In 2015, the Islamic State released a video of men smashing sculptures in Iraq’s Mosul Museum as part of a mission to cleanse the world of idolatry. This book unpacks three key facets of that the status and power of images, the political importance of museums, and the efficacy of videos in furthering an ideological agenda through the internet.Beginning with the Islamic State’s claim that the smashed objects were idols of the “age of ignorance,” Aaron Tugendhaft questions whether there can be any political life without idolatry. He then explores the various roles Mesopotamian sculpture has played in European imperial competition, the development of artistic modernism, and the formation of Iraqi national identity, showing how this history reverberates in the choice of the Mosul Museum as performance stage. Finally, he compares the Islamic State’s production of images to the ways in which images circulated in ancient Assyria and asks how digitization has transformed politics in the age of social media. An elegant and accessibly written introduction to the complexities of such events, The Idols of ISIS is ideal for students and readers seeking a richer cultural perspective than the media usually provides.
Book: The Idols of ISIS: From Assyria to the Internet Author: Aaron Tugendhaft Publisher: University of Chicago Press; First edition (6 November 2020) Language: English File size: 5866 KB Print length: 136 pages Price: 1431/-
আমার বাবা ভারতীয় বায়ুসেনায় কর্মরত ছিলেন। সার্ভিস ক্যারিয়ারের শেষ সাত বছর তিনি কাটিয়েছিলেন ইন্টেলিজেন্স বিভাগে। পরবর্তীকালে বহুবার তিনি আমায় বলেছিলেন: You are made and repetitively remade by the company you keep !
আমাদের স্টাডি সার্কেলের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এই বইটির পঠনের নেপথ্যে। বিগত কয়েকটি ক্লাসে আলোচনা হচ্ছিল ইসলাম ও পলিটিকাল ইসলামের ইতিহাস নিয়ে। সেই সূত্রেই বইটি পড়া।
ন্যারেটিভের সূত্রপাত ধর্মনিরপেক্ষতা দিয়ে।
রাজনৈতিক মতবাদের অর্থ কী ? লেখক বলছেন : Politics presupposes plurality. It’s a strategy for reconciling opposing opinions and interests that grows out of a need to live together despite our different perspectives on the world. It attests to our ability to overcome differences without recourse to violence. Doing so is difficult, and often isn’t pretty. It’s what Max Weber famously called “a strong and slow boring of hard boards.”1 By contrast, the biblical story imagines a time when mankind didn’t need politics. Already speaking as one, the people aspired only to prevent future dissent. Their city would be, not a political arena, but an infrastructure for enforcing unity. Babel’s builders built in the hopes of securing a world without politics.
পাতি বাংলায় কী হয় ? এটুকু পড়েই মাথায় এলো আমার স্বধর্ম সম্পর্কে।
আমার সনাতন ধর্মের ফান্ডামেন্টাল সূত্রে কতটা ঔদার্য ভাবুন তো !! ভারতীয় দর্শনে শুধু ঈশ্বরবাদীদের কথা বলা হয়েছে এমন নয়। এ দর্শনে অনীশ্বরবাদী এবং নিরীশ্বরবাদী— দু’টি পৃথক ধারাও আছে। অনীশ্বরবাদী মানে যেখানে ঈশ্বর নামে কোনও শব্দই নেই। যেমন বৈশেষিক দর্শন। আর নিরীশ্বর মানে যেখানে ঈশ্বরকে অস্বীকার করা হচ্ছে। যেমন সাংখ্য লোকায়ত ও পূর্ব মীমাংসা।
ভারতীয় হিন্দুধর্মের এই বহুত্ববাদকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা নিরন্তর সচেষ্ট। গোটা পৃথিবী শুধু বিতর্ক নয়, ধর্মের এই গোঁড়ামির জন্য বড় শিকার!
লেখক জিজ্ঞাসা করছেন, ইসলাম আর খ্রিস্টধর্ম থাকা সত্ত্বেও আরব দেশে এই হানাহানি সন্ত্রাস কেন?
মধ্য এশিয়া একেশ্বরবাদের জন্মস্থান, তবু সেখানে কেন হানাহানি?
সভ্য মানুষ বলছে, দু’টো রাষ্ট্র হোক। ইহুদিরা বলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব বলছে। তবু তা হয় না! রাষ্ট্রসঙ্ঘ পারে না! পিএলও পারে না। ইজরায়েল পারে না। আমেরিকা পারে না। কারণ ভগবানের নামে সৃষ্ট সব রাজনৈতিক দল তাতে রাজি নয়।
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লেখক ফিরে গিয়েছেন ইসলামের উৎস্যে। তিনি বলছেন, আইসিস গোড়ার থেকেই আইকনোক্লাস্ট। কেন? কারণ এইটাই --
When Muhammad conquered Mecca he set about cleansing the Kaʿba shrine of idols. An authoritative tradition reports, “The Prophet entered Mecca and there were three hundred and sixty idols around the Kaʿba. He started stabbing the idols with a stick he had in his hand and reciting: ‘Truth has come and falsehood has vanished.’”
Though not recounted in the Qurʾan, the story of Muhammad smashing the idols of the Meccans has become commonplace, appearing in Ibn al-Kalbi’s ninth-century Book of Idols and in popular biographies of the Prophet. When the ISIS spokesman in the Mosul Museum video informs viewers that “the Prophet Muhammad shattered the idols with his own honorable hands when he conquered Mecca,” he appeals to precedent. He imagines cleansing the Mosul Museum as a reenactment of the moment of Islamic origins. The smashing of idols belongs to the Islamic State’s larger program: the revival of an original time of purity.
প্রায় দু’দশক আগে আইএস-এর প্রতিষ্ঠা করেন আল কায়দার ইরাকি শাখার প্রধান আবু মুসাব আল জারকোয়াই। সে সময় সংগঠনের নাম ছিল ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল)।
তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডন, লেবানন, সাইপ্রাস, প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের একাংশ নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন লেভান্ত ভূখণ্ড। পরে সাময়িক ভাবে সংগঠনের নাম হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)।
গত কয়েক বছরে একাধিক বার আফগানিস্তানে নানা নাশকতায় আইএস-কের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি, তালিবান ঘাঁটিতেও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। মূল সংগঠন আইএস-এর মতোই তাদের লক্ষ্য খিলাফতের (খলিফার শাসন) পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
লেখক বলেছেন যে দু’বছরেই অন্তত ১৩০৯ মানুষ খুন করেছে ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’র জঙ্গিরা। আর এই সময়ে জঙ্গিরা বেশি টার্গেট করেছে ইউরোপের দেশগুলিকেই। তাদের টার্গেটে রয়েছে আমেরিকাও। এর মধ্যে বেশির ভাগ ঘটনারই দায় পরে ‘বীরত্বে’র সঙ্গে স্বীকার করে নিয়েছে আইএস। বাকি ঘটনাগুলোতেও আইএস জঙ্গিরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
২০১৪ থেকে আইএসের তাণ্ডবলীলার ইতিহাস ঘেঁটেঘুঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪-র অক্টোবর থেকে বার বারই ওই জঙ্গি সংগঠনের হানাদারির শিকার হয়েছেন মূলত পশ্চিমি দেশগুলির নাগরিকরা। তাঁরা হয় খুন হয়েছেন তাঁদের দেশ বা ইউরোপেরই কোনও দেশে। নয়তো তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন এশিয়া বা আফ্রিকার দেশগুলিতে।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিদেশিদের ওপর আইএসের হানাদারি শুরু হয়েছিল আলজেরিয়ায়। ২০১৪-র অক্টোবরের সেই ঘটনায় আইএস জঙ্গিরা এক ফরাসি নাগরিকের মাথা কেটেছিল।
এর পর ২০১৪-রই নভেম্বর, ডিসেম্বরে তারা আরও দু’টি হামলার ঘটনা ঘটায় কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায়। কানাডায় এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে তারা পিষে মেরেছিল সন্ত্রস্ত, ছুটন্ত পশ্চিমি নাগরিকদের।
২০১৫-র জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে পশ্চিমি দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর হানাদারির ৫টি ঘটনা ঘটিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দু’টি ঘটনা ঘটেছিল ডেনমার্ক আর টিউনিসিয়ায়। লেখক বলছেন, "Over the past two years, violence has increased sharply, with nearly 10,000 Iraqi civilians killed in 2013 and almost 5,000 in just the first five months of 2014, according to Iraq Body Count. A senior US administration official, speaking in August 2013 and quoted by Jessica D. Lewis of the Institute for the Study of War, said: “We’ve had an average of about five to ten suicide bombers a month … We’ve seen over the [past] ninety days the suicide bomber numbers approach about thirty a month, and we still suspect that most of them are coming in from Syria.”
টিউনিসিয়ার একটি মিউজিয়ামে আইএস জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বিদেশি পর্যটকরা। এর পর ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর, এই ৯ মাসে ইউরোপের দেশ বা বিদেশি নাগরিকদের ওপর আইএস জঙ্গিদের হামলার ঘটনা ঘটেছে কম করে ৯টি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দু’টি ঘটনার একটি ঘটেছে মিশরে। অন্যটি প্যারিসে।
মিশরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২৪। প্যারিসে ১৩০। মিশরের সিনাইয়ে একটি রুশ যাত্রীবাহী বিমানকে গুলি করে মাটিতে নামিয়েছিল ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা।
দেড় অধ্যায় খরচ করেছেন লেখক যৌনদাসীদের প্রসঙ্গে।
ইয়াজিদি মেয়েদের কেনাবেচা আইএস শাসিত এলাকায় বেশ বড়সড় ব্যবসা। যে ইয়াদিজি তরুণীরা আইএস ডেরা থেকে পালাতে পেরেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, একাধিক বার হাতবদল হয়েছে তাঁদের ‘মালিকানা’। অর্থাৎ এক আইএস যোদ্ধা বেশ কিছু দিন ধরে ধর্ষণ করার পর যখন কোনও তরুণীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তখন সে তাকে বেচে দেয় অন্য কারও কাছে।
এই হাতবদল চলতে থাকে কয়েক মাস অন্তরই। আর যে কোনও নতুন মালিক তার যৌনদাসীর হাতে প্রথমেই যেটি দেয়, তা হল একটি গোল বাক্স। সেই বাক্সে ভরা থাকে গর্ভনিরোধক বড়ি। এক মাসের বড়ি এক সঙ্গে। রোজ সন্ধেবেলা ধর্ষণ শুরুর আগে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে যৌনদাসীকে ওই বড়ি খেতে বাধ্য করে আইএস যোদ্ধারা। ওষুধ খাওয়ার পর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন।
শুধু গর্ভনিরোধক বড়িতেই কিন্তু শেষ নয়।
প্রতি মাসে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়, ইয়াজিদি তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েছে কি না। যৌনদাসী বেচে দেওয়ার সময়ও এই পরীক্ষা করানো হয়। ক্রেতা নিশ্চিত হয়ে নেয়, যাঁকে সে কিনছে, তিনি গর্ভবতী নন। গর্ভবতী হলে মেরে ফেলা হয় তাদের।
বছর ১৬-র কিশোরী সারা দিন বন্দি থাকত একটা ছোট্ট ঘরে। দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ঘরে আসবাব বলতে শুধু একটা খাট। সূর্য যত পশ্চিমে ঢলত, আতঙ্কে বিছানার কোনায় ততই সিঁটিয়ে যেত মেয়েটা। সে জানত সন্ধে নামলেই বাইরের তালাটা খুলে যাবে। ঘরে ঢুকবে ISIS জেহাদি। একটা ওষুধ খাইয়ে দেবে জোর করে। তার পর শুরু হবে ধর্ষণ।
শুধু ওই কিশোরী নয়, ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হাজারে হাজারে ইয়াজিদি তরণীকে এই ভাবে যৌনদাসী করে রেখেছে আইএস। কারও বয়স ১৬, কেউ ১৮, কেউ ২০, ২১, ২২, ২৩। ইসলামে হারাম কাজ হলেও রোজ তাদের গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ানো হচ্ছে। আর তার পর কন্ডোম ছাড়া যৌন সঙ্গমে বাধ্য করা হচ্ছে। ইসলামিক স্টেট ইরাক এবং সিরিয়ার যে অংশ দখল করেছে, সেখানে এই যৌনদাসী প্রথার রমরমা।
ইরাক এবং সিরিয়ার সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মেয়েদেরই মূলত যৌনদাসী বানিয়েছে আইএস। যৌনদাসী কাকে বানানো যাবে, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাঁকে যৌনদাসী বানানো হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে পুরুষকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে সেই নারী গর্ভবতী নন। এই নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য গর্ভনিরোধক ওষুধ এবং ইঞ্জেকশনের বেপরোয়া ব্যবহার শুরু করেছে ISIS। নৃশংসতায় তালিবানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে আইএস। তালিবান সংগঠনে মহিলারা না থাকলেও পশ্চিম এশিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন মহিলা জিহাদিরা।
লেখক বলছেন যে জঙ্গি শিবির থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছে যে ইয়াজিদি মেয়েরা, তাঁদের সাক্ষাৎকারে সামনে এসেছে এই তথ্য। মুক্তি পাওয়ার পর ইয়াজাদি নেতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে এই মেয়েদের।
তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে সংস্থাগুলি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমেরিকা এবং জার্মানিতে আশ্রয় নিচ্ছেন ভয়ঙ্কর যৌন দাসত্বের কবল থেকে বেরিয়ে আসা ইয়াদিজি তরুণীরা। নাম প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার কাছে ভয়ঙ্কর দিনগুলোর স্মৃতি খুলে বলেছেন আইএস ডেরা থেকে পালিয়ে আসতে পারা অনেক মেয়েই।
তাঁদেরই এক জন জানিয়েছেন, কেনার আগে এক আইএস নেতা তাঁকে জি়জ্ঞাসা করেন, কবে তাঁর ঋতুস্রাব হয়েছিল শেষ বার। নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সেই নেতা তাঁকে এমন ওষুধ খাইয়েছিল যে ওই তরুণী প্রবল রক্তপাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একটু সুস্থ হওয়ার পরই এক সন্ধ্যায় সেই আইএস নেতা ওই তরুণীর ঘরে ঢুকে তাঁকে বিবস্ত্র হতে নির্দেশ দেয়। তার পর তরুণীর উরুতে সে গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন দেয়। ১৫০ মিলিলিটার তরল সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরই বিছিনায় ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় তরুণীকে। শুরু হয় ধর্ষণ।
১৮ বছরের এক তরুণী প্রথমে উত্তর ইরাকের তাল আফার শহরের আইএস গভর্নরের যৌনদাসী ছিলেন। তাঁকে গর্ভনিরোধক বড়িও খাওয়ানো হত। ইঞ্জেকশনও দেওয়া হত। পরে সেই গভর্নর এক কম বয়সি যোদ্ধার কাছে বেচে দেই সেই তরুণীকে।
সেই যোদ্ধার মা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা করানোর জন্য। হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে মা তার ছেলেকে জানিয়েছিল, ইয়াজিদি তরুণীটি গর্ভবতী নয়। অর্থাৎ মা ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, এই তরুণীকে ধর্ষণ করতে কোনও বাধা নেই।
এক বছরের মেয়ে? তিন বছরের মেয়ে? লেখক বলছেন - ISIS fighters enslaved Yazidis through several means; they sought to transform Yazidi women into their commodities, wives, prostitutes, child bearers, and prayer objects.
এরা যৌন ক্রীতদাসী?! এদের শরীর থেকে কী যৌন তৃপ্তি আদায় করে নেবে এরা?
কতখানি অমানুষ হলে এদের ওপর চড়াও হওয়া যায়! অনেকে বলছেন, না না, এদের তখনই ভোগ করা হয় না, নাইয়ে খাইয়ে ডাগরডোগর করে বড় করে বেচে দেওয়া হয় অন্যের ভোগের জন্য। এদের কেনা হচ্ছে ‘বিনিয়োগ’ হিসেবে। আর, বেশি বছর তো অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ, অল্পবয়সি পবিত্র-যোনির চাহিদা একেবারে তুঙ্গে!
এই অল্প-বয়সটা ঠিক কত বয়স হতে পারে?
লেখক বলছেন, তারও উত্তর দিয়েছে আইএস তাদের ইস্তাহারে। প্রশ্ন আছে— যে মেয়ে ঋতুমতী হয়নি তার সঙ্গে সঙ্গম কি উচিত?
উত্তরে বলা হয়েছে— যদি সেই মেয়ের শরীর সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত থাকে, তবে ঋতুমতী না হলেও তাকে ভোগ করা যায়। যেমন, পঞ্চাশ বছরের এক জন জঙ্গি আট বছরের ফাদিদাকে কিনে নিয়ে গিয়েছিল, বলেছিল তাকে মেয়ের মতো রাখবে। সেই লোকটিই রাতে ফাদিদাকে খাইয়েদাইয়ে হাত ধরে শুতে নিয়ে গিয়েছিল নিজের ঘরে।
কী কী যেন করছিল, ফাদিদার খুব কষ্ট হচ্ছিল। সকাল বেলায় ফাদিদা দেখে তার উরু বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত, আর খুব কষ্ট সারা শরীরে। তার পর প্রায়ই এই যন্ত্রণা তাকে সইতে হয়েছে।
দগ্ধে দগ্ধে বেশ কিছু দিন কেটেছে।
তার পর এক দিন সে উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটতে শুরু করে। রাক্কা শহরের কোনও এক দরজায় ঘা দিয়ে আশ্রয় চায়। সেই পরিবার তাকে আশ্রয় দিলেও ফাদিদার পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তবে ছেড়েছে তাকে। সে এখন একটা ক্যাম্পে থাকে। চিকিৎসা চলছে।
প্রথম যখন পরিবারের লোক তাকে পায়, আর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্য চায়, তখন টানা দু’দিন আবোলতাবোল বকে গিয়েছিল ফাদিদা। তার পর দু’মাস একটাও কথা বলেনি।
এতটা পড়েই আমার বেদম বমি পেয়ে গিয়েছিল, পাঠক।
তাই বইয়ের এক্কেবারে শেষে যেখানে লেখক পলিটিকাল ইসলামের একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, বলেছেন যে "ইসলামি রাজনীতির নির্দেশক বলতে আমরা ধরেই নিই রক্ষণশীল সামাজিক মূল্যবোধ, শরিয়তের বিধান অনুসারে জীবনযাপন, পুঁজিবাদের বিরোধিতা, ইত্যাদি, আমি অতটা মাথা দিয়ে পড়িনি।
মৌলবী’ ও ‘মৌলবাদী’ কথা দুটির মধ্যে বেশ ধ্বনিগত সাদৃশ্য রয়েছে, যদিও তাদের উৎস ও অর্থ আলাদা। ‘মৌলবী’ কথার অর্থ ইসলামী শাস্ত্ৰে পণ্ডিত মুসলিম। কিন্তু তাদের অনেকের আচরণ এমন হয়ে উঠেছে যে, মৌলবী ও মৌলবাদী প্রায় সমার্থক হয়ে যাচ্ছে এবং পাশাপাশি উল্লেখিত হচ্ছে। যেমন, ‘অন্তঃসত্ত্বাকে মাটিতে পুঁতে পাথর ছুড়ে মারার ফতেয়া’, অথবা এক দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে অর্ধেক মাটিতে পুঁতে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার ফতোয়া।
আরব বসন্ত যে দেশে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়ায় মৌলবাদী বা গোঁড়া মুসলিমদের ক্ষমতাসীন করে তুলবে, সে বিষয়ে কোনও কোনও মহল থেকে আগেই সতর্কবার্তা জারি হয়েছিল। আরব বসন্তের সময়ে সবার আগে যে দেশে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, সেই টিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবেদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় কার্যত কিন্তু কট্টর সালাফিপন্থীদের জয়জয়কার হয়েছিল। মিশরে হোসনি মুবারকের অপসারণ মিশরে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সূচনা করে, তা মুসলিম ব্রাদারহুডকে ক্ষমতায় অভিষিক্ত করে। আর লিবিয়ায় মুয়াম্মর গদ্দাফির স্বৈরশাসনের অবসানও ডেকে আনে সেই সব ইসলামি গোষ্ঠীকে, যারা বহুকাল গুহার আঁধারে লুকাইয়াছিল।
সুতরাং আইসিসের জন্মবৃত্তান্ত বোঝা গেল পাঠক ?
বড় জঘন্য কাটছে আমার বছরের শেষাংশ। Matrix নামক ছবি দেখে হতাশ হয়েছিলাম, ততধিক হতাশ হয়েছিলাম আজকের পিকনিকে এসে। কাউকেই চিনিনা , সব দেঁতো হাসি হাসা মুখ্যু মাতৃসঙ্গমী।