাই। এবার আসি বইয়ের দ্বিতীয় অংশে যেখানে উনি ধর্ষনের মতো একটি ঘৃণ্য কাজ থেকে সমাজকে বাঁচানোর উপায় বাতলে দিয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ উনার ব্যক্তিগত চিন্তা। যদিও উনি অনেক রেফারেন্স দিয়েছেন। উনি ইসলাম ধর্মের আদর্শকে ধর্ষণ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ বলেছেন। আমার মতে হয়তো এটি অনেকগুলো পথের একটি পথ। কারণ উনি বরাবর উদাহরণ/পরিসংখ্যান হিসেবে দোষীদের দেখিয়েছেন। কিন্তু উনার পথ অবলম্বন করে এমন সমাজে ধর্ষনের হার কি রকম এবং যেসব দেশে ধর্ষনের হার কম ; সেখানে কেন কম? এই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকজনকে জানি যারা কেউই এই সমাধানের মধ্যে দিয়ে যায় নাই কিন্তু ধর্ষক মানসিকতারও না তারা কেন এইরকম? এখানে ও একটি সমাধান হয়তো পাওয়া যাবে। উপসংহারে বলি যদি বামপন্থী হিসেবে যদি বইটি পড়েন তাহলে উগ্ৰ ধর্মীয় মতবাদ প্রচারের বই মনে হতে পারে। যদি ডানপন্থী হিসেবে পড়েন মনে হবে এগুলো স্টান্টবাজি। আর যদি নিরপেক্ষ ভাবে পড়েন লেখককে একটি ধন্যবাদ দিবেন এই কারনে যে ধর্ষনের মতো একটি ঘৃণ্য কাজ নিয়ে একটি সুস্পষ্ট বই লেখার জন্য।
প্রত্যেক ধর্ষনের পরেই দেশ দুটা গতানুগতিক রেটরিকে ভাগ হয়ে পড়ে। 1. নারীর পোশাকের যত দোষ 2. পুরুষের মানসিকতায় একমাত্র ফ্যাক্টর ধর্ষণ কখনোই এত সিম্পল একটা ইস্যু না, এটি বরং মাল্টি ফ্যাক্টর একটা ইস্যু। শুধুমাত্র একটি ফ্যাক্টর নিয়ে কাজ করলে এর সমাধান সম্ভব না। আধুনিক মনোবিজ্ঞান এবং অপরাধবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও তথ্যের আলোকে যদি এই সমস্যার কারণ এবং সমাধান জানতে চান, আপনার উচিত হবে বইটি পড়ে ফেলা। পুরো বইটি এই "ধর্ষণ" বিষয়টিকে ঘিরেই।
ধর্ষণ কী শুধুই পোশাক আর মানসিকতার জন্য হয়? শুধু এই দুইটি উপাদান নয়, এর চেয়ে আরো অনেক উপাদান আছে যা আমাদের জানার বাইরে। আর এই বইতে সংশ্লিষ্ট বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আসা করি পড়ে আপনার সময় নষ্ট হবে না।
ধর্ষণের শিকড় খুঁজতে গিয়ে পুরুষবাদ এবং নারীবাদ অতিক্রম করে পর্দার আড়ালের নতুন এক জগতে সন্ধান পাই আমরা। নতুন করে ভাবতে বাধ্য হই সকলে। তথ্যবহুল পুরো বইটিকেই অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন লেখক। ধর্ষণ সংঘটনে দায়ী প্রতিটি নিয়ামকের বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত নথিপত্র উল্লেখপূর্বক তিনি দেখিয়েছেন, ইসলাম প্রতিটি সমস্যার সমাধান কত নিখুঁতভাবে দিয়েছে সেই ১৪০০ বছর আগেই। ধর্ষণের শেকড় সন্ধানের সাথে নিজের অবস্থান আবিষ্কার এবং চিন্তার পরিধি বিস্তারে বইটি অবশ্যপাঠ্য।
ধর্ষণ কেনো হয়? সব দায় কি নারীর পোশাকের? নাকি পুরুষের বিকৃত মানসিকতার? আর এর সমাধানই বা কি? মৃত্যুদণ্ড দিলেই কি ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে? নাকি এমন কিছু আছে এর থেকেও বেশি কার্যকর? আসলেই কি তেমন কিছু আছে? এতসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইলে, এই সেই বই, যেটি আপনি পড়তে পারেন।
ফাটাফাটি একটা বই, ধর্ষণ, পর্ণগ্রাফি, নিয়ে একটা সমীকরণ। তারপর স্টেপ বাই স্টেপ সমাধান। এক আল্লাহকে মেনে নিয়ে আইন করলে, সমাজ ব্যবস্থা চালু করলে শূণ্যস্থানও পূরণ হবে সমাধানও হবে। (ইনশা আল্লাহ)
কেবল পর্দা না করা যদি ধর্ষনের কারন হতো তাহলে পর্দাশীল নারী, শিশু, পশু এমনকি মৃতদেহ কেনো ধর্ষণের শিকার হয়?
দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজে সাধারণত ধর্ষণের দায় বিনাবিচারে নারীদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে আকল কম আবেগ বেশি মানুষ বেফাঁস বেপর্দার উপরে কেবল দায় চাপিয়ে এই গর্হিত অপরাধকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে। অনেকে যৌন হয়রানিকে কেবল শরীরে সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করেন, অথচ আমাদের মৌখিক কার্যক্রমও যৈন হয়রানির আওতাভুক্ত, যেমন: অশ্লীল ম্যাসেজ করা।
আপত্তিকর ম্যাসেজিংয়ের সাথে আমার পরিচয় ভার্সিটি লাইফে। ক্লাসমেটরা যখন এসব থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় আলোচনা করতো তখন চিনে ফেলেছিলাম সুশীল সমাজের অন্ধকার জগতকে। অনেকে এটাকে 'ফান' বলে চালিয়ে দেন কিন্তুু আফসোস বুঝতে পারেন না এটা নেহাৎ ছ্যাচড়ামি। আপনার অনুভূতির প্রকাশ দোষের কিছু নয়, কিন্তুু প্রকাশ করবার আড়ালে নোংরা যেসব ম্যাসেজ লিখেন, সেগুলো আল্লাহর নিকট কিভাবে জবাব দিবেন!
এসব সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে নারীদের সুরক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি সংগঠনে যোগ দিই। কতোগুলো কর্মশালাতে টুকটাক আলোচনায় অংশ নেয়া হয়। আফসোস কেবল আলোচনাই হয়, সেমিনারই হয়, কাজের কাজ কিছু হয় না, (এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয় নি, অথচ খুব নামী সংস্থা)। একবার এক মিটিংয়ে প্রস্তাব করেছিলাম 'সেইফটি সেল' খোলার জন্য, যেনো একজন নিগৃহীত নারী বিনা সংকোচে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করতে পারে এবং ন্যায়বিচার পায়। অবাক করে তারা সিদ্ধান্ত নিলো, ড্রয়িং কন্টেস্ট হবে৷
আশ্চর্য! আপনারা কিভাবে ভাবতে পারেন চিত্রকর্ম দেখে ধর্ষক কিংবা মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকেরা অপরাধ কমিয়ে দিবে। এতো আগুনে পোড়া মানুষের সহায়তার জন্য মোমবাতি প্রজ্বলন করার সমান! সে-ই থেকে বুঝতে পেরেছি এসব সংস্থা কেবল নিজেদের ব্রান্ঞ্চ প্রসারে নিয়োজিত, মানুষের কল্যাণে নয়। সেক্যুলার ব্যবস্থা কেবল একটা ব্যবসা। আর ধর্ষণ বন্ধ হলে তাদের পুঁজিবাদী সমাজের ২২৫১০০ কোটি ডলারের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে।
এই বইটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন ধর্ষন এবং এর প্রতিরোধ নিয়ে আদ্যোপান্ত বিবরণ। ধর্ষনের পেছনে মূল তিনটি কারন: মেন্টাল সেটআপ, নির্জনতা, উদ্দীপক; এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় জানার পাশাপাশি ধর্ষক কারা, সেক্যুলার সমাজে প্রচলিত সমাধানের অকার্যকারিতা বিজ্ঞানসম্মত তথ্য, গবেষণা, জরিপ এবং ওয়াহী থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ডা: শামসুল আরেফীন শক্তির আরো একটি শক্তিশালী পরিবেশনা ’মানসাঙ্ক'।
ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের সমাধান করার সদিচ্ছা যদি সত্যই থাকে, তবে পড়তে পারেন বইটি। শরীরে কাঁটা দেয়ার মতন তথ্যে ভরপুর এটি এমন একটি বই যেটা সামর্থ্য থাকলে সবাইকে কিনে দিতাম, বিশেষত সম্মানিত নারীদের। আমাদের মনোজগতের রোগ নিরাময়ে এই বইটি উত্তম নিয়ামক।
বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে একটি সামাজিক সমস্যা ধর্ষণ নিয়ে। প্রথমদিকে ধর্ষণের পিছনের কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর সমাধানগুলো আলোচনা করা হয়েছে। সমস্যা আর সমাধানগুলো প্রথমে আলোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা, তারপর দেখানো হয়েছে ১৪০০ বছর আগের মানুষগুলো কিভাবে সমস্যা না জেনে সমাধানগুলো আপন করে নিয়ে নিয়েছে। তারা এই সধানগুলো আপন করে নিয়েছিল আ���্লাহকে একমাত্র অনুগত্যকারী এবং রাসুল ﷺ কে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে।
লেখক একটা ধর্ষণ ঘটার কারণ হিসেবে ৩টি ফ্যক্টর উল্লেখ করেছেন, ১. মেন্টাল সেটআপ ২. নির্জনতা ৩. উদ্দীপক তারপর তিনি এসব সমস্যার সমাধান তুলে এনেছেন বিভিন্ন গবেষণা থেকে, তার সাথে জুড়ে দিয়েছেন ১৪০০ বছর আগে আাসা ইসলামে সমাধানের উপস্থিতিকে।
পশ্চিমের বস্তুবাদী, পুঁজিবাদী চিন্তা লালন করে নিজের স্বার্থ খুজা বাদ দিয়ে আমরা যদি ইসলামকে আপন করে না নিতে পারি তহলে সমস্যার সমাধানও আমাদের আপন করে নিবে না।
অসাধারণ একটি বই। ধর্ষণ।সমাজের এক বিরাট সমস্যা।সমাজ,রাষ্ট্র বিশ্বের ক্যান্সার বলা যায়।সেকুলাররা এই ক্যান্সার রোগের যে প্রতিষেধক বলে সেগুলোই উলটো এই রোগকে আরো উস্কে দেয়।লেখক দেখিয়ে দিয়েছেন এই রোগের ভ্যাকসিন ইসলামে অনেক আগেই দিয়ে দেয়া আছে,এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা একমাত্র যে ইসলামের মাধ্যমেই হবে সেটা লেখক দেখিয়ে দিয়েছেন।সকলের এই বই পড়া উচিত মনে করি। আল্লাহ লেখকের খেদমতকে কবুল করুন।
ধর্ষণ কেন হয়..? এর জন্য কে বেশি দায়ী ..? কিভাবে কমানো যায় সব কিছু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে । ড্রেসআপ থেকে শুরু করে মানসিক অবস্থা । বহির বিশ্বের পদক্ষেপ গুলোর আলোচনা সমালোচনা করা হয়েছে ।
আমার পড়া লেখকের সেরা কাজ, টপিকের গুরুত্ব বিবেচনায় দ্বিতীয় সেরা। ধর্ষণ ও সেক্সুয়াল এসল্টের পেছনের মনস্তত্ত্ব ও এর সমাধান নিয়ে লেখকের চিন্তাভাবনায় সামান্য প্রান্তিকতা থাকলেও যুগ বিবেচনায় এটা আসলেই একটা মাস্টারপিস। নারী-পুরুষ সবার জন্য অবশ্যপাঠ্য।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আদর্শ বই। আমাদের দেশে ধর্ষণের জন্য দুই পক্ষ দুইটি জিনিসকে দায়ী করেঃ- ১/নারীর পোশাক ২/ পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি ধর্ষণ কখনোই এত সহজ ব্যাখ্যাযোগ্য ব্যাপার নয়। এটিই লেখক পুরো বইয়ে প্রমাণ করেছেন। একটি অবশ্যপাঠ্য বই।