"অর্পিতার চোখের সামনে ঘটে যায় এক নৃশংস হত্যাকান্ড! আকস্মিক অন্যায়টিকে ভুলে অর্পিতা ফিরে আসতে চায় নিজের বর্তমান জীবনে। কিন্তু অশরীরী এক অস্তিত্ব অর্পিতার পিছু নেয় সেই ঘটনাটির পর থেকে। ওদিকে অর্পিতার অতীতের কিছু স্মৃতি ঘুরেফিরে তার সামনে উপস্থিত হতে থাকে এক নতুন আবেশে। পারবে কি অর্পিতা সেই অস্তিত্বের সত্যটা বের করতে? পারবে কি অর্পিতা তার লুকোনো স্মৃতিগুলোর মুখোমুখি হতে? কি সম্পর্ক তাদের মধ্যে? পারবে কি সে তা খুঁজে বের করতে? নাকি একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের আশ্রয় নিয়ে অর্পিতা জাগিয়ে তুলবে অতৃপ্ত এক ঘুমন্ত পিশাচকে!"
Aspiring supernatural-thriller author from Bangladesh who is willing to explore different genre's of fiction to provide thrilling tales to his readers. His published books are: 1. দ্য রেড ডোর 2. ইউক্লিড 3. অসমাপ্ত ক্যানভাস 4. এক হাজার সূর্যের নিচে 5. ডাস্কমেইডেন 6. ক্রিমসন 7. দ্য ব্ল্যাক ফ্লেইম And many more to come!
গাঁজাখুরিটা একটু বেশি হয়ে গেল। পুরো বইতে সবাই প্রায়ই "হাঁপি" দেয়, এটা কি জিনিস ঠিক বুঝতে পারলাম না, "হাই" তোলা টাইপ কিছু কিনা কে জানে। সবাই যে পরিমাণ ইংরেজি বললো, মচ্ছব করলো আর আমজনতা হয়েও ছুরি, রাইফেল, শটগান নিয়ে কমান্ডো স্টাইলে পিশাচের সাথে ফাইট দিল তা চিন্তা করতেও সাহস লাগে। সাথে রেসিডেন্ট ইভিল টাইপ ল্যাব, পিশাচ, সাইরেন, ফাঙ্গাস, ওষুধপত্র। কোপাকুপি শুরুর আগ পর্যন্ত জমিদার বাড়ির ভৌতিক পরিবেশের বর্ণনাটা ভালোই ছিল। বেশ ভালো বিস্তারিত সেক্সের বর্ণনা গুলোর জন্য এত কিছুর পরেও দুই তারা দিলাম, বহু বছর এরকম কিছু পড়িনি।
৫% হরর, ৫% রহস্য, ২০% বন্ধুদের আজাইরা কথোপকথন আর ৭০% সেক্সুয়ালিটি একবোতলে ঝাঁকিয়ে সেই মিশ্রণ এই বইয়ে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। কাঁচা হাতের লেখনী, প্রধান চরিত্রের বিরক্তকর কাজকর্ম, হরর সাইফাই এর সামান্য মিশ্রণ এবং অহেতুক যৌনতা শুধু বিরক্তির উদ্রেক করেছে। ওয়েস্ট অফ টাইম এন্ড মানি!!
বই : ইউক্লিড লেখক : জুনায়েদ ইসলাম প্রকাশনী : প্রতিচ্ছবি জনরা : হরর থ্রিলার পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬০ মলাট মূল্য : ৩০০ টাকা প্রকাশকাল : বইমেলা ২০২১
মধ্যরাতে অর্পিতার চোখের সামনেই ঘটে যায় এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আকস্মিক সেই ঘটনার পর থেকেই তাকে তাড়া করে বেড়ায় অশরীরী এক অস্তিত্ব। বিভিন্ন সময় এক নারীকে দেখতে পায়। কখনো বা একটি বাচ্চা মেয়েকে। সে বুঝে উঠতে পারে না এটা তার হ্যালুসিনেশন নাকি সত্যিই অশরীরী কিছু আছে?
সবকিছু ভুলে সে ফিরে আসতে চায় নিজের বর্তমান জীবনে। চার বন্ধু মিলে ঘুরতে যাওয়ার প্লান করে। নিজেদের খরচ কিছুটা কমাতেই সাথে নেয় আরও তিনজনকে। তারা যাবে পুরনো এক জমিদার বাড়িতে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগেই অর্পিতাকে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে হয়, কারণ তার সমস্যা ক্ষণে ক্ষণে বেড়েই চলছিলো।
তারারাঙ্গা জমিদার বাড়ি তাদের গন্তব্য। বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারের কাছে পাহাড়ি অঞ্চলের অনেকটা গভীরে এটির অবস্থান। একসময় পৌঁছে যায় তারা। জায়গাটা বেশ পছন্দ হয় সবারই। তারা ঘুরেফিরে দেখতে থাকে প্রাচীন জমিদার বাড়িটি। দেখতে দেখতে একসময় পৌঁছায় জমিদার বাড়ির তিনতলার শেষদিকের একটা ঘরে। সেখানে পুরনো কিছু মেশিনারি রাখা। পার্থ সুইচ চাপে। খেয়াল করে না সুইচের নিচে লেখা "Potential Contamination Warning". শুরু হয় একধরনের গুম গুম শব্দ। দ্রুত বাইরে চলে আসে তারা। কিন্তু তখনো কেউ টের পায় না সামনে ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সবাই। অর্পিতা বুঝতে পারে না তার কিছু বাজে অতীত এখনো তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তারা কি পারবে সকল বিপদ উতরে বাড়ি ফিরতে..?!!
"ইউক্লিড" নবীন লেখক জুনায়েদ ইসলাম'র লেখা দ্বিতীয় বই। কিছুটা হলিউড স্টাইলে লেখা এই হরর থ্রিলার উপন্যাসটি লেখকের বায়োহ্যাজার্ড ট্রিলজির প্রথম খণ্ড। গল্পে কিছু সাইন্টিফিক ব্যাপার থাকায় কিছু জিনিস মাথার উপর দিয়ে গেছে। তাই সেদিকে না গিয়ে সামনে থেকে কিছু প্রতিক্রিয়া জানাই।
গল্পের প্রধান চরিত্র গল্পের নাইকা অর্পিতা, যার কাহিনী পড়তে পড়তে কখনো মেজাজ খারাপ হয়েছে, কখনো তাকে পাগলাটে মনে হয়েছে। সে আসলে কি চায় সে যেনো নিজেই জানে না। সে শুধুমাত্র অন্য একজনের থেকে সে বেশি সুন্দর কিনা সেটা যাচাই করার জন্য অন্য একজন পুরুষের বিছানায় চলে গেলো! লেখক যদিও বইয়ের শুরুতেই বলে দিয়েছেন এই গল্পকে বাস্তবতার সাথে না মেলাতে; তাই বাস্তবতাকে সাইড করে রেখেই বলবো লেখক এই জায়গাটা অন্যভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন।
গল্পের প্রথমার্ধ গতানুগতিক হলেও দ্বিতীয়ার্ধ ভালো ছিলো। দ্বিতীয়ার্ধে কেমিস্ট্রি-বায়োলজির মিশেলে লেখক খুব সুন্দর সাসপেন্স তৈরি করেছেন এবং বেশ ভালভাবেই সামাল দিয়েছেন বলতে হবে। গল্পের ফিনিশিংটাও ভালো ছিলো। গল্পে দুটো ১৮+ বর্ণনা আছে (বইয়ের শুরুতে ১৮+ এলার্ট দেয়া আছে)। এরমধ্যে দ্বিতীয় সিনটা গল্পের সাথে গেলেও প্রথম সিনটা একেবারেই যায় না। আমার কাছে মনে হয়েছে লেখক জোর করেই গল্পে এই সিনগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই দুটো সিন না থাকলেও গল্পে এর কোন প্রভাব পড়তো না।
সবশেষে বলবো, গল্পের প্লটটা বেশ ভালো। তবে লেখক বেশি সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারেননি। হাতের লেখা অনেকটা কাঁচা। গল্পের উপস্থাপন, বর্ণনা আরও শ্রুতিমধুর হতে পারতো। তবে হ্যাঁ নবীন লেখক হিসেবে যথেষ্ট ভালো চেষ্টা করেছেন। সামনে আরও ভালো করবেন আশা রাখি। সবমিলে মোটামুটি লেগেছে। লেখকের সামনের বইগুলোর জন্য শুভকামনা।
"শেষ হয়েও হলো না শেষ" বইয়ের প্রোডাকশন সম্পর্কে একটু কথা না বললেই নয়। প্রিমিয়াম পেপারব্যাকের এই বইটার কভার যতোটা না ভালো হয়েছে ভিতরে ততোটা দুর্বল লেগেছে। বইয়ের পৃষ্ঠা মোটামুটি। বাঁধাই আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। আর বানান ভুল মাত্রাতিরিক্ত। প্রকাশনীর কাছে অনুরোধ থাকবে এই বিষয়ে আরো যত্নবান হওয়ার।
বইটা লেখা হয়েছে SCP Foundation কে নিয়েই। SCP Foundation হচ্ছে প্যারানর্মাল বিভিন্ন এনটিটি এবং অব্জেক্ট নিয়ে অনলাইনে গড়ে ওঠা একটা আর্কাইভ, যেখানে এগুলো নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। এছাড়াও ইউটিউবে বিভিন্ন ব্যক্তি ফাউন্ডেশন নিয়ে বিভিন্ন ভিডিওও বানান। আমি জানি না ফাউন্ডেশনের আর্কাইভে এই বইয়ের কোনো উল্লেখ আছে কি না। তবে লেখকের উচিত ছিল বইয়ের শেষে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা অনলাইন আর্কাইভের প্রতি। এবার আসি মূল বইয়ে। বেশ আগ্রহ উদ্দীপক প্লট। কিন্তু এক্সেকিউশন হয়েছে মোটামুটি মানের। আরও বাড়ানো যেত গল্পের পরিধি। এই দুইটা পয়েন্টের জন্যেই দুই * দিলাম। নাহলে, এই বইতে যে পরিমাণে অনর্থক সেক্স সিন রয়েছে... আমার ১৮+ কন্টেন্টে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সেগুলোর একটা ইম্প্যাক্ট থাকতে হয় বইতে। এই বইয়ের কোনো সেক্স সিনেরই তা নেই। অর্থাৎ, সিনগুলো না থাকলেও গল্পে বিন্দুমাত্র সমস্যা হত না। বরং যেই সেক্স সিনের বর্ণনা গল্পে অবদান রাখতে পারতো, সেই সিনগুলোই বাদ দিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ কোন বিবরণ রাখা উচিত ছিল আর কোনগুলো না, সেই জ্ঞানটা লেখক সামহাউ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর আসি চরিত্রে। অর্পিতা হল এককথায় Breaking Bad এর স্কাইলার কিন্তু ১০০ গুণ এমপ্লিফাইড। আর কিছু বলবো না, পাঠকেরা বুঝে নিন। বাকি চরিত্রগুলো নিয়ে তেমন আহামরি বলার কিছু নাই। সায়েন্সে পড়ে বায়োহাজার্ড সিম্বল জানে না, এটলিস্ট গুগল করে দেখে নিতে পারে না, এহেন বোকাচো* চরিত্র নিয়ে আমরা কোথায় যাব। আদিবাই কিছুটা ইম্প্যাক্টফুল, কিন্তু সেই ইম্প্যাক্টফুল নলেজের ব্যাকগ্রাউন্ড পেলাম না। রঙ্গনের সেলফলেস এক্টটা ভালো ছিল, কিন্তু ওইটাও মুখ থুবড়ে ফেলানোটা অহেতুক লেগেছে। ক্লাইম্যাক্সটা চলনসই। এরকম Naruto Style এর Talk no jutsu আমার কোনোকালেই ভালো লাগতো না। তবে এর চেয়েও ওর্স হতে পারত, হয়নি, কাজেই চলনসই। বইজুড়ে বানান ভুলের পরিমাণের দিকে না গেলাম আর। তবে হাঁপি জিনিসটা কী এবং কীভাবে দিতে হয় সেটা একবার হলেও জীবনে অনুভূতি করতে চাই।