I picked up this book after hearing about the author’s horror works from a few booktubers. The generally positive buzz convinced me to give it a shot—and I’m glad I did.
Written in Bengali, the book contains two horror novellas set in India.
The title comes from the first story, Norok (meaning Hell), and it fits perfectly. A successful children’s ghost story writer acquires a rare book from an antique dealer, hoping to make it big in adult horror fiction. Enter a blind man and three hired thieves who are after the same book. No surprises—it’s cursed. I shall stop now to avoid spoilers.
The second story is set in a medical college in West Bengal, where a popular senior student attempts suicide to the surprise of everybody else. As strange events unfold on campus, a medical student takes it upon himself to uncover the truth. In this story, it’s not just the supernatural that’s frightening—humans, too, are capable of great evil.
Let’s be honest: no one reads books like this expecting literary greatness. We read them for the chills and the thrill of the unknown. And this book delivers. Both stories are short, fast-paced, and suspenseful—perfect for a quick easy read before bed time. They even brought back memories of the horror TV shows I watched as a kid.
Recommended for horror fans looking for a gripping read to fill a couple of hours.
প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্য হরর উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে এপার বাংলা ওপারের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তবে যে লেখকেরা সেই অবস্থাটা গত বছরদুয়েকে বেশ কিছুটা বদলেছেন, তাঁদের মধ্যে মনীষ মুখোপাধ্যায় শুধু অন্যতম নন, শীর্ষস্থানীয়। তাঁর লেখা দুটি ভয়ালরসের বড়োগল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বইটি।
প্রথম কাহিনি 'নরক': কিছুটা খেয়ালের বশেই কলকাতাবাসী এক লেখক অনলাইনে আনানোর চেষ্টা করেন একটি বই। ক্রমে, নানা দুর্ঘটনা আর ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, ঠিক কোন বই আনাতে চাইছেন লেখক। তারই পাশাপাশি চলতে থাকে বইটিকে নিজের কবজায় নেওয়ার জন্য আরেকটি মরিয়া মানুষের প্রয়াস। শেষে কী হয়— তাই নিয়েই নরক। গল্পটা দারুণ, তবে বড়ো তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেছে। বরং বইটির ইতিহাস বলার সময়, খণ্ড দৃশ্যগুলোর বর্ণনায়, সর্বোপরি বাংলা ভাষার ন্যারেটিভ স্ট্রাকচারে লাভক্র্যাফটিয়ান হররের পরিবেশনে লেখক যে বর্ণনা দিয়েছেন তা পড়তে গিয়ে শিউরে উঠতে হয়। এতে 'একজোড়া চোখ খোঁজে আর একজোড়া চোখকে'-র কল্পবিজ্ঞান বা আত্মানুসন্ধান নেই, তবে আছে বিশুদ্ধ হরর।
দ্বিতীয় কাহিনি 'চুবুর-ব্রোল-ওয়া': মেডিকেল কলেজের এক জনপ্রিয় সিনিয়র আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কেন? উত্তরে সে জা বলল, তা আপাতদৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য। কিন্তু সেই নিয়ে আর কিছু ভাবার আগেই শুরু হয়ে গেল একের পর এক নৃশংস হত্যা— প্রথমে পশুপাখি, তারপর মানুষ! কে করছে এ-সব? কী চায় সে? তাকে কি ঠেকানো যাবে? চিকিৎসাবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও ভাবনা, কলেজের আবহ, আর বৌদ্ধতন্ত্রের রহস্যময় ও স্বল্পজ্ঞাত 'কালচক্রযান'— এই তিনের প্রয়োগে এক বীভৎস কাহিনি নির্মাণ করেছেন লেখক। এগুলোর বর্ণনায় লেখকের মুনশিয়ানা প্রশ্নাতীত। তবে আমার বেশি ভালো লেগেছে গল্পে কথকের বাস্তবানুগ চরিত্রচিত্রণ— যে নিজের দ্বিধা, ভয়, দুর্বলতা অতিক্রম করে লড়ে গেছে মহাশক্তিধর শত্রুর বিরুদ্ধে।
সব মিলিয়ে বাংলা ভয়ের সাহিত্যে এই ছোট্ট বইটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। নন-লিনিয়ার ন্যারেটিভে লেখনীর কিঞ্চিৎ আড়ষ্টভাব ছাড়া এই বইয়ের দুর্বলতা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ছাপা, প্রচ্ছদ এবং অলংকরণ চমৎকার। এই বইটি না পড়লে মস্ত লোকসান হবে কিন্তু।
ধূমাবতীর মন্দির অসাধারণ লেগেছিলো, সেখান থেকেই লেখকের সাথে পরিচয়।তখন থেকেই লেখকের ফ্যান হয়ে গিয়েছি। ভয়ানক আবহ তৈরিতে লেখকের জুড়ি মেলা ভার। এখানের দুটো গল্পই পিশাচদের নিয়ে। যারা বইটা শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের সাজেস্ট করবো রাতের বেলা শুরু করতে তবেই আসল স্বাদটা উপভোগ করতে পারবেন।
নরকঃ আচ্ছা যদি দেখেন আপনার বাড়িতে চলেফিরে বেড়াচ্ছে ছাগলের মাথা ওয়ালা মানুষের শরীর বিশিষ্ট ও পায়ের জায়গায় খুর এমন এক অদ্ভুত প্রাণী, যা কিনা সাক্ষাৎ শয়তান কেমন অনুভব হবে আপনার !? ঠিক এরকমটাই ঘটে কিশোরীলালের সাথে।লেখক কিশোরীলাল ঘোষ অনলাইনে অর্ডার করেন নেক্রোনোমিকম নামের এক দুষ্প্রাপ্য বই।যা খোলার সাথে সাথে খুলে যায় নরকের দরজা, শুরু হয় ভয়াবহ সব ঘটনা।
গল্পটায় ভয়াল রসের যথাযথ ব্যবহার করা হলেও শেষটা যেনো বড্ড তাড়াহুড়োয় শেষ হয়েছে,আমার তো মনে হচ্ছিল যেনো শেষই হয়নি। ঠিক মন ভরলো না, আরও কিছু আশা করেছিলাম।
চুবুর ব্রোল ওয়াঃ কখনও কি শুনেছেন মৃত মানুষ জেগে উঠেছে ? হ্যা এখানে তাই ঘটেছে।মেডিকেল কলেজের সেরা এক সিনিয়র ছাত্র সুইসাইড করতে চেষ্টা করে। তবে আসল ঘটনা অন্যরকম এবং অবিশ্বাস্য। তার পরীক্ষা করা এক লাশ জীবন্ত হয়ে ওঠে অর্থাৎ যাদের বলে জম্বি এবং সে চায় শুধু রক্ত। এরপর থেকে শুরু হয় মৃত্যুলীলা।শুধু মেডিকেল কলেজ না, গোটা শহর ভয়ংকর বিপদের মুখে পড়ে। এর শেষ কোথায় ?
এই গল্পটা ভীষণ ভয়ের। কেউ রাতে পড়লে ঘুম উড়ে যাবে। এটা আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে।
বইয়ের নাম: নরক লেখক: মনীষ মুখোপাধ্যায় প্রকাশন: অরণ্যমন প্রকাশনী
নরক জায়গা তা এবং সেটার মধ্যে বিরাজমান প্রাণী দেড় নিয়ে আমাদের নানান ধারণা আছে| এই নিয়ে নানান ধরণের গল্প আমরা শুনে থাকি|সেই সব প্রাণী দেড় মধ্যে একটা একধরণের প্রাণীর ব্যাপারে আমরা প্রায় শুনে থাকি এবং সেটা হলো পিশাচ| এই বইটিতেও লেখক পিশাচ জাতি কেই ঘিরে দুটো গল্পের সৃষ্টি করেছেন| একটি গল্পের নাম নরক এবং অন্যটির নাম চুবুর-ব্রোল-ওয়া| এবার দুটো গল্পকে একটু সংক্ষেপে ধ্যাকা যাক|
নরক: সোমনাথ হাজরা একজন আন্টিকের ব্যবসাদার যদিও তারমধ্যে বেশিরভাগ বস্তুই অসৎ পথে তিনি হস্তগত করেছেন| তিনি কোনো এক দুর্ঘটনাতে তার পরিবার সহো দু চোখের দৃষ্টিও হারান| বাস্তবে তিনি উত্তরবঙ্গের একটি বাড়ি তে থাকেন| একরাতে তিনি বিশু পদ্দারম ডেভিড আর ধীরাজ কে ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে নেক্রোনোমিকন নামক এক প্রঐতিহাসিক বই চুরি করে আন্তে বলেন| এরম কাজ বিশু পোদ্দার সোমনাথ বাবুর জন্য আগেও করেছেন| নেক্রোনোমিকন বই টি আসলে প্রেত আত্মা দেড় বই এবং যার কাছে এই বইটি বর্তমানে আছে তিনি একজন নামকরা লেখক| তিনি বইটি পাওয়ার পর থেকে নানান রকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটা অর্ধ মানুষ অর্ধ ছাগল রুপি একটি দেহ কে তার বাড়িতে ঘুরে বেড়াতে দেখা| এরপর নানান ঘটনা ঘটতে থাকে সবার জীবন ঘিরে|
চুবুর-ব্রোল-ওয়া: কলকাতা মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া একটি অদ্ভুত প্রকিরিটির ঘটনা কে ঘিরে লেখা এই গল্পটি| অশেষ এক গরিব কাঠের মিস্ত্রির ছেলে, জেক তার বাবা অনেক কষ্টে ডাক্তার বানাতে চান| অশেষ এর সবচে প্রিয় সিনিয়র হচ্ছে বদ্রীনাথ, যিনি কলেজের সেরার সেরা| বদ্রীনাথ খুঁজে বের করতে চায়ে এমন এক পদ্ধতি যাতে মৃত মানুষ কে কিছু সময়ের জন্য জীবিত কোরে তোলে| এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে সে কর্মরত হয়ে এবং একটি ভয়ঙ্কর বিপদের স্মুখীন হয়ে| যেই ভয়ঙ্কর শক্তি আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে গোটা মেডিকেল কলেজ কে| অশেষ নিজের জোত সাদ্ধ চেষ্টা করতে থাকে এই বিপদ এর হাত থেকে সবাইকে বাঁচাতে| সেই পথে অশেষ এগোতে থাকে এবং তাকে সম্মুখীন হতে হয়ে এক চিরপরিচিত দ্বন্দ্বের|
গল্প গুলো ছোট হইলো খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে| তবুও পড়তে পড়তে কিছু জায়গায় মনে হয়েছে আর একটু ব্যাখ্যা পেলে ভালো হতো বা গল্প তা ঠিক ভাবে যে��� শেষ হলো না| সব মিলিয়ে বই তা একবার পড়াই যায়|
প্রথম গল্পটা ভালো, যদিও শেষটা অমীমাংসিত। Cthulu আর Necronomicon-এর ব্যবহার ভালো লাগলো।
দ্বিতীয় গল্পটা একেবারেই জমলো না, ঘটনা আর বক্তব্যে অসঙ্গতি (goofs), আর শেষে এসে জোর করে শুভশক্তির জয় আর অশুভের পরাজয়, তাও আবার গল্পকথকের নিজেই 'ডিউস এক মাখিনা' হয়ে গিয়ে, এটা ঠিক হজম হলো না। গল্পের মালমশলা ছিলো পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসের, কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ হলো না।
হয়তো লেখকের ধূমাবতী সিরিজ আগে পড়েছি বলে এই বইয়ের লেখনী কিঞ্চিৎ কাঁচা লাগলো (ব্যক্তিগত মতামত) ।