#পাঠকের কাছে অনুরোধ করোনার এই দুঃসময়ে আমরা অনেক পরিশ্রম করে আপনাদের জন্য ইবুক তৈরি করছি। বিগত ৩ মাস প্রতিষ্ঠানের আয় বন্ধ। বাংলাদেশের প্রকাশনা সেক্টরের কী নাজুক অবস্থা আপনারা অনেকেই জানেন। তাই কিন্ডল আনলিমিটেড সাবস্ক্রাইবারদের প্রতি অনুরোধ আপনার সামর্থ্য থাকলে বইটি কিনে পড়ুন। এটি প্রিন্ট রেপ্লিকা ভার্সন। যাদের ডিভাইসে এই ভার্সনটি সাপোর্ট করে না তারা এই আপডেট ভার্সনটি দেখতে পারেন:
------------- বই সম্পর্কে -------------
“লোকের ১০০ রকম কথা ও তাতে কান না দেয়ার ১০১ পদ্ধতি”
কীভাবে পড়বেন বইটি?
বইটি পড়তে পড়তে হয়তো বেশ কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা আপনার মনে পড়ে যাবে—এমন কিছু কটু কথা মনে পড়ে যাবে যেগুলো আপনাকে কিংবা আপনার সামনে কাউকে বলা হয়েছিল, কিন্তু আপনি তার কোনো জবাব দিতে পারেননি। এই বইয়ে আমরা আপনার হয়ে সেই সব কথার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বইয়ের সাথে মিলে যায় এমন কোনো কথা যদি আপনি কারও কাছ থেকে শুনে থাকেন তবে—
মিলে যাওয়া অংশটির ছবি তুলে তাকে পাঠিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করুন, বইটির এই লেখাটুকু কেমন লেগেছে। উত্তরের অপেক্ষায় থাকার দরকার নেই। সে নিজেই বাকিটা বুঝে নেবে।
যদি মনে করেন তাতেও কাজ হবে না তবে নির্বাচিত অংশটুকু দাগিয়ে (হাইলাইট করে) ছবি তুলে তাকে পাঠিয়ে দিন। কিংবা নির্বাচিত অংশটুকু হাইলাইট করে বইটি পড়া শেষে তাকে উপহার দিন। মানুষটি বুদ্ধিমান হলে, হাইলাইট দেখে যা বোঝার বুঝে যাবে।
লোকে কী ভাববে, তা যদি আমিই ভাবি, তাহলে লোকে ভাববে কী?
ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৩৭ টি অধ্যায় নিয়ে এই বইটি লেখা হয়েছে।
বইটিতে একজন মানুষের জীবনে ফেইস করা মোটামুটি সবগুলো সীনারিও নিয়ে কথা বলেছেন আয়মান সাদিক আর সাকিব বিন রশীদ। কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়ে মনে হয়েছে - ইশ! যদি কলেজ বা ভার্সিটিতে থাকতে এইভাবে চলতে পারতাম, হয়তো আরো ভাল কিছু হত। আবার কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়ে ভবিষ্যতে কী করা উচিত - সেরকম কিছু আইডিয়া পেয়েছি।
তবে পুরো বইটাতে বইয়ের নাম "লোকে কী বলবে?" এর প্রভাব একটু কমই লেগেছে আমার কাছে।
আর আত্ন-উপদেশমূলক বইগুলো ঘুরে ফিরে আমার কাছে কেন যেন মোটামুটি একই রকম লাগে। যারা রেগুলার এই জনরার বই পড়েন, তাদের কাছে হয়তো তেমন নতুন কিছু মনে হবে না। কারণ, ফেসবুক মোটিভেশনের এই যুগে এসব নীতিবাক্য মোটামুটি আমরা সবই জানি কিন্তু মানি না।
তবুও বলতে হয় আয়মান সাদিক আর সাকিব বিন রশীদ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সম্মুখীন হওয়া ইস্যুগুলো চমৎকারভাবে গুছিয়ে বইটিকে সাজিয়েছেন।
আয়মান সাদিক ও সাকিব বিন রশীদ লিখিত 'লোকে কী বলবে?' আদর্শ থেকে প্রকাশিত ১৩৫ পৃষ্ঠার বইটির গায়ের মূল্য ২৫৫ টাকা। আদর্শ প্রকাশনীর বইগুলোর মান মোটামুটি ভালই হয়। এই বইটিও ভাল। অফহোয়াইট প্রিন্টের কাগজে ফন্টগুলো পড়তে চোখের জন্য আরামদায়ক। বইটি ভালো লেগেছে। যারা রেগুলার মোটিভেশনাল বই পড়েন তাঁরা এইসব আগে থেকেই জানবেন। আমিও যে একদম কিছুই জানতাম না এমন না তবুও পড়ে ভালো লেগেছে। লেখকদ্বয় কিছু বিখ্যাত(!) খাটি বাঙালি উক্তি তুলে ধরেছেন। যেমন, 'এই পিচ্চি', 'A+ তো পাইলা না, এখন কী করবা?', 'মেয়েমানুষ, এত বেশি কথা বলেন কেন?', 'ইংলিশ মিডিয়ামের ফার্মের মুরগী', 'ওর পা ধুয়ে পানি খাও!', 'হিজড়াদের মত করিস কেন?', 'সায়েন্সে পড়ে আবার বিবিএ পড়ে নাকি কেউ!' এই জাতীয় উদ্ভট কথা সহ লোকেদের প্রায় ৩৩ রকমের কথাকে কীভাবে সামলাতে হবে তা অনেকটা আড্ডাচ্ছলে লেখা আছে। লোকেদের কথাকে কান না দেয়া নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানি কিন্তু এই বইটার আলাদা একটা ব্যঞ্জনা দিয়েছে কারণ এর লেখার ধরণ। খুব পরিচিত ভাষায় ছিল ঠিক সচরাচর যেমন আমরা শুনি। পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, "আরে এমন কত কথাই তো আমি শুনেছি কিংবা কোনদিন হয়তো কাউকে বলেছিও!"
আমি নিয়মমাফিক পাঠ্যবইয়ের বাইরে বই পড়া শুরু করি 2019 সালে। এসএসসি পরীক্ষার পর ঊ ছুটি চলছিল। একদিন ইউটিউবে সাদমান সাদিক এর ভিডিওতে দেখলাম তিনি বুঝাচ্ছেন যারা বই পড়ে আর যারা পড়ে না তারা কিভাবে আলাদা। একটা কথা ভালো লেগেছিল যে যারা বই পড়ে তারা কোন বিষয়ে বিষয়বস্তুটা চট করে ধরে ফেলতে পারে, তাদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বেশি। তারপর থেকেই আমার বই পড়া শুরু। প্রথমের দিকে আয়মান সাদিক সহ আরো তরুণ যারা লেখক আছে তাদের বইগুলো পড়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিলো । তার বইগুলো তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বলা যায় তিনি তরুণ সমাজের একজন আইডল। গত দুই বছরে বেশ কিছু বই পড়েছি। আস্তে আস্তে রুচির পরিবর্তন হয়েছে, বিভিন্ন বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগ্রহ বেড়েছে। যাই হোক, কিছুদিন আগে বইটি পড়ে শেষ করি। পড়া শেষে আমার মনে দুই ধরনের অনুভূতির সন্নিবেশ হহয়েছ। কিছু বিষয় লেখক তুলে ধরেছেন যা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। সমাজ থেকে মানুষের এসব মনোভাব দূর করা প্রয়োজন। তবে কিছু কিছু বিষয় তারা উল্লেখ করেছেন যা ধর্মীয় দিক থেকে সাংঘর্ষিক। যা ধর্ম অনুমোদন দেয় না । সে ক্ষেত্রে কিছু মানুষ যুক্তিগুলোর বিরোধী এবং তাদের বিরোধিতা যৌক্তিক। আর সেগুলো মেনে নেওয়া বা না নেওয়া একান্তই ব্যক্তিগত ও বিশ্বাস গত ব্যাপার।
লোকে কী বলবে? - আত্মোন্নতি নন-ফিকশন বই লেখক - আয়মান সাদিক ও সাকিব বিন রশীদ তোমরা গুরু ভাল। বইটি যুগোপযোগী এবং অন্যরকম। দুইজন লেখকই আমার অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং তরুণদের জন্য আদর্শ। বইটিতে আশপাশ থেকে তীরের মত আমাদের দিকে আসা বাজে সমালোচনাগুলো আর নিরুৎসাহিত করার মতো কথাগুলোর আলোচনা করা হয়েছে। এই বইটি মূলত এসব কথার বিপক্ষে একটা বিতর্কস্বরূপ। বইটি খুবই মোটিভেশনাল এবং মূলত তরুণদের উদ্দেশ্যে লেখা। বইটির কিছু কিছু টপিক মন ছুঁয়ে গেছে। যেমনঃ এত প্রশ্ন কর কেন?, A+ তো পাইলা না, ছোট মুখে বড় কথা, তোকে নিয়ে কত আশা, পড় তো প্রাইভেটে, আমার বউ কিছু করে না, এগুলা কি ছেলেদের কাজ ইত্যাদি। তার পাশাপাশি কিছু 10 মিনিট স্কুলের অন্য শিক্ষকদেরও কিছু প্রবন্ধ রয়েছে। বইটির সব আর্গুমেন্ট এবং কথাগুলোর সাথে আমি একমত। কিন্তু একটা জায়গায় আমি একমত হতে পারিনি। এখানে আমার মনে হয়েছে বিয়ের বেপারে একটু নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে ক্যারিয়ারে পুরোপুরি সফলতা অর্জন করে পরে বিয়ে। আমার মনে হয় না বিয়েকে এত দেরিতে করার প্রয়োজন আছে। মোটামুটি ইনকাম শুরু করেই বিয়ে করা যায় এবং আস্তে আস্তে সব কিছুই আগানো যায়। নিজের অনেক টাকা কামানো কিংবা হাইয়ার ডিগ্রীর জন্য বিয়ে আটকে রাখার তেমন কোন মানে নাই। একসাথেই করা যায় বরং আগে বিয়ে করলে রেস্পন্সিবল হয় মানুষ এবং রিলেশনশীপের থেকে বিয়ে উত্তম। আমাদের ইসলাম ধর্মে দ্রুত স্বাবলম্বী হতে বলেছে এবং এরপর দ্রুতই বিয়ে করতে বলেছে। তো আমার মনে হয় এরকম কিছু লিখতে পারত। বাদবাকি সব টপিক অত্যন্ত সুন্দর। রেটিং - 6.5/10 ★ (আসলেই কৃপণ আমি)
আচ্ছা যাই হোক বইটা আমি যেমন ভেবেছিলাম বইটা তার চেয়েও অনেক বেশি অসাধারণ। বইটাতে সুন্দর ভাবেই অনেক উদাহরণ দিয়ে অধ্যায়গুলো সাজানো হয়েছে।
বইটিতে আমার প্রিয় অংশগুলো হল “ তুমি এত প্রশ্ন করো কেন ? ”, “ এই পিচ্চি ”, “ এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ”, “ মাদ্রাসার ছাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হইস কেন ? ”, “ আমার বউ কিচ্ছু করে না ! ”, “ ব্যবসা করবা? কেন, চাকরি পাও নাই ? ”, “ মেয়ের বাবা-মা ফকির নাকি ? ”, “সবই টাকা কামানোর ধান্দা ! ”, “ আরে ! একবার-দুইবার খেলে কিছু হবে না ! ” । এগুলো ছাড়াও আরও কিছু অংশ ।
বইটির শেষের দিকে উল্লেখিত লেখকবৃন্দ ছাড়াও আরও কয়েক জনের লেখা দেখতে পাওয়া যায় ।
অধ্যায়গুলোর শেষে দেয়া নানা নীতিকথাগুলো বেশ চমৎকার ছিল । তবে প্রতিটি অধ্যায় এর শেষেই এমনটা দিলে হয়ত আরও ভালো হত ।
এছাড়াও বইটিতে রয়েছে বেশ কিছু টিপস, চেলেঞ্জ এবং আইডিয়া বাক্স ।
তবে বইটির বেশ কিছু কার্টুন তেমন ভালো লাগে নি আমার কা��ে ।
সর্বোপরি বইটিকে যেমনটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও অনেক অসাধারণ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্।
Ayman Sadiq and Sakib bin Rashid,their thinking of writing this book is so amazing. In the world,especially in Bangladesh,people are very judgemental. They judge every movement of anyone.For this toxic judgemental people,some people are no willing to share their ideas,thoughts.Even,before doing something new,some people get insecure a think that WHAT WILL PEOPLE SAY!!
It is a very useful book for those insecure people.It is also very good for the judgemental people.By reading this,people’s thought might be change.Some people may be get some confidence.And the judgemental people may be stopped.In the end of every chapter there is a quote of some successful people that will inspire you.
লোকে কী বলবে ! তাতে আপনার জীবন চলবে না । কারণ লোকেরা নানা কথা নান সময় বলবেই ! কেউ বলবে তুমি ঘরকুনো , কেউ বলবে ইংরেজি পারো না , কেউ বলবে বিয়ে করো না কেন ! এসব কথার বৃষ্টি তে রক্ষা করতে ব্যবহার করতে হবে পাওয়ার ব্যাংক নামক ব্যাংকের ছাতা। সমলোচনা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ছাতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে নিজের লক্ষ্য , স্বপ্ন ও অর্জনের দিকে ।
Good but Who the hell is people to tell me what to do?why should we be so concerned about people as they don't play a vital role in the story of our life.The book is about some mediocre people mediocre thoughts but those thoughts are effected many people in the society.So we should think logically to prevent these type of criticism and comments.
Written based upon society's demand. In our country people used to tell something which shouldn’t. Hope it works to come out from those people. Happy reading.