Rudra Mohammad Shahidullah (Bengali: রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ) was a Bengali poet. Shahidullah was noted for his revolutionary and romantic poetry. He is considered one of the leading Bengali poets of the 1970s.
Shahidullah was the husband of writer Taslima Nasrin. He died as a result of drug abuse.
In the popular culture of Bangladesh, Shahidullah's most well known contribution is the song Bhalo Achi Bhalo Theko, popular ever since it was written. In 1991, an annual fair called Rudra Mela was started to commemorate the poet.
Awards 1980: Munier Choudhury memorial award 1997: Bangladesh Chalachitra Sangbadik Samity award (posthumous) for the poem Amar Bhitor Bahire Ontore Ontore.
১৯৭৯-৯২ সাল পর্যন্ত লেখা রুদ্রের ২০০টি কবিতা এবং ১১টি গান এই সংকলনে আছে। রুদ্র কবিতায় তার নিজস্ব বানানরীতি প্রয়োগ করেছে। রুদ্রের প্রতিটি কবিতায় নতুনত্ব, প্রেম, প্রতিবাদ এর ছোঁয়া পাওয়া যায়। এক কথায় রুদ্রের কবিতার মধ্যে শান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমার মতো আবৃত্তি প্রেমিদের জন্য রুদ্রের প্রতিটি কবিতা মন ভাল করে দেয়।
আধখানা বেলা
হরতকি – হেমলক , বারুদের পিপাসা কারে তুমি বেছে নিলে হৃদয়ের নিবিড়ে? হে পথিক , কারে তুমি বেছে নিলে পাথেয় , নির্মান , নচিকেতা , বিনাশ , না , স্বাস্থ্য? সারারাত কাঠ কাটে ঘুন পোকা গোপনে , সারারাত ধ’রে তরু বোনে কিছু ফুলকে , বোনে কিছু সকালের কুসুমের তনিমা হে পথিক , কারে তুমি বেছে নিলে পাথেয়? আধাখানা বেলা আছে আর বাকি কুয়াশা … তাঁতকল কেঁদে ওঠে ক্লান্তির আঘাতে রাজপথ বুকে নিয়ে জেগে থাকে একাকি বান্ধবহীন এক ইষ্পাত শহর – হে পথিক , জানো তুমি? জেনেছো কি কখনো? ওই কারা সারারাত শিশিরের মতোন নিশব্দে চোখ থেকে খুলে রাখে কান্না! চেয়ে দ্যাখো , আধখানা বেলা আছে সুর্যে হে পথিক মনে রেখো , আর সব কুয়াশা – সব শেষে কারে তুমি বেছে নিলে পাথেয় হেমলক , হরিতকি , মানুষ , না , মনসা?
প্রেমের নিকটে গিয়ে ফিরে আসি বুকে ভালোবাসা নেই জ্যোৎস্নার নিকটে গিয়ে ফিরে আসি চোখে স্বাধীনতা নেই শ্রমের নিকটে গিয়ে ফিরে আসি বাহুতে বিশ্বাস নেই মানুষের কাছে গিয়ে ফিরে আসি দেহে মমতা নেই নেই, নেই, ফুল নেই, পাখি নেই, রোধ নেই, স্নেহ নেই, খেয়ে গেছে গোপন ঘাতক
নেই কোনো কঠিন শব্দ, নেই অহেতুক উপমা। না আছে অযৌক্তিক যৌনতা, না চাটুকারিতা। যা আছে সব সত্য, সাহসী উচ্চারণ, সুন্দর উপস্থাপনা, সমসাময়িক বিষয়ের বাস্তব চিত্র।
ঠিক এই সময়টাতে, যখন আমার আর আমার প্রিয় মানুষের সম্পর্ক থেকেও একরকম শেষ হয়ে যাচ্ছে তখনই বইটা সামনে আসে। আমার ভাই সাজেস্ট করলো পড়ার জন্য। আমার মনে হয় বইটা আমাকে খুঁজে নিয়েছে! বইয়ের কিছু কিছু কথা একদম গভীরে টাচ করে গেছে। আর সেই লাইন গুলো নিয়ে নিচের চিঠিটা লিখার চেষ্টা করছি। এইখানে কিছু কথা একান্ত নিজের, বাকি গুলো রুদ্রের। স্বর্গ-মর্ত্যের কথা থাক, এই জীবনে একবারও আপনার সাথে দেখা হলে আমি শুধু আপনার পাশে হাঁটতাম। হয়তো কবিতা শুনতাম। চিঠি শুরু করা যাকঃ-
আমার প্রিয় মানুষ, আমি এসেছিলাম আমাদের শহরে। জানেন, সবকিছু কেমন জানি অপরিচিত মনে হচ্ছিল। আপনার বাসার ওইদিকে একবারও যেতে ইচ্ছে করেনি এমনটা তো নয়! এতগুলো মাস শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আর আপনি বান্দরবানের পাহাড়ের চলে গেছেন! আপনি আসার পরেও দেখা হবে না। সব কথা শেষ হলে করাঘাত জাগাবে আপনায়, আপনি এসে খুলবেন দুয়োর --- দ্যাখা হবে না।
এখন যেখানে যতোদূর থাকি দ্যাখা না হওয়াই ভালো। আমি পাখির মতো আজো সেই স্মৃতিদের খড় চঞ্চুতে তুলে কোন এক নীড়ের তৃষ্ণায় করতলে লিখে রাখি।দূরত্ব জানে একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম। এই শীতে জীবনের কষ্ট হবে খুব? আপনি তো নিজেই বলে দিলেন শীতের কোন গন্ধ হয় না। আগে আমার মনে হতো হয়তো আমি বলেই আপনাকে পাব না। এখন কি প্রশ্ন করব বুঝতে পারছি না। আপনি যাকে প্রেম বলেন, স্বপ্ন বলেন আমার কাছে তা মলিন বিরহ। আমি ধীরে ধীরে আপনার অস্তিত্ব থেকে মুছে যাচ্ছি। হয়তো ব্যথার প্রবাল দ্বীপে পুনরায় দ্যাখা হবে আমাদের।
আমার থেকে আপনার এই চলে যাওয়া হয়তো কোন প্রস্থান নয়, বিচ্ছেদ নয় শুধু এক শব্দহীন সবল অস্বীকার পরিকল্পিত প্রত্যাখ্যান, এ-কোনো অভিমান নয় ব্যর্থতা নয়। আমি মনে করি চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়, বিচ্ছেদ নয়, চলে যাওয়া মানেই নয় বন্ধন ছিন্ন করা আর্দ্র রজনী। চলে গেলে আমারো অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না থাকা জুড়ে। রক্তে প্রেম আমার, তবু বরাবরই আমি হলাম নিঃসঙ্গ মানুষ!
আমার শুধু এইটাই প্রশ্ন। আমরা কি কোনোদিন আর কোন কথা বলব না? আমার অনেক ইচ্ছা কথা বলে উঠি, আমরা ভালোবাসার কথা বলি, এই নিঃশব্দের দেয়াল ভেঙে আজ স্বপ্নের কথা বলি। আমাদের প্রিয় কথা গুলো, গল্পগুলো, প্রিয় স্বপ্নগুলো কতোদিন প্রাণ খুলে বলিনি কোথাও! আহা, কতোদিন আমরা আমাদের ভালোবাসার কথা বলিনি!
তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও তুলোর মতো, পাখির মতো। ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো। "খুব কাছে এসো না কোন দিন যতটা কাছে এলে কাছে আসা বলে লোকে এ চোখ থেকে ঐ চোখের কাছে থাকা এক পা বাড়ানো থেকে অন্য পায়ের সাথে চলা কিংবা ধরো রেল লাইনের পাশাপাশি শুয়ে অবিরাম বয়ে চলা । যে কাছাকাছির মাঝে বিন্দু খানেক দূরত্বও আছে মেঘের মেয়ে অতো কাছে এসোনা কোন দিন দিব্যি দিলাম মেঘের বাড়ীর, আকাশ কিংবা আলোর সারির। তার চেয়ে বরং দূরেই থেকো যেমন দূরে থাকে ছোঁয়া, থেকে স্পর্শ রোদ্দুরের বু্ক, থেকে উত্তাপ শীতলতা, থেকে উষ্ণতা প্রেমে্র, খুব গভীর ম্যাপে যেমন লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা তেমন দূরেত্বেই থেকে যেও- এক ইঞ্চিতেও কভু বলতে পারবে না কেউ কতটা কাছা কাছি এসেছিলে বলে দূরত্বের পরিমাপ দিতে পারেনি পৃথিবী।"
রুদ্রের কবিতার বইয়ের রিভিউ লিখবো এমন দুঃসাহস করা আমার জন্য কঠিন। দীর্ঘ দু-চার বছর ধরে যেভাবে রুদ্রের কবিতাগুলো মাথার মগজে ঢুকে আছে, প্রসঙ্গের মিল পেলেই নেমে আসে সুদীর্ঘ নদীর জোয়ারের মতো করে সেই কবির কবিতা নিয়ে মানুষজনকে আগ্রহ দেবার জন্যেই ভাবলাম দু-লাইন লিখি।
গভীর রাতে যখন সঙ্গ দেয়ার কেউ ছিলনা তখন ফেবুর পাতায় পোস্ট দিয়েছি “রক্তে প্রেম তোর, তবু তুই হোলি এতো বেশি নিসঙ্গ মানুষ!” অথবা প্রেমিকার সাথে ঝগড়া করার পর ফেবুতে দিয়েছি- “বলো আমি কতোখানি প্রেম হবো, কতোখানি বিনিদ্র রাত সাপের দাঁতের মতো কতোটুকু বিষাক্ত হবো স্বভাবে শরীরে, বলো, বলো আমি কতোখানি হিংস্র পাশবিক হবো, কতোখানি নিঃসঙ্গ ঈশ্বর!”
কখনো কখনো প্রচন্ড কামের তৃষ্ণায় প্রেমিকাকে শুনিয়েছি - “আগে তো শরীর, শরীরে বসত করে মনরুপ পাখি। শরীর মিলাই চলো, দেখি মেলে কিনা শরীরের স্বাদ।”
বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় কিংবা প্রেমিকার সাথে রুদ্রের কবিতা ও রুদ্রের কত গল্প জুড়ে দিয়েছি তার হিসেব নেই, এভাবেই রুদ্রের কবিতাগুলো আমাকে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।
রুদ্রের কিছু কিছু কবিতা আছে,কিছু কিছু লাইন আছে একদম সবকিছু ভেদ করে বুকে এসে লাগে। রুদ্র নষ্ট মানুষ ছিলো, তার নাম মুছে যাবে। কিন্তু কবি রুদ্র? বঙ্গদেশের প্রতিটি কাব্যপ্রেমী প্রেমিক প্রেমিকাদের ঘরের মানুষ হয়ে বেচে রবে🖤
পরেমের নিকটে গিয়ে ফিরে আসি বুকে ভালোবাসা নেই জযোৎসনার নিকটে গিয়ে ফিরে আসি চোখে সবাধীনতা নেই শরমের নিকটে গিয়ে ফিরে আসি বাহুতে বিশবাস নেই মানুষের কাছে গিয়ে ফিরে আসি দেহে মমতা নেই নেই, নেই, ফুল নেই, পাখি নেই, রোধ নেই, সনেহ নেই, খেয়ে গেছে গোপন ঘাতক
This entire review has been hidden because of spoilers.