জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯। জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে | লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে । ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন । হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।
ইংরেজিতে সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে লেখা বই নিয়ে একটা বড়ো মাপের লাইব্রেরি ভরাট করে ফেলা যাবে। কিন্তু বাংলায় এই বিষয় নিয়ে লেখালেখি খুব একটা হয় না। ভেবেছিলাম, আলোচ্য উপন্যাসে হয়তো বাংলার পটভূমিতে রচিত একটি মৌলিক লেখা পাব। দুঃখের বিষয়, তা পাইনি। এটি একটি মার্কিন উপন্যাসের অনুবাদই বলা যায়। মৌলিকত্ব বলতে এতে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রবাসী চরিত্র ঢোকানো হয়েছে শুধু। কাহিনি হিসেবেও এটি এমন কিছু জোরালো নয়। কনোলি থেকে পিটারসন, হিগিন্স ক্লার্ক থেকে গ্র্যাফটন এমন বহু কাহিনি লিখে গেছেন যারা বুদ্ধিদীপ্ত প্লট, ধারালো সংলাপ এবং সত্যিকারের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এই বইয়ের তুলনায় আলোকবর্ষ এগিয়ে। এই বইটা, সখেদে জানাই, তেমন পোষাল না।
দু'জন খুনী, পরষ্পরের বন্ধু। একসাথে সুন্দরী মেয়েদের তুলে নিয়ে যায়, নির্যাতন করে ও খুন করে। তবে বর্ণনাতে কোনো নতুনত্ব নেই। গল্পের ঘটনাপ্রবাহ ধরা ও মনোযোগ ধরে রাখা খুব মুশকিল।