Jump to ratings and reviews
Rate this book

নিষ্ফলা মাঠের কৃষক

Rate this book
লেখকের শিক্ষকজীবনের স্মৃতিকথা।

238 pages, Hardcover

First published February 1, 1999

28 people are currently reading
425 people want to read

About the author

Abdullah Abu Sayeed

114 books86 followers
Abdullah Abu Sayeed (Bengali: আবদুল্লাহ আবু সাইয়ীদ; born 25 July 1939) is a Bangladeshi writer, television presenter, organizer and activist. He is currently the Chairman of Bishwa Sahitya Kendra, a non-profit organization that promotes the study of literature, reading habits and progressive ideas.


Early life:

Sayeed was born in 1939 in Calcutta. His father was Azimuddin Ahmed, a teacher of both English and Bengali literature.He was also a playwright. Sayeed passed SSC exam from Pabna Zilla School in 1955 and HSC exam from Profollo Chandra College in 1957. He later earned the degree of BA and MA in Bengali from the University of Dhaka in 1960 and 1961 respectively.


Career:

Sayeed was a professor of Bengali language in Dhaka College.In mid-1970s he started presenting Shaptabarna (Seven Colors), a multidimensional TV show in Bangladesh Television. In 1978, he founded the Bishwa Sahitya Kendra.


AWARDS:

Sayeed was given the 97th Ramon Magsaysay Award in Journalism, Literature, and Creative Communication Arts for "cultivating in the youth of Bangladesh a love for literature and its humanizing values through exposure to the great books of Bengal and the world".

Bangla Academy Award (2011) for his essays.
Ekushey Padak (2005)
Mahbub Ullah Trust Award (1998)
National TV award (1977)

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
72 (50%)
4 stars
42 (29%)
3 stars
16 (11%)
2 stars
7 (4%)
1 star
6 (4%)
Displaying 1 - 14 of 14 reviews
Profile Image for Shadin Pranto.
1,470 reviews560 followers
December 19, 2020
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক - এই দুই জীবনই যাপন করেছেন আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। ভক্তিভরে স্মরণ করেছেন নিজের সেইসব শিক্ষাগুরুকে যারা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল, সন্ধান দিয়েছিল জ্ঞানবৃক্ষের নতুন শাখা-প্রশাখার । অসম্ভব মমতা নিয়ে নিজের শিক্ষকগণের কথা লিখেছেন আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। পড়াতে কতটা ভালোবাসতে পারেন একজন মানুষ তা এই বইটি না পড়লে অজানা থেকে যেত। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে একটু একটু করে ধসে পড়ল সেই বিত্তান্তের একজন প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।

আমার সামর্থ্য থাকলে এদেশের স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে এই বইটা পড়তে দিতাম। তারা বুঝতে পারতেন স্রেফ মাস্টারি করার পেশা বেছে নিলেই মাস্টার হওয়া যায় না। এ-ও এক সাধনার বিষয়।

শিক্ষক বলেই কী কাউকে আলাদা সম্মান করতে হবে? শ্রদ্ধা কখনো এত খেলো হয়ে যায়নি। ভয় কিংবা স্বার্থের জন্য শ্রদ্ধাবনত হওয়ার ভান করা বনাম অন্তরের অন্তস্তল থেকে উৎসারিত শ্রদ্ধাবোধ দুটোতে বিস্তর তফাৎ।

১৯৭১ সালের পুরো সময় পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। তা উল্লেখ করতে একটুও কুণ্ঠাবোধ করেননি। পুরো বই জুড়ে নানান আদর্শবাদী কথাবার্তা । কিন্তু একাত্তর সালে এ কেমন আদর্শবাদিতা তিনি দেখিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। পাকিস্তানপন্থি বুদ্ধিজীবী ড. সাজ্জাদ হোসাইনের সাথে অন্তরঙ্গতার কথা তিনি স্মরণ করেছেন। মুনীর চৌধুরীর মতাদর্শিক স্থলন, সৈয়দ আলী আহসানের ভণ্ডামো এবং আইয়ুবের আমলে এদেশের পোষা মগজজীবিদের পাণ্ডা ড. হাসান জামিলকে নিয়ে লেখা স্মৃতিচারণায় অনেক বুদ্ধিজীবির পল্টিবাজির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

বইটি ভীষণ ভালো। আবার যাচ্ছেতাই খারাপ। তাই কেমন লেগেছে তা এককথায় জবাব দেওয়া কঠিন।
Profile Image for সন্ধ্যাশশী বন্ধু .
368 reviews12 followers
April 7, 2023
এসব বই আমাদের পড়া খুব দরকার। অ-সা-ধা-র-ণ একটা বই। এই বইয়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কে যেমন জানা যাবে,তেমনি জানা যাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পূর্বাবস্থা এবং অবক্ষয়ের নেপথ্যের কারণ। এছাড়া ও,সবচে বেশি যে জিনিস টা জানা যাবে,সেটা হচ্ছে অসাধারণ কিছু মানুষের কথা। আমার "জি সি দেব" কে জানার অনেক ইচ্ছে, উনাকে নিয়ে অনেক দারুণ কিছু তথ্য পেলাম। জি সি দেব কে নিয়ে লেখা বা তাঁর লেখা কোন বই সম্পর্কে জানলে,আমাকে একটু সাহায্য কইরেন...?

আমি খটমট গদ্য একটানা পড়তে পারি না। এই বই একটানা এবং খুব মনোযোগের সাথে শেষ করেছি। এর কারণ আবদুলাহ আবু সায়ীদের স্বাদু লেখা আর চমৎকার বর্ণনা ভঙ্গি।
Profile Image for G M Fahim.
20 reviews2 followers
January 18, 2016
বই পড়তে পড়তে একটা সময় আমার স্কুল, কলেজ জীবনে সেই টিচারদের কথা মনে পড়ে গেল যারা আমার জীবনবোধ ও সত্যিকারের মানুষ হবার প্রেরণা দিয়েছে। স্কুল জীবনের ফারুক স্যার, করিমুন্নেসা ম্যাম, নাজমা ম্যাম, খলিল স্যার, শিউলি ম্যাম; হাইস্কুলের জাহাঙ্গীর স্যার, পার্থ স্যার, অজিত কুমার স্যার, রফিক স্যার, প্রবাল স্যার, সোহাইবা ম্যাম; কলেজ জীবনের ফিলিপ স্যার,প্রমিলা ম্যাম, নিখিলেশ স্যার, ফরহাদ স্যার, শরিফ স্যার। ভাবছি অনির্দিষ্ট এই বন্ধের ফাকে স্কুল জীবনের শিক্ষকদের সাথে দেখা করে আসবো। সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও অদক্ষ শিক্ষকের নজীর যে সবকালেই সংখ্যায় বেশি ছিল সেটাও বইটি থেকেই জানলাম।

আমার 2016 Reading Challenge এর তৃতীয় সপ্তাহে আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর "নিষ্ফলা মাঠের কৃষক" বইটা পড়ে শেষ করলাম।

অসাধারণ এই মানুষটার মত অসাধারণ তার লেখনিও। তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করা শিক্ষকদের কথা, তার নিজের শিক্ষক জীবন, শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা, শিক্ষক হিসেবে তার স্বপ্ন ও শিক্ষাজীবনের একটা সময় নিজের "নিষ্ফলা মাঠের কৃষক" হওয়ার দীর্ঘশ্বাসই বইয়ের বিষয়বস্তু।

১৯৯৯ সালে প্রকাশিত বইটির শিক্ষার অবক্ষয় নিয়ে তিনি যা বলা তার সাথে আজকের অবস্থা মিলালে মনে হয়, সে সময় ছিল সূর্যাস্ত আর এখন আছি আমরা মাঝরাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে।


সেরা উক্তিঃ
"পাঠ্যবইসর্বস্থ ঐ (নোট মুখস্থ করানো) ব্যাপারটাকে আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে টিউটরের কাজ-নেহাতই একটা চাকরি-প্রানহীন আলোহীন চাকরি। যে-দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষক ছাত্রের সামনে দাড়িয়ে থাকেন তা থেকে অনেক দূরে। "


কাকতালীয়ভাবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের টিউশনের প্রতি তার আদর্শিক অবস্থা কিছুটা আমার সাথে মিলে গেল। যার কারনে জীবনদশায় টিউশনিকে একবারের জন্যও গ্রহন করিনি। ভবিষ্যতেও সেই আদর্শের মরন যাতে না হয় সেটারই আশা রাখি।
Profile Image for Samiur Rashid Abir.
217 reviews44 followers
February 16, 2021
বাংলাদেশের শিক্ষা এবং সাহিত্য অঙ্গনে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর অবদান অবিস্মরণীয়।লেখক তাঁর জীবনের বহুমুখী অভিজ্ঞতা খুব ই সুনিপুণভাবে বিভিন্ন বইয়ে তুলে ধরেছেন।"নিষ্ফলা মাঠের কৃষক" বইটি মূলত তাঁর ত্রিশ বছরের শিক্ষকতা জীবন নিয়ে লিখা।শিক্ষকতা জীবনের শুরু,ঢাকায় ফিরে আসা এবং বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতাকালীন ঘটনা তুলে ধরেছেন।বইটিতে বাংলাদেশের তৎকালীন উদীয়মান কিছু শিক্ষকের কথা তুলে ধরা হয়েছে।ষাটের দশকের পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার দুর্দিনের কার্যকারণ ও খুব যুক্তিসঙ্গতভাবে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।বইটি মূলত দেশের শিক্ষাঅঙ্গনের ব্যর্থতা আর লেখকের নিজের হতাশারই এক বহিঃপ্রকাশ।আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের লেখনীশক্তি অসাধারণ,তা নিয়ে কিন্তু কোন সন্দেহ নেই।
Profile Image for Faisal.
21 reviews14 followers
June 8, 2021
লেখক তার জীবনের বিশাল একটা অংশ এবং অভিজ্ঞতা বইটিতে শেয়ার করেছেন। এই ধরনের ভালো লেখা পড়ার দারুণ এক দিক হচ্ছে আপনি কারো লাইফ চলাকালীন ঐ সময়কার জীবন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে পুরো একটা ধারনা পেয়ে যাবে। এই বই এর ক্ষেত্রেও তাই। গত শতাব্দীর শেষ দশকগুলোতে কেমন ছিল এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, কিভাবে অধঃপতন হলো, সবকিছুর বেশ ভালো ধারনা পাওয়া যায় এই বইটিতে। Worth Reading.... 🖤
Profile Image for Esha.
176 reviews51 followers
January 29, 2018
Spectacularly told all about teachership and studejtship and the system. Really inspiring portion of autobiography.
Profile Image for Chiranjib Chowdhury.
54 reviews1 follower
October 16, 2020
দেশের ধারহীন-মানহীন শিক্ষাব্যবস্থা হল নিষ্ফলা মাঠ, আর সেই চারণভূমির কৃষক হলেন শিক্ষক। এই মাঠ থেকে ফসল ফলার সম্ভাবনা নেই। তবে মাঠের নিষ্ফলা হবার কিছু দায় কিন্তু শিক্ষকেরও, আর সেটা সম্পূর্ণভাবে স্যারের বইয়ে স্বীকারও করা হয়েছে। বইটিতে প্রধানত যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ
- লেখকের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের সম্পর্কিত আলোচনা।
- লেখক পেশাগত জীবনে যে শিক্ষকদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তাদের আলোচনা।
- শিক্ষাব্যবস্থার ধারাবাহিকভাবে ক্রমাবনতির কিছু প্রসঙ্গ।
- তৎকালীন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কিত মূল্যায়ন।
আমার ব্যক্তিগৎ জীবনের একটা ঘটনা স্মরণ হচ্ছে। আমি মফস্বলের ছেলে, তখন সবেমাত্র ঢাকায় এসেছি। শাহবাগ মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাব হয়ে আজিমপুরের যাচ্ছিলাম। শাহবাগ মোড়ে একটা ছাত্রের (সে পরিচয় দিচ্ছিল যে সে ছাত্র) সাথে হেলপারের বাকবিতন্ডা হল ভাড়া নিয়ে। বিতন্ডার একটা পর্যায়ে ছেলেটি ফোনে তার বন্ধুদের বলল, একটা নির্দিষ্ট মোড়ে অপেক্ষা করতে। বাস যখন সেই মোড় পার হবে তখন সেটা থামিয়ে হেলপারকে নামানো হল। কিছু উত্তম মধ্যম দিয়ে তাকে রক্তাক্ত করা হয় এবং তাকে স্পষ্ট ভাষায় বোঝানো হয় যে সবার সাথে ভাড়া নিয়ে মাতব্বরী করার ফল ভাল হয় না। এহেন শিক্ষাদীক্ষাহীন হেলপারকে শিক্ষিত করার অনন্য প্রয়াস, সেটাও কিনা এক ছাত্রের দ্বারা আমাকে খুব অবাক করেছিল।
লেখক, তার বইয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সোনালী দিনের বর্ণনা করেছেন। তারপর ষাটের দশকে কিভাবে সেখানে নব্য বিত্তবানেরা আঘাত হানার চেষ্টা শুরু করে আর পরবর্তীতে সামরিক শাসন কিভাবে তার গতি ত্বরান্বিত করে সেটাও তুলে ধরেছেন। শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানের তোয়াক্কা না করে সব রকমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করন, ৭২ এ সবাইকে অবাধে পরীক্ষায় পাশ, অস্ত্রের অনুপ্রবেশ, শিক্ষা বাণিজ্য, রাজনীতির প্রবেশ, নকল করতে না দেয়ায় ভাংচুর এমন অনেক কিছুই লেখক আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান দুরাবস্থার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। সব থেকে ভাল লেগেছে এই কারনগুলোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও লেখক কিছু কিছু জায়গায় তুলে ধরেছেন। এইখানেই পড়লাম ব্যুরো অফ ন্যাশনাল রিকনস্ট্রাকশন এর কথা। আইয়ুব সরকার পাকিস্তান আদর্শী লেখার জন্য মোটা অঙ্কের সম্মানি ঘোষণা করত। আর আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজের অনেকেই সেটা গ্রহণও করেছিলেন। আর পড়লাম ঢাকা কলেজের গৌরবময় ইতিহাস।
ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মুনীর চৌধুরী, ডঃ গোবিন্দ্রচন্দ্র দেব, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন প্রভৃতি ছিলেন লেখকের শিক্ষক। এদের সাথে লেখকের ব্যক্তিগত আলাপচারিতা এবং সংস্কৃতি অঙ্গনে তাদের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় আলোচনাই আছে।
যখন শুরু করেছিলাম মনে হয়েছিল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের দিকে না এগিয়ে লেখক অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করছেন অল্প বিস্তর। তবে প্রাঞ্জল লিখা, তথ্যবহুল আলোচনা আর ক্ষুদ্র গল্পের সাথে এগিয়ে চলা আলোচনা, এক বসায় পড়ে ফেলার মত একটা বই।
Profile Image for Al Faisal Kanon.
151 reviews1 follower
May 18, 2024
রাজশাহী কলেজে শিক্ষকপদে তিনি যোগ দেন ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল; আর ১৯৯২ সালে ঢাকা কলেজের অধ্যাপক পদটি তিনি যেদিন ছেড়ে দেন- সেদিনও ছিল পহেলা এপ্রিল, এপ্রিল ফুলের দিন। দুই বোকা-দিবসের মধ্যবর্তী তিরিশটি বছর শিক্ষকতাকেই জীবনের মহত্তম ব্রত হিসেবে জেনে তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন অধ্যাপনায়- যার প্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন স্কুল ও কলেজ-জীবনের তার ক'জন শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় শিক্ষক, আর অধ্যক্ষ পিতার কাছে। 'নিষ্ফলা মাঠের কৃষক' আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের অধ্যাপনা-জীবনেরই স্মৃতিচারণ; এ স্মৃতিচারণার একটি দিক জুড়ে আছে তার স্কুল আর কপেজ-জীবনের শিক্ষকদের কথা। আরো আছে মুনীর চৌধুরী থেকে শুরু করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পর্যন্ত বেশ ক'জন বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষক সম্পর্কে তার নির্মোহ মূল্যায়ন।

জীবনের তিরিশটি বছর অধ্যাপনায় কাটানোর পর সেই ফেলে-আসা দিনগুলির দিকে তাকিয়েছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দুর্যোগে ধ্বস্ত ক্ষেতের দিকে যেমন করে অশ্রুসজল চোখ আর বুকভরা হাহাকার নিয়ে তাকায় একজন কৃষক। সম্পূর্ণভাবে ধসে-পড়া শিক্ষাঙ্গনের অবক্ষয়গ্রস্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এর ব্যবস্থাপনা আর মূল্যবোধের দিকে তাকিয়ে নিজেকে তার মনে হয় নিষ্ফলা মাঠের কৃষক। তার অপরিসীম ভালোবাসা, তীব্র পর্যবেক্ষণ শক্তি ও প্রজ্ঞা মিশিয়ে তিনি অনুসন্ধান করেন এই অবক্ষয়ের স্বরূপ ও কারণ।

এই গ্রন্থ একই সাথে স্মৃতিচারণ আর উপন্যাস। বর্ণনার মুনশিয়ানায় চরিত্রগুলো জীবন্ত ও বৈশিষ্ট্যময়। একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষকের মতোই জাতির সামনে তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন আমাদের শিক্ষাঙ্গনের মুখ থুবড়ে পড়ে যাবার ছবি, নীরব কিন্তু ভয়াবহ এই জাতীয় দুর্যোগের দিকে ফেরাতে তিনি ফেরাতে চেয়েছেন জাতির মনোযোগ।
Profile Image for K. R. B. Moum .
209 reviews17 followers
Read
October 28, 2022
মূল বক্তব্য:
*ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ বঙ্গভঙ্গ রদ থেকে আশির দশকে সামরিক শাসনের অধীনে উদ্ভূত পরিস্থিতি
*নকল প্রবণতা
*ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নপদ্ধতি: জ্ঞানবিরোধী
*গাইড বই ও প্রাইভেট টিউটর
*গৃহশিক্ষক সমস্যাঃ সন্তানের সংখ্যা কম হওয়ায় অভিভাবকের মানসিকতায় পরিবর্তন

পর্যবেক্ষণ:
১. বিত্তের বিকাশ = অনর্জিত অর্থ আর অপ্রত্যাশিত সুযোগ
২. ছাত্র রাজনীতি = স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারের আন্দোলন থেকে অস্ত্রের সরবরাহ ও সন্ত্রাসবাদ

পাঠক উপলব্ধি:
১৮২ পৃষ্ঠায় “ব্রুটাস, তুমিই যখন আঘাত করলে, তখন পতনই হোক সিজারের নিয়তি” - এই উক্তির উল্লেখে শিক্ষক হিসেবে লেখক যে প্রবঞ্চিত হয়েছেন, তা উঠে আসে, কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় প্রতারণার স্বীকার শিক্ষার্থীরাই।
Profile Image for Israt jalil.
70 reviews23 followers
August 10, 2024
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কেন শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সেই আলোচনার জের ধরে আস্তে আস্তে তার নিজের ছাত্র জীবন এবং শিক্ষকতা জীবনের ফিরিস্তি নিয়ে এই বইটি। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রাণমনে একজন শিক্ষক, শুধু বৃত্তির খাতিরে নয় তিনি প্রাণ দিয়ে শিক্ষকতাকে অনুভব করতে পেরেছিলেন বলে এই পথে আসেন। তার বাবা ভালো মানের শিক্ষক ছিলেন বলেই হয়ত তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। তিনি তার শিক্ষাজীবনের বিরাট একটা অংশ ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করে কাটান। ঢাকা কলেজের স্বর্ণযুগ এবং এর অধপতন দুটা যুগেরই সাক্ষী ছিলেন। হয়ত শিক্ষার অধপতন তার প্রাণে সয় নি তাই তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোকিছুই শিক্ষকতা এবং ছাত্রদের প্রতি তার ভালোবাসাকে টলাতে পারে নি যার সাক্ষী এই বইটা।
Profile Image for Khalid Hasan Siam.
57 reviews19 followers
May 1, 2022
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে আমি চিনতাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। কিন্তু বোধহয় তাঁর সবচাইতে বড় পরিচয় হলো তিনি একজন শিক্ষক। পিতার শিক্ষকতার সুবাদে নিজেও এসেছিলেন এই পেশায়। পড়াতে ভালোবাসতেন। তবুও সুদীর্ঘ তিন দশকের শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছিলেন মাত্র সাতদিনের সিদ্ধান্তে। কেন করলেন এমন কাণ্ড এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমাগত অধঃপতনের বিস্তারিত ব্যাখ্যাসম্বলিত তথ্যাবল��� পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে- "নিষ্ফলা মাঠের কৃষক"।
বইতে তিনি শুরু থেকেই শুরু করেছেন, অর্থাৎ শুরুতেই নিজের শিক্ষা জীবনের সেইসব শিক্ষকদের কথা বলেছেন যারা ছিলেন ছাত্রদের চোখে 'নায়ক'-এর মত। সেইসব শিক্ষকদের কথা পড়তে পড়তে আমার মধ্যেও তাঁদের প্রতি সম্মানবোধ তৈরি হয় যদিও আমি কখনো তাঁদের দেখিওনি। এরপরে বর্ণনা করা হয়েছে লেখকের শিক্ষকজীবন সম্পর্কে। তিনি প্রথম অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন মুন্সীগঞ্জ শহরে ১৯৬১ সালে। এরপর দেশের আরও কয়েকটি কলেজে পড়িয়েছেন যেমন- সিলেট মহিলা কলেজে, রাজশাহী কলেজে। আর জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ কাটিয়েছেন ঢাকা কলেজে।
এই দীর্ঘ জীবনের শিক্ষকতায় এসেছেন বহু ছাত্র-শিক্ষকের সংস্পর্শে। বুঝতে পেরেছেন তাদের মনস্তত্ত্বকে। দেখেছেন কীভাবে সন্ত্রাসের কালো থাবা ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে, শিক্ষার্থীদেরকে। সেসব কথাই পুঙখানুপুঙখভাবে নিয়ে এসেছেন এই গ্রন্থে। শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক অন্ধকার দিকের সমালোচনা করেছেন, সেই সাথে সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
সবশেষে আলোর নিচের অন্ধকারের মত নিজ শিক্ষা জীবনের কিছু শিক্ষকদের কথাও লিখেছেন যারা ছিলেন অনেকটা 'ভিলেন'-এর মত। সব মিলিয়ে খুব চমৎকার একটা বই, শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলের জন্য অবশ্যপাঠ্য তো বটেই!
বই: নিষ্ফলা মাঠের কৃষক,
লেখক: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ,
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯।

রিভিউ: ৫ মার্চ, ২০২১। ফেসবুক গ্রুপ।
1 review
Read
January 23, 2018
অন্য রকম একটি বই..একজন শিক্ষকের কি কি পূর্ণতা বা অপূর্ণতা আসে তার শিক্ষকজীবন থেকে সে গল্পগুলো তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছেন...বইটি একজন মানুষের অনেক স্মৃতিকাতর মূহুর্তকে তুলে ধরেছে....আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি সায়ীদ স্যার তুলে ধরেছেন তা হলো তার সময়ের কিছু শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এর কথা যাদের কথা চিন্তা করলে মনের অবচেতনে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে অাসে....আর এক কথায় অসাধারন একটি বই...যারা ভবিষৎ এ শিক্ষকতা পেশা হিসেবে গ্রহন করতে চায় তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য বই বলে আমি মনে করি
Profile Image for Ahammad Ali.
51 reviews2 followers
October 3, 2022
স্মৃতিচারণ মূলক বইটি যে কারো ভালো লাগবে। বিশেষ করে যারা শিক্ষকতা পেশায় আছেন এবং যারা শিক্ষকতা করতে চান তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য। বইটিতে শিক্ষক কিভাবে ছাত্র/ছাত্রীদের জীবনে গভীর প্রভাব রাখেন, যা ক্ষেত্র বিশেষে অভিবাবক অপেক্ষা বেশী হতে পারে তার উল্লেখ রয়েছে। একই সাথে বর্তমান ছাত্র/শিক্ষক-সমাজ এর অধপতন কিভাবে লেখককে পীড়া দিচ্ছে তা অনুধাবন করা যায়।

সার্বিক ভাবে বিষয় যতটা গুরুগম্ভীর মনে হচ্ছে তা নয়, সুখপাঠ্য বই বটে।
Displaying 1 - 14 of 14 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.