আফজাল চৌধুরী। বিশাল বিজনেসম্যান। দেশের কয়েকটি বড় বড় কোম্পানি ওনার নিজের। কিছু পেয়েছেন পৈতৃকসুত্রে তারপর বাকীটা নিজের চেষ্টায়। এই দেশে ভিআইপি বিজনেসম্যান হিসেবে যাদের ভাবা হয় তাদের মাঝে আফজাল চৌধুরী অন্যতম। মুখোশ ঘটনার জন্ম এই আফজাল চৌধুরীকে ঘিরেই। ওনার চারপাশে ঘুরে বেড়ানো মানুষদের সবারই আছে কিছু না কিছু গোপনীয়তা। সময় এবং পরিস্থিতিতে পালটে যাচ্ছে একেকজনের খোলস। তবে কি মানুষ মাত্রই মুখোশে ঢাকা? অরণী খুন হলো কেন? লাশের শরীরে পাওয়া এই পারফিউম কোথা থেকে এলো? রায়ান কি পারবে এই অফিসের মানুষগুলোর সত্যিকার মুখোশ খুলতে নাকি মুখোশের আড়ালে আরেক মুখোশ ঢেকে দিবে সব? রায়ান এই কয়মাসে যা ভেবেছে, যা দেখেছে সবই ভুল। দীপা, অরণী, রব্বানি সাহেব, আজিজ সাহেব, নিপু এরা প্রতিটা মানুষ একেকটি মুখোশে বন্দী। কেউ তার নিজের চেহারা চিনেনা। সবাই ভাবছে একটা কিন্তু দেখছে আরেকটা। ঘটনার পিছনে ঘটছে ঘটনা আর পালটে যাচ্ছে চেনা মানুষের পরিচিত মুখ।
Farzana Mitu (Bengali: ফারজানা মিতু) was born in 11th December at Dhaka, Bangladesh. She finished her Diploma in Office Administration from New Zealand. She started to write since 2011, mostly writes poetry as well as Novel.
বইঃ মুখোশ লেখিকাঃ ফারজানা মিতু . সত্যিই তো আমাদের চারপাশের সকল মানুষ মুখোশ পরে আছে। তারা আমাদেরকে তাদের যতোটুকু দেখায় আমরা ততোটুকুই জানি। আমরা কি আসলেই কখনো কোনো মানুষকে সত্যিকার অর্থে চিনতে পেরেছি? যতো কাছের মানুষই হোক, আমার কি তার আসল রূপ দেখেছি কখনো? এমনই এক প্লট নিয়ে রচিত বইটি, সিরিজের প্রথম বই। . রায়ান নামের একটি ছেলে, মধ্যবিত্ত ঘরের। স্বপ্ন ছিলো লেখক হবে কিন্তু সংসার তাকে চাকরিতে নিয়ে যায়। এমনই সময়ে তার কাছে প্রস্তাব আসে একটি কোম্পানির মানুষের পিছে গোয়েন্দাগিরি করার, তাদের মুখোশটা উন্মোচিত করার জন্য। ঠিক এভাবেই গল্প এগোতে থাকে।
তবে বইটা পড়ে মনে হয়েছে লেখক বইটা লেখার পর একবারও রিভিশন করেননি। স্বভাবত নতুন চ্যাপ্টার শুরু হয় নতুন সিন দিয়ে। এই বইয়ে একই সিন গড়িয়ে গেছে দ্বিতীয় চ্যাপ্টারেও। যেটা অনেক বড় ভুল। একটা সিন শেষ না করে ওই সিনের ডায়ালগসহ বাকি অংশ পরের চ্যাপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডায়ালগগুলো স্ট্যান্ডার্ড ছিল না। মনে হচ্ছিল নতুন কোন রাইটার বইটা লিখেছে। অথচ ফারজানা আপু পুরনো রাইটার শুনেছি। আর বইটারও বেশ নামডাক রয়েছে। সে হিসেবে বেশ আশাহত হয়েছি। যাই হোক, প্লটটা দারুণ ছিল, দ্রুতই শেষ করার তাড়া পেয়েছি। শুভকামনা লেখককে।
বইয়ের নাম :- মুখোশ লেখক :- Farzana Mitu প্রচ্ছদ :- ধ্রুব এষ জনরা :- থ্রিলার প্রকাশনী :- নালন্দা প্রথম প্রকাশ :- ফেব্রুয়ারি ২০২০ মুদ্রিত মূল্য :- ৩০০ টাকা
অনুভূতিকথন :-
বইয়ের প্লট টা বেশ ভালো লেগেছে। বইটার চরিত্রগুলো খুব ধীরগতিতে সামনে এগিয়েছে। বইটা মাইন্ড থ্রিলার বলা যেতে পারে। লেখিকা সহজ ভাষায় জীবনের কিছু কঠিন অধ্যায় তুলে ধরেছেন। প্রত্যক মানুষের নিজস্ব মুখোশ আছে ভিতরে এক বাহিরে এক। বাহিরে থেকে মানুষকে চেনা যায় না। প্রতিটা মানুষ একেকটা মুখোশে বন্দি। কেউ তার নিজের চেহারাই জানেনা। একনিমিষেই এই বইটি পড়ে শেষ করা যায়। প্রতিটা চরিত্র আপনাকে বইটি দ্রুত গতিতে পড়ার তাড়া দিবে, এতটাই ভালো লাগবে চরিত্রগুলো যে মনের মধ্যে একটা বিষয় ই কাজ করবে বইটা কখন শেষ করবো। মুখোশ বইয়ের পরর্বতী বই স্কেচ সংগ্রহে আছে, যা খুব শিঘ্রই পড়া শুরু করবো।
নালন্দা প্রকাশনীর বই হিসেবে প্রোডাকশন বেশ চমৎকার। বইয়ের কাহিনীর সাথে প্রচ্ছদটার মিল আছে। বানান নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় নি, নির্বিঘ্নে বইটি পড়েছি।