ঝাড়গ্রামে এক ওয়েব সিরিজ ‘অন্বেষণ’-এর শ্যুটিং লোকেশনে এক বৃষ্টি বিঘ্নিত দুর্যোগের রাত্রে হটাৎ কোনও শিডিউল ছাড়াই ভুবনেশ্বর থেকে তড়িঘড়ি লুকিয়ে এসে হাজির হয় সুপারস্টার অনুরাগ দাশগুপ্ত৷ অনুরাগ কেন ঝাড়গ্রামে এভাবে এল? নায়িকার মহিমার টানে, নাকি সেনোরিটার দুর্নিবার যৌন আকর্ষণে? এর উত্তর কি আছে সবচেয়ে উপেক্ষিতা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর চন্দ্রলেখা নিয়োগীর কাছে? কী সম্পর্ক অনুরাগের সঙ্গে চন্দ্রলেখার? জীবনানন্দর কবিতা আর ঝুমুর গান ভালোবাসা সাংবাদিক বৈসম্পায়ন এর উত্তর খুঁজতে ঘটনাক্রমে হাজির হয় কনকদুর্গা মন্দিরের কাছে ডুলুং নদীর উল্টোদিকে এক জঙ্গলে! অপ্রত্যাশিত মুখোমুখি চন্দ্রলেখার! কে নিঃশব্দে অনুসরণ করে ওদের?...মেঘলা দিনে জঙ্গলে লুকোচুরি করে অনেক রহস্য, মনের অলিগলি৷ সেনোরিটা এক প্রাপ্ত মনস্ক রহস্য থ্রিলার৷
কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৬৪, ব্যারাকপুরে। প্রথম জীবন কেটেছে শ্যামনগরে। ইছাপুর নর্থল্যান্ড বয়েজ হাইস্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। প্রথমে অনিয়মিতভাবে কিছু লিটল ম্যাগাজিনে লিখতেন। ২০০৫ থেকে নিয়মিতভাবে আনন্দবাজার পত্রিকার বিভিন্ন প্রকাশনায় ছোটগল্প লিখছেন। ‘খেজুর কাঁটা’ গল্পটি নিয়ে হয়েছে শ্রুতিনাটক। ছোটগল্প ‘ছবির মুখ’ আকাশবাণীতে বেতারনাটক হয়ে সম্প্রচারিত হয়েছে। লেখকের ‘ব্রহ্মকমল’ গল্পটি ২০০৬-এ ‘দেশ রহস্যগল্প প্রতিযোগিতা’য় প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে। ২০০৭-এ ‘পূর্বা’ শীর্ষক একটি কল্পবিজ্ঞান গল্পের জন্য ‘দেশ গল্প প্রতিযোগিতা’য় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। রাধিকা লেখকের প্রথম উপন্যাস।পেশাদারি জীবনে ইঞ্জিনিয়ার, বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে কর্মরত। সাহিত্য ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে প্রবন্ধ লেখেন। ভারতীয় মার্গ সংগীতের প্রতি বিশেষভাবে অনুরক্ত।
প্রাপ্তমনস্ক? অবশ্যই। তবে থ্রিলার হিসাবে কেমন তা বুঝতে শেষ অব্দি পড়তে হবে। গল্প খুব সাধারণ ভাবেই এগোতে থাকে। Twist and turn যা আসার তা আসে প্রায় ৮০ পৃষ্ঠায় পৌঁছে। 🤗 গল্পের শেষ অব্দি পড়ে তবে বোঝা যায় গল্পটা কি নিখুঁত হাতে পরতে পরতে সাজানো হয়েছে। সত্যি ভালো।
গল্পটি নিঃসন্দেহে ভালো। তবে কোন খুন বা বড়সর ঘটনা নেই, তদন্ত নেই। সাইকোলজিক্যাল বটে। কিন্তু থ্রিল পেয়েছি একদম শেষে এসে। শেষে থ্রিল এর quality খুব ভালো কিন্তু তার জন্য গোটা বই অপেক্ষা করানো টাকে ক্ষমা করা যায় কিনা এটা একটা প্রশ্ন। মোটের ওপর বেশ ভালোই। চার তারা দেওয়াই যায়। তবে কেউ বিরক্ত হয়ে গেলেও অবাক হব না। 😅😅
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস পড়লাম 'সেনোরিটা' দিয়ে।
'অন্বেষণ' নামে এক ওয়েব সিরিজের আউটডোর শুটিং চলছে ঝাড়গ্রামে, যার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর চন্দ্রলেখা নিয়োগী। সে বৃষ্টি দেখতে, উপভোগ করতে ভালোবাসে। কারণ বৃষ্টির জলের সাথে হাজারো মন খারাপ ধুয়ে মুছে যায়।
চন্দ্রলেখার মতো বৈশম্পায়ন'ও বৃষ্টিকে উপভোগ করতে ভালোবাসে। সে একজন সাংবাদিক। 'অন্বেষণ' ওয়েব সিরিজের শুটিং কভার করতে সে ঝাড়গ্রামে এসেছে। বৃষ্টিকে উপভোগ করাকালীন সে দেখে এই বৃষ্টিভরা দুর্যোগের রাতে হঠাৎ করে সেখানে হাজির হয় সুপারস্টার অনুরাগ দাশগুপ্ত। অথচ তার ঝাড়গ্রামে কোনো শুটিং শিডিউল নেই। তাহলে অনুরাগ হঠাৎ এভাবে কেন আসলো?
কাহিনী প্রথম থেকেই এক রহস্য ধরে রেখেছিল, যা শেষ হয়েছে এক টুইস্টের দ্বারা। তবে কেন এটাকে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বলা হচ্ছে তা আগ্রহী পাঠকরা পড়ে দেখুক, কারণ এর বেশি বিষয়বস্তু বললে স্পয়লার হয়ে যাবে।
সমগ্র উপন্যাস জুড়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন, রহস্য, প্রেম, যৌনতা। তবে থ্রিলার বলতে সাধারণত যে খুন-খারাপি থাকে, এই থ্রিলার কিন্তু সেই পথে হাটে না। তবে তারপরও এই বই আকর্ষণীয়, যার ফলে পাঠক পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একদম শেষ পাতায় পৌঁছে যেতে বাধ্য। এই উপন্যাসে ঝাড়গ্রাম, তার কনকদূর্গা মন্দির, ডুলুং নদীর সৌন্দর্য, শাহরুখ খানের সিনেমার ডায়লগ, ঝুমুর গান সহ জীবনানন্দের কবিতার অংশ প্রাধান্য পেয়েছে। "এই জল ভালো লাগে, বৃষ্টির রূপালি জল কতো দিন এসে, ধুয়েছে আমার দেহ, বুলায়ে দিয়েছে চুল-চোখের উপরে, তার শান্ত স্নিগ্ধ হাত রেখে কতো খেলিয়াছে... "
তবে উপন্যাসের অনেকটা জুড়ে রয়েছে প্রেম। এখানে প্রেম এসেছে শ্রাবণের ধারার মতো। প্রেম কোনো গড় বাধা নিয়মে চলে না। এখানেও চলে নি। এই প্রেম অন্যরকম। এর অনুভূতি, এর টান সমস্তটাই আলাদা। তবে এই প্রেম মন খারাপ করায়। এই প্রেম গভীর সমুদ্রের তোলপাড়ের মতো পাঠক মনকেও তোলপাড় করে তোলে।
সবশেষে এটাই বলবো বইটা আমার বেশ ভালোই লেগেছে। হ্যাঁ যদিও একটা প্রশ্নের উত্তর পাইনি, সেটার একটা হিন্ট থাকলে আরও ভালো হতো। কিন্তু তারপরও বলবো বইটা বেশ ভালোই লেগেছে। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পড়তে আগ্রহী পাঠকরা একবার পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি খারাপ লাগবে না। পাঠে থাকুন।
"তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে, পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন, মানুষ র'বে না আর, র'বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখন, সেই মুখ আর আমি র'বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।"
🌼শেষ করলাম কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা একটি প্রাপ্ত মনস্ক সাইকো থ্রিলার । সেনোরিটা। সেনোরিটা নামের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। ৯০ এর দশকের খুব জনপ্রিয় একটা সিনেমা "দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে " থেকে নেওয়া একটা নাম।
🍁এই উপন্যাসের গল্প শুরু হচ্ছে ঝাড়গ্রামের পটভুমিতে। সেখানে একটা রিসোর্টে বাংলা ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছিল, সেখানে বাংলা ছবির সুপারষ্টার অনুরাগ গিয়ে হাজির হয়, কিন্তু সেখানে অনুরাগের কোনো শুটিং ছিলো না। অনুরাগের এই হটাৎ আগমন নিয়ে নানা কানঘুসো শুরু হয়। কেও কেও বলছে নায়িকা মহিমার সাথে অনুরাগের কোনো গোপন সম্পর্ক আছে। সত্যিই কি তাই?
অন্য দিকে এই শুটিং এর সব চেয়ে উপেক্ষিত ও অবহেলিত একটা মেয়ে, এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর চন্দ্রলেখা নিয়োগীর কাছে অনুরাগের এই আগমন অন্য তাৎপর্য নিয়ে আসে।
🍁অনুরাগ কেনো আসলো এই রিসোর্ট এ? 🍁সেনোরিটা চরিত্র টা কে? 🍁চন্দ্রলেখার মতো সাধারণ মেয়ের সাথে অনুরাগের কি সম্পর্ক? 🍁মহিমার সাথে সত্যিই কি অনুরাগের কোনো সম্পর্ক আছে?
এতো গুলো প্রশ্নর রহস্য নিয়েই শুরু হবে উপন্যাসটি, এর পরে আর একটা প্রধান চরিত্রর সাথে পরিচয় হবে পাঠকের একজন সাংবাদিক নাম বৈশ্মম্পায়ন। যে এই গ্রূপের সাথে এসেছে কিছু ইন্টারভিউ নেবার জন্য। কিন্তু যখন থেকে অনুরাগ এসেছে তখন থেকে সেও পড়ে আছে তাঁর পিছনে কেনো অনুরাগ এসেছে এখানে।
🍁গোটা উপন্যাস জুড়ে আছে রহস্য, প্রেম যৌনতা সব। আর সব থ্রিলার থেকে এই বইটি একদম আলাদা, কোনো রকম খুন নেই। তাঁর পরেও এমন একটা বই যা একবারেই শেষ করতে ইচ্ছা হয়। পুরো উপন্যাসে আছে একটা প্রেমের গল্প, সেই প্রেমের পাত্র পাত্রী কারা সেটা বলা যাবেনা।
🍁অবশ্যই দুর্দান্ত একটা প্লট নিয়ে লেখা, এটা লেখা হয়েছে মানুষের মনের জটিলতা নিয়ে। আর উপন্যাসের শেষের টুইস্ট টা পাঠকের মাথা ঘুরিয়ে দেবে। 🙂
🍁পুরো উপন্যাসে ছড়িয়ে আছে একজন মানসিক রোগী, তাঁর নাম , কি তাঁর রোগ সেগুলো বললে স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে। কারন এটাই এই বইয়ের মূল রহস্য।
🍁উপন্যাসটা বেশ ছোট, কিন্তু এতো কমের ভিতরেও লেখক প্রতিটা চরিত্রকে বেশ ভালো ভাবেই গড়েছেন।
🍁সব চেয়ে ভালো লেগেছে এই বইটিতে বিভিন্ন জায়গাতে প্রাসঙ্গিক ভাবে জীবনানন্দ দাস, ঝুমুর গানের ব্যবহার। জীবনানন্দ দাসের কবিতা যে একটা সাইকো থ্রিলারের সাথে এভাবে জড়িয়ে যেতে পারে, এই বইটি না পড়লে বুঝতেই পারতাম না।
🍁এছাড়া এই বইতে ঝাড়গ্রামের বিশেষ করে চিলকিগড়ের কনকদূর্গা মন্দির, ডুলুং নদীর অপরূপ সৌন্দর্যর বর্ণনা আছে । ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ীর ইতিহাসের কথাও আছে।
🍁বইটি নিয়ে খারাপ লাগা বলতে একটাই বইয়ের শেষে পাঠকের একটা কৌতূহল থেকে গেছে। যদিও এটা খারাপ লাগা নয়, তবে ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে জানার একটা অদম্য ইচ্ছা সবারই হবে।
🍁এছাড়া বইটি ভীষণ সুন্দর, পুরো বইতেই রহস্য ছড়িয়ে আছে, পেজ কোয়ালিটি ভীষণ ভালো। আর যারা গল্পে ভীষণ রকম টুইস্ট খোঁজেন, এই বইটি তাঁদের কেও সাজেস্ট করবো।
🍁যারা শাহরুখ খানের ফ্যান আছেন🌝 তাঁদের নিঃসন্দেহে বইটি ভালো লাগবে, প্রচুর ডায়লগ আছে, আর আছে শাহরুখ খানের স্টাইলের বর্ণনা।
এই ধরনের আরও রিভিউ পেতে এবং নিত্য নতুন বই সম্পর্কিত তথ্য পেতে like, follow..করে সাপোর্ট করতে পারেন আমার ফেসবুক পেজ Books With Amir কে❤️। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং অতি অবশ্যই সাহিত্যে থাকুন ❤। ধন্যবাদ🙏
গল্পটি ঝাড়গ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত, যেখানে অন্বেষণ নামে একটি বাংলা ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছে। কাহিনী শুরু হয় বাংলা ছবির সুপারস্টার অনুরাগ দাশগুপ্তের আকস্মিক উপস্থিতি দিয়ে, যার কোনো শুটিং শিডিউল সেখানে ছিল না। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি উপন্যাসের রহস্যময়তাকে প্রারম্ভিক পর্যায়েই বাড়িয়ে দেয়।
গল্পটি এগিয়ে চলে চন্দ্রলেখা নিয়োগীকে কেন্দ্র করে, যিনি সিরিজের সহকারী পরিচালক এবং অনুরাগের আকস্মিক আগমনে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এছাড়াও, বৈশম্পায়ন নামে একজন সাংবাদিকের সাথে পাঠকের পরিচয় ঘটে, যিনি শুটিং কাভার করতে এসে অনুরাগের রহস্যময় উপস্থিতির প্রতি আকৃষ্ট হন। তাদের অনুসন্ধান অনুরাগের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন উপকাহিনীকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত করে, যা প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা এবং গোপন অভিসন্ধিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
উপন্যাসটি রহস্য, প্রেম এবং মানসিক টানাপোড়েনকে একত্রিত করার চেষ্টা করে। যদিও এটি একটি আশাব্যঞ্জক ভিত্তি দিয়ে শুরু হয়, আমি অনুভব করেছি যে এটি থ্রিলারের মান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তীব্রতা ধরে রাখতে পারেনি। অনুরাগের উপস্থিতি ঘিরে রহস্য এবং প্রেম ও গোপন ইচ্ছার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন উপকাহিনীগুলি কিছুটা আকর্ষণীয় ছিল, তবে সাসপেন্সটি আমার কাছে খুব একটা কার্যকর মনে হয়নি।
তবে, ঝাড়গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা এবং জীবনানন্দ দাসের কবিতার ব্যবহার উপন্যাসটির বিশেষত্ব বাড়িয়ে তুলেছে। এই উপাদানগুলি গল্পে একটি অনন্য স্বাদ এনেছে যা সাহিত্য, সঙ্গীত এবং ইতিহাসকে গল্পের সাথে সুন্দরভাবে মিশিয়ে দিয়েছে।
সবশেষে, সেনোরিটা এমন একটি উপন্যাস যা রহস্য, রোম্যান্স এবং মানসিক উত্তেজনার মিশ্রণ দিতে চায় কিন্তু প্রতিশ্রুত থ্রিলটি প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। যদি আপনি হালকা রহস্যের সাথে সাংস্কৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ উপভোগ করেন তবে এটি একটি ভালো পছন্দ হতে পারে। তবে যদি আপনি হৃদয় কাঁপানো সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের খোঁজে থাকেন, তাহলে হয়তো এটি আপনার জন্য যথেষ্ট হবে না।
শেষ অধ্যায়ে গিয়ে বুঝলাম লেখক ঠিক কতটা হিসেব করে কথাটা বসিয়েছেন এখানে!
এই গল্পের প্রেক্ষাপট ঝাড়গ্রাম । এখানে একটা ওয়েব সিরিজ এর শুটিং হচ্ছে, গল্পের নায়িকা চন্দ্রলেখা ওরফে সেনোরিটা হচ্ছে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। হঠাৎ বৃষ্টির একরাতে ওদের রিসর্টে এসে পৌঁছায় সুপারস্টার অনুরাগ দাশগুপ্ত । এখানে তো ওনার কোনো শুটিং সিডিউলই নেই! তাহলে কী কারণে এতো রাতে উনি এলেন? নায়িকা মহিমার সাথে কি কোনো সম্পর্ক আছে? নাকি সেনোরিটার জন্যই তার এই আসা? এদিকে ঝাড়গ্রাম এ শুটিং কভার করার জন্য উপস্থিত আছে জুনিয়র সাংবাদিক বৈশম্পায়ন। সে চায় এখানকার প্রকৃতি ও সংস্কৃতি কে ভিত্তি করে শুটিং নিয়ে একটা আর্টিকেল দিতে, কিন্তু ওর বস আবার চায় মশলাদার ইন্ডাস্ট্রি এর খবর। লেখকের কলমে এক অনবদ্য থ্রিলার ।
📖পাঠ অনুভূতি-
⁉️গোটা উপন্যাস জুড়ে অল্প অল্প করে অনেক প্রশ্ন জমেছে, অনেক রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। গল্পের একদম শেষে সব প্রশ্নের উত্তর মেলে ।এই ধরনের গল্পের এন্ডিংটাই ম্যাটার করে, আমার তো ভালোই লেগেছে।
❌তবে গল্পের শেষে একজনের পরিচয় প্রকাশ করেননি লেখক। আমার মতে সেটা না করলেই ভালো হতো। ওইটুকু ওপেন এন্ডিং না থাকলে হয়তো আরও বেশি তৃপ্তি পেতাম।
🍃গোটা উপন্যাস জুড়ে ঝাড়গ্রাম এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা অসাধারণ - শাল পিয়ালের জঙ্গল, ডুলুং নদী, চিলকিগড় রাজবাড়ি এসবের জীবন্ত হয়েওঠে লেখকের সহজাত গদ্যে ।
🎶জীবনানন্দের কবিতা আর ঝুমুর গানের ব্যবহার ও বেশ ভালো লেগেছে।
📽️আর লেখক শাহরুখ খানের ডায়ালগ ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন জায়গায় । যা ফ্যানদের জন্য বাড়তি পাওনা ।
❤️আর এই উপন্যাসের অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে প্রেম। হ্যাঁ সাইকো থ্রিলার হলেও প্রেম এই উপন্যাসে আধিপত্য বিস্তার করেছে । প্রেমের সাথে যৌনতা ও আছে এবং গল্পের প্রয়োজনে লেখক যথাযথ মাত্রায় তা ব্যবহার করেছেন ।
🖊️ সবশেষে বলবো লেখক নিজের গল্প বলার গুণে পাঠক দের পরিচালিত করেছেন । পাঠকরা লেখকের দেখানো রাস্তায় হেঁটেছেন এবং লেখক শেষে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছেন । এটাই এই বইয়ের সবচেয়ে বড় ইউএসপি ।
শুরুটা হয়েছিল যেভাবে সেটা একদমই পরিচিত প্লট।একজন টিনএইজের মেয়ের জীবনে রাজকুমারের আগমন যেন।কাহিনী লতাপাতা বেয়ে গাছগাছালি এবং ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গার ইতিহাস এবং ঝুমুর গানে ছন্দোময় গতিতে নেচে উঠেছে। জীবনানন্দের কবিতার কিছু অংশ উল্লেখ করা হয়েছে যা চারপাশের সৌন্দর্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রায় অর্ধেকাংশ পড়ার পড়েও চন্দ্রলেখার সম্পর্কে তেমন কিছু আঁচ করা সম্ভব হয়নি। বৈশম্পায়নের চরিত্র হোক বা অনুরাগের চরিত্র সেগুলিকে নিমেষে সরিয়ে দিয়ে চ্ন্দ্রলেখা নিজের আলোয় দীপ্ত হয়ে উঠেছে।
''ইরোটোমেনিয়া'' ,একটি মানসিক রোগ(প্রধানত মহিলাদের দেখা যায়, এক তীব্র যৌনাকাঙ্খার যন্ত্রণা , তার পছন্দের , শক্তিশালী পুরুষকে পাওয়ার জন্য)।এটিই গল্পের ক্লাইম্যাক্সের মূল সূত্র।
এটি একবার বসে সম্পূর্ণ পড়ে ফেলার মতো একটি বই। এ বই সে অর্থ উপন্যাস হয়ে উঠতে পারেনি, একটি বড় গল্প বলা যায়।কাহিনীতে অনেকগুলো বাঁক চোখে পড়েছে। কিন্তু বেশ কিছু ঘটনার কারণ জানানোর ইচ্ছা প্রকাশিত হলেও লেখক শেষ পর্যন্ত তার সমাধান করেননি। লেখকের বিষয় নির্বাচন অনুযায়ী লেখায় আরো যত্নশীল হওয়া উচিত।
This entire review has been hidden because of spoilers.
সল্প দৈর্ঘ্যের এক প্রাপ্ত মনষ্ক সাইকো থ্রিলার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা ' সেনোরিটা '। লেখক ভালো লিখেছেন, বেশি সময় নষ্ট করেননি, যার দরু��� গল্প একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা কঠিন। একদম শেষে গিয়ে পাঠক আসল সত্য জানতে পারেন, সুতরাং বলাই যায় লেখক সাসপেন্স ধরে রাখতে সক্ষম। শেষে যখন পর্দা ওঠে, এবং পাঠক যে সত্য জানতে পারেন, সেই সত্য হয়ত অনেকে অনুমান করতে পারবেন, যারা নিয়মিত সাইকো থ্রিলার পড়েন। তার পরেও বলবো, একবার এই বইটি পড়া যেতেই পারে, ভালোই লাগবে আশা করি।
প্রাপ্তমনস্ক পর্যন্ত ঠিক ছিলো, কিন্ত��� কিভাবে এটা থ্রিলার হলো সেটা এখনো বুঝতে পারলাম না! ঘটনাপ্রবাহ খুবই সাধারণ মানের,চিত্তাকর্ষক নয় কোনোভাবেই! থ্রিল,সাসপেন্স কণামাত্র পাই নি এই বইটি পড়তে গিয়ে। আর সাইকো বলতে একটা রোগ ধরে আনা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা সাইকো থ্রিলার মানতে পারছি না।শেষের দিকে লেখক টুইস্ট দিতে চেয়েছেন, কিন্তু ব্যাপারটি আমার কাছে নেহাৎ খাপছাড়া লেগেছে! ২ তারকার অধিক রেটিং দিতে পারছি না।
First book of this author. Finished this book in one sitting. Like the way he presented the storylines, simple but fascinating. Giving four star because, details of the characters are lacking. Though the author wanted to keep it simple and short. Overall enjoyed it and the ending is satisfying. "Psychological thriller" justified.
✨📖উপন্যাসের নাম - সেনোরিটা 📖✨ ✍️লেখক - কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
💫📚ঝাড়গ্রামে এক ওয়েব সিরিজ ‘ অন্বেষণ ’ - এর শ্যুটিং লোকেশনে এক বৃষ্টিঝরা দুর্যোগের রাত্রে হঠাৎ কোনও শিডিউল ছাড়াই ভুবনেশ্বর থেকে তড়িঘড়ি হাজির হয় সুপারস্টার অনুরাগ দাশগুপ্ত । অনুরাগ কেন ঝাড়গ্রামে এভাবে এল ? নায়িকা মহিমার টানে , নাকি সেনোরিটার দুর্নিবার যৌন আকর্ষণে ? এর উত্তর কি আছে চন্দ্ৰলেখা নিয়োগীর কাছে ? কী সম্পর্ক অনুরাগের সঙ্গে চন্দ্রলেখার ? জীবনানন্দর কবিতা আর ঝুমুর গান ভালোবাসা সাংবাদিক বৈশম্পায়ন এর উত্তর খুঁজতে ঘটনাক্রমে হাজির হয় কনকদুর্গা মন্দিরের কাছে ডুলুং নদীর উল্টোদিকে এক জঙ্গলে ! সে অপ্রত্যাশিতভাবে মুখোমুখি চন্দ্রলেখার ! কে নিঃশব্দে অনুসরণ করে ওদের ? ... সেনোরিটা এক প্রাপ্তমনস্ক সাইকো থ্রিলার ।📚💫
জাস্ট লাস্টের দিকের তিন পেইজে একটা টুইস্ট ছিলো, তাছাড়া পুরোটাই সময় নষ্ট, বস্তাপঁচা ন্যাকা রোমান্স আর দুর্বল টুইস্ট, প্রাপ্তমনস্ক বিষয়ক কিছু ছিলো, সাইকোও ছিলো, থ্রিল বইয়ের কোথাও ছিলো না, রোমান্স জনরায় ফেললেও হয়তো আরও আগ্রহে পড়া যেত😐
কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখনীর গুণে পড়া যায়, কাহিনি এগোয় তরতরিয়ে। শেষে এসে যে টুইস্ট গল্পে থাকে, তা অনেকের ভাল লাগতে পারে, অনেকের নয়। ব্যক্তিগতভাবে কাহিনির শেষে এই ট্রিটমেন্ট পছন্দ হয়নি।
খারাপ নয়, পড়তে ভালোই লেগেছে, থ্রিলার হিসাবে মন্দ নয়, তবে আরও ভালো করা যেতেই পারত। বিশেষ ভাবে শেষের দিকে যেন মনে হয়েছে লেখক একটু তাড়াতাড়ি শেষ করতে চেয়েছেন। সাবলীল লেখনী কিন্তু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত মেদ বর্জন করাই যেত।