ফালগুনী রায় (জুলাই ৭, ১৯৫৪ - মে ৩১, ১৯৮১) ছিলেন বাঙালী কবি। তিনি হাংরি আন্দোলনের একজন প্রখ্যাত কবি। কবিতা রচনার জন্যে মাত্রাতিরিক্ত মাদকসেবন ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। কম বয়সে মৃত্যুর জন্য তাকে নিয়ে বহু অতিকথা প্রচলিত হওয়ায়, তরুণ কবিদের নিকট তিনি কিংবদন্তি, এবং তার একমাত্র কাব্যগ্রন্হ নষ্ট আত্মার টেলিভিসন ১৯৭৩ সালের পর বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন সংস্হা দ্বারা এতাবৎ নয়বার প্রকাশিত হয়েছে।
ফাল্গুনী ১৯, শীর্ণ, মাঝখানে সিঁথি-কাটা ঘন কেশ , ভাঙা গাল, গাল জুড়ে ঘন শ্মশ্রু, উপচে বেরুনো কন্ঠা, কোর্স ধুতি এবং গলাবন্ধ লম্বা কালো মিস-ফিট গরম কোট। কোটটি, নিঃসন্দেহে ফালগুনীর নিজস্ব নয়, অন্তত কোটটির ঝুল ও ব্রেস্ট-সাইজ দেখে তর্ক করার অবসর ছিল না। পুরানো ও ব্যবহৃত, নিশ্চিত তার দাদার বা কারোর। প্রথম দর্শনে যা বিদ্ধ করেছিল, ভয়ঙ্কর, তা হলো ফাল্গুনীর চক্ষুদ্বয়। বস্তুত তা ছিল আয়ত — উজ্জ্বল ও ভাষাময়, আমর্ম আবেগচঞ্চল করে তোলার মত প্রাণবন্ত, একগাদা স্বপ্নের প্রতিফলন। সবে সে প্রেম পেতে শুরু করেছিল, তারি ছটা ছিল মুখশ্রীতে, দৃষ্টিতে, হাবভাবে, চাল-চলনে । পরবর্তীকালে, ফালগুনী দাড়ি বাদ দিয়েছিল, চুলের সিঁথি পরিবর্তিত হয়েছিল, আরও পরে, চোখের দৃষ্টিও হয়েছিল পোড়খাওয়া। প্রেম সাফল্য অর্জন করেনি, ব্যর্থতা ঘিরে ধরেছিল, সাময়িক। সেই প্রেমিকা, গ্রহণ করেছিল এমন একজনকে, যার পটভূমি ছিল সুখী জীবন। অর্থাৎ আমৃত্যু নিরাপত্তা, প্রচুর অর্থ, স্বচ্ছলতা, বিলাস, জীবন উপভোগের আরো, আরও অনেক উপকরণ। ফালগুনীর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না কোনোটাই, একমাত্র পূর্বপুরুষদের আভিজাত্য, বংশমর্যাদা ছাড়া। নারীর রহস্যময়তা ও ব্যবহার, ফালগুনীকে একেবারে ধ্বস্ত করে ফেলেছিল। শুরু হয় নিজের মধ্যে খেলা, আইডেনটিটির উন্মোচন, নেশা, গাঁজা, ভাঙ। পরবর্তীকালে নেশা করাটা ফালগুনীর রক্তে মিশে গিয়েছিল। নিজের ‘ইগো’ ঝালিয়ে নেবার জন্য, ইমোশানকে সতেজ করার জন্য, নেশা একান্ত প্রয়োজন, ফালগুনীর এইরূপ বিশ্বাস ছিল।
I pushed the poetry notebook into the oven for a girl. I saw the cry of my consciousness. In the semen - immediately, because it was not too late, I embraced that girl's body on the day of Ashoka-Sashti. Flowers without bumblebees bloomed in the blood.
This entire review has been hidden because of spoilers.