দান করার দ্বারা শুধু গরীবরাই উপকৃত হয় না, বরং দানকারীর মন উৎফুল্ল রাখে। আল্লাহর ক্রোধ মিটিয়ে দেয়। বিপদ-আপদ দূর করে। বক্ষ প্রসস্থ হয়। ইসলামে দান সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ মৃত্যুর পর যতকিছুর জন্য আফসোস করে, ফিরে পেতে চায়, তার মধ্যে ‘দান করার সুযোগ’ অন্যতম।কিন্তু মানুষ প্রকৃতিগতভাবে কৃপণ। অর্থ-সম্পদের আসক্তি মানুষ অন্যায়ের দিকে ধাবিত করে। ফলে দান-সদকা অধিকাংশের জন্যই কঠিন বলে বিবেচিত হয়। মূলত দান করার গুণ ছোটবেলা থেকে রপ্ত করে নিলে এই সমস্যাটা হয় না। কষ্টে অর্জিত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় নিঃসংকোচে দান করা যায়।বিখ্যাত সাহিত্যিক, আলিম ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী শিশুদের জন্য কাজ করেন। শিশুদেরকে দান-সদকার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে এটি তার অন্যতম রচনা। সাহাবী, তাবিয়ি, অতীতের বিখ্যাত মনীষীদের জীবনভাষ্যের আলোকে শিশুতোষ এই রচনা ১০ থেকে ১৬ বছরের শিশু-কিশোরদের জন্য সুখপাঠ্য।
ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী। সময়ের ইসলামি ধারার অন্যতম সেরা লেখক। যিনি লিখছেন প্রায় তিন দশক ধরে। লিখেছেন ইসলামি সাহিত্যের নানা বিষয়ে। তবে তিনি প্রধানত একজন শিশু সাহিত্যিক ও সিরাত লেখক। তার লেখায় সিরাত ও শিশু সাহিত্যের সন্নিবেশ ইসলামি সাহিত্যচর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাথে সাথে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাক্যশৈলীও।
বাংলা সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আরবির প্রতিও রয়েছে তার গভীর মনোযোগ ও মমত্ববোধ। তাই চেষ্টা করছেন আরবি ও বাংলা ভাষার মধ্যে একটি কল্যাণের সেতুবন্ধন তৈরি করতে।
১৯৬৮ সালে কিশোরগঞ্জে জন্ম নেয়া এই মধ্য বয়সী লেখকের মুদ্রিত বইয়ের সংখ্যা ২০টি-র বেশি। কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় পড়ার সময় আল আশরাফ দেয়াল পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় আজকের ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভীর। তার লেখা প্রথম বই ‘আলোর দিগন্ত হজরত ওমর রা.’ এবং প্রকাশিত প্রথম বই ‘তোমার স্মরণে হে রাসুল’ । সূত্র: ইসলাম টাইমস