What do you think?
Rate this book
Blood Island: An Oral History of the Marichjhapi Massacre
'When the house of history is on fire, journalists are often the first-responders, pulling victims away from the flames. Deep Halder is one of them.' - Amitava Kumar In 1978, around 1.5 lakh Hindu refugees, mostly belonging to the lower castes, settled in Marichjhapi an island in the Sundarbans, in West Bengal. By May 1979, the island was cleared of all refugees by Jyoti Basu's Left Front government. Most of the refugees were sent back to the central India camps they came from, but there were many deaths: of diseases, malnutrition resulting from an economic blockade, as well as from violence unleashed by the police on the orders of the government. Some of the refugees who survived Marichjhapi say the number of those who lost their lives could be as high as 10,000, while the-then government officials maintain that there were less than ten victims. How does an entire island population disappear? How does one unearth the truth and the details of one of the worst atrocities of post-Independent India? Journalist Deep Halder reconstructs the buried history of the 1979 massacres through his interviews with survivors, erstwhile reporters, government officials and activists with a rare combination of courage, conscientiousness and empathy.
195 pages, Kindle Edition
First published May 25, 2019
37 people are currently reading
645 people want to read
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 91 reviews
March 10, 2024
গণহত্যার ক্ষত শুকায় না। মাটির বুকে গণকবরের ক্ষতও মিলিয়ে যায় না কখনো। আবার এমনও লাশ থাকে যারা সাড়ে তিন হাত মাটিও পায় না। জলে ভিজে পঁচে ঢোল হয়ে যায়। কুমিরে টেনে নিয়ে যায়। ডাঙায় ফিরলে শেয়াল-শকুনেরা ছিঁড়ে খায় হতভাগ্য সেসব শব। কিন্তু যতবার হিংসাদীর্ণ মানুষ ক্ষতবিক্ষত করেছে অন্য মানুষকে,যতবার রক্তে লাল হয়েছে হাসপাতালের সাদা বেডশীট, ততবার আহত-নিহত শরীরের নৈঃশব্দ্যের অতলান্তিকে জমাট বেঁধেছে স্মৃতির হিমবাহ। মিলান কুন্দেরা লিখেছিলেন,‘ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই হল আদতে ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াই।’আহত,অবশ মন চাইলেও ভুলতে পারে না দুঃসহ স্মৃতি। টিভির পর্দায় ভেসে উঠে কিশোরীর আবছায়া মুখ। নৈঃশব্দ্যের অতল খুঁড়ে সে তুলে আনে রক্তমাখা কথা- কীভাবে একদল উন্মত্ত পুরুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তার উপর,তার চোখের সামনে কীভাবে পরিবারের লোকজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল একদল রক্তলিপ্সু জানোয়ার। এভাবেই ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াই হয়ে ওঠে নৈঃশব্দ্যের বিরুদ্ধে কথার লড়াই। দ্বীপ হালদারের রক্তদ্বীপও অপার্থিব নৈঃশব্দ্যের কাফনে ফুটে ওঠা মরিচঝাঁপি গণহত্যার রক্তাক্ত মানচিত্রকে তুলে ধরেছে।দেশভাগ-উত্তর ভারতের ইতিহাস রচনায় ‘ওরাল টেস্টিমনি’ বা ‘মৌখিক সাক্ষ্য’ দীর্ঘ সময় ধরেই তো প্রায় ব্রাত্য রয়ে গেল। যদিও বিগত ২০-২৫ বছরে সেই পরিস্থিতি খানিকটা বদলে গেছে। এই বদলের শরিক হয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চল তথা পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে যে সব রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক দলিল রচিত হয়েছে, সেই তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন দীপ হালদারের ‘Blood Island’. এই বইতে এমন মানুষদের মৌখিক সাক্ষ্য স্থান পেয়েছে, যারা মরিচঝাঁপি গণহত্যার বীভৎসতাকে তাঁদের স্মৃতি ও সত্তার মেলবন্ধনে আরও একবার জাগিয়ে তুলেছেন।
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডায় ক্ষমতাসীন সরকারের মদদে হুটু উপজাতির লোকজন লক্ষলক্ষ টুটসিদের খুন করেছিলো। এই সম্পর্কে যখন মার্কিন কংগ্রেসের মেম্বার প্যাট্রিসিয়ার মুখের সামনে সাংবাদিকের মাইক্রোফোন থমকেছিলো, তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,‘রোয়ান্ডার এই ঘটনায় কেন মার্কিন সরকারের কোনো হেলদোল নেই? কেন এ ব্যাপারে দেশজুড়ে কোনো বিক্ষোভ কমর্সূচি দেখা যাচ্ছে না? কেনই বা মিডিয়ার লোকজন ব্যস্ত আছে টম হ্যাংকসের ফরেস্ট গাম্প নিয়ে? এমনকি কথা সরছে না রোয়ান্ডার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মুখেও?’
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন,‘এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, মার্কিন সরকার চাইলে নিজেদের
সেনা পাঠিয়ে মাত্র কয়েকঘণ্টায় থামিয়ে দিতে পারতো সেই গণহত্যা। এই যে আশ্চর্য নীরবতার কথা বলছো,তা অমূলক নয়। কিন্তু তুমি কি জান, গত কয়েক সপ্তাহে রোয়ান্ডার বিষয়ে উৎকণ্ঠিত মার্কিন নাগরিকদের অজস্র ফোনকল এসেছে আমার অফিসে? তারা সবাই আসলে রোয়ান্ডার বিপন্ন গোরিলা প্রজাতির অস্তিত্ব নিয়ে উৎকণ্ঠিত। তাদের প্রশ্ন ছিল,মার্কিন কংগ্রেস এই নিয়ে কী চিন্তা করছে? রোয়ান্ডার মানুষের জন্য একটিবারও আমার ফোন বেজে ওঠে নি।’
মরিচঝাঁপির পরিস্থিতিও কিন্তু একই। এই মরিচঝাঁপি কিন্তু খুব দূরে কোথাও নয়। আমাদেরই সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে। দেশভাগের পর এই মানুষদের নিজেদের ভিটেমাটি খুইয়ে ওই পারে যায় । সরকারি সিদ্ধান্তে সেখান থেকে দণ্ডকারণ্য, মালকানগিরি। আবার রাজনীতির খেলায় তুরুপের তাস হয়ে মরিচঝাঁপির সেই জনমানবশূন্য দ্বীপে ফিরে যায় হতভাগ্য এইসব রিফিউজি। সাতের দশকের শুরুতে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব সুরক্ষায় শুরু হয়েছিলো টাইগার প্রজেক্ট। বাদাবনের অসংখ্য মানুষকে উৎখাত করা হয়। সেই দশকের শেষে বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এলে প্রজেক্ট টাইগার এলাকায় মরিচঝাঁপি দ্বীপে এসে বসবাস করতে শুরু করে দণ্ডকারণ্যের কয়েক হাজার উদ্বাস্তু মানুষ। মরিচঝাঁপিকে বলা হতো, মাড আইল্যান্ড অর্থাৎ কাদার দ্বীপ। সেই কাদার দ্বীপকে উদয়াস্ত পরিশ্রমে এইসব রিফিউজিরা বদলে দিয়েছিলো বসবাসযোগ্য দ্বীপে। বাঘের বিপন্ন অস্তিত্বের দোহাই দিয়ে প্রথমে বলপ্রয়োগে তাদের হটানোর চেষ্টা করা হয়,তারপরে চলে অবরোধ ও নির্বিচারে গণহত্যা। রোয়ান্ডার গোরিলা থেকে সুন্দরবনের বাঘ—বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিপন্ন বন্যপ্রজাতি রক্ষার জন্য যত আন্দোলন হয়েছে,এসব হতভাগ্য মানুষকে বাঁচাতে সিকিভাগ প্রচেষ্টাও করা হয় নি।
লেখক দ্বীপ হালদার বইয়ের ভূমিকায় দেশভাগ পরবর্তী উদ্বাস্তু সমস্যার এই প্রেক্ষাপটটা সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই অংশে তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রাণ হাতে করে চলে আসা নিম্নবর্ণের উদ্বাস্তুদের প্রতি উচ্চবর্ণের শাসকের এক বিস্ময়কর বিমাতৃসুলভ উদাসীনতা। এরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি মরিচঝাঁপির বুকে রাষ্ট্র সংগঠিত হত্যালীলা। লেখক ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ দিয়ে শুরু করে দেশভাগ ও দণ্ডকারণ্য ঘুরে মরিচঝাঁপিতে এলেও, পাঠকের কাছে ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ অধরা থেকে যায়। স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলায় তফশিলি জাতির রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের প্রাণ-পুরুষ যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের নাম কোথাও না পেয়ে একটু হোঁচট খেতে হয়। দেশভাগ পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গেও নিম্নবর্ণের হিন্দু উদ্বাস্তুদের নিয়ে প্রথম রাজনৈতিক আন্দোলন সংগঠনের চেষ্টা করেছিলেন এই যোগেন্দ্রনাথই।
‘ওরাল টেস্টিমনি’-র প্রবক্তাদের মতে মৌখিক সাক্ষ্য হল মূলত একটি ‘লিসনিং আর্ট’ বা ‘শোনার শিল্প’। লেখকের কাজ মূলত সেখানে উপস্থিত থেকে ইতিহাস ও গল্পের সম্পর্ক স্থাপন করা। যদিও দীপ হালদার বইয়ের দ্বিতীয় লাইনেই লিখছেন যে মরিচঝাঁপি তাঁর ‘ওল্ডেস্ট মেমরি’। তার অনেক ভালমন্দের ঘুমপাড়ানি গানে মিশে আছে মরিচঝাঁপি। কারণ,ছেলেবেলায় দ্বীপের দেখভাল করার লোক ছিল মনা নামের একটি মেয়ে। তার নাম হয়েছিলো মনা নামের এক রিফিউজি ক্যাম্পের অনুসারে।
১২ টি বসন্ত সেই মনা শরনার্থী শিবিরে এবং আরেকটি সে কাটিয়েছিলো মরিচঝাঁপিতে। প্রায় নিষিদ্ধ আকর্ষণের মতো শোনা সেসব গল্পে দ্বীপ প্রথম শুনেছিলো গণহত্যার কথা,ধর্ষণের কথা। লেখক মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ডের যে নগ্ন রূপ প্রকাশ করেছেন, তাতে পাঠকের মনে হতেই পারে যে মরিচঝাঁপি শুধুই বাম সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ছবি। কথাটা তো বহুলাংশেই ঠিক। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বিভিন্ন তাচ্ছিল্য ভরা মন্তব্যেই তার প্রমাণ মেলে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, “কে কখন আসবেন, কোথা থেকে কত জন আসবেন সেজন্য কি আমরা দোকান সাজিয়ে বসে থাকবো? উদ্বাস্তুরা কোথায় যাচ্ছেন তাও বলছেন না। ওঁদের পিছন পিছন কি টিউবওয়েল এবং তাঁবু মাথায় করে ছুটব?” যদিও শোনা যায় ক্ষমতায় আসার আগে তিনি এবং রাম চট্টোপাধ্যায় নাকি চুপিচুপি এদের সঙ্গেই দেখা করতে দণ্ডকারণ্যে ছুটেছিলেন।
বইয়ের দ্বিতীয় অংশে নয়জন মানুষের মৌখিক সাক্ষাৎকারের বিবরণ দিয়েছেন দ্বীপ। সেখানে উপস্থিত মরিচঝাঁপিতে প্রত্যক্ষ ভাবে নিপীড়িত মনা গোলদার বা সন্তোষ সরকারের মতো মানুষ। আছেন সেই সময়ের আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত বা সেই মানুষদের অধিকার নিয়ে পরবর্তী সময়ে আইনি লড়াই করা অ্যাডভোকেট শাক্য সেন। আছেন নিরঞ্জন হালদার, জ্যোতির্ময় মণ্ডল, সফল হালদার। আছেন দলিত মানুষদের অধিকার নিয়ে নিরলস ভাবে লড়াই করে যাওয়া লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সর্বোপরি, এই তালিকা আলো করে আছেন তৎকালীন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়��। এই সমস্ত মানুষের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রায় ভুলতে বসা বছর চল্লিশ পার করা মরিচঝাঁপিকে লেখক পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।
ইতিহাসের পাতায় লেগে থাকা রক্তের দাগও শুকায় না। বোমাবর্ষণে শিশুদের হাসপাতাল গুঁড়িয়ে গেলে ধ্বংসস্তূপের ছাই, ঘিলু আর পোড়া গন্ধে মাখামাখি হয়ে থাকা টেডি বিয়ার কি একটা কবিতার জন্ম দিতে পারে? বলতে পারে,সাব কুছ ইয়াদ রাখকা জায়েগা? খণ্ড বিখণ্ড দেহ, আর্তনাদে ফেটে পড়া পলায়নপর মানুষ, কান ফাটানো শব্দে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের কনসেন্ট্রিক শকওয়েভে কাঁপতে থাকা দালানকোঠা দেখেও না দেখার ভান করাটা হয়তো সহজ,হয়তো ধারাপাতের মতো। এখন কেউ নিউরোটিক নয়,সমস্ত স্টিলের নার্ভ। অতিকায়,অনুভূতিহীন,অতন্দ্র অনলাইন। দ্বীপের এই রক্ত দ্বীপের চাপা চিৎকার আপনার ঘুম ভাঙাতে পারবে কি?
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডায় ক্ষমতাসীন সরকারের মদদে হুটু উপজাতির লোকজন লক্ষলক্ষ টুটসিদের খুন করেছিলো। এই সম্পর্কে যখন মার্কিন কংগ্রেসের মেম্বার প্যাট্রিসিয়ার মুখের সামনে সাংবাদিকের মাইক্রোফোন থমকেছিলো, তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,‘রোয়ান্ডার এই ঘটনায় কেন মার্কিন সরকারের কোনো হেলদোল নেই? কেন এ ব্যাপারে দেশজুড়ে কোনো বিক্ষোভ কমর্সূচি দেখা যাচ্ছে না? কেনই বা মিডিয়ার লোকজন ব্যস্ত আছে টম হ্যাংকসের ফরেস্ট গাম্প নিয়ে? এমনকি কথা সরছে না রোয়ান্ডার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মুখেও?’
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন,‘এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, মার্কিন সরকার চাইলে নিজেদের
সেনা পাঠিয়ে মাত্র কয়েকঘণ্টায় থামিয়ে দিতে পারতো সেই গণহত্যা। এই যে আশ্চর্য নীরবতার কথা বলছো,তা অমূলক নয়। কিন্তু তুমি কি জান, গত কয়েক সপ্তাহে রোয়ান্ডার বিষয়ে উৎকণ্ঠিত মার্কিন নাগরিকদের অজস্র ফোনকল এসেছে আমার অফিসে? তারা সবাই আসলে রোয়ান্ডার বিপন্ন গোরিলা প্রজাতির অস্তিত্ব নিয়ে উৎকণ্ঠিত। তাদের প্রশ্ন ছিল,মার্কিন কংগ্রেস এই নিয়ে কী চিন্তা করছে? রোয়ান্ডার মানুষের জন্য একটিবারও আমার ফোন বেজে ওঠে নি।’
মরিচঝাঁপির পরিস্থিতিও কিন্তু একই। এই মরিচঝাঁপি কিন্তু খুব দূরে কোথাও নয়। আমাদেরই সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে। দেশভাগের পর এই মানুষদের নিজেদের ভিটেমাটি খুইয়ে ওই পারে যায় । সরকারি সিদ্ধান্তে সেখান থেকে দণ্ডকারণ্য, মালকানগিরি। আবার রাজনীতির খেলায় তুরুপের তাস হয়ে মরিচঝাঁপির সেই জনমানবশূন্য দ্বীপে ফিরে যায় হতভাগ্য এইসব রিফিউজি। সাতের দশকের শুরুতে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব সুরক্ষায় শুরু হয়েছিলো টাইগার প্রজেক্ট। বাদাবনের অসংখ্য মানুষকে উৎখাত করা হয়। সেই দশকের শেষে বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এলে প্রজেক্ট টাইগার এলাকায় মরিচঝাঁপি দ্বীপে এসে বসবাস করতে শুরু করে দণ্ডকারণ্যের কয়েক হাজার উদ্বাস্তু মানুষ। মরিচঝাঁপিকে বলা হতো, মাড আইল্যান্ড অর্থাৎ কাদার দ্বীপ। সেই কাদার দ্বীপকে উদয়াস্ত পরিশ্রমে এইসব রিফিউজিরা বদলে দিয়েছিলো বসবাসযোগ্য দ্বীপে। বাঘের বিপন্ন অস্তিত্বের দোহাই দিয়ে প্রথমে বলপ্রয়োগে তাদের হটানোর চেষ্টা করা হয়,তারপরে চলে অবরোধ ও নির্বিচারে গণহত্যা। রোয়ান্ডার গোরিলা থেকে সুন্দরবনের বাঘ—বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিপন্ন বন্যপ্রজাতি রক্ষার জন্য যত আন্দোলন হয়েছে,এসব হতভাগ্য মানুষকে বাঁচাতে সিকিভাগ প্রচেষ্টাও করা হয় নি।
লেখক দ্বীপ হালদার বইয়ের ভূমিকায় দেশভাগ পরবর্তী উদ্বাস্তু সমস্যার এই প্রেক্ষাপটটা সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই অংশে তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রাণ হাতে করে চলে আসা নিম্নবর্ণের উদ্বাস্তুদের প্রতি উচ্চবর্ণের শাসকের এক বিস্ময়কর বিমাতৃসুলভ উদাসীনতা। এরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি মরিচঝাঁপির বুকে রাষ্ট্র সংগঠিত হত্যালীলা। লেখক ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ দিয়ে শুরু করে দেশভাগ ও দণ্ডকারণ্য ঘুরে মরিচঝাঁপিতে এলেও, পাঠকের কাছে ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ অধরা থেকে যায়। স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলায় তফশিলি জাতির রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের প্রাণ-পুরুষ যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের নাম কোথাও না পেয়ে একটু হোঁচট খেতে হয়। দেশভাগ পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গেও নিম্নবর্ণের হিন্দু উদ্বাস্তুদের নিয়ে প্রথম রাজনৈতিক আন্দোলন সংগঠনের চেষ্টা করেছিলেন এই যোগেন্দ্রনাথই।
‘ওরাল টেস্টিমনি’-র প্রবক্তাদের মতে মৌখিক সাক্ষ্য হল মূলত একটি ‘লিসনিং আর্ট’ বা ‘শোনার শিল্প’। লেখকের কাজ মূলত সেখানে উপস্থিত থেকে ইতিহাস ও গল্পের সম্পর্ক স্থাপন করা। যদিও দীপ হালদার বইয়ের দ্বিতীয় লাইনেই লিখছেন যে মরিচঝাঁপি তাঁর ‘ওল্ডেস্ট মেমরি’। তার অনেক ভালমন্দের ঘুমপাড়ানি গানে মিশে আছে মরিচঝাঁপি। কারণ,ছেলেবেলায় দ্বীপের দেখভাল করার লোক ছিল মনা নামের একটি মেয়ে। তার নাম হয়েছিলো মনা নামের এক রিফিউজি ক্যাম্পের অনুসারে।
১২ টি বসন্ত সেই মনা শরনার্থী শিবিরে এবং আরেকটি সে কাটিয়েছিলো মরিচঝাঁপিতে। প্রায় নিষিদ্ধ আকর্ষণের মতো শোনা সেসব গল্পে দ্বীপ প্রথম শুনেছিলো গণহত্যার কথা,ধর্ষণের কথা। লেখক মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ডের যে নগ্ন রূপ প্রকাশ করেছেন, তাতে পাঠকের মনে হতেই পারে যে মরিচঝাঁপি শুধুই বাম সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ছবি। কথাটা তো বহুলাংশেই ঠিক। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বিভিন্ন তাচ্ছিল্য ভরা মন্তব্যেই তার প্রমাণ মেলে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, “কে কখন আসবেন, কোথা থেকে কত জন আসবেন সেজন্য কি আমরা দোকান সাজিয়ে বসে থাকবো? উদ্বাস্তুরা কোথায় যাচ্ছেন তাও বলছেন না। ওঁদের পিছন পিছন কি টিউবওয়েল এবং তাঁবু মাথায় করে ছুটব?” যদিও শোনা যায় ক্ষমতায় আসার আগে তিনি এবং রাম চট্টোপাধ্যায় নাকি চুপিচুপি এদের সঙ্গেই দেখা করতে দণ্ডকারণ্যে ছুটেছিলেন।
বইয়ের দ্বিতীয় অংশে নয়জন মানুষের মৌখিক সাক্ষাৎকারের বিবরণ দিয়েছেন দ্বীপ। সেখানে উপস্থিত মরিচঝাঁপিতে প্রত্যক্ষ ভাবে নিপীড়িত মনা গোলদার বা সন্তোষ সরকারের মতো মানুষ। আছেন সেই সময়ের আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত বা সেই মানুষদের অধিকার নিয়ে পরবর্তী সময়ে আইনি লড়াই করা অ্যাডভোকেট শাক্য সেন। আছেন নিরঞ্জন হালদার, জ্যোতির্ময় মণ্ডল, সফল হালদার। আছেন দলিত মানুষদের অধিকার নিয়ে নিরলস ভাবে লড়াই করে যাওয়া লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সর্বোপরি, এই তালিকা আলো করে আছেন তৎকালীন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়��। এই সমস্ত মানুষের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রায় ভুলতে বসা বছর চল্লিশ পার করা মরিচঝাঁপিকে লেখক পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।
ইতিহাসের পাতায় লেগে থাকা রক্তের দাগও শুকায় না। বোমাবর্ষণে শিশুদের হাসপাতাল গুঁড়িয়ে গেলে ধ্বংসস্তূপের ছাই, ঘিলু আর পোড়া গন্ধে মাখামাখি হয়ে থাকা টেডি বিয়ার কি একটা কবিতার জন্ম দিতে পারে? বলতে পারে,সাব কুছ ইয়াদ রাখকা জায়েগা? খণ্ড বিখণ্ড দেহ, আর্তনাদে ফেটে পড়া পলায়নপর মানুষ, কান ফাটানো শব্দে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের কনসেন্ট্রিক শকওয়েভে কাঁপতে থাকা দালানকোঠা দেখেও না দেখার ভান করাটা হয়তো সহজ,হয়তো ধারাপাতের মতো। এখন কেউ নিউরোটিক নয়,সমস্ত স্টিলের নার্ভ। অতিকায়,অনুভূতিহীন,অতন্দ্র অনলাইন। দ্বীপের এই রক্ত দ্বীপের চাপা চিৎকার আপনার ঘুম ভাঙাতে পারবে কি?
June 19, 2020
It's the first book that exposes the terrible crime committed by Communist government in West Bengal against 1.5 lakh Hindu refugees from Bangladesh in 1979. Read it and weep how Bengali Hindus fleeing their tormentors in East Pakistan (now Bangladesh) were massacred in West Bengal by a morally bankrupt Communist regime. Before election Left leaders told the Bangladeshi Hindu refugees that if they come to power they will bring them back to West Bengal. But nothing was done. Even organization like Rama Krishna Mission and Bharat Sevashram Sangha wanted to help them but the government did not allow them. Between 14 and 16 May 1979, in one of the worst human rights violations in post-independent India, the West Bengal government forcibly evicted around 10,000 or more from the island. There was rape, murder and poisoning. Bodies were buried in sea. Countless were killed even as some escaped, too afraid to tell the tale. At least 7,000 men, women and children were killed.’
A history that has conveniently been brushed under the carpet all these decades, thanks to the communist government in West Bengal. Even so called people's politician Mamata Banerjee has forgotten them. The Marichjhapi case not been opened.
A must read book.
Even now, nothing has changed much. Radical Islam is on rise in Bangladesh. In coming days the South Asia will witness a more intense Islamic terror. Even education is corrupted in madrassa. They are even changing the constitution from secular to Islamic country. Islamic teachings Madrassas follow a form of Deobandi Islam that was taught in the 1950s. This kind of slogan is there. “Amra sobai hobo Taliban, Bangla hobe Afghanistan”(“We will be the Taliban and Bangladesh will be Afghanistan”). They have already slaughtered so many Hindus, Buddhism and Christians in the name of religion. Ethnic Cleansing of Hindus in Hindu Population of East Bengal/East Pakistan/ Bangladesh. There are so many records and nothing has been done. And even now so many Bangladeshi are living in India illegally. Even they are living in Assam and changing the demographic of this state.
A history that has conveniently been brushed under the carpet all these decades, thanks to the communist government in West Bengal. Even so called people's politician Mamata Banerjee has forgotten them. The Marichjhapi case not been opened.
A must read book.
Even now, nothing has changed much. Radical Islam is on rise in Bangladesh. In coming days the South Asia will witness a more intense Islamic terror. Even education is corrupted in madrassa. They are even changing the constitution from secular to Islamic country. Islamic teachings Madrassas follow a form of Deobandi Islam that was taught in the 1950s. This kind of slogan is there. “Amra sobai hobo Taliban, Bangla hobe Afghanistan”(“We will be the Taliban and Bangladesh will be Afghanistan”). They have already slaughtered so many Hindus, Buddhism and Christians in the name of religion. Ethnic Cleansing of Hindus in Hindu Population of East Bengal/East Pakistan/ Bangladesh. There are so many records and nothing has been done. And even now so many Bangladeshi are living in India illegally. Even they are living in Assam and changing the demographic of this state.
September 17, 2019
Review : 4.5/5
The book revolves around the lesser known event of the Marichjhapi Massacre and how it affected as well as changed the lives of so many people. In the present day when we hear about the Rohingya refugees & the NRC being done in Assam to keep out “illegal immigrants”, Marichjhapi remains a bloody spot on the history of India. The partition of Bengal has been complex & so has been the creation of Bangladesh, while upper caste Bengali Hindus had already migrated to India the Namasudra Bengalis migrated after things got violent for them in Bangladesh. This collection of oral history takes us to their journey on how they were treated by different parties & governments and poses a pertinent question to us. When will we start treating human being as they should be?
Read the full review on Just Another Bookaholic
The book revolves around the lesser known event of the Marichjhapi Massacre and how it affected as well as changed the lives of so many people. In the present day when we hear about the Rohingya refugees & the NRC being done in Assam to keep out “illegal immigrants”, Marichjhapi remains a bloody spot on the history of India. The partition of Bengal has been complex & so has been the creation of Bangladesh, while upper caste Bengali Hindus had already migrated to India the Namasudra Bengalis migrated after things got violent for them in Bangladesh. This collection of oral history takes us to their journey on how they were treated by different parties & governments and poses a pertinent question to us. When will we start treating human being as they should be?
Read the full review on Just Another Bookaholic
October 21, 2019
It is the travesty of our times that crimes committed by the state on unarmed defenceless people go unpunished. Blood Island recreates the bone-chilling story of the gory state sanctioned massacre of Hindu Bengali refugees that had escaped from bangladesh. The left, first promised them shelter and accommodation to the hapless refugees but upon coming to power changed its policy and betrayed the very same people as they were deemed as a 'burden to the state'. According to Manoranjan Byapari, a survivor of the massacre, the communist government was motivated by casteist notions as the refugees were overwhelmingly namashudras. The book forms an eye opening account of a communist state's capacity for violence on state subjects.
June 18, 2019
Thank you Harper Collins for sending me the review copy.
Rating -
4 ⭐⭐⭐⭐ book.
Review -
i haven't read much in nonfiction category and not much at all in memories or biographies.
but when i was offered the book, after reading the blurb I accepted the review copy immediately.
Blood Island, is a book which will tell you about Marichjhapi Massacre. which we hardly know or many of us even haven't heard about it. how many times we have talked about Syrian and Afghanistan refugees? how many time we have read books about those unfortunate souls? Yet we don't know about refugees who crossed border from Bangladesh and came to live here in India in hope of fining a home in unknown land. the book talks about the horrific hidden truth about the refugees which came for a unknown future and met the fate no one had ever imagined.
The book is a collections of stories from such refugees. when 100 of thousands of Hindu refugees crossed border from Bangladesh to India they wanted to live a life which can have a decent future, but once again they were deceived by fate. the book talks how refugees were set to places where they can not live a proper life, how the camps were insufficient for even day to day living. and how the CPIM Party from Bangal gave them promise to established them back in Bangal, only to deceive.
when the refugees understood that all hopes are gone they some how found the small island in sundarban Marichjhapi and thousands of them migrated to the Marichjhapi island. life for once was looking good for them. They developed the island into a thriving town and were good enough to sustain by what they gain by hardwork. but again the same CPIM party goons won't like it as First the refugees were lower hindu cast Second they had shown such potential that they don't have to relay on CPIM (Left) government of state. which was again affect the vote bank of the comiss. so they forcefully evicted the island.
From the memories of the survivors of Marichjhapi you will know how the police bluntly killed thousands of people, the whole island was burned to ashes, huts were burned in the middle of night while people trapped inside and burned alive, people were killed in shooting, children and aged people killed due to hunger and illness. even accusations were made that police acting as goons for (CPIM party) poisoned the water supply of the Island and due to which many died. and all this was hidden by government and told that only 10 or less people were dead. no major reports were published in News papers or media.
every story has a heartbreaking ending. and must be heard.
people should know what happened in Marichjhapi . we all should know!! and we all should read the book
Rating -
4 ⭐⭐⭐⭐ book.
Review -
i haven't read much in nonfiction category and not much at all in memories or biographies.
but when i was offered the book, after reading the blurb I accepted the review copy immediately.
Blood Island, is a book which will tell you about Marichjhapi Massacre. which we hardly know or many of us even haven't heard about it. how many times we have talked about Syrian and Afghanistan refugees? how many time we have read books about those unfortunate souls? Yet we don't know about refugees who crossed border from Bangladesh and came to live here in India in hope of fining a home in unknown land. the book talks about the horrific hidden truth about the refugees which came for a unknown future and met the fate no one had ever imagined.
The book is a collections of stories from such refugees. when 100 of thousands of Hindu refugees crossed border from Bangladesh to India they wanted to live a life which can have a decent future, but once again they were deceived by fate. the book talks how refugees were set to places where they can not live a proper life, how the camps were insufficient for even day to day living. and how the CPIM Party from Bangal gave them promise to established them back in Bangal, only to deceive.
when the refugees understood that all hopes are gone they some how found the small island in sundarban Marichjhapi and thousands of them migrated to the Marichjhapi island. life for once was looking good for them. They developed the island into a thriving town and were good enough to sustain by what they gain by hardwork. but again the same CPIM party goons won't like it as First the refugees were lower hindu cast Second they had shown such potential that they don't have to relay on CPIM (Left) government of state. which was again affect the vote bank of the comiss. so they forcefully evicted the island.
From the memories of the survivors of Marichjhapi you will know how the police bluntly killed thousands of people, the whole island was burned to ashes, huts were burned in the middle of night while people trapped inside and burned alive, people were killed in shooting, children and aged people killed due to hunger and illness. even accusations were made that police acting as goons for (CPIM party) poisoned the water supply of the Island and due to which many died. and all this was hidden by government and told that only 10 or less people were dead. no major reports were published in News papers or media.
every story has a heartbreaking ending. and must be heard.
people should know what happened in Marichjhapi . we all should know!! and we all should read the book
September 24, 2019
Thanks to Mr.Ashish Iyer for recommending the book. Some book exposes naked truth in such a manner that one would like to avoid seeing truth. This book gives historical massacre of thousands of innocent Hindus from East Pakistan (now Bangladesh) who took shelter in a unknown island of Sunderban called Marichjhapi of West Bengal.
Author interviewed several victims who gave bone-chilling and macabre description of Govt. sponsored cold blooded calculated slaughtering of innocent Hindu refugees who themselves wanted to escape pogrom by Muslim of East Pakistan i.e. Bangladesh.
This book unmask the hypocrisy of Communists, who says they are for downtrodden classless caste-less proletariat, however in reality they will happily kill mass so that they can keep ruling. Facts say Communists were biggest mass murderer of history, even surpassed Nazi holocaust.
Author shows impartiality by interviewing minister and top police officer who were involved in that butchering and gives readers option to believe whatever they want. This is sign of a great book and equally great author.
Author interviewed several victims who gave bone-chilling and macabre description of Govt. sponsored cold blooded calculated slaughtering of innocent Hindu refugees who themselves wanted to escape pogrom by Muslim of East Pakistan i.e. Bangladesh.
This book unmask the hypocrisy of Communists, who says they are for downtrodden classless caste-less proletariat, however in reality they will happily kill mass so that they can keep ruling. Facts say Communists were biggest mass murderer of history, even surpassed Nazi holocaust.
Author shows impartiality by interviewing minister and top police officer who were involved in that butchering and gives readers option to believe whatever they want. This is sign of a great book and equally great author.
May 16, 2021
Who is a refugee? What are the factors that force a person to leave behind his/her country and migrate to a land completely unknown? How difficult will it be for a refugee to form a completely new identity and adapt to an alien culture? Such questions have always intrigued me. I also always wonder how strong or pathetic the circumstances must be for a person to be compelled to leave everything behind in his/her place of birth permanently only in the hope of surviving and finding a better life elsewhere. But what happens when such hope is shattered? The answers to most of these questions can be found in this book—Blood Island: An Oral History of the Marichjhapi Massacre authored by journalist Deep Haldar.
Let me be honest I had never heard about this island called Marichjhapi let alone having any clue about one of the worst massacres in the history of mankind! Thanks to Indic Book Club for sending this book to me else I wouldn't have known nor picked up this book. Blood Island is a compilation of interviews of the survivors of massacre, lawyers, journalists who fought for the cause of refugees and the then political leader in power who provide their account of the massacre. The book transports us back to mid 70s when lakhs of 'low caste' Hindu refugees migrate to India in the only hope of starting life afresh by escaping a huge turmoil in erstwhile East Bengal—unaware about much darker days that lie ahead of them. Unsatisfactory and poor living conditions at refugee camps drive large number of helpless refugees to stumble upon a lone and uninhabited island on Sundarbans. Marichjhapi turns out not just a piece of land but a child of these refugees who develop it into a self-sufficient economic unit with immense enthusiasm and zeal. But their happiness is short-lived; The then government of West Bengal orders a complete clearance of Marichjhapi. What then follows is a deadly massacre. After thousands of deaths, mass killings and gang rapes Marichjhapi is finally evacuated. May 1979 is no less than a holocaust of refugees albeit it did not make into 'mainstream news' of our country.
The author narrates the experiences of survivors and others witnesses in an interesting way. Nowhere does it feel it is some kind of a sob story rather readers can empathise with the refugees and survivors of the massacre. The book also sheds light on false promises of government, cheap politics and the nature of power hungry politicians who used refugees as pawns for securing their votes.
What was the reason behind such faulty decision of the government? How did the survivors deal with the trauma? Were they ever able to rebuild their lives? One should definitely read the book to unravel answer to these questions and most importantly to understand the lesser known incident in Indian history.
Let me be honest I had never heard about this island called Marichjhapi let alone having any clue about one of the worst massacres in the history of mankind! Thanks to Indic Book Club for sending this book to me else I wouldn't have known nor picked up this book. Blood Island is a compilation of interviews of the survivors of massacre, lawyers, journalists who fought for the cause of refugees and the then political leader in power who provide their account of the massacre. The book transports us back to mid 70s when lakhs of 'low caste' Hindu refugees migrate to India in the only hope of starting life afresh by escaping a huge turmoil in erstwhile East Bengal—unaware about much darker days that lie ahead of them. Unsatisfactory and poor living conditions at refugee camps drive large number of helpless refugees to stumble upon a lone and uninhabited island on Sundarbans. Marichjhapi turns out not just a piece of land but a child of these refugees who develop it into a self-sufficient economic unit with immense enthusiasm and zeal. But their happiness is short-lived; The then government of West Bengal orders a complete clearance of Marichjhapi. What then follows is a deadly massacre. After thousands of deaths, mass killings and gang rapes Marichjhapi is finally evacuated. May 1979 is no less than a holocaust of refugees albeit it did not make into 'mainstream news' of our country.
The author narrates the experiences of survivors and others witnesses in an interesting way. Nowhere does it feel it is some kind of a sob story rather readers can empathise with the refugees and survivors of the massacre. The book also sheds light on false promises of government, cheap politics and the nature of power hungry politicians who used refugees as pawns for securing their votes.
What was the reason behind such faulty decision of the government? How did the survivors deal with the trauma? Were they ever able to rebuild their lives? One should definitely read the book to unravel answer to these questions and most importantly to understand the lesser known incident in Indian history.
January 31, 2022
উগ্রবাম ন্যারেটিভের সূত্রপাত হয় ঠিক এভাবে -- চণ্ডালদের প্রতি বাঙালী ভদ্রলোকদের ঘৃণার ইতিহাস অনেক পূরানো । এই ঘৃণার প্রতিবাদে ১৮৭০ এর সময়ে নমশূদ্র’রা বাকরাগঞ্জ এবং ফরিদপুরে বর্ন হিন্দুদের সামাজিক বয়কট করা শুরু করেন , ধোপা নাপিত এমনকি বাবুদের জমিতে কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
তারপর ১৯২৮ সালে যশোরের মুসলমান এবং নমশূদ্র বর্গাদারেরা উচ্চ শ্রেণী হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালন করেন এবং উচ্চ পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করতে জমিদারদের বাধ্য করেন । ১৯৩৩ সালে এম সি রাজা কেন্দ্রীয় আইন সভায় অস্পৃশ্যতা বিলোপ বিল উত্থাপন করলে বাঙলার প্রত্যেক হিন্দু সদস্য এই বিলের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ।
অবশেষে এম সি রাজা শ্লেষপূর্ণ মন্তব্যে বলেন ‘ এটা বিস্ময়কর ………… বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্য বাঙলা প্রদেশের এবং তাঁরা বলেন যে ,সেখানে কোনো অস্পৃশ্যতা
নেই’।
অতিবাম ভাইবোনেরা খুব সুচারুভাবে যা উল্লেখ করেন না , তা হলো এই যে ১৯৩৬ -১৯৪৬ এই দীর্ঘ দশ বছর বাংলায় লীগের এবং কোয়ালিশন সরকারের সক্রিয় অংশীদার ছিল নমশূদ্র সম্প্রদায় । নমশূদ্রদের নেতা যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল কেবল মাত্র সুরাবর্দি’র মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী ছিলেন তাই নয় পরবর্তীতে স্বাধীন পাকিস্তানের কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির অস্থায়ী প্রধান এবং জিন্নার অধীন পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রী হয়েছিলেন ।
বল্লভ ভাই সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনাওয়ালা খারুশ রাজনেতা ছিলেন।
তাঁর ইশারায় মুম্বাই কংগ্রেস বাবা সাহেবের কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত করবেন করবেন, এমন আবহে বাঙলার নমশূদ্র ত্রাতা যোগেন, লীগের সমর্থনে আম্বেদকারকে বাঙলা থেকে নির্বাচিত করে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে পাঠান ।
যাই হোক, সে অন্য প্রসঙ্গ।
আমরা কথা বলছি মরিচঝাঁপি নিয়ে। ৪৬ থেকে ৫২ সালের পটভূমিকা একটু বুঝুন পাঠক।
৪৬ থেকে ৫২ সালের মধ্যে এপারে আসা বর্ণহিন্দুরা নানাবিধ সরকারী ও জবরদখল কলোনিতে স্থায়িত্ব লাভের পথে ।
মহান জনদরদী কম্যুনিস্ট পার্টি, সরকারী; ব্যক্তিগত এবং বেসরকারি জমি দখল করে উদ্বাস্তু বস্তি ও উদ্বাস্তুদের সমর্থনে আন্দোলন রত।
অন্যদিকে দেশভাগের পরের দিকে ওপার থেকে এপারে আসা হতদরিদ্র, নেতৃত্বহীন নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের বেছে বেছে পাঠিয়ে দেওয়া হতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে। যেমন ধরুন, কুপার্স ক্যাম্প, ধুবুলিয়া ক্যাম্প ইত্যদি ।
পশ্চিমবঙ্গে মূলত কলকাতার আশপাশে ভদ্রলোক বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের কলোনিতে তখন নমশূদ্রদের ঠাই নেই।
'সরকারী' মতে ইতিমধ্যে উদ্বাস্তু চাপে পশ্চিমবঙ্গ নাজেহাল। উপায় কী তাহলে?
উপায় এই যে '৫৩ সাল থেকে বেছে বেছে নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের আন্দামানে পাঠানো হতে থাকে। ১৯৫৬ সালে দণ্ডকারণ্য প্রোজেক্ট গড়ে ওঠে বাঙলা থেকে বহু দূরে।
দণ্ডকারণ্য ,মধ্যপ্রদেশ ,উড়িষ্যার মালকানগিরি এবং ভারতের বিভিন্ন দুর্গম প্রান্তে স্থান হতে থাকে এই সমস্ত হতদরিদ্র মূলত কৃষিজীবী নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের ।
সরকারী মতে ভারতের ১৬৪ টি দুর্গম জায়গায় এই অসহায় নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের ছড়িয়ে রাখা হয় । আবহমান কালের ছোটলোকদের প্রতি ঘৃণায় ভদ্রলোক বাঙ্গালী সমাজ ভুলে যায় এই সব হতদরিদ্র নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের নিয়তির কথা ।
ছাপ্পান্ন সালের পর কেটে যায় একে একে চোদ্দটা বছর।
সাম্যবাদী, হৃদয়বান, ভোট বুভুক্ষু বামপন্থী রাজনৈতিক নেতাদের এই হতভাগ্য উদ্বাস্তুদের কথা মনে পড়তে থাকে ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ।
তার আগে অবিশ্যি যুক্তফ্রন্ট সরকার এবং একাত্তরের কংগ্রেসি শাসনের মধ্যে দিয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ ।
রায়পুরের কাছে মানা ক্যাম্পে ১৯৭৪ সালে সি আর পি এফ এর গুলিচালনায় তিনজন উদ্বাস্তু মৃত্যুর পর মাননীয় সি.পি.আই.এম সাংসদ সমর মুখার্জির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি মণ্ডলী মানা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ।
জনসভা অনুষ্ঠিত হয় । সমর বাবু কেন্দ্রীয় পুনর্বাসন মন্ত্রীকে চিঠি লেখেন যে উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে পুনর্বাসন দেওয়া যেতে পারে ।
১৯৭৫ সালে'র জানুয়ারি মাসে নবরত্নের অন্যতম কমরেড জ্যোতি বসু, ভিলাইয়ে জনসভা শেষে উদ্বাস্তু নেতা সতীশ মণ্ডল এবংউদ্বাস্তুদের এক প্রতিনিধি মণ্ডলীর সাথে দেখা করে প্রতিশ্রুতি দেন যে সি. পি আই.এম ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে ,সুন্দরবন অঞ্চলে তাদের পুনর্বাসন দেবেন ।
১৯৭৭ সালে প্রথম জনদরদী বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে, উদ্বাস্তু নেতা সতীশ মণ্ডলের নেতৃত্বে দণ্ডকারণ্যের এক উদ্বাস্তু প্রতিনিধি মণ্ডলী রাইটার্সে বঙ্গেশ্বর জ্যোতি বসুর সাথে সাক্ষাৎকার এবং আশ্বাস অবশেষে দণ্ডকারণ্যে ফিরে গিয়ে ডাক দেন “ চলো সুন্দরবন “ ।
১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে দণ্ডকারণ্যের প্রথম উদ্বাস্তু দল মরিচঝাঁপিতে এসে পৌঁছান ।
যথারীতি ক্ষমতায় এসেই গিয়েই জ্যোতিবাবুরা ভুলে গেলেন প্রতিশ্রুতি। লাখ খানেক উদ্বাস্তুকে ফেরত পাঠানো হলো দণ্ডকারণ্যে।
কিন্তু হাজার চল্লিশেক তবু রয়ে গেলো মাটি কামড়ে। বাঘের কামড় খাবে, তবু দণ্ডকারণ্যে ফিরে যাবে না।
দুর্গম দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে বসতি গড়লো তারা। সরকারকে সাফ জানিয়ে দিলো, কোনো সাহায্য লাগবে না, শুধু বাধা না দিলেই খুশি।
এদেরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। বঙ্গেশ্বর বসু উদ্বাস্তু নেতাদের বললেন, যাচ্ছো ঠিক আছে, কিন্তু তোমাদের কোনো রকম সহায়তা করা হবে না। যা করার নিজেদেরই করে নিতে হবে।
রিফ্যুজিরা মেনে নিয়েছিলো তা।
সরকার যে একদম সহায়তা করেনি তাও ঠিক নয়। এদের বেকারি এবং ফিশিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিলো। এ ছিল একরকম মেনে নেওয়ারই নামান্তর।
সাত মাসের নিরলস পরিশ্রমে সোনা ফলালো রিফ্যুজিরা। আবাদী জমিতে ফসল ফলানোর পাশাপাশি মাছের ঘের তুলে বছরে ২০ কোটি টাকা সরকারকে লাভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলো তারা।
মরিচঝাঁপির সাফল্য উঠে এলো গণমাধ্যমেও। নিজেরাই সেখানে গড়ে তুললো জনপদ। রাস্তা তৈরি করলো, নদী থেকে মাছ ধরে খায়, বড় মাছ পেলে পাশের বাজারে বিক্রি করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তায় নিজেরাই স্কুল বসালো।
স্বপ্ন দেখলো নতুন করে।
জ্যোতি বসুর অহঙ্কারে লাগলো স্রেফ এটাই।
কোনও রকম সরকারী সাহায্য ছাড়া, পার্টির আনুকূল্য ছাড়াই একটা জঙ্গলে একদল অশিক্ষিত ছোটজাতের মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছে এটা হয়তো তার মার্ক্সবাদের অলিখিত লঙ্ঘন।
এবং এটা উদাহরণ হয়ে উঠলে লালদের জন্য ব্যাপক সমস্যা। নির্দেশ পাঠালেন, এদের জায়গা ছাড়তে হবে। ওজর দিলেন, এরা সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট করছে, বাঘের অভয়ারণ্য এদের কারণে বিপন্ন!
সব যুক্তিতেই বাকোয়াস্ ছিলো তা। রিজার্ভ ফরেস্টের মানচিত্রে মরিচঝাপির ওই জায়গাটুকু অন্তর্ভূক্ত ছিলো না কোনোকালেই। সিদ্ধান্তটা সার্বিকভাবে আরেকটু আগেই নেওয়া হয়েছিলো।
‘৭৮এর ১লা জুলাই সিপিএমের রাজ্যকমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো- যেসব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। চালালো নারকীয় তাণ্ডব।
বামফ্রন্টের শরীকদলের নেতাই যাকে বর্ণনা করেছেন 'জালিয়ানওয়ালাবাগকেও হার মানানো তাণ্ডব' বলে!
অর্থনৈতিক অবরোধ, ক্ষুধা এবং পিপাসায় ক্লান্ত মরিচঝাঁপির নমশূদ্র উদ্বাস্তুরা তাও ঘাস পাতা খেয়ে মাটি কামড়ে পরে থাকেন, জানেন বাবুরা?
খাদ্য হয়ে দাঁড়ায় গেঁড়ে গুগলি এবং নদীর ধারে গজানো যদু পালং শাক।
২৬শে জানুয়ারি, ভারতের গণতন্ত্র দিবসে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক অবরোধ, মধ্যে কিছুদিনের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে লঘু হলেও পুলিশের বোট এবং হার্মাদ বাহিনী ঘিরে রাখে মরিচঝাঁপি।
বাঙলার বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী সমাজের কাছে অশিক্ষিত নমশূদ্রদের প্রতি চূড়ান্ত মানব অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ততদিনে নন-ইস্যু ।
১৩ই মে ১৯৭৯ শুরু হয় চূড়ান্ত আক্রমণ -পুলিশ এবং স্থানীয় সিপিএম গুন্ডা বাহিনী রাত্তিরের অন্ধকারে মরিচঝাঁপি আক্রমণ করে।
নিরস্ত্র অসহায় হতদরিদ্র উদ্বাস্তুদের কুঁড়ে ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া দিয়ে শুরু হয় নির্যাতন। ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা করা হয়। অধিকাংশ যুবক উদ্বাস্তুদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
অসহায় উদ্বাস্তু মহিলাদের গনধর্ষণ চলতে থাকে।
পলায়নরত উদ্বাস্তুদের নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
কমপক্ষে ১০০-১৫০ জন কে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় নদীর জলে।
তিন দিন ধরে তাণ্ডব চালানোর অবশেষে ১৬ই মে ১৯৭৯ মরিচঝাঁপি উদ্বাস্তু শূন্য হয়।
দীপ হালদারের বইতে ১৯৭৯ সালের মরিচঝাঁপির হত্যালীলার বীভৎসতা প্রকাশের যে প্রয়াস, তা উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর এই অংশের কথা মাথায় রেখেই।
আরও খোলসা করে বললে, দণ্ডকারণ্য বা মালকানগিরি থেকে ফেরত আসা নমঃশূদ্র উদ্বাস্তুদের প্রতি সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের স্বরূপ প্রকাশ।
১৯৭৯-র ২৪ এপ্রিল ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জনতা সংসদীয় দলের সম্পাদক মুরলী মনোহর জোশী মরিচঝাঁপি নিয়ে যে প্রতিবেদন পেশ করেন তাতে অন্তত ৭২ জনের না খেতে পেয়ে বা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল।
যদিও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে জগদীশচন্দ্র ‘মরিচঝাঁপি: নৈঃশব্দের অন্তরালে’ বইতে ১৯৭৯-র ৩১ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর কথা, আর ২৪ জানুয়ারি থেকে না খেতে পেয়ে, পচা খাবার খেয়ে বা বিষ মেশানো জল পান করে প্রায় ৩৭৬ জনের মৃত্যুর কথা বলেন।
এখানেই শেষ নয়।
এই বইতে অন্তত ২৩ জন ধর্ষিত মহিলার নাম ও ৪ জন মহিলার লিখিত অভিযোগপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আবার মনোরঞ্জন ব্যাপারী ‘ইতিবৃত্তে চণ্ডাল জীবন’-এর ‘মরিচঝাঁপি’ পর্বে অন্তত দু’হাজার লোকের মৃত্যু ও দুশো মহিলার ধর্ষিত হওয়ার কথা বলেছেন।
দীপ হালদার তাঁর মৌখিক সাক্ষীদের ভাষ্যে আরও একবার বেলাগাম করে দিয়েছেন সেই সব খুন, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক অবরোধের ইতিহাস, শিশুদের পানীয় জলে বিষ মেশানোর বৃত্তান্ত।
যদিও এ সবের কিছুই প্রশাসনিক মান্যতা পায়নি। হয়তো সে কারণেই সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দীপ হালদারকে অবলীলায় বলতে পারেন যে “মরিচঝাঁপিতে খুব বেশি হলে আট-দশ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।’’
তবে, রাজনীতির নিষ্ঠুর পরিহাসে ২০০৯-১০ সালে প্রধান বামবিরোধী দলটি মরিচঝাঁপির বিচার-বিভাগীয় তদন্ত চাইলেও মরিচঝাঁপি আজও অবহেলিত।
এই রিভিউ লেখার সময় পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে জানা নেই।
বামপন্থা সর্বশক্তিমান। কারণ ইহাই সত্য।
তারপর ১৯২৮ সালে যশোরের মুসলমান এবং নমশূদ্র বর্গাদারেরা উচ্চ শ্রেণী হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালন করেন এবং উচ্চ পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করতে জমিদারদের বাধ্য করেন । ১৯৩৩ সালে এম সি রাজা কেন্দ্রীয় আইন সভায় অস্পৃশ্যতা বিলোপ বিল উত্থাপন করলে বাঙলার প্রত্যেক হিন্দু সদস্য এই বিলের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ।
অবশেষে এম সি রাজা শ্লেষপূর্ণ মন্তব্যে বলেন ‘ এটা বিস্ময়কর ………… বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্য বাঙলা প্রদেশের এবং তাঁরা বলেন যে ,সেখানে কোনো অস্পৃশ্যতা
নেই’।
অতিবাম ভাইবোনেরা খুব সুচারুভাবে যা উল্লেখ করেন না , তা হলো এই যে ১৯৩৬ -১৯৪৬ এই দীর্ঘ দশ বছর বাংলায় লীগের এবং কোয়ালিশন সরকারের সক্রিয় অংশীদার ছিল নমশূদ্র সম্প্রদায় । নমশূদ্রদের নেতা যোগেন্দ্র নাথ মণ্ডল কেবল মাত্র সুরাবর্দি’র মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী ছিলেন তাই নয় পরবর্তীতে স্বাধীন পাকিস্তানের কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির অস্থায়ী প্রধান এবং জিন্নার অধীন পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রী হয়েছিলেন ।
বল্লভ ভাই সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনাওয়ালা খারুশ রাজনেতা ছিলেন।
তাঁর ইশারায় মুম্বাই কংগ্রেস বাবা সাহেবের কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত করবেন করবেন, এমন আবহে বাঙলার নমশূদ্র ত্রাতা যোগেন, লীগের সমর্থনে আম্বেদকারকে বাঙলা থেকে নির্বাচিত করে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে পাঠান ।
যাই হোক, সে অন্য প্রসঙ্গ।
আমরা কথা বলছি মরিচঝাঁপি নিয়ে। ৪৬ থেকে ৫২ সালের পটভূমিকা একটু বুঝুন পাঠক।
৪৬ থেকে ৫২ সালের মধ্যে এপারে আসা বর্ণহিন্দুরা নানাবিধ সরকারী ও জবরদখল কলোনিতে স্থায়িত্ব লাভের পথে ।
মহান জনদরদী কম্যুনিস্ট পার্টি, সরকারী; ব্যক্তিগত এবং বেসরকারি জমি দখল করে উদ্বাস্তু বস্তি ও উদ্বাস্তুদের সমর্থনে আন্দোলন রত।
অন্যদিকে দেশভাগের পরের দিকে ওপার থেকে এপারে আসা হতদরিদ্র, নেতৃত্বহীন নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের বেছে বেছে পাঠিয়ে দেওয়া হতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে। যেমন ধরুন, কুপার্স ক্যাম্প, ধুবুলিয়া ক্যাম্প ইত্যদি ।
পশ্চিমবঙ্গে মূলত কলকাতার আশপাশে ভদ্রলোক বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের কলোনিতে তখন নমশূদ্রদের ঠাই নেই।
'সরকারী' মতে ইতিমধ্যে উদ্বাস্তু চাপে পশ্চিমবঙ্গ নাজেহাল। উপায় কী তাহলে?
উপায় এই যে '৫৩ সাল থেকে বেছে বেছে নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের আন্দামানে পাঠানো হতে থাকে। ১৯৫৬ সালে দণ্ডকারণ্য প্রোজেক্ট গড়ে ওঠে বাঙলা থেকে বহু দূরে।
দণ্ডকারণ্য ,মধ্যপ্রদেশ ,উড়িষ্যার মালকানগিরি এবং ভারতের বিভিন্ন দুর্গম প্রান্তে স্থান হতে থাকে এই সমস্ত হতদরিদ্র মূলত কৃষিজীবী নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের ।
সরকারী মতে ভারতের ১৬৪ টি দুর্গম জায়গায় এই অসহায় নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের ছড়িয়ে রাখা হয় । আবহমান কালের ছোটলোকদের প্রতি ঘৃণায় ভদ্রলোক বাঙ্গালী সমাজ ভুলে যায় এই সব হতদরিদ্র নমশূদ্র উদ্বাস্তুদের নিয়তির কথা ।
ছাপ্পান্ন সালের পর কেটে যায় একে একে চোদ্দটা বছর।
সাম্যবাদী, হৃদয়বান, ভোট বুভুক্ষু বামপন্থী রাজনৈতিক নেতাদের এই হতভাগ্য উদ্বাস্তুদের কথা মনে পড়তে থাকে ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ।
তার আগে অবিশ্যি যুক্তফ্রন্ট সরকার এবং একাত্তরের কংগ্রেসি শাসনের মধ্যে দিয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ ।
রায়পুরের কাছে মানা ক্যাম্পে ১৯৭৪ সালে সি আর পি এফ এর গুলিচালনায় তিনজন উদ্বাস্তু মৃত্যুর পর মাননীয় সি.পি.আই.এম সাংসদ সমর মুখার্জির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি মণ্ডলী মানা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ।
জনসভা অনুষ্ঠিত হয় । সমর বাবু কেন্দ্রীয় পুনর্বাসন মন্ত্রীকে চিঠি লেখেন যে উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে পুনর্বাসন দেওয়া যেতে পারে ।
১৯৭৫ সালে'র জানুয়ারি মাসে নবরত্নের অন্যতম কমরেড জ্যোতি বসু, ভিলাইয়ে জনসভা শেষে উদ্বাস্তু নেতা সতীশ মণ্ডল এবংউদ্বাস্তুদের এক প্রতিনিধি মণ্ডলীর সাথে দেখা করে প্রতিশ্রুতি দেন যে সি. পি আই.এম ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে ,সুন্দরবন অঞ্চলে তাদের পুনর্বাসন দেবেন ।
১৯৭৭ সালে প্রথম জনদরদী বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে, উদ্বাস্তু নেতা সতীশ মণ্ডলের নেতৃত্বে দণ্ডকারণ্যের এক উদ্বাস্তু প্রতিনিধি মণ্ডলী রাইটার্সে বঙ্গেশ্বর জ্যোতি বসুর সাথে সাক্ষাৎকার এবং আশ্বাস অবশেষে দণ্ডকারণ্যে ফিরে গিয়ে ডাক দেন “ চলো সুন্দরবন “ ।
১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে দণ্ডকারণ্যের প্রথম উদ্বাস্তু দল মরিচঝাঁপিতে এসে পৌঁছান ।
যথারীতি ক্ষমতায় এসেই গিয়েই জ্যোতিবাবুরা ভুলে গেলেন প্রতিশ্রুতি। লাখ খানেক উদ্বাস্তুকে ফেরত পাঠানো হলো দণ্ডকারণ্যে।
কিন্তু হাজার চল্লিশেক তবু রয়ে গেলো মাটি কামড়ে। বাঘের কামড় খাবে, তবু দণ্ডকারণ্যে ফিরে যাবে না।
দুর্গম দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে বসতি গড়লো তারা। সরকারকে সাফ জানিয়ে দিলো, কোনো সাহায্য লাগবে না, শুধু বাধা না দিলেই খুশি।
এদেরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। বঙ্গেশ্বর বসু উদ্বাস্তু নেতাদের বললেন, যাচ্ছো ঠিক আছে, কিন্তু তোমাদের কোনো রকম সহায়তা করা হবে না। যা করার নিজেদেরই করে নিতে হবে।
রিফ্যুজিরা মেনে নিয়েছিলো তা।
সরকার যে একদম সহায়তা করেনি তাও ঠিক নয়। এদের বেকারি এবং ফিশিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিলো। এ ছিল একরকম মেনে নেওয়ারই নামান্তর।
সাত মাসের নিরলস পরিশ্রমে সোনা ফলালো রিফ্যুজিরা। আবাদী জমিতে ফসল ফলানোর পাশাপাশি মাছের ঘের তুলে বছরে ২০ কোটি টাকা সরকারকে লাভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলো তারা।
মরিচঝাঁপির সাফল্য উঠে এলো গণমাধ্যমেও। নিজেরাই সেখানে গড়ে তুললো জনপদ। রাস্তা তৈরি করলো, নদী থেকে মাছ ধরে খায়, বড় মাছ পেলে পাশের বাজারে বিক্রি করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তায় নিজেরাই স্কুল বসালো।
স্বপ্ন দেখলো নতুন করে।
জ্যোতি বসুর অহঙ্কারে লাগলো স্রেফ এটাই।
কোনও রকম সরকারী সাহায্য ছাড়া, পার্টির আনুকূল্য ছাড়াই একটা জঙ্গলে একদল অশিক্ষিত ছোটজাতের মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছে এটা হয়তো তার মার্ক্সবাদের অলিখিত লঙ্ঘন।
এবং এটা উদাহরণ হয়ে উঠলে লালদের জন্য ব্যাপক সমস্যা। নির্দেশ পাঠালেন, এদের জায়গা ছাড়তে হবে। ওজর দিলেন, এরা সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট করছে, বাঘের অভয়ারণ্য এদের কারণে বিপন্ন!
সব যুক্তিতেই বাকোয়াস্ ছিলো তা। রিজার্ভ ফরেস্টের মানচিত্রে মরিচঝাপির ওই জায়গাটুকু অন্তর্ভূক্ত ছিলো না কোনোকালেই। সিদ্ধান্তটা সার্বিকভাবে আরেকটু আগেই নেওয়া হয়েছিলো।
‘৭৮এর ১লা জুলাই সিপিএমের রাজ্যকমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো- যেসব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। চালালো নারকীয় তাণ্ডব।
বামফ্রন্টের শরীকদলের নেতাই যাকে বর্ণনা করেছেন 'জালিয়ানওয়ালাবাগকেও হার মানানো তাণ্ডব' বলে!
অর্থনৈতিক অবরোধ, ক্ষুধা এবং পিপাসায় ক্লান্ত মরিচঝাঁপির নমশূদ্র উদ্বাস্তুরা তাও ঘাস পাতা খেয়ে মাটি কামড়ে পরে থাকেন, জানেন বাবুরা?
খাদ্য হয়ে দাঁড়ায় গেঁড়ে গুগলি এবং নদীর ধারে গজানো যদু পালং শাক।
২৬শে জানুয়ারি, ভারতের গণতন্ত্র দিবসে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক অবরোধ, মধ্যে কিছুদিনের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে লঘু হলেও পুলিশের বোট এবং হার্মাদ বাহিনী ঘিরে রাখে মরিচঝাঁপি।
বাঙলার বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী সমাজের কাছে অশিক্ষিত নমশূদ্রদের প্রতি চূড়ান্ত মানব অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ততদিনে নন-ইস্যু ।
১৩ই মে ১৯৭৯ শুরু হয় চূড়ান্ত আক্রমণ -পুলিশ এবং স্থানীয় সিপিএম গুন্ডা বাহিনী রাত্তিরের অন্ধকারে মরিচঝাঁপি আক্রমণ করে।
নিরস্ত্র অসহায় হতদরিদ্র উদ্বাস্তুদের কুঁড়ে ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া দিয়ে শুরু হয় নির্যাতন। ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা করা হয়। অধিকাংশ যুবক উদ্বাস্তুদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
অসহায় উদ্বাস্তু মহিলাদের গনধর্ষণ চলতে থাকে।
পলায়নরত উদ্বাস্তুদের নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
কমপক্ষে ১০০-১৫০ জন কে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় নদীর জলে।
তিন দিন ধরে তাণ্ডব চালানোর অবশেষে ১৬ই মে ১৯৭৯ মরিচঝাঁপি উদ্বাস্তু শূন্য হয়।
দীপ হালদারের বইতে ১৯৭৯ সালের মরিচঝাঁপির হত্যালীলার বীভৎসতা প্রকাশের যে প্রয়াস, তা উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর এই অংশের কথা মাথায় রেখেই।
আরও খোলসা করে বললে, দণ্ডকারণ্য বা মালকানগিরি থেকে ফেরত আসা নমঃশূদ্র উদ্বাস্তুদের প্রতি সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের স্বরূপ প্রকাশ।
১৯৭৯-র ২৪ এপ্রিল ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জনতা সংসদীয় দলের সম্পাদক মুরলী মনোহর জোশী মরিচঝাঁপি নিয়ে যে প্রতিবেদন পেশ করেন তাতে অন্তত ৭২ জনের না খেতে পেয়ে বা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল।
যদিও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে জগদীশচন্দ্র ‘মরিচঝাঁপি: নৈঃশব্দের অন্তরালে’ বইতে ১৯৭৯-র ৩১ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর কথা, আর ২৪ জানুয়ারি থেকে না খেতে পেয়ে, পচা খাবার খেয়ে বা বিষ মেশানো জল পান করে প্রায় ৩৭৬ জনের মৃত্যুর কথা বলেন।
এখানেই শেষ নয়।
এই বইতে অন্তত ২৩ জন ধর্ষিত মহিলার নাম ও ৪ জন মহিলার লিখিত অভিযোগপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আবার মনোরঞ্জন ব্যাপারী ‘ইতিবৃত্তে চণ্ডাল জীবন’-এর ‘মরিচঝাঁপি’ পর্বে অন্তত দু’হাজার লোকের মৃত্যু ও দুশো মহিলার ধর্ষিত হওয়ার কথা বলেছেন।
দীপ হালদার তাঁর মৌখিক সাক্ষীদের ভাষ্যে আরও একবার বেলাগাম করে দিয়েছেন সেই সব খুন, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক অবরোধের ইতিহাস, শিশুদের পানীয় জলে বিষ মেশানোর বৃত্তান্ত।
যদিও এ সবের কিছুই প্রশাসনিক মান্যতা পায়নি। হয়তো সে কারণেই সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দীপ হালদারকে অবলীলায় বলতে পারেন যে “মরিচঝাঁপিতে খুব বেশি হলে আট-দশ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।’’
তবে, রাজনীতির নিষ্ঠুর পরিহাসে ২০০৯-১০ সালে প্রধান বামবিরোধী দলটি মরিচঝাঁপির বিচার-বিভাগীয় তদন্ত চাইলেও মরিচঝাঁপি আজও অবহেলিত।
এই রিভিউ লেখার সময় পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে জানা নেই।
বামপন্থা সর্বশক্তিমান। কারণ ইহাই সত্য।
November 3, 2020
1905,1906, 1911, 1947, 1971-72; then May 1979 (Marichjhapi Massacre) and continues till date - Bengali Hindus lost their fate over and over again.
Marichjhapi Massacre :
In the name of the “mythical” equality for all, casteless and classless society, what CPI(M) has done is no less than the horrors unleashed by Stalin. How far did CPI(M) Govt of West Bengal go to retain power and to eliminate anybody exposing their horrors is unbelievable until you find that a massacre as horrible as the Bosnian Massacre happened right under the noses of billions of Indians in an Indian state in broad daylight extending over months and even after 40yrs 90% of India doesn’t know about this.
The bipartisan attitude of the Central Govt toward Bengalees refugees coupled up with the atrocious Communist Govt (hooking onto power in a Stalinist style) led to the massacre of close to 4000 refugees. Reporting was stopped and those slid through were arrested later and beaten black and blue till the media houses stopped reporting.
What had REALLY happened in Marichjhapi and how? Read in a tell all tale from the survivors of the bloody massacre and worst human rights violation incident in post independent India. That’s Communism for you folks !
1. Many of them were burnt alive while sleeping
2. Many more arrested only to be shot dead point blank and then bodies drowned into the river.
3. Kids of the age of 8-12 yrs who gathered in school to make arrangements for Saraswati Puja had heir heads smashed with bullets and mallets.
4. Babies died by drinking poisoned water which was mixed in the well marked for drinking water. Bodies was dropped in the river water.
5. Royal Bengal Tigers of entire Sundarbans turned man-eaters feeding on human flesh flooding around.
All for what? Because the refugees refused to side with the Left Front Govt and became self sufficient in building up their homeland. It irked the Govt, ironically one who professes humanity, that bloody refugees could thrive all by themselves and didn’t depend on them for help. They lost their VOTE BANK!
Were the refugees really disturbing the ecology of the Sundarbans? As per the High Court, NO. But even if they had, does that justify the massacre that was met out to them? All they needed was land which the State Govt denied. Was there no refugee resettlement in other areas in mainland Kolkata? Was West Bengal really had absolutely no space to accommodate refugees as far back as 1978-1979? Afterall the state has been flooded with millions of illegal immigrants till date. So why was it so difficult to accommodate refugees in 1978?
It’s even more a shocker as the CPI(M) had contested state elections on the promise of bringing refugees back from Dandakaranya to West Bengal and then back tracked once in power. Why was it that the state Govt went to extreme lengths to have the refugees go ANYWHERE in India BUT WEST BENGAL? What could have happened if they had got a land in WB?
In the name of power and equality, humanity was killed in Marichjhapi in 1979 - India slept !
Marichjhapi Massacre :
In the name of the “mythical” equality for all, casteless and classless society, what CPI(M) has done is no less than the horrors unleashed by Stalin. How far did CPI(M) Govt of West Bengal go to retain power and to eliminate anybody exposing their horrors is unbelievable until you find that a massacre as horrible as the Bosnian Massacre happened right under the noses of billions of Indians in an Indian state in broad daylight extending over months and even after 40yrs 90% of India doesn’t know about this.
The bipartisan attitude of the Central Govt toward Bengalees refugees coupled up with the atrocious Communist Govt (hooking onto power in a Stalinist style) led to the massacre of close to 4000 refugees. Reporting was stopped and those slid through were arrested later and beaten black and blue till the media houses stopped reporting.
What had REALLY happened in Marichjhapi and how? Read in a tell all tale from the survivors of the bloody massacre and worst human rights violation incident in post independent India. That’s Communism for you folks !
1. Many of them were burnt alive while sleeping
2. Many more arrested only to be shot dead point blank and then bodies drowned into the river.
3. Kids of the age of 8-12 yrs who gathered in school to make arrangements for Saraswati Puja had heir heads smashed with bullets and mallets.
4. Babies died by drinking poisoned water which was mixed in the well marked for drinking water. Bodies was dropped in the river water.
5. Royal Bengal Tigers of entire Sundarbans turned man-eaters feeding on human flesh flooding around.
All for what? Because the refugees refused to side with the Left Front Govt and became self sufficient in building up their homeland. It irked the Govt, ironically one who professes humanity, that bloody refugees could thrive all by themselves and didn’t depend on them for help. They lost their VOTE BANK!
Were the refugees really disturbing the ecology of the Sundarbans? As per the High Court, NO. But even if they had, does that justify the massacre that was met out to them? All they needed was land which the State Govt denied. Was there no refugee resettlement in other areas in mainland Kolkata? Was West Bengal really had absolutely no space to accommodate refugees as far back as 1978-1979? Afterall the state has been flooded with millions of illegal immigrants till date. So why was it so difficult to accommodate refugees in 1978?
It’s even more a shocker as the CPI(M) had contested state elections on the promise of bringing refugees back from Dandakaranya to West Bengal and then back tracked once in power. Why was it that the state Govt went to extreme lengths to have the refugees go ANYWHERE in India BUT WEST BENGAL? What could have happened if they had got a land in WB?
In the name of power and equality, humanity was killed in Marichjhapi in 1979 - India slept !
October 12, 2019
Before picking up this book, I had read a substantial amount of work on the Partition of India. Almost all of the books I had read on Partition dealt with the western border. Partition happened on the east side too. What was named as East Pakistan in 1947, became Bangladesh in 1971. Whereas, the influx of refugees on the western side was over by 1949, on the eastern side it continued from 1947 up until the years following the formation of Bangladesh. I find it strange that when I had a paper on Partition literature, none of the books prescribed talked about the east. Maybe this was the case because not much was written about it. Blood Island itself was published this year and I don’t know of any other book from the east on this subject.
The title itself is pretty revealing about the subject matter of the book. Marichjhapi is a small island in the Sundarbans where a group of refugees from Bangladesh had settled. That is not where the story of these people starts, before settling in Marichjhapi, they spent years in refugee camps spread across Odisha and Madhya Pradesh. In Marichjhapi, when life had started settling down for them, they were uprooted in the most violent manner. Men were shot, women carried off and gang raped, children killed and thrown into the river; it gets very depressing. To realise that all of this happened at the hands of state police makes one shudder at the ability of the state to unleash terror. The book is divided into nine chapters, each based on the interview the author has done with people who are the living memories of that tragedy. Although the author is a journalist, the stories are not written in the distant manner of news reports. He tells the stories with compassion and blends them with an empathetic and considerate narration.
The book not only unveils the forgotten history of Marichjhapi but also opens a dialogue about the current situation of refugees. The chest thumping politicians who want to send people back to their countries are not the only reason such massive blots of humanity become a reality. These tragedies happen because a lot of people choose nothing to do about it.
The title itself is pretty revealing about the subject matter of the book. Marichjhapi is a small island in the Sundarbans where a group of refugees from Bangladesh had settled. That is not where the story of these people starts, before settling in Marichjhapi, they spent years in refugee camps spread across Odisha and Madhya Pradesh. In Marichjhapi, when life had started settling down for them, they were uprooted in the most violent manner. Men were shot, women carried off and gang raped, children killed and thrown into the river; it gets very depressing. To realise that all of this happened at the hands of state police makes one shudder at the ability of the state to unleash terror. The book is divided into nine chapters, each based on the interview the author has done with people who are the living memories of that tragedy. Although the author is a journalist, the stories are not written in the distant manner of news reports. He tells the stories with compassion and blends them with an empathetic and considerate narration.
The book not only unveils the forgotten history of Marichjhapi but also opens a dialogue about the current situation of refugees. The chest thumping politicians who want to send people back to their countries are not the only reason such massive blots of humanity become a reality. These tragedies happen because a lot of people choose nothing to do about it.
June 8, 2019
I first encountered the name "Marichjhapi" in the run up to the 2011 WB state elections. The TMC activists were regularly bringing the name up, in order to corner the Communists. Words like murder and massacre were being thrown up, but when searched about the incident very little was unearthed by me. Cut to 2019, when I learned Mr. Halder is coming up with the book which would revisit the incident through the words of the people who were directly involved in the incident. Or were at least a part of its wake.
Blood Island is an extraordinary book, without politicizing the issue. It once again brings to the forefront the topic of step-motherly attitude taken towards the Hindu refugees form East Bangladesh as compared to the refugees from the West. Not much discussed in the book, for the obvious reason that it would be out of context, is the matter of the genocide and exodus the Hindus have faced in East Pakistan, which barely gets acknowledged or mentioned in mainstream history.
A very brave and bold book. The truth is sad apart from being uncomfortable. A bunch of people evicted from their homeland, just because they happened to be Hindus, gets massacred in a land which was "secular" in its roots, by an institution which was headed by a Leftist government who claimed to above "religion".
P.S. Please don't abuse a Pig by associating its name with Jyoti Basu.
Blood Island is an extraordinary book, without politicizing the issue. It once again brings to the forefront the topic of step-motherly attitude taken towards the Hindu refugees form East Bangladesh as compared to the refugees from the West. Not much discussed in the book, for the obvious reason that it would be out of context, is the matter of the genocide and exodus the Hindus have faced in East Pakistan, which barely gets acknowledged or mentioned in mainstream history.
A very brave and bold book. The truth is sad apart from being uncomfortable. A bunch of people evicted from their homeland, just because they happened to be Hindus, gets massacred in a land which was "secular" in its roots, by an institution which was headed by a Leftist government who claimed to above "religion".
P.S. Please don't abuse a Pig by associating its name with Jyoti Basu.
July 1, 2020
I should start by saying that I am not a political person. My default position is that politicians are assholes, irrespective of their (supposed) ideologies.
But at the same time I had some soft spot for left front in West Bengal, because of those same ideologies. Granted, I have neither read Das Kapital, nor do I know anything about their policies. But in my mind, these people were educated and had secular ideas; and hence must have been somewhat good.
This book changed that for me. How naive I was! The communist party destroyed a community because of politics and casteism! The irony. Now is the viewpoint presented here is the truth and nothing but the truth? I do not know! But the counter-viewpoint is given from the government personnel. And people in power never tell lies, right?!
Also as a side note, this book shows what journalism should be and what it was back in the day. What the media houses should do. The current news media is basically cancer.
But at the same time I had some soft spot for left front in West Bengal, because of those same ideologies. Granted, I have neither read Das Kapital, nor do I know anything about their policies. But in my mind, these people were educated and had secular ideas; and hence must have been somewhat good.
This book changed that for me. How naive I was! The communist party destroyed a community because of politics and casteism! The irony. Now is the viewpoint presented here is the truth and nothing but the truth? I do not know! But the counter-viewpoint is given from the government personnel. And people in power never tell lies, right?!
Also as a side note, this book shows what journalism should be and what it was back in the day. What the media houses should do. The current news media is basically cancer.
January 10, 2021
Blood Island: An Oral History of the Marichjhapi Massacre by Deep Halder, is a bone-chilling account of a forgotten episode of the history of West Bengal, India. A history that has been conveniently brushed under the carpet all these years, by the erstwhile communist government in the state.
Told through first person accounts of survivors, journalists covering the heinous incident, lawyers fighting for the rights of those disadvantaged people, ministers in power then who justify the police action...this book tries to bring out the sufferings of the Hindu refugees who came from Bangladesh, betrayed, brutalized and more often than not, left to die, by the state machinery. The narrative covers the journey of these men, women and children from their home in Bangladesh, to refugee camps in Dandakaranya, Madhya Pradesh and thereafter to Marichjhapi island in Sunderbans, West Bengal, where they meet their doom.
A must-read book, if one is interested in obscure historical events and the atrocities committed during the rule of the CPI(M)-led government in West Bengal.
4.25⭐
Told through first person accounts of survivors, journalists covering the heinous incident, lawyers fighting for the rights of those disadvantaged people, ministers in power then who justify the police action...this book tries to bring out the sufferings of the Hindu refugees who came from Bangladesh, betrayed, brutalized and more often than not, left to die, by the state machinery. The narrative covers the journey of these men, women and children from their home in Bangladesh, to refugee camps in Dandakaranya, Madhya Pradesh and thereafter to Marichjhapi island in Sunderbans, West Bengal, where they meet their doom.
A must-read book, if one is interested in obscure historical events and the atrocities committed during the rule of the CPI(M)-led government in West Bengal.
4.25⭐
June 7, 2019
Its such a shame we were not ever of this massacre. Very well documented book. Read this book to know how Communist-ruled Government of West Bengal betrayed Hindu refugees from Bangladesh. Highly recommended. Such kind of books should come in mainstream.
November 3, 2025
Like the saying goes "The only good communist is a dead communist". These creatures have not done anything worthwhile for this great nation of ours or another across the globe. Apart from creating genocide,Famine and third world country wherever they have been.
Blood Island is a blood curdling book on the massacre of Hindu refugees who were escaping genocide in a shit hole of a country right beside ours.
Imagine the trauma faced by these poor refugees who escaped a monster only to be killed by a bigger monster who disguise themselves of saviors of Humanity.
This the story that gets forgotten and ignored just like any other Genocide that happens to Modest of all the people Hindus.
Until recently thanks to Social Media and other book lover friends on this platform i had never heard of such a monstrosity that happened to our own people in a Democracy that had just got its freedom 30 years ago prior to this incident.
I wonder how these guys go unscathed after committing these type of horrors and get away is why i don't believe in this dumbocracy. I don't think these people will ever get justice. Momta who also chest thumps about herself being champion of social justice gave free ration and few Rs of money for their livelihood and went back to letting unclean turrukas from kanglu dirt land for her vote gains. Bengal still happens to be a lowlife state in the country.
A small horrendous read.
Blood Island is a blood curdling book on the massacre of Hindu refugees who were escaping genocide in a shit hole of a country right beside ours.
Imagine the trauma faced by these poor refugees who escaped a monster only to be killed by a bigger monster who disguise themselves of saviors of Humanity.
This the story that gets forgotten and ignored just like any other Genocide that happens to Modest of all the people Hindus.
Until recently thanks to Social Media and other book lover friends on this platform i had never heard of such a monstrosity that happened to our own people in a Democracy that had just got its freedom 30 years ago prior to this incident.
I wonder how these guys go unscathed after committing these type of horrors and get away is why i don't believe in this dumbocracy. I don't think these people will ever get justice. Momta who also chest thumps about herself being champion of social justice gave free ration and few Rs of money for their livelihood and went back to letting unclean turrukas from kanglu dirt land for her vote gains. Bengal still happens to be a lowlife state in the country.
A small horrendous read.
January 11, 2020
Blood Island
Written by - Deep Halder
Published by - @harpercollinsin
Reviewing this book since the recent implementation of NRC in Assam. Know about the Hindu refugees in Bengal -
Marichjhapi is a mangrove island near Dhamakhali, Subdarbans in West Bengal. Sundarban delta has 104 island out of which 54 have human settlement.
The story succintly deals with the survivor accounts of Hindu refugees from Bangladesh who after being uprooted from their homeland, were facing displacement and how they were betrayed by the leftist govt in the state in 1970s. It has eye-opening and heart breaking accounts of the cold blooded massacre of the refugees, worst man made carnage of human beings.
It is written with empathy and mentions the economic blockade from the state govt and intervention by local police, their conditions which were beyond deplorable, facing atrocities from the govt.
It portrays a gray picture of the Jyoti Basu govt and their unpardonable mistake against the state aided pogrom against the Bengali refugees who had settled in Marichjhapi island in the wake of liberation of Bangladesh.
Many lost their loved ones, children killed, women raped, many went missing.
Tigers of Sundarbans developed taste for human flesh from the dead of Marichjhapi and turned into Man-eaters !
The book is gripping and informative written in a lucid language.
The writer has taken pain-staking effort to compile and encapsulate the data from various journalists and eye witnesses.
Reader rating 5/5
Reviewed by Ankush Rai for Get the facts History
IG @getthefactshistory
Written by - Deep Halder
Published by - @harpercollinsin
Reviewing this book since the recent implementation of NRC in Assam. Know about the Hindu refugees in Bengal -
Marichjhapi is a mangrove island near Dhamakhali, Subdarbans in West Bengal. Sundarban delta has 104 island out of which 54 have human settlement.
The story succintly deals with the survivor accounts of Hindu refugees from Bangladesh who after being uprooted from their homeland, were facing displacement and how they were betrayed by the leftist govt in the state in 1970s. It has eye-opening and heart breaking accounts of the cold blooded massacre of the refugees, worst man made carnage of human beings.
It is written with empathy and mentions the economic blockade from the state govt and intervention by local police, their conditions which were beyond deplorable, facing atrocities from the govt.
It portrays a gray picture of the Jyoti Basu govt and their unpardonable mistake against the state aided pogrom against the Bengali refugees who had settled in Marichjhapi island in the wake of liberation of Bangladesh.
Many lost their loved ones, children killed, women raped, many went missing.
Tigers of Sundarbans developed taste for human flesh from the dead of Marichjhapi and turned into Man-eaters !
The book is gripping and informative written in a lucid language.
The writer has taken pain-staking effort to compile and encapsulate the data from various journalists and eye witnesses.
Reader rating 5/5
Reviewed by Ankush Rai for Get the facts History
IG @getthefactshistory
June 14, 2020
Brilliant narrative and a fast paced way of bringing out the factual events.
June 17, 2019
Must-read to know Bengal's dark history
What we know as history isn't always a true retelling of the past. And often, history is hidden by falsehoods and a complete whitewashing of facts. Blood Island does the commendable job of uncovering the real bloody history of Bengal, a blot on its existence, carefully covered up by the Left, which ruled it for 34 years. The author takes up the painstaking task of tracking down survivors of this cold-blooded massacre,people who lost their loved ones, their homes. It also has the voice of the 'other', a representative of the very party blamed for the bloodshed. In this, it's truly unbiased.
It lives up to its name of being a truly oral history, and not once do the author's personal biases come through. Really interesting read.
What we know as history isn't always a true retelling of the past. And often, history is hidden by falsehoods and a complete whitewashing of facts. Blood Island does the commendable job of uncovering the real bloody history of Bengal, a blot on its existence, carefully covered up by the Left, which ruled it for 34 years. The author takes up the painstaking task of tracking down survivors of this cold-blooded massacre,people who lost their loved ones, their homes. It also has the voice of the 'other', a representative of the very party blamed for the bloodshed. In this, it's truly unbiased.
It lives up to its name of being a truly oral history, and not once do the author's personal biases come through. Really interesting read.
June 17, 2019
It's a brilliant book with a gripping narrative. This would come as a nightmare for Leftist politicians and intellectuals. The survivor accounts of Hindu refugees from Bangladesh who were betrayed and brutalised by the Leftists makes every page worth re-reading. Had to finish the book in one go. The narrative will leave you teary-eyed. It's a must read.
July 6, 2019
An exploration of what happened in this tiny island of Sunderbands when Hindu refugees from Bangladesh (then East Pakistan) came to India as refugees through personal anecdotes of victims and journalists. Deep Halder has managed to bring to light a massacre of epic proportions by the erstwhile Communist government of Bengal.
January 20, 2020
Great eye opener
This book was waiting to be wriiten. Finally got life through Mr. Deep Halder. There could have been a lot more written from a detailed historical perspective, covering people of religion, castes, government, various groups, the construction of the village, their economic growth etc. One day, may be!
This book was waiting to be wriiten. Finally got life through Mr. Deep Halder. There could have been a lot more written from a detailed historical perspective, covering people of religion, castes, government, various groups, the construction of the village, their economic growth etc. One day, may be!
October 27, 2019
The book is a collection of anecdotes put out by people who have witnessed the "massacre" closely. Though, well written it doesn't take into account the government's side of the story. Hence it sounds more like propaganda than concrete evidence.
January 1, 2020
If these stories are true then it's biggest hidden massacre in indian history.
Leftist government brutally controlled the local media and prevented these stories to reach out.
But, भगवान के घर देर है लेकिन अंधेर नही है।
Leftist government brutally controlled the local media and prevented these stories to reach out.
But, भगवान के घर देर है लेकिन अंधेर नही है।
June 23, 2019
Thank you Mr Halder for letting me know about this terrible inhuman incident. Truly we are the worst creatures ever to roam this planet !
December 31, 2019
I found deeply moved to these stories of people who got displaced in Bengal so long ago.. books like these and Suketu Mehtas This land is our land changes your perspective of immigrants
January 10, 2022
“Blood Island: An Oral History of the Marichjhapi Massacre” என்று பெயர் வைக்கும் அளவுக்கு இந்த நிகழ்வு கொடூரமானதா என்றால், ஆமாம் கொடூரமானது. சிந்தாந்த பார்வைகளை கொஞ்சம் தள்ளிவைத்து அணுகினால் இதை நிகழ்த்தியது ஹிட்லரோ!! என்றே தோன்றும். இந்த அரச வன்முறையில் பாதிக்கப்பட்ட மக்களின் அனுபவ பகிர்வுகளின் தொகுப்பு தான் இந்நூல். நூலாசிரியர் ஒரு ஊடகர்.இந்த அரச வன்முறையால் பாதிக்கப்பட்டவரும் கூட. இதற்கு முன் P.Sainath எழுதிய “Everybody Loves a Good Drought”, K.A. Manikumar எழுதிய “Murder in Mudhukalathur”, Urvashi Butalia எழுதிய “The Other Side of Silence” போன்றவை எல்லாம் விளிம்புநிலை மக்களின் வாழ்க்கையில் அரசும்-வன்முறையும் எவ்வித எதிர்மறை தாக்கங்களை ஏற்படுத்தியுள்ளது என்பது பற்றி பதிவு செய்யப்பட்ட ஆவணங்களாக சொல்வேன்(நான் வாசித்த வரையில்).
அந்த வகையில் இந்நூல் முக்கியமானது,, பாட்டாளி வர்க்கத்துக்காக அரசியல் செய்கிறோம் என்று சொல்லி கொள்ளும் (கொல்லும்)பார்ப்பன கம்யூனிஸ்டுகள் அதிகாரத்திற்கு வந்ததும் எப்படி மனித தன்மை அற்றவர்களாக மாறி போகிறார்கள் என்பதை வெளிச்சம் போட்டு காட்டுகிறது. இயற்கை வளத்தை காக்கிறோம் என்று மனிதர்களை வெளியேற்றி கொத்து கொத்தாக கொன்று குவிக்கிறார்கள். Citizen திரைப்படம் கண் முன் வந்து செல்கிறது. அதில் வரும் காட்சிகளோடு Marichjhapiயில் நடந்த நிகழ்வுகளும் பொருந்தி போகின்றன.
சரியாக எமெர்ஜென்சி முடிந்து, மொராஜ் தேசாய் பிரதமராக இருக்கும் காலகட்டத்தில் இது நடக்கிறது,ஜோதி பாசு கட்டவிழ்த்துவிட்ட வன்முறைகள் எல்லாம் அவரின் அதிகார மமதையின் விளைவு என்கிறார்கள் இதனால் பாதிக்கப்பட்டவர்கள்.
இது உயர்சாதி கம்யூனிஸ்டுகள் ஒடுக்கப்பட்ட மக்கள் மீது தொடுத்த அரச பயங்கரவாதம். ஊடகங்களின் வாயை அடைத்து இப்படி ஒரு சம்பவம் நடக்கவே இல்லை என்று மக்களை நம்பவும் வைத்தார்கள், இந்த புத்தகம் வாய்வழி வரலாற்று நூலாக வெளிவருவதற்கு காரணம் இது தான், அதையும் மீறி சில பத்திரிகைகள் செய்தி வெளியிட்டன இதனால் அந்த செய்தி நிறுவனங்களின் அலுவலகங்கள் அடித்து நொறுக்கப்பட்டது. ஜனநாயகத்தின் நான்காவது தூண் இல்லாமல் போகும்பட்சத்தில் சர்வாதிகாரம் மக்களை எப்படி நடத்தும் என்பதற்கு இந்த நிகழ்வு சிறந்த சாட்சி.
Marichjhapi படுகொலையை புரிந்துகொள்ள சில அடிப்படை வரலாறு தேவை படுகிறது, இந்தியா- பாகிஸ்தான்(1947) பிரிவினைக்கு பிறகு வங்கதேசத்தில்(அப்போதைய கிழக்கு பாகிஸ்தான்) இருந்த பெரும்பாலான ஒடுக்கப்பட்ட ஹிந்துக்கள் மேற்கு வங்கத்துக்கு இடம்பெயர்கிறார்கள், கிழக்கு பாகிஸ்தானில் இந்து-முஸ்லிம் கலவரம் அதிகரிக்க அதிகரிக்க ஒடுக்குப்பட்ட இந்துகளின் வெளியேற்றமும் அதிகரிக்க தொடங்கியது. வங்கதேச விடுதலைக்கு(1972) பிறகு இது இன்னும் வீரியமாக நடந்தேறியது, இவர்கள் அனைவரும் Dandakaranya(சத்தீஸ்கர், ஒதிஷா, தெலுங்கானா மாநில பகுதிகளாலானது) என்ற பகுதியில் இருக்கும் அகதிகள் முகாம்களில் தங்கவைக்க பட்டிருந்தார்கள்.
மேற்கு வங்கத்தில் இடது முன்னணி(Left front) ஆட்சிக்கு வந்த பிறகு இந்த இடத்திலிருந்த அகதிகள் எல்லாம் Sundharban Regionஅருகில் இருக்கும் Maichjhapi என்கிற தீவுக்கு இடம்பெய���்கிறார்கள், அந்த தீவை இடப்பெயர்வுக்கு உகந்த இடமாக காட்டியதும் ஒரு கம்யூனிஸ்ட் கட்சிகாரர்(Marxist) என்றே சொல்கிறார்கள். தேர்தலுக்கு முன்பு வங்காளிகள் வாக்குகளை அறுவடை செய்ய இவர்களுக்கு இந்த அகதிகளின் ஆதரவு தேவை பட்டிருக்கிறது.
இது Reserved forest என்று சொல்லப்பட்டாலும், அந்த Marichjhapi தீவில் ஒரு சில தென்னை மரங்களை தவிர பெரிதாக எதுவும் இல்லை என்றே அறியமுடிகிறது. மேலும் இடம்பெயர்ந்தவர்களும் மரங்களை வெட்டவோ, சூழலை பாதிக்கும் செயல்களில் ஈடுபடவோ இல்லை. தண்ணீருக்கு கூட அருகில் இருக்கும் நிலப்பரப்புக்கு சென்று தான் சேகரிக்க வேண்டிய நிலை. பெரும்பாலான மக்கள் மீன் பிடி தொழில்களை செய்தும், இருக்கும் நிலத்தில் பயிர் செய்தும், பள்ளி, மருத்துவமனை என கட்டமைப்புகளை ஏற்படுத்திக்கொண்டும் தன்னிறைவுடனே இருந்துள்ளார்கள்.
பிறகு இவர்களை வெளியேற்ற என்ன காரணம்?, இந்த தீவுக்கு பண்டங்களை ஏற்றி செல்ல முடியாமல் தடுத்து நிறுத்தி மக்களை பட்டினியில் போட்டு கொன்றதற்கு என்ன காரணம்?, குடிசைகளை கொளுத்தி, குடிக்கும் நீரில் விஷம் கலந்து, துப்பாக்கி சூடுகள் நடத்தி, மக்களை கொன்று குவித்ததற்கு என்ன காரணம்? என்று தேடி பார்த்தால் ஜோதி பாசு என்கிற மிருகத்தின் Egoவும், அதிகார மமதையும் தான் கிடைக்கிறது. ஒடுக்கப்பட்ட மக்கள் மீது கட்டவிழ்க்கப்பட்ட அப்பட்டமான சாதி வெறி, அதையும் அரசே முன்னின்று நடத்திய கொடூரம் தான் இந்த வன்முறையின் உச்சக்கட்டம்.
இந்நூல் அந்த வன்முறை நிகழ்வினால் பாதிக்கப்பட்ட மனிதர்கனின் கதைகளை வெளிச்சத்திற்கு கொண்டு வருகிறது. வலிகளும், கண்ணீரும் பாகங்களை இழந்த உடல்களாலும் நிறைந்த கதைகள் இவை. பொருளாதார தடையினால் பட்டினி கிடந்து ஆற்றில் தூக்கி எறியப்பட்ட குழந்தைகளின் அமைதி குரல்களால் எழுதப்பட்ட வரிகள் இவை. துப்பாக்கி குண்டுகளால் கால்களையும், உயிரையும் இழந்து, வாழ இடத்தையும் இழந்து விரட்டி அடிக்கப்பட்ட அகதிகளின் கதைகள் இவை. நம்பிக்கை துரோகத்தின் கதைகள் இவைகள். சூழலுக்காக மனிதனை விரட்டி அடித்த பார்ப்பன கம்யூனிஸ்டுகளின் கதைகள் இவைகள். இத்தனையும் நடந்த பிறகு “Those things happen” என்று மனதில் துளி ஈரம் கூட இல்லாமல் சொன்ன ஒரு சர்வாதிகார அரசின் கதைகள் இவை. இந்த கதைகள் அனைவரும் அறிந்துகொள்ள வேண்டியவை, ஸ்டெர்லைட் துப்பாக்கி சூட்டை விட, அஸாமில் சமீபத்தில் நடந்த போலீஸ் துப்பாக்கி சூடுகளை விட இவை கொடூரமானவை. காட்சிப்படுத்தி பார்க்கவே பயமாக இருகிறது.
வாய்ப்பிருக்கும் நண்பர்கள் அவசியம் வாசியுங்கள். விரைவில் இந்நூல் Vilasini Ramani அவர்களின் மொழிபெயர்ப்பில் தமிழில் வெளியாக போவதை அறிந்தேன். அவருக்கு என் நன்றியும் அன்பும்.
அந்த வகையில் இந்நூல் முக்கியமானது,, பாட்டாளி வர்க்கத்துக்காக அரசியல் செய்கிறோம் என்று சொல்லி கொள்ளும் (கொல்லும்)பார்ப்பன கம்யூனிஸ்டுகள் அதிகாரத்திற்கு வந்ததும் எப்படி மனித தன்மை அற்றவர்களாக மாறி போகிறார்கள் என்பதை வெளிச்சம் போட்டு காட்டுகிறது. இயற்கை வளத்தை காக்கிறோம் என்று மனிதர்களை வெளியேற்றி கொத்து கொத்தாக கொன்று குவிக்கிறார்கள். Citizen திரைப்படம் கண் முன் வந்து செல்கிறது. அதில் வரும் காட்சிகளோடு Marichjhapiயில் நடந்த நிகழ்வுகளும் பொருந்தி போகின்றன.
சரியாக எமெர்ஜென்சி முடிந்து, மொராஜ் தேசாய் பிரதமராக இருக்கும் காலகட்டத்தில் இது நடக்கிறது,ஜோதி பாசு கட்டவிழ்த்துவிட்ட வன்முறைகள் எல்லாம் அவரின் அதிகார மமதையின் விளைவு என்கிறார்கள் இதனால் பாதிக்கப்பட்டவர்கள்.
இது உயர்சாதி கம்யூனிஸ்டுகள் ஒடுக்கப்பட்ட மக்கள் மீது தொடுத்த அரச பயங்கரவாதம். ஊடகங்களின் வாயை அடைத்து இப்படி ஒரு சம்பவம் நடக்கவே இல்லை என்று மக்களை நம்பவும் வைத்தார்கள், இந்த புத்தகம் வாய்வழி வரலாற்று நூலாக வெளிவருவதற்கு காரணம் இது தான், அதையும் மீறி சில பத்திரிகைகள் செய்தி வெளியிட்டன இதனால் அந்த செய்தி நிறுவனங்களின் அலுவலகங்கள் அடித்து நொறுக்கப்பட்டது. ஜனநாயகத்தின் நான்காவது தூண் இல்லாமல் போகும்பட்சத்தில் சர்வாதிகாரம் மக்களை எப்படி நடத்தும் என்பதற்கு இந்த நிகழ்வு சிறந்த சாட்சி.
Marichjhapi படுகொலையை புரிந்துகொள்ள சில அடிப்படை வரலாறு தேவை படுகிறது, இந்தியா- பாகிஸ்தான்(1947) பிரிவினைக்கு பிறகு வங்கதேசத்தில்(அப்போதைய கிழக்கு பாகிஸ்தான்) இருந்த பெரும்பாலான ஒடுக்கப்பட்ட ஹிந்துக்கள் மேற்கு வங்கத்துக்கு இடம்பெயர்கிறார்கள், கிழக்கு பாகிஸ்தானில் இந்து-முஸ்லிம் கலவரம் அதிகரிக்க அதிகரிக்க ஒடுக்குப்பட்ட இந்துகளின் வெளியேற்றமும் அதிகரிக்க தொடங்கியது. வங்கதேச விடுதலைக்கு(1972) பிறகு இது இன்னும் வீரியமாக நடந்தேறியது, இவர்கள் அனைவரும் Dandakaranya(சத்தீஸ்கர், ஒதிஷா, தெலுங்கானா மாநில பகுதிகளாலானது) என்ற பகுதியில் இருக்கும் அகதிகள் முகாம்களில் தங்கவைக்க பட்டிருந்தார்கள்.
மேற்கு வங்கத்தில் இடது முன்னணி(Left front) ஆட்சிக்கு வந்த பிறகு இந்த இடத்திலிருந்த அகதிகள் எல்லாம் Sundharban Regionஅருகில் இருக்கும் Maichjhapi என்கிற தீவுக்கு இடம்பெய���்கிறார்கள், அந்த தீவை இடப்பெயர்வுக்கு உகந்த இடமாக காட்டியதும் ஒரு கம்யூனிஸ்ட் கட்சிகாரர்(Marxist) என்றே சொல்கிறார்கள். தேர்தலுக்கு முன்பு வங்காளிகள் வாக்குகளை அறுவடை செய்ய இவர்களுக்கு இந்த அகதிகளின் ஆதரவு தேவை பட்டிருக்கிறது.
இது Reserved forest என்று சொல்லப்பட்டாலும், அந்த Marichjhapi தீவில் ஒரு சில தென்னை மரங்களை தவிர பெரிதாக எதுவும் இல்லை என்றே அறியமுடிகிறது. மேலும் இடம்பெயர்ந்தவர்களும் மரங்களை வெட்டவோ, சூழலை பாதிக்கும் செயல்களில் ஈடுபடவோ இல்லை. தண்ணீருக்கு கூட அருகில் இருக்கும் நிலப்பரப்புக்கு சென்று தான் சேகரிக்க வேண்டிய நிலை. பெரும்பாலான மக்கள் மீன் பிடி தொழில்களை செய்தும், இருக்கும் நிலத்தில் பயிர் செய்தும், பள்ளி, மருத்துவமனை என கட்டமைப்புகளை ஏற்படுத்திக்கொண்டும் தன்னிறைவுடனே இருந்துள்ளார்கள்.
பிறகு இவர்களை வெளியேற்ற என்ன காரணம்?, இந்த தீவுக்கு பண்டங்களை ஏற்றி செல்ல முடியாமல் தடுத்து நிறுத்தி மக்களை பட்டினியில் போட்டு கொன்றதற்கு என்ன காரணம்?, குடிசைகளை கொளுத்தி, குடிக்கும் நீரில் விஷம் கலந்து, துப்பாக்கி சூடுகள் நடத்தி, மக்களை கொன்று குவித்ததற்கு என்ன காரணம்? என்று தேடி பார்த்தால் ஜோதி பாசு என்கிற மிருகத்தின் Egoவும், அதிகார மமதையும் தான் கிடைக்கிறது. ஒடுக்கப்பட்ட மக்கள் மீது கட்டவிழ்க்கப்பட்ட அப்பட்டமான சாதி வெறி, அதையும் அரசே முன்னின்று நடத்திய கொடூரம் தான் இந்த வன்முறையின் உச்சக்கட்டம்.
இந்நூல் அந்த வன்முறை நிகழ்வினால் பாதிக்கப்பட்ட மனிதர்கனின் கதைகளை வெளிச்சத்திற்கு கொண்டு வருகிறது. வலிகளும், கண்ணீரும் பாகங்களை இழந்த உடல்களாலும் நிறைந்த கதைகள் இவை. பொருளாதார தடையினால் பட்டினி கிடந்து ஆற்றில் தூக்கி எறியப்பட்ட குழந்தைகளின் அமைதி குரல்களால் எழுதப்பட்ட வரிகள் இவை. துப்பாக்கி குண்டுகளால் கால்களையும், உயிரையும் இழந்து, வாழ இடத்தையும் இழந்து விரட்டி அடிக்கப்பட்ட அகதிகளின் கதைகள் இவை. நம்பிக்கை துரோகத்தின் கதைகள் இவைகள். சூழலுக்காக மனிதனை விரட்டி அடித்த பார்ப்பன கம்யூனிஸ்டுகளின் கதைகள் இவைகள். இத்தனையும் நடந்த பிறகு “Those things happen” என்று மனதில் துளி ஈரம் கூட இல்லாமல் சொன்ன ஒரு சர்வாதிகார அரசின் கதைகள் இவை. இந்த கதைகள் அனைவரும் அறிந்துகொள்ள வேண்டியவை, ஸ்டெர்லைட் துப்பாக்கி சூட்டை விட, அஸாமில் சமீபத்தில் நடந்த போலீஸ் துப்பாக்கி சூடுகளை விட இவை கொடூரமானவை. காட்சிப்படுத்தி பார்க்கவே பயமாக இருகிறது.
வாய்ப்பிருக்கும் நண்பர்கள் அவசியம் வாசியுங்கள். விரைவில் இந்நூல் Vilasini Ramani அவர்களின் மொழிபெயர்ப்பில் தமிழில் வெளியாக போவதை அறிந்தேன். அவருக்கு என் நன்றியும் அன்பும்.
February 9, 2020
Blood Island: An Oral History of the Marichjhapi Massacre, Deep Halder
‘Caste hatred led to Marichjhapi massacre’, says Manoranjan Byapari when Deep Halder asks him the reason for the institutional onslaught on refugees on May 1979. That refugees are identified based on caste, religion and class is in itself a failure for a government. To uproot them, kill them and erase their names from history is a wrong done against humanity. Halder’s Blood Island explores one of the worst massacres in post-independent Bengal, under the Left Front regime, to showcase how caste prejudice runs deep in a communist state. He has heard of Marichjhapi from Mana in his childhood. The sixth narrative of the book is that of Mana Goldar, daughter of Rangalal Goldar—one of the leaders who led the refugees from Dandakaranya to Marichjhapi. Mana derives her name from the camp that their family stayed in Raipur. It is poetically painful to see how she carries the identity of the camp throughout her life, in all her personal documents. The narratives in the book are immensely distressing as they make the readers uncomfortable. But not all life stories are of those who have witnessed the massacre. The book begins with Jyotirmay Mondal’s story. He draws the narrative around the figure of his father Sukhchand, depicting the miserable plight of the lower caste refugees in Dandakaranya, their efforts to come to Bengal in Sundarbans and their eventual resilience to rehabilitate in Marichjhapi. He, however, remains silent about Marichjhapi. Safal carries the Marichjhapi narrative forward. He is the messenger who informed the mainlanders in Calcutta of the unfoldings in Marichjhapi—a hero in his own right. Sukhoranjan Dasgupta is the journalist who covered the entire Marichjhapi episode. His reports on Marichjhapi are published on 18th May 1979 & 21st May 1979 in Anandabazar Patrika. The need to let the massacre remain forgotten is so apparent that even today policemen keep a close watch on the island, says Niranjan Halder, an anti-Left Front activist who sees through the deceptive nature of power as Mamata Banerjee does nothing to exonerate the wrongs of the former regime. Sakya Sen takes up the case for the refugees, but he loses the battle in the court. His findings, recording are never returned to him. Most importantly, Kanti Ganguly, the minister of Sundarbans affairs in 1979, maintains that only ten people are killed on days between14th to 16th May.
Halder considers it the worst pogrom in post-independent India, more significant than the 1984 anti-Sikh riots and 2002 Gujrat riots (p. 11). His book is a tribute to those whose names are forcibly erased from history.
‘Caste hatred led to Marichjhapi massacre’, says Manoranjan Byapari when Deep Halder asks him the reason for the institutional onslaught on refugees on May 1979. That refugees are identified based on caste, religion and class is in itself a failure for a government. To uproot them, kill them and erase their names from history is a wrong done against humanity. Halder’s Blood Island explores one of the worst massacres in post-independent Bengal, under the Left Front regime, to showcase how caste prejudice runs deep in a communist state. He has heard of Marichjhapi from Mana in his childhood. The sixth narrative of the book is that of Mana Goldar, daughter of Rangalal Goldar—one of the leaders who led the refugees from Dandakaranya to Marichjhapi. Mana derives her name from the camp that their family stayed in Raipur. It is poetically painful to see how she carries the identity of the camp throughout her life, in all her personal documents. The narratives in the book are immensely distressing as they make the readers uncomfortable. But not all life stories are of those who have witnessed the massacre. The book begins with Jyotirmay Mondal’s story. He draws the narrative around the figure of his father Sukhchand, depicting the miserable plight of the lower caste refugees in Dandakaranya, their efforts to come to Bengal in Sundarbans and their eventual resilience to rehabilitate in Marichjhapi. He, however, remains silent about Marichjhapi. Safal carries the Marichjhapi narrative forward. He is the messenger who informed the mainlanders in Calcutta of the unfoldings in Marichjhapi—a hero in his own right. Sukhoranjan Dasgupta is the journalist who covered the entire Marichjhapi episode. His reports on Marichjhapi are published on 18th May 1979 & 21st May 1979 in Anandabazar Patrika. The need to let the massacre remain forgotten is so apparent that even today policemen keep a close watch on the island, says Niranjan Halder, an anti-Left Front activist who sees through the deceptive nature of power as Mamata Banerjee does nothing to exonerate the wrongs of the former regime. Sakya Sen takes up the case for the refugees, but he loses the battle in the court. His findings, recording are never returned to him. Most importantly, Kanti Ganguly, the minister of Sundarbans affairs in 1979, maintains that only ten people are killed on days between14th to 16th May.
Halder considers it the worst pogrom in post-independent India, more significant than the 1984 anti-Sikh riots and 2002 Gujrat riots (p. 11). His book is a tribute to those whose names are forcibly erased from history.
February 6, 2021
The book exposes some brutal truths about what happened to the Hindu refugees who fled from Bangladesh (East Pakistan) to India in the hope to lead decent lives (or at the least have a place to live and be alive). May 14-16, 1979 were the darkest days where the sky, land, and sea turned red with blood, and the cries of the victims echoed in forced silence.
If the people responsible for the massacre weren't the self-proclaimed champions of the poor and needy, aka the Left Front govt., this incident would have been known by every single Indian. The survivors wouldn't still be waiting for justice even after the current WB CM promising to take up the cause and conveniently forgetting their existence.
***
Detailed review to follow.
If the people responsible for the massacre weren't the self-proclaimed champions of the poor and needy, aka the Left Front govt., this incident would have been known by every single Indian. The survivors wouldn't still be waiting for justice even after the current WB CM promising to take up the cause and conveniently forgetting their existence.
***
Detailed review to follow.
October 2, 2021
The book talked about a forgotten massacre by the leftist cabal in West Bengal in 1979. The government, however, had denied that any kind of massacre ever happened. That's why, a thorough investigation should be carried by the Indian government. If it's a fact, then these events should be discussed readily and be brought to light among the new generation of Indians.
The 'presumed' massacres of people fleeing the destitute camps, to a small island that later gets mercilessly cleared by the government is full of a gory narrative that frightens the readers.
The 'presumed' massacres of people fleeing the destitute camps, to a small island that later gets mercilessly cleared by the government is full of a gory narrative that frightens the readers.
April 7, 2021
Thank you to Indic Book Club's #1000Reviewers initiative for sending me a copy.
Given the topic, I was quite apprehensive about reading this book when I first received it. I was certain that this would be a heavy, depressing and critical read that I would languorously labour over for days (although the book itself has less than 200 pages). I was very wrong. I ended up finishing the book within two days, and read the majority of it in a single stretch. A big reason for this is the way Deep Halder has written this book.
The foremost quality is that it humanizes the voices of those who have been consciously ignored. While there is politics to this ignorance, this book is not telling that story. It doesn't treat the incident as a subject of an academic study delving into the exact hows, whens, and whys. Rather, true to its assertions, the book is an oral history of the massacre which calls upon the memories of a variety of people to piece together a lived story. This is perhaps one of the first times I've read a non-fictional book that is narrated by experiences from the beginning to the end. There is much to value in that. You are not just reading the same series of events from different perspectives, but rather, you are reading of different experiences occurring at the same time, perhaps at the hands of the same perpetrators. Each story is given is its own space and narrative freedom to speak of what the survivor or those associated with them (activists, journalists, lawyers, officials) thought of Marichjhapi many years down the line; what they personally went through, how they survived, who they held responsible for the crimes, what were their regrets, and what continues to haunt their conscience even today.
There is the pain of leaving one's childhood home and separation from family members on the other side of the border, losing one's ancestral land and community roots (many of the refugees were housed outside Bengal in lands that had been alien to them), the unimaginable courage of building a home and a life, over and over, only to watch it fall apart, the apathy and cruelty we have normalised as characteristic of a poor country's government, the struggle to take control of one's lives and build a society with one's bare hands...the list goes on.
This book makes you feel like you travelled with Halder and heard of the accounts first hand from the narrators (which is why I will use the word 'listen' rather than 'read' in later portions of this review); they are in full control of their stories, and they speak of their people and lives at Marichjhapi without reductive categorisation. You have to flip through the chapters to notice how the same people are mentioned again and again, how new people are brought into the story of the same incident told by another narrator, what later happened to the people whose story is left incomplete in a certain chapter, how the events chronologically fit together (some events will still defy this need to sequentialize), how the narrators differ over small details of their stories, and yet, they all reach full circle, so you don't have to do this exercise if you don't wish to, you can simply listen.
Many reviewers have expressed shock at learning how a government preaching for equality and classlessness can commit such horrific crimes. Some others have dismissed the book as overly emotional or one-sided. The truth remains that the Marichjhapi incident has been excluded from our history textbooks and memories, as though we should continue to live our lives denying the atrocities committed on those who came to India from the other side of the border after independence. Throughout the book, all I could think of is how as Indians our wounds of partition are so limited to the lands we lost rather than the people we lost of those lands. Those minorities who did not come to India and today suffer ethnic cleansing at the hands of majoritarian governments, and those who did come to India yet still suffered the cruelty of unwelcoming governments across the spectrum. It is that that truly stuck with me. I cannot thank Deep Halder enough for telling their stories and would recommend this book to anyone who wants to lend an ear to the stories being told.
Given the topic, I was quite apprehensive about reading this book when I first received it. I was certain that this would be a heavy, depressing and critical read that I would languorously labour over for days (although the book itself has less than 200 pages). I was very wrong. I ended up finishing the book within two days, and read the majority of it in a single stretch. A big reason for this is the way Deep Halder has written this book.
The foremost quality is that it humanizes the voices of those who have been consciously ignored. While there is politics to this ignorance, this book is not telling that story. It doesn't treat the incident as a subject of an academic study delving into the exact hows, whens, and whys. Rather, true to its assertions, the book is an oral history of the massacre which calls upon the memories of a variety of people to piece together a lived story. This is perhaps one of the first times I've read a non-fictional book that is narrated by experiences from the beginning to the end. There is much to value in that. You are not just reading the same series of events from different perspectives, but rather, you are reading of different experiences occurring at the same time, perhaps at the hands of the same perpetrators. Each story is given is its own space and narrative freedom to speak of what the survivor or those associated with them (activists, journalists, lawyers, officials) thought of Marichjhapi many years down the line; what they personally went through, how they survived, who they held responsible for the crimes, what were their regrets, and what continues to haunt their conscience even today.
There is the pain of leaving one's childhood home and separation from family members on the other side of the border, losing one's ancestral land and community roots (many of the refugees were housed outside Bengal in lands that had been alien to them), the unimaginable courage of building a home and a life, over and over, only to watch it fall apart, the apathy and cruelty we have normalised as characteristic of a poor country's government, the struggle to take control of one's lives and build a society with one's bare hands...the list goes on.
This book makes you feel like you travelled with Halder and heard of the accounts first hand from the narrators (which is why I will use the word 'listen' rather than 'read' in later portions of this review); they are in full control of their stories, and they speak of their people and lives at Marichjhapi without reductive categorisation. You have to flip through the chapters to notice how the same people are mentioned again and again, how new people are brought into the story of the same incident told by another narrator, what later happened to the people whose story is left incomplete in a certain chapter, how the events chronologically fit together (some events will still defy this need to sequentialize), how the narrators differ over small details of their stories, and yet, they all reach full circle, so you don't have to do this exercise if you don't wish to, you can simply listen.
Many reviewers have expressed shock at learning how a government preaching for equality and classlessness can commit such horrific crimes. Some others have dismissed the book as overly emotional or one-sided. The truth remains that the Marichjhapi incident has been excluded from our history textbooks and memories, as though we should continue to live our lives denying the atrocities committed on those who came to India from the other side of the border after independence. Throughout the book, all I could think of is how as Indians our wounds of partition are so limited to the lands we lost rather than the people we lost of those lands. Those minorities who did not come to India and today suffer ethnic cleansing at the hands of majoritarian governments, and those who did come to India yet still suffered the cruelty of unwelcoming governments across the spectrum. It is that that truly stuck with me. I cannot thank Deep Halder enough for telling their stories and would recommend this book to anyone who wants to lend an ear to the stories being told.
Displaying 1 - 30 of 91 reviews