একটি বাড়ির মেঝে ফুঁড়ে ধোঁয়া বেরোনো এবং বাড়িটির তেতে ওঠা রহস্যকে ঘিরে যখন বিস্ময়ের অন্ত নেই, ঠিক তখনই প্রকাশ্য দিবালোকে একটি নার্শারি স্কুলের ছোট্ট মেয়ে প্যাসির অন্তর্ধানকে ঘিরে ঘটনা আরও জটিল হয়ে উঠল। পাণ্ডব গোয়েন্দারা নিজেরাই এবার আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এল তদন্তের কাজে। জর্জদা ওরফে সেন্টুমামা এবং অপহৃতা মেয়েটির মাসি কুসুমকে ঘিরে সন্দেহটা দানা বেঁধে উঠল ক্রমশ। পাণ্ডব গোয়েন্দারাও ছাড়বার পাত্র নয়। তদন্তের স্বার্থে ছুটে গেল ঝাঁঝায়। ঘাঁটি করল শিমুলতলায় মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে। শুরু হল জোরদার অভিযান। একদিকে পাহাড়, ঝরনা ও শ্যামলী বনানীর আকর্ষণ, অন্যদিকে পায়ে পায়ে মরণের সঙ্গে পাণ্ডব গোয়েন্দাদের মরণপণ লড়াই। পাণ্ডব গোয়েন্দারা কি শেষপর্যন্ত জয়ী হতে পেরেছিল? এর উত্তর সকলেরই জানা। অবশ্যই পেরেছিল। কিন্তু কীভাবে? এই বইয়ের পাতায় পাতায় সেই রহস্যের রোমাঞ্চিত উত্তর।
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।