Jump to ratings and reviews
Rate this book

মা

Rate this book
"মা" একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। লেখক এই কাহিনীর সন্ধান পান মুক্তিযোদ্ধা নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর কাছ থেকে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ ও তাঁর মায়ের জীবনের সত্য ঘটনা নিয়ে রচিত এই উপন্যাসটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় এবং প্রচুর পাঠকপ্রিয়তা পায়।

154 pages, Hardcover

First published February 1, 2003

69 people are currently reading
1098 people want to read

About the author

Anisul Hoque

311 books168 followers
Anisul Hoque (Bangla: আনিসুল হক) is a Bangladeshi screenwriter, novelist, dramatist and journalist. He graduated from Bangladesh University of Engineering and Technology, trained as a civil engineer.

His inspiration in journalism and writing started during his student life. After his graduation he joined to serve as a government employee but resigned only after 15 days. Instead he started working as a journalist. He attended the International Writing Program at the University of Iowa in 2010. Currently, Hoque is working as an Associate Editor of a Bengali language daily, Prothom Alo.

His novel মা was translated in English as Freedom's Mother. It was published in Maithili too. He was honored with Bangla Academy Award in 2011.

Also: আনিসুল হক

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
1,016 (52%)
4 stars
584 (30%)
3 stars
254 (13%)
2 stars
57 (2%)
1 star
35 (1%)
Displaying 1 - 30 of 153 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
December 17, 2020
*WARNING* ভয়ানক পরিমাণ স্পয়লার সম্বলিত।
আজাদের মৃত্যুর ১৪ বছর পর, ঠিক ৩০ আগষ্ট আজদের মা পৃথিবী ছেড়ে যান। এই ১৪টা বছর তিনি এক দানা ভাতও মুখে দেননি ! এই ১৪টা বছর তিনি বিছানায় শোননি। শক্ত মেঝেতে, শক্ত পিড়িতে মাথা রেখে ঘুমিয়েছেন। কারণ তার আজাদও যে ভাত খেতে পায়নি। একটা বালিশ পায়নি মাথা রাখার জন্য।
তাদের মা-ছেলের এমন ভালবাসায় আমি “মা” -তে মুগ্ধ !!

আজাদ, সাফিয়া বেগম ও ইউনুস চৌধুরির একমাত্র ছেলে। ইস্কাটনের রাজপ্রাসাদতুল্য বাড়িতে সুখেই কাটছিল তাদের দিন। কিন্তু বাবার দ্বিতীয় বিয়ে কালো মেঘ হয়ে আসে জীবনে। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সাফিয়া বেগম কিছুতেই স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েকে মেনে নিতে পারেননি। তাই আজাদকে নিয়ে ইস্কাটনের বাড়ি ছেড়ে উঠলেন জুরাইনের এক খুপড়ি ঘরে। সেই থেকে শুরু হলো জীবনযুদ্ধ। অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশায় কেটে গেল কয়েক বছর। তবু ফিরে যাননি সেই রাজপ্রাসাদতুল্য বাড়িতে। হার মানেননি আজাদ, হার মানেননি সাফিয়া বেগম।

এমনই সময় স্বাধীনতার ডাক দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজাদও এর মধ্যে এম. এ. শেষ করেছেন। সারা দেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ল মুক্তিযুদ্ধে। দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে আজাদের মনও চাইছে যুদ্ধে যেতে। বারবার এ কথা মাকে বলতে চাইতেন তিনি, কিন্তু পারতেন না। কিন্তু প্রতিনিয়ত বিবেকের দংশনে প্রচণ্ডভাবে জর্জরিত হতেন। তাই একদিন বলেই ফেললেন মাকে। মা কী যেন চিন্তা করলেন। অবশেষে বললেন-
‘‘আমি কী তোকে শুধু আমার জন্যই মানুষ করেছি। এদেশটাও তোর মা। যা দেশটাকে স্বাধীন করে আয়।’’
মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে আজাদ গেলেন মুক্তিযুদ্ধে। শুরু হলো আজাদের নতুন আরেক জীবনযুদ্ধ। ঢাকার ক্র্যাক প্লাটুনের একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন আজাদ। মুক্তিযুদ্ধের মাঝখানে আগস্ট মাসে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। হানাদাররা তথ্য জানার জন্য অকথ্য নির্যাতন করত। নির্মম অত্যাচারের মুখেও আজাদ কিছু বলেননি। তখন তার মাকে বলা হয়, ছেলে যদি সবার নাম-পরিচয় বলে দেয়, তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তা শুনে আজাদের মা ছুটে গেলেন আজাদের কাছে। না, ছেলেকে মুক্ত করার জন্য নয়! বরং তিনি আজাদকে বললেন,
"বাবারে, যখন মারবে, তুমি শক্ত হয়ে থেকো। সহ্য করো। কারো নাম যেন বলে দিও না।"
আজাদ তাকে কথা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন জেলের দুর্বিষহ জীবনের কথা, প্রচণ্ড নির্যাতনের কথা। আরও বলেছিলেন,
"মা, ভাত খেতে ইচ্ছা করে। দুইদিন ভাত খাই না। কালকে ভাত দিয়েছিল, আমি ভাগে পাই নাই।"
আজাদের মা তাকে অভয় ও সান্তনা দিয়ে বলেছিলেন, "কালকে আমি ভাত নিয়ে আসবো।" কথামতো ভাত নিয়ে গিয়েছিলেনও তিনি ।কিন্তু আজাদ কোথায়? আজাদ নেই। রমনা থাকা, ঢাকা কারাগার, এমপি হোস্টেলে ছেলেকে খুজতে খুজতে টিফিকারিতে ভাত পচে যায় কিন্তু ছেলেকে আর কোথাও তিনি খুজে পান না। সেইদিন তারিখটা ছিল ৩০ আগষ্ট, ১৯৭১।

আজ মায়ের স্বপ্ন স্বার্থক। তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে একদিন অনেক বড় হবে। হ্যা, আজাদ আজ অনেক বড়, তার স্থান আমাদের সকলের উর্ধ্বে। তিনি মহান, বীর। তিনি অমর হয়ে আছেন আমাদের সকলের হৃদয়ে। অমর হয়ে আছেন ইতিহাসের পাতায়।
Profile Image for Nu Jahat Jabin.
149 reviews241 followers
June 5, 2016
আমার সৌভাগ্যই হোক কুভাগ্যই হোক আমি আনিসুল হকের প্রথম যে বইটা পড়ি সেটা হল মা। অন্য কিছু বলার আগে বইটা নিয়ে লাইফের মজার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
তখন ক্লাস ৫ কি ৬ এ পড়ি । আব্বু আমাকে "মা" নামের একটা বই নিয়ে বিশাল জ্ঞান গর্ভ বক্তৃতা দিয়ে ফেলল। আমি জেনারালি আব্বুর পছন্দের বই সযত্নে এড়িয়ে চলি কিন্তু "মা"বইটার কথা আব্বু এমন ভাবে বলছিল যে আমি আকর্ষণ এড়াতে পারি নি - পৃথিবী ইতিহাসে নাকি এর চেয়ে অসাধারন বই আর নাই।
আমিও পটে গিয়ে মা বইটা কিনে আনি - সমস্যা লাগল কিছুদূর পড়ার পর বই অসাধারন লাগতেছে ,কিন্তু কোথায় সেই আব্বুর শ্রমজীবী মানুষের গল্প কোথায় ট্রান্সসাইবেরিয়ান রেলপথ (স্মৃতি যদি বিশ্বাস ঘাতকতা না করে) কোথায় রাশিয়ার গল্প। এইটা তো বাংলাদেশের কাহিনী ।
আমিও প্রবল বিক্রমে বই নিয়ে আব্বুর কাছে গেলাম আব্বু তুমি "মা" বইটা ঠিক মত পড় নি এইটা তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্প। আমি জীবনে অনেক অদ্ভুত এক্সপ্রেশন দেখেছি,দেখব কিন্তু আমার হাতে মা বাই আনিসুল হক দেখে আব্বুর যে এক্সপ্রেশন ছিল সেটার মত ফ্যান্টাবুলাস এক্সপ্রেশন সম্ভবত এই জীবনে আর দেখব না ।
এই অসাধারন লেভেলের ভুলটার দায় আমার,তখন অল্প সল্প বই পড়ি,বইয়ের নামটাই ছিল মুখ্য বিষয় । লেখক আনিসুল হক নাকি ম্যাক্সিম গোরকি সেটা কোন বিষয় না।

যে বয়সে বইটা পড়েছিলাম সেটা মুগ্ধ হবার বয়স। অল্প বয়সে মা এর ভালবাসা, আজাদের সাহসিকতা ক্রাকপ্লটুন আমাকে এক কথায় আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল, ভাললাগা ভালবাসার আচ্ছনতা ।
ঠিক জানি না কতবার মনে মনে বিধাতার কাছে রিকোয়েস্ট করেছি আজাদকে বাঁচিয়ে দাও প্লিজ। যে বয়সে ক্লাসে সবাই ব্যাকহাম না রোনালডোর উপরে ক্রাশ খাবে চিন্তা করত সেই বয়সে আমি আজাদের উপরে ভয়াবহ লেভেলের ক্রাশ খেয়েছিলাম, আজাদের মাকে নিজের অজান্তে ভালবেসে ফেলেছিলাম।
সাহিত্য কতটুকু কি হয়েছে জানি না, তবে এইটা সত্য এই বইটা পড়ে আমি মুক্তিযুদ্ধ রিলেটেড বইগুলো মন দিয়ে পড়া শুরু করি। অল্প বয়সে আজাদ, রুমি, ক্রাকপ্লটুন এর প্রতি যে ভালবাসাটা ,সম্মানটা জন্মেছিল সেটা পরে দিন দিন শুধু বেড়েছে। বাংলাদেশের অসাধারন ভাগ্য বাংলাদেশ তার জন্মের সময় অসাধারন খাটি কিছু মানুষের স্পর্শ পেয়েছে । বাংলাদেশের অসম্ভব দুর্ভাগ্য বাংলাদেশ কিছু অমানুষের নোংরা স্পর্শ ও গায়ে মেখে আছে ।
বইটা এখন পড়লে হয়ত রেটিং ৩ এর বেশি দিব না বয়স বাড়লে মুগ্ধতা কমে , তার চেয়ে বইটা আমার কাছে কিছু সুপার হিউম্যানকে পরিচয় করে দেবার গল্প হয়েই থাকুক ।
Profile Image for Shucheta.
190 reviews140 followers
August 15, 2015
More of a collection of paper cuttings than a novel. My admiration to those who managed to finish it.
Profile Image for Sanjana.
17 reviews26 followers
September 10, 2012
a wonderful plot ruined by anisul haque's bland writing
Profile Image for সোহেল ইমরান.
19 reviews20 followers
March 19, 2016
বইটা সম্পর্কে সমালোচনা করার সময় প্রতিনিয়ত আমার ভেতরটা কেমন যেন খচ খচ করে কারন 'মা' সম্পর্কে সরদার ফজলুল করিম বলেছেন , "আমি বলি দুই মা। ম্যাক্সিম গোর্কির 'মা' আর আনিসুল হকের 'মা'।
লেখার সমালোচনা করার আগে বলে নেয়া উচিৎ যে আনিসুল হক রম্য লেখক হিসেবে একদম প্রথম সারির। কলাম লেখক হিসেবেও আমি খুব উপরের দিকেই রাখব। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি লেখক 'মা' লেখার সময় তার এই কলাম লেখকের সত্ত্বা থেকে বের হতে পারেননি। লেখক আনিসুল হককে খুব বিনয়ের সাথে একদিন আমার জিজ্ঞেস করার ইচ্ছা যে 'মা' কি আদৌ কোন উপন্যাস নাকি পত্রিকার কোন প্রতিবেদন। স্বাধীনতা উত্তোরকালে এরচে সুন্দর কোন গল্পের প্লট হয় বলে আমার মনে হয়না, কেননা এই উপন্যাসে জড়িত আছে বাংলাদেশের মানুষের সব থেকে আবেগের দুটি বিষয়, স্বাধ���নতা এবং মা। কিন্তু এত মমতাময়ী একটা গল্পের প্লট ও যে কোন লেখক নিজ হাতে এত নিষ্ঠুরভাবে নষ্ট করতে পারে 'মা' না পড়লে জানতে পারতাম না।
সর্বোপরি ধন্যবাদ আনিসুল হককে কারন উনি 'মা' না লিখলে হয়ত এত এত মানুষ রুমি, আজাদ, বদি, জুয়েলদের কথা জানতই না।
Profile Image for Rafia Rahman.
416 reviews215 followers
August 6, 2025
স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম। বহুবছর আগের পড়া তাই বইয়ের অধিকাংশই ভুলে গেছি। তবে দু'টো বিষয় স্পষ্ট মনে আছে; মা'র অকৃত্রিম ভালোবাসা ও প্রিয়তমার হৃদয় ভঙ্গের আর্তনাদ।
Profile Image for Hamima Afroz Lopa.
30 reviews121 followers
March 26, 2016
অনেক আগে পড়েছিলাম একটা ফ্রেন্ডের কাছ থেকে এনে...কাহিনী নিঃসন্দেহে অসাধারণের থেকেও বেশি কিছু...তবে লেখনী নিয়ে কিছুই বলার নেই...শুধু এতটুকু বলতে পারি, মনে হয় না এই লেখকের আর কোন বই কখনও পড়া হবে...মনে হচ্ছিল উপন্যাস নয়, নিউজপেপার নিয়ে বসেছিলাম পড়ার জন্য...মা ও ছেলের এই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এতো সুন্দর উপন্যাসটিকে বরবাদ করার জন্য লেখককে মনে হয় আমি কোনদিন ক্ষমা করতে পারবো না...কাহিনীটা খুবই হৃদয়স্পর্শী...পড়ে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল...তাই তিন তারার নিচে দিতে পারলাম না...
Profile Image for Sazzad Hossen.
21 reviews6 followers
December 22, 2020
আজাদের মৃত্যুর পর আজাদের মা (সাফিয়া বেগম) আরও ১৪ বছর জীবিত ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই ভাত মুখে দেননি,আরামের বিছানা ছেড়ে মাটিতে পাটির উপর শুয়ে থেকেছেন।তিনি চাইলেই রাজকীয় ভাবে থাকতে পারতেন।মা উপন্যাসে এইখানে এসে আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ করে দেবে। আপনি কান্না করতে বাধ্য হবেনই।শুধু মা বলেই সম্ভব। মায়েরা খুব সার্থপর।সন্তানের জন্য মায়েরা শত কষ্ট সহ্য করতে পারে।
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। রেটিং দিয়ে সবকিছু বিচার করা যায়না
Profile Image for Tasnim Dewan  Orin.
159 reviews79 followers
October 5, 2020
মা কি একটি উপন্যাস নাকি বাংলাদেশের ইতিহাসের সামাজিক চিত্রকল্প?

শহীদ জননী সাফিয়া বেগমের জীবন সংগ্রাম নিয়ে লিখা উপন্যাসটি। আজাদের মা হিসেবেই সবাই তাকে চিনে। একমাত্র সন্তানকে দেশের জন্য বিলিয়ে দিতে পারে এমন মা একজনই, তিনি আজাদের মা। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে পর্যন্ত ছেলেকে দেশের সাথে বেইমানী করতে বলেন নাই। এমন মা এই দেশে আছে বলেই আজ আমরা মুক্ত।

উপন্যাসে উঠে এসেছে শহীদ আজাদের জীবন। স্কুল জীবন, করাচিতে তার প্রবাস জীবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়াকালীন জীবন, যুদ্ধ যাওয়া ও তার এই দেশের প্রতি অসামান্য অবদান।

আমার পড়া আনিসুল হকের প্রথম বই এই বইটি। ৬০এর দশকের বাংলাদেশের সমাজ ব্যাবস্থা ও যুবক সমাজের দলিল যেন এই উপন্যাস। আমার মতে প্রত্যেক বাংলাদেশীর উচিত বইটি পড়া। আজাদের মার মত মার ত্যাগের উপর দাড়িয়ে আছে এই দেশটা।

তবে কিছু ব্যাপার একদম দৃষ্টিগোচর করা যায় না। লেখকের লেখার ধরন পত্রিকার খবরের মত। সবচেয়ে যে দিকটা আমি এড়িয়ে যেতে পারছি না তা হলো, লেখকের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল শব্দচয়নের ব্যাপারে । বিশেষ করে শহীদের বোন কচির ব্যাপারে লিখা এই কথাগুলি
"তখন একা বাসায় তিনটা মেয়ে, তার মধ্যে কচি ভাবে, তার স্বপ্নের রাজপুত্ররা ঘরে ঢুকে এ কোন রক্তের খেলা খেলে গেল ৷ তাহলে ওরা কি রাজপুত্র ছিল না, ছিল রাজপুত্রের ছদ্মবেশে দুষ্ট রাক্ষস!"

তবুও লেখককে সাধুবাদ জানাই আজাদের মাকে নিয়ে লিখার জন্য। শুধু মাত্র এই কারনেই আমার পাঁচ তারা দেওয়া।

"তিনি ছেলেকে মানুষ করেছেন কি নিজে ছেলের আয়-রোজগার আরাম করে ভোগ করবেন বলে! কক্ষনো নয় ৷ এটা তিনি ছেলেকে চিঠিতেও লিখে জানিয়েছেন, ছেলেকে তিনি মানুষ করেছেন মানুষের যা কিছু কর্তব্য তাই করবে বলে ৷ "

সালাম আজাদের মাকে ও তার এই চিন্তাধারার জন্য।
Profile Image for বনিক.
31 reviews55 followers
July 13, 2023
আনিসুল হক তার সমস্ত সৃজনশীলতা এই একটি বইয়ের পেছনে ব্যয় করে ফেলেছেন। হয়তো এজন্যই তার পরবর্তী প্রায় কোন সৃষ্টিকেই সাহিত্যের মানদণ্ডে মধ্যমমানেও ফেলা যায় না।
Profile Image for Ahmed Atif Abrar.
719 reviews12 followers
July 24, 2018
ছোটদের জন্য আনিসুল হকের এখনকার লেখাগুলো আমার ভালো লাগে নি। কিন্তু এই একটা উপন্যাস—যেটা অসাধারণ লেগেছে। ২০০৫ বা এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি প্রধান লেখকদের মধ্যে কি একটা হালকাভাব চলে এসেছে?
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
February 9, 2024
শেষ কয়েক পৃষ্ঠার জন্যে হলেও এই বই ৫ টা স্টার ডিজার্ভ করে।
সত্যি বলতে বইটা খুবই সুন্দর, এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার কোনো সুযোগ নাই। তবে লেখকের লিখনশৈলী আমার খুব একটা ভালো লাগেনি।মাঝখানে এসে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু লেখক শেষের দিকে একদম মন জিতে নিয়েছে। শেষের দিকটা খুব বেশিই সুন্দর। আমার মতে, প্রত্যেক বাংলাদেশীর উচিৎ যুদ্ধ সম্পর্কে জানা। এই বইটা পড়া। আজাদ ও তার মা আমার স্মৃতিতে সারাজীবন থাকবে। ভাগ্যে থাকলে একদিন জুরাইন গোরস্থান ঘুরে আসবো। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি সকল আজাদ ও মা'দের প্রতি।
Profile Image for Shammiul Siraji.
28 reviews46 followers
December 26, 2016
my cell phone doesn't have any Bengali keyboard now, otherwise I would write this with Bengali. Amazing plot, and I read it quite late but Anisul Haq probably ruined bit with putting fiction on it then again it increased the thieves to know more about our liberation War of 1971. Today I have downloaded all the part of Muktijhuddher Golpo by Muntasir Mamun and in the coming year my target would be read every single pit of pieces by all writers who wrote on 71, in context of learning the right history what I have heard from my dad, mom and grand father. After reading this book I feel the strong urge to know every single martyr and all those brave souls who fought, won and gave us freedom from Bloody Fuckistanis. Salute to Safia Begum, Jahanara Imam and all those mothers who sacrificed their children in the verge of getting a freedom land which is our only beautiful country, "Bangladesh".
Profile Image for Mekail Rex.
5 reviews24 followers
February 5, 2017
অসম্ভব ধোর্যশীল ব্যাক্তি, যে ভালো আর খারাপ বইয়ের পার্থক্য বোঝে না তার পক্ষে ছাড়া এই বই পড়তে পারা অসম্ভব।
অযথা ত্যানা পাকানো হয়েছে এই উপন্যাসে। এই কাহিনীর কোন আগাগোড়া নেই। মুক্তিযুদ্ধ তার রচনায় হয়ে উঠেছে ভিষন স্থুল। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লেখকের এত আবেগ কোথা থেকে আসে তা আমার জানা নেই। কাহিনীর নেই কোন ধারাবাহিকতা। এই বই নাকি মুড়ির মত বিক্রি হয়েছে। এই বই বিক্রি হয়েছে বিজ্ঞাপনে এবং প্রথম আলোর এই সব বিজ্ঞাপনের কারনেই । আনিসুল হকের এসব অখাদ্য লোকে এক হিসেবে বাধ্য হয়ে কিনছে, প্রথিবীর উৎকুষ্টতম বই হিসেবে। তিনি বড্ড ব্যবসায়িক লেখক অথবা কোন লেখকই নন।

জঘন্য, বিরক্তিকর, অসহ্যনিয়, পাঠের অযোগ্য।
Profile Image for Fahad Ahammed.
386 reviews44 followers
July 14, 2019
বইটা অসাধারণ লেগেছিল, পড়েছিলাম অনেক বছর আগে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এটাই ছিল আমার পড়া প্রথম উপন্যাস।
Profile Image for Poddo Alam.
42 reviews66 followers
June 16, 2022
আনিসুল হকের লেখনী ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ না। তার কলমের আবেগ আমাকে কম ছোঁয়। কিন্তু এই বই তো আর আনিসুল হকের জাদুতে তৈরি না, এই বইয়ের মূল অলংকার শহীদ আজাদ এবং তার মা সাফিয়া বেগম। চোখ ভাসিয়ে কান্না পাবার মতো এই গল্প আমি আগেই জানতাম।তবু পড়তে পড়তে বুক কেঁপে উঠেছে, চোখে অশ্রু জমেছে। ইচ্ছে করেছে আমার নিজের মার বুকে গিয়ে কিছুক্ষণ লেপটে শুয়ে থাকি। আনিসুল হককে অসংখ্য ধন্যবাদ হৃদয়বিদারক এই দুটো জীবনের আত্মসম্মান, ত্যাগ, সাহসের গল্প টুকে রাখার জন্য।
Profile Image for Shaira Akter Jupi.
4 reviews
August 11, 2022
"আচ্ছা জীবনটা কি নাগরদোলার মত?কখনো উপরে তো কখনো নিচে।নিয়তির হাতের পুতুল মাত্র।"
.
শহিদ আজাদ আর তার মায়ের আত্মসংগ্রাম এর অত্যন্ত সুন্দর একটা বই। আমার প্রিয় বইয়ের একটি। পড়ার পরে মনে হয়েছে আহা কেনো আগে পড়িনি বইটা!
Profile Image for মৌমি অপর্ণা.
7 reviews26 followers
June 25, 2017
অর্ধেক পড়ে রেখে দিয়েছিলাম। বাকি অর্ধেক আজকে এক নি:শ্বাসে শেষ করলাম। ঘটনা বেশিরভাগই জানাশোনা জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলির কল্যাণে। ওই বইটায় দেখতাম রুমী আর তার মায়ের গল্প, এখানে শুধু চরিত্র দুটো ভিন্ন। তাদের একই গল্প।গল্পটা আজাদ আর রুমির, আর সব গেরিলাদের মায়েদের, যাদের সন্তানরা হারিয়ে গিয়েছিল মধ্য একাত্তরে, যারা আর ফিরে আসেনি চুল্লুর কিংবা সামাদের মত। বইয়ে আমি তাদের দেখি, একাত্তরের রাস্তায় কয়েকজন গেরিলা তরুণের জিপে করে ছুটে যাওয়া অতর্কিত হামলা দেখি। আমার বয়স আর রুমীর বয়স কাছাকাছি বলেই হয়ত এত বেশি করে থ্রিলটা বোঝার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ লেখককে।
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
July 5, 2023
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে বলতে পারব না। বাংলাদেশ কি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে কীনা তাও জানি না। তবে, মুক্তিযুদ্ধ যে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম অর্জন, সেবিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই, বিশেষত আনিসুল হকের ‘মা’ পড়বার পর। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের কোন জাতীয় ইস্যুতে প্রায় শতভাগ ঐক্যমতে পৌছতে পেরেছে? বলতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা নিয়ে অনেক ইতিহাসের বই আছে, কিন্তু আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করতে চান, তবে আপনাকে পড়তে হবে শহীদ জননী Jahanara Imam 'র একাত্তরের দিনগুলি, পড়তে হবে আনিসুল হক’এর মা।

সন্তান, যেকোন মায়ের প্রাণাধিক প্রিয়। আর সে সন্তান যদি তার একমাত্র সম্বল হয়, তবে? যুদ্ধের সময় লাখ লাখ যুবক যুদ্ধে গিয়েছিল, এই তথ্য শুনে আমাদের খুব একটা অস্বাভাবিক মনে হয় না। কিন্তু ভেবে দেখুন একজন সন্তান যখন মাএর কাছে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি চায়, মা কিন্তু জানে তার সন্তান আবার ঘরে নাও ফিরতে পারে। এ যেন সাক্ষাত মৃত্যুর মুখে নিজের প্রাণাধিক পুত্রকে ছেড়ে দেওয়া। তবুও আজাদের মা তো আজাদকে ধরে রাখেন নি, জাহানারা ইমাম তো বলেছেন তার প্রিয় পুত্রকে, ‘যা, তোকে দেশের জন্য কোরবানি করে দিলাম।’ সন্তান শহীদ হওয়ার পর কি এই কথা মাতৃহৃদয়ে আঘাত হানে নি। প্রতিটা মূহুর্ত কি তাকে তিলে তিলে কষ্ট দেয় নি? তাহলে কেন বলেছেন তারা এই কথা? তা, এই ২০২৩ এর স্বাধীন দেশে বসে অনুমান করা শুধু কঠিন না, অসম্ভব!

আজাদের গল্প এখানেই শেষ হলেই বোধয় ভালো হতো।

মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে। এটা বলতে আমাদের কষ্ট হয় না। কিন্তু শহীদ আজাদের গল্প শুনলে আমাদের চোখ আদ্র হয়ে উঠে। তবে ত্রিশ লক্ষ্য শহিদদেরও কিন্তু এরকম একটা গল্প আছে। কোন অলক্ষে তাদেরও মা, বোন, কন্যা, স্ত্রী অশ্রু ঝড়াচ্ছে। এদেশের মাটি কীভাবে সহ্য করে সেইসব অশ্রু।

ব্যক্তিগত মতামতঃ যদি বলতে হয়, তবে বলব মুক্তিযুদ্ধের ওপর এর চেয়ে ভালো প্লট হবে বলে আমার মনে হয় না। আনিসুল হকের লেখনি ঠিক প্লটটার প্রতি সুবিচার করতে পারে নি। তারপরও এরকম হৃদয়স্পর্শী গল্পকে খারাপ বা মোটামুটি বলার কোন স্পেস নেই। তাছাড়া গল্পটাকে খুজে বের করা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া, ইতিহাসের বিষয়গুলো অবিকৃত রাখার জন্য লেখক যে কষ্টটুকু করেছেন, তাতে তার একটা বড়সড় ধন্যবাদ প্রাপ্য। তবে লেখনিতে আর একটু এফোর্ট দিলে এটা আরো অনেক উপভোগ্য হত।

আমার মনে হয় বাঙ্গালী মাত্রেই এই উপন্যাসটা পড়া উচিৎ। এটা কি একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। আমার তা মনে হয় না। অন্তত মুক্তিযুদ্ধকে একটিবার অনুভব করবার জন্য আপনার বইটা পড়া উচিৎ। আপনার জানা উচিৎ কি কারনে ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত ঝরেছিল এই দেশের মাটিতে। তাদের মতো আত্মত্যাগী না হতে পারেন, মুহূর্তকালের জন্য তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনাকে নাড়া দিবে, এবিষয়ে আমি শতভাগ সুনিশ্চিত।
Profile Image for Royhana Akter Rimu.
73 reviews4 followers
February 22, 2022
বইটা প্রতিটা লাইন পড়ার সময় আম্মুর মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
মেয়েটা প্রতিদিন কত কষ্টই না করে। জেএসসি পরীক্ষার ৩/৪ মাস আগে আম্মুর হাত ভাংছিল। তখন হারে হারে টের পাইছি আম্মুর উপর দিয়ে কি যায়।
ইভেন সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও একটা কাজের লোক রাখতে পারে নাই। সব কাজ একা হাতে করে আম্মু। কাজের লোকের সাথে আম্মুর টাইমিং মিলে না। কাজের লোক আসে ১০ টায় আর আমাদের বাসায় তালা ঝুলে যায় ৯ টার আগে। আর এর মধ্যে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে টিফিন রেডি করা পর্যন্ত সব কাজ আম্মু একা হাতে করে। হেল্প করার মত কেউ নেই। আর শুক্রবার আসলে আম্মুর একটা কথা, "কেন আসে এই একটা ছুটির দিন!" কারণ এই একটা ছুটির দিনে আম্মুকে হাজারো কাজ করতে হয় ঘরের। ভাগ্য করে যদি কাজের লোক পেয়েও যায় একদিনের জন্য তবুও দেখা যায় উনি আসতে আসতে আম্মুর অর্ধেক কাজ শেষ।
যখন আমি আর আমার বোন বাসায় থাকি তখনও আমাদের ডাকেন না কাজে হেল্প করার জন্য। তবে কাজ শেখাননি এমনটা না। আম্মুর কথা বিয়ের পর যাতে শাশুড়ি শুনাতে না পারে যে মা কিচ্ছু শিখায় নাই ঐ জন্য কাজ শিখাইছে। এখন বাপের বাড়িতে খাটাখাটনি করার দরকার নাই। বিয়ের পর প্রচুর সময় পাবো গাধার মত খাটার।
ভালোবাসি আম্মু❤️
Profile Image for Nishat.
2 reviews
June 30, 2022
কিছু কিছু জায়গায় শুধু শুধু তথ্যের পুনরাবৃত্তি আর এতোটা অতিরঞ্জিত না করলেও চলতো। লেখাটা আরেকটু গোছানো হলে এটা একটা চমৎকার উপন্যাস হতে পারতো।
গল্পের প্লটের খাতিরে তবুও পাঁচ স্টারই দিলাম।
Profile Image for Shanin  Hoque .
27 reviews35 followers
March 3, 2021
বই:মা
লেখক : আনিসুল হক
ঘরানা : উপন্যাস
প্রকাশনী : সময়
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : ধ্রুব এষ
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ২০০৩

বইয়ের প্রচ্ছদে লেখা 'মা' শব্দটাতেই চোখ আটকে যাবার কথা যেকোনো পাঠকের । তবে শুধু প্রচ্ছদ নয়, এই বইয়ের প্রতিটা পৃষ্ঠা, প্রতিটা শব্দ আপনাকে টানবে।এই বই উপেক্ষা করলে আসলে নিজেকেই বঞ্চিত করা হবে !

এই উপন্যাস লেখকের প্রখর কল্পনাশক্তির ফসল নয় কিংবা তার কলমের যাদুতে রচিত কোনো কাল্পনিক উপন্যাস নয়।এটি একটি বাস্তবধর্মী উপন্যাস।আদতে আমার কাছে মনে হয়েছে এই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র দুজন মা এবং তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান। সন্তানটির নাম 'আজাদ'। শ্রেষ্ঠ সন্তান বলবার কারণ হলো দিনশেষে দুজন মা-ই এই সন্তানটির পরিচয়ের মাধ্যমে নিজেকে গৌরবান্বিত হতে চেয়েছেন এবং হয়েছেন। এইবার পরিষ্কার করে বলতেই হয়, দুজন মার একজন আজাদের জন্মদাত্রী মা সাফিয়া বেগম আর অন্যজন আজাদের দেশমাতা, প্রিয় জন্মভূমি 'বাংলাদেশ'।

তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের একজন শিল্পপতি ছিলেন ইউনুস চৌধুরী।ইউনুস চৌধুরী এবং সাফিয়া বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান আজাদ। স্বাভাবিকভাবেই পিতার বিত্ত-প্রভাব-প্রতিপত্তি আর মায়ের অশেষ আদর-যত্নের মধ্যে দিয়েই বেড়ে ওঠতে থাকে আজাদ।আজাদ যখন কৈশোরে পদার্পণ করেন তখনই জানতে পারেন তাঁর পিতা দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন এবং ঠিক সেই মুহূর্তেই আলিশান বাড়ি-গাড়ি, সমস্ত বিত্ত-বৈভবকে তুচ্ছ করে আজাদের আপোষহীন মা সাফিয়া বেগম আদরের ধন আজাদ কে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন।সেই থেকে শুরু হয় একজন সাধারণ নারীর অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প।শুরু হয় তাঁর জীবন সংগ্রাম।মায়ের বহু কষ্ট-ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে আজাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়।আজাদের চোখে তখন একটাই স্বপ্ন ছিলো -
"ভালো চাকরি করে মায়ের দুঃখ ঘোচাবে"।কিন্তু সেইসময়-ই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।সাফিয়া বেগমের দুঃখ ঘোচাবার আগেই আজাদ তার-ই আরেক মা তথা বাংলা মায়ের দুঃখ ঘোচাতে যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে।মা সাফিয়া বেগমও নিজের আদরের ধন কে মুক্তিযুদ্ধে যেতে বিন্দুমাত্র বাধা দেননি ।গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা আজাদ বেশ কিছু অপারেশনে অংশ নিয়ে সফলও হয়েছিলেন।১৯৭১ সালের ৩০ শে আগস্ট নিজ বাড়ি থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আজাদ কে ধরে নিয়ে যায়।তারপর আজাদ আর কখনো বাড়ি ফেরেনি, মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে পারেনি।যেখানে নিয়ে যাওয়া হলো সেখানে নির্মম অত্যাচার করা হয় বাংলা মায়ের সূর্যসন্তানদের।আজাদের পরিণতিও তাদের মতোই হয়েছিলো। তবে, আজাদের সাথে তার মায়ের দেখা হয়েছিলো। সেদিন মা আজাদকে বলেছিলেন কোনোপ্রকারে তিনি যেন তার সহযোদ্ধাদের পরিচয় প্রকাশ না করেন। আজাদ মায়ের কথা অমান্য করেনি, হয়তো সেজন্যই তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয় হানাদাররা। পশুসম হানাদাররা আজাদের শেষ ইচ্ছাটুকু পূরণ হতে দেয়নি।আজাদ বহুদিন ভাত খাননি বলে মায়ের কাছে ভাত খেতে চেয়েছিলেন।পরদিন মা ভাত নিয়ে কারাগারে গেলেও আজাদের দেখা পায়নি।সেইদিন থেকে ৩০শে আগস্ট ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কোনোদিন মুখে ভাত তোলেন নি মা সাফিয়া বেগম। এমনকি ছেলে জীবনের শেষ সময়ে ভালো করে ঘুমাতে পারেনি বলে মা তাঁর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মাথার নিচে একটি কাঠের টুকরো দিয়ে মাটিতে বিছানা পেতে ঘুমিয়েছেন।তাঁর ছেলে তাঁর কোলে ফিরে আসবে এই আশায় ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাড়ি বদলাননি,বস্তির ছোট্ট কুঠরীতে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিয়েছেন ছেলের ফেরার আশায়। কিন্তু হায়,ছেলে আর কখনো ফেরেনি!দেশমাতার দুঃখ আজাদ ঠিকই ঘোচাতে পেরেছিলেন,দেশমাতাকে স্বাধীনতার সূর্য এনে দিয়েছিলেন কিন্তু জন্মদাত্রী জননী সাফিয়া বেগমের দুঃখ ঘোচাবার সুযোগ তাকে হানাদার বাহিনী দেয়নি।অসীম দুঃখ-যন্ত্রণা বুকে চেপে রেখে জীবনে একের পর এক সংগ্রাম করে গেছেন প্রচণ্ড ব্যক্তিত্ববোধসম্পন্ন নারী সাফিয়া বেগম।বুকে পাথর চেপে রাখা এই নারী কখনো নিজের ইচ্ছা কারো সামনে প্রকাশ করেননি তবে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে বলেছিলেন -"আমার কবরে শুধু লিখে দিও শহীদ আজাদের মা"। কে বলে মানুষ নশ্বর?
এই রত্নগর্ভা নারী আজও কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে তিনি বেঁচে আছেন একজন মা হিসেবে; 'শহীদ আজাদের মা'।

পরিশেষে, মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী বছরগুলোয় বাংলাদেশ, একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর মায়ের অতুলনীয় ত্যাগ ও বিরোচিত উপাখ্যান নিয়ে রচিত এই
হৃদয়স্পর্শী বাস্তবধর্মী উপন্যাস যার প্রতিটি অংশে ফুটে ওঠেছে একজন মায়ের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অসামান্য ত্যাগ,অশেষ জীবন সংগ্রাম এবং অসীম ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।যে উপন্যাস আপনাকে বারবার কাঁদাবে, আপনার মনে দেশাত্ববোধ জাগ্রত করবে , আপনার মধ্যেকার শুভশক্তির উত্থান ঘটাবে এবং বারবার বাংলার বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধে নত হতে বাধ্য করবে । এই উপন্যাস আপনাকে বোঝাবে, কত ত্যাগ-তিতিক্ষা-অশ্রুজল আর অকৃত্রিম ভালোবাসার ফসল আমাদের এই বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে, এই উপন্যাস ঐশ্বর্যমণ্ডিত 'মা' শব্দটির মাহাত্ম্য আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেরি না করে আজই পড়ে ফেলুন অসাধারণ এই উপন্যাসটি।বই পড়ুন,আলোকিত হন।
©Shanin Hoque
Profile Image for Shamima Nasrin Shanta.
12 reviews
Read
September 24, 2020
#বই_রিভিউ

একটা লোক যখন মরে যায়, ভাইয়ের কাছে সেটা চলে যাওয়া, বোনের কাছে সেটা শূন্যতা, বাবার কাছে তার নিজেরই ধারাবাহিকতার ছেদ, বন্ধুর কাছে সেটা অতীত স্মৃতি আর বিস্মৃতির দোলাচল, পড়শির কাছে তা দীর্ঘশ্বাস, দেশের কাছে কালের কাছে হয়ত তার প্রিয়তম পাতার ঝড়ে যাওয়া, কিন্তু মায়ের কাছে?___মায়ের কাছে সন্তানের মৃত্যু হলো সমস্ত সত্তাটাই মৃতের দ্বারা দখল হয়ে যাওয়া৷
_____লেখকের শুধুমাত্র এই কথাটুকুতেই তো পুরোটা বলা হয়ে যায়। মা তো মা ই। মায়ের মতো ভালবাসতে পারার ক্ষমতা বোধহয় জগতের আর কাউকে দেওয়া হয় নি। "মা" উপন্যাসটি ভালবাসার এরকম অসীম ক্ষমতা সম্পূর্ণ এক শহীদ জননীকে নিয়ে।।

শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীর স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া বেগম ৷ আচঁলে ঝোলানো চাবির শব্দ, মুখে পানের লালচে ভাব,হাসি, একমাত্র ছেলে আজাদকে নিয়ে তার সংসার কাটে ইস্কাটনের বিশাল বাড়িতে। কিন্তু সুখ নাকি বেশীদিন টিকে না৷ হঠাৎ করেই সাফিয়া বেগমের নিষেধ সত্ত্বেও চৌধুরী ফের বিয়ে করে ঘড়ে তোলেন অন্য এক মেয়েকে। সেদিনই সাফিয়া বেগম আজাদকে সঙ্গে নিয়ে এক কাপড়ে বাবার বাড়ির গহনা নিয়ে নিজের নামে লেখা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্যাগ করেন তার বিলাশবহুল জীবনযাপন। আজাদকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন। বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর পরই বোন মারা গেলে তার সন্তান গুলোর দায়ভার তুলে নেন নিজের কাধে৷ অভাব অনটনের মধ্যে নিয়ে নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে বড় করে সন্তানকে৷ করাচি থেকে পড়াশোনা শেষ করে আজাদ যখন দেশে আসে, ব্যাবসা শুরু করে একটু করে, তখন পূর্ব পাকিস্থান আর পশ্চিম পাকিস্থানের ঝামেলা চূড়ান্ত। আজাদ মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নেয় যুদ্ধে যাওয়ার৷ ভাগ্��ের নির্মম পরিহাসে নিজের বাড়ি থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আজাদ,জুয়েল সহ অনেককেই৷ খুব চেষ্টায় জেলে আজাদের দেখা পেলে,আজাদ ভাত খেতে চায় মায়ের কাছে৷ পরদিন মা ভাত নিয়ে গেলে আর দেখা পায় না আজাদের।এরপর দীর্ঘ ১৪ বছর বেচেঁ থাকা সত্ত্বেও আজাদের মা ভাত স্পর্শ করে নি। দীর্ঘ ২৪ বছরে একবারও স্বামীর সামনে আসেনি।মেঝেতে কাটিয়েছে বাকি জীবন। ১৯৮৫ সালে ছেলেকে যে তারিখে ধরে নিয়ে যায়, একই তারিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আজাদের মা।

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ের একজন মেয়ের/ একজন মায়ের এমন পার্সোনালিটিতে আমি যরপরনাই অবাক হয়েছি,আশ্চর্য হয়েছি, শ্রদ্ধা চলে এসেছে বারংবার৷ উপন্যাসটিতে রুমি,জুয়েল,বদি,আলম,জিয়া সহ অনেকের কথা বলা হয়েছে, ওইসময়ের দেশের পরিস্থিতির বর্ণনা দেয়া হয়েছে, সেই সময়ের যুবকদের দেশের প্রতি ডেডিকেশান দেখানো হয়েছে, কিন্তু উপন্যাস শেষ করে আমি একজন "মা" কেই দেখেছি৷

বইয়ের নামঃ মা
লেখকের নামঃ আনিসুল হক।
রেটিংসঃ এ ধরনের উপন্যাসে রেটিংস করা উচিত বলে মনে হয় নাই।
Profile Image for Saif Sheikh.
35 reviews
November 19, 2021
সাফিয়া বেগম...মা...
শহীদ আজাদের মা...


আমি আমার প্রোফাইলে শখ করে ঝুলায়ে রাখসি "a badass with a heart of an angel"...কিন্তু এখন এই মহিলার কাছে এখন নিজেকে নস্যি মনে হচ্ছে...কি কঠিন হৃদয়ের মানুষ, একবার যা বলেছেন তাই...আবার কি মায়াবতী মা...কী কোমালতা আর আদুরে মেশানো ব্যক্তিত্ব...এমনও মানুষ হয়!!!

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যখনি কিছু পড়ি দেশপ্রেমটা কেমন যেনো উগড়ে ওঠে বুকের ভেতর...বারবার আফসোস হয়, we just don't know enough about our glorious past, we gotta read/learn more about this...আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের বাংলা, আমাদের সোনার বাংলাদেশ...কিন্তু কোথায় কী!! আমাদের মধ্যে কখোনই ভালোভাবে দেশপ্রেমটার জন্ম নেয় নাই...হবে কিভাবে, সেই সুজোগটাই তো পায়না বাচ্চারা...চারদিকে সবার নিজ স্বার্থ হাসিলের মিছিলে দেশের উন্নয়ন আর ভালোবাসার ভান্ডার একেবারেই খালি!!

যখন নিউজ আসে আমরা দূর্নীতিতে বিশ্বে সেরা, সবাই বলে কেন ভাই!!
যখন দেখি জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে আমরা একেবারেই তলানির দিকে, কেউই মানতে পারি না...আর মানষিক রুচিবোধে, মান-মনন নিয়া কিছু নাই বললাম...

আমি অবাক হয়ে যাই রুমি, বদি, আজাদ, আশরাফুল এদের লাইফস্টাইল আর মননের কথা চিন্তা করে...এদের রুচির মাত্রা দেখে...আর সেই দেশেই বসে ৫০ বছর পর আমদের রুচিবোধ কী!!! কি জিনিস প্রায়োরিটি পাওয়ার কথা আর ভাইরাল হয় কারা...এতো ট্যলেন্ট থেকেও আমরা দিন দিন কত জোরে পিছনের দিকে ছুটছি...

এখনও সময় আছে...যতটুকুই আছে...আপনার বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দিন...জানার-শেখার সুযোগ করে দিন...নিজেরাও হাতে তুলে নিন বইগুলো...আজকে/কালকে না হোক ১৫ বছর পরে হলেও এর সুফল পাবে এই দেশ...

& about this book...just mind blowing...
the story is inspiring itself...its about motherhood... its about patriotism...its about going for what you want the most...its about fighting for what's yours...its about our great liberation war...& so much more...

this book is just amazing at so many level...I cant just thank Anisul Haque enough for going through this story & binding the pieces together...loved is from the first page to the last...

★★★★★
Profile Image for Tasmim Bintay Haque.
23 reviews31 followers
April 30, 2021

'আজাদ’ শব্দটির অর্থ স্বাধীন। 'আজাদ' নামটি ছিল পাকিস্তানি সেনাদের কাছে এক ভয়ানক বিভীষিকা। তিনি ছিলেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু এই আজাদকে বীর আজাদ যিনি বানিয়েছিলেন তিনি তাঁর মা, যিনি ছিলেন আত্মসম্মানের প্রতীক, প্রতিশ্রুতির প্রতীক, আর সর্বোপরি একজন অসাধারণ মা। তিনি তাঁর আত্মসম্মান রক্ষার জন্য সকল ঐশ্বর্য, সকল বিলাসিতা, রাজত্ব ত্যাগ করে শত কষ্ট সহ্য করে মানুষ করেছিলেন তাঁর একমাত্র সন্তানকে। ক্ষুধার তীব্র জ্বালাও তাঁর দৃঢ়তার কাছে ম্লান হয়ে যেতো। তাও এই চলার পথে তিনি কখনও কারো কাছে হাত পাতেননি।

"মা" উপন্যাসের গল্প শুধুমাত্র একজন মায়ের নয়, এই গল্প একজন শহীদ মাতার যিনি দেশমাতার সম্মান বাঁচাতে নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন খুশিমনে। এই গল্প সেই মায়ের যিনি তার সন্তানকে শেষ দেখার সময় ভাত খেতে দিতে পারেননি বলে বাকি জীবন ভাত স্পর্শ করেনি। এই গল্পটি সেই মায়ের যার সন্তান বাংলা মাকে বাঁচাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে মেঝেতে শুয়ে ছিলেন বলে, চিরটাকাল কি শীত কি গ্রীষ্ম মেঝেতে রাত যাপন করেছেন। এই গল্পটি অসীম সাহসী যোদ্ধা মায়ের যার কথা ইতিহাসের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছিল। আরো বিশদভাবে বললে বলা যায়, 'মা' উপন্যাস একজন সাধারণ ভাবে বেঁচে থাকা এক অসাধারণ ছেলের স্বপ্ন দেখার আর তা ধূলিসাৎ হওয়ার এবং বাঙালির উপর পাকসেনার পৈশাচিক নির্যাতন এর দলিল যা পড়লে যেকেউ অশ্রুসজল হয়ে ফিরে যাবেন ১৯৭১ এ। ম্যাক্সিম গোর্কির 'মা' উপন্যাসটি পড়ার সৌভাগ্য আমার এখনো হয়নি, তবে আমি আনিসুল হকের 'মা' পড়েছি, যা বাংলার স্বাধীনতার জন্য সর্বস্বত্যাগী মায়েদের বেদনা ও দীর্ঘ নিঃশ্বাসকে আবারো মনে করিয়ে দেয়।
Profile Image for Rizal Kabir.
Author 2 books45 followers
January 7, 2020
আনিসুল হকের লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় বই।
তথ্য-উপাত্ত এবং কাহিনীর গাঁথুনী - সবদিক বিবেচনা করেই বইটা ভাল লেগেছিল আমার। যুদ্ধের গল্প শুধু যুদ্ধের গল্পই থাকে নি শেষ পর্যন্ত, এর সাথে যুক্ত হয়েছে শহর-গ্রামের জীবন। ছোটখাট আটপৌরে গল্পগাথা।
তবে নামের সার্থকতা রক্ষিত হয়েছে সফলভাবেই, কারণ উপন্যাসে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ছাপিয়ে প্রতীয়মান হয়ে উঠেছে একজন মুক্তিযোদ্ধার মায়ের আত্মত্যাগ, বীরত্ব।

বাংলাদেশের জন্মলাভের পেছনে লুকিয়ে আছে এরকম কত ত্যাগ, কত অজানা গল্প। খুব দক্ষ লেখকের মত যুদ্ধকালীন কিছু আবেগ-অনুভূতি আর ঘটনা বাংলার পাঠকদের কাছে তুলে ধরার জন্য সাধুবাদ আনিসুল হককে।
Profile Image for Fazle Rabbi Riyad.
87 reviews28 followers
January 10, 2019
যতদূর মনে পড়ে গত বছর হুমায়ূন আহমেদের 'অপেক্ষা' পড়া শেষ করে অনেকক্ষণ ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
এতোদিন পর আজকে আবার সেই রকম হল। আনিসুল হকের 'মা' নিয়ে কিছু বলার মত পাচ্ছি না আসলে। এতো সুন্দর করে একজন লেখক কীভাবে একটা বই লিখতে পারে?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস 'মা' উপন্যাসের মত আরো কয়েকটি বইয়ের মাঝেই চিরকাল বেঁচে থাকবে...
বেস্ট! ❤❤❤
Profile Image for Sabiba Hossain.
185 reviews19 followers
June 19, 2021
"বাবারে, যখন মারবে তুমি শক্ত হয়ে থেকো, সহ্য করো। কারও নাম বলে দিওনা।" ইশ! একজন মা কতটুকু আত্মত্যাগী হলে এমন কথা বলতে পারেন?!

বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে আজাদ ও তার মায়ের সংগ্রাম বড় হয়ে উঠেছে। আজাদের মা যেন সকলের মা, শেষে তিনি হয়ে উঠেছেন মাতৃভূমির এক দৃপ্তিময় প্রতীক হিসেবে ❤️ স্যালুট ও ভালোবাসা নিন, মা!
7 reviews43 followers
November 6, 2015
একটা অসাধারণ প্লট অর র‍্যাদার সত্য ঘটনা আনিসুল হক সাহেব অত্যন্ত সফলতার সাথে তার লেখনী ভঙ্গির সাহায্যে প্রায় মেরে ফেললেন। শুধুমাত্র মা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং স্টোরিলাইন অসাধারণ তাই ৩ তারা। আনিসুল হককে শুন্য রিভিউ দেওয়া গ্যালে খুশি হইতাম।
Displaying 1 - 30 of 153 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.