The Muqaddimah, often translated as "Introduction" or "Prolegomenon," is the most important Islamic history of the premodern world. Written by the great fourteenth-century Arab scholar Ibn Khaldun (d. 1406), this monumental work established the foundations of several fields of knowledge, including the philosophy of history, sociology, ethnography, and economics. The first complete English translation, by the eminent Islamicist and interpreter of Arabic literature Franz Rosenthal, was published in three volumes in 1958 as part of the Bollingen Series and received immediate acclaim in the United States and abroad
Ibn Khaldūn ابن خلدون (full name, Arabic: أبو زيد عبد الرحمن بن محمد بن خلدون الحضرمي, Abū Zayd ‘Abdu r-Raḥmān bin Muḥammad bin Khaldūn Al-Ḥaḍrami; May 27, 1332 AD/732 AH – March 19, 1406 AD/808 AH) was an Arab Muslim historiographer and historian, regarded to be among the founding fathers of modern historiography, sociology and economics.
He is best known for his book The Muqaddimah (known as Prolegomena in Greek). The book influenced 17th-century Ottoman historians like Ḥajjī Khalīfa and Mustafa Naima who used the theories in the book to analyze the growth and decline of the Ottoman Empire.[2] 19th-century European scholars also acknowledged the significance of the book and considered Ibn Khaldun as one of the greatest philosophers to come out of the Muslim world.
ولي الدين أبو زيد عبد الرحمن بن محمد بن محمد بن الحسن بن جابر بن محمد بن إبراهيم بن عبد الرحمن بن خالد (خلدون) الحضرمي مؤسس علم الاجتماع ومؤرخ مسلم من إفريقية في عهد الحفصيين وهي تونس حالياً ترك تراثاً مازال تأثيره ممتداً حتى اليوم.
ولد ابن خلدون في تونس عام بالدار الكائنة بنهج تربة الباي رقم 34. أسرة ابن خلدون أسرة علم وأدب فقد حفظ القرآن الكريم في طفولته وكان أبوه هو معلمه الأول. شغل أجداده في الأندلس وتونس مناصب سياسية ودينية مهمة وكانوا أهل جاه ونفوذ نزح أهله من الأندلس في منتصف القرن السابع الهجري، وتوجهوا إلى تونس وكان قدوم عائلته إلى تونس خلال حكم دولة الحفصيين.
আল-মুকাদ্দিমা সাধারণ পাঠকের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি৷ ইবনে খালদুনের এই ক্ল্যাসিক গ্রন্থে নির্দেশনা রয়েছে সর্বকালের ঐতিহাসিক এবং শাসকদের জন্য। আর হ্যা, যে দেশে ক্ষমতাসীন দল বদলের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস বদলে যায়, সে দেশে মুকাদ্দিমা পাঠ যে কোনো সময়ের চাইতে বেশি জরুরি।
ইতিহাসের বই লিখলে কিংবা অতীত নিয়ে গবেষণাকারীকে আমরা ঐতিহাসিক আখ্যা দিই। কিন্ত খালদুন মনে করেন, আসল সাধক যেমন পথে-ঘাটে মেলে না, তেমনি প্রকৃত ঐতিহাসিক হওয়া সকলের বশে নেই৷ কোনো শাসকের গুণকীর্তনকারী, অতীতের চর্বিতচর্বণ লিপিবদ্ধকারী কিংবা বিভিন্ন অলীক কাহিনিকে ইতিহাস বলে চালিয়ে দেওয়া ব্যক্তিকে ঐতিহাসিক বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অতীত সম্পর্কে জানা যথেষ্ট নয় ; ঐতিহাসিকের মননশীলতা এবং পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ যা দেখতে পায় না, মনে রাখে না কিংবা অবহেলায় এড়িয়ে যায়, তেমন ঘটনাকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা একজন ভালো ঐতিহাসিকের থাকবে।
কোনো রাজবংশের কিংবা শাসকের গুণমুগ্ধ ব্যক্তি তার প্রভুকে মহামহিম হিসেবে চিত্রিত করতে চায়। এজন্য নানা মিথের আশ্রয় নেয়। এইসব মিথকে মিথ্যা এবং এই ধরনের ইতিহাস রচিয়তাকে মিথ্যুক বলতে দ্বিধা করেননি ইবনে খালদুন।
আজকের মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা মহাদেশের রাজবংশগুলোর ধারাবাহিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন ইবনে খালদুন। এই রাজা-রাজড়ার কাহিনি অত্যন্ত একঘেয়ে। তবে এখানেই ইবনে খালদুনের কৃতিত্বের, চিন্তাধারার পরিচয় পাওয়া যায়। ঘটনাকে বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করার পর তাকে ঐতিহাসিক ঘটনা বলার পক্ষপাতী খালদুন। অতীতের অনেক ঐতিহাসিকের লেখার উদাহরণ টেনে এবং সেইসব লেখার ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে ঠিক কেমনভাবে ইতিহাস লিখতে হয় তা দেখিয়েছেন খালদুন।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। সাধারণত কোনো রাজবংশ তিন পুরুষের বেশি টেকে না বা এরপর সাম্রাজ্যে ভাঙন শুরু হয় - এটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন খালদুন।
আপনার,আমার মতো নিরীহ প্রজার ইতিহাসপাঠ গুরুত্বপূর্ণ নয়, নয় আবশ্যিক। ইতিহাস নিয়ে প্রখর জ্ঞান থাকা চাই শাসকদের। কেননা অতীতের সাম্রাজ্যগুলোর সমৃদ্ধি ও পতনের কারণ পর্যবেক্ষণ এবং তা থেকে শিক্ষা নেওয়াই বিচক্ষণ শাসকের লক্ষণ৷
সামান্য জনপদ থেকে কোন প্রক্রিয়ায় একটি নগরের পত্তন হয় তা ভালোই জানেন খালদুন। এ-ও জানেন নগরীর সমৃদ্ধি অভাব দূর করে, তবে ডেকে আনে ভোগ-বিলাসিতা। এই ভোগের চূড়ান্ত রূপ জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে নগরগুলোতে দেখা দিতে থাকে। জনতার পথ অবলম্বন করতে গিয়ে শাসকবৃন্দ বিলাসিতায়, অপব্যয়ে এবং অনাচারে দক্ষ হতে ওঠেন৷ তাতেই ধ্বংস অবধারিত হয়ে ওঠে নগরকেন্দ্রিক সমাজের, রাষ্ট্রের।
আদর্শ শাসকের একটি রূপ খালদুন এঁকেছেন। শাসক হওয়া কঠিন, তবে শাসকের গদি টিকিয়ে রাখা কঠিনতর। কতটা দুঃসাধ্য তা একটি আরবি প্রবাদের সাহায্যে বলতে চেয়েছেন খালদুন, চেষ্টা করলে পর্বতকে সরানো যায়, কিন্তু প্রজাসাধারণের মনতুষ্টি অর্জন করা এরচাইতেও কঠিন কাজ। রাজার রাজপাটের ভিত্তি প্রজার সন্তুষ্টি। তাই শাসিতের প্রতি শাসকের মনোভাবের ওপর জোর দিয়েছেন খালদুন।
আল-মুকাদ্দিমা নামের মূল বইটি প্রাচীন আরবিতে লেখা। বিষয়বস্তু ভীষণ কঠিন। গোলাম সামদানী কোরায়শী একটি সুদীর্ঘ ভূমিকার মাধ্যমে এই সত্যটি আগেই জানিয়েছেন। তবু অনুবাদকের চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই এমন কালোত্তীর্ণ গ্রন্থ পাঠের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
৬শ' ৩৩ পাতার বিশাল বপু গ্রন্থটি একনাগাড়ে পাঠ করা মোটামুটি অসম্ভব। বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলাম। তাই অনুরোধ করব আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে কিংবা স্বল্প সময় নিয়ে মুকাদ্দিমা পাঠ করবেন না। তাতে আখেরে ক্ষতি আপনারই হবে। এমনকি রিডার্স ব্লকে পড়ার ঝুঁকিও থাকছে!
মানুষ সামাজিক জীব। একক ভাবে দুনিয়ায় বেচে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন তার আশপাশের অন্যান্য মানুষের সাহায্য। এভাবেই তার বেচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা সম্ভবপর হয়। প্রয়োজন মিটানোর পর অবশিষ্ট যা উৎপাদন হয় তা তার বিলাসব্যসন এর জন্ম দেয়। এভাবেই মানুষ বর্বরতা থেকে নগর জীবনের দিকে অগ্রসর হয়।
মানুষের এই সমাজে শৃঙ্খলা বিধানের জন্য প্রয়োজন হয় একজন শাসকের। যে পরিবার আত্মীয়স্বজন এর সহায়তায় সমাজের অন্য প্রভাবশালীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে সমাজের কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। শুরু হলো সাম্রাজ্য। এরপর ধীরে ধীরে এর বিকাশ এবং এক চরম সীমায় পৌছে আবার অধপতন। খালদুনের মতে একটি সাম্রাজ্য এভাবে চার পুরুষ পর্যন্ত টিকে থাকে।
এর সাথেই সভ্যতা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, দর্শন, ইতিহাস সকল বিষয়ে আলোচনা করেছেন ইবনে খালদুন।
“রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্য এ পৃথিবীর এক বিরাট পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র। এখানে জ্ঞানীদের জ্ঞান ও শিল্পীদের শিল্পকর্ম এসে উপনীত হয়। এখানে লুপ্ত ঐতিহ্য ও গুপ্ত মনীষার অনুসন্ধান করা হয়। এখানে এসে গল্প ও ইতিহাস তাদের বাহন থামায়। সুতরাং এখানে যে বস্তুর চাহিদা বিদ্যমান, তার চাহিদা সর্বত্র।” [পৃঃ ৯৭]
ক্ষমতার এই ঐতিহাসিক প্রতীকের উদ্ভাবন ও বিবর্তনকে কেন্দ্র করে আল মুকাদ্দিমার প্রথম খণ্ডের আলোচনা আবর্তিত হয়েছে। অন্তুর্ভূক্ত চার অধ্যায়ে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য অনুপাতে উদ্ভাবিত সমাজব্যবস্থা, যাযাবরী জীবন ও স্বাজাত্যবোধের নিদর্শন হিসেবে গোত্রপ্রীতি, রাষ্ট্রের নীতিমালা ও শাসনব্যবস্থা এবং নগর সভ্যতা উত্থান ও পতনের মত প্রসঙ্গগুলো স্থান পেয়েছে। তবে ইতিহাসের ধারাবিবরণী এই বইয়ের একমাত্র চরিত্র নয়; এতে উল্লেখিত ও প্রয়োগকৃত গবেষণা পদ্ধতি ও এর যথার্থ নিয়ম পালনের ওপর এর গুরুত্বারোপই মূলত এর অনন্যতার নির্দশন।