Shibram Chakraborty (Bangla: শিবরাম চক্রবর্তী) was a popular Bengali writer, humorist and revolutionary who is best known for his humorous stories. His best known short stories and novels are renowned for their unique use of pun, alliteration, play of words and ironic humor. He was a prolific author who also wrote poems, plays, non-fiction and novels for mature audiences in his long career.He worked as a volunteer in the Swadeshi movement and came under the affection of Chittaranjan Das [চিত্তরঞ্জন দাস]. During this time he became involved with the magazine Bijli [বিজলী] and Forward as a journalist. He later became the publisher of a magazine called Jugantar [যুগান্তর].
His initial foray into literature was as a poet. His first book of poems was called Manush (Man). He worked as a feature writer in daily newspapers and magazines such as Basumati [বসুমতী], Ananda Bazar Patrika [আনন্দবাজার পত্রিকা] and Desh [দেশ]. These were tinged with humor and got him notice in the public eye. Subsequently he started writing stories and novels.
His writing is noted for use of literary puns as a key story vehicle – speculated to be a first in Bengali literature. He is also noted for his self-deprecating humor. An example of this is the convoluted way in which he would spell his name in Bangla in his stories: শিব্রাম চকরবরতি (Shee-bram Cho-ko-ro-bo-ro-ty). He would often put himself into his stories amongst fictional characters. The most famous and recurring characters in his stories are the brothers Harshabardhan [হর্ষবর্ধন] and Gobardhan [গোবর্ধন] and his sister Bini. Advertisements for his books often bill him as the King of Laughter. Aside from funny stories, his other notable writings include the dramatization of Sarat Chandra Chattopadhyay's novel Dena Paona (দেনা পাওনা) under the title Shoroshi [ষোড়শী] (Sixteen Year Old Girl), the political work Moscow bonam Pondicheri [মস্কো বনাম পন্ডিচেরি] (Moscow Versus Pondicheri; ) and the play Jokhon Tara Kotha Bolbe [যখন তারা কথা বলবে] (When They Will Speak). His (so called) autobiography Eeshwar Prithibee Valobasa (ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা) (God Earth Love) is also regarded as one of his best works. During his 60-year career he authored more than 150 books.
আমার বরাতে যা ঘটে তা একান্তই অভাবিত অচিন্তিতপূর্ব অকস্মাৎ। আচমকা কিছু আচম্বিতে ঘটে যাওয়া। অবারিত হঠকারিতা এ বরাতে ঘটার। ঘটা করে কিছু হবার নয়।
" নিরালম্ব ", এই শব্দের যথাযথ উদাহরণ "শিব্রাম"। ১৩৪,মুক্তারামের মেস আর একটা খাট সম্বল করে যে লোক,একটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন,তাকে " নিরালম্ব" ছাড়া আর কী ই বা বলা যেতে পারে!!
ছোট বেলায় গান্ধীর আন্দোলন করতে গিয়ে জেলে যাওয়া থেকে বোহেমিয়ান জীবনের শুরু শিব্রাম করেছিলেন,তার শেষ হয়েছিল "মৃত্যু " দিয়ে। পুরো একটা জীবন "হেঁয়ালি" তে কাটিয়ে দিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদ একটা কথা বলতেন,"প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করে না"। শিব্রামের জীবনের গল্প পড়তে গিয়ে আমার মনে হলো,কথাটা পুরোপুরি সত্য না। পুরো একটা জীবন শিব্রাম "শূন্যতা " নিয়েই কাটালেন। যদিও তার বোন,বন্ধু র অভাব ছিল না,কিন্তু দিনশেষে শিব্রাম ছিলেন মানুষ ছাড়া। একা। নিঃসঙ্গ, পোড়খাওয়া একটা লোক। প্রকৃতি তো তার শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করেনি,নাকি শিব্রাম নিজে চাননি,এই দ্বিধা কাটার নয়!!
জীবন কে নিয়ে সবাই "খেলতে" পারে না। শিব্রাম খেলেছেন,তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন "জীবন" নামের রাবড়ি কে। অকাতরে লিখে গেছেন। স্বয়ং মুজতবা আলী বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন,"এত লেখা কোথেকে পান আপনি?"। এত লিখেও শিব্রাম সার্থক হতে পেরেছিলেন? সেটার উত্তর আমি দিই ২০২৩ সালে বসে। শিব্রাম সার্থক,এতগুলো বছর পেরিয়ে ও তিনি বাঙালির মননে রয়ে গেছেন,রয়ে যাবেন। তবে কিনা নিজের সময় কালে বেশ উপেক্ষিত ছিলেন ভদ্রলোক। তাঁর ভাষায় "আমি খেয়ে লিখি,লিখে খাই"।
যে জিনিসটা আমাকে সবচে বেশি অবাক করেছে,এত দুঃখ কষ্ট লাঞ্ছনার পরেও, দিন শেষে মানুষ টা " মানুষের " জন্য ভেবেছেন। যে তাঁকে খুন করতে আসছে,সে পড়ে গেলে আঘাত পাবে,এমন ভয় শুধু শিব্রামের ই হতে পারে। আপাদমস্তক "মানুষ" ছিলেন শিব্রাম। এখনের মত মানুষ নামের,বক নয়।
শিব্রামের এই আটপৌরে জীবনের একমাত্র গোপন শক্তি ছিল "মা"। শেষ অব্দি মায়ের কথায় তাঁর জীবনে মেনে চলতে চেয়েছেন শিব্রাম। মা ই তাঁকে উদ্ধার করে নিয়েছেন। তবে একটা জায়গায় আমি বিভূতি বাবুর সাথে একমত,শিব্রাম " বে "থা করতে পারতেন,তখন রঙিন হলেও হতে পারত শিব্রামের আটপৌরে জীবন।
বাকি সবার আমি খুব অল্প বয়সে শিব্রাম পড়তে পারিনি। বেশ পরিণত বয়সে এসে পড়েছি,মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। তখন থেকে এই লোকটা কে নিয়ে বেশ আগ্রহ ছিল। আগ্রহের অবসান করার জন্য তাঁর জীবনীগ্রন্থ দুই খন্ড কিনেছিলাম। প্রথম খন্ডটা পড়িনি মোটা বলে,ছোটটা পড়লাম। পড়ে আমার মনে একটা প্রশ্ন ই ঘুরপাক খাচ্ছে " যে মানুষ কে হাসায়,দিনের শেষে কতটুকু হাসি তার বরাতে থাকে? "
এটা আগের টার চেয়ে বেশ জম-জমাট, শিবরাম / শিব্রাম কে এখানে ফলো করা সহজতর, প্রথমটির পর। এটির টোন অনেক হালকা, আগেরটার মধ্যে যে ট্র্যাজিক ভাবগতিক বা তার আধিক্য, তা এখানে নাই, প্রায় নাই বললেই চলে।
আমি হেঁয়ালি শব্দটার প্রতি প্রবলভাবে বিশ্বাসী । সব কিছুই হালকাভাবে ,অগুরত্বপূর্ণভাবে নিতে আমার শুধু যে ভালো লাগে তাই নয় বরং এইটা আমার একটা শখ ও বলা যায় । মিথ্যে বলছি না ।এককালে তো কোন সিরিয়াস লোকজন দেখলেই তারে কান ধরে উঠবোস করাইতে ইচ্ছা করতো । এখন অবশ্য করে না ।তবে সিরিয়াসনেস ব্যাপারটার উপরে আমার একটা ঘেন্না এখনো আছে । হে হে হে হে হে হে শিব্রাম চক্রবর্তীর কাছে আমি কিন্তু নস্যি । এই ভদ্রলোকের জীবনযাপন ,কথা বলার স্টাইল সবটাতেই যেন অন্যরকম একটা হেঁয়ালিপূর্ণ আমোদ আমোদ ভাব আছে । তাঁর আত্মজীবনী পড়তে পড়তে বারবার নিজেরে প্রশ্ন করছি - জীবন আসলে কি হতে পারে ? পরে অনেক চিন্তা ভাবনা করে মনে হলো - জীবন আসলে বেশি করে জর্দা সুপারি দেওয়া একটা পান এর মতো । জন্ম নেওয়ার পর থেকে চিবিয়ে যেতে হয় ।একটানা চিবুতে চিবুতে ষাট সত্তর বছর কাটিয়ে দাও । মাঝেমধ্যে বেশ কায়দা করে পিক ফেলো । পান ফুরিয়ে গেলেই পঞ্চত্বপ্রাপ্তি হওয়ার সম্ভাবনা তাই আমাদের মানুষের মূল লক্ষ থাকে পান টা যতক্ষণ পারা যায় মুখের মধ্যে রাখা । তাছাড়া আর কি ? হ্যাঁ প্রশ্ন আসতে পারে সবাই তো সমান জীবন কাটায় না । কেউ খুব জাঁকজমক পূর্ণ জীবন যাপন করে আবার কেউ খুব সাদামাটা জীবনযাপন করে । তাদের বেলায় ? সে ক্ষেত্রে আমি বলবো যাদের জীবন জাঁকজমক তাদের হাতে একটা পানের বোটা থাকে যার সাথে চুন লাগানো থাকে তারা পানের সাথে চুনের স্বাদও পাবে আর যারা সাদামাটা জীবনযাপন করে তাদের কপালে চুন নাই । শুধু সুপারি আর জর্দা ।
শিবরাম বা তার নিজের ভাষায় শিব্রাম চক্রবর্তীর আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা যাই বলি না কেন তার দ্বিতীয় কিস্তি এটি। প্রথম পর্বের মতোই অকপট, সেরকমই শিবরাম এর সিগনেচার স্টাইলের লেখনী। এ পর্বেও শুরুতে ধোঁয়াশা আর ধীরে ধীরে ভালো লাগা কাজ করেছে। আগের পর্বে যেমন ছিল রিনি এ পর্বে তেমনি লালি। রামকেষ্ট, দারু আর লেখক বন্ধু অচিন্ত্য, বিভূতি ভূষণ, বুদ্ধদেবকে নিয়ে লেখা স্মৃতি গুলো দারুণ লেগেছে। এক পাগলাটে, বৈচিত্রময় জীবনের স্মৃতিকথা এটি যার বর্ণনায় ধারাবাহিকতা নেই একেবারেই, তবু দারুণ উপভোগ্য।
শিব্রামের আত্মকথন। কিছুদিন আগে আদ্ধেক পড়ে ফেলে রেখেছিলাম, শেষ হল এই কয়দিন ধরে। এত কথা, এত যে গপ্প, দর্শন; তবু যেন আড়ালে আবডালেই রাখলেন চকরবরতি মশাই নিজেকে, ধরা দিয়েও দিলেন না পুরোপুরি৷ জীবন্ত মরীচিকা।