আপনি কি জানতেন, ছোটবেলায় পড়ে আসা হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার সেই গল্পটা যে সত্যি? এবং, নামটি কিন্তু হ্যামিলন নয়। এরকম আপনি নাম শুনেছেন, বা পড়ে এসেছেন আবছাভাবে এমন অনেক কিংবদন্তিই কিন্তু গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে। সেই অসাধারণ কিছু লেজেন্ড মলাটবন্দী করে এই বই।
ইয়াজুজ মাজুজের অজানা কথা, প্রাচীন মিসরের কিংবদন্তির জগৎ, ধাতুকে সোনায় বদলে দেয়া পরশ পাথর, অমরত্বের স্বাদ দেয়া এলিক্সির অফ লাইফ, পৃথিবীর আনাচে-কানাচে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে রয়ে যাওয়া অজানা সব রহস্য যা আদতে দেয় অতিপ্রাকৃতের খোঁজ, উপকথা আর পুরাকাহিনীর মিশেল, জাদুবিদ্যার ঐতিহাসিক প্রয়াস, চাপা পড়ে থাকা অশ্রুতপূর্ব সব কাহিনী…
সবকিছু যেন এক মলাটে পেয়ে যাবেন এই ‘অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে’ বইতে, আটাশটি অধ্যায়ে। জানতে পারবেন পরিচিত কিছু কাহিনীই নতুন আঙ্গিকে, নতুন রূপে। আপনার অতৃপ্ত কৌতূহল মেটাবার এই তো সুযোগ!
"I don't believe in magic," The young boy said. The old man smiled. "You will, when you see her." ― Atticus
Born in Bangladesh, Abdullah Ibn Mahmud passed his childhood in Dubai, the UAE, the tourists' heaven. Returning to his home country, he passed his intermediate from Science department in 2011 from Notre Dame College, Dhaka. After that, he started his B.Sc. in the top-most engineering university of the country, BUET (Bangladesh University of Engineering & Technology) in Electrical & Electronic Engineering (EEE). After obtaining B.Sc., he went on to pursue MBA in 2017 and finished the degree from the highest academic institution in the business line, IBA of Dhaka University.
He started his writing career during his undergrad life and earned huge popularity through his historical writings published in the Bangla version of the popular analyst platform of South Asia, Roar Global. His writings on Roar Bangla have accumulated over 3.6 million readers in the last two years alone.
Abdullah loves to read and impart knowledge to those who like easy-reads. He is one of the pioneers of the country who popularized the reading of non-fiction or history-based contents. His favorite topics include- myths, theological history, tech, and he totally adores Dan Brown & J. K. Rowling, having grown up reading their fictions, but making a career of non-fiction, mostly. His published works now total up to 6, with quite a few in the pipeline, including approved translation works.
শৈশবের গোড়ার ছয়টি বছর কেটেছে আরব আমিরাতের দুবাইতে। ২০১১ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করে আন্ডারগ্র্যাড শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল বিভাগে। ২০১৭ সালে বুয়েট থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-তে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
ভার্চুয়াল জগতে লেখালেখির সূচনা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঢোকার পর থেকে। বুয়েটে শেষ বর্ষে থাকাকালীন লেখা শুরু করেন রোর বাংলা প্ল্যাটফর্মে, যেখানে জনপ্রিয়তা পায় তার শতাধিক ফিচার, তার লেখাগুলো পঠিত হয় সাম্প্রতিক সময়েই প্রায় ৩৬ লক্ষ বার। ভালোবাসেন নতুন কিছু জানতে এবং জানাতে; প্রযুক্তি আর ফিকশন ছাড়াও পছন্দের বিষয়- বৈশ্বিক ইতিহাস, মিথ এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব।
প্রকাশিত নন্দিত বইগুলোর মাঝে আছে- ইহুদী জাতির ইতিহাস, অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে, এলিরিন, দ্য প্রফেট, সিক্রেট মিশনস, ইত্যাদি।
ভূমিকাঃ অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে (রহস্যময় পৃথিবীর কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া নাম-শোনা কিন্তু স্বল্প-জানা কিংবদন্তিগুলো।)
অধ্যায় ১-৮ঃ এর বিষয়বস্তু ছিল আলকেমির উপর ভিত্তি করে পরশ মণি, অমৃত সুধা, জাবির ইবনে হাইয়ান, নিকোলাস ফ্লামেল, নিউটন আর অমরত্বের ঝর্ণা। ওভারঅল, এক ক্যাটাগরিতেই ফালানো যায় তবে ভিন্নতা আছে। শূন্য জ্ঞান নিয়ে যে এসব পড়া শুরু করেছিলাম তা না। মোটামুটি সব বিষয়েই জানতাম। কিন্তু সময় করে, বিশদভাবে পড়া হয়ে উঠেনি। হাতের কাছে পেয়ে শুরু করলাম। কিন্তু একি! লেখক রোর বাংলায় এসব লেখালেখি করেছেন। কোনো অনলাইন সাইট থেকে খোঁজাখুঁজি করে তার অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায় তাই। সেটা অনলাইন ব্লগে মানা যায়, ফেসবুকে মানা যায়, কিন্তু সেই লেখা যখন দুই মলাটের মাঝে আনা হয় তখন তার পরির্বতন আনাটা বাধ্যতার পর্যায়ে আলে যায়। যাই হোক, আমি লেখকের দৌঁড় জানার জন্য গুগল করলাম। সেখানে alchemylab.com ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে এসে, অনুবাদ মনে হলো আমার। অমরত্বের ব্যাপারে অনেক জায়গায় লেখা আছে। কিন্তু আলকেমি নিয়ে নিকোলাস ফ্লামেলকে নিয়ে যে চারটি অধ্যায় লেখা আছে সবটাই এই ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। নিউটনকে নিয়ে পানির ওপর ওড়াউড়ি করেই কাটিয়ে দিয়েছেন। যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল। তবে 'অমরত্বের ঝর্ণা' অধ্যায় ভালো লেগেছে। এটার ব্যাপারেও বিস্তর লেখা পাওয়া যায় নেটে। কিন্তু লেখক এটা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বলেই মনে হলো।
অধ্যায় ৯ঃ প্রাচীন ব্যবিলনের জাদুবিদ্যা নিয়ে লেখা। 'গল্পগাঁথা' বলা যায়। তবে বেশ চমকপ্রদ।
অধ্যায় ১০ঃ শাদ্দাদের বেহেশত। রূপকথা টাইপের। বিভিন্ন অঞ্চলে যে পরিবর্তন গুলো চোখে পরে এমন রূপকথার সেগুলোই এক করে দিয়ে দিছে।
অধ্যায় ১১ঃ অ্যালিস্টার ক্রোলিকে নিয়ে লেখা। একে জানতাম না আমি। কিন্তু এমন বাটপার চিরকালই ছিল। সামনেও এদের পাওয়া যাবে। উভকামী, এমন কোন খারাপ কাজ নেই যে করেনি। জাদুবিদ্যাও করছে। এরকম একটা মানুষ 'অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে' নামধারী বইয়ে কেমনে আসল, তাই বুঝলাম না।
অধ্যায় ১২ঃ আলোচিত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এটা কোনকালে কালের গর্ভে হারায়া যাচ্ছে বা এরকম পপুলার একটা ব্যাপার; যা ফেসবুক, ব্লগ, ইন্টারনেটের সুবাদে সবাই জানে, সেটা কেমনে স্বল্প জানা হয়!
অধ্যায় ১৩ঃ আরেক মাথামোটা ভন্ড আল বিলেক। তিনি বলে ২৭৪৯ সাল থেকে ঘুরে আসছেন। তাকে মিলিটারি বড় থেকে ছোট বানায়া ফেলছে। সে আবার বড় হইছে। এই ছাগলের সাথে 'অতিপ্রাকৃতের' মিল কোথায়? আমি দশ ঘণ্টা খরচ করেও বুঝলাম না।
অধ্যায় ১৪ঃ ভবিষ্যৎকথক নস্ট্রাডামুস। এর ব্যাপরে আগে থেকেই জানতাম। লেখক এখানেও ওড়াউড়ি করে কাটিয়েছেন। ইন্টারেস্টিং কিছুই দেননি।
অধ্যায় ১৫ঃ আদম সেতু/রাম সেতু। জিওগ্রাফিকেল ব্যাখ্যাসহ কোন কোন ধর্ম এটাকে নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া করছে তার বিবরণ। পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্যও আছে।
অধ্যায় ১৬ঃ আসহাবে কাহাফের ঘুমন্ত গুহাবাসীদের কাহিনী। এক ধরণের মিথ। সাধারণত এসব ব্যাপারে ধর্মের সংস্পর্শ বেশি থাকে। ইসলাম আর খ্রিস্টান দুই ধর্মই বিশ্বাস করে। এই ব্যাপারটা আগে জানতাম না। লেখকের তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে আগ্রহের কারণেই এসব দিক উঠে এসেছে।
অধ্যায় ১৭-১৮ঃ ভ্যাম্পায়ার আর ফিনিক্সকে নিয়ে লেখা। এই অধ্যায় ভালো ছিল। মিথগুলো ভালো ইন্টারেস্টিং। তবে এখানেও মিথোলজির পাশাপাশি তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ব্যাপার চলে আসে।
অধ্যায় ১৯ঃ ইলুমিনাতি নিয়ে লেখা। বইয়ের বিষয়বস্তুর সাথে মোটেই মিলে না।
অধ্যায় ২০ঃ 'হ্যামিলন' না 'হ্যামেলিন।' রূপকথা বলেই জানতাম। তবে এটার যে মোটামুটি সত্যতা প্রমাণের মতো দলিল আছে, এটা জানতাম না। কিন্তু বাঁশি বাজিয়ে সম্মোহন করা!! রূপকথা বললেই মানায়..
অধ্যায় ২১-২২ঃ ফেরেশতা, জ্বিন, শয়তান এদের নিয়ে প্রচলিত মিথ। বিভিন্ন সেমেটিক ধর্মে যা আছে তারই একত্রে আলোচনা করা হয়েছে। এই দুটি অধ্যায় বেশ চমকপ্রদ।
অধ্যায় ২৩ঃ কিং সলোমনকে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তি। তার শাসনকালে তাকে ঈশ্বর/আল্লাহর আদেশে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়।
অধ্যায় ২৪ঃ নেপোলিয়ানের পিরামিড কাহিনী। এটার মাঝে এমন কি আছে, আমার মাথায় ঢুকলো না! বিশ্বের বড় বড় কিংবদন্তি মানুষদের নিয়ে এমন নানান কথা ছড়িয়ে আছে। তাহলে তো স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুসের কথাও বলা যায়।
অধ্যায় ২৫ঃ ইয়াজুজ-মাজুজকে নিয়ে নানান মতবাদ আর জল্পনা-কল্পনা। ইহুদি, খ্রিস্টান আর ইসলাম, সব ধর্মেই এদের কথা আছে। যাদেরকে আলেকজান্ডার বা জুলকারনাইন বন্দী করে রেখেছেন। একেক ধর্মে একেকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
অধ্যায় ২৬-২৮ঃ শেষ তিনটি প্রাচীন মিশর নিয়ে লেখা। দেব দেবী, পিরামিড, জাদুবিদ্যা সহ নানান বিষয় নিয়ে এই তিনটি অধ্যায় বেশ কৌতূহলী করে তুলে পৌরাণিক চরিত্রদের প্রতি। আগ্রহ নিয়ে পড়ার মতোই।
উপসংহারঃ বইয়ের পজিটিভ দিক বলতে গেলে এর দাম। ২৭১ পেইজের বইয়ের দাম ৫০০ টাকা। এটা নিয়ে বলতে যেয়েই, আমাকে চেপে ধরবে, 'ভাই, এখানে যে পরিমাণ তথ্য দেয়া হইছে। পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় ছবি দেখছেন? দাম ঠিকই আছে।' দাঁড়ান। প্রথমত এই বইটা রোর বাংলায় অলরেডি রয়েছে। লেখক সেই লেখাগুলো একত্রিত করেছেন (সাথে আরো কিছু হয়তো যোগ করেছেন), আর ছবি দিছেন ভালো কথা এক ছবি দু তিনবার, নানান বইয়ের বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি। এসবের কোনো প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। ইন্টারনেটের যুগে মানুষ এখন অনেক এডভান্স। মোদ্দাকথা, প্রাইসিং ভালো লাগেনি। তবে লেখকের জন্য অবশ্যই এটা পজিটিভ। এখন নেগেটিভ দিকগুলোয় আসি, প্রথমেই বলছি যে এই জিনিসগুলো গুগল করলেই পাওয়া যায়। লেখকের কৃতিত্ব তাহলে কোথায়। বলবেন 'বাংলা করে তোমার কাছে তুলে ধরছে।' না রে ভাই, লেখকের কৃতিত্ব হতো যদি তিনি আরো লেখাপড়া করে বিশদ আলোচনা করতেন। বেশিরভাগ লেখাগুলোকে আসলে 'অতিপ্রাকৃত' বলা যায় না। মূলত বিভিন্ন রূপকথার মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ তুলে ধরেছেন। আর এসব ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের অবলম্বন নিয়েছেন। কিন্তু বইয়ের প্রচ্ছদে লেখা 'রহস্যময় পৃথিবীর কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া নাম-শোনা কিন্তু স্বল্প জানা কিংবদন্তিগুলো' কথাটার সাথে মোটেই মিল নেই। এখন অনেকে বলবে, 'ভাই, এটাই বিজনেস সিক্রেট!' :3 বিজনেস তিনি বইয়ের ভিতের আরো জায়গায় করেছেন। কয়েক জায়গাতেই বলেছেন, অমুক বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার 'ইহুদি জাতির ইতিহাস' বইয়ে। এর পাশাপাশি বারবার বলছিলেন, '...সামনের খন্ডে লেখার ইচ্ছে রাখি।' '...সে কাহিনী নাহয় পরের খন্ডের জন্য তোলা থাক।' আরেকটা জিনিস বিরক্ত লাগছে। একটা টপিক ধরেই, 'সেই টপিকে একটু পর আসছি', 'একটু পরেই সেটা বলব...' মনে হচ্ছিল ফেসবুকের কোনো স্ট্যাটাস পড়ছি! অনেক বকবক করলাম। এখন বলব এই বইটা আপনি পড়বেন কিনা! উপরে আমি প্রতিটা অধ্যায়ের টপিক দিছি। যদি কোনো টপিকের ব্যাপারে অল্প-স্বল্পও আপনার জানা থাকে, এই বইয়ের দিকে আর তাকায়েন না। নেটে খুঁজে পড়েন। আর যদি বলেন, 'ভাই আমি কিচ্ছু জানিনা, শুনিনাই, দেখি নাই, পড়িও নাই।' তাহলে কিনে ফেলেন। আপনাকে আর কিছু বলব না।
বইটি পড়ে অনেককিছু জেনেছি!! বিভিন্নরকমের টপিক ছিল বইটিতে.... যেমনঃ আলকেমি, পরশমণি, ফ্লামেলের রহস্য, আইজ্যাক নিউটনের জাদ��� গবেষণা, অমরত্বের ঝর্ণা, প্রাচীন ব্যবিলন, বারমুডা ট্রায়াংগেল,আসহাবে কাহাফ, ইলুমিনাতি, মিশর ইত্যাদি এমন বিভিন্ন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে জানানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন লেখক..... বেশ ভিন্নরকম এক বই! এমন বই বাংলাতে কম ই আছে বলা যায়, যেই বইয়ে এতরকমের টপিক নিয়ে লেখা হয়ছে
তবে লেখকের লেখনশৈলী অনেক স্থানে বেখাপ্পা লেগেছে... এই বইয়ের অর্ধেক নাকি "Roar বাংলা" websiteএ আছে... উনি ঐগুলোর ভুল-ত্রুটি হয়তো না দেখে যেমন ছিল ঠিক তেমনি তুলে দিয়েছেন! Roarবাংলা তে যা লেখে তা সরাসরি একটা বইতে তুলে দিলে তো হবে না!! অনেক স্থানে উনার বাক্য গঠন ঠিক ছিল না! অনেক স্থানে বাক্য বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল..... মনে করুন আপনি বেশ গতিতে একটা বই পড়ছেন। হঠাৎ যদি কোনো বাক্যের জন্য আপনাকে থেমে যেতে হয় তাহলে সেটা বেশ খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে.....
আশা করি লেখক এমন নন-ফিকশন বই লেখার সময় নিজের লেখার দিকেও মনোযোগী হবেন... তাছাড়া বইটি বেশ উপভোগ্য ছিল, পড়েও অনেককিছু জানা গেছে
পড়ার আগে অনেক অনেক বেশি কিছু জানার এক্সপেকটেশন ছিল বলেই হয়তো খুব একটা ভাল লাগে নি। বইয়ের টপিক অনেক বেশি মনে হয়েছে। টপিক কমিয়ে লেখাগুলি আরেকটু বিশদ করা গেলে আমার মনে হয় ভাল হত। অনেকগুলো টপিক নিয়ে লেখার আগে লেখকের আরেকটু সন্ধান করে নিলেই মনে হয় ভাল হত। কেননা, কয়েকটা অধ্যায়ের শেষে আরো কিছু জানার আগ্রহটা থেকেই যায়। নেপোলিয়নের অধ্যায়টা খুবই হতাশ করেছে আমাকে। বইটি পড়েই বুঝা যায়, লেখক ইন্টারনেট থেকে প্রচুর আর্টিকেল, ভিডিও, ব্লগ এবং অন্যান্য অনেক সোর্স থেকে তথ্য কালেকশন করার পর নিজের মত করে অনুবাদ করে একটা গল্পের মতন করে প্রতিটি অধ্যায়কে সাজিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এরকম প্রয়াস প্রশংসার দাবি রাখে। তবে লেখনীর ভাষা আমার কাছে সবসময় প্রাঞ্জল মনে হয় নি। পারসোনালি পড়তে পড়তে আমি বেশ কয়েকবার যা পড়ছিলাম সেটা থেকে হারিয়ে গিয়েছি।
ফিকশন, নন-ফিকশন, মিথ, হিস্ট্রি সবই আছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে লেখা পড়েই বুঝা যায়। কিন্তু এতো এতো আর্টিকেল একসাথে লেখার কারণে বেশ কিছু জায়গায় একঘেয়েমি লেগেছে। শেষের চ্যাপ্টারগুলোর থেকে শুরুর দিকেরগুলো বেশি ভালো লেগেছে।
বইয়ের শুরুটা হয়েছে আলকেমি বা পরশমণি নামক অধ্যায় দিয়ে। যেটা যে কোনো পাঠকের কাছেই খুব আগ্রহ জাগানিয়া। শুরুতেই এমন টপিক পেয়ে পাঠক যে গ্রোগ্রাসে গিলতে চাইবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সর্বোপরি, বইতে আলোচ্য টপিক নির্বাচনের জন্য লেখককে বাহবা দিতেই হয়। মোটামুটি সবগুলো টপিকই অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক। একইসাথে এত আকর্ষণীয় আর বিনোদনমূলক টপিক যে কোনো পাঠকই নিশ্চিন্তমনে লুফে নিবে।
তবে কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ হতে হয়েছে লেখকের লেখনশৈলীর কাছে। কেননা, ব্লগসাইটের লেখার ‘টোন’ আর মলাটে বন্দি ছাপার অক্ষরের লেখার ‘টোন’ এক হবার কথা নয়। ‘আমাদের আজকের আয়োজন’ ‘এই পর্বে থাকছে’ ‘চলুন জেনে নেই’ ‘একটু পরেই আসছি সেই টপিকে’ – এই ধরণের উপমাগুলো সাধারণত ব্লগসাইটের জন্যই উপযুক্ত। মলাটবন্দি ছাপার অক্ষরে এমন বাক্যগুলো কেমন যেন অদ্ভুত ঠেকে। এমনটা মনে হতেই পারে যে – তাহলে ব্লগ আর বইয়ের মধ্যে তফাতটা রইলো কোথায়?
ব্লগের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যেমন হয় যে – একটা ব্লগ সাধারণত সর্বোচ্চ আড়াই হাজার শব্দ পর্যন্ত একজন পাঠক একটানা পড়তে পারে। ক্ষেত্রেবিশেষে এটা কমবেশিও হতে পারে। তাই ব্লগে যতটুকু সময় পাঠককে আটকে রাখতে চায় লেখক ঠিক ততটুকুই উপকরণ ঢেলে লেখাটাকে সাজাতে হয়। আর পাঠক নিজেও জানে যে, ব্লগ থেকে যতটুকু না জানলেই নয় ঠিক ততটুকুই জানতে পারা যায়।
কিন্তু একজন পাঠক যখন জেনে-বুঝে-দেখে একটা ননফিকশন বই কিনছে; তখন সে অবশ্যই অল্পটা জেনে সন্তুষ্ট হতে পারবে না। অন্তত যতটা পর্যন্ত না লিখলেই নয় ততটাই পাঠক আশা করে। এমন অনেক অধ্যায়ই আছে যেগুলো পড়া শেষে সন্তুষ্টি ভাবটা কাজ করেনি; একজন নিতান্তই সাধারণ পাঠক হিসেবে। মনে হয়েছে যেন – লেখক হয় মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ নিয়ে আলোচনা করেই সময় কাটিয়েছেন; আর নয়তো তথ্যের উপর দিয়ে ভেসে বেড়িয়েছেন; গভীরে ডুবে বিস্তারিত আলোচনার জায়গাটা রয়েই গেছে অপূর্ণ।
নিঃসন্দেহে লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন সঠিক আর নির্ভুল তথ্য দেয়ার। সেটার ছাপ বইতে স্পষ্ট। তবে এমনটা ভাবার সুযোগও তিনি রেখেছেন যে, লেখক চাইলে হয়তো আরেকটু বিশদভাবে আলোচনা করতে পারতেন। ফিকশনে কখনোই সর্বোচ্চ তথ্য দেয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু ননফিকশনে আপনাকে সর্বোচ্চটাই দিতে হবে। কেননা, আপনি জানেন না পাঠক কতটুকু আগে থেকেই জেনে বইটা পড়তে বসেছে।
তবে হ্যাঁ, সন্তুষ্টিও আবার পাঠকভেদে নির্নীত হয়ে থাকে। কোনো পাঠক যদি ইতিপূর্বে এসব না জেনেই পড়তে বসে তবে তার কাছে এমন বই রত্নতুল্য হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তার মানে এই না যে, একজনের কাছে রত্নতুল্য এই বই আরেকজনের কাছে পাথরতুল্য মনে হবে। প্রথমজন পড়ে হয়তো তৃপ্ত হবে; আর দ্বিতীয়জন পড়ে হয়তো তৃপ্ত হতে পারবে না; তার জানার আগ্রহটা রয়েই যাবে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া পাঠক কিংবা আলসে বুড়ো পাঠকদের জন্য এই বই অবশ্যই দুর্দান্ত এক সংকলন। কিন্তু জানতে আগ্রহী আর কৌতূহলী পাঠকরা অনেক কিছুই জানতে পারলেও, অন্তত পূর্ণতা পাবে না এই বই থেকে।
সম্পাদক আর লেখকের যৌথ প্রচেষ্টার ফলেই হয়তো বানান ভুল সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি নজরে আসেনি। এদিক থেকে দুজনকেই সাধুবাদ জানাতে হয়। অন্যদিকে সম্পাদককে জানাতে হয়, বানানের পাশাপাশি বাক্য গঠনের দিকে খানিকটা নজর দিলে হয়তো লেখকের লেখার পূর্ণতা আরো কিছুটা পরিস্ফুটিত হতো। লেখকের লেখনশৈলীতে কিছু কিছু জায়গায় রুক্ষতা আছে; আবার আছে গতিহীনতা; যার কারণে সাবলীলতা আর প্রাঞ্জলতা – দুই হারিয়েছে। তবে সেটা ক্ষেত্রবিশেষে, অল্প কিছু অংশে, পুরোটা জুড়ে নয়। এদিকটাতেও খানিকটা নজর দেয়া উচিত ছিল সম্পাদক সাহেবের।
এতদসত্ত্বেও, বইটা প্রশংসার দাবীদার। কারণ, যেভাবে লেখক শূন্য থেকে একটা মৌখিক বা লৌকিক সাহিত্যকে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে লেখনীতে পূর্ণতা দিয়েছেন – তা নিঃসন্দেহে বেশ ভালো উদ্যোগ। একইসঙ্গে চমৎকার কাজ। লেখকের প্রতি শুভকামনা রইলো পরবর্তী বইগুলোর জন্যে। আর হ্যাঁ, যদি লেখকের মনে হয় উপরিউক্ত ব্যাপারগুলোতে নজর দেয়া সত্যিকার অর্থেই জরুরী – তাহলে এই গ্রন্থালোচনা যে সফল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখন এমন একটা সময় যে, কোনো বই নিয়ে প্রশংসা করলে সেটা হয় স্বজনপ্রীতি আর নয়তো অর্থের বিনিময়ে হয়েছে বলেই ধরে নেয় পাঠককুল। আবার, সমালোচনা করলে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা হিংসার জের বলেই বিবেচিত হয় – যতই তা গাঠনিক সমালোচনা হোক না কেন। এই বইয়ের লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ ব্যক্তিগত���াবে আমার পরিচিত নন। রোর বাংলায় আমরা দুজনেই লেখালেখি করি; ব্যস এটুকুই। কখনো দেখা হয়েছে কিংবা আলাপ হয়েছে কিনা, সেটাও নিশ্চিত নই। একজন নিতান্তই সাধারণ পাঠক হিসেবে নিজের প্রতিক্রিয়াটাই ব্যক্ত করেছি কেবল। এতে যদি লেখকের খারাপ লাগে তাহলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।একইসঙ্গে পরবর্তী বইগুলোর জন্য শুভকামনা রইলো লেখকের প্রতি।
লেখকের প্রায়ই আর্টিকেল পূর্বে ‘রোর বাংলা’ প্ল্যাটফর্মে পড়েছি। মূলত ‘অজানাকে’ জানার এবং ‘অতিপ্রাকৃত’ নিয়ে উৎসাহী হওয়ার দরুন বইটি সংগ্রহ করি। যে আশা নিয়ে কেনা, সেই অনুযায়ী একেবারেই যে আশাহত হইনি তা বলতে পারি। তবে যত তথ্য-উপাত্ত লেখক এই বইয়ে যুক্ত করেছেন তা আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি এবং ওনার রোর বাংলার আর্টিকেল অনুসরণ করলে পেয়ে যাবেন।
তবে নন-ফিকশন অনুযায়ী ঘটনাগুলো সাজানো ভালো হলেও, লেখনশৈলী আরও পোক্ত হতে পারত। কিছু জায়গায় সম্পাদনার ঘাটতি ও বানান ভুলের কারণে হোঁচট খেতে হয়েছে। আশা করি পরবর্তী সংস্করণে এই সমস্যার সমাধান হবে।
অতিপ্রাকৃত নিয়ে বইয়ের নামকরণ হলেও, প্রচলিত ‘মিথ’ নিয়ে অধ্যায় বেশি লেখা হয়েছে; বিশেষ করে ‘ইহুদি’ জাতি ও ‘মিশর’ শহরকে ঘিরে। তাই আগ্রহী পাঠক যারা—তারা বইটি সংগ্রহে রাখতে পারেন।
বইয়ে বেশীরভাগ কিংবদন্তি সমতূল্য কাহিনী গুলো পূর্বে তেমন একটা ধারণ ছিলো না। পড়তে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় নি। ভালোই লেগেছে। তবে সবগুলোর ভেতরে ২-৩ টা কাহিনী কিছু খাপছাড়া মনে হয়েছে। এছাড়া লেখার ধরণের সাথে ব্লগ পোস্টের লেখার ধরণে সামঞ্জস্যতা রয়েছে। সর্বোপরি ভালো একটা বই। পাঠকের ভালো লাগবে।
❛Fables should be taught as fables, myths as myths, and miracles as poetic fantasies.❜
আমরা যা জানি, জেনে আসি লোকমুখে থেকে অনেকসময় দেখা যায় তার অনেকটাই মিথ্যে! অথবা সত্যিটা ভিন্ন। এমন অনেক নজির আছে। আজীবন জেনে আসা গল্প যদি কখনো জানতে পারেন এটাই সত্যি ছিল তখন? বলতেই হয়, ❛My whole life was a lie!❜
নিউটন - বিজ্ঞানী না জাদুকর? আপনারা জেনে অবাক হবেন, নিউটনের জীবনের খুব কম সময় কেটেছিল বিজ্ঞান নিয়ে! তিনি তার জীবনের যত গবেষণা সেসবের প্রায় সিংহভাগই করেছিলেন তরুণকালে। বাকি জীবন কাটিয়েছেন অতিপ্রাকৃতের সন্ধান করে। জাদুবিদ্যা থেকে শুরু করে অমৃতের সন্ধান করেছেন। তার জীবনের শেষদিকের গল্পও বেশ চমকপ্রদ। বিজ্ঞান নিয়ে করা কাজ অনেক আগে করে থাকলেও প্রকাশ করেছেন তা ধীরে ধীরে। এজন্য কে মূল আবিষ্কারক সেই নিয়ে আছে না জলঘোলা করা কাহিনি।
কী খুঁজছিলেন আসলে নিউটন? ফিলোসফার স্টোন বা পরশমণির কথা আমরা অনেকেই জানি। এমন এক পরশ পাথর যার স্পর্শে বদলে যায় পদার্থ। পরিণত হয় সোনায়! নিউটন বা আরো আগের অ্যালকেমিস্ট ফ্লেমিং কি পেয়েছিলেন সেই পাথরের সন্ধান? আবার অমৃতের ঝর্ণা বা এলিক্সির অব লাইফ আসলেই কি তার অস্তিত্ব আছে? রূপকথা, কিংবদন্তি বলে নানা কথা কিন্তু আসল সত্য কী?
আইজ্যাক নিউটন বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। এঁকেছিলেন তার মডেল। এত গবেষণার মূল উদ্দেশ্য আসলে কী ছিল এতবছর বাদে আমরা কেউ জানিনা। তাকে আসলে বিজ্ঞানী বলা উচিত না জাদুকর? নিকোলাস ফ্লেমিং কি আসলেই দীর্ঘায়ু অর্জন করেছিলেন? তাহলে মৃত্যুর অনেক বছর পর তার কফিন কেন খালি ছিল? বেজায় রহস্য সবখানে। অ্যালকেমিস্টের নানা পরীক্ষা, রহস্য আর তাদের শেষকালে অদ্ভুত সব কান্ড বা পরিণতি দেখে মানুষের মনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। কিন্তু হায়! উত্তর দেয়ার অবস্থাতেই তারা নেই।
❛জাদুবিদ্যা❜ আসলে কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে। ইতিহাস, মিথ ঘেঁটে অনেকের উত্তর হয় এর উৎপত্তি হয়েছে প্রাচীন সেই নগর ব্যবিলনে। ফেরেশতা হারুত-মারুতের কাহিনি এসে পড়ে। তাদের নিয়েও আছে নানা সত্য মিথ্যা রহস্যের বেড়াজাল। আছে সেমেটিক ধর্মগুলোর নানা কথকতা। ব্যবিলন এমন এক শহর যা ছিল উন্নত। কী এমন ঘটেছিল যে পুরো শহর বিলীন হয়ে গেল? চাপা পড়ে গেলো হাজারো ইতিহাস, উন্নত সভ্যতা আর রেখে গেলে অসীম রহস্য।
দুনিয়ার বুকে এক টুকরো জান্নাত? এমন কথা তো আমরা শুনেছি। দুনিয়ার বেহেশত এর কথাও কোনো কোনো লোককথায় বলে। আবার এক কালে শুনতাম কাশ্মীর নাকি পৃথিবীর বেহেশত! তবে শুনেছেন কি শাদ্দাদের বেহেশত ছিল? যে কিনা ঔদ্ধত্য করেছিল। তাকে যখন একত্ববাদের দাওয়াত দেয়া হলো তখন শাদ্দাদ বলেছিল এসব করে আমি কী পাবো? বেহেশত লাভের কথা শুনে শাদ্দাদ বলেছিল সে নিজেই দুনিয়ার বুকে বানাবে তার বেহেশত। কিছুর অভাব থাকবে না। ৫০০ বছর লাগিয়ে তৈরি করেছিলেন তিনি তার বেহেশত। কিন্তু প্রবেশের সময় যা হলো!
❛পৃথিবীর সবথেকে খারাপ লোক ক্রোলি!❜ কী এমন করেছিল সে যার জন্য তাকে এমন উপাধি পেতে হলো? নিজের কৃতকর্ম দেখেই কখনো সে কি ভেবেছিলে তাকে আখ্যা দেয়া হবে পৃথিবীর সবথেকে খারাপ লোক হিসেবে?
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল: মিথ বনাম মিথ্যা! বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে জল্পনা-কল্পনা, ইতিহাসের আদি অন্ত নেই। আসলে কী আছে ত্রিভুজাকৃতির জায়গাজুড়ে? বিজ্ঞান তার ব্যাখ্যায় এখানে অতিপ্রাকৃতিক ব্যাপার উড়িয়ে দেয় তো একদল রহস্য নিয়ে হাজির হয়। ৪৭ মিনিটের ফ্লাইট কী করে দ্রুত এসে পড়ে? অনেকেই বলে এই কিটি তাদের পেট চালানোর খোরাক। তবে সত্য আসলে কী?
সাল ২৭৪৯! হুট করে আল বিলেক এসে বলে, সে নাকি সময় ভ্রমণ করেছে। অংশ ছিল প্রজেক্ট ফিলাডেলফিয়ার। আবার সময় ভ্রমণ করে চলে গেছিল ২৭৪৯ সালে! এর কতটুক সত্যি? নাকি পা গ লা মস্তিষ্কের কারো প্রলাপ? এজন্যই কি তাকে শতাব্দীর সেরা মি থ্যু ক বলা হয়?
নস্ট্রাডামুসের নাম জানেন? আজ থেকে আরো ৫০০ বছর আগের কথা। যিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন নিজের প্রয়াণের! সেটা না হয় তাও মানা যায়। কিন্তু অবাক করা বিষয় সে নাকি ধ্যানে বসে ভবিষ্যত দেখতে পেতো! তার মৃ ত্যুর পর বের হয় নস্ট্রাডামুসের অনেক প্রফেসি। এমনকি সেখানে বাকি ৯ / ১১ এর ঘটনার কথাও ছিল! তবে এগুলোর সত্যতা নিয়েই আছে নানা কিংবদন্তি। একমাত্র সত্য আসলে কে জানে সেটাই একটা রহস্য।
❛আদম সেতু না রাম সেতু?❜ ছোটকালে টিভিতে কার্টুন দেখার ফলে এই নিয়ে জানা আছে অনেকের। রাম সেতু নিয়ে আছে ধর্মীয় বর্ণনা। আবার একই আদম সেতু হিসেবে প্রমাণ করতে আছে নানা কথা। কার্বন ডেটিং করে জানা যায় অনেক তথ্য। কিন্তু সংবেদনশীল ধর্মীয় আলাপে খোদ অনেক হিন্দু প্রধান দেশই নিশ্চুপ। তবে আসলে এই সেতুর প্রকৃত ইত��হাস কি অন্যান্য অজানা রহস্যের মতোই চাপা পড়ে থাকবে? প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে।
সেভেন সিস্টার্সের নাম তো শুনেছেন কিন্তু সেভেন স্লিপার্স সত্য? আসহাবে কাহাফের ঘটনা এক বিষ্ময়কর ঘটনা। কেউ বলে সেখানে ঘুমন্ত লোক ছিল তিনজন, কেউ বলে চারজন। সংখ্যাটা কুকুর সহ ৮ এর মধ্যেও সীমাবদ্ধ। সেই গুহায় ৩০০ বছরের অধিক সময় ঘুমিয়ে ছিল সাতজন ব্যক্তি। কেউ বলে ২০০ বছরের অধিক। কুরআনে আছে তাদের কথা। সেমেটিক ধর্মের বইতেও আছে তাদের নিয়ে নানা লোকগাঁথা।
ড্রাকুলা নাকি র ক্ত চোষা! ভ্যাম্পায়ারের কথা শুনলেই মনে আসে ব্রাম স্টোকারের ❛ড্রাকুলা❜ এর কথা অথবা এখনের Twilight সিরিজের কথা। তবে আসলে এই ভ্যাম্পায়ারের উৎপত্তি কোথায়? আলোতে না আসা, দীর্ঘায়ু থাকা আর র ক্তের স্বাদ পাওয়া এই বৈশিষ্ট্য গুলো এলো কী সেই হাবিল কাবিলের ইতিহাস আর ❛মার্ক অব কেইন❜ থেকে?
ফিনিক্স পাখির মতো বারবার যার উত্থান! রূপকথার ফিনিক্স পাখি নিয়ে আছে নানা মিথ। এমনকি পুরাণেও আছে তার উপস্থিতি। লাল, হলুদ রংয়ের রঙিন এই পাখি অমর। ভষ্ম থেকে যার জন্ম। ফিনিক্স পরিপূর্ণতার রূপক। এক দেহেই যার স্ত্রী-পুরুষের উপস্থিতি। ফিনিক্সকে নিয়ে আছে অনেক কিংবদন্তি। তবে সত্যিই কি আদিকালে ছিল এমন পাখি? বিভিন্ন পুরাণ মতে একেক নামে উঠে এসেছে এই পাখি।
এক চোখ মানেই? All seeing eye on God?
ড্যান ব্রাউনের ❛অ্যাঞ্জেলস এন্ড ডেমনস❜ পড়ার এবং মুভি দেখার পর ই লু মিনা তি নিয়ে আবার যেন সকলের আগ্রহের পারদ উঁচুতে উঠে গেলো। কী এই জিনিস? আসলেই কি দুনিয়া তাদের চোখের ইশারায় চলে?
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা! শব্দটা আসলে হ্যামেলিন। আবারো বলতে হয় ❛My whole life was a lie!❜ এইটা যে শুধু গল্প নয় আছে অনেক সত্যতা সেটা জানতেন? সুরের সম্মোহনে ইঁদুর তাড়িয়ে এরপর ১৩০ জন শিশুকে গায়েব করে দেয়া চাট্টিখানি ব্যাপার!
অ্যাঞ্জেলস বনাম ডিমন্স সারবুক বলেছিল, ❛এমন মেধাবী জ্বিন আমি আমার শিক্ষকতা জীবনের ২৬,০০০ বছরে দেখিনি!❜ কার কথা বলছিলেন? জ্বিন আর ফেরেশতাদের মধ্যে যে যু দ্ধ হয়েছিল তারজন্য জ্বিনের দোষ কতখানি ছিল? নাকি বিপথগামী হওয়ার দরুনই এমন ফল। মেধাবী জ্বিন কে ধরতে পারলেন?
লুসিফার! নিজের হাতে লেখা বিধানের যে কুপোকাত হয়েছিল সে কে জানেন? কোনো কিছু নিয়েই অহংকার করা আর ঔদ্ধত্য দেখানো মানুষ কেন কিনি জ্বিন বা ফেরেশতাদের জন্যেও ঠিক না। তার প্রমাণ লুসিফার। তবে তাকে নিয়ে আছে সেমেটিক ধর্মে নানা মিথ। সুরাতেও আছে তাকে নিয়ে কথা।
নেপোলিয়ন এক রাত্রি পিরামিডে থেকে এমন কী দেখেছিলেন যার কথা মৃ ত্যু শয্যায় পর্যন্ত বলে যেতে পারলেন না? কবরে চাপা পড়ে গেলো আরেক অজানা রহস্য।
ইয়াজুজ মাজুজ - এক ত্রাসের নাম? কুরআন সহ সেমেটিক ধর্ম গ্রন্থগুলোতে কেয়ামতের আলামত হিসেবে আছে ইয়াজুজ মাজুজের কথা। এরা কি একটি জাতি, মানুষ না দেশ তাই নিয়ে আছে অনেক ধোঁয়াশা। তবে সবাই নিশ্চিত কেয়ামতের আগে এবং দা জ্জা লের বিনাশের পর প্রাচীর ভেঙে আসবে তারা।
প্রাচীন মিশর আমাদের জন্য রহস্য, মিথের এক আড্ডাখানা। প্রাচীন মিশরের দেবতা, তাদের কাহিনি, ফারাও এবং তার সাথে ইসলামী ঘটনা মিলে তৈরি হয়েছে বিশাল ইতিহাসের। ইউসুফ-জুলেখার প্রেমকাহিনি বলে এখন যাকে রোমান্টিসাইজ করা হয় সেটার সত্যতা একেবারেই নেই জানেন? প্রাচীন মিশরের সেই ইমহোতেপের সাথে আমাদের ইউসুফের কাহিনির এত মিল কেন?
যুগ কাল পেরিয়ে যাবে, কিংবদন্তি থাকবে অমলিন। এর নানা ব্যাখ্যা আসবে কিন্তু আসল সত্য?
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
❝অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে❞ আব্দুলাহ ইবনে মাহমুদের মিথোলজিক্যাল, রহস্য ভিত্তিক সংকলন। ২৮টি অধ্যায়ে প্রচলিত এবং কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লেখক তার বইটি সাজিয়েছেন। শুরুর ৮টি অধ্যায় ছিল নিউটন, নিকোলাস ফ্লেমিং এবং পরশ পাথরের প্রচলিত মিথ এবং হারিয়ে যাওয়া সত্যের সন্ধানে। শেষের তিনটি অধ্যায় বরাদ্দ ছিল প্রাচীন মিশর নিয়ে। ঘটনাগুলোর সিংহভাগই আগে থেকে জানতাম। কিছু ঘটনা জানার এবং এর সত্যতা জানতে লেখকেরই আরেকটি বই ❛ই হু দী জাতির ইতিহাস❜ সাহায্য করেছে। আগেই পড়া ছিল।
তবে নিউটনকে নিয়ে মিথ এবং এর অনেক রহস্য আনকোড়া অজানাই ছিল। বেশ অবাক হয়েছি। অবাক লেগেছে অমরত্বের ঝর্ণার কথা শুনে। এমন কিছুর অস্তিত্ব এবং একে নিয়ে নানা কিংবদন্তি যে এভাবে ছড়িয়ে ছিল সেটা অজানাই ছিল। বিলেকের ঘটনা জানতাম। লেখক বইতে যেভাবে সাজিয়েছেন সেটাও বেশ চমকপ্রদ ছিল। ভ্যাম্পায়ার নিয়ে সেভাবে জানা ছিল না। আমার দৌড় ঐ ড্রাকুলা, Twilight পর্যন্তই ছিল। বিধায় এখানে নানা তথ্য এবং এরসাথে প্রচলিত মিথগুলো জেনে অবাক হয়েছি। ❛Mark of Cain❜ নিয়ে আমার জানাশোনা ছিল। ❛Supernatural❜ নামের ১৫ সিজনের একটা সিরিজ দেখেছি। সেখানে অতিপ্রাকৃত অনেক বিষয়, খ্রিস্টান বিশ্বাসের অনেক বিষয় ছিল। সে থেকে অনেক কিছু আমার জানা ছিল। মিশরের ইতিহাসও আগে থেকে জানাশোনা। মিথপ্রেমী হিসেবে এসব নিয়ে জ্ঞানারহণের ইচ্ছা থেকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিল। আমার কাছে পড়তে ভালোই লেগেছে। লেখক এখানে সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের থেকে মিথ নিয়ে প্রচলিত সকল কথাই তুলে এনেছেন। এটা সত্যি না ওটা মিথ্যা সেটা বিশ্বাসের দায় পাঠকের। যেমন, ভবিষ্যত ঘুরে আসা বিলেকের ঘটনা। সেখানে তার সময় ভ্রমণ করে সামনে পিছে যাওয়ার অনেক ব্যাপার একদম দিনের আলোর মত পরিষ্কার করে লেখা আছে। আছে ভিনগ্রহের প্রাণীদের কথাও। এগুলোর সত্যতা যাচাই এবং বিলেকের ব্যাপারে অনেক কিছুই ধোঁয়াশা রেখেছেন বইতে।
ই লু মি না তি অতিপ্রাকৃত কিছু আসলে আমার মনে হয়নি। মিথ হিসেবে চালানো যায়। তবে সেটাও এখন আলোচনার ব্যাপার। এদের নিয়ে অনেক কিছুই প্রচলিত। আর বেশিরভাগই ভাইরাল হওয়ার ধান্দা (আদৌ যদি এরা থেকে থাকেন তো আমার পোস্ট যদি আমার সৌভাগ্যক্রমে দেখেও থাকেন তারা ভাববেন, ❛তুমি জানো ঘোড়ার আ ন্ডা!❜)
লেখকের লেখনশৈলী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই বইয়ের লেখাগুলো আগেই ব্লগে লেখা ছিল। আমি যদিও সেসব পড়িনি বিধায় আমার কাছে এটাই নতুন। কিন্তু বইতে ব্লগের লেখার ছাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। আজকে আমরা এটা জানবো, এখন আসি, পরে আসবো সেসব কথায় এমন লেখার ভঙ্গি বইতে মানানসই লাগে নি। অনেক জায়গায় বারবার অন্যান্য বইয়ের থেকে জানতে পারবেন কথার পরিমাণ চিক বেশি। যেগুলো পড়তে সমস্যা লাগছিল। বইয়ের পরের আরো খন্ড হবে এবং ইতিমধ্যে দ্বিতীয় খন্ড বেরিয়েছে। আশা করি সেটাও পড়ে নিবো সংগ্রহ করে। এই খন্ডে আশা করি প্রথম খন্ডের অসুবিধা গুলো কাটিয়ে যাবে। যেহেতু লেখকের লেখা এখন আরও অনেক পরিপক্ব আশা করি লেখার মাধুর্যতা বৃদ্ধি পাবে।
❛প্রকৃতি মাতা রহস্য পছন্দ করে। অনেক কিছুই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে এখন আমাদের মাঝে রহস্য হিসেবে জীবিত আছে সে শুধু হারানোর খেলাই নাকি প্রকৃতির নিজেকে লুকিয়ে রাখার আরেক চাল?❜
কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া রহস্য উন্মোচনঃ- অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে
দুনিয়ায় কতটুকুই বা অামরা জানি? পৃথিবীর অানাচে কানাচে ছড়িয়ে অাছে নানা গল্প। সেই পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে চলে অাসা অনেক গল্পের সত্য মিথ্যাার প্রভেদ টানা কষ্টসাধ্য কাজ। যে সব গল্পের মাঝে অাজ সত্য মিথ্যার প্রভেদ। যেখানে জ্ঞান সীমাবদ্ধ সেখানেই ধোঁয়াসার জাল বোনা। সেই ধোঁয়া ঘেরা অধ্যায়ে বিচরণ করা সবার কাম্য নয়। কেও সারাজীবন ধোঁয়াসায় থেক�� যায় অাবার কেও বা ধোঁয়া সরিয়ে অালোর পথ খোঁজে। অালো অন্ধকার ময় সেই অধ্যায়ে অবগাহন করতে চাইলে অাপনাকে অতিপ্রাকৃতিক রহস্য উন্মোচন করতে হবে। কিন্তু ও তো অামার অাপনার জ্ঞানে কুলোবে না। কিন্তু সেইসব রহস্য মোড়া অধ্যায় জানতে অামার অাপনার মন সবসময় ব্যাকুল। খুঁজতে খুঁজতে সেই সব রহস্যের সন্ধান পেলাম এক বইয়ে। পড়ে ফেললাম অাব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের লেখা অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে।
বাংলা সিনেমায় দেখেছি পরশ পাথরের কথা, যা পেলে নাকি মানুষ অমরত্ব পেয়ে যায়! কি জানতে ইচ্ছে করে না এইসব ঘটনা কি শুধুই কাল্পনিক নাকি এর কোন বাস্তব সত্যি অাছে? ছোট বেলায় পড়ে এসেছি হ্যামেলিনের বাঁশি ওয়ালার কাহিনি। এখন যদি বলা হয় গল্পটি সত্যি এবং এর বাস্তব প্রমাণ অাছে তখন অাপনার অনুভূতি কেমন হবে? অাচ্চা অাপনি কি জানেন নিউটন পর্যন্ত অতিপ্রাকৃতিক রহস্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে করতে শেষ বয়সে পাগল হ��়ে যান? কি অবাক হচ্ছেন? অামিও অবাক হয়েছি এই বইটি পড়ার সময়। প্রথমে মনে করলাম হয়তো ফিকশন হবে। রংচঙে গল্পে লেখা বই। কিন্তু না এগুলোর বাস্তব অস্তিত্ব অাছে বৈ কি! পৃথিবীর অতিপ্রাকৃতিক রহস্য ঘেরা অধ্যায়ে অবগাহন করতে চাইলে অাপনাকে পড়তে হবে এই বই।
ছোট বেলা থেকে পড়ে এসেছেন অনেক রূপকথার গল্প, অনেক কিংবদন্তির কথা অাপনি শুনে এসেছেন অাবছাভাবে, এমন অনেক কাহিনি যা গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সেই অসাধারণ কিছু গল্প মলাটবন্দী অাছে এই বইয়ে। প্রাচীন মিসরের কিংবদন্তির গল্প, ধাতুকে সোনায় রূপ দেওয়া সেই পরশ পাথরের গল্প, অমরত্বের স্বাদ দেওয়া সেই অালককেমি, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল- রহস্য নাকি অতিরঞ্জিত, রূপকথার ফিনিক্স পাখির সেই অদ্ভুত গল্প পৃথিবীর অানাচে কানাচে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে রয়ে গেছে। এইসব অজানা রহস্য যা অাদতে দেয় অতিপ্রাকৃতিক খোঁজ, ইতিহাসের রূপ কথায় চাপা পড়া তেমন অাটাশটি কাহিনি এক মলাটে পেয়ে যাবেন এখানে। অাপনার অতৃপ্ত কৌতুহল মেটাবার এই সুবর্ণ সুযোগ।
বইটি পড়তে পড়তে চমকে উঠেছি, কখনো হতবাক হয়েছে, কখনো মনে হয়েছে এসব কি অাদৌ সম্ভব! অাসলেই কি ঘটেছিলো এমন কিছু নাকি বাড়িয়ে বলা। পৃথিবী যে এক রহস্য মোড়া ধাধার নাম তার জলন্ত উদাহরণ এই বই। বইটি পড়তে পড়তে কখনো রহস্যে পড়েছি, কখনো রহস্যের উন্মোচন করেছি, কখনো ডুবে গেছি ভাবনার অথৈজলে। এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর অাছে বইটিতে যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না। অাবার অনেক কিছুর সমাধান অাছে যার ধোঁয়াশায় কেটেছে হয়তো অাপনার গোটা জীবন।
যাইহোক, বই যে খাসা একখানা অমৃত ভান্ডার তা এর সুধা পান না করলে বুঝবেন না। অামি শুধু ভাবি এই বই যে লিখেছে সে কতটুকু জানে, কত কত পড়তে হয়েছে শুধু এই বই লেখার জন্য। এমন জানা মানুষ গুলোর সাথে সারাদিন মনের খোরাক মিটিয়ে অাড্ডা দেওয়ার বাসনা মনে অাজীবন থাকবে। অবশ্য লেখকের এমন লেখার জন্য পড়া ছাড়া অন্য সময় থাকে কিনা তা নিয়ে অামি সন্দিহান। যদি লেখার কথা বলতে হয় তবে সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা সাধারণ গল্প। অবশ্য অাপনি এমন ঘরনার লেখায় সাহিত্য খুঁজতে অাসবেন না। কিন্তু অামি বলবো লেখায় অনেক বেশি খামতি অাছে। অাটাশখানা রহস্যের জন্য অাটাশখানা বই হলে মনে হয় মনের খোরাক ভাল ভাবে মিটতো। অধ্যায় গুলোতে যে কিংবদন্তীগুলো তুলে ধরা হয়েছে তা হয়তো পৃথিবীর অানাচা কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অলৌকিক লোককথা সমগ্রের তুলনায় সাগরের এক মুঠি বালুকনাও নয়। কিন্তু অামার মতো পাঠক হৃদয়ের জ্ঞান তৃষ্ণা বাড়ানোর জন্য পর্যন্ত।
পৃথিবীর অতৃপ্ত অধ্যায় পাঠে যদি অাপনি অাগ্রহী হয়ে থাকেন তবে এই বই অবশ্যই অাপনার জন্য। নিজের জ্ঞান তৃষ্ণা বেড়ে যাবে বহুগুণে। অাপনি হন্নে হয়ে খুঁজতে থাকবেন পৃথিবীর সেই সব অতিপ্রাকৃতিক রহস্য। যার উন্মোচন অাদৌ হয়নি, অদূর ভবিষ্যতে হবে কিনা সন্দেহ! তো পৃথিবীর অতিপ্রাকৃতিক রহস্য উন্মোচন পাঠে অাপনাকে স্বাগতম।
ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন মাহমুদকে চিনি কলেজ জীবন থেকে, অনুসন্ধানী ('লেখক' হবার পূর্বের অবস্থায়, রোর বাংলার লেখক হিসেবে আজ যে আবদুল্লাহকে সকলে চিনে তার আগে) আবদুল্লাহকে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকেই। আবদুল্লাহর লেখনীর একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে শুরু থেকেই আমি মুগ্ধ। তবে বই পড়ে রিভিউ দিতে গিয়ে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া চলবে না!
মোট ২৮ খণ্ডের বই, বেশ কিছু খণ্ড রোর বাংলায় প্রকাশিত। পূর্বে লেখককে একজন "অনুসন্ধানী" বলার কারণ প্রতিটি খণ্ড পড়লেই পাঠক পেয়ে যাবেন! ধর্মীয় উপকথা, হাদিস, ওল্ড টেস্টামেন, নিউ টেস্টামেন আর ইতিহাসের স্ক্রোলের সমন্বয়ে পাঠককে ছোটোখাটো একেকটা ভ্রমণ করিয়ে ফেলবে খণ্ডে খণ্ডে। সাধারণ পাঠকের জন্য বর্ণনা সহজপাঠ্য, তার সাথে বর্ণনার পাশাপাশি ছবিও রয়েছে যা ঘটনাগুলোকে করেছে সহজবোধ্য। লেখকের আরেক বই "ইহুদী জাতির ইতিহাস"-এর নাম বেশ কিছু খণ্ডে এসেছে, তাই মনে হলো অতিপ্রাকৃতের ইতিহাস পড়বার পূর্বে ইহুদী জাতির ইতিহাস পড়াটাই শ্রেয়। বইয়ের সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন আমার স্কুলজীবন থেকেই পরিচিত অন্তিক; সম্পাদক হিসেবে তিনিও বেশ সফল। ২৭০ পেজের বইয়ে বানান ভুল সংক্রান্ত ত্রুটি নজরে পড়ে নি। তবে অনলাইন আর্টিকেল সিরিজ আর ছাপার বইয়ের খণ্ডে প্রকাশিত লেখার ভিতরে সূক্ষ্ণ পার্থক্যে লেখক-সম্পাদকের আরেকটু সতর্কতা প্রয়োজন। অনলাইন আর্টিকেলে স্বাভাবিক হলেও ছাপা বইয়ে পাশাপাশি দুই পেইজে দুই খণ্ডের সন্ধিস্থলে কিছু লেখা ওভারল্যাপ হওয়াটা বেমানান। আর কিছু কিছু ছবি অপ্রাসঙ্গিক বা ঘটনার আগে/পরে চলে এসেছে বলে মনে হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
“History became legend. Legend became myth.”- Galadriel
এই একটি লাইনের ভেতরেই যেন অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে বইটির পুরো আত্মাটা ধরা পড়ে। ইতিহাস, কিংবদন্তি, মিথ আর ধর্মীয় বিশ্বাস; সবকিছুর সীমারেখা যেখানে ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যায়, ঠিক সেই জায়গার কিছু কাহিনী নিয়েই এই বই রচিত।
দুই দিনে বইটি শেষ করেছি। পড়ার সময় এক ধরনের দ্বৈত অনুভূতি কাজ করেছে, একদিকে কৌতূহল, অন্যদিকে প্রশ্ন। কারণ বইয়ের অনেক ঘটনাই আগে থেকে জানা ছিল, কিছু ছিল ভাসা ভাসা জানা, আবার কিছু একেবারেই নতুন। লেখক এখানে নিখাদ ঐতিহাসিক দলিল, প্রচলিত লোককথা, মিথ এবং ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্স একত্র করে পাশাপাশি এনে সাজিয়েছেন। কোথাও তিনি কুরআনের আয়াত বা বাইবেলের রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন, কোথাও ইতিহাসের নামী চরিত্রদের জীবনকে মিথের আলোয় দেখিয়েছেন, আবার কোথাও কেবল কিংবদন্তির রোমাঞ্চটাই তুলে ধরেছেন।
বইয়ের শুরুতে আলকেমি, পরশপাথর, অমৃত সুধা, নিকোলাস ফ্লামেল ও আইজ্যাক নিউটনের অতিপ্রাকৃত গবেষণার অধ্যায়গুলো সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কেড়েছে। বিশেষ করে আলকেমিকে কেন্দ্র করে টানা কয়েকটি অধ্যায় পড়তে পড়তে বোঝা যায়, লেখক এই বিষয়টিতে বেশ আগ্রহী। অমরত্বের ঝর্ণা-এলিক্সির অফ লাইফ বা ‘আবে হায়াত’-এর আলোচনায় হযরত খিজির (আ) এর গল্প অনন্য অংশের থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো লেগেছে।
মধ্যভাগে এসে বইয়ের ভঙ্গি একটু বদলে যায়। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, আল বিলেক, নস্ট্রাডামুস, ইলুমিনাতি-এগুলো এমন বিষয়, যেগুলো ইতোমধ্যেই ইন্টারনেট-নির্ভর পাঠকদের কাছে বেশ পরিচিত। ফলে এখানে নতুনত্বের চেয়ে পুনরুক্তির অনুভূতিটাই বেশি এসেছে। তবে টাইম ট্রাভেলার আল বিলেকের অধ্যায়টা চমকপ্রদ লেগেছে। কিছ��� অধ্যায়ে মনে হয়েছে, লেখক একটু গভীরে না গিয়ে ওপর দিয়েই হেঁটে গেছেন। বিশেষ করে নেপোলিয়নের পিরামিড অধ্যায়টি আমার কাছে সবচেয়ে দুর্বল লেগেছে, এখানে আরও বিশদ আলোচনা বা নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি আশা করেছিলাম।
তবে বইটি আবার শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে আসহাবে কাহাফ, ফেরেশতা-জ্বিন-শয়তান, লুসিফার, কিং সলোমন এবং ইয়াজুজ-মাজুজের অধ্যায়গুলোতে। বিশেষ করে জিন জাতির ইতিহাস বেশ সংক্ষেপে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন লেখক। এসব জায়গায় লেখকের তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর যে বেশ ভালো দখল আছে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদি বিশ্বাসের মিল-অমিল পাশাপাশি তুলে ধরার চেষ্টা পাঠক হিসেবে আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে। শেষের তিনটি অধ্যায় প্রাচীন মিসর নিয়ে। এই অংশটাও বেশ ভালো লেগেছে। প্রাচীন মিশরের পৌরাণিকতা, ইতিহাস ও রহস্য একসাথে মিশে সত্যিই এক ধরনের জাদুকরী আবহ তৈরি করেছিলো এই অংশটিতে।
লেখকের লেখনশৈলীর কথা বলতে গেলে, বলতে হয়ঃ সামগ্রিকভাবে বর্ণনা মনকাড়া, সহজ ও গল্পের ঢঙে লেখা। তবে কিছু কিছু জায়গায় বাক্য গঠনে গড়মিল চোখে পড়েছে। ছাপাগত ভুলও আছে, যা আরেকটু যত্ন নিলে এড়ানো যেত। তবু পড়ার সময় এসব ব্যাপার বড় কোনো বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়নি।
লেখক শুরুতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এটি প্রামাণ্য ইতিহাসের বই নয়; বরং মিথিকাল অজানাকে কাছ থেকে দেখার একটি প্রয়াস মাত্র। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বইটি তার লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। যারা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নতুন পাঠক এবং যাদের এসব বিষয়ে পূর্বজ্ঞান খুবই কম, তাদের জন্য বইটি নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য হবে। বাংলা ভাষায় এত বৈচিত্র্যময় রহস্য, কিংবদন্তি ও মিথকে এক মলাটে আনার চেষ্টার জন্য লেখককে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।
অতিপ্রাকৃত তথা Occult.এমন এক বিষয়বস্তু যা নিয়ে আমার আগ্রহ সেই বুঝজ্ঞান হবার পর থেকেই.! এনাফ রিসোর্স হাতে পাওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ঘাটাঘাটি বোধহয় 'অকাল্ট' নিয়েই করছিলাম।
সে যা হোক, মূলকথায় আসি। মিথোলজি কার না ভাল লাগে? রূপকথার অনন্য সব গল্পের ভাণ্ডার, ছোটবেলার হারকিউলিস থেকে এখনকার নার্সিসিস্ট.! এই মিথোলজির সাথে বাস্তবতার সম্পর্ক একদম নেই বললেই চলে, যদি থাকেও সেটাও আমরা আমলে নিই না। কিন্তু এতসব কন্সপিরেসি থিওরির মাঝেও যে কতটা সত্য লুকায়িত আছে তা আমাদের অজানাই থেকে যায়।
এই যেমন ধরেন, হ্যামেলিনের বাশিওয়ালার গল্প সবাই শুনেছি, কিন্তু এর সাথে কতটা সত্য লুকায়িত? কিংবা ঘুমন্ত গুহাবাসীদের নিয়ে ইতিহাস কি বলে? নিউটনের ক্যালকুলাস নিয়ে সবাই-ই জানি আমরা, কিন্তু এই মহান ব্যক্তি বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়ে বিস্তর গবেষনা করছিলেন.! মনোথিয়েজম নিয়েও তার গবেষণা সুবিশাল, তার সিকি ভাগও জানা নাই আমাদের। এছাড়াও নিকোলাস ফ্লামেলের আলকেমি, শাদ্দাতের বেহেশত, ভ্যাম্পায়ার মিথ, বাবেলের হারুত মারুত এগুলোও স্থান পেয়েছে এই বইয়ে।
ফ্যাক্ট-থিওরির আলোচনায় যাবোনা, সে আলাপ বরং ইতিহাসের টাইমলাইনে অজানা হয়েই থাকুক, তবে মানবসভ্যতার অদ্ভুতুড়ে অধ্যায়গুলোর নির্যাসটুকু জানতে পারলে ক্ষতি কি?
২৭০+ পৃষ্ঠার বই। পড়তে যা সময় লাগবে ভেবেছিলাম তার তুলনায় বেশ তাড়াতাড়িই পড়ে শেষ করলাম। কারণ, প্রত্যেকটা অধ্যায়ের আনাচে-কানাচে আছে কাজের-অকাজের উরাধুরা পরিমাণ ছবি। এত এত ছবি দেখে নিজেকে কেমন যেন বাচ্চা-বাচ্চা মনে হচ্ছিল। অবশ্য এখন যে খুব বুড়ো হয়ে গেছি ব্যাপারটা এমনও না।
বেশিরভাগ অধ্যায়ই পরিচিত, নামগুলা শুনেছি অনেকবার। কিন্তু গল্পের আগা-গোড়া তেমন জানা ছিল না। এজন্য বইটা সম্পর্কে যখনই জানলাম, এর সূচিপত্র দেখে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হলো। এই টপিকগুলো অধিকাংশের কাছেই অতিপ্রাকৃত হিসেবেই পরিচিত। এসব তথাকথিত অতিপ্রাকৃতিক বিষয়াদির সন্ধানেই লেখকের এই নিবেদন।
ছোট বেলা যে সব গল্প উড়ো উড়ো শুনতাম, পূর্নাঙ্গ ভাবে কোথাও খুজে পেতাম না যে সব আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা রহস্য কাহিনি গুলা, সেই গুলাই লেখক তুলে ধরেছেন তার বইয়ে। আমার কাছে এক কথায় দারুন। লেখক এর অন্যান্য বই পড়ার জন আগ্রহ তৈরি হয়েছে নতুন করে
ছোটবেলা থেকে রুপকথার মত কত গল্পই তো আমরা শুনে আসছি। হ্যামিলনের বাশিওয়ালার গল্প, ধাতুকে সোনায় পরিনত করা পরশ পাথরের গল্প, অমরত্ব এনে দেয়া অমৃত সুধার গল্প, কুরআনে বর্নিত আসহাবে কাহাফে শত বছরের ঘুমন্ত যুবকদের গল্প, রহস্যময়তায় আবৃত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের গল্প। গল্প গুলো কি নিছকই মন ভোলানো রুপকথা? নাকি এগুলোর পেছনে কোন সত্য ঘটনা ছিল? যদি থেকেই থাকে তবে প্রচলিত গল্পগুলোর সাথে তার সামঞ্জস্য কতটুকু?
এই প্রশ্নগুলো নিয়েই গবেষনাধর্মী একটি বই এই অতিপ্রাকৃতের গল্প। বইটিতে মোট আটাশটি অধ্যায়ে এমন সব ব্যাক্তি, বস্তু ও ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো পুরো পৃথিবীতে বেশ আলোচিত। ইতিহাসের বিভিন্ন বই, ধর্মগ্রন্থ ও গবেষনার আলোকে আলোচিত বিষয় গুলো নিয়ে লেখক যতটা সম্ভব আরো পরিস্কার ও বিস্তৃত ধারনার দিয়েছেন এই বইটিতে।
হ্যামিলনের বাশিয়ালার যে গল্পটা আমরা জানি সেটা ঘটেছিল জার্মানীর হ্যামেলীন শহরে। বাশিওয়ালা সব বাচ্চাদের নিয়ে চলে যায় এমন অকাট্য দলিল না পাওয়া গেলেও ওই সময় যে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ বাচ্চা চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল সেটার প্রমান পাওয়া গেছে। পবিত্র কুরআনের সুরা কাহাফে বর্নিত একদল যুবক যারা প্রায় তিনশ বছর যাবত ঘুমিয়ে ছিল এক গুহায়। তাদের নিয়ে একাধিক প্রমান পাওয়া যায় ইতিহাসে। তুরস্কে আবস্থিত এক গুহার সাথে আসহাবে কাহাফের সেই গুহার বর্ণনা অনেকটাই মিলে যায়। জগদ্বিখাত বিজ্ঞানী নিউটন তার জীবনের শেষের দিকটায় করেছেন জাদুবিদ্যার চর্চা। তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন পরশপাথর। সোলেমান (আঃ) এর তৈরি বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়েও ছিলো তার বিস্তর গবেষনা। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মাঝে ভারত মহাসাগরের বুকে ডুবন্ত এক সেতুর চিহ্ন দেখা যায়। রামায়নে লংকায় আক্রমনের জন্য অলৈকিকভাবে এই ব্রীজ তৈরির উল��লেখ আছে। তবে অনেকেই বলে এটা প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন গবেষনায় দেখা যায় এই সেতুর নিচের বালি ৪০০০ বছর পুরোনো কিন্তু উপরের পাথরগুলোর বয়স ৭০০০ বছর। অর্থাৎ এটা যে মানুষের তৈরি তার প্রমান পাওয়া যায়।
লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ ধর্ম ও ইতিহাস নিয়ে গবেষনাধর্মী লেখা ও একই ধরনের বিদেশি লেখকদের বই অনুবাদের জন্য বেশ সমাদৃত। তার প্রাঞ্জল ও সহজ ভাষায় এমন জটিল গবেষনা গুলোর উপস্থাপনা সত্যিই প্রশংসনীয়। ইতিহাস ও প্রাচীন রহস্য নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তারা নিঃসন্দেহে এই বইটি উপভোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
লেখককে অনেক আগে থেকেই ফলো করি Roar Bangla তে তার লেখা পড়ার পর থেকেই। তাই তাঁর লেখনী নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিলো না। একেকটা বিষয় বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। অজানাকে জানার যে স্পৃহা সেটাকে নতুন ভাবে উজ্জীবিত করেছেন। মিথলজি নিয়ে আমার আগে থেকেই বেশ আগ্রহ ছিলো এটা পড়ে মনে হয়েছে আরো জানা প্রয়োজন। তার মিথলজি নিয়ে বিস্তারিত বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম।
অজানা অনেক কিছু জানলাম, যেগুলো নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিলো। আবে হায়াত, গুহা বাসী, খিজির ইত্যাদি বিষয়াবলীর অবতারণাও ছিলো। নিউটনের পাগলামো সম্পর্কে জানতাম, কিন্তু এত ডিটেইলস এ জানা ছিলো না। লেখককে ধন্যবাদ বইটির জন্য।