Ashapurna Devi (Bengali: আশাপূর্ণা দেবী), also Ashapoorna Debi or Asha Purna Devi, is a prominent Bengali novelist and poet. She has been widely honoured with a number of prizes and awards. She was awarded 1976 Jnanpith Award and the Padma Shri by the Government of India in 1976; D.Litt by the Universities of Jabalpur, Rabindra Bharati, Burdwan and Jadavpur. Vishwa Bharati University honoured her with Deshikottama in 1989. For her contribution as a novelist and short story writer, the Sahitya Akademi conferred its highest honour, the Fellowship, in 1994.
শীত, ঠাণ্ডা, কাশিতে শরীরের অবস্থা তথৈবচ। ধূসর প্রকৃতি বিষণ্ণ হয়ে আছে, সেই সাথে আমার মনও।এমন সর্বব্যাপী দুর্যোগে টনিকের মতো কাজ করলো "গজ উকিলের হত্যা রহস্য।" ভাই রে ভাই!! এইটা কী ছিলো?!! পড়তে পড়তে কয়েক জায়গায় পেট চেপে ধরে হাসতে বাধ্য হয়েছি। ইংরেজিতে যাকে বলে delightfully whimsical, এ বইটা ঠিক তাই। গজ উকিলের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গল্পের শুরু কিন্তু কোন কোন পথ দিয়ে কোথায় যেয়ে গল্প থামবে তা কেউ ভাবতেও পারবে না। মূল চরিত্রের সাথে গেনুপিসি, গুপি মোক্তার, ট্যাঁপা-মদনার কীর্তিকলাপ বহুদিন স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
কী একখান বই পড়লাম মাইরি! গজ উকিল মারা গেলো এই দুক্ষে (নাকি ভয়ে!) হাওয়া হয়ে গেলেন তার বন্ধু ওরফে প্রতিবেশী গুপি মোক্তার। এদিকে আবার রহস্যময় আচরণের কারণে সন্দেহভাজন হিসেবে গুপি মোক্তারের নিরুদ্দেশ যাত্রার পিছু নেয় দুই পকেটমার। ওদের কি উদ্দেশ্য তাতে?
আরে! গেনুপিসির কথা তো বলাই হয়নি! পিসির নামে অবশ্যই ভালো ভালো কথা বলতে হবে নইলে পিসির 'বাছা' গুপের নামে আজেবাজে কথা বলার অপরাধে আমাকে যদি হাজতবাস করায়?? পিসিকে বিশ্বাস নেই, তার দ্বারা সবই সম্ভব! বেচারা ইন্সপেক্টর কেবু ঘোষ :v পুলিশ হিসেবে খুনের তদন্ত করতে এসে কি না তাকেই পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি 😂 কি একখান চরিত্ররে ভাই 😂
পুরোটা বই জুড়ে নির্মল আনন্দ। সত্যবতী ট্রিলজির মতো গুরুগম্ভীর বইয়ের লেখিকা যে এইরকম বিনোদনও দিতে পারেন কল্পনার বাইরে ছিল। হারুন ভাইকে থ্যাংক্স ❤️
মজা, একটু গা-ছমছম, সাসপেন্স, আর অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি: এই উপকরণগুলো দিয়ে মন-ভালো-করা খাবার, থুড়ি লেখা পরিবেশন করায় আশাপূর্ণা দেবীর জুড়ি ছিল না। এই উপন্যাসটা তাঁর সেই অদ্বিতীয় লেখনীর একটি আদর্শ উদাহরণ। বাংলায় নারী সাহিত্যিকেরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ও অবস্থান থেকে প্রায়ই বঞ্চিত হন, নয়তো নিজের (যেমন: সুচিত্রা ভট্টাচার্য) বা প্রতিষ্ঠানের (যেমন: মহাশ্বেতা দেবী) চক্করে একটা খাঁচায় বন্দি হয়ে পড়েন। আশাপূর্ণা এসবের ঊর্ধ্বে থেকে গেছেন তাঁর এই অসামান্য জঁর-ভাঙা লেখাগুলোর মাধ্যমে। এখনও যদি না পড়ে থাকেন, তাহলে ত্রুটি সংশোধনে তৎপর হোন।
স্ট্রেস রিলিজ করার জন্য এরচেয়ে চমৎকার বই আর হয় না। ভাষা রসালো, বাক্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে উইট, এই বই পড়তে পড়তে হেসেছি কয়েকবার আনমনে। রহস্য তো আছেই, আছে জার্নি। দুইজন পকেটমারের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে লেখক যেন মেটাফোরিক্যালি এঁকেছেন সমাজের বাস্তবতা। যবনিকাপাতেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা, তাই বইটা পড়া শেষেও নির্ঘাত পাঠকের ঠোঁটে লেগে থাকবে হাসি।
খুনের রহস্যের গল্প যে এরকম হাস্যরস মিশ্রিত হতে পারে "গজ উকিলের হত্যারহস্য" না পড়লে বোঝা যাবে না। আশাপূর্ণা দেবীর এই উপন্যাসে খুন, পুলিশী জেরা,উত্তেজনা,রহস্য সবই আছে,আর তার সাথে বাড়তি পাওনা হলো মজার কিছু ঘটনার হাস্যকর ব্যাপার।
গজপতি সাহা (উকিল) ও গুপী (মোক্তার) দুই বন্ধু। দুজনে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। হঠাৎ একদিন জানা গেলো যে গজ উকিল খুন হয়েছে। আতোয়াতি তার গলায় গামছা পেচিয়ে খুন করেছে এবং টাকার জন্যই খুন করা হয়েছে। ঘটনা জানার পর গুপী মোক্তার দেখে তার গামছাটা উধাও।তখন সে পুলিশী জেরার ভয়ে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়।অন্যদিকে দুই পকেটমার ট্যাঁপা ও মদনা গুপীর হাতের থলি লক্ষ্য করে তার পিছু নেয়। ঘটনাচক্রে একদিন দুই পকেটমার,গুপী মোক্তার ও গজপতি উকিল মুখোমুখি হয়ে পড়ে।স্বাভাবিক তারা সবাই গজপতিকে ভূত ভাবতে শুরু করে। তারপর তাদের কাছে সব খুলে বলেন গজপতি। তাহলে সেদিন গজপতির ঘরে যাকে পাওয়া যায় তিনি কে ছিলেন ? তার জমানো টাকা পয়সাই বা কোথায় গেলো? এসবের উত্তর জানতে গেলে অবশ্যই পড়তে হবে উপন্যাসটি।
বেশ মজার লেগেছে গল্পটা। সত্যিই হাসতে হাসতে খুনের কিনারা। গজপতি খুনের পর গুপীর নিরুদ্দেশ হওয়া,দুই পকেটমারের তার পিছু নেওয়া, মৃত্যুর পর গজপতির তার বাড়িতে দেখা দেওয়া, গজপতির ভূত তাড়ানো,গ্রামে ভূতের উপদ্রব এসব কিছু মিলিয়ে বেশ মজার মজার ঘটনা দিয়ে শেষে আসল সত্য জানা যায়। তবে হ্যাঁ, এই উপন্যাসটিকে কেউ যদি ফেলুদা/ব্যোমকেশের মতো রহস্য গল্প ভাবে তাহলে ভুল করবে।
অসাধারণ বই! কিছু বই থাকেই এমন যেটা পড়ার সময় আপনি কোন প্রেসার ফিল করবেন না! সাবলিলভাবে শুধু পড়ে যাবেন আর এনজয় করতে থাকবেন! এক গতিতে লেখা এগিয়ে গেছে পুরোটা সময়! হালকা মুডে পড়ার জন্য পারফেক্ট বই :)
আশাপূর্ণা দেবী-কে এতদিন সিরিয়াস নারীকেন্দ্রিক জ্যঁরের সাহিত্যিকই ভেবে এসেছিলাম। এই উপন্যাসটা পড়ে সে ভুল বেমালুম ভেঙ্গে গেল!
গজপতি উকিল আর গুপি মোক্তার থাকে পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটে। দুজনে বেশ বন্ধু। একদিন দেখা গেল গজপতি গলায় ফাঁস লেগে খুন হয়েছে। বন্ধু খুন হওয়ার আতঙ্কে গুপি বাড়ি ছেড়ে পালায়। গুপি মোক্তারের পিছু নেয় দুই পকেটমার ট্যাঁপা আর মদনা। তারপরে কী হল গুপি, ট্যাঁপা, মদনার আর কীভাবেই বা এই হত্যা (বা, অ-হত্যা) রহস্যের কিন��রা হল তাই নিয়েই এগিয়েছে গল্প। তবে এই গল্পের স্টার হচ্ছে গুপি মোক্তারের খেঁকুড়ে গেণুপিসি।
না এটি একেবারেই গোয়েন্দা গল্প নয়। পুরোপুরি হাসি-মজার একটা গল্প। সব বিটকেল কান্ডে ভরতি। শেষের রহস্যভেদের সমস্তটাও বিটকেলামীতে ভরপুর। কিশোর-সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য মাস্ট রিড।
একটা সংকলনে পড়লাম। আনন্দেরও বই আছে দেখেছি, সে এখন পাওয়া যায় কিনা বা পাওয়া গেলেও কত মহার্ঘ্য দাম করে রেখেছে তা খোদায় মালুম!
শিশুতোষ জিনিস বড় হয়ে পড়লাম। একবসায় শেষ করছি, অতএব লিখনশৈলী সম্পর্কে ধারণা করতেই পারছেন। শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে স্টাইলে লেখা, তবে অদ্ভুতুড়ে পড়ে যেভাবে খিলখিল করে হাসি, এটা পড়ে সেভাবে হাসতে পারি নাই।