ফিলিস্তিন। একটি আহত, ক্ষতবিক্ষত দেহ। লাখো শ্বাপদের দল যে শরীর খুবলে নিয়েছে তাদের হিংস্র নখর দিয়ে।
জেরুসালেম। এককালের সুন্দর সুশোভিত একটি নগরী। প্রাচীন এই শহর উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে মুসলিমরা জয় করেন। ক্রমেই বিজিত হয় পুরো ফিলিস্তিন। বহুকাল পরে ক্রুসেডারদের দ্বারা আক্রান্ত হয় এই ফিলিস্তিন। হিংস্র হায়েনার দল বুক-সমান রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে প্রবেশ করে পবিত্র শহর জেরুসালেমে। সে যাত্রা সালাহুদ্দিন আইয়ুবি রাহিমাহুল্লাহ শহরটাকে মুক্ত করেন।
অনেকদিন পর শহরটা আবারও ক্রুসেডারদের দখলে চলে যায়। সেবার তা মুক্ত করেন নাজমুদ্দিন আইয়ুব রাহিমাহুল্লাহ। আবার প্রায় পুরো ফিলিস্তিন চলে যায় কুখ্যাত রক্তখেকোর দল মঙ্গোল বাহিনীর দখলে। তাদের কালো থাবা থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করেন সাইফুদ্দিন কুতুজ ও রুকনুদ্দিন বাইবার্স রাহিমাহুমাল্লাহ।
ফিলিস্তিন আজও ক্রুসেডার খ্রিষ্টানদের হাত ধরে জায়নবাদী ইহুদি কুকুরদের দখলে। ফিলিস্তিন আজও একজন সালাহুদ্দিনের জন্য ডুকরে কাঁদে। ফিলিস্তিন আজও একজন বাইবার্সের অপেক্ষায় দিন কাটায়। ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য আমাদের অনেক কিছুই করার আছে। সেই করণীয়গুলো জানার জন্যই এ বই।
বর্তমান সময়ে অবশ্য পাঠ্য একটা বই। আমরা সাধারণ মুসলিমরা ভেবে পায়না কিভাবে আমাদের ফিলিস্তিনী ভাই বোন দের পাশে দাঁড়াবো! ফিলিস্তিনের এই সময়ে আমাদের করণীয়, বর্জনীয় এসব কিছু আছে এই বইতে। দখলদার জায়নবাদ বাহিনীর গণহত্যা, অন্যায় - অবিচার এর খণ্ড চিত্র ও তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ফিলিস্তিন নিয়ে ওলামায়ে কেরাম গণের ফতোয়া যুক্ত করা হয়েছে যেখানে স্পষ্ট জিহাদ ছাড়া কোন সমাধান নাই। কুরআনেই বর্ণিত আছে ইহুদী রা কখনোই চুক্তি রক্ষা করেনা। সুতরাং কোন প্রকার শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তাদের দখলদারিত্ব বন্ধ করা সম্ভব না।