Bankim Chandra Chattopadhyay (Bengali: বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) ('Chattopadhyay' in the original Bengali; 'Chatterjee' as spelt by the British) was a Bengali poet, novelist, essayist and journalist, most famous as the author of Vande Mataram or Bande Mataram, that inspired the freedom fighters of India, and was later declared the National Song of India.
Complete works of Bankim Chandra Chattopadhyay (বঙ্কিম রচনাবলী) is now available in this third party website (in Bengali): https://bankim-rachanabali.nltr.org/
Chatterjee is considered as a key figure in literary renaissance of Bengal as well as India. Some of his writings, including novels, essays and commentaries, were a breakaway from traditional verse-oriented Indian writings, and provided an inspiration for authors across India.
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কমলাকান্তের দপ্তর' প্রবন্ধগ্রন্থের অন্যতম অসামান্য প্রবন্ধ 'বিড়াল'। আফিমখোর, সমাজ সংশোধনের ভূমিকায় অবতীর্ণ কমলাকান্ত তার জ্বালাময়ী বক্তৃতায় দিবারাত্র সাম্যবাদ, সর্বহারা শ্রেণীর পক্ষপাতী হলেও বাস্তবে তা নন। প্রসন্ন গোয়ালিনী প্রদত্ত দুধে ভাগ বসানোয় ঠ্যাঙা হাতে প্রহারে উদ্যত ভেকধারী সাম্যবাদের প্রবক্তাকে বিড়ালের নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, ওঠে ধনতন্ত্রের বিরোধিতা। নেশার একটু উপশম ঘটলে কমলাকান্তের মনে হয়, বিড়াল ভারি সোশিয়ালিস্টিক। যদিও আত্মসমীক্ষায় জর্জরিত কমলাকান্ত বিড়ালকে ভর্ৎসনার পরিবর্তে নীরব থাকে। বিড়ালকে অধিকারবোধ সম্পর্কে একপ্রস্হ উপদেশ দিয়ে বিতণ্ডা এড়িয়ে, দুধের ওপর বিড়ালকে সর্বস্বত্ব প্রদান করে নিজেকে ঠিক প্রমাণ করতে উদ্যোগী হয়। ধনতান্ত্রিক পুঁজিবাদের বিপক্ষে ন্যায়সম্মত সাম্যবাদের প্রতিষ্ঠাই যে অভিপ্রেত সমাজতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন বিড়ালের কথায় স্পষ্ট হয়েছে। এমন কোনো শিক্ষিত বাঙালি আছেন নাকি যিনি এই প্রবন্ধ কোনো না কোনো সময় পাঠ করেননি অথবা কমলাকান্তের মতো অজস্র চরিত্রকে নিজের চারিধারে প্রত্যক্ষ করেননি ? এই প্রবন্ধ আমাদের সাহিত্যের সম্পদ। পড়তে উৎসাহী করুন অন্যদের।
আমাদের আফিংখোরেরা নাকি বঙ্কিমের আফিংখোর কমলাকান্ত কে টেক্সট বুক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অদ্ভুত!!! এমন দারুণ করে শ্রেণী বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্যাটায়ার আর কোনটা আছে জানা নেই। অথচ আফিংখোর গুলো তা সহ্য করতে পারলো না।
সিলেবাস থেকে হয়তো সরানো যায় চাইলেই, কিন্তু স্বভাবের চোর গুলোর প্রতি যেই আঙুল উঠিয়ে গিয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র তা বাঙালি পাঠক সহজেই খুঁজে নিবে অন্য কোন সিলেবাস থেকে নিশ্চয়ই।