১৯৬০-এর দশকে বাঙলাদেশ ছিলো পাকিস্তানের উপনিবেশ। তখন একটি উর্দুগানে নিরন্তন ঝালাপাল হতো আমাদের কান, যার প্রথম পংক্তি ছিলো ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’। সামরিক শাসন আর উর্দু জাতীয় সঙ্গীতে বাঙলাদেশ ছিলো পীড়িত। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সৃষ্টি করি একটি স্বাধীন দেশ: বাঙলাদেশ। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল অন্ধকারের শক্তিরাশি আমাদের সামনের দিকে এগোতে দেয় নি, বরং নিয়ে চলছে মধ্যযুগের দিকে; বাঙলাদেশকে ক’রে তুলছে একটি অপপাকিস্তান। মৌলবাদ এখন দিকে দিকে হিংস্ররূপ নিয়ে দেখা দিচ্ছে; ত্রাসে ও সন্ত্রাসে দেশকে আতঙ্কিত ক’রে তুলছে। তারই এক ভয়াবহ ও শিল্পিত চিত্র রচিত্র হয়েছে হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ উপন্যাসে। উপন্যাসটি প্রথম বেরোয় দৈনিক ইত্তেফাক -এর ঈদ সংখ্যা ২০০৩-এ। বেরোনোর পর প্রগতিশীলেরা একে অভিনন্দিত করেন, আর মৌলবাদীরা মেতে ওঠে এর বিরুদ্ধে আক্রমণে-উপন্যাসটি পরিবর্ধিত হয়েছে
Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.
Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.
The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.
He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.
On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.
In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.
ভাল বই বলতে যদি এমন কোন বই বোঝানো হয় যা পাঠককে খুশি করে বা ঘোরের ভেতরে ঠেলে দেয়, তবে এটা মোটেই কোন ভাল বই না, এই বইটা শুধু চাবুকের মত আঘাত করে। একজন রাজাকার, এবং সর্বোপরি একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির মনোজগতকে যদি হুবহু কাগজে ছাপানো যেত, তবে এই বইটিই হত সেই দলিল। এই বইতে একজন ধর্মান্ধের স্বগতোক্তি একজন রাজাকার সমর্থককেও আতঙ্কিত করে, তাই তাকে বাধ্য হতে হয় লেখকের শরীর ছিন্নভিন্ন করে সেই ত্রাসকে চাপা দিতে।
বাংলাদেশে যে সময়ে এই বইটি লেখা হয়েছিল, সেই সময়ে এই বইটি লেখা খুবই প্রয়োজন ছিল। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রাক্কালে বইটির প্রতিটি অক্ষর একে একে জ্যান্ত ফুটে উঠছে। বইটি সম্পর্কে এর বেশি আর কিছু বলা লাগে না।
মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্রূপ ও অবজ্ঞার ভাষায় লেখা হয়েছিল বইটি। মৌলবাদী যারা কালের পরিবর্তন, বিবর্তন আর চাহিদার রূপান্তরকে অস্বীকার করে পুরাতন প্রথাকে দেহ-মনে-প্রাণে-মগজে-মননে আঁকড়ে ধরে, বেঁচে থাকতে চায় তাদের এবং সাম্প্রদায়িক যারা অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের উপর বিরুদ্ধচারণ এবং ক্ষতিসাধন করতে দ্বিধাবোধ করে না মূলত বইটি তাদের বিরুদ্ধে লেখা ।
ক্লাস-পরীক্ষা না থাকলে মাঝে মধ্যেই টিএসসি তে বসি,তেমনি এক সন্ধ্যায় চা খাচ্ছিলাম কথায় কথায় এক বন্ধু বলল এই বইটার জন্য এই জায়গাতেই হুমায়ূন আজাদ স্যারকে মারা হয়েছিল । তখনই নীলক্ষেত গেলাম ,বইটি নিয়ে হলে গিয়ে সেদিনই পড়া শেষ করলাম। বইটিতে কিছু কিছু জায়গাতে অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার করা হয়েছে ,প্রথমে খুব রাগ হচ্ছিল এই সব কি ভাষা কিন্তু শেষ করে মনে হল দরকার ছিল বর্বরতা ফুটিয়ে তুলতে তো বর্বর ভাষারই প্রয়োজন ।
ধর্মান্ধতা যে কি পরিমান বিশ্রী হতে পারে তা এই বইটি পরলে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। মালাউনদের(হিন্দু)দেশে থাকতে দেয়া যাবে না কিন্তু তাদের শরীরের গন্ধ নেয়া যাবে। মদ খেলে কোন সমস্যা নাই ,যত খুশি মেয়েদের সাথে থাকা যাবে কোন সমস্যা নেই শুধু নামায পরলেই চলবে।
বইটি শেষ হয়েছ সাগরে জেগে উঠা লাল সবুজের পতাকা দিয়ে । ধর্ম-নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক হয়ে বাংলা বেচে থাকুক আজীবন ,সবাই বসবাস করুক সুখে শান্তিতে ।
নিষিদ্ধ বইয়ে নিষিদ্ধ আনন্দের সন্ধানে বইটা পড়তে নিলে হতাশ হবেন, যেটা কিনা হুমায়ূন আজাদের আরো কিছু বইয়ের বেলায় প্রযোজ্য। পাক সার জমিন সাদ বাদ বিবমিষা জাগানিয়া অন্ধকার সময়ের গল্প। বিবমিষা জাগানোই এই বইয়ের উদ্দেশ্য। সেই প্রস্তুতি আর মানসিক শক্তি নিয়ে এই বই পড়তে বসা ভালো।
বইটা পড়ে আজ থেকে ২৭ বছর আগের দুর্বিষহ স্মৃতি জেগে উঠলো। ধামুরা নামের বরিশালের একটা সুন্দর গ্রামে থাকতাম আমরা। আমার বয়স তখন ৭ বছর। হিন্দু, মুসলমান বলে ভিন্নতা ছিলনা সেখানে। স্নিগ্ধ সাংস্কৃতিক বলয় আর শিক্ষানুরাগীদের আনাগোনায় বড় হচ্ছিলাম আমরা। এরপর একদিন ভারতে বাবরি মসজিদে হামলা। তার জের ধরে আমাদের গ্রামের মন্দির পোড়ানো হল, প্রতিমা ভেংগে দেয়া হ’ল, হিন্দুদের নির্যাতন করা হল। কোন মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছিল কীনা মনে নেই। আমার ছোট কানে সে তথ্য আসেনি। কিন্তু এর কিছুদিন পরে সোমালা (আমার বাল্য বান্ধবী) ভারতে চলে গেল ওর পরিবারের সাথে। আমার বন্ধু, আমার আত্মার বন্ধুটার জন্য আজও মন পোড়ে। বইটা বিবমিষা জাগিয়ে দিল। তীব্র মানসিক অবসাদ জাগানো বই। আর এই অবসাদ জাগানোটাই এর লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে লেখক সফল। হুমায়ূন আজাদ একজন বলিষ্ঠ লেখক কোন সন্দেহ নেই।
পুরো বইটি একজন জঙ্গী/ইসলামী চরমপন্থীর দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। প্রতিটা বাক্য পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম যে এমনকী আজকের প্রেক্ষাপটের জন্যও এত নিখুঁত বর্ণনা লেখক কিভাবে লিখেছেন, তাও আজ থেকে ১৩ বছর আগে। চরম সত্য কিছু কথা এত নির্বিকারভাবে আর সাহসীভাবে লেখার জন্যই হুমায়ুন আজাদ আলাদা একজন।
কেন বইটি নিষিদ্ধ হয়েছিল তা বোধগম্য। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম খুব স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করা হয়েছে, যৌনাচারও বাদ যায় নি। তাই যারা সত্যি কথায় অভ্যস্থ না, আর এসব "নিতে পারেন না" তাদের জন্য বইটা উপযুক্ত না।
বই: পাক সার জমিন সাদ বাদ লেখক: হুমায়ুন আজাদ রেটিং: ৫/৫ কয়টি তারা দেওয়া যাবে? ২ টা কিংবা ৩টা? হ্যাঁ প্রথমদিকে বইটি পড়তে পড়তে এটাই মনে হয়েছিল ২ তারা-র বেশি দেওয়া যায় না। কেননা হজম করতে পারছিলাম না বইটা। আমার ধরনের না।এতদিন যাবৎ যে ধরনের বই পড়েছি তার সাথে একদমই খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না। আবার এদিকে যে বইটি সেসময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যে বইটির জন্য হুমায়ুন আজাদকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল সে বই পড়ার লোভও সামলাতে পারছিলাম না। . প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস 'পাক সার জমিন সাদ বাদ' লেখা হয়েছে মৌলবাদের বিরুদ্ধে।যে ভন্ড সাধুরা হুজুর কিংবা মওলানা সেজে ধর্মের নাম বিকিয়ে মালাউন (হিন্দু সম্প্রদায়)দের ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে,মালাউন মেয়েদের ধর্ষণ করেছে,কালোবাজারি করেছে তাদের কথা লেখক বিদ্রুপের ভাষায় বলে গেছে। তাদের কাজ কারবার ছিলো " 'বিসমিল্লাহ' বলে মদ খাওয়ার সামিল"। তারা মনে করতো জিহাদের নামে যেকোনো খারাপ কাজই করা হোক না কেন তা বৈধ,তাতে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে। . এই বইটি পড়ার আগে অবশ্যই প্রস্তুতি নিয়ে পড়বেন। নাহয় আমার মতো নিজেকে সামলে নিতে পারবেন না।বইটার শেষদিকে মোড় একেবারেই ঘুরে যায়। যার কারণেই পাঁচ তারা দিতে বাধ্য হয়। . অনেক অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।কিন্তু মনে হচ্ছে একটুও বেশি বলা হয়নি। ঐ সময়টা ফুটিয়ে তুলতে এমন অশ্লীল ভাষারই প্রয়োজন ছিলো। ( পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন ছিল 'পাক সার জমিন সাদ বাদ) পুনশ্চঃ বইটিতে অবশ্যই পুরো ইসলাম জাতিকে বুঝানো হয়নি। যারা ইসলামের নাম বিকিয়ে এইসব অপকর্ম করেছে, করে কিংবা করে যাচ্ছে তাদের বুঝিয়েছে।( ব্যাক্তিগত মতামত)
বইটা একটা ফিকশনাল নোভেল, কিন্তু এখানটায় জামাঈ জিহাদীদের যে আইডিয়ালজি তুলে ধরা হয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। একজন ধর্মীয় গোড়ামিতে, একগুঁয়েমিতে আপাদমস্তক জড়িয়ে থাকা মানুষের পার্স্পেক্টিভ থেকে বর্ণিত ধর্মীয় বিদ্বেষের কাহিনী। এমন এক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি ধর্মীয় পার্টির চোখে নারীরা যৌনবস্তু, তাদের সম্পদ,সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মালাউন ট্য��গেই পরিচিত । এই পার্টির কাছে মালাউনরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। তাদের কতল করতে হবে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে হবে, সম্পদ লুট করতে হবে এই ছিল তাদের নীতি। এমনকি কোনো স্থানের নাম সনাতনী থাকলে তার এরাবিক নাম দিয়ে তাকে পাক স্তান করতে হবে। তাদের প্রতিটি অন্যায় কাজ ভ্যালিড করার জন্য তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। ফর এক্সাম্পল -জিহাদের পরে মালাউন মেয়ে রেইপ করে দিলকে ঠান্ডা করতে হয়, এটা তাদের উপর বর্ষিত আল্লাহর রহমত। যাই হোক কাজী নজরুল ইসলামের একটা কবিতাংশ মনে পড়ছে, ভাবার্থ এমন যে "সবকিছুর বিচারালয় মানুষের মন।মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা এই মন। " মানুষের মন বলে দেয় সে ঠিক করছে না ভুল করছে। দিনের পর পর দিন সাবকনশাসলি সিগনাল আসতেই থাকে, মানব সন্তান যদিও অস্বীকার করেই যায়, করেই যায়, করেই যায়! কিন্তু সেটা আর কতদিন পারে, মিথ্যার ভারে কি দমবন্ধ হয়ে আসে না??
হুমায়ুন আজাদের এই লেখাটা বুদ্ধিদীপ্ত, রগরগে এবং নিঃসন্দেহে সাহসী। কখনো কখনো কোনো মোমেন্টামে একটা মানুষের মাথায় ইতিবাচক আর নেতিবাচক ভাবনাগুলোর যে দ্বন্দ সেটা তিনি লিখে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। বিবেক নাড়া দিলে মানুষ যে কাউন্টার লজিক দিয়ে নিজের কাজকে জাস্টিফাই করে সেটাও দেখানো হয়েছে স্পষ্টভাবেই।
২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামের নির্বাচন পরবর্তী সময়কালের ঘটনাপ্রবাহ। গল্প বলার ভঙ্গিমা নিয়ে নির্দ্বিধায় আপত্তি আসবেই, ভাষাগত দিক দিয়ে কতটা মার্জিত, সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। ধর্মানুভূতি প্রবল থাকলে নিঃসন্দেহে হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু কামনা করবেন পাঠক। ব্যাক্তিগত মতামত, লেখক হিসেবে, লেখা হিসেবে, এটি পুরোপুরি সফল। সংখ্যালঘু নির্যাতন, জঙ্গী চেতনা সহ অন্যান্য যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, সেটা অনেকটাই আপত্তিকর ঠেকতে পারে, উপস্থাপনা নিয়ে চিৎকার চেচামেচি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে এত কিছুর আড়ালেও যে বিষয়টি নিয়ে ধাক্কা খেতে হয়, তা হলো বর্তমান পারিপার্শ্বিকতার সাথে বইয়ের চরিত্র, কথোপকথনের কি অদ্ভূত মিল। মোটামুটি ষোল বছর আগে লেখক যে বর্ণনা দিয়ে গেছেন, বর্তমানে তার সাথে অনেক কিছুরই হুবহু মিল প্রবলভাবে লক্ষণীয়। আর কিচ্ছুটি না, বিএনপি জামায়াত শাসনামলে, নির্বাচন এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়ে, শুধুমাত্র এইরকম একটা লেখা লেখবার জন্য যে গাটস দরকার, সেটা চিন্তা করেই অবাক লাগে।
পঠন খুব উপভোগ্য নয়, কিছু পুনরাবৃত্তিতেও বিরক্তি আসবার মত, তারপরেও চোখ মুখ বুজে পাঁচ তারকা।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী এই লেখকের অসাধারণ একটি বই পাক সার জমিন সাদ বাদ। এটি শুধু কোন বই না-- এটি একটা টেস্টামেন্ট। যেসব অন্ধকারের জন্যে আমরা জাতি হিসেবে সামনে এগুতে পারিনি, কিছু সামনে থেকে বলতে পারিনি, সেই অন্ধকারের দলিল "পাক সার জমিন সাদ বাদ"। সাম্প্রদায়িকতা শব্দটাও অনেক বেশী ম্লান মৌলবাদের সামনে যদিও এগুলো সব কিছুই একই গোত্রভুক্ত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ম এবং এর আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো অনেক বেশী স্পর্শকাতর। মানুষের কনসেপশন পরিষ্কার না থাকার কারণে বা যুগের যুগের পর যুগে মাওলানা (মাওলানা বলতে ধর্ম ব্যবসায়ী, নারীলোভী, উগ্রবাদীদের বোঝানো হচ্ছে) দের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ হওয়ার পর ধর্ম নিয়ে স্পর্শকাতর না হয়ে উপায় থাকেনা। এই বই সম্পর্কে লিখতে গেলে লেখার গন্ডি বুঝতে হলে বাংলাদেশের সামগ্রিক সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর আলোকপাত করতে হবে। ১৯৭১ এর অগ্রবর্তী এবং পরবর্তী সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কের সাথে এই বইয়ের সম্পর্ক আছে। এই বইয়ে হুমায়ূন আজাদের লেখনী শক্তি এতো বেশী শক্তিশালী ছিলো যে মৌলবাদের ভীত কেপে উঠে। বইটিকে নিষিদ্ধ করার আন্দোলনেও নামে তারা। একটি বই কতটা শক্তিশালী হলে তা লেখকের উপর প্রাননাশের আক্রমন হয়?
এই বইয়ের প্রেক্ষাপট আমাদের চলমান রাজনীতি। । আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে সংকীর্ণ ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী রাজনীতি; যে রাজনীতি যুক্তি মানে না, গণতন্ত্র মানে না, অন্যের মতামতকে স্বীকার করে না, সেই সহিংস ও সন্ত্রাসী রাজনীতি। তিনি ওই বইয়ে দেখিয়েছেন, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর 'শান্তির আগুনে' কিভাবে সংখ্যালঘু জনপদ ধ্বংস হয়ে যায়, তার চেহারা পাল্টে যায়, তার নারীরা কী নির্মমভাবে ধর্ষিত হয়। কিভাবে ধর্মের নামে অন্যায় অবিচার হয়। মানুষের চেতনাকে আবারো শৃংখলে আবদ্ধ করার তৎপরতার চমৎকার বর্ণনা।
কলেবরে বেশ বড় কোন বই না, কিন্তু প্রায় প্রতিটি পাতায় কেঁপে উঠার মত লেখা। ধর্মান্ধতার হাত থেকে এখনো আমরা মুক্ত না। ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তির জন্যে তাকে স্মরণে রাখতেই হবে।
বইটির বেস্ট ডেসক্রিপশন সম্ভবত একজন রাজনৈতিক দলের নিবেদিত কর্মীর মনস্ক্রিয়ার পাডুলিপি (যদিও এই বইতে ইসলামী রাজনীতির কার্যকলাপ ই নির্দিষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে)। শুধুমাত্র এই একটি মানদণ্ডেই বইটিকে ফুল মার্ক্স দেওয়া যায়। ইসলাম ধরম নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা উল্লেখ রয়েছে। এর আগেও লেখক হুমায়ুন আজাদের চাছাছলা লেখা আমার পছন্দ হয়নি। ব্যক্তিগত ভাবে কোনো বই নিষেধের পক্ষপাতী নই, তবে অর্ধেক পড়ার পর আর অগ্রসর করার রুচি হয়নি।
সমগ্র বইটিতে কোনও চ্যাপ্টার নেই। উপন্যাস নয়, এক হিসেবে চটি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায়। কোনো literary content এটাতে খুঁজলে পাওয়ার আশা বৃথা।
কোনো অতি সাধারণ লেখার পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি র উত্তম পন্থা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা - "পাক সার জমিন সাদ বাদ" যেন এই উক্তির জলজ্যান্ত উদাহরণ।
Death of fundamentalism and religious fanaticism. Accurate revealing of the transparent mask of fake religion. The most necessary revolt against blindness and metal arrogance in Bengal land. An astonishing book, might be one of the most brave and revolutionary Book in 21st century. Respect to Sir Humayun Azad for exposing the inner poisonous roots and minds of religious fanatics in bengal land. Masterpiece of Bengal literature.
মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা আর কতিপয় রাজাকারের বিবমিষাময় অন্ধকার সময়ের গল্প এটা, অনেক দিন আগে বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম কিন্তু যখনই পড়তে শুরু করি কোন না কোন পাতা পড়ে এক অদ্ভুত মনখারাপ আর অদৃশ্য অনীহা কাজ করত বইটা শেষ করার.অবশেষে শেষ ভালো যার সব ভাল তার মত বইটা সমাপ্ত হল😊
বইটা ভাল লাগেনি একদম। লেখকের প্রথম পড়া বই আমার ছিল লাল নীল দীপাবলী। এত সুন্দর লেখা... অথচ এই বইটা পড়তে গিয়ে বারবার ধাক্কা খেয়েছি। অশালীন, খিস্তি-খেউড় পড়েছি অনেক, কিন্তু এই বইটায় কদর্য ঘৃণার প্রকাশ এতই তীব্র যে, আমারও কয়েকটা পৃষ্ঠা পড়তে গিয়ে রীতিমত গা গুলিয়ে এসেছে। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার অধিকার আছে, হুমায়ুন আজাদও সেটাই করেছেন এই বইয়ে। তবে আমার শুধু একটা ব্যাপার মনে হয়েছে, উনি অসম্ভব মেধাবী একজন লেখক, গবেষক। এই ধরণের বইয়ের মাধ্যমে তার মেধার অপমূল্যায়নই হয়েছে শুধু। অনেকেই আমার মতেই সাথে দ্বিমত করতে পারেন। তবুও নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে বললাম এই বই সম্পর্কে অভিমত।
A sharp stab at BNP-Jamaat and their ideology; A much needed criticism of the government at the time when Jamaat's cronies were rampaging minority villages with impunity. Humayun Azad's fearless fictional tale has some shortcomings however - that of being crass in every possible way, being repetitive and severely lacking character development. The sheer hypocrisy of BNP-Jamaat-Shibir was portrayed beautifully but I'm afraid the crass language overshadows the point.
This entire review has been hidden because of spoilers.
নিও-অ্যাথিজমের একজন বড় প্রপোনেন্ট কিভাবে তথাকথিত শান্তির ধর্মকে ছিলে ফেলতে পারেন, তার একটা চিরন্তন উদাহরণ হয়ে থাকবে এই বই। এটা যে নিষিদ্ধ হয়েছিল, লেখক এই লেখার দাম দিয়েছেন জীবন দিয়ে, এই জিনিসগুলো মোটেও আশ্চর্যজনক না; একটি বিশেষ গোষ্ঠী সমালোচনার জবাব এভাবেই দিয়ে আসছে সেটা একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে এসে সবাই জানে। নট এভরিওয়ান'স কাপ অফ টি। কিন্তু যাঁরা পড়বেন, তারাই ধর্মান্ধতার রূপ সম্পর্কে একটা তীব্র বিদ্রুপাত্মক স্যাটায়ার উপভোগ করবেন মনে করি।
A tour inside the heads of people who use religion to spread terrorism. This book is very boldly written. Even though it has a lot of triggering points it reminds us again that the religion which makes us sacrifice our humanity is no religion at all.
প্রথমে একটি কথা, এরকম অনেক উপন্যাস আমরা পড়েছি যেটা লেখক বা উপন্যাসের কোনো চরিত্রের জবানী তে রচিত। এই বইটাও ঠিক তাই।যেমনটি হুমায়ূন স্যারের হিমু। তবে বেশীরভাগ লোক লেখাটাকে,এই লেখককে এবং তার লেখা বইগুলোকে নিয়ে কেন অযৌক্তিক তোলপাড় লাগায় সেটা এখনো আমার অজানা।
পাক সেনারা,জঙ্গী সদস্যরা এসব চিন্তা করতে পারবে,বাস্তবে এসবের প্রতিফলন ঘটাতে পারবে অথচ একজন লেখক সেটা লিখে প্রকাশ করলেই যত দোষ! আমি এটা বলতে চাচ্ছি না, লেখকের সব কথাই সঠিক, বলতে চাচ্ছি না যে লেখক সত্যতা যাচাই করে লিখেছেন প্রতিটি লাইন।
কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা সামান্য লেখার ওজনটাই নিতে পারি না! হায়রে পাঠক।অবশ্য পাঠকদের কিছু বলবো না। যারা মূলত অযৌক্তিক তর্ক করে,তারা বেশীরভাগই আজাদ পড়ে নি,শোনা কথা আর কিছু মুখস্ত বুলির ভিত্তিতে তারা তর্ক করতে আসে।
"পাকিস্তান" এই শব্দটা আমার কাছে প্রচন্ড ঘৃণিত একটা শব্দ। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে,কিন্তু কোনো এক শ্রেণী সেটাকে আবারো আরেকটি পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। জিহাদের ভুল ব্যাখ্যায় তৈরী করছে লক্ষ লক্ষ জঙ্গী।তারা একে একে ঝাপিয়ে পড়ছে তাদের কু-লক্ষ্যে।
এই শ্রেণীভুক্ত এক নেতার জবানীতেই শুরু হয় এই উপন্যাস।চলেছে তার নিজস্ব ধারায়। অতি জঘন্য সে রূপ,তাদের চিন্তাধারা,মানসিক অবস্থা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট থাকলেও গভীরভাবে ফুটে উঠেছে পাকসেনা আর রাজাকারদের মনোবৃত্তি, তাদের কামনা তাদের অতি নিকৃষ্ট অত্যাচার।
পবিত্র ধর্ম ইসলামে বলা আছে সকল ধর্ম আর মানুষের প্রতি সহনশীল মনোভাব পোষণ করতে।কিন্তু এই বইয়ে আমরা দেখতে পাবো সংখ্যালঘুদের প্রতি ইসলামী লেবাসধারী ভন্ড নেতাদের নির্মম অত্যাচার। যেমনটি ঘটতো হিন্দুশাসিত ভারতবর্ষে মুসলিমদের প্রতি। আসলে ধর্মের নাম দিয়ে কুকর্ম করতে কোনো শ্রেণীর মানুষই কম যায় না। সেটা কোনো কথা না,কথা হচ্ছে ধর্মকে পুঁজি করে একদল ভন্ড নেতার নৃশংসতা।
সব মিলিয়ে কঠিন অপ্রিয় সত্যের একটা উদাহরণ হচ্ছে এই উপন্যাস। লেখকের প্রচন্ড সাহস আছে বলা যায়,ওই সময়ে এরকম কিছু একটা লিখে সেটা জনসম্মুখে আনা সত্যিই সাহসের ব্যাপার।
আমার বুকশেলফে সবচেয়ে নিৎকৃষ্ট বই হিসেবে থেকে যাবে বইটি। আমি এতটা অবাক হচ্ছি উনি একজন লেখক হয়ে এত হেট স্প্রেড করতে পারে কিভাবে? বইটা ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত একটি নিষিদ্ধ ইসলামিক দল নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু তার আড়ালে ইসলাম ধর্মের আশ্রয় নিয়ে কাঠ মোল্লাদের মতন এত উল্টাপাল্টা জিনিস উপস্থাপন করেছেন তাতে বুঝা যায় এই পৃথিবীতে যদি খারাপ কিছু থাকে সেটা ইসলাম আর মুসলিমরা সবচেয়ে নিকৃৎষ্ট মানুষ। আমি মানছি, সেই সময় এই দলটি যেসব জঘন্য কাজে লিপ্ত ছিল তা অবশ্যই নিৎকৃষ্ট কর্মকান্ড।কিন্তু লেখক ধর্মের আশ্রয় নিয়ে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটা তার থেকে ও খারাপ। কারণ খারাপ লোকেদের কোন ধর্ম নাই। তারা ধর্মকে পুজি করে মাত্র।
বিষয়টা এমন যে (লেখকের মতে), যারা মুসলিম তারা এই নিষিদ্ধ দলটার আদর্শে বিশ্বাসী, মুসলিমদের কাজই হচ্ছে সারাদিন মারামারি করা এবং বাংলাদেশের সব মুসলমানই চায় এদেশ পাকিস্থান হয়ে যাক। যা পুরোপুরি মনগড়া বানানো। উনি শুধুমাত্র ইসলামকে হেট করেন বলেই এতটা হেট স্প্রেড করতে পেরেছেন। আমার মনে হয় উনি যতটা না নাস্তিক ছিলেন, তার থেকে ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন বেশি।
আমাদের ধার্মিক এবং অধার্মিক ভাইদের সমস্যা হচ্ছে আমরা আমাদের নিজস্ব ফিলোসফিতে এতটা বিশ্বাসি যে আমরা আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার জন্য অন্য মতবাদের যত নেগেটিভ জিনিস আছে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শুধু তাদের বদনাম করতে থাকি। কিন্তু আমরা এটাই ভুলে যাই যে পৃথিবীতে আমার এখনো মৃত্যুকে জয় করতে পারিনি সেখানে কোন কিছু পারফেক্ট হতে পারে না। আর এটা আমরা মানিনা বলেই সমস্যা আর ভেদাভেদের সৃষ্টি।
রীতিমত হতাশ বইটি পড়ে, লেখকের আক্রমণ আক্রোশ সব কিছু মৌলবাদি দের নিয়ে! তবে, তথাকথিত রিতী ও কালের বিবর্তনে গুটি কয়েক মৌলবাদিদের আচরণ বিধিমালা প্রনয়ন করে, সমগ্র গোত্র কে অকাঠ্য দলিলে দোষারপ এ আমি হতাশ। হুমায়ুন আজাদ স্যার কে আমি অত্যন্ত সম্মানের সহিত দেখি তবে কালে ভদ্রে মালাউন নারীর ঝোঁক আর ইসলামি শ্লোক ব্যবহার অপ্রয়োজনীয়, দুর্ভা���্যজনক।
বিরক্তিকর বই বলতে যা বুঝায়, এই বইটি পুরোপুরি তাই। সৃজনশীলতা, তথ্য, তত্ত্ব বা গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা এর কিছুই এই বইয়ে নেই। যা আছে তা হলো তীব্র ঘৃণা, উগ্র বিদ্বেষ আর কুরুচিপূর্ণ ভাষার উদগ্র ব্যবহার। এই বই না টানে পাঠককে এর ঘটনায়, না টানে ভাষায়, না গতিময়তায়! অনলি টাইম ওয়েস্ট!
যথেষ্ট বিরক্ত বইটা পড়ে।কাহিনির প্রেক্ষিতে নারী দেহ, পুরুষ দেহ,যৌনতা আসতেই পারে,কিন্তু তাই বলে ১০০/১৫০ পেইজ পুরোটা জুড়ে এসবই থাকবে সেটা আমার মোটেই কাম্য নয়।জোর করে শুধু এসবকেই টানা হয়েছে এই বইয়ে।প্রচন্ড বাজে অনুভূতি হইয়েছে বইটি পড়ে,পুরো হতাশ।
Reading this book was not easy. Knowing about Humayun Azad's extreme atheism, it was clear that the book was written as an extremely sarcastic statement. However, the foul language, no division of chapters, gibberish storyline, it just makes the reading experience stressful.
If you are a non-muslim and believe that he's writing to represent muslims, oh boy are you wrong. The particular sect he addresses only intends to seize and abuse power, and that's it. This is not a representation of Islam.
Also, can't deny, reading this book (published in 2004) in 2021, some of it's statements are still used by stupid extremists. After The Taleban's return to power, Facebook/twitter was filled with speeches like the ones described in this book.
So no matter how uncomfortable this book makes you feel, you should read this book, to have perspective, to understand the difference between the religion and politics.
পুরো বইটি মূলত একজন প্রগতিশীল মনোভাব থেকে উঠে আসা জংগীর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্বের মধ্যে যখনই কোন ভাল চিন্তা মস্তিষ্কে চারা দিয়ে উঠতে চায় ঠিক তখনই ব্রেইন ওয়াশে ব্যবহৃত ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দ্বারা তাকে অংকুরে বিনষ্ট করার জন্য যেই প্রচেষ্টা সেটি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে নিখুত বর্ণনা এই বইটিতে আছে।
বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগে থেকে ধারনা থাকা সত্ত্বেও বই শুরু করার পর রীতিমত একটা ধাক্কামত খাই। প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে মনে হচ্ছিল শেষ করতে পারব না আমি। এরকম ভাষা নিতে পারছিলাম না। পর পর ২ দিন দুঃস্বপ্ন দেখলাম। শেষ না করেও শান্তি পাচ্ছিলাম না। কিছু বই থাকে যা সমস্ত বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেয়। আমার জন্যে এই বইটা এরকমই ছিল।
এত ধারালো, তীক্ষ্ণ লেখা যা পড়তে গিয়ে বারবার আমার অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল, এমনকি কয়েকবার বই বন্ধ করে নিঃশ্বাস ফেলতে হয়েছিল, বমি আসছিলো, গায়ের লোমগুলো দাড়িয়ে যাচ্ছিলো বারবার। এত কড়া ভাষায় কেউ লিখে! আতংকিত হবার আরেকটি কারণ হল দেশের বর্তমান সময়ের জঙ্গিবাদ এর তৎপরতা। আমার তো মনে হয় এই লেখা দুর্বল চিত্তের কারো পড়া উচিত না , তবুও পড়া বাধ্যতামূলক মনে হয়।