আমস্টারডামে যখন প্লেন থেকে নামলাম আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল। আকাশ পরিষ্কার ছিল। যদিও আইলের সিটে বসা ছিলাম বাইরে কী হচ্ছে বোঝার জন্য জানালা দিয়ে উঁকি মারতে হতো। যত বেশি প্লেনে চড়ছি ততই উত্তেজনাগুলো হারিয়ে ফেলছি, তাও সিটে বসে টের পেলাম আকাশ পরিষ্কার, বাতাস অনুকূলে। বিমান একদম নিখুঁতভাবে আমস্টারডামের মাটি স্পর্শ করলো। ইমিগ্রেশন পার করে এয়ারপোর্টের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থেকে যখন বাইরে আসলাম, প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। সবকিছু আগের মতোই সুন্দর আছে। সেই টিউলিপ ফুলের সমারোহ সেই প্রাণের উচ্ছ্বাস... এবার অবশ্য আমি এই উচ্ছ্বাসের অংশ হতে আসিনি। এখানকার সেন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমি থাকি এস্তোনিয়ার তালিন শহরে। সেখান থেকে প্লেনে করে এখানে আসতে ৭ ঘন্টা লাগে। মাঝখানে ট্রানজট ছিল ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি শহরে। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা আকাশে কাটানো হয়েছে। ১ সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া ফেরত এসেছিলাম। হাসপাতাল থেকে প্রথমে আমাকে ইমেইল করা হয়েছিল। পরে ফোন, ভিডিও কল মিলিয়ে লম্বা সময়ে যোগাযোগ হয়েছে। যিনি যোগাযোগ করেছেন তিনি মধ্যবয়স্ক এক ভদ্রলোক। হাসপাতালে এসে তার খোঁজ করলাম, এত যোগাযোগের পরেও লোকটি খুব সতর্কভাবে প্রশ্ন করলেন, “তুমি নিহাদ?” মাথা নেরে সম্মতি জানিয়ে বললাম, “স্যরি আমি অনেক দূরে ছিলাম তাই আসতে সময় লেগে গেলো…” আমার কথায় বিশেষ আমল না দিয়ে লোকটি সরাসরি কাজের কথায় চলে আসলো, “আমি কি এডপ্ট করার কাগজপত্র রেডি করব?” আমি মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম। লোকটা মেশিনের মতো প্রশ্ন করে গেলো, “শেষকৃত্যের খরচ তুমি দিচ্ছো?” “তুমি কোন চিন্তা করো না। তার জন্য সেরা কফিনটাই আমি বাছাই করতে চাই। খরচ যা করার আমি করব। তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পার। তার শেষকৃত্য পরিপূর্ণভাবে করা আমার জন্য জরুরি। আমি একটা সুন্দর কফিন অর্ডার দিয়েছি।” “তুমি যাকে এডপ্ট করছ, সেই বাচ্চাটার বয়স ৪ বছর। ওর নাম হচ্ছে লুকাস।” “সে সুস্থ তো?” “তার মা অসুস্থ হয়েছে তার জন্মের পরে। সাবধানতার জন্য লুকাসেরও পরীক্ষা করা হয়েছে। সমস্যা নেই।” “আমি কি এখনই তার সাথে দেখা করতে পারি?” “হ্যাঁ পার। তুমি বাংলাদেশের নাগরিক?” আমার পূরণ করা ফরম দেখে লোকটির মন্তব্য। বাংলাদেশ দেখে মনে হয় অবাক হয়েছে। “হ্যাঁ। এটা কি অবাক হওয়ার মতো কোনো কথা? তুমি এত অবাক হচ্ছো কেন?” “না, অবাক হচ্ছি না। আমি কিছু ডাচ পরিবার চিনি যারা বাংলাদেশের পথশিশুদের এডপ্ট করে ডাচ হিসেবে বড় করে। কখনো দেখি নি বাংলাদেশের কেউ আমাদের বাচ্চা নিয়ে যায়। তাই জিজ্ঞেস করলাম। তবে এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” “এটা আসলে সম্ভব হয়েছে বাচ্চার মা চেয়েছিল আমি বাচ্চাটাকে এডপ্ট করি সেই জন্য।” “হ্যাঁ সেটাই। বুঝতে পেরেছি তুমি লুকাসের বায়োলোজিকাল ফাদার না?” অনেকক্ষণ ধরে হাসলাম সামনের ভদ্রলোকের কথা শুনে। “না আমি বায়োলজিকাল ফাদার না। তবে কাগজপত্র ঠিক করে দাও যাতে এখন থেকে ওর পুরা দায়িত্ব আমি নিতে পারি। ওর মায়ের সাথে আমি বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলাম একবার। তার সুন্দর চোখ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।” লুকাসকে আমার সামনে আনা হল। অবিকল মায়ের মত সেই সুন্দর চোখ। গভীর মমতায় লুকাস আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কাছে গিয়ে তার সোনালি চুলে হাত বুলিয়ে বললাম, “চল আমার সাথে। আমাদের জীবন শুরু করি। আমার থেকে অনেক ভাল শৈশব তুমি পাবে।” লুকাসকে নিয়ে আমি এস্তোনিয়া ফিরে আসি। দুইজনের একসাথে জীবন কাটানো শুরু হয়। আমার মতো একজন নিঃসঙ্গ মানুষ তার জীবন কাটানোর অর্থ খুঁজে পায়।
অনেক দিন পর কোন একটা বই টানা পড়ে শেষ করলাম। শনিবার দুপুর ১ টায় হাতে পাই বই, দুপুর ২ টায় পড়া শুরু করি, বিকাল ৪ঃ৪৫ এ শেষ করি। অনেক দিন পর কোন একটা বই টানা এভাবে পড়ে উঠলাম। বইটার একটা ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট হলো ন্যারেটিভের ধরণটা, প্রতিটা ঘটনাই প্রত্যেকটা চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, যেই ফীল টা আমি পেয়েছিলাম Flipped(2010) মুভিটা দ্যাখে। মাঝের কথোপকথনের ধারাটা আমাকে Before Trilogy এর কথা মনে করায় দেয়। সব মিলায় অসাধারণ একটা জার্নি ছিলো।
বইটার সবচেয়ে ভালো দিক পুরো উপন্যাসটাকে ৩ টা মেইন ক্যারেক্টার এর পার্সপেক্টিভে দেখিয়েছেন। একই ক্যারেক্টার কখনো ফার্স্ট পার্সন, কখনো থার্ড পার্সন পার্সপেক্টিভে ছিল। ব্যাপারটার সুন্দরভাবে গোছাতে পেরেছেন।
খারাপ দিক হচ্ছে, লেখক ব্যভিচারকে অনেক স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে দেখিয়েছেন। এই অপসংস্কৃতির চর্চা ভালো লাগে নি। নায়িকা রামিসাকে বলা যায় ক্লাসিক বারোভাতারি। বেশিরভাগ ক্যারেক্টারেরই কুকর্মের ইতিহাস আছে।
ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ভালো ছিল। এন্ডিং প্রেডিক্ট করা যায় নি। শেষ পর্যন্ত পড়তে হয়েছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
মানব মন বড়ই অদ্ভুত। আর তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক আরো বেশি অদ্ভুত। নিতান্তই কছু হরমোনের উত্থান পতন বলে এই সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করা যায় কিন্তু ব্যাক্তি মানুষের কাছে এই অনুভূতি, এই সম্পর্কগুলো অমূল্য। এগুলোকে আকড়ে ধরে রেখে বাঁচার তাগিদ অনুভব করে মানুষ।
'সন্ধ্যা নামার ক্ষণে'— এরকমই তিনজন মানুষের সম্পর্কের বিচিত্র উত্থান পতনের গল্প— প্রেমের গল্প, ভালোবাসার গল্প। না কোন ত্রিভুজ প্রেম কিংবা বাহুল্যতায় ভরপুর কোন উপাখ্যান নয় এ বই। কেবলই তিনজনের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার তারতম্য আর নিজেদের মধ্যকার রসায়ন।
|| কাহিনী সংক্ষেপ ||
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে মা-হীন বাবার কাছে বেড়ে ওঠা সন্তান নিহাদ। আর দশটা পরিবারের মতোই বেড়ে ওঠে সে। বাবার প্রতি তার প্রচন্ড ভক্তি। পড়াশোনায় ভালো করে পাড়ি জমায় ইউরোপের ছিমছাম দেশ এস্তোনিয়ায়। সেখানের ভার্সিটিতেই প্রফেসর হয়ে যায় সে। দেশে বেড়াতে আসার পর ঢাকার রাস্তায় খুঁজে পাওয়া একটা হ্যান্ডব্যাগের সূত্র ধরে পরিচয় হয় রামিসার সাথে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রী সে। দু'জনের কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ হয় এরই মাঝে।
.
রামিসার সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে শাফিন। রামিসাকে তার বেশ পছন্দ। কিন্তু পাত্তা পায়না রামিসার কাছ থেকে। কর্মজীবনের সূত্র ধরে দূরে সরে যায় তারা এক সময়। ক্রিমিনাল সাইকোলজি পড়ার জন্য এরই মাঝে এস্তোনিয়া যায় শাফিন— তা-ও আবার নিহাদেরই ভার্সিটিতে। কেটে যায় কিছু বছর। এনজিওর চাকরির সূত্রে ইউরোপে আসে রামিসা। মনস্থির করে এস্তোনিয়া যাবে সে নিহাদ আর শাফিনের সাথে দেখা করতে। তাদের অদ্ভুত সম্পর্কটার একটা দফারফা করতে হবে না? তিনটি তিনরকম প্রাণ সম্পর্কের এক আজব বন্ধনে আবদ্ধ। ভবিষ্যৎ নিয়ে একরোখা নয় কেউ, গা-ছাড়াও নয় আবার। ঘটনা সামনে আগায় অনভিপ্রেত পথে। ফলাফল কী হবে তাদের এই আজব সম্পর্কের?
|| উপন্যাসের বর্ণনাভঙ্গি ||
উপন্যাসের বেশিরভাগটাই প্রথম পুরুষের বর্ণনায় রচিত। সেটাও আবার প্রধান তিন চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গিতেই। একই ঘটনা যখন নিহাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পাঠক পড়বেন তখন মনের কোনে প্রশ্ন জমা হবে কিছু। রামিসা বা শাফিনের মুখের বর্ণনায় উঠে আসবে তার উত্তর। গল্পটা লেখক তিন পর্বে ভাগ করেছেন। ঘটনার প্রয়োজন অনুযায়ী শাফিন, নিহাদ আর রামিসার বর্ণনায় এগিয়ে যায় কাহিনী। তবে নিহাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে কাহিনীর বর্ণনা অংশ অনেক বেশি। আবার কিছু অধ্যায়ে তৃতীয় পুরুষের ন্যারেটিভেই গল্প এগিয়েছে।
এর ফলে একই কাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে হাজির হয়েছে।
|| উপন্যাসের চরিত্ররা ||
আমাদের এই উপন্যাসের চরিত্রগুলো নানা রকমের। প্রধান তিন চরিত্র বাদেও গল্পের প্রয়োজনে আরো অনেকে হাজির হয়েছে। লায়লা আপা, শাফিনের ভাই সিয়াম ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র আছে বইয়ে। তবে মূল কাহিনী শাফিন, নিহাদ আর রামিসার।
বইটার একটা বৈশিষ্ট্য হলো মূল তিন চরিত্রের ব্যাক স্টোরি জানতে পারি আমরা। এতে ক্যারেক্টার কার্ভ গড়ে উঠেছে। এদের কাউকে কখনো ভালো লাগবে আবার কারো আচরণ ঘৃণা সৃষ্টি করবে। কিছু ব্ল্যাক চরিত্র আছে। কিন্তু কাউকেই পুরোপুরি সাধু ভাবতে পারবেন না। বিশেষ করে রামিসার উপর অনেক রাগ হবে গল্পের অনেক ক্ষেত্রেই। কাজই এমন করবে মেয়েটা।
|| কমিক রিলিফ ||
উপন্যাসের কাহিনীন হালকা হলেও পুরো উপন্যাস জুড়ে একটা বিষণ্ণতার চাদর ছেয়ে আছে বলে মনে হয়। চাপা একটা অনুভূতি। এ ধরনের বিষণ্ণতা আরও বেশি অস্বস্তিকর। বিশেষ করে শেষ দিকে এসে কিছু ডার্ক ইলিমেন্ট হাজির হয়। তাই কমিক রিলিফ ব্যাপারটা জরুরি ছিল। কিছু অংশ পরে হঠাৎ কখন মুচিকি হেসে দিবেন পাঠকের টের পাওয়াই দুস্কর হবে। লেখক সিরিয়াস মুহূর্তেও কিছু জোক্স ইলিমেন্ট হাজির করেন। অবশ্য শেষ দিকে এসে এরকম জোক্স ইলিমেন্ট নাই হয়ে গিয়েছিল। লুৎফুল্লাহ আঙ্কেলের সাথে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে করা মজার ঘটনাটা পড়ে বেশ হেসেছিলাম।
|| টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন ||
প্রথম পুরুষের ভঙ্গিতে বর্ণনা করলে আসলে চরিত্রের গোপনীয় দিক লুকিয়ে রাখা যায় না। সব প্রকাশ হয়ে যায়। কিন্তু লেখক কীভাবে যেন টুইস্টের উপস্থিতি রাখতে সক্ষম হয়েছেন আর সেটা আন্দাজ করা সম্ভব না লেখায় প্রকাশ হবার আগে। কোন গল্পে টুইস্ট থাকলে সেটা গল্পের শেষে রাখা হয়। কারণ এরপর গল্পের পেস ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে লেখক এ উপন্যাসে টুইস্টটা গল্প শেষ হবার বেশ আগেই দিয়ে দিয়েছেন তবে তাতে গল্পের পেস হারিয়ে যায় নি।
|| অভিমত ||
এক কথায় বলতে গেলে উপভোগ্য একটা উপন্যাস। বাহুল্যতা, বা গদগদ প্রেমের বৈশিষ্ট্য গুলো নেই একদমই। তবে এক বইয়ে অনেক বেশি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে যেটা হজম করা কষ্টকর। শেষটা নাটকীয় হলেও মেনে নেয়া যায়। তবে গল্পে কিছু পর্যায়ে এসে তেলেগু সিনেমার একটা ঘ্রাণ পাওয়া যায়। তবে সেটা খারাপ কোন দিক নয়। প্রেমের উপন্যাসের সাথে একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে চাইলে বইটা পড়তে পারেন। তবে খুব বেশি আশা করা যাবে না। লেখকের মূল শক্তি লেখার গতিতে। উপাদানগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে সাধারণ গল্প ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। আর বইয়ের প্রচ্ছদটা অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। কালার প্যালেটটা দারুন!
|| বইটা পড়বেন কি? ||
এক কথায় বলা যায় না উত্তরটা। তবে সামাজিক ধাঁচের উপন্যাসে ভিন্ন স্বাদ পাবেন পড়লে। সমাজের একটা চিত্রও ভেসে উঠে বইটাতে। খেলাধুলার অনেক রেফারেন্স আছে বইয়ে। ক্���িকেট বা ফুটবলের ফ্যান হলে মজা পাবেন। মনে রাখা মতো কোন উপন্যাস এটা না। পড়ার সময় ভালো সময় কাটবে। এরটুকুই। উপন্যাসের উদ্দেশ্য তো এটাই— তাই না।
.
বইয়ের একটা লাইন খুব মনে ধরেছে। এটা দিয়েই শেষ করি—
❝ নিজের কাছে সবসময় নায়ক থাকতে হয়। তুমি এই জগতের তুলনায় ক্ষুদ্র হও আর বৃহৎ হও, তোমার নিজের গল্পে তুমি সবসময় মেইন কাস্ট। শ্রদ্ধা জয় করার জিনিস, করুণা না। করুণার সন্ধানে থাকলে কিছু জয় করা যায় না। ❞
এক দমই পোশায় নি। বইটা আশির দশকের প্রেক্ষাপটে লিখা এমন ভাবে প্রচার করা হলেও এটা ২০২০ এর কাহিনী। 😑😑 আশির দশকের পরিবেশের কথা চিন্তা করেই বইটা কেনা। কিন্তু শুরুর কিছু পেজ আশির দশকের স্মৃতিচারণ থাকলেও পরবর্তীতে ২০২০ এর কাহিনী। বর্তমানের কাহিনী হলেও কাহিনীটা যদি ভালো হতো, তাহলেও একটা কথা ছিল। গল্পের প্রধান তিন চরিত্র এর একজনকেও ভালো লাগে নি। নিহাদ, একজন psychiatrist। একজন psychiatrist এমন কনফিউজড এটা হাস্যকর। শাফিন, চরিত্রটা অনেকটা "মেয়ে, তুমিও পূর্বে তোমার নোংরা ভূল থাকুন না কেন, আমি তোমার পাগলা দিওয়ানা।" 😑😑😑 আর রামিসা, এরে নিয়ে আর কি বলবো!! গল্পের সবচেয়ে বিরক্তিকর চরিত্র। সে নিজেই জানে না সে কি চায়, কাকে ভালোবাসে, অত্যন্ত কনফিউজড। আধুনিক বোখে যাওয়া মেয়ে, যাকে গল্পে জাস্টিফাই করা হয়েছে। 😑😑😑
মোটকথা একদমই ভালো লাগেনি। সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি Goodreads এবং রকমারিতে কিছু মানুষের রিভিউ দেখে!!! রিভিউগুলো নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। 🤔🤔🤔
এই বই না কিনে এক প্লেট বিরিয়ানি খাওয়া অনেক ভালো ছিল।
The storyline is good .... the protagonists are well depicted and they compliment each other ..... the story telling is very intriguing....overall .....it’s a good fiction which will take you to a different yet known universe.....you’ll be able to correlate the scenario but you can’t possibly predict the ending .... read it guys and put your hands up for the writer 👏