শাইতান আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ। এতো সেই শাইত্বন যে কেঁদেছিল (৬) যখন মহান আল্লাহ্ তার বান্দাকে ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আয়াত নাযিল করেন, “তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন?”
আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আয়োজন এই বইটির।
বইটা ভাল। দু'আর পাওয়ার বা শক্তি সম্পর্কে আমরা সিংহভাগ মুসলিমরা গাফেল থাকি সর্বদা। আমাদের যেকোন দু'আ বা ফরিয়াদ আল্লাহর আরশে সাথে সাথেই পৌঁছে যায়। কোন মাধ্যম লাগে না এক্ষেত্রে; নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ ক্লিয়ার। তবে অনেকেই দু'আ করার পরেও দ্রুত কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ায় দু'আর ব্যাপারে হতাশ হয়ে যায়। ফলত, অনেকেই দু'আ থেকে বিমুখ হয়ে যায় পরবর্তীতে। আল্লাহ আমাদের সুবিধাজনক সময়ে আমাদের দু'আগুলো কবুল করে নেন। দু'আ সাথে সাথে কবুল না হলে হতাশার কিছু নেই। কারণ, মহান প্রতিপালক ঠিক সুবর্ন সময়েই আমাদের দু'আগুলো কবুল করেন যাতে আমরা দু'আ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বহুগুণে ভোগ করতে পারি। আর আল্লাহ ব্যতিত আর কে-ই বা আমাদের মোক্ষম সময়ের ব্যাপারে অবগত আছেন! তিনিই তো একমাত্র সর্বজান্তা। পুরো বইটি গল্পে গল্পে আপনাকে বারবার আমার উপরোক্ত কথাগুলোই আশা করি স্মরণ করিয়ে দেবে। বইটিতে দু'আ করা ও দু'আর পর সবর করা নিয়ে বেশ কিছু গল্প আছে। তবে বইটিতে ভাষাশৈলীগত দূর্বলতা পেয়েছি আমি। যতটুকু বুঝতে পারছি কোন একটি অনলাইন ইসলামিক ফোরামে প্রাপ্ত আর্টিকেল থেকে গল্পগুলো অনুবাদ করা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে যে, লেখক চাইলে আরও চমৎকার করে গল্পগুলো তুলে ধরতে পারতেন। এরপরেও বই এর সাথে জড়িত সকলকে আল্লাহ তা'আলা উত্তম জাযা প্রদান করুন। আমীন।
আসসালামু আলাইকুম . আমার কথাঃ আমাদের চারিপাশে নজর বুলালেই আমরা, ঈমান ও আকিদার এক বিস্তর দুরত্ব দেখতে পাই মুসলমান ও তার আমলের মাঝে। বর্তমানের আল্ট্রা মডার্ন সংস্কৃতির টানা পোড়নে ঈমান রক্ষা করা, গরম কয়লা হাতে রাখার মতই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে। একজন মুসলমান সকালবেলা ঘর থেকে বেরুবে ঈমানদার হয়ে, ঘরে ফিরবে কাফের হয়ে। এসব শেষ জামানার আলামত। আমাদের ঈমান রক্ষার্থে ও আল্লাহ'র প্রতি তাওয়াক্কুল করার প্রধান পন্থা অবিরত দোয়া করা, এবং দোয়ার সংস্পর্শে থাকা। আমাদের মন খারাপ হলে তাকে বলি ডিপ্রেশন, নির্ঘুমতাকে বলি ইনসমনিয়া৷ অথচ এসবের মূলে যেসব কারণ রয়েছে, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিতান্তই তুচ্ছ। আমাদের এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় দোয়া এক মোক্ষম উপায়৷ আমাদের ঈমানী দুর্বলতা যে, নফসের মধ্যে ভাইরাসের মতই আঁকড়ে ধরে আছে তা আমরা অধিকাংশই মানতে নারাজ। কেননা, 'আমি মুসলমান' বলতে বরাবরই মজা পাই আমরা, কিন্তু নিজের চালচলনে তার প্রভাব অত্যন্ত দুর্বল। যারা বই পড়তে অভ্যস্ত, এদের মধ্যে বহুজন রয়েছে যারা সঠিক নির্দেশনার অভাবে ঈমানের পথে আসতে পারছে না৷ তারা বহুপথ জানে কিন্তু সঠিক দিশা খুঁজে পায় না৷ এমনই এক সময়ে আমাদের সামনে আধুনিকতার পর্দার তলে লেখকগণ উপহার দিচ্ছেন দারুন দারুন বই। জাযাকাল্লাহু খ্বাইর। . বই আলোচনাঃ কভার, ছবিতে দৃশ্যমান। সোনালী বর্ণের লেখাটাতেই বইয়ের অর্ধেক পরিচয় মিলে যায়৷ মোট ৪৩ টি দোয়া কবুলের ঘটনা নিয়ে সাজানো রাজিব হাসানের 'দু'আ কবুলের গল্পগুলো' বইটি৷ . 'কা'বার কালো ইমাম' শিরোনামে থাকা গল্পটি পড়লে একজন মুসলমান দোয়ার অলৌকিকতার নিদর্শন সহজেই খুঁজে পাবে। কীভাবে সৌদি আরবের বাইরের পারস্য উপসাগর এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান কা'বার ইমাম হোন? সে গল্পই এখানে বলা হয়েছে। ইমাম আদিল কালবানী বলেন, "আল্লাহ আমার মা'র দোয়া কবুল করেছেন, আজ আমি কা'বার ইমাম হয়ে গেছি। " . মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, " সবচাইতে হতভাগা হলো সেই ব্যাক্তি, যে দোয়া করে না। " -সহীহ আল জামি- ১০৫৫ . এই বইয়ের দ্বিতীয় গল্প- ''ড. সায়ীদের একদিন"। যারা ইউটিউব/ফেসবুকে মাওলানা তারিক জামিল-এর ভিডিও দেখে থাকেন তারা হয়ত এই গল্প সেখানেও শুনে থাকবেন। ড. সায়ীদের বিমান যাত্রায় ব্যাঘাত, ভুল রাস্তায় গমন অতঃপর দোয়াকারী বান্দার ঘরে প্রবেশ সবই যেন স্বপ্নের মত৷ অথচ দোয়ার শক্তি কতটা প্রবল, কতটা নিখুঁত, কতটা বাস্তব তা আমরা কখনোই কল্পনাও করতে পারিনা৷ . 'আমার দু'আ হয়না কেন কবুল?'- নামের গল্পটি পড়লে সবরকারীর মেওয়া ফলার উদাহরণ ভাসতে থাকবে চোখের সামনে বাস্তবের মত। আল্লাহ'র প্রতি তাওয়াক্কুল করার পুরস্কার অবশ্যই পাবেন সকলেই। এ গল্পে তেমনই ঘটনা উল্লেখ করা আছে। . পৃথিবীতে দোয়ার ফযিলতের মত অলৌকিকতা অন্য কোনকিছুতেই পাওয়া যায় না৷ . এ বইয়ের শেষভাগে থাকা দোয়া কবুলের টিপসগুলো আমাকে খুব আগ্রহী করে তুলেছে, সেসব পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে। গুছিয়ে দোয়া করতে পারাও একটা শিল্প। আমরা সবাইই কমবেশি দোয়া করি অথচ কেমন করে দোয়া করলে, তা কবুল হবে, তা অধিকাংশই জানি না। নিজের জন্য নিজেই দোয়া করা উত্তম, অথচ আমরা দোয়ার জন্য অন্যের কাছে ছুটে যাই৷ মাওলানা সাহেবকে দোয়া করে দিতে বলি। দোয়া কবুলের শর্তগুলো জানা থাকলে নিজের প্রয়োজনে নিজেই ছুটে যেয়ে আল্লাহ'র কাছে চেয়ে নিতে পারি আমার চাওয়া-পাওয়া। কেননা, হাত তুলে দোয়া করলে, বান্দার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জা বোধ করেন৷ . 'দোয়া কবুলের স্থান, কাল সময়' অধ্যায়টিও সকলের জন্যে দারুন উপকারী। তাছাড়া 'দোয়া কবুলের ১৪টি টিপস', 'দোয়ার ১৭ টি আদব' নামের দুটো অনুচ্ছেদ রয়েছে। . মোটকথা, আমরা দোয়া করতে শেখা ও দোয়ার উপর ভরসা করতে শেখার এটা একটা অনুশীলনমূলক বই। . সর্বশেষঃ এই বইয়ে কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছি। যেমন, আরবী ভাষার ভাব গাম্ভীর্যতাপূর্ণ অনুবাদের মতই বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু এই গল্পগুলো বিভিন্ন ব্লগ থেকে অনুবাদকৃত বা বিভিন্ন ভিডিও থেকে সংগৃহীত অধিকাংশই। সেহেতু, লেখক চাইলে আরো পাঠক উপযোগী করে তুলতে পারতেন সাহিত্যগুণে সমৃদ্ধ করে । কিছু বাংলা, আরবী শব্দের মতই বানান ব্যবহার করেছেন। আরবী শব্দগুলোর উচ্চারণ বাংলায় প্রকাশ করা সম্ভব না, তাই বাংলার প্রচলিত নিয়মে লিখলে আরও ভালো লাগতো। আবার কিছু কিছু একই শব্দ একাধিক বানানে ব্যবহার করা হয়েছে। আরেকটা বিষয়, বইটা পড়তে পড়তেই বাইন্ডিংয়ের আঠা খুলে গেছে। এটা যদিও মেজর কোনো দিক না, কিন্তু এসব বিষয়েও সচেষ্ট হওয়া দরকার৷ জাযাকাল্লাহু খ্বাইর। . বইঃ দু'আ কবুলের গল্পগুলো প্রকাশনীঃ আযান প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ আবুল ফাতাহ মুন্না সংগ্রহ, ভাষান্তর ও সম্পাদনাঃ রাজিব হাসান। মুদ্রিত মূল্যঃ২৫০৳ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯২
মহান আল্লাহতা'লার কাছে কোনো কিছু চাচ্ছেন, চেয়ে হয়তো অধৈর্য্য হয়ে যাচ্ছেন কখনো, যে আপনার দু'আ কবুল হয় না ক্যানো? কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি আপনি দু'আ করার নিয়মকানুন জানেন কিনা? সেসব মেনে দু'আ করছেন কি না?
বই - দু'আ কবুলের গল্পগুলো সংগ্রহ, ভাষান্তর ও সম্পাদনা - রাজিব হাসান প্রকাশনী - আযান প্রকাশনী প্রচ্ছদ মূল্য - ২৮০৳ পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৯২ প্রথম প্রকাশ - এপ্রিল ২০১৯
বইটিতে দু'আ কবুলের মোট ৪৩টি গল্প বলা হয়েছে। আসলে গল্প নয়, বরং এগুলো মুমিনের জীবনের বাস্তব ঘটনা। আল্লাহকে ডেকে যারা সাড়া পেয়েছেন, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহূর্তে এক আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছেন যারা, তাদের জীবনের সেই ঘটনাগুলোই সংগ্রহ করে প্রকাশ করা হয়েছে এই বইটিতে। এবং ঘটনাগুলোর কোনো কোনোটা এতটাই অলৌকিক যে আপনার হয়তো বিশ্বাসই হতে চাইবে না।
* 'হোটেল ম্যানেজার' গল্পটি পড়লে দু'আ যে আসলে কতটা শক্তিশালী অস্ত্র মুমিনের জন্য, সেটা উপলব্ধি করা যায়। * 'মরোক্কো থেকে মক্কা' গল্পে এক বোনের জীবনের ঘটনা উঠে এসেছে, যিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের বড় বড় ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি আর বেশি দিন বাঁঁচবেন না।কষ্ট আর হতাশায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তারপর আল্লাহর রহমতে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। অতঃপর ডাক্তাররা তাঁকে দেখে বলতে বাধ্য হয়েছেন "আপনার ব্যাপারটা রহস্যে ঘেরা"। * 'এ জার্নি বাই ঈমান' গল্পে উঠে এসেছে এক বোনের ঘটনা, যাকে সব বড় বড় ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি কোনোদিনই মা হতে পারবেন না।তিনি এবং তার স্বামী মোটেও কোনো প্রাক্টিসিং মুসলিম ছিলেন না। সবদিক থেকে হতাশ হয়ে তারা আল্লাহর রাস্তায় ফিরে এসেছেন এবং মহান আল্লাহতা'লা তাদের নিরাশ করেননি। এক সাথে ৩ সন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন তিনি। * 'কা'বার কালো ইমাম' গল্পে আপনি মায়ের দু'আর অলৌকিক ক্ষমতা আরও একবার দেখতে পাবেন। এছাড়া যে গল্পগুলো আমাকে খুব বেশি ছুঁয়ে গেছে সেগুলোর শুধু মাত্র নামগুলো উল্লেখ করছি - 'অটুট বন্ধন', 'উত্তম প্রতিদান', 'হালাল খাবারের খোঁজে', 'আয়াতুল কুরসী', 'এমন স্ত্রী কজনের হয়', 'কে আমার বন্ধু', 'অবশেষে আব্দুল্লাহ', 'তাওয়াক্কুল-প্রদীপ জ্বলে পানিতে', 'হাতিম আর তার মেয়ে', 'আফ্রিকার আকাশে আলোর মেঘ', 'তারা তিনজন ও এক দুঃখিনী মা' এবং 'এক মজলুমের দু'আ'। এগুলোর কোনোটা পড়ে মনের অজান্তেই হয়তো আপনি বলে উঠবেন 'আল্লাহু আকবার', কোনো আপনার চোখের কোণে অশ্রু জমা করবে।
এছাড়া বইয়ের শেষে 'দু'আ কবুলের ১৪টি টিপস', 'দু'আর ১৭টি আদব', 'দু'আ কবুলের ২৮টি স্থান, ক্ষেত্র ও সময়' - এগুলো যুক্ত করা হয়েছে, যা প্রত্যেকের জন্য উপকারী হবে। প্রতিটি গল্পে প্রচুর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে কুরআন ও হাদীস থেকে, যা আপনাকে মহান আল্লাহতা'লাকে ডাকতে, তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে উৎসাহিত করবে।
বইটিতে বেশ কিছু টাইপিং-এর ভুল আছে, যা ছোটখাটো হলেও চোখে পড়ার মতো। পরবর্তী সংস্করণে প্রকাশণী এদিকে মনোযোগ দেবে আশা করছি। আরেকটা বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করছি - প্রতিটি গল্পে যে সকল কুরআনের আয়াত আর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, ফুট নোট আকারে সেগুলোর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে গল্পের শেষে। সেটা শেষে না দিয়ে প্রতি পৃষ্ঠার নিচেই দিয়ে দিলে বোধোয় পাঠকের পড়তে বেশি সুবিধা হতো।
আপনি যদি কোনো সমস্যায় পড়ে যান, মহান আল্লাহর সাথে কথা বলুন।আল্লাহতা'লা চাবি ছাড়া কোনো তালা তৈরি করেননি। সমাধান নেই এমন কোনো সমস্যায় তিনি আমাদের ফেলেন না। আর আমরা যদি আল্লাহর সাথে কথা বলতে চাই তাহলে আমাদের দু'আ করা উচিৎ।শুধু সিজদায় বা হাত তুলে নয় বরং হাটা-চলা, ভ্রমণ-সফর যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন দু'আ করাটা খুবই প্রয়োজন আমাদের। আর দু'আর নিয়ম-কানুন সহজে আর বিস্তারিত ভাবে জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন এই বইটি, যা আপনাকে এগুলো জানানোর পাশাপাশি দু'আর ক্ষমতা সম্পর্কেও আরেকবার জানিয়ে দেবে।
আমার খুব পছন্দের একটা কিতাব। ১ম খণ্ডের কিছু অংশ পড়েছি। আমার কাছে কিতাবটি না থাকায় পুরোটা পড়তে পারি নি। তাই এখানে পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারছিনা। পৃষ্ঠা পাইনা কেন?
The constant terrible spelling errors are bearable, only because of the heartwarming stories. Insightful. Thought-provoking. A great motivator to learn and apply important lessons regarding du'aa/praying.