বাবার মৃত্যুর পর নরডিক অঞ্চলের জাদুকরদের নেতা বনে যায় সিওরেন আটারডেগ। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে লেকচার দেয়ার সময় অসুস্থবোধ করে সে। তাকে রক্ষাকারী ট্রলেরও কোন হদিস নেই। সে বুঝতে পারে মহাশক্তিধর ডেমন হামজাদ তার পিছু লেগেছে। কিন্তু কেন? কেউ কি আছে এর পেছনে?
Javed Rasin (Bengali: জাবেদ রাসিন) is a Bangladeshi poet & fiction writer. He was born in Mymensingh but has raised in Dhaka from childhood. Javed completed his graduation & post-graduation in law from the University of Dhaka. He likes the charm of prosody and playing with words which fits into poetry. Shunno Pother Opekkhay (শূন্য পথের অপেক্ষায়) was his maiden published poetry.
Also the world of fiction, especially thriller & horror fiction fascinated him and he started writing in this genre. His first published thriller fiction novel was Blackgate (ব্ল্যাকগেট), co-authored with Tarim Fuad. His other works are horror novel Tomisra (তমিস্রা) & conspiracy novel Circle (সার্কেল). He continued to produce poetry and to work on fiction novels.
কুরুকারা কে বলা যায় তমিস্রা সিরিজের ২য় প্রিকুয়েল। প্রথম টা বিমর্ষ গোধূলি। অর্থাৎ এটা তমিস্রা এবং অসূয়ারও পূর্বের গল্প। তখন ইরফান কিছুটা শিক্ষানবিস ই বলা চলে। অত্যন্ত দুর্বল। যেখানে 'জেনি'র শক্তি ছাড়া ইরফান অনেকটা অসহায়।
গল্পের টাইমলাইন দুটো। একটা সুইডেন। আর একটা আমাদের বাংলাদেশ। সুইডেনের প্লট টা নিয়ে আমার অনেক অতৃপ্তি। সিওরেন আটারডেগ জাদুকরদের নেতা অথচ তার জাদুর কোন কৌশল বা খেল সে দেখাতে পারেনি। এমনকি একটা হামজাদ (আরবীয় ট্রল বা জ্বীন) কে ঠেকানোর যে স্পেল সেটা বেমালুম ভুলে বসে আছে।
তবে বাংলাদেশের প্লট টা মারাত্মক কৌতুহল উদ্দীপক। পাগল কে নিয়ে আরো খানিক সাসপেন্স বাড়ানো যেত। ইনফানকে আরেকটু শক্তপোক্ত বানালেও মন্দ লাগতো না। দিন শেষে 'জেনি' প্রকৃত জাদুকর। অথচ মেয়েটা তমিস্রা, অসুয়া আর বিস্তৃত আঁধারে ছিল কোথায় সেটাই ভাবছি।
এবার আসি মুল বিরক্তির জায়গায়। দুটো টাইমলাইন সম্পূর্ণ আলাদা। এদের মধ্যে সামান্যতম যোগসূত্র নেই। অথচ লেখক খুব দ্রুত পট পরিবর্তন করছিল। যেহেতু একটা টাইমলাইনের সাসপেন্সের উপর অপরটা নির্ভর ছিল না সেহেতু অধ্যায়টা আরেকটু লম্বা করলে বিরক্তি কিছুটা কমতো।
যাহোক, বাংলা সাহিত্যে এরকম লেখা বেশ অপ্রতুল। চাই আরো আরো হোক। ধন্যবাদ লেখককে। একের পর এক তমিস্রার বইগুলো উপহার দেওয়ার জন্য।
কাহিনী সংক্ষেপঃ নর্ডিক অঞ্চলের সেরা জাদুকর সিওরেন। ইদানীং তাকে অনুসরণ করছে কেউ। এমনকি দুঃস্বপ্নেও পিছু ছাড়ছে না। সিওরেনের পোষা ট্রল (জ্বীন) ডভারগুবেনের সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি সিওরেনের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাইছে তার চাইতেও শক্তিশালী কেউ?
অপূর্ব সুন্দরী শেহতাজ কোনো এক অজানা রোগে আক্রান্ত হবার পর হয়ে গেছে কুৎসিত। তার আপন মা-ও পারছে না নিজের মেয়ের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে। খবর পেয়ে ইরফান গেলো মেয়েটির চিকিৎসা করতে। শেহতাজদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অনুভব করলো এই বাড়িতে অবস্থান করছে খুব খারাপ কিছু, যে চায় না শেহতাজের কোনো ধরণের চিকিৎসা হোক। জানতে পারলো এর আগে এক কবিরাজ শেহতাজের চিকিৎসা করতে এসে ভয় পেয়ে পালিয়েছে। তারপরও হার না মেনে চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলো ইরফান। এবার আক্রমণ এলো ওর নিজের ওপর। ইরফান কী পারবে শেহতাজকে সুস্থ করে তুলতে?
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ তমিস্রা ভুবনের পঞ্চম কিস্তি ‘কুরুকারা’, তবে সিক্যুয়েন্স অনুসারে দ্বিতীয় বই। যাই হোক, আগের বইগুলো পড়া না থাকলেও কাহিনী বুঝতে এতটুকু সমস্যা হবে না। সিরিজের সবগুলো বই আমার পড়া হয়ে গেলেও সিক্যুয়েন্স অনুসারে পড়া হয়নি। ‘কুরুকারা’তে সিওরেন-আইরিন এবং ইরফান ও তার রোগী শেহতাজ-এর কাহিনী চলেছে সমান্তরাল গতিতে। দুটো কাহিনীই ভালো লেগেছে। কোনটাকে এগিয়ে রাখবো, বুঝতে পারছি না। তবে সিওরেন-আইরিনের কাহিনীর পটভূমি সুইডেন হওয়ায় নিজের দেশীয় পটভূমিতে রচিত ইরফান ও শেহতাজের কাহিনীর সঙ্গে খানিকটা বেশি রিলেট করতে পেরেছি।
তমিস্রা ভুবনের অন্যান্য বইগুলোর চাইতে ‘কুরুকারা’ একটু বেশি ভালো লেগেছে। সিরিজ এখনও শেষ হয়নি, তাই অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী বইয়ের। লেখকের প্রতি শুভকামনা রইলো।
প্লট সুন্দর তবে প্রেডিক্টেবল! বলতে গেলে দুটা গল্প পাওয়া যায় এক বইয়ে, দেশে শেহতাজ আর সুইডেনে আইরিন-হামজাদ। ভালো লেগেছে পড়তে, ভয়ও লেগেছে একটু! এর আগে বিমর্ষ গোধূলি পড়েছিলাম, খুব একটা ভালো লাগেনি তখন। তারপর ভেবেছিলাম বাকি গুলো পড়বো না। না পড়লে মিস হতো!
লেখনি খুব একটা আকর্ষণীয় নয়। বানান ভুল প্রচুর।
ওভারঅল, গুডরিড। হাইপ দেখে হাই এক্সপেকটেশন নিয়ে পড়লে হতাশ হতে হবে। তবে সাধারণ মানের মধ্যে ভালো বই।
বরাবরই ভালো ছিল, তমিস্রার অন্যান্য সিরিজের মতো। সুন্দর সেটআপ, কাহিনীবিন্যাস। গল্পের প্লটে ইরফানের সাথে এসেছে নর্ডিক অঞ্চলের কাহিনী। এখানে নর্ডিক অঞ্চলের আরও কিছু মিথিক্যাল এলিমেন্ট আসলে খুব ভালো লাগতো। তবে আমার মতে লেখকের এবার হরর এলিমেন্ট নিয়ে আরেকটু ভাবা দরকার। বিশেষত পাঠকের ভয় পাওয়াটা খেয়াল রাখা দরকার, যেহেতু হরর বই। এই বইয়ে দুটো টাইমলাইন ছিল, কিন্তু শেষমেশ গিয়ে আর মিলেনি। এইটা অতোটা ভালো লাগেনি। দুটো একেবারেই স্ট্যান্ড এলোন হয়ে গেছে।
অসূয়ার সেই কুরুকারার কথা মনে আছে? আফসারাকে যে পুতুলটা কষ্ট দিতো? তাকে নিয়েই মূলত কাহিনি।
যাহোক, গল্প শুরু হয় ভিসবিতে ভয়ানক এক ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে। যে ট্রাজেডির শিকার আটারডেগ দম্পতি। তাদের পরিবারের উপর যে এক কালো থাবা পিছু নিয়েছে সেটা টের পেয়েছিল সিওরেন আটারডেগের বাবাও মা। তবে সিওরেন কিছু টের পায়নি। নিজের বাঙ্গালি স্ত্রীকে নিয়েই যেন তার ভাবনা। অপরদিকে তাদের পিছনে ভয়াবহ এক ট্রল পরে আছে। কে যেন নির্বংশ করে দিতে চায় পুরো আটারডেগ পরিবারকে। আইরিন ও জান-প্রাণ দিয়ে কুরুকারাকে কন্ট্রোল করতে চাচ্ছে। যে এক শক্তিশালী ট্রল। ষড়যন্ত্র আর ভয়ানক বিপদের মধ্য দিয়ে আটারডেগ দম্পতি যেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে।
অপরদিকে, কাজের জন্য মাখদুম সাহেবের বাড়িতে এসে ইরফান জানতে পারে যে তিনি আর নেই। তবে তিনি এক বিরল কেইস রেখে গেছে। আদাবরের সেই ঠিকানায় গিয়ে ইরফান বুঝতে পারে সেতারা বেগমের একমাত্র মেয়ে শেহতাজকে কেউ কালো জাদু করে। শুরু হয় ইরফানের অনুসন্ধান।
গল্প বিশ্লেষণ ঃ
আসলেই কুরুকারাকে ২ টা বইয়ে ভাগ করলে ভালো হতো। কারণ গল্পের টাইমলাইন দুটো, আর শেষে এসে লেখক সেভাবে মিলাতে পারেনি।
লেখনী মুটামুটি। তবে গল্পের সেটআপ আর বুনন সেই লেগেছে। ওভার অল বই��া একবার পড়া মত। বইয়ে কোন জড়তা নেই যে থেমে যেতে হবে তবে হরর এলিমেন্ট এর যথেষ্ট অভাব আছে। থ্রিল ও কম।
প্রোডাকশন জম্পেশ। কাগজ বেশ ভারী তাই উল্টাতে গিয়ে অনেক বিরক্ত হয়েছি। একটু হালকা কাগজ দিলে ভালো হবে আর দামটা কমালেও ভালো হবে।
বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন আমি গাড়ীতে করে এমন এক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি যেখানে কিছুক্ষণ পরপরই স্পিডব্রেকার বসানো😑 । আরো ভালো করে যদি আমার অবস্থাটা বুঝাই তাহলে ধরে নিই , ইরফানের অধ্যায় = জল আইরিনের অধ্যায়= স্থল মনে হচ্ছিল একবার ঝাঁপ দিয়ে জলের মধ্যে আছড়ে পড়তেছি পরমুহূর্তেই লাফ দিয়ে স্থলে উঠতেছি 😑😑! অধ্যায়গুলো এত সংক্ষিপ্ত করার মানে কি ছিল?! সেইম বিষয়বস্তুর দুটো অধ্যায় মিলায় একটা অধ্যায় বানালেই বরঞ্চ ভালো লাগত বেশি। অধ্যায় ২৩ এর পর থেকে আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারি নাই, এজন্য ২৪ স্কিপ করে ২৫ পড়েছি। তারপর ( ২৪, ২৬), (২৭,২৯) এভাবেই পড়তে পড়তে বইটা শেষ করলাম। বইয়ের মাঝে লেখক এতগুলা স্পিডব্রেকার বসানোর পরেও আমি ৫ ✧ দিয়েছি কারণ বইটি আসলেও অনেক ভালো ছিল 😎
পুরো সিরিজের মধ্যে অন্যতম এই বইটা। হলিউডের সিনেমার মতো। খুবই ক্যাসুয়াল বর্ণনা। প্লটটাও অসাধারণ, শীতল অঞ্চলের ঘটনা, রোদ বৃষ্টি থেকে কিছুটা বেরিয়ে 🙂। অত্যন্ত মোলায়েম ভাবে প্রচুর ক্লু রয়েছে বইটাতে। যাই হোক, লেখক থরে থরে উদ্দীপনা জাগানোর চেষ্টা করেছেন। অনেক প্লটের মিলন, সরাসরি সম্পর্কিত না। আবার সম্পর্ক আছে হয়তো। ইরফানের কাউন্টার পাগলের পরিচয় বেশ নগণ্য ভাবে উঠে এসেছে। মূল বর্ণনা যে কাকে বা কাদের কে নিয়ে তা বইয়ের নাম থেকেই বুঝে ফেলা উচিত। জেনি চরিত্রটি রহস্যজনক। অতি প্রাকৃত ঘটনার হামেশা প্রকাশ কি সহজে হজম যোগ্য? সবমিলিয়ে শান্ত তবে জটিল একটি বই
তমিস্রা সিরিজের পঞ্চম কিস্তি শেষ করলাম অফিসে বসে, মাত্রই।
ভক্ত হয়ে গিয়েছি একেবারেই। সুইডেন আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রচিত বইটা একটানে পড়ার মত। কাছের লোকের বিশ্বাসঘাতকতা আসলেই দুঃখজনক। তৌহিদের পরিচিত পেতে আমার অনেক সময় লেগেছে। লেখক দারুণভাবে সাজিয়েছেন প্লট। তবে শুরুর দিকের একটা চরিত্রের খবর পুরো উপন্যাসে দ্বিতীয়বার পেলাম না। আলাদা কোনও সিক্যুয়েলের প্ল্যান আছে নাকি?
তমিস্রা সিরিজের এই বইটাই এভারেজ লেগেছে৷ শো এর থেকে টেল হয়ে গেছে বেশি। কুরুকারা বইয়ের নাম হলেও কুরুকারাকে নিয়ে স্যাটিসফাই হওয়া যায়নি। কুরুকারার শক্তিমত্তার কথা বলছি না। ঘটনা চলেছে দুইটা কান্ট্রিলাইনে। একটা বাংলাদেশ আরেকটা সুইডেন। সুইডেনের সাথে কুরুকারার সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশের সাথে কি সম্পর্ক ছিল, বোঝা গেল না! প্রিকুয়াল হলেও লেখক তো লিখেছেন পরে, সেই হিসেবে এই হযবরল মেনে নেওয়া গেল, বাকি বইগুলোর জন্য।
এই সিরিজে তমিস্রা এর পরে সবচেয়ে সুন্দর সাবলীল বই এটা।পড়ে বুঝলাম সিকুয়েন্স অনুসারে এটি ২য় বই,শুরুতে বিমর্ষ গোধূলী,তারপর কুরুকারা,এরপর যথাক্রমে তমিস্রা,অসূয়া ও বিস্তৃত আধার। জেনি চরিত্রটাকে বেশ ভালো লেগেছে,অনেকটা তানজীম রহমান এর "অক্টারিন" এর এনিমা চরিত্রটার মতো।সামনেও তাকে পাওয়া যাবে আশা করা যায়। ৪/৫
পরবর্তী বইয়ের জন্যে প্লাটফর্ম রেডি করা হচ্ছে এই বইতেও। প্যারালালি ২টা ঘটনা এগিয়েছে। কিন্ত কনটেক্সট সুইচিং ছিলো খুবই বিরক্তিকর লেভেলের, যার কারণে ধৈর্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে গিয়েছিলো।