Jump to ratings and reviews
Rate this book

অমিয়েন্দ্র

Rate this book
নীল সোয়েটার পরে অমিত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে নুসরাতের সামনে! অথচ ওর লাশটা ঠিক নুসরাতের পেছনে, বেডের ওপর .........

হঠাৎ করেই সমস্ত হাসপাতালের কারেন্ট চলে গেল। ঘুটে ঘুটে অন্ধকারে ডুবে গেল চারপাশ। নুসরাত কাঁপছে প্রচন্ড রকমের আতংকে। অমিতের গাঢ় নিঃশ্বাস পড়ছে অর কপালের দিকটায়। ফিসফিস করে বলে উঠল -

" .... সামনে দাঁড়াবে পেছনের কেউ
পেছনে রহিবে ভয়
হাঁটিতে থাকিবে দিবস রজনী
আঁধারের সংশয়।
একাকিত্বের ঘোর তমাশায়
ডাকিবো কেবলি তোরে,
চারপাশ জুড়ে ফেলিবোরে শ্বাস
জগৎ আঁধার কো'রে ......... "

144 pages, Hardcover

First published November 1, 2013

5 people are currently reading
103 people want to read

About the author

পৈত্রিক সূত্রে চট্টগ্রামের মানুষ। যদিও বান্দরবান, ঢাকা আর সিলেটেই থাকা হয়েছে জীবনের বেশির ভাগ সময়। বাবা মোঃ আয়ুব ও মা ফাহিমা পারভীন রিতা। একমাত্র বড় বোন শারমিন আক্তার শিমু। পড়াশোনা করেছি চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে। বিএসসি শেষ করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছি চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে।
ছোটবেলা থেকেই আঁকা আঁকির সাথে ছিলাম। ঘটনাক্রমে লেখক হয়ে গেছি। দুটো শখ মানুষের কখনো থাকে না একসাথে। তবুও মাঝে মধ্যে নিজেকে আঁকিয়ে, কখনো বা লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে আনন্দ পাই। নিজের সম্পর্কে এটুকুই।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
37 (28%)
4 stars
50 (39%)
3 stars
32 (25%)
2 stars
6 (4%)
1 star
3 (2%)
Displaying 1 - 30 of 38 reviews
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews736 followers
February 14, 2014
২০১৪ সালের বইমেলায় কেনা এবং পড়া প্রথম বই। রিভিউ ভাল লিখতে পারিনা কিন্তু তারপরও লিখতে বসেছি এই কারণে যে অনেকদিন পর আমি এক বসায় নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে একটা আস্ত বই পড়ে শেষ করেছি। গল্পের কাহিনী বিশ্লেষণে গেলে প্রথমে মনে হবে সাদামাটা এক অতিপ্রাকৃত গল্প যেখানে নায়ক-নায়িকা খুব ভাল বন্ধু,নায়ক নায়িকাকে বন্ধুত্বের আড়ালে গভীরভাবে ভালবাসে। প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে কোন একদিন টুপ করেই প্রেমের জালে ধরা পড়ে যায় নায়িকাও কিন্তু অদৃষ্টের ফেরে তার বিয়ে হয়ে যায় আরেকজনের সাথে।অসুস্থতায় নায়ক মারা যায় কিন্তু মৃত্যুই কি সব?মৃত্যুর পরেও তো আমাদের নামহীন ইন্দ্রিয়তে ধরা পড়ে অনেককিছু। তার খোঁজ করতেই আস্তে আস্তে পাঠকরা এগিয়ে যাবে কাহিনির ভিতরে এবং যত এগুবে ক্রমশ আবিষ্কার করবে আটপৌরে গা ছমছমে অশরীরী জিনিসগুলোর সাথে দুই মলাটের ভেতরে জায়গা করে নিয়েছে আর অনেককিছু। হররের সাথে সাথে পাতায় পাতায় এসে ভিড় করেছে কিছুটা সায়েন্স ফিকশন, কিছুটা থ্রিলারের স্বাদ।যারা ইন্টারনেটে নিথর শ্রাবণ শিহাবের লেখার সাথে পরিচিত তাদের নতুন করে বলবার কিছু নেই। সহজ শব্দ, সহজ সাধারণ লেখার ভঙ্গি চোখ এবং মনকে আরাম দেয় তাছাড়া জমজমাট কাহিনী হবার কারণে হাত থেকে বই নামাতে দেয় না। গল্পে তেমন কোন টুইস্ট নেই কিন্তু তারপরও অপ্রয়োজনে গল্প টেনে লম্বা না করার কারণে বিরক্ত না হয়ে এবং যথেষ্ট সিরিয়াস প্লট থাকা সত্ত্বেও চরিত্রদের মুখে হালকা কথাবার্তা পড়ে পাঠকদের বোর হবার সুযোগ পাওয়ার উপায় নেই।অশরীরীর উপস্থিতি ও অতিপ্রাকৃত পরিবেশ সৃষ্টিতে লেখকের বর্ণনা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য।শুধুমাত্র আঁকিয়ে হিসেবেও লেখকের সুনাম জানি বলেই কিছু ইলাসট্রেশন আশা করেছিলাম, অটুকু থাকলে বলতে পারতাম লারেলাপ্পা বই। বই কিনতে পয়সা লাগে, সেই বই যদি নবীন লেখকদের হয় মানুষ পয়সার হিসাবটা তখন দ্বিগুণ মনোযোগ দিয়ে করে। 'অমিয়েন্দ্র' পড়ে 'পয়সা উসুল' কথাটা বলতে আমার সাথে সাথে বাকিরাও যে দ্বিমত হবেনা এই বিষয়ে অন্তত নিশ্চিত।
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
March 1, 2021
বেশ ভালো লেগেছে। শুরুটা খুব সাধারণ মনে হলেও আস্তে আস্তে গল্পটা অতিলৌকিক দিকে মোড় নেয় এবং লেখকের সাবলীল লিখনশৈলী গল্পটাকে খুব সুন্দর একটা রুপ দেয়। অভিযোগ বলতে একটাই, তা হলো বৃষ্টি নিয়ে লেখকের যে ফ্যাসিনেশান আছে সেটা প্রকটভাবে লেখায় ধরা পড়ে। বৃষ্টির ব্যাপারটা শুরুতে ভালো লাগলেও অতিরঞ্জনের কারণে খানিকটা বিরক্তির উদ্রেক যে করেনি এটা বললে ভুল হবে। তবে পার্সন টু পার্সন ভ্যারি করার কারণে কারো কাছে ভালো লাগতেও পারে। তবে বৃষ্টির ব্যাপার ভালো লাগুক আর খারাপ লাগুক বইটা অবশ্যপাঠ্য।
Profile Image for সালমান হক.
Author 66 books1,961 followers
March 5, 2014
বইটা একরকম হুট করেই কেনা!! এর আগে লেখকের কোন লেখা পড়ি নাই, তাই ভাবলাম হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পড় এক থ্রিলার ছাড়া বাংলায় নতুন লেখকের লেখা অনেক দিন পড়ি নাই,তাই পড়ে দেখি । নতুন লেখক তাই কোন রকম আশা ছাড়াই পড়া শুরু করেছিলাম, শেষ করার পড় খুব একটা মনে দাগ কেটে যেতে না পড়লেও একেবারেও খারাপ লাগে নি বইটা । প্রথমে কয়েক পাতা পড়ার পড়ে হতাশ হতে শুরু করেছিলাম যে সেই একই ধরণের প্লট হবে হয়ত - নায়ক ও নায়িকা পরস্পর বন্ধু । নায়ক মনে মনে ভালবাসে নায়িকাকে কিন্তু কোন একটা কারণে নায়িকার বিয়ে হয়ে যায় অন্য কারো সাথে আর বিরহ নেমে আসে নায়কের উপরে। এই ধরণের প্লট এর পরেই বইটা লেখা হলেও এর সাথে আরো অনেক কিছু আছে হরর, ফ্যান্টাসি, কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি!!! তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্ণনা কেমন জানি কাঁচা কাঁচা মনে হয়েছে । তবে এটা অবশ্যই ঠিক যে লেখক অন্য রকম একটা আবহ তৈরি করতে ঠিকই সফল হয়েছেন । তবে অতিপ্রাকৃত জায়গা ও পরিবেশগুলোর বর্ণনা আরো ভালো হতে পারত নিঃসন্দেহে । আর অশরীরী সত্ত্বাগুলার বর্ণনা সত্যই গায়ে লোম ঝাড়া করে দেয়ার মতই । আর অহেতুক কাহিনী না বাড়ানোর জন্যেও লেখককে ধন্যবাদ । প্রথম বই হিসেবে যথেষ্ঠই ভাল । বই শেষ করে অনেক কিছুর মিশ্রন পাওয়া যাবে । আর শেষটাও যেন কেমন!! মনে হয় যে কাহিনী এখনো বাকী রয়ে গেল কিছুটা !! অনেক দিন একই ধরণের বই পড়তে পড়তে একটু স্বাদ বদলাবার জন্যে অন্যরকম এই বইটা পড়া যেতে পারে । আশা করি এই একটাই নয় সামনে লেখকের কাছ থেকে আরো ভালো আরো পরিণত কিছু পাব । :)
Profile Image for আকাশ আব্দুল্লাহ.
92 reviews29 followers
October 3, 2015
বইঃ অমিয়েন্দ্র
লেখকঃ ফরহাদ চৌধুরী শিহাব

একটা বই অনেক জনরাতেই পড়তে পারে। কিন্তু এই বইয়ের মতো এরকম পরস্পরবিরোধী জনরার বই আমি আগে কখনো দেখিনি। বইটাকে সাই ফাই জনরায় ফেলা যায় আবার কাব্যধর্মী রোমান্টিক জনরায় ও ফেলা যায়। এমনকি আধিভৌতিক কিংবা সাইকোলজিকাল জনরাতেও!!


লেখকের লেখার সাথে আগে পরিচিত ছিলাম না। অনলাইনে লেখালেখি করতেন লেখক। অনলাইনে বিখ্যাত লেখক যারা লিখে থাকেন তারা অসাধারণ অসাধারণ গল্প লিখলেও যখনই তারা কোনো উপন্যাস লিখতে যান বা বই বের করেন তখন আর তারা তাদের নামের সুবিচার করতে পারেন না। এটা আমি কয়েকজন অনলাইন লেখকের ক্ষেত্রেই খেয়াল করেছি। এই লেখকের কোনো লেখা না পড়লেও জানতাম অনলাইন লেখক যেহেতু তার বই অমিয়েন্দ্রা আর কতটুকুই বা ভালো হবে।

কিছুদিন আগে ফেসবুকে গল্প করার সময় সেজ্যুতি প্রকাশনীর ফরহাদ ভাই বইটার অনুমোদিত লিঙ্ক দিলেন। এরপর সেদিন রাতে প্রায় বারোটার পর শুয়ে ঘুমানোর আগে কি মনে করে বইটা পড়া শুরু করলাম।

যখন পড়ছিলাম তখন বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো। কাথা মুড়ি দিয়ে বইটা শুরু করতেই বুঝলাম এরকম মূহুর্তে পড়ার আদর্শ বইটাই হাতে নিয়েছি।

বইয়ের গল্পটা বা প্লটটা অসাধারণ কিছু নয়। ভার্সিটি পড়ুয়া অমিত নায়িকার ( যাহ! নামটা ভুলে গেছি :-( ) প্রেমে পড়ে আছে। দুজনের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। অমিত সবসময় তার স্বভাবসুলভ হাসি ঠাট্টার ছলেও নায়িকাকে বলেও যে সে তাকে ভালোবাসে। নায়িকাও বোঝে। দু জন দুজনের বেস্ট ফ্রেন্ড। এ সময় দুজনের মাঝে আসে মোনেম চরিত্রটা। তার সাথে নায়িকার বিয়ে হয়ে যায়।

খুব সাধারন গল্প, তাই না?

যদি তাই ভেবে থাকেন তাহলে আপনি মুড়ি খান। এই গল্পের ভেতর লেখক আরো কিছু উপাদান যেমন ভৌতিকতা, সাইকোলজি, রোমান্টিকতা এমন দক্ষভাবে ঢুকিয়েছেন যে এই সাধারন গল্পটাই আপনার কাছে অসাধারণ লাগবে। আর আমার কাছে গল্পের সবচে যে বিষয়টা ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে গল্পের ফাকে ফাকে দু চার লাইনের পঙক্তি গুলো। একেবারে ঠিক তারাচন্দ্রের 'কবি'র মতো। তবে শুনলে হয়তো অবাক হবেন, কবির পঙক্তির চেয়ে এই বইয়ের পঙক্তিগুলোই আমার বেশি ভালো লেগেছে। গল্পের দৃশ্যপটের সাথে দারুন সামঞ্জস্যপূর্ণ অসাধারণ এই কবিতার লাইনগুলোর জন্যই বইটাকে অনায়াসে ৫/৫ দেয়া যায়।

তবে সবগুলো লাইন কার লেখা আমার জানা নেই। সম্ভবত কিছু লেখকের আর বাকিগুলো রবীন্দ্রনাথের।

পুরো বইয়ে গুটি কয়েক চরিত্রের দেখা মিলে। ১১১ পৃষ্ঠার এই বইয়ে প্রত্যেকটা চরিত্রের চিত্রনই ঠিকভাবে আকতে পেরেছেন লেখক। বইটা ভালো লাগার আরেকট�� কারন হচ্ছে, পুরো বইয়ে কোনো বাড়তি কথা নেই। লেখক পুরো বইয়েই মূল কাহিনীর উপর থাকতে পেরেছেন। একটা জায়গায়কেই বাহুল্য মনে হতে পারে অনেকের�� অমিতের ভাইয়ের চরিত্রটা বইয়ে কোনো দরকার ছিলো না বলে মনে হতে পারে। আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে ভালোভাবে ভাবতেই বুঝে গেলাম এই চরিত্রটা গল্পটাকে ডেভেপলপমেন্টে সাহায্য করেছে। এর দরকার ছিলো। বইটায় অতীত আর বর্তমান টাইমলাইন দুটি সমান্তরালে চিত্রিত হয়েছে। তবে বইয়ের প্রায় ৮০ ভাগই অতীত কল্পনা করে। এই ৮০ ভাগ অতীতকে ২০ ভাগ বর্তমানের মাঝে খুব দক্ষভাবে নিয়ে এসেছেন।

লেখককে এই কারনে ধন্যবাদ দিতেই হয় যে, উনি পুরো বইটাতেই এক অন্য ধরনের আবহ তৈরী করতে পেরেছেন। বৃষ্টির রাতে এই আবহটা আমার কাছে দ্বিগুন হয়ে ধরা দিয়েছিলো। বইটা পড়তে তাই অন্যরকম ভালো লাগছিলো।


বইয়ের একমাত্র খারাপ দিক বলতে শেষ পরিনতিটা খুব তাড়াতাড়ি হয়েছে। লেখকের উচিত ছিলো আরো কয়েকটা পেজ বেশি নিয়ে ধীরে ধীরে পরিনতি টানা। অনেকটা হুড়মুড় করেই যেনো শেষ হয়ে গেলো।

বই শেষ করার পর একটাই আফসোস! এই দারুন বইটা পিডিফে পড়তে হলো। কালেকশনে রাখার মতো একটা বই ছিলো। এই লেখকের লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।

সব কিছু বাদ দিয়ে যারা শুধুমাত্র কাব্যধর্মী উপন্যাস পড়তে চান তারা বইটা নির্দ্বিধায় তুলে নিতে পারেন। আশাহত হবেন না।

এই বইটা এবং এর সিক্যুয়েল অমিয়েত্রা আদী প্রকাশন থেকে বের হয়েছে। অমিয়েত্রাটা শিঘ্রই পড়ার ইচ্ছা পোষন করছি। :-)

বইয়ের দারুন কয়টা পঙক্তি তুলে শেষ করছি-


" জগত-মাঝারে যেথা বেড়াবি
যেথায় দাড়াবি, যেথায় বসিবি
বসন্তে শীতে দিবসে নিশীথে
সাথে সাথে তোর থাকিবে বাজিতে
এ পাষানপ্রান চির শৃঙখল চরন জড়ায়ে ধরে
একবার তোরে দেখিছি যখন কেমনে এড়াবি মোরে? "
Profile Image for Farzana Raisa.
530 reviews238 followers
May 17, 2020
বইটা পড়তে পড়তে স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছিলাম। রবীন্দ্রনাথ কি রাহুর প্রেম কবিতাটা এতো এতো বছর আগে লিখেছিলেন কেবল মাত্র মো. ফরহাদ চৌধুরী শিহাব এই বইটা লিখবেন বলে? পুরাতন কবিতাটা নতুন ভাবে, নতুন রূপে আবিষ্কার করে সত্যিই অন্যরকম লাগছিল।
তবে হ্যা, একটা ব্যাপার এন্ডিং নিয়ে আপত্তি আছে আমার। সেই শুরু থেকে এতো সুন্দর করে টেনে নিয়ে যাওয়া উপন্যাসটা এমন হুট করে শেষ হয়ে যাওয়াটা মানতে পারলাম না। :3 এন্ডিংটা আরেকটু ভালো হলে হয়তো বইটা আরও বেশি জমজমাট হতো।
Profile Image for Mahrufa Mery.
206 reviews117 followers
May 4, 2021
খুবই সম্ভাবনাময় সাইফাই হরর প্লটের ওভার ড্রামাটিক অগোছালো একজিকিউশন দেখে হতাশ লাগলো। কবিতাগুলো ড্রামাটিক লাগেনি বরং ভালই লেগেছে, ড্রামাটিক লেগেছে চরিত্রগুলোর পারষ্পরিক কথপোকথনের সময়ের বেশিরভাগ সংলাপগুলো। কিছু কিছু সিচুয়েশনও ওভারড্রামাটিক। প্লটটা খুব পছন্দ হয়েছে, গা ছমছমিয়ে ভয় ও পেয়েছি কিন্তু পুরো উপন্যাসটা অত ভাল লাগেনি।
Profile Image for Daina Chakma.
440 reviews772 followers
August 14, 2023
কন্টেম্পরারি যেসব বাংলাভাষী লেখকের লেখা পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি তাদের মধ্যে মোঃ ফরহাদ চৌধুরী শিহাব অন্যতম। লেখকের লেখনীর সাথে পরিচয় সেই ২০১২ সালে। মুখবইয়ে তখন তরুণ লেখকদের সুবর্ণযুগ চলছিল। তাদের লেখা এপ্রিশিয়েট করার মতো বহু পাঠকও ছিল ইন্দ্রজালে। তো যা বলছিলাম, শিহাবের লেখনী বরাবরই সুখপাঠ্য ছিল। তাই ২০১৪ সালে যখন লেখকের উপন্যাস প্রকাশিত হয় তা হাতে নিয়ে পড়ে ফেলতে এক মূহুর্তও দেরী করিনি। তখন গুডরিডস ইউজ করতাম না বলে পাঠপ্রতিক্রিয়া লেখা হয়ে উঠেনি। আজ গুডরিডসের হোমপেইজ স্ক্রল করতে গিয়ে আবার বইটি নজরে এলো। পাঠক হিসেবে কিছু দায়বদ্ধতা থেকে মনে হলো এই বইটি আরও অনেকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিত। তাই বছর চারেক পরেও আজ পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখতে বসলাম।

সত্যি বলতে কি আজ এতো বছর পর বইয়ের পুরো কাহিনী স্পষ্ট মনেও নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি বাংলা সাহিত্যে এমন অসাধারন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার আগে আর পড়া হয়নি। এই বইকে কেবল এক জনরায় ফেললে ভুল হবে। কারণ অমিয়েন্দ্র উপন্যাসে লেখক একই সাথে রোমান্টিকতা, আধিভৌতিকতা, কাব্য, সাই-ফাই সব ধরণের উপাদান ঠেসে ঢুকিয়েছেন। বইটি পড়তে গিয়ে মিসির আলীর কথা মনে পড়তে গিয়েও মনে হবে- নাহ, মিসির আলীর সাথে এই গল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।

ত্রিভুজ ভালোবাসার খুব সাদাসিধে প্লটকে লেখক অতিপ্রাকৃত আবহ সৃষ্টির মাধ্যমে অসাধারণ করে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে নিজের লেখা কবিতার সংযোজন বইটিকে একেবারে অন্যমাত্রা দান করেছে!

একবাক্যে বলতে গেলে- এক বসায় পড়ে শেষ করতে হবে এমন বই এটি।
Profile Image for Tushi.
59 reviews42 followers
October 30, 2018
রাত ১২ টায় বইটা ধরেছিলাম । ল্যাপটপে অল্প ভলিউমে মোজার্টের সিম্ফনি মিউজিকটা চলছিল । আশেপাশে কোনো আওয়াজ নেই শুধু আমার বইয়ের পেজ ওল্টানোর আওয়াজ আর এই হালকা মিউজিক টা ভেসে আসছে ।
প্রায় এইরকমই বর্ণনা দেয়া আছে বইটাতে । কিন্তু আমার টায় সাথে যোগ দিচ্ছিল কুকুরের ডাক । এলাকার কুকুরগুলো রাত ১২ টার পরে ভৌতিক স্বরে ডাকতে থাকে । নরমালি এতোটা ভয় করে না । যদিও একা থাকি তবুও । কিন্তু আজ বইটা পড়ার ভয়টা একটু একটু লাগছে । লেখকের গল্প বলার ধরন , একটা আধিভৌতিক পরিবেশ তৈরি করা সবমিলিয়ে কিরকম জানি ঘোর লাগা ভাবেই পড়ে যাচ্ছিলাম ।
গল্পটা ছিল অমিয়েন্দ্র আর অমিয়েত্রাকে নিয়ে । আরেকটা চরিত্র আছে জহর শেখ নিয়ে । বলা হয়ে থাকে সে বলে জ্বীন পোষে কিন্তু সে নিজে এটা স্বীকার করে না । অমিয়েন্দ্র , সাধারণ ছেলে । আর দশজনের মতোই জীবন চলছিল । প্রচন্ড ভাবে ভালবাসত একটা মেয়েকে । কিন্তু একটা কাহিনী পালটে দিল অমিয়েন্দ্রর জীবন । আর অমিয়েত্রা ? সে তো বোঝাই যাচ্ছে কে ! ছোট ছোট ছন্দের লাইন , কবিতার লাইন আরো অর্থবহ করে তুলছিল ওদের এই সুন্দর সম্পর্কটাকে । কিন্তু তারপর?
Profile Image for Pranta Dastider.
Author 18 books328 followers
February 24, 2015
সম্ভবত লেখকের প্রথম উপন্যাস। ভালোই। তবে কিছু ক্ষেত্রে সরল বাক্য গুলোর আধিক্য মনে হয়েছে, সেগুলো জুড়ে যৌগিক বাক্য বানালে বেশি ভালো হতো। তাছাড়াও অনু কবিতার আধিক্য কিছুটা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে, কবিতা না থাকলেও গল্পটা মন্দ হতোনা।

তবে কাহিনীতে মোটামুটি ধারাবাহিকতা ছিল, বর্ণনায় আধিভৌতিকতা ছিল যথেষ্টই, আর সেগুলোই গল্পটিকে ভালো লাগাতে সহায়তা করেছে বিশেষভাবে।

আগ্রহী পাঠক পড়ে দেখতে পারেন।
Profile Image for Shuk Pakhi.
512 reviews307 followers
January 21, 2020
সাধারণত ভৌতিক গল্প আমি ভালো পাই না। তবে...
এই বইতে ভালোবাসা আর ভৌতিকতা মিলেমিশে একাকার দশা।
একটানে পড়ে ফেলেছি।
বৃষ্টির প্রতি আমার বিশেষ রকমের দুর্বলতা আছে....লেখকেরও আছে মনে হচ্ছে।
একটু পর পরই বৃষ্টি নামছে বইতে।
Profile Image for Rumana Nasrin.
159 reviews7 followers
March 7, 2015
আমি খুব ছটফটে পাঠক। একসাথে অনেক গুলো বই পড়ি। এই বইটি অনেকদিন পরে আমাকে বাধ্য করেছিলো এক বসায় পড়ে শেষ করতে। অসম্ভব ভালো লেগেছিলো বলে আমার বড় ভাইয়াকে একরকম বাধ্য করেছিলাম বইটা পড়তে।
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
May 4, 2021
নুসরাত আর অমিত একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। অমিত নুসরাতকে পছন্দ করে৷ নুসরাতও হাল্কা করে প্রথম থেকেই পছন্দ করে অমিতকে। পরে দিয়ে আসলেই ভালবেসে ফেলে। মাঝখান দিয়ে ঝড়ের বেগে এসে উপস্থিত হয় মোনেম। নামটা যেমন খলনায়কের মত ঠিক তেমনি কাজও করে ফেল্ল মোনেম। বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ঝট করে বিয়ে করে ফেল্ল নুসরাতকে। এদিকে অমিত হয়ে গেল আধা-পাগল। বিয়ের পরে স্বামীর অত্যাচারে নিজের বসায় এসে যায় নুসরাত। গল্পটা এমনি সিম্পল হতে পারত। কিন্তু ব্যাপার আছে ভিতরে। অমিত কি খুব সাধারণ একজন? অথবা মোনেম কি নুসরাতকে ভালবেসে বিয়ে করেছে?? জহর শেখ নামক এই অদ্ভুত মানুষটা কিভাবে নুসরাত আর অমিত সম্পর্কে এত কথা জানে? এরকম অতিমানবিক ক্ষমতার মানুষ পৃথিবীটাকে কি বদলে দেবে?? দুই ধরনের মানুষের সংজ্ঞাটা কি আসলে?? এসব প্রশ্নের উত্তর আমি বইটা পড়ে জেনে ফেলেছি৷

এবার বলি আমার কেমন লাগল। ভালই বলা যায়৷ লেখার ভিতরে ভিতরে অনেক কবিতা আছে। উনি যে কবিতার ব্যাপক ভক্ত সেটা বুঝা গেল। কিন্তু অনেক জায়গায় আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে৷ প্লটের মধ্যে ভৌতিক ভাব আনার জন্য অনেক পরিমাণেই বৃষ্টির ব্যবহার করা হয়েছে৷ আমার অবশ্য খারাপ না লাগলেও আমি মনে করি শীতকালের খানিকটা আমেজ এনেও কিছুটা ঋতু বদলের সুযোগ লেখক দিতে পারতেন। তাতে গা শিউরে উঠা ভাবটা থাকত। বাট বৃষ্টির আমেজটা আমি এনজয় করেছি। সবচে যেটা ভাল লেগেছে লেখকের লেখার সাবলীলতা। আমি গড়গড় করে পড়ে গেলাম। প্লট হিসেবে এ উপন্যাসিকা খুব একটা ভাল লাগেনি। কিন্তু দেখলাম পরেও একটা বই আছে অমিয়েত্রা নামে। তাই সিরিজের প্রথম বই হিসেবে খারাপ লাগেনি। আমার যা মনে হল বড় তারাহুরো করে লেখক বইটা শেষ করেছেন। ব্যাপ্তি আরো অনেক বড় হতে পারত। তাতে বরং বইটা আরো ভাল হত।
Profile Image for ফারহানা জাহান.
Author 5 books57 followers
April 20, 2021
প্রথম কথা অতিপ্রাকৃত জিনিসপাতি আসলে আমার জন্য না। এই জনরার বই পড়লেও খুব বেশি টানে না আমাকে। তাছাড়া আমার খুব দূর্বল হৃদয় বলবো না বেশি স্পর্শকাতর ইন্দ্রিয় বলবো জানি না, কিন্তু এসব আমি নিতে পারি কম। যাই হোক।

'বিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে পৃথিবীতে উন্নততর মানুষের আবির্ভাব ঘটবে। তারা হবে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। এবং এই ক্ষমতার তারতম্যের কারণেই তাদের সাথে বিরোধ শুরু হবে পুরোনো মানুষদের'_কনসেপ্টটা ভালো নিঃসন্দেহে, তবে পুরাতন। এই কনসেপ্টের উপর ভিত্তি করে অনেক আগে থেকেই বইপত্র-চলচ্চিত্র সবই হয়ে আসছে। কিন্তু লেখকের লেখনী বেশ সুখপাঠ্য, এজন্য পড়ে যেতে তেমন কোনো কিছু মাথায় আসেনি কিংবা একঘেয়েমিও কাজ করেনি কোনোরকম। কিছু জায়গার বর্ণনা বেশ ছিল, মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে সবটা ভেসে উঠছে। স্পেশালি সার্কিট হাউজের বর্ণনাটুকু বেশ প্রাণবন্ত মনে হয়েছে আমার।

লেখকের শ্রাবণ-ও-সারমেয়ভক্তি নিয়ে অনেকেই বলেছেন দেখলাম, সেদিকে আর যাচ্ছি না। কিন্তু আমার আক্ষেপ আছে আরেক জায়গায়। দ্বিতীয় মুদ্রণ হয়েও একদম শুরুর কিছু পৃষ্ঠার একগাদা টাইপো খুবই বিরক্তির উদ্রেক করেছে পড়তে নিয়ে। 'র' এর পরিবর্তে 'ও' চলে আসা এবং জায়গা-বেজায়গায় এক্সট্রা 'র' চলে আসায় পড়তে নিয়ে রীতিমতো রাগ লাগছিল, তাও আবার একদম শুরুর কিছু পৃষ্ঠায়। পরের দিকে অবশ্য এমন পৌনপুনিক টাইপো ছিল না। কিন্তু একদম শুরুতে এরকম কিছু থাকা সত্যিই দুঃখজনক।

সবমিলিয়ে বইটা পড়তে নিয়ে সময় মন্দ যায়নি। আসল রেটিং ৩.৫ তারা। যাদের এই জনরা পছন্দ তাদের জন্য অবশ্যই একটি ভালো বই৷
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
January 17, 2020
রেটিং;৪.৬৫

সাইকোলজিক্যাল হরর আর রোমান্টিসিজম এর এক অপূর্ব সংমিশ্রণ এই বইটা.জিনগত মিউটেশনের কারনে প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলাফল হিসেবে অতি ইন্দ্রিয় ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নেওয়া অমিত ওরফে অমিয়েন্দ্র আর তার অমিয়েত্রা ওরফে নুসরাতকে নিয়ে এই গল্পটা একদম শেষ পর্যন্ত মন্ত্রাবিষ্ট করে রাখবে আর সাথে যদি আপনি কবিতাপ্রেমী হন তাহলে বইটার বাঁকে বাঁকে লেখা কবিতাগুলো আপনার জন্য পোয়াবারো হিসেবেই আনন্দ দিবে.

এই বছরের অন‍্যতম সুখপাঠ্য একটি বই😄
Profile Image for DEHAN.
277 reviews81 followers
January 20, 2020
লেখক প্রথম লেখা হিসেবে বেশ ভালোই লিখেছেন। প্লট টা যদিও পুরাতন।ঐ প্রকৃতি আর বিজ্ঞানের যুদ্ধ নিয়ে।
বৈচিত্র্যময় পৃথিবীর নানা প্রান্তে আস্তে আস্তে বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে নতুন প্রজাতির মানুষ জন্ম নিচ্ছে। কিছু বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ এই ভিন্ন প্রজাতির অহেতুক আগমনে ভয়ানক বিরক্ত। এইসবের আবার কি দরকার! বেশ তো চলে যাচ্ছিলো। শুধু শুধু উটকো ঝামেলা।
বিঃ দ্রঃ লেখকের বর্ষাকাল আর কুকুরের উপর দুর্বলতা আছে। তবে বেশি না,
অতি সামান্য।
Profile Image for Nusfaq Mahmood.
323 reviews
September 20, 2022
বুকশেলফে উঁকি দেওয়া TBR pile-এর বইগুলো শেষ করে তবেই নতুন বই কিনবো বলে পণ করেছি- সেই সুবাদে বইটি হাতে নেওয়া। এক বসায়/ শোওয়ায় অতঃপর শেষ করা। অনেকদিন পর কোন বই পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে না এটা না শেষ করে উঠা যাবে না, লস হবে একদম।

গল্পের প্রথম কয়েক পাতা পড়ে মনে হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের কোন বই পড়ছি। লেখার ধরণ, নুসরাত কিংবা তাঁর মায়ের কথোপকথন, তাঁদের পরিবারের ইন্ট্রো পড়ে তেমন-ই লেগেছিলো। থ্রো-আউট দ্যা বুক এতো সহজ লেখনী ছিল যা অনায়াসে গেলা সম্ভব। প্লট এবং আসতে আসতে যেইসব কাহিনী রিভিল হতে থাকে- আমার আল ইন অল খুব-ই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আমার বোনকে ২০১৪ সালের বইমেলা থেকে বইটি কেনার জন্য :')

P.s: I'm very bad at storytelling still I convienced my s/o to read this book because I had to recommened it to others. Do give it a read if you are looking for some fantasy/mystery/paranormal/sci-fi/thriller.
Profile Image for Ananya Rubayat.
181 reviews197 followers
January 28, 2020
সম্ভাবনার অপমৃত্যু ধরণের বই। অনেকদূর পর্যন্ত প্যারানরমাল গল্প নিয়ে এগিয়ে হঠাত হয়ে গেলো সাই-ফাই। পুরোটাই একি ধাঁচে শেষ করলে হয়ত আরেকটু ভাল হত। ক্যারেক্টর বিল্ডিং আর আবহ তৈরির জন্য অবশ্য লেখককে সাধুবাদ দিতে হয়।

রাহুর প্রেম আমার খুবি প্রিয় কবিতা। খুব লাগসই ভাবে কবিতাটা বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। তবে অন্য হালকা কবিতাগুলো কাহিনীতে আর কিছু যোগ করেনি, বরং বাহুল্য মনে হয়েছে।

গত কয়েক বছরে যেকোন বাংলা বই পড়লেই একটা আফসোস হয়, সেটা আবারো হলো - বানান ভুল আর সম্পাদনা নিয়ে। অবস্থা করুণ। হুমায়ূন আহমেদের প্রভাব ও মোটামুটি অবধারিত একটা ব্যপার - সেটাও রয়ে গেছে এখানেও।

তবে সব মিলিয়ে খারাপ লাগেনি।
Profile Image for Nuha.
Author 9 books26 followers
March 3, 2014
শিহাব ভাইয়ের লেখা আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে... তবে তার উপন্যাসগুলোর প্রতি ভালো লাগাটা একটু বেশিই। অমিয়েন্দ্র প্রথমে পড়ি তার ফেসবুক নোটস থেকে। কিন্তু এই বছর বইমেলায় তা বই আকারে বের হলে সংগ্রহ করতে ভুলিনি। একটি ভালো বই সংগ্রহ করাটা আসে। খুব পছন্দের বই এবং যারা একটু অন্যধাঁচের লেখা পছন্দ করেন তাদের জন্য অবশ্যই 'পঠতব্য'!
Profile Image for Taznina Zaman.
251 reviews63 followers
January 25, 2020
বইটা পড়ে রীতিমতো অভিভূত! অলৌকিক আবহটা চমৎকার সৃষ্টি করেছেন লেখক। এত কবিতার ব্যবহার যদিও কিছুটা বিরক্তির সঞ্চার করেছে তারপরেও নুসরাত আর অমিতের চমৎকার রসায়ন, কাহিনীর সাবলীলতা দেখে কে বলবে উনি কোন ঝানু লেখক নন! এই লেখক তার লেখা যেন আমৃত্যু কন্টিনিউ করেন, এই প্রত্যাশা রইলো।
Profile Image for Rohun.
120 reviews58 followers
November 26, 2020
বইটার দ্বিতীয় সংস্করণ কেউ কিনে পড়তে নিলে দয়া করে লেখকের লেখা বিশদ ভূমিকা টা পড়বেন না। লেখক কোনো সতর্ক বাণী ছাড়াই ওর মধ্যে স্পয়লার দিয়ে দিয়েছেন। যে কারনে শুরুতে মেজাজ চূড়ান্ত গরম হয়ে গিয়েছিলো। এট লিস্ট একটা ওয়ার্নিং দিতে পারতেন। দ্বিতীয় সংস্করণ যারা হাতে নেবেন বা যারা কিনবেন তাঁরা নিশ্চই আগে পড়ে নি বলেই কিনবে। দ্বিতীয় খন্ডে এক চরিত্রের কি হয়েছে তা বলা দেওয়া ঠিক কত অযৌক্তিক আমার জানা নেই। পরে পড়তে পড়তে একটু ঠান্ডা হতে পেরেছি।

এবার আসি মূল রিভিউ এ।

লেখককে অভিবাদন তিনি একটি ভিন্ন-ব্যতিক্রমী বা মিশ্র আবহাওয়া তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে তিনি শতভাগ সফল। ঠিক জমলো নাহ। এ কথা বলছি, প্লট টা কমন ছিলো। তারওপর আবার মাঝে এসে ঝুলে গেছে মনে হয়েছিলো। হয়তো প্রথম কাজ তাই হতে পারে কিছু জায়গায় কাচা কাচা লাগলো। আমার এক্সপেক্টেশান হাই ছিলো, সেটা ভিন্ন কথা তবে বইটা আমার মনে থাকবে অতিপ্রাকৃত পরিবেশের ঘটনা ও তার উপস্থাপনা, ফ্যান্টাসি, সাথে এমনকি সাইন্স ফিকশনাল ব্যাপার স্যাপারের মিশ্রণ। ক্ষণে ক্ষণে কনফিউসড হয়েছি। এটা লেখকের প্রাপ্তি। অহেতুক কাহিনী ডাম্প করে না বাড়িয়ে ঠিক যতটুকু লিখা উচিৎ ততটুকুতে রাখবার জন্য অমায়িক ধন্যবাদ।
Profile Image for Sumaiya.
290 reviews4 followers
June 26, 2023
3.5/5
অমিয়েত্রার জন্য অমিয়েন্দ্রের ভালোবাসা টা খুব সুন্দর ছিলো।
কিছু লাইন বেশ ভালো লেগেছে;

*জগতের নিয়ম বড় বিচিত্র। যার ওপর মায়া জন্মাবে-তাকেই সবার আগে টেনে নিবে খোদা। মাঝে মাঝে কাউকে স্নেহ করতেও ভয় লাগে....

* প্রকৃতি বড় বিচিত্র উপায়ে সাজিয়েছেন মানুষের স্মৃতির প্রতিটা কক্ষ । একেক কক্ষে একেক স্মৃতি জমা থাকে। একদম হঠাৎ করেই কক্ষগুলোর কোনো কোনোটার দরজা জানালা খুলে দেয়া হয়। এই দরজা জানালা খুলে দেয়াটা মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই। যদি থাকত তাহলে অনুভূতির অস্তিত্ব হারিয়ে যেত। প্রকৃতি সেটা চায় না, তাই সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ মানুষকে দেয়া হয়নি।

* মানুষের প্রকৃতি বড় অদ্ভূত। অপরিচিত মানুষদের মনে রাখে এবং তাদের নিয়ে ভাবতে ভালবাসে। সে নিজেও জানে না সেটা। আমরা স্ব-প্রকৃতি থেকে অজ্ঞাত ।

* কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার পেছনে অদ্ভূত একটা ভয় থাকে, ক্রোধও থাকে।

* খুব অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তেই বোধ হয় নিজের প্রয়োজনের মানুষটার অস্তিত্ব ধরা পরে। নিজের চাওয়াটা কারো কাছে স্বীকার করে ফেলে দুর্বল মুহূর্তে।

* প্রতিটা মানুষের চিরন্তন রূপ দেখতে অভ্যস্ত আমরা। তাতে ব্যতিক্রম হলে হিসাবে গড়মিল লেগে যায়। আমরা গড়মিল পছন্দ করি না।
Profile Image for Mridul.
45 reviews2 followers
December 17, 2023
এক কথায়, ভালো লাগে নাই। বেশ বাজে। রোমান্টিক আবহে ভয়ের গল্প - না রোমান্টিক, না ভয়ের। আবার কিছু জায়গায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে সাইন্স ফিকশনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা । কিছু হইলেই বিবর্তন টেনে আনার (অপ)চেষ্টা ।

শুরুটা ভালোই লাগছিল। পুরনো বাড়ি, একটা রহস্য রহস্য ভাব । কিন্তু মূল কাহিনীতে প্রবেশের পর থেকেই বিরক্ত লাগা শুরু করেছে। গল্পকার হলিউডের বিভিন্ন মুভি থেকে ইন্সপায়ারড মনে হইছে(যেমন এক্স মেন, আরও কিছু বলা যায় এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না)। লেখনীও অনেকটা স্ক্রিপ্ট এর মত। কিছু কিছু অধ্যায় অসংলগ্ন । যেমন ভিলেনের ল্যাবরেটরি এক্সপেরিমেন্টের ব্যাপারটা।

ডায়ালগ খুবই ক্লিশে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে একেবারে বেমানান, যেমন গল্পের নায়কের সাথে তার ভাইয়ের কথোপকথন।

গল্পের ভাল দিক এই যে, গল্পকার নিজের সীমাবদ্ধতার কারণে হোক বা যে কারণেই হোক একমাত্রিক গল্প লিখেছেন, কাহিনী বেশি প্যাঁচানোর চেষ্টা করেন নাই, লিনিয়ার স্টোরিলাইন। চরিত্র তিন চার জন, এদের মধ্যেই থেকেছেন। এর বেশি হলে জগাখিচুড়ি হয়ে যাইত।

তার চেষ্টার জন্য ২ তারা। লেখালেখি এত সহজ না, সমালোচনা যত সহজ। আশা করি তিনি পরবর্তীতে আরও ভালো লিখবেন।
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
February 1, 2020
লেখকের লেখনশৈলীর কারণে পড়তে ভালই লাগছিল, তবে পাঠে সমস্যা করছিল খানিক পর পর কবিতার পংক্তিমালাগুলো। বইয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে কাহিনী খানিকটা ঝুলে পড়েছে (ব্যক্তিগত অভিমত) যে কারণে এক পর্যায়ে পড়তে আর ভাল লাগছিল না। আবার শেষের দিকে গিয়ে বেশ ভাল লেগেছে। যা হোক, অবশেষে শেষ করলাম বইটি। এবার দ্বিতীয় পর্ব পড়ার পালা।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,866 followers
March 10, 2020
কাব্যিক, মায়াময়, অনেকটাই জীবনানন্দীয় ভাষায় লেখা এক ক্রূর ও হিংস্র আখ্যান - এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় এই উপন্যাসটিকে। জহর শেখের মধ্যে একইসঙ্গে মিশির আলি ও হিমু'র ছায়া পেয়ে মোহিত হলাম। লেখা বড়ো বেশি বিদেশি প্যারানরমাল কাহিনি-অনুসারী। তবে ওই জহর শেখের জন্যই বইটা পড়তে বেশ লাগে। মূলত তাঁর টানেই সিরিজের পরের বইটা ধরে ফেলছি এক্ষুনি।
Profile Image for Zahidul Choyan.
82 reviews20 followers
February 19, 2020
হরর পড়তে পছন্দ করিনা। হরর মুভিও পছন্দ করিনা। এই বইটা কেনো জানি পড়া শুরু করে দিয়েছিলাম কোন রিভিউ না পড়েই। আমি মুগ্ধ। প্রত্যেকটা কবিতা গায়ে শিহরণ জাগিয়ে তোলার মতো। পড়ের বইটা শুরু করতে হাত নিশপিশ করছে।
Profile Image for Megh Eve.
9 reviews2 followers
June 18, 2021
অনেক কিছুই ভালো লাগেনি, অনেক কিছুই ভালো লেগেছে। কবিতাগুলোকে ভালোবাসা। ❣

পড়তে পড়তে মনে হলো হুমায়ূন আহমেদ এই কনসেপ্ট নিয়ে লিখলে কিভাবে লিখতেন?!?
Profile Image for Mahmudur Rahman Limon.
28 reviews2 followers
January 16, 2023
2.5/5

ভালো মন্দ মিশিয়ে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
Profile Image for আহনাফ তাহমিদ.
Author 36 books80 followers
February 23, 2018
প্রকৃতি কোনো একটা কারণে অসীম ক্ষমতাধর মানুষ তৈরি করছে। এই মানুষেরা নাকি দ্বিতীয় তালিকার মানুষেরা নিজেদের পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে জয়ী হবে, তা আলোচ্য বিষয় নয়। আলোচ্য বিষয়, গল্পটা ভালো লেগেছে। প্লট ভালো, থিম ভালো, নতুন কিছু দেবার ইচ্ছেটাও ভালো। ২০১৩ সালের বই ২০১৮ সালে এসে পড়লে ঠিক পুরনো পুরনো একটা ফ্লেভার পাওয়া যাবার কথা, ঠিক তেমনটাই পেয়েছি। অমিত চরিত্রটা যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। খল চরিত্রের বিকাশ আরেকটু হলে ভালো লাগত। জহরের মতো চরিত্রদের খুব মিস করি। তাকে নিয়ে আরো একটু জানার ইচ্ছে। হয়ত 'অমিয়েত্রা'-তে পাবো, আশা করি। ভয় জাগানো কিছু নেই, তবে গা শিরশিরে একটা অনুভূতি ছিল। এই ধরনের প্লট পড়তে সবসময় উন্মুখ হয়ে থাকি।
এবার আসা যাক নেগেটিভ কিছু দিকে-
১) প্রচুর বানান ভুল। রীতিমতো বিরক্তি চলে এসেছে।
২) অমিত চরিত্রটা যতটুকু ভয় জাগানিয়া ভেবেছিলাম, ততটা লাগে নি। কাব্যিক উপস্থাপনা একটু বেশিমাত্রায় হবার কারণে অমিতকে কবি হিসেবেই মানিয়েছে বেশি।
৩) মনিরের কাজ কী ছিল, সেটা বোধগম্য হয় নি। মাঝে মনে হয়েছে পৃষ্ঠা সংখ্যা কিছু বাড়াতেই বোধ করি লেখক এই চরিত্রের আবির্ভাব ঘটিয়েছেন।
৪) জহর শেখের এতোগুলো বিয়ের সাথে ৩৫টা ছেলেমেয়ে, এতোগুলো নাতিপুতি- এই বাড়তি সংযুক্তিগুলো না আনলেই পারতেন লেখক। একটু ভাঁড়ামি লেগেছে (দুঃখিত)
৫) নুসরাতকে যথেষ্ট দিশাহীন লেগেছে কোনো কোনো জায়গায়। যেন তাকে দিয়ে কী করাতে চাইছেন লেখক, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।

অমিয়েন্দ্র পাচ্ছে ৬.৫/১০... (যদিও রেটিং-এ কিছু এসে যায় না। পড়তে ভালো লেগেছে, লেখকের প্রতি একটা এক্সপেকটেশনও তৈরি হয়েছে। তবে দ্বিতীয়বার পড়ার আগে অনেকবারই ভাবতে হবে।)
Displaying 1 - 30 of 38 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.