সমস্ত যন্ত্রণার উপশম হিসেবে শুভদীপ নামের ছেলেটি মৃত্যুকেই মনস্থ করে একসময়। নানা দৈনন্দিন কাজে সে কেবল ঢুকে পড়ে চন্দ্রাবলীর ভাবনায় এবং ভাবতে ভাবতে দুঃখে তলিয়ে যায়। তখন মৃত্যুকেই কল্পনা করে সে। শুভদীপের বাবা অকালে বুড়িয়ে যাওয়া অসুস্থ মানুষ। মা ক্ষয়ে যাওয়া এক অসহিষ্ণু নারী। সংসারের সুরাহা করার জন্য সে বুঝি-বা কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থের বশবর্তী হয়। বোন শুচু তার পোষা টিয়াপাখি সুবলকে শোনায় ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’-র গান। শুচু জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত। যে-কোনও মুহূর্তে তার মৃত্যু হতে পারে। এ সব জেনেও শুচুকে ভালবেসে বিয়ে করে শুভদীপের বন্ধু দেবনন্দন। ভাই বিশ্বদীপের সঙ্গে শুভদীপের সম্পর্ক গাঢ় বন্ধুত্বের। বিশ্বদীপ স্বপ্ন দেখে, ভাল চাকরি করে সে প্রথমেই নিজেদের জন্য একটি স্নানঘর তৈরি করবে। দারুণ দারিদ্র্যে এবং একের পর এক বিপর্যয়ের মধ্যে দিন চলতে থাকে শুভদীপের। তারই ভেতর তার জীবনের তৃতীয় নারী চন্দ্রাবলীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতম পর্বে পৌঁছয় সে। চন্দ্রাবলী কালো, মোটা, খর্বকায়, বিবাহবিচ্ছিন্না। শুভদীপকে সে ভালবেসেছিল। কিন্তু শুভদীপের ছিল শরীরের মোহ। চন্দ্রাবলীকে সে ব্যবহার করেছে নিরন্তর। প্রত্যাখ্যানও করেছে। অভিমানে চন্দ্রাবলী তার কলেজের বান্ধবকে বিয়ে করে চলে যায় যখন, শুভদীপের মোহ ভাঙে। সে উপলব্ধি করে চন্দ্রাবলী ছাড়া তার বেঁচে থাকা অর্থহীন। মৃত্যু কেমন তা বোঝার জন্য সে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন ধর্মের শান্তিক্ষেত্রে এবং বারবার কবরস্থানের আশেপাশে সে জড়িয়ে পড়ে কোনও না কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে। নিজের জীবনের সমান্তরালে সে প্রত্যক্ষ করে অন্য এক জগৎ। যেখানকার জীবনের সঙ্গে আসলে মৃত্যুর কোনও তফাৎ নেই।
Tilottoma Mojumdar is an Indian Bengali novelist, short story writer, poet, lyricist, and essayist. She writes in the Bengali language. She was born in North Bengal, where she spent her childhood in tea plantations. She was educated at the Scottish Church College at the University of Calcutta.
তিলোত্তমা মজুমদার-এর জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে। ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন। কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। ‘একতারা’-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)।
লেখক অযথা কিছু কিছু কথার অবতারণা করেছেন যা না করলে কোন ক্ষতি হতো না । আমার জীবনে এতো এক ঘেয়েমি লেখা আমি পড়ি নাই । মূল কথা একটাই সত্যিকারের ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করে দূরে ঠেলে দিলে কষ্ট নিজকেই পেতে হবে । এই একটা বিষয়কে তুলে ধরার জন্য লেখক যৌনতার আশ্রয় নিয়েছেন কিংবা বলা যায় অশ্লীলতা কে পুজি করে পাঠক তৈরির চেস্টা করেছেন । কাউকে সাজেস্ট করব না বইটা পড়ার জন্য।
এটিকে উপন্যাস তো দূরের কথা, গল্প বলাও কঠিন। না, আয়তনের নিরিখে বলছি না। তবে এর সম্পূর্ণ কথনটিই প্রথম পুরুষে। সংলাপ নেই; আছে শুধু একপেশে বর্ণনা ও স্বগতোক্তি। তাতেও যদি প্লট বলে কিছু থাকত, বুঝতাম। আদতে এটি এক অদ্ভুত সিনট্যাক্সে লেখা বয়ান— যার সিংহভাগ জুড়ে আছে বিভিন্ন যৌনদৃশ্যের বিবরণ। বাংলায়, অন্তত এপার বাংলায় অধিকাংশ পাঠকের মধ্যে একটা ধারণা ভারি মজবুত হয়ে রয়েছে। সেটি হল, আনন্দবাজার গোষ্ঠীর কোনো পত্রিকায় যৌনতা-নির্ভর লেখা প্রকাশিত হলে তা হয় 'সাহসী' নয় 'সুলিখিত'। এই আদ্যন্ত ঘ্যানঘেনে, বিরক্তিকর এবং দিশাহীন লেখাটি 'সুলিখিত' বলে অনেক পাঠকের "ধন্য-ধন্য" কুড়িয়েছে। আমার এটি মোটেই পোষায়নি। তবে হ্যাঁ, ভিন্নরুচির্হি লোকাঃ। তাই আপনি এটি পড়ে দেখতেই পারেন। তারপর গালি দেবেন না তালি... সে আপনার ব্যাপার।
বই পড়ি শখ করে, আবার কখনো কখনো বাধ্য হয়েই। কি করবো বলুন, কম দিন তো ভুগছি না এই সমস্যায়, দিনে কয়েক দণ্ড বইয়ের পাতায় মুখ না গুঁজলে বড় অস্বস্তি হয়। এই চোদ্দ পনেরো বছরে বহু বইয়ের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে, কিন্তু এই বিশেষ নমুনাটির মতো ঘৃণা উদ্রেককারী বই আর চোখে পড়েনি। ভগবানের অসীম করুণা আমার উপর, বলতেই হয়।
Akti bastob charitra ke ato sundar kore bornona korechen ja birol.... Amra manusher bairer dik ta dekhi kintu tar charitrer nikhut bornona abong tar vetorer akta osanti, ja prakrito valobasa k chere bivinno nari songer modhey metate cheyeo meteni... Sedin j moner modhey valobasa k mne kora r bujhte para j nari songo akadhik holeo valobasar manush tar kache j santi r tar jonne bar bar fire jabar tagid take charitrahin purush theke ak odvut sundar purushe porinoto korechilo... Akjon manusher charitrer ai nikhut bornona ja lekhikar kolome jinonto rup peye amader manaspote bar bar vese utheche...kurnish janai lekhika k sohosrobar...
নিঃসন্দেহে অভিনব লিখনশৈলী। গদ্যরচনায় এবং বুননে লেখিকার দক্ষতার ছাপ উপন্যাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু যে কাঠামোর উপর এইসবকিছু রচিত হওয়ার কথা—অর্থাৎ প্লট বা মূল কাহিনি—সেটাই বেশ নড়বড়ে। না আছে কাহিনিবিন্যাসে অভিনবত্ব, আর না আছে চরিত্রচিত্রণে কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই উপন্যাসে লেখিকার কবজির জোর তো নিঃসন্দেহে চেনা যায়; কিন্তু ঘটনারীতির দুর্বলতা পাঠককে অতৃপ্ত থাকতে বাধ্য করে শেষপর্যন্ত।