Jump to ratings and reviews
Rate this book

মনন শীল

Rate this book
#মনন_শীল

"কলকাতা আর বিধাননগর পুলিশের আজ চূড়ান্ত লজ্জার দিন।"- এই বাক্যটা দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ভিডিও কনফারেন্সটা শুরু করেছিলেন। তারপরের একঘন্টা ছিল হাইট অফ হিউমিলিয়েশন। কমিশনার সাহেব বলেছিলেন, "বাঙালি গোয়েন্দা পুলিশের নাম যদি মনন শীল হয়, তবে কেসগুলো সলভ না হয়ে তো কবিতা হয়ে যাবে। রাইট মনন? এবার আকাশকুসুম চিন্তন-মনন বাদ দিয়ে লেটস ডু সাম রিয়েল অ্যাকশন। তবে তো হ্যাশট্যাগ মনন শীল সোস্যাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হবে, নয় কি?"

খোঁচাটা গিলে নিয়েছিল মনন। তার সোস্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার প্রতি হোম সেক্রেটারির কটাক্ষ হজম করে নিতে হয়েছিল। তার মনে পড়ে যাচ্ছিল প্রথম পরিচয়ের দিন তার নামটা শুনে হোম সেক্রেটারি ঈষৎ বাঁকা হেসেছিলেন। সপ্রতিভ গলায় সে জবাব দিয়েছিল, "স্যার, মননশীল নয়, মনন স্পেস শীল। হ্যাশট্যাগ দিলে ভাইরাল হয়ে যাবে।"

186 pages, Paperback

Published December 1, 2019

17 people want to read

About the author

Partha De

13 books2 followers

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
3 (13%)
4 stars
10 (45%)
3 stars
6 (27%)
2 stars
3 (13%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 4 of 4 reviews
Profile Image for Ghumraj Tanvir.
253 reviews10 followers
September 26, 2020
মজা পাইলাম না।অনেকটা সনি টিভির "সিআইডি" সিরিয়ালের মত।হঠাৎ করেই কেস সলভ হয়ে যায়।
Profile Image for Sahasrangshu Guha.
36 reviews8 followers
April 3, 2020
মনন শীল -- পাঠ প্রতিক্রিয়া
প্রকাশক - কল্পবিশ্ব
লেখক - পার্থ দে
মুদ্রিত মূল্য - ২২৫
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৮৬

গল্প সূচি - (১) প্রহরণ , (২) আঁখিশ্রী , (৩) চরমজীবী

ইদানীং লেখার থেকে পড়ার আর ভাবার দিকে অধিক সময় বণ্টন করেছি। বিগত ছয় মাস ধরে যা পারছি গিলেই চলেছি , রহস্য রোমাঞ্চ , থ্রিলার , কল্পবিজ্ঞান , নন - ফিকশন , প্রবন্ধ । সব যে হজম হচ্ছে তা নয় তবে ১০ টা গিললে ৫ টা অন্তত হজম করছি সেটা গ্যারেন্টি । অদ্রীশ বর্ধন বাবুর ওই কথাটা ইদানীং বেদ বাক্য আমার কাছে ‘অনেক পড়লে তবে একটু মাত্র কলম সরে’। পড়ার তাগিদে কলম দূরে সরিয়ে রাখার দরুন পাঠ প্রতিক্রিয়া অবধি লিখছি না। পূজোর পর এতদিনে লিখেছি কেবল একটি ছোট গল্প । সে কথা থাক , যেটা বলতে আসা সেটা হল কল্পবিশ্ব পাবলিকেশন থেকে ২০২০ বইমেলায় প্রকাশিত একটি বইয়ের কথা। কিছু বই এরকম হয় যেগুলো পড়ার পর অনুভূতিটা সবার সাথে ভাগ করে না নেওয়া অবধি সোয়াস্তি পাওয়া যায়না । নিঃসন্দেহে পার্থ দে বাবুর ‘মনন শীল ’ বইটি সেই তালিকায় আমার কাছে অগ্রণী।

সফ্টবাইন্ড বইটির পাতার এবং বাঁধাইয়ের গুণমান অত্যন্ত ভাল , পাঠক হিসেবে আমি বইয়ের ব্যাপারে একটু বেশিই খুঁতখুঁতে মলাট দিয়ে ম ভাঁজ না দিয়ে , দাগ না ফেলে বই পড়ি আমি তবে এই বইয়ের যা কোয়ালিটি তাতে আগ্রাসী স্বভাবের পাঠকের হাতে পড়লেও সহজে খারাপ হবেনা বলেই বিশ্বাস।

গোত্র ধরতে গেলে এই বইয়ের তিনটি গল্পই পরে বায়ো পাঙ্ক জোনারে পরে । এই জোনারটি নিয়ে যারা একটু মক্স করতে চান তাঁরা কল্পবিশ্বের ওয়েবসাইটটি ঘেঁটে দেখে নিতে পারেন আবার কল্পবিজ্ঞান বলে যে ফেবু গ্রূপ আছে সেখানেও যোগদান করতে পারেন। আমি নিজেও প্রথম এই গোত্রের সাথে পরিচিত হলাম পার্থ বাবুর লেখার কল্যাণে। গোয়েন্দা মনন শীলের তিনটি অ্যাডভেঞ্চার সম্বলিত এই বইটি বায়ো পাঙ্ক হিসেবে না পরে কেউ যদি বিজ্ঞান আশ্রিত রহস্য গল্প হিসেবে পড়েন তাতেও তিনি মৌতাত থেকে একটুও বিচলিত হবেনা বলেই বিশ্বাস আমার।

এবার আসি ভালো লাগা খারাপ লাগার খতিয়ানে, শুরু হোক খারাপ লাগা দিয়ে

(১) প্রচ্ছদ দেখলে গোয়েন্দা মনন শীল সম্পর্কে যে একটা হার্ড বয়েল্ড ছবি আমার মনের মধ্যে ভেসে এসেছিল গল্পে তার ছাপ পাইনি। গল্পের গোয়েন্দা চরিত্রটিকে আর্ম চেয়ার ডিটেকটিভ আর হার্ড বয়েল্ড ডিটেকটিভের মাঝামাঝি হিসেবে আমার মনে হয়েছে। গল্প গুলির জন্য ডিটেকটিভ মহাশয়ের চরিত্র চিত্রায়ন আমার মতে ১০০ শতাংশ ঠিক ঠাক , তাহলে অন্তত আমার চিন্তায় বইয়ের প্রচ্ছদটি অন্যরকম হলে ভালো লাগতো।

(২) বইয়ের প্রথম গল্প ‘প্রহরণ ‘ শুরুই হচ্ছে একটি নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের দৃশ্য দিয়ে , আমাদের আসে পাশে এরকম অনেকেই আছেন যারা আরব্য আর পারস্য রজনী বলতেই ‘ঐরকম ছবি ’ ওয়ালা বইয়ের কথা ভাবেন। সেরকম কারর হাতে এই বইটি পরলে প্রথম গল্পের প্রথম পাতা পড়েই তারা বইটি সম্পর্কে অন্যরকম ধারণা করতে পারেন । এতে আশঙ্কা এই যে বইটির সঠিক মূল্যায়ন হবেনা। নৃশংস খুনের ঘটনার অবতারণা যে গল্পের খাতিরেই এসেছে সেটা পুরো গল্পটি পড়লে তবেই বোঝা সম্ভব। আমার মতে এতে লেখক মহাশয়ের ভুল কিছুই নেই । তবে পরের দুটি গল্পের শুরুর মতো প্রথম গল্পের শুরুটাও যদি একটু অন্যরকম ভাবে হতো তাহলে বোধহয় ভালো হতো।

এবার আসি ভালো লাগার কথা নিয়ে ।

(১) বিজ্ঞান আশ্রিত গল্পে বিজ্ঞান আর কল্পনার মিশেল সঠিক অনুপাতে না থাকলে সেই লেখা সুখ পাঠ্য হয়না সাধারণ পাঠকের কাছে । এই গল্প গুলি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে লেখক মহাশয় একদম পাঠকের মনস্তত্ব গুলে খেয়ে তারপর কলম ধরেছেন । এক লাইনের জন্য ও কখনো মনে হয়নি যে বেশি বিজ্ঞান এসে রহস্য গল্প পাঠের মৌতাত নষ্ট করে দিল। আবার কখনো এটাও মনে হয়নি যে বর্ণিত বিজ্ঞানে অতিরিক্ত কল্পনার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

(২) সাইন্স ফিকশন টপিকটা নিয়ে অনেক না উঁচু মানুষের নাক চুলকান স্বভাব আছে তাদের কাছে আমার অনুরোধ শুধু রহস্য রোমাঞ্চ গল্প হিসেবে এই বইটি পরে দেখুন লেখনীর গুণে ‘বায়ো পাঙ্ক ’, ‘সাইন্স ফিকশন ’ এই শব্দ গুলি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললেও এই গল্পগুলি সবার জন্য সুখপাঠ্য হবে বলেই বিশ্বাস আমার ।

(৩) গল্প সংকলনের সব গল্প সম মানের হয়না বলে অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশকের দিকে আঙ্গুল ওঠে । সেটারও সম্ভাবনা এই বইয়ের ক্ষেত্রে কম কারণ তিনটি গল্পই চূড়ান্ত টানটান ভঙ্গিমাতে পড়ে শেষ করার মতো । যদিও আমার মতে শেষ দুটি গল্প প্রথম গল্পটির তুলনায় অনেক বেশি ভালো তবু সবকটি গল্পই নিঃসন্দেহে আনপুটডাউনেবেল।

(৪) গল্পের স্থান পরিবর্তনের সাথে সেই স্থানের পরিমিত বিবরণ যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে পাঠকের মনে স্থান পরিবর্তনের চিত্রায়ন দুঃসাধ্য হয়। এই বইয়ের গল্পগুলির মধ্যে বিশেষ করে তৃতীয় গল্পে অ্যান্টার্কটিকার বর্ণনা যেরকম সুন্দর ভাবে পেশ করা হয়েছে তাতে লেখক কে কুর্নিশ না জানিয়ে পারা যায়না । গল্পের সাথে পাঠককেও উদ্দিষ্ট স্থানে নিয়ে ফেলেছেন লেখক মহাশয় তাঁর অসাধারণ বর্ণনা দিয়ে।

(৫) রহস্য রোমাঞ্চ গল্পে যদি নতুন কিছু জানার থাকে তাহলে সেটি কাজ করে অনেকটা পারফিউম সিনেমার আতরের হার্ট নোডের মতো । পাঠক চিত্তে ছাপ রেখে যেতে এই উপাদান টুকুর অবদান অনস্বীকার্য । এই গল্প গুলি থেকে আমি অন্তত সেরকম উপাদান পেয়েছি বিস্তর ।

(৬) গল্পের প্লট গুলিও যে অসাধারণ সেটি মানতেই হয় , বিজ্ঞানের সঙ্গে রাজনীতি , বর্তমান পটভূমির সাথে মনস্তত্ব যেভাবে ব্যবহার করেছেন লেখক তাতে এই বই অবশ্য পাঠ্য না হয়ে যায়না ।

এখানেই খতিয়ান শেষ করি । যারা এখনো পড়েননি অবশ্য পড়ে ফেলুন একবার হাতে নিলে শেষ না করে এই বই নামিয়ে রাখা যাবেনা ।


Profile Image for Kaushik Roy.
27 reviews8 followers
August 20, 2021
মাথা খারাপ...মাথা খারাপ...মাথা খারাপ...
ভালো মানের থ্রিলার অনেক পড়েছি, কিন্তু এরকম টেকনিক্যাল ভালো মানের এনগেজিং থ্রিলার খুব কমই পড়েছি। লেখক পার্থ দে এর লেখা সম্পর্কে যাঁদের অল্প বিস্তর ধারণা আছে তাঁরা জানেন, ভদ্রলোক এমনিতেই ভালো লেখেন, সেসব নিয়ে বেশি কিছু বলার থাকে না।
এই বইতে তিনটে বড় গল্প(উপন্যাসিকা বললেও ভুল নয়) আছে- 'প্রহরণ', 'আঁখিশ্রী' ও 'চরমজীবি'। তিন খানা গল্পই মূলত বিজ্ঞানভিত্তিক রহস্য কাহিনি। সবকটি গল্পের রহস্যের জট ছাড়াতে এগিয়ে আসে পুলিশ গোয়েন্দা মনন শীল মশাই। বইখানা কিনেছি প্রায় ছয় মাস হতে চলল। বই না বলে ই-বই বলাই ভালোই। লকডাউনের সময় কিনেছিলাম, তারপর দুটো গল্প জুলাই মাসে পড়ার পরে, আর একটা কিছুতেই সময় করতে পারছিলাম। কাল রাতে শেষ গল্পটা সাড়ে এগারোটার দিকে পড়তে শুরু করলাম আর তারপর? রাত 2টো অবধি টানা পড়ে শেষ করলাম।
তিনটে গল্পই খুব ভালো, যেকোনো দিকেই ভালো হলিউড থ্রিলারের সাথে তুলনা চলে। লেখার গতি বেশ টানটান, কোথাও বাড়তি মেদ নেই বরং ফিগার জিরোই বলা যায়। তিনটে গল্পেই 'কে করেছে' এর থেকে 'কীভাবে করেছে' ও 'কেন করেছে' এইদুটোই ভীষণ মুখ্য হয়ে উঠেছে। গল্পের শেষ পর্যন্ত টানটান একটা রোলার কোস্টার রাইড চলতে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই যাত্রা উপভোগ করেছি।
পাঠক হিসেবে পড়ার সম��় একটু যে কারণে হোঁচট খেতে হয়েছে সেটা একটু বলি। তিনটে গল্পই যেহেতু মূলত বিজ্ঞানভিত্তিক তাই প্রচুর টেকনিক্যাল টার্ম একের পর এক এসেছে। সেগুলো সব সময় খুব বিস্তারিত করে বলা হয়নি সেগুলো আসলে কী, কীভাবে কাজ করে বা গল্পের সঙ্গে এই ব্যাপারটি যৌক্তিকতা ঠিক কোথায়। ফলে কিছু সময় পড়তে পড়তে আমায় আরও ভালো করে ব্যাপারটি বোঝার জন্য গুগুল সার্চ করতে হয়েছে। বোঝার পরে মনে হয়েছে, আরে এটার মধ্যেই তো গল্পের একটা রহস্য/রস লুকিয়ে আছে। ফলে একজন সাধারণ পাঠক পড়তে গেলে এগুলো বুঝতে না পারলে কিন্তু তাদের কাছে একটু শিরঃপীড়ার কারণ হতে পারে। তাই এই ব্যাপারগুলো যদি অন্তত এক দু লাইন করে আরও একটু বুঝিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হয় বলেই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
সবশেষে বলি যাঁরা ভালো মানের থ্রিলার পড়তে ইচ্ছুক; থোড়, বড়ি, খাড়ার বাইরে কিছু পড়তে চান তাঁরা অবশ্যই পড়ুন। তবে এই বই একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে, শান্ত মতে পড়তে হবে; তাড়াহুড়ো করলে আর টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো না বুঝলে এই বইয়ের সঠিক রসাস্বাদন সম্ভব নয়। আর আমি ততদিন মনন শীল ও ফণীন্দ্র ভড়ের অপেক্ষা করব।
Profile Image for Biswadeep Ghosh.
17 reviews3 followers
March 30, 2020
বই : মনন শীল
লেখক: পার্থ দে
প্রকাশক : কল্পবিশ্ব
মূল্য : ২২৫

****************************
প্রথমেই বলে নি এই বই প্রাপ্তবয়স্ক এবং সর্বোপরি প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। যাই হোক পার্থ বাবুর কোনো লেখা আমি আগে পড়িনি , এটার মাধ্যমেই আমার তার লেখার সাথে পরিচয়। বইটিতে তিনটি গল্প আছে এবং প্রত্যেকটি গল্প বায়ো-পাংক বা বায়ো-থ্রিলার। গল্পের প্রধান চরিত্র মনন শীল যার নামে বইয়ের নামকরণ একজন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। তাকে নিয়েই বইয়ের তিনটি গল্প।

এবার আসি গল্পে। প্রথম গল্প 'প্রহরণ' অত্যন্ত অসাধারণ একটি গল্প। গল্পের প্লট এবং বিশেষ করে শেষ দৃশ্য এক কথায় অনবদ্য। শেষটি সত্যি অন্যরকম হওয়ায় বেশ ভালো লেগেছে। যেহেতু রহস্য গল্প তাই বিশদে আলোচনা সম্ভব নয়। কিন্তু কয়েকটি জায়গা আমার একটু খারাপ লেগেছে। তার মধ্যে একটি হলো মনন শীলের ভূমিকা। এটির মাধ্যমে পাঠকদের সাথে পরিচয় হলেও গল্পে তার ভূমিকা সামান্য। আর একটি খারাপ লাগা ঠিক না , খলনায়কের মোটিভ এর একটা জায়গা নিয়ে আমার একটি প্রশ্ন থেকে গেছে। যাই হোক এদুটি বাদ দিলে গল্প খুব ভালো।

দ্বিতীয় গল্প 'আঁখিশ্রী' তিনটি গল্পের মধ্যে আমার সবথেকে কম প্রিয়। তার প্রধান কারণ কিন্তু গল্পের শেষ অংশ। প্রথম থেকে গল্প কিন্তু অত্যন্ত জোরালো। প্লট থেকে শুরু করে ঘটনা প্রবাহ , রহস্যএর জাল বোনা তারপর সেটি খোলা সব একদম মজবুত। কিন্তু শেষটি যেন হুট করে এবং সহজেই হলো। ঘাত প্রতিঘাতের অভাব বোধ করেছি ভীষণ ভাবে।

এবার আসি শেষ গল্প 'চরমজীবী'র কথায়। আমার মতে বইয়ের সেরা গল্প। অসাধারণ প্লট। ঘটনা গুলো বেশ ভালো ভাবে সাজানো। আর লেখক যেখানে শেষ করেছেন সেটা দুর্দান্ত। যেহেতু রহস্যগল্প তাই খোলসা করে কিছু বলা মুশকিল। নয়তো পড়ার মজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু শেষটা পড়ে আপনার মনে হবেই যে এরপর কি আরও গল্প আসবে। নাকি এখানেই শেষ। মন আপনার আনচান করবেই। কিন্তু লেখককে একটা অনুরোধ করবো দয়া করে সোধিকে নিয়ে একটা স্পিন অফ লিখুন নয়তো মনন শীলের যদি গল্প লেখেন আর সে যদি সেখানে থাকে তাহলে তার উপস্থিতি বাড়ান। ওর সিন গুলো যতবার পড়েছি শুধু হেসেছি মন খুলে।

লেখকের একটা মস্ত গুন কিন্তু কোনো দৃশ্য তৈরিতে এবং সংলাপ লেখায়। সেটা তিনটের যেকোনো একটা পড়তে গিয়েই বুঝবেন। আপনার মাথায় সেই দৃশ্য ছবির মতো ফুটে উঠবে।

কিন্তু বইয়ের কভার একটু আশাহত করেছে। যদি শুধু কভার হিসেবে দেখি তাহলে ভালো কিন্তু বই পড়তে গিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনন কে যেরকম ভাবে ভেবেছি তার সাথে যেনো এই ছবি যায়না। এই ছবি দেখলে মনে হয় মনন একজন একরোখা , বেয়াদপ, নিয়মের তোয়াক্কা না করা একজন অফিসার। কাউকে ভয় করে না, কেয়ার করে না কারো। একজন ভেগাবন্ড। কিন্তু মনন ঠিক উল্টো। সে বুদ্ধিমান কিন্তু কখনোই এমন কোনো অবস্থা আসে নি যেখানে সে নিয়ম ভেঙেছে। যা করেছে নিয়মে থেকে। সে তার বসকে যথেষ্ট ভয়ও পায়।

জানি না কতটা গুছিয়ে নিজের মতামত জানাতে পারলাম বা বোঝাতে পারলাম কিন্তু সবশেষে এটাই বলবো এই বই আমি অত্যন্ত উপভোগ করেছি এবং আশা করছি যারা এরপর পড়বেন তাদেরও ভালো লাগবে।

আমার রেটিং : ৩.৭৫/৫

(মতামত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত)
Displaying 1 - 4 of 4 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.