Jump to ratings and reviews
Rate this book

এলিরিন

Rate this book
১১৮৭; মরুর বুক চিরে ঘোড়ায় চড়ে ধুলোর ঝড় তুলে ছুটে চলেছে দুই নাইট, গন্তব্য তাদের জেরুজালেম। অবরোধ সম্পন্ন হবার আগেই কাজ সারতে হবে তাদের, যার সফলতার উপর নির্ভর করছে তাদের অস্তিত্ব, জয়-পরাজয় সবকিছুই। তারা কি পারবে কাজটার সমাধা করতে? পারবে কি তারা হাজার বছরের পুরনো সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে?

হাসান ইকবাল; বর্তমান প্রজন্মের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তুখোড় এক তরুণ আর্কিওলজিস্ট, অল্প বয়সেই যার কিছু দুর্দান্ত অভিযান তাকে কিংবদন্তিতুল্য করে তুলেছে। নতুন ফান্ড পাওয়া লেকমন্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসরের প্রজেক্টে কাজ করবার নিমন্ত্রণের বদৌলতে হাসানের হাতেই হুট করে এলো গোপন এক মিশনে অংশ নেয়ার সুযোগ, যে মিশন তাকে নিয়ে যাবে স্বপ্ননগরী জেরুজালেমে। সেই রহস্যের সমাধানে, যার বীজ রোপিত হয়েছিল প্রায় সহস্র বছর আগে।

অতীত আর বর্তমানের মিশেলে এগিয়ে যাওয়া গল্পে পাঠক হারিয়ে যাবেন হাজার বছরের রহস্যজালে। তার চাইতেও বড় কথা, কী এই 'এলিরিন'?

অকাল্ট আর আর্টিফ্যাক্ট হান্টিংয়ের ইতিহাস-আশ্রিত এক ইউনিভার্সে স্বাগতম পাঠককে।

146 pages, Hardcover

Published October 24, 2020

3 people are currently reading
73 people want to read

About the author

Abdullah Ibn Mahmud

20 books198 followers
Born in Bangladesh, Abdullah Ibn Mahmud passed his childhood in Dubai, the UAE, the tourists' heaven. Returning to his home country, he passed his intermediate from Science department in 2011 from Notre Dame College, Dhaka. After that, he started his B.Sc. in the top-most engineering university of the country, BUET (Bangladesh University of Engineering & Technology) in Electrical & Electronic Engineering (EEE). After obtaining B.Sc., he went on to pursue MBA in 2017 and finished the degree from the highest academic institution in the business line, IBA of Dhaka University.

He started his writing career during his undergrad life and earned huge popularity through his historical writings published in the Bangla version of the popular analyst platform of South Asia, Roar Global. His writings on Roar Bangla have accumulated over 3.6 million readers in the last two years alone.

Abdullah loves to read and impart knowledge to those who like easy-reads. He is one of the pioneers of the country who popularized the reading of non-fiction or history-based contents. His favorite topics include- myths, theological history, tech, and he totally adores Dan Brown & J. K. Rowling, having grown up reading their fictions, but making a career of non-fiction, mostly. His published works now total up to 6, with quite a few in the pipeline, including approved translation works.

শৈশবের গোড়ার ছয়টি বছর কেটেছে আরব আমিরাতের দুবাইতে। ২০১১ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করে আন্ডারগ্র্যাড শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল বিভাগে। ২০১৭ সালে বুয়েট থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-তে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

ভার্চুয়াল জগতে লেখালেখির সূচনা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঢোকার পর থেকে। বুয়েটে শেষ বর্ষে থাকাকালীন লেখা শুরু করেন রোর বাংলা প্ল্যাটফর্মে, যেখানে জনপ্রিয়তা পায় তার শতাধিক ফিচার, তার লেখাগুলো পঠিত হয় সাম্প্রতিক সময়েই প্রায় ৩৬ লক্ষ বার। ভালোবাসেন নতুন কিছু জানতে এবং জানাতে; প্রযুক্তি আর ফিকশন ছাড়াও পছন্দের বিষয়- বৈশ্বিক ইতিহাস, মিথ এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব।

প্রকাশিত নন্দিত বইগুলোর মাঝে আছে- ইহুদী জাতির ইতিহাস, অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে, এলিরিন, দ্য প্রফেট, সিক্রেট মিশনস, ইত্যাদি।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
8 (18%)
4 stars
19 (44%)
3 stars
14 (32%)
2 stars
2 (4%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 18 of 18 reviews
Profile Image for Zahidul.
450 reviews95 followers
December 28, 2021
“Only a mind free of impediment is capable of grasping the chaotic beauty of the world.”― Oliver Bowden, Assassin's Creed: The Secret Crusade
-
❝এলিরিন❞
-
১১৮৭ সাল, দ্বিতীয় ক্রুসেডের সময়কালের জেরুজালেম। সুলতান সালাদিনের বাহিনির কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বালিয়ানের নেতৃত্বে থাকা জেরুজালেমে অবস্থান করা ক্রুসেডার বাহিনি। তাই জেরুজালেমের অভ্যন্তরে থাকা কিছু অমূল্য সম্পদ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরবর্তীতে সেই অমূল্য সম্পদগুলোর আসল হদিশ সাধারণ মানুষ আর কখনোই জানতে পারে না।
-
বর্তমান সময়ের একজন নামকরা আর্কিওলজিস্ট হচ্ছেন ড.হাসান ইকবাল, হঠাৎ তিনি তার সাবেক প্রফেসর রিচার্ডসনের কাছ থেকে ডাক পেয়ে লেকমন্ট ইউনিভার্সিটিতে আসেন। সেখানে গিয়ে হাসান জানতে পারে অদ্ভুত কিছু সত্য এবং জড়িয়ে পড়ে এক গোপন মিশনে। এখন প্রায় হাজার বছর আগে জেরুজালেমে থাকা অমূল্য সম্পদ গুলো বর্তমানে কোথায় রয়েছে? সেই ঘটনার সাথে হাসান ইকবাল আর তার দলের গোপন মিশনের কী সম্পর্ক? ❝এলিরিন❞ আসলে কী জিনিস? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এর হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার গল্প ❝এলিরিন❞।
-
❝এলিরিন❞ বইটাকে মোটাদাগে হিস্টোরিক্যাল আর কন্সপিরেসি থ্রিলার ঘরানার মিশ্রণ বলা যায়। ক্রুসেডের উপর ভিত্তি করে লেখা বইয়ের মূল প্লটটি বেশ ভালোই ছিলো, এ ধরনের প্লটের গল্প পড়তে আমার বেশ পছন্দ। তবে বইয়ের প্লটের তুলনায় লেখনশৈলী আর সংলাপ বেশ দুর্বল লাগলো। বইতে যে ধরণের ঐতিহাসিক সম্পদের ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে সেগুলোকে ঘিরে মূল কাহিনি যেরকম সাস্পেন্সফুল থ্রিলার হওয়ার কথা ভেবেছিলাম, সেই রকম সাসপেন্স বইতে ফুটে উঠেনি বলে মনে হলো।
-
❝এলিরিন❞ বইয়ের মূল চরিত্রে ছিলো হাসান ইকবাল, এছাড়াও বেশ অনেকগুলো চরিত্র বইয়ের কাহিনির প্রয়োজনে এসেছে। তার ভেতরে কোন চরিত্রেরও তেমন একটা গভীরতা পেলাম না, কয়েকটি চরিত্রের কার্যক্রমও তেমন বিশ্বাসযোগ্য মনে হলো না। হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার ঘরানার বলে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার, বিশেষ করে সেকেন্ড ক্রুসেড ভিত্তিক কিছু ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। তবে সেগুলো অনেকাংশে আগেই জানা ছিলো বলে তেমন একটা চমৎকৃত হইনি। এছাড়া গল্পের এন্ডিং খুবই রাশড মনে হয়েছে, যে কারণে অনেক কিছুর ঠিকভাবে ব্যাখ্যা না দিয়ে অত্যন্ত সরলভাবে বইটাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে, যা কতটুক বাস্তবসম্মমত হয়েছে সেই ব্যপারে আমি সন্দিহান।
-
❝এলিরিন❞ বইয়ের প্রোডাকশন প্রথম পেইজ থেকেই সুবিধার মনে হয়নি। নতুন বই হলেও বইয়ের পাতাগুলো অনেক পুরোনো মনে হচ্ছিলো এবং বাঁধাইও মোটেও সুবিধার নয়। বইয়ের প্রচ্ছদটি মোটামুটি চলার মতো হলেও নামলিপির মাঝে বইয়ের লোগো দেওয়ার কারণে তা ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছিলো না। বইয়ের কাহিনি অনুসারে ভেতরে কিছু ছবি দেওয়া হয়েছে, তবে সবগুলো ছবি গতানুগতিকভাবে মিডল অ্যালাইনমেন্টে দেওয়ায় তা তেমন একটা সৌন্দর্য বর্ধন করতে পারেনি বইয়ের, আর প্রিন্টিং মিস্টেকও ছিলো বেশ কিছু। আরেকটু যত্ন সহকারে বইয়ের প্রোডাকশন হলে পড়তে আরেকটু আরাম বোধ করতে পারতাম হয়তো।
-
এক কথায়, ❝এলিরিন❞ বইটিতে ক্রুসেডের পটভূমিতে ড্যান ব্রাউনীয় কায়দায় একটি বাংলা মৌলিক হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার লেখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। বইয়ের প্লটটি ইন্টারেস্টিং হলেও বাদবাকি ব্যাপারগুলো তেমনভাবে লেখা না হাওয়ায় গল্পটি তার ফুল পটেনশিয়ালে যেতে পারেনি বলেই আমার ধারণা। যারা কন্সপিরেসি কিংবা হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার টাইপ গল্প পড়তে খুবই পছন্দ করেন তারা ❝এলিরিন❞ বইটি পড়ে দেখতে পারেন, হয়তো তাদের কাছে বইটি আমার চেয়েও বেশি ভালো লাগতে পারে।
Profile Image for Nafisa Tarannum.
77 reviews25 followers
April 18, 2023
নিঃসন্দেহে চমৎকার! কিন্তু বেশ ভালো হুরোহুরি করেছেন লেখক পুরোটা বই জুড়ে! এমন না হলে একদম ৫ তারকাই দেয়া যেতো। আরো শব্দ বাড়িয়ে আরো পৃষ্ঠা বাড়িয়ে চমৎকার একটা এডভেঞ্চার হিস্টোরিকাল ফ্যান্টাসি করা যেতো।
Profile Image for শুভাগত দীপ.
275 reviews47 followers
March 19, 2021
|| রিভিউ ||

বইঃ এলিরিন
লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ
প্রকাশকঃ আদী প্রকাশন
প্রকাশকালঃ অক্টোবর, ২০২০
ঘরানাঃ হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার
প্রচ্ছদঃ আদনান আহমেদ রিজন
পৃষ্ঠাঃ ১৪৪
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা
ফরম্যাটঃ হার্ডকভার


কাহিনি সংক্ষেপঃ আমেরিকার লেকমন্ট ইউনিভার্সিটির আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্টের প্রোফেসর ড. উইলিয়াম এইচ. রিচার্ডসন স্মরণ করলেন তাঁর পুরোনো ছাত্র হাসান ইকবালকে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হাসান ইকবাল এই সময়ের নামকরা তরুণ একজন আর্কিওলজিস্ট। বিশেষ করে সিরিয়াতে তার কাজের বেশ সুনাম আছে আর্কিওলজি জগতে। প্রোফেসর রিচার্ডসন তার কাছে সাহায্য চাইলেন সেই ক্রুসেড যুদ্ধের সময়ে হারিয়ে যাওয়া এক আর্টিফ্যাক্ট উদ্ধারের জন্য। ইজরায়েলে অবস্থিত পবিত্র শহর হিসেবে খ্যাত জেরুজালেম থেকে হারিয়ে যাওয়া মুসলিম ও ইহুদিদের পবিত্র সেই আর্টিফ্যাক্টের খোঁজ বের করতে হবে হাসানকে। আর তাকে এই মিশনে সাহায্য করবে সাবেক আমেরিকান নেভি সিল জেমস রাইট।

১১৮৭ খ্রিস্টাব্দ। জেরুজালেমের পতন প্রায় নিশ্চিত। ইহুদিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সুলতান সালাদিনের বিশাল ও দক্ষ বাহিনীর কাছে। নাইট টেম্পলারদের দুই সদস্য ঘোড়া ছুটিয়ে চলেছে জেরুজালেম অভিমুখে। উদ্দেশ্য একটাই, পবিত্র দ্য আর্ক অভ কোভেন্যান্টকে লুকিয়ে ফেলার বার্তা সেখানকার যাজকের হাতে তুলে দেয়া। ওদিকে নাইট টেম্পলার ও গুপ্তঘাতকদের সংগঠন হাশাশিনদের দলত্যাগী নতুন এক সংগঠন এলিরিন জড়িয়ে গেলো এসবের মধ্যে৷ শেষমেশ কি সুলতান সালাদিনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলো দ্য আর্ক অভ কোভেন্যান্ট?

শুরু হলো আর্কিওলজিস্ট হাসান ইকবাল ও সাবেক নেভি সিল জেমস রাইটের অভিযান। গন্তব্য ঐতিহাসিক শহর জেরুজালেম। শুরু থেকেই হাসান ও জেমস টের পেলো একাধিক সিক্রেট এজেন্সি ফলো করছে ওদেরকে। এর পাশাপাশি আছে অচেনা কিছু মানুষও, যাদের উদ্দেশ্য এই দুজনের কাছে পরিস্কার না। প্রাচীন সেই আর্টিফ্যাক্টের খোঁজে হাসান ও জেমসকে যেতে হলো জেরুজালেমের পবিত্র টেম্পল মাউন্টেইনে। সেখান থেকে ওদের মিশন ওদেরকে টেনে নিয়ে গেলো আব্রাহামের সমাধিস্থল ও বিখ্যাত জর্ডান নদীর অববাহিকাতেও। চলতে থাকলো দুজনের রোমাঞ্চকর অভিযান।

ঐতিহাসিক আর্টিফ্যাক্টগুলোর পেছনে যেমন স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ সারাজীবন ধরে লেগে আছে, তেমনি সেগুলোকে সযত্নে রক্ষাও করে চলেছে কেউ কেউ। কার মনের ভেতরে কি চলছে, তা বোঝা বড় কঠিন। নাইট টেম্পলার ও হাশাশিনরা আজকের এই পৃথিবীতে না থাকলেও থেকে গেছে এলিরিন। আর তাদের সেই এক্সিস্ট্যান্সের পেছনেও রয়েছে প্রাচীন আর সুনির্দিষ্ট এক উদ্দেশ্য। কি সেই উদ্দেশ্য? হয়তো জানবে হাসান ও জেমস।


পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার 'এলিরিন'-এর প্রেক্ষাপট হলো জেরুজালেম শহর ও ১১৮৭ সালে জেরুজালেমে সংঘটিত হওয়া সুবিশাল ক্রুসেড যুদ্ধের একাংশ। দুটো টাইমলাইন ধরে এগিয়েছে এই উপন্যাসের কাহিনি; অতীত ও বর্তমান। প্রায় সমান্তরালেই লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এগিয়ে নিয়ে গেছেন এই দুটো সময়ের গল্পকে।

'এলিরিন'-এ ক্রুসেডের সময়কার ঐতিহাসি��� বর্ণনাগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো। লেখক উপন্যাসের মোড়কে পিওর ফ্যাক্ট নিয়ে গল্পচ্ছলেই আলোচনা করে গেছেন। প্রাচীন ইহুদি ও মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস ও ঐতিহাসিক ক্রুসেড যুদ্ধে মুসলিমদের হাতে জেরুজালেমের ইহুদিদের পতনের বেশ পরিস্কার একটা চিত্র পাওয়া গেছে এই উপন্যাসে। সুলতান সালাদিন, বালিয়ান ইভ ইবেলিন ও ইরাক্লিয়াসের মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লেগেছে৷ সেই সাথে ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গার বর্ণনাও 'এলিরিন'-কে করেছে অনেকটাই সমৃদ্ধ।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের লেখার ধরণ বেশ সহজ-সরল। হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার লিখলেও তিনি অহেতুক জ্ঞান দেয়ার কোন চেষ্টা করেননি তাঁর এই উপন্যাসে। ঐতিহাসিক তথ্যগুলো যেকোন হিস্টোরিক্যাল থ্রিলারপ্রেমীর কাছে উপভোগ্য মনে হবে। তবে স্টোরি বিল্ডাপে কিছু সমস্যা আছে বলে মনে হয়েছে আমার। প্রথমত, অসঙ্গতি। আর্কিওলজিস্ট হাসান ইকবালকে যখন লেকমন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রোফেসর রিচার্ডসন ডেকে পাঠালেন, তখন থেকে শুরু করে বেশ কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে। যেমন বিলাসবহুল লিমোজিন ব্যবহার, অস্বাভাবিক অঙ্কের খরচ, এই অভিযানের বৈধ কাগজপত্রের অভাব। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে হাসানের মনে প্রশ্নের উদয় হলেও সে গুরুত্ব দেয়নি। অথচ স্বাভাবিকভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ ছিলো।

দ্বিতীয়ত, ইন্সট্যান্ট রেজাল্ট। আর্টিফ্যাক্ট হান্টের অভিযানে হাসান ও জেমস যেখানেই যাচ্ছিলো, সেখানেই বড় দ্রুত হিন্ট পেয়ে যাচ্ছিলো সবকিছুর। যেন সব হিন্ট থালায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে ওদের জন্য। উল্লেখ আছে, প্রোফেসর ওদের জন্য আগে থেকেই নানা সিক্রেট এন্ট্র‍্যান্স ও সুড়ঙ্গের ম্যাপ করে রেখেছিলেন। তারপরও সবকিছু যেন বড় দ্রুতই ঘটে যাচ্ছিলো। এই ব্যাপারটা অদ্ভুত লেগেছে। লেখক যতোই বলুন যে কাহিনি এখনো শেষ হয়নি, তবুও আরেকটু বৈচিত্র্য এনে বর্ণনা সামান্য দীর্ঘায়িত করা উচিৎ ছিলো বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।

তৃতীয়ত, মোসাদ সহ অন্যান্য সিক্রেট সার্ভিসের ভূমিকা। দুজন আমেরিকান নাগরিক, তাদের মধ্যে একজন আবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইজরায়েলে একটা ঐতিহাসিক আর্টিফ্যাক্ট খুঁজতে গেছে। অথচ একটা নির্দিষ্ট সময় পর মোসাদ ওদের ওপর নজরদারি বন্ধ করে দিলো। ব্যাপারটার যৌক্তিক ব্যাখ্যা আমি আসলে পাইনি। এই প্লটহোলগুলো নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে পারিনি। বইয়ের শেষে লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী অনেক কিছুরই খোলাসা করা হহ পরবর্তী বইয়ে/বইগুলোতে। দেখা যাক। হাসান ইকবালকে নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছা আছে লেখকের। সেই চেষ্টা সার্থক হোক।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ তাঁর এই উপন্যাসে বেশ কিছু ছবি ব্যবহার করেছেন। সেগুলো বইটা পড়ার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আদনান আহমেদ রিজনের করা প্রচ্ছদ ভালোই লেগেছে।


ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩.৫/৫
গুডরিডস রেটিংঃ ৩.৮৬/৫

#Review_of_2021_12

#Review_Elirin

~ শুভাগত দীপ ~

(১৯ মার্চ, ২০২১, রাত ১০ টা ৫৪; নাটোর)
Profile Image for Injamamul  Haque  Joy.
100 reviews115 followers
February 12, 2021
ইনফরমেটিভ। কাহিনীর ভাজে ভাজে নন-ফিকশন দিয়ে বর্ণনা দেওয়াটা অসাধারণ লেগেছে। পুরো বইয়ের কাহিনী মূলত 'আর্ক অব দ্য কোভেন্যান্ট' নিয়ে। যার ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক মূল্যের জন্য সবাই এটা পেতে চায়। লেকমেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসরের প্রজেক্টে কাজ করার দরুন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হাসানের কাছে সুযোগ আসে এক গোপন রহস্যময় মিশনে অংশগ্রহণ করার। যেই রহস্যের বীজ বপন হয়েছিলো হাজার বছর আগে। খুজতে হবে হাজার বছর আগের সেই মোস্ট ওয়ান্টেড 'আর্ক অফ দ্য কোভেন্যান্ট'। শেষ পর্যন্ত হাসান কি উদ্ধার করতে পেরেছিলো সেই ঐতিহাসিক অকাল্ট সিন্দুক 'আর্ক অফ দ্য কোভেন্যান্ট' কে?

লেখকের লেখনী দূর্বল। বর্তমান সময়ের কাহিনী বেশ ডেস্ক্রিপ্টিভ হলেও অতীত কাহিনীতে যেই গাম্ভীর্য প্রয়োজন ছিলো সেটা ফুটে তুলতে পারে নি। সাথে ইমম্যাচিউর সংলাপ তো আছেই। রহস্যটাও তেমনভাবে তৈরী করতে পারে নি। বইটা আরোও ১০০পৃষ্ঠা বেশি হলে হয়ত রহস্যটা বেশ ঘনীভূত হত। তবে এই ছোট বইটাতেও হাসান চরিত্রটা বেশ ফোকাসে এনেছে। ডোম অব দ্য রক, ডোম অব দ্য চেইন, বায়তুল মুকাদ্দাসের ডেস্ক্রিপশন বেশ ভালো ভাবে করেছে। আর্ক অব দ্য কোভেন্যান্ট নিয়েও বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে। তবে ফ্ল্যাপ দেখে যেই এক্সপেকটেশন তৈরি হয়েছিলো, সেটা পাইনি।
Profile Image for Muaz Abdullah.
20 reviews8 followers
January 1, 2021
আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ ভাইয়ের লেখা 'এলিরিন' বইটি মাত্র পড়া শেষ করলাম। ২০২১ সালে পড়া প্রথম বই। যদিও বা অনেকদিন আগেই কিনে ফেলেছিলাম। সময়ের অভাবে পড়া হয়নি। লেখক এর আগের দুটো বই মোটামুটি পড়া আছে। তাই লেখক এর লেখা ধাচ সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত।

এবার মূল গল্পের কথায় আসি। বইটি মূলত একটি প্রত্নতত্ত্ব রিলেটেড ফিকশন non-fiction এর মিশেলে তৈরি কাহিনী। বইটিতে ব্যবহার করা প্রায় প্রত্যেকটি প্রত্নতত্ত্ব এবং ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ বাস্তব।

এই ধরনের বই আমার আগে পড়া হয়নি। বইয়ের ইতিহাস বর্ণনায় অনেক জায়গায় মনে হচ্ছিল হুট করে নতুন প্রেক্ষাপট চলে আসছে। কিছু জায়গায় বোধগম্য হয়ে মিলাতে খানিকটা কষ্ট হচ্ছিল। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে বইয়ের প্রিন্টে বেশ ভালো পরিমাণে প্রিন্টিং মিসটেক ছিল। যা বেশ বিরক্তিকর লেগেছে।


তবে ওভারঅল গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে। ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় নিয়ে গিয়েছে। জানিয়েছে নানা অজানা বিষয়।

আশা করছি এই সিরিজে পরবর্তী আরও বই আসবে। লেখক এর জন্য শুভকামনা রইল।
Profile Image for Heisenberg.
151 reviews8 followers
November 18, 2020
ভাল লেগেছে..তবে ইতিহাস গুলি হুট করে আসা টা অসামঞ্জস্য লেগেছে..আশা করি পরের বইয়ে এটি সামঞ্জস্যই হয়ে যাবে..আর হোক না হাসান কে নিয়ে আরও গল্প..ক্ষতি কি..ল্যাংডন না হোক..হাসানেই খুশি..
Profile Image for Sajol Ahmed.
56 reviews2 followers
May 11, 2021
"কিংবদন্তী কখন কিংবদন্তী হয়ে দাঁড়ায় জানেন? ইতিহাস যখন চাপা পড়ে লোককাহিনী আর জনশ্রুতির অন্তরালে তখন।"

"ভালো কথা মনে করালে, এটা কীভাবে ভুলে যাচ্ছিলাম," বলে প্রফেসর দুটো টিকেট এগিয়ে দিলেন তাদের দিকে, "এই নাও, প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট তাই বিজনেস ক্লাস দিতে বলেছিলাম। ছয়দিন বাদে শুক্রবার রাত ১১ টায় প্লেন ছেড়ে যাবে। এল আল এয়ারলাইন্সের টিকেট। আগে কখনও চড়া হয়েছে?"
দু'জনেই না করলো মাথা নাড়িয়ে। টার্কিশ এলারলাইন্সে করে আজকেই নিউ ইয়র্ক ল্যান্ড করেছে হাসান, কিন্তু 'এল আল' (El Al)-এর ব্যাপারে ভালো করেই জানে সে। ইসরাইলের প্রধান বিমান সংস্থা "এল আল এয়ারলাইন্স" একটি কারণে বিশেষ নামকরা। এল আল পৃথিবীর একমাত্র যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স যাদের বিমানে মিলিটারি লেভেলের অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম আছে। তাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত কমার্শিয়াল এয়ারলাইন্স বলা হয় 'এল আল'-কে। "আকাশপানে" (হিব্রু 'এল আল') নামটা সেই হিসেবে মন্দ হয়নি।

ঘটনার শুরু সেই ১১৮৭ সালে। ইসরাইলের পবিত্র ভূমি জেরুজালেমে লুকিয়ে আছে এমন এক আর্টিফ্যাক্ট, যা খুঁজে পেলে বলদে যাবে পৃথিবীর চিত্র। যার কাছে থাকবে সেই আর্টিফ্যাক্ট, সেই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মানব।
সত্যিই কি এমন কিছু লুকিয়ে আছে জেরুজালেমের বুকে? সেটাই খুঁজে দেখতে পবিত্র ভূমিতে পদার্পণ করে তরুন আর্কিওলজিস্ট হাসান ইকবাল আর তার সঙ্গী ইউএস নেভির এক্স লেফটেন্যান্ট জেমস রাইট। জেরুজালেম পৌঁছেই জেমসের অভিজ্ঞ নজর ধরতে পারে মোসাদ'সহ বিশ্বের চৌকশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থার নজরবন্দি তাড়া। এখন কি করবে তাড়া? যে কাজে এসেছে সেটা তাড়া জানতে পারলে আর রক্ষা থাকবে না। তারপর...!!!

'এলিরিন' মূলত প্রাচীন জেরুজালেরমের ইতিহাসের একটি অংশ এবং মিথলজির মিশেলে লেখা উপন্যাস বা উপন্যাসিকা। তবে এ গল্পে উল্লেখিত ঐতিহাসিক তথ্য এবং আর্টিফ্যাক্ট সত্য বলে লেখক ভূমিকাতে উল্লেখ করেছেন।
পুরো গল্প আর বইয়ের ভূমিকা পড়ে মনে হয়েছে লেখক ড্যান ব্রাউন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বইটা লিখেছেন। ড্যান ব্রাউনের মতো করেই ধর্মীও এবং ঐতিহাসিক তথ্য মিশিয়ে রহস্য তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে পুরোপুরি ড্যান ব্রাউনের মতো তো সম্ভব নয়, তবে ভালো, বেশ ভালোই বলতে হবে।
গল্পের প্লটটা ছিল খুবই চমৎকার। তবে ঐতিহাসিক প্লেসগুলোর বর্ণনা অনেকাংশেই কম বলে মনে হয়েছে। সেইসাথে রহস্যগুলোও অনেকটা সাদামাটা। গল্পটা পড়া শুরুর পর থেকেই মাথায় শুধু ড্যান ব্রাউনের 'এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স'র সিনগুলো ঘুরছিল। সে কারণেই কিনা জানি না, এই গল্পে রহস্যজাল আরো মজবুত এক্সপেক্ট করেছিলাম। সেদিক দিয়ে কিছুটা আশাহত হয়েছি।
লেখক গল্পে খুব বেশি সাসপেন্স তৈরি করতে পারেননি। খুব তাড়াতাড়িই এক একটা সিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। ধাঁধাঁর উত্তরগুলো খুব দ্রুতই বেড় করে ফেলছে। তাই জন্য রহস্যজালের বুননটা মজবুত হয়নি। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় বর্ণনা অনুবাদের মতো লেগেছে।
তবুও কেন জানি গল্পটা খুবই গতিশীল। পড়ার সময় বিরক্তি আসবে না একদমই। জানতে ইচ্ছে হবে এরপর কি হলো?
বইয়ের প্রচ্ছদে ফুটে উঠেছে জেরুজালেমের একাংশ। বইয়ের অধ্যায়গুলোতেও রয়েছে বিভিন্ন সময়ের ঐতিহাসিক সাক্ষীর চিত্র। সেই সাথে মিল রেখে অধ্যায়ের নাম।
সবমিলিয়ে বইটা ভালো লেগেছে। রেটিং দিতে বললে ৩.৫ দেয়া যায় অনায়াসে। ইতিহাস, এডভেঞ্চার লাভাররা পড়ে ফেলতে পারেন।

#হ্যাপি_রিডিং
****************
বই : এলিরিন
লেখক : আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ
প্রচ্ছদ : আদনান আহমেদ রিজন
ধরন : ঐতিহাসিক, পৌরাণিক, এডভেঞ্চার উপন্যাস
প্রকাশনী : আদী প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা
প্রকাশকাল : অক্টোবর, ২০২০
1 review
January 17, 2021
Plot is solid. But build up and progression is not good in this book. I think If this book was of 300 pages it would’ve been way more better. This kind of plots need time time to build up. Overall, this is a good book.
Profile Image for রায়হান রিফাত.
255 reviews8 followers
June 1, 2021
লেখক নিজেই বলেছেন ড্যান ব্রাউন একটা স্বাদ পাওয়া যাবে।।
আসলেই উনার লেখনীতে ড্যান ব্রাউন একটা ভাব আসে।।

যাইহোক একটা সুন্দর প্লট নিয়ে গল্প এগিয়েছে।।

তবে হিস্টোরিকাল থ্রিলার হিসেবে বই টা আর ও বড় হলে বোধয় বেশি ভাল হত যেহেতু অনেক ধাধা আর রহস্য থেকে গেলো।।।
তবে লেখক বলেছেন কিছু প্রশ্নের উত্তর পরের বই তে পাওয়া যাবে৷।।
সেই অপেক্ষায় থাকলাম ♥

ফিনিশিং টা দ্রুত না দিলে ৮/১০ অনায়াসেই পাওয়া যেত এই বই এ ♥

আপাদতঃ ৭.৫/১০ ই ভরসা ♥
Profile Image for Sakib A. Jami.
336 reviews36 followers
September 14, 2024
▪️ “এলিরিন কেন পড়তে চেয়েছিলাম? :

একটি বই পড়তে চাওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এই যেমন, “এলিরিন” বইটি পড়তে ইচ্ছে হয়েছিল, কেবল লেখকের জন্য। আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ পরিচিত তার ইতিহাস ও ধর্মীয় বিষয়ক নন-ফিকশন বইয়ের জন্য। তিনিও যে ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে থ্রিলার বা ফিকশন লিখেছেন, হয়তো অনেকেই জানেন না। আমার শুধু আগ্রহ ছিল, লেখক কীভাবে ফিকশন জাতীয় উপন্যাস লিখেন, তা জানতে। কারণ নন-ফিকশন আর ফিকশনে মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে। দুইটার লেখার পদ্ধতি ভিন্ন। লেখক কেমন লিখেন জানার আগ্রহ ছিল বেশ।

তাছাড়া ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে এ জাতীয় থ্রিলার উপন্যাস আমার বেশ পছন্দের। পড়তে ভালো লাগে। এক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একদিকে ছুটে চলে ইতিহাসের গল্প, অন্যদিকে বর্তমান সময়। দুই সময়কে এক বিন্দুতে মিলতে হতে দেখা আর কাছে রোমাঞ্চকর মনে হয়, সেই আগ্রহ থেকেই বইটি পড়তে চেয়েছিলাম। যেহেতু প্রিয় জনরার বই। এখন ইচ্ছা আর চাওয়ার সাথে পাঠ অভিজ্ঞতা কেমন হলো? সে নিয়ে আলোচনা করা যাক।

▪️ ইতিহাসের পাতা থেকে :

পৃথিবীর সৃষ্টির সূচনা থেকে এখন পর্যন্ত সময় বয়ে চলছে নিজ নিয়মে। কত ইতিহাসের সাক্ষী হতে হয়েছে! কত মহাপুরুষ এসেছে ঐক্যের বাণী ছড়িয়ে দিতে! কত ঐতিহ্য মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে! আবার সেসব ঐতিহ্যের জন্য হয়ে যুদ্ধ-বিগ্রহ। নিজেদের সম্রাজ্য সমৃদ্ধ করার মিশনে ধর্মীয় অবয়বেও যুদ্ধ হয়েছিল বেশ। বিশেষ করে ক্রুসেড যুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি। বিশ্বের বৃহত্তম দুই ধর্মীয় জাতির একে অপরের লড়াইটা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ধর্মের নামে এমন যুদ্ধ এখনো চলমান। তবে আমরা কথা বলব আজ থেকে প্রায় নয়শ বছর আগের সময়টা নিয়ে। যখন সূচনা হয়েছিল দ্বিতীয় ক্রুসেডের।

মুসলিম সম্রাজ্যের সম্প্রসারণ তখন অনিবার্য নিয়ে পড়েছে। চারিদিকে দ্য গ্রেট সালাউদ্দিন (সালাদিন)-এর জয় জয়কার। একে একে দখল করে নিচ্ছে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত একাধিক এলাকা। প্রতিরোধ গড়েও খ্রিষ্টান সৈনিকরা বরাবরই ব্যর্থ। ছোট হোক বা বড়, যেকোনো দল নিয়েই বিজয়ের পথে মুসলিম বাহিনী। এরপর? লক্ষ্য জেরুজালেম।

জেরুজালেম তখন পতনের মুখে। মুসলিম বাহিনীর কাছে টিকতে পারছে না বালিয়ানের নেতৃত্বাধীন ক্রুসেডার বাহিনী। তাদের পতন অনিবার্য। সময় এসেছে আত্মসমর্পণ করার। কিন্তু এই জেরুজালেমের ঐতিহ্য এত সহজে বিলীন হয়ে যাবে? কত অমুল্য সম্পদ লুকায়িত আছে এর অভ্যন্তরে। সেগুলোর কী হবে? ধরে ধীরে সেসব পাচার করে দেওয়া হচ্ছে? কোথায়? কেউ জানে না। মুসলিম বাহিনী কি পাবে তার নাগাল? না-কি ইতিহাসের এক অদৃশ্য গোপন সত্যের মতো নিজেকে আড়াল করে রাখবে সেই অমুল্য সম্পদ?

▪️ফিরে আসা যাক বর্তমানে :

বর্তমান সময়ের এক তরুণ নৃতত্ত্ববিদ ড. হাসান ইকবাল। তিনি বিদেশ প্রবাসী। আমেরিকার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। এই অল্প বয়সেই বেশ নাম করেছেন গবেষণা সম্পর্কিত কাজে। বহুকাল পর তিনি দেশে এসেছেন। কিন্তু থাকতে পারলেন কই! লেকমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ডসনের কাছ থেকে হঠাৎ করে ডাক পান, তিনি তার সাবেক প্রফেসর ছিলেন। রোমাঞ্চকর ও গুরুত্বপুর্ণ কাজ মনে করে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে।

সেখানে জানতে পারেন অদ্ভুত এক ইতিহাস। জড়িয়ে পড়েন এক মিশনে। সেই প্রাচীন কালে জেরুজালেমে রাখা সেই অমুল্য সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি ম্যাপ আর কিছু তথ্য, তারই সন্ধান করতে চায় প্রফেসর রিচার্ডসন। আর সে কারণেই গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ে অভিজ্ঞ হাসানকে তার দরকার। এমন রোমাঞ্চকর অভিযানে না বলার কোনো কারণ নেই। কিন্তু হাসান কি জানে, যে জিনিস শত শত বছর ধরে লুকিয়ে আছে কোনো গোপন প্রকোষ্ঠে; তাকে কি এত সহজে খুঁজে বের করা সম্ভব?

প্রাচীন কাল থেকেই কিছু গুপ্ত সংঘ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। নামে গুপ্ত হলেও আদতে তারা গুপ্ত নয়। তাদের সম্পর্কে মানুষ জানে, জানার আগ্রহ পারে। অতীতে গুপ্ত ঘাতকের অনেক সংগঠন ছিল। ইসলামে যেমন ছিল, ছিল অন্য ধর্মেও। ধর্মের গোপন বিষয় আগলে রাখতে বা ধর্মের মূলধারা বাঁচাতে এরা যে কারো প্রাণ হরণ করত। তাদেরই আধুনিক রূপ যে এলিরিন। যুগ যুগ ধরে নিজেদের কাজ করে আসছে তারা। কেউ জানে না, তারা কারা। কী কাজ তাদের! এই রহস্য এখন উন্মুক্তের দ্বারপ্রান্তে। উন্মুক্ত হবে তো?

▪️পাঠ প্রতিক্রিয়া :

“এলিরিন” বইটির সবচেয়ে দূর্বল দিক কী জানেন? বইটির আকৃতি। এত বিশাল পরিসরের এই বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র ১৪৪! ফলে গল্পের যে আকর্ষণ, যে বিস্তৃতি; অচিরেই তা যেন হারিয়ে গিয়েছে।

বইটিতে দুইটি টাইমলাইন সমানভাবে ছুটে চলেছে। অতীতের রহস্যের পাশাপাশি বর্তমানের রোমাঞ্চকর অভিযান যেন এক সূত্রে গাঁথা। অতীত নিয়ে কোনো অভিযোগ যেই। যতটুকু প্রয়োজন লেখক ঠিক ততটাই বর্ণনা করেছেন। মূলত গল্পের গাঠ���িক আকৃতি, গতি প্রকৃতি এই অতীতের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়েছে। ইতিহাসের এই অংশটাও আকর্ষণীয়। লেখক যদিও বিস্তারিত বর্ণনা দেননি, তারপরও পাঠককে ক্রুসেড সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে। ইতিহাসের এই অংশকে কল্পনার সাথে জুড়ে দিয়ে রচনা করা সহজ বিষয় নয়।

এবার আসি বর্তমান প্রসঙ্গে। বর্তমান সময়টা এই গল্পের গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ছিল। যেহেতু ইতিহাসকে ভিত্তি ধরে গল্পের ধারা এখানেই চলমান থাকবে। সেখানে লেখক খেই হারিয়ে ফেলেছেন মনে হলো। কেননা এরূপ জাতীয় বইয়ের ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায়, এমন রোমাঞ্চকর অভিযান অনেক দীর্ঘায়িত হয়। পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়, শত্রুপক্ষ সহজে ছেড়ে দেয় না। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের একটা বিষয় থাকে।

এই বইয়ে এগুলোর অনুপস্থিতি ছিল। একটা গুপ্ত রহস্য, হাজার বছর ধরে যার কূলকিনারা কেউ করতে পারেনি; যার খোঁজ অসংখ্য মানুষ করেছে, সফল হয়নি। কেউ হারিয়ে গিয়েছে। এমন গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে খুব সহজে শেষ দিকে চলে যাওয়া ঠিক মনঃপূত হয়নি। বরং মনে হয়েছে কাকতালীয় বিষয়ের ছড়াছড়ি। ফলে খুব সহজেই যেকোনো সূত্র সমাধান হয়ে যাচ্ছে। আরেকটু যুক্তিতর্কের উপস্থাপন আমি আশা করেছিলাম।

লেখকের লেখা নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নেই। তিনি দারুণ লিখেন। গল্প বলতেও পারেন খুব সাবলীলভাবে। ইতিহাসের কচকচানি এত সহজে উপস্থাপন করেন, বিরক্ত লাগে না। কিন্তু “এলিরিন” বইতে তিনি ইতিহাসের উপর যেভাবে জোর দিয়েছেন, সেই গুরুত্ব বর্তমান সময়ের উপর দেননি। মূল কথা, তিনি তথ্য জানানোতেই সময়ক্ষেপণ করেছেন। আর বর্তমানের যে ঘটনাপ্রবাহ, তাতে বেশ অবিচার করেছেন।

এছাড়া শেষটাও কেমন যেন ঠিক মিলল না। লেখক এখানে ওপেন এন্ডিং রেখেছেন। চাইলে এর থেকে সিরিজের পরবর্তী বই শুরু করা সম্ভব। লেখকের সে ইচ্ছা আছে কি না, কে জানে!

▪️চরিত্র :

চরিত্র গঠনেও লেখকের দুর্বলতা লক্ষ্যণীয়। বিশেষ করে মূল যে চরিত্র, কোনো চরিত্রই ঠিকঠাক ফুটে ওঠেনি। ড. হাসান ইকবালকেই কেবল লেখক গুরুত্ব দিয়েছেন। তার ব্যাকস্টোরি যদিও লেখক দিয়েছেন, কিন্তু তার সমকর্মী— যার সাথে এই অভিযানে গিয়েছিলেন, সেই জেমস রাইটকে লেখক যে আড়ালেই রেখে দিয়েছেন। ঠিক কী কারণে জানি না। কিছু আভাস দিলেও খোলসা করা হয়নি। এমনকি যে প্রফেসরের আমন্ত্রণে এই অভিযান, তার অতীত সম্পর্কেও লেখক কোন বর্ণনা করেননি। ফলে কোনো চরিত্রের সাথেই তেমন সংযোগ স্থাপিত হয়নি। মনে ধরার মতো কোনো চরিত্র এখানে ছিল না।

বইটিতে বেশ কিছু চরিত্র থাকলেও তাদের তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। গুরুত্ব পেয়েছে কেবল হাসান ইকবাল, জেমস রাইট ও প্রফেসর রিচার্ডসন। গুরুত্ব দিলেও আলোচনা তেমন ছিল না, যেটা আগেই বলেছি। তাছাড়া বাকি দু-চারটা চরিত্রের নাম জানা যায়, কেবল আনার জন্যই কেবল আনা। শোভা বর্ধন করতে চেয়েছেন যে লেখক। এই দিকটাতে লেখক একটু গুরুত্ব দিতে পারতেন। ফলে চারিত্রিক দিক দিয়ে বইটির দুর্বলতা কিছুটা হলেও কমতো।

▪️বানান, সম্পাদনা ও অন্যান্য :

বইটিতে বানান ভুল ছিল ঈষৎ পরিমাণে। সম্পাদনার অভাবও চোখে পড়েছে। এই দিকগুলো নিয়ে আজকাল প্রকাশনীগুলোকে চিন্তা করতে দেখা যায় না। ফলে ভুলে ভরা বইয়ে বাজার সয়লাব হয়।

বইটি প্রোডাকশন কোয়ালিটি ও ঠিক পছন্দ হয়নি। কাগজ, বাঁধাই— কোনোটাই যুৎসই লাগেনি। এই দিকে নজর দেওয়া যেত হয়তো। যদিও প্রচ্ছদ চলনসই। আরেকটু ভালো হতে পারত।

▪️পরিশেষে, কিছু গুপ্ত রহস্য গুপ্তই থাকা শ্রেয়। সব প্রকাশ্যে আসা ঠিক নয়। কিছু জিনিস প্রকাশ্যে এলে মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিছু অসৎ মানুষ এর ফায়দা লুটতে চেষ্টা করে। তাই আড়ালে থাকা বস্তু আড়ালেই থাক, সব জানার এখতিয়ার যে মানুষের নেই।

▪️বই : এলিরিন
▪️লেখক : আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ
▪️প্রকাশনী : আদী প্রকাশন
▪️ব্যক্তিগত রেটিং : ৩.৫/৫
Profile Image for Sagar Mallick.
46 reviews7 followers
November 27, 2020
ড্যান ব্রাউনের বইয়ের শুরুতে যেমন লেখা থাকে বইয়ে বর্ণিত সকল ঐতিহাসিক তথ্য সত্য, ঠিক তেমনি এক বাংলাদেশি লেখকের সন্ধান পেলাম। থ্রিলারের অাদলে গড়া বইতে তিনি ঐতিহাসিক তথ্য গুলোকে গিলিয়ে দিয়েছেন। তাঁর লেখা মৌলিক থ্রিলার "এলিরিন" বইতে অনুসন্ধান করেছেন "অার্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট" নামের একটি সিন্দুকের। এই সিন্দুকটির উল্লেখ কোরানেও পাওয়া যায়। ইতিহাস অার ধর্মীয় দিক থেকে এই বস্তুটির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক বেশি। হাজার বছরের পুরানো মোস্ট ওয়ান্টেড সুপার পাওয়ার অার্ক এখন কোথায় অার কাদের দখলে রয়েছে সেই রহস্যের ডানা বেঁধেছে বইয়ের পরতে পরতে।

ইতিহাস এবং ধর্মীয় গাম্ভীর্যে তাৎপর্যপূর্ণ নগরী জেরুজালেমে সন্ধান চলতে থাকে "অার্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট" এর। কিন্তু এমন ঐতিহাসিক জিনিসের অনুসন্ধানকারী তো শুধু হাসান এবং তাঁর দল নয়। বিশ্বের সবাই চায় অার্ককে হাতে পেতে। হাজার বছর অাগের ইতিহাসে মোড়া রহস্যের অনুসন্ধানে নেমেছেন বাঙালি তরুন অার্কিওলজিস্ট হাসান ইকবাল। বাইতুল মুকাদ্দাস, মসজিদুল অাকসা, ডোম অফ দ্যা রক, ডোম অফ দ্যা চেইন, অফেল অফ সৌলস হয়ে জর্ডান নদীর পাহাড়ি উপত্যকায় পৌঁছে যান হাসান ইকবাল এবং জেমস। কিন্তু কোথায় সেই "অার্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট" এর? এখানে বলে রাখা ভালো যে,বইতে বর্ণিত ঐতিহাসিক সব যায়গা গুলো কাগজে কলমে সত্য।

শেষ পর্যন্ত কি সেই ঐতিহাসিক "অার্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট" এর সন্ধান পেয়েছিলেন বাঙালি যুবক হাসান ইকবাল? এই রহস্যের উন্মোচন করতে হলে অাপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে অাব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এর লেখা এলিরিন বইটি। এরপর কোন রহস্যের সন্ধানে নেমে পড়বেন হাসান, তার জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হবে নতুন কোন এলিরিনের। অতীত অার বর্তমানের মিশেলে এগিয়ে যাওয়া গল্পে পাঠক হারিয়ে যাবেন হাজার বছরের রহস্যজালে। তার চেইতেও বড় কথা, কি এই এলিরিন? অকাল্ট অার অার্টিফ্যাক্ট হান্টিংয়ের ইতিহাস অাশ্রিত এক ইউনিভার্সে অাপনাকে ডুব দিতে হবে এই রহস্য উন্মোচনে।।

বইঃ এলিরিন।
লেখকঃ অাব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ।
প্রকাশনীঃ অাদী প্রকাশন।
মূল্যঃ দুইশো পঞ্চাশ টাকা।
Profile Image for Masud Khan.
87 reviews17 followers
June 1, 2021
একই সাথে রবার্ট ল্যাংডন, ইন্ডিয়ানা জোন্স এবং মাসুদ রানা পড়ার স্বাদ পেলাম। চমৎকার ঝরঝরে লেখা। এই সিরিজ দীর্ঘ হবে, এই কামনা করি।
Profile Image for Ifty.
11 reviews
November 20, 2020
অসাধারণ...যারা যারা ড্যান ব্রাউন এর বইয়ের মতো ইতিহাস,ধর্ম,মিথ আর রহস্যের মিশেলে বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য বইটা পারফেক্ট...যদিও বইটা খুবই ছোটো হওয়ায় ঐতিহাসিক তথ্য গুলোর পুরোপুরি বর্ণনা দপওয়া হয়নি এবং ৩-৪ টি জায়গায় প্রিন্টিং মিস্টেক করা হয়েছে....কিন্তু সবশেষে বইটি ধারুণ লেগেছে...আশা করি এই সিরিজের আরো বই সামনে আসবে এবং সেইগুলোও অসাধারণ হবে...লেখকের জন্য শুভকামনা
Profile Image for নূরে কদর.
7 reviews3 followers
June 19, 2021
এই বইটা নিয়ে বইয়ের গ্রুপগুলোতে খুব বেশি আলোচনা বা সমালোচনা চোখে পড়েনি। কিন্তু দা��ুণ একটা প্লট নিয়ে লেখা বইটার কয়েক পাতা পড়ার পর একেবারে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছা করেনি। তাই রাত জেগে একটানা পড়ে শেষ করলাম। হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার হিসেবে ঐতিহাসিক তথ্যের সাথে ফিকশনের মিলটা বেশ ভালো লেগেছে। তথ্যগুলো স্বল্প পরিসরে বেশ গুছিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। তবে ধাঁধা বা রহস্যগুলো আরেকটু গভীর হলে বা আর্টিফ্যাক্ট খোঁজার ব্যাপারটায় আরো কিছুটা সাসপেন্স রাখলে চমৎকার হতো। থ্রিল ব্যাপারটা জমে উঠতো, যেহেতু বইয়ের প্লটটা নিঃসন্দেহে খুবই রোমাঞ্চকর।
বইয়ের শেষটা আমার কাছে বেশ পানসে লাগলো। মনে হয়েছে একটা দ্রুত গতির কাহিনী হঠাৎ জোর করে শেষ করে দেয়া হল। কাহিনীর পরিসর বা বর্ণনা আরো একটু বাড়ালে হয়তো ভালো হতো।
Profile Image for Imran.
136 reviews7 followers
July 12, 2021
লেখকের পড়া প্রথম বই। গল্প বলার ধরন অসাধারন লেগেছে। ফিকশনের আলোকে কিছু ইতিহাস জানতে পেরেছি বলে বইটা মোটামুটি বেশ ভালোই লেগেছে। লেখকের উচিত এই জনরার সব গুলো বই কন্টিনিউ করা।

ব্যক্তিগত রেটিং- ৩.৫০/৫
Profile Image for Raka.
116 reviews35 followers
July 18, 2021
পরের বই এর অপেক্ষায় আছি!
Profile Image for Ahmad Bin Shahjahan.
16 reviews1 follower
January 13, 2024
এলিরিন সিরিজের প্রথম বই। গোয়েন্দা, থ্রিলার টাইপের বই। ভালোই ছিলো বেশ। লেখক এর ভাষ্য মতে এই সিরিজের আরো বই বেরোবে। সেগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
Profile Image for Rafat Tamim.
73 reviews7 followers
September 12, 2022
বইটা নন-ফিকশন করলেই বরং ভালো হত। কাহিনী, ক্যারেক্টার কিছুই তেমন ভালো লাগেনি। মনে হয়েছে শুধু হিস্টোরিক্যাল তথ্যগুলো দেয়ার জন্যই কাহিনীটা এগোচ্ছে এবং ক্যারেক্টারগুলো সেই সেই স্থানে যাচ্ছে । কাহিনীর ভিতর সংলাপগুলো দুর্বল। এইটা সম্ভবত সিরিজ করবে লেখক। কিন্তু, এই বইতে যে রহস্যগুলো ছিল সেইগুলো অন্তত কিছুটা হলেও শেষ করা উচিৎ ছিল।
হিস্টোরিক্যাল ডকুমেন্টগুলো ভালো ছিল, নন-ফিকশন হিসেবে লিখে আরো কিছু বিষয় সংযুক্ত করলে ভালো লাগত।
Displaying 1 - 18 of 18 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.