Rajsingha ( রাজসিংহ ) by Bankim Chandra Chattopadhyay
Pages - 120
Rajsingha by Bankim Chandra Chattopadhyay is a popular Bengali Novel which is written by Bankim Chandra Chattopadhyay. Bankim Chandra Chattopadhyay is famous Indian novelist, Poet, Journalist and composer of India's National Song. He born 27th June 1838 in 24 Porgona District, India and Died in 4th April 1894. He was born in Kantalpura 24 Pargana District of West Bengal. His father’s name was Yadav Chandra Chattopadyay and his mother’s name was Durga Devi. He was brought up in a very conservative Brahmin Bengali family. He completed his elementary education from Midnapur and did his graduation from Presidency College in the year 1857. Bankim Chandra was married at a very early age of 11. His first wife died in 1959 and he was married again to Rajalakshmi Devi. His first published novel in English was Rajmohan’s wife. Popular books of Bankim Chandra Chottopadhyay are Durgesh Nandini, Kopalkundola, Mrinalini, Rajani, Rajshima, Krisnakanter Will, Indira, Rajshingho, Anandamath, Kamalakamter Daptor, Shitaram, Anandamath, Chandra Shekhor, Debi Chowduriani, Bish Brikkho, Mrinalinii, Rajshinho, Radharani, Bankim Rochonabali, Durgesh Nandini, Kopal Kundola, Mrinalini, Indira, Devi Chawdhurani, Chandra Sekhor, Indira, Rajani, Mrinalini, Kopal Kundola, Jugolangorio, Radha Rani etc.
Bankim Chandra Chattopadhyay (Bengali: বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) ('Chattopadhyay' in the original Bengali; 'Chatterjee' as spelt by the British) was a Bengali poet, novelist, essayist and journalist, most famous as the author of Vande Mataram or Bande Mataram, that inspired the freedom fighters of India, and was later declared the National Song of India.
Complete works of Bankim Chandra Chattopadhyay (বঙ্কিম রচনাবলী) is now available in this third party website (in Bengali): https://bankim-rachanabali.nltr.org/
Chatterjee is considered as a key figure in literary renaissance of Bengal as well as India. Some of his writings, including novels, essays and commentaries, were a breakaway from traditional verse-oriented Indian writings, and provided an inspiration for authors across India.
ঐতিহাসিক উপন্যাসে লেখক ইতিহাসের বই না লিখে কল্পনার ছোঁয়া দেন, এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঐতিহাসিক উপন্যাসে কি ইতিহাসের প্রামাণিক তথ্য পরিবর্তন করা যায়? আমার মতে, না। যদি লেখক ইতিহাসের তথ্য পরিবর্তন করতে চান, তবে তা alternate history ধাঁচের উপন্যাস হিসেবে লেখা উচিত। এই ধরনের কাজে বাস্তব ঐতিহাসিক চরিত্র ব্যবহার না করাই শ্রেয়, যাতে ইতিহাসের সত্যতা বিকৃত না হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজসিংহ উপন্যাসে লেখক মুঘলদের, বিশেষত আওরঙ্গজেবকে, সুযোগ পেলেই গালাগাল করেছেন। এই তো কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত Chhaava ছবিতেও আওরঙ্গজেবকে ভিলেন হিসেবে দেখানো হলো। আওরঙ্গজেবকে নায়ক বা খলনায়ক করা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই, কারণ গল্পে তো কল্পনার জায়গা থাকবেই। তবে মজার ব্যাপার হলো, বিজেপি যে ‘অখণ্ড ভারত’ এর কথা বলে, সেই ভৌগোলিক বিস্তার তো আওরঙ্গজেবের আমলেই সবচেয়ে বেশি ছিল! মুঘল সাম্রাজ্য তখন প্রায় পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে ছিল। এই দিক থেকে ভাবলে, আওরঙ্গজেবকে একটু গ্লোরিফাই করলেও তো মন্দ হয় না, তাই না?
রাজসিংহ উপন্যাসে আওরঙ্গজেবের প্রথম স্ত্রীকে ‘যোধপুরী বেগম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে হিন্দু বলা হয়েছে। এটি ঐতিহাসিকভাবে ভুল। আওরঙ্গজেবের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ‘দিলরাস বানু বেগম’, যিনি ছিলেন সাফাভিদ বংশের একজন পারসিক মুসলিম রাজকন্যা। আবার উপন্যাসে উদিপুরি বেগমকে আওরঙ্গজেবের ‘প্রিয়তমা’ বলে খ্রিস্টান হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসে এর কোনো পাকাপোক্ত প্রমাণ নেই। উদিপুরি সম্ভবত জর্জিয়ান বা আর্মেনিয়ান বংশের ছিলেন, কিন্তু তাঁর ধর্ম নিয়ে কিছু জানা যায় না। আওরঙ্গজেবের হিন্দু বা খ্রিস্টান মেয়েকে বিয়ে করার কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণও নেই। তার মানে এই নয় যে তিনি তা করেননি এবং এও নয় যে তিনি তা করেছেন বরং এই ধরনের তথ্যের ক্ষেত্রে লেখকের কল্পনা সত্যের সঙ্গে মিশে গেলে পাঠকের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তাই এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য এড়িয়ে যাওয়া বা স্পষ্টভাবে কল্পনা হিসেবে উল্লেখ করাই উত্তম। আর ইতিহাস নিয়ে কচকচানি করতে ভালো লাগছে না।
শেষে বলব, রাজসিংহ-এ বঙ্কিমের সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি গল্পের সৌন্দর্যকে অনেকটাই মাটি করে দিয়েছে। ঐতিহাসিক উপন্যাসে কল্পনার জায়গা আছে, কিন্তু ইতিহাসের প্রতি একটু শ্রদ্ধা আর সাম্প্রদায়িকতা এড়ানো গেলে গল্পটা আরও জমতো!
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিতর্কিত উপন্যাসগুলোর নাম নিতে গেলে রাজসিংহ নামটা প্রথম দিকেই আসবে। ১৮৮২ সালে উপন্যাসটির এর প্রথম সংস্করণ যখন বের হয় তখন এটির আকার ছিল ছোট। চতুর্থ সংস্করণে উপন্যাসটিতে ব্যাপক পরিমার্জিত হয়, যা এখন আমরা কিনতে পাই।
জনরার বিচারে রাজসিংহ ঐতিহাসিক উপন্যাস। যে কয়টি দেশীয় শক্তি সবসময় মোগলদের মাথা ব্যথার হেতু ছিল তারমধ্যে রাজপুত শক্তি অন্যতম। অবশ্য আকবরের শাসনামল থেকে বেশ অনেক বছর রাজপুত ও মোঘলরা পরস্পরের মিত্র ছিল। কিন্তু আওরঙ্গজেবের সময় সেই সুসম্পর্ক আর বজায় থাকে নি। রাজপুত বিভিন্ন গোত্রের সাথে যুদ্ধে জড়ান আওরঙ্গজেব। যদিও আপনি গুগলে বাংলায় অনুসন্ধান করলে রাজসিংহ সম্পর্কে কিছু পাবেন না তবে ইংরেজি তে সার্চ করলে পাওয়া যায় কিছু। কিষণগড় নামের এক রাজপুত রাজ্যের রাজকন্যা চারুকুমারীকে ঘিরে ও জিজিয়া কর নিয়েই রাজসিংহ ও আওরঙ্গজেবের বিরোধের শুরু। আর একে ঘিরেই উপন্যাস।
ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর মধ্যে রাজসিংহ উদয়পুরের রাণা (রাজা) এই উপন্যাসের নায়ক আর বাদশাহ আওরঙ্গজেবের চরিত্র ধরা দিয়েছে খলনায়ক হিসেবে। এছাড়াও আওরঙ্গজেবের পত্নী উদিপুরি বেগম, কন্যা জেব উন নিসা উপন্যাসে ছিল পার্শ্ব গল্পের নির্মাণে। নায়িকা চরিত্রটা খুব সম্ভবত ঐতিহাসিক ছায়া অবলম্বনে রূপনগর রাজ্য ও চঞ্চল কুমারী নামে কোন রাজকন্যার কথা না পেলেও চারুকুমারী ও কিষণগড়ের নাম পেয়েছি। যদিও নায়িকাকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহিত হয়েছে তবে ঘটনা প্রবাহের ওপর নায়িকার তেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নায়িকা অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিল পুরো উপন্যাস জুড়ে। নায়িকার দাসী হিসেবে গড়ে তোলা অনৈতিহাসিক চরিত্র নির্মলকুমারী বরং গল্পের গতির নিয়ন্ত্রকের আসনে ছিল। এছাড়াও মানিকলাল, মবারক নামে কিছু অনৈতিহাসিক চরিত্র যত্ন নিয়েই তৈরি করা হয়েছে।
মুঘল বাদশা আওরঙ্গজেবের ছবি পা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে রুপনগরের রাজকন্যা চঞ্চলকুমারী। খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ সম্রাট সমুচিত শিক্ষা দিতে চান কুমারীকে। সেই লক্ষ্যে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান রুপনগর রাজ্যে। রাজকন্যা আশ্রয় চান রাণা রাজসিংহ এর কাছে। রাজসিংহ মুঘল রাজবহর থেকে অপহরণ করে রাজকন্যাকে আশ্রয় দিয়ে ডেকে আনেন বিপদ। রাজকন্যার পিতাও অপারগতা জানান কন্যাকে রাজসিংহের হাতে সম্প্রদান করতে।
যদিও কেউ ঠিক ইতিহাস জানার জন্য ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়েন না, তবে একজন ইতিহাস জানা মানুষের কাছে কিছু ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়া কষ্টকর। রাজসিংহ তেমনই। ইতিহাস বিকৃত করার স্বাধীনতা উপন্যাসিককে দেয়া যায় কিনা সে প্রশ্ন আপনাদের হাতে থাকুক। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর লেখায় আওরঙ্গজেবের ওপর যতটুকু সম্ভব ক্ষোভ ঝেড়েছেন। অনেকগুলো ঐতিহাসিক তথ্যের বিকৃতি এনেছেন। যেমন আওরঙ্গজেবের প্রথম স্ত্রীর নাম যোধপুরী উল্লেখ করা হয়েছে উপন্যাসে, কিন্তু ইতিহাস বলে প্রথমা স্ত্রী দিলরাস বানু বেগম। যাই হোক যদি উপন্যাস হিসেবে নিয়ে পড়া হয়, তবে ভালোই লাগবে পাঠকের।
এই বইটা পড়ে আমার অনেক কৌতূহল হয়েছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। কিন্তু পরিচিত তেমন কাওকেই পাই না যে এইটা পড়েছে। মুঘল ইতিহাসের উপরে আলাদা করে বই ঘাঁটতে আগ্রহ পাই না দেখে বিষয়গুলো জানা হয়নি। কেউ জেনে থাকলে মন্তব্যে লিখতে অনুরোধ রইলো।
ক) এইটা সত্যি কোন ঐতিহাসিক ঘটনার উপরে নির্ভর করে লেখা কিনা?
খ) মুঘল সম্রাটদের রণকৌশল সত্যিই এমন ছিলো কিনা যেখানে সম্পূর্ণ দিল্লীই সম্রাজ্ঞীদের অন্দরমহল থেকে শুরু করে চৌক, বাজার শুদ্ধ তুলে নিয়ে যুদ্ধে যেতেন?
গ) যুদ্ধক্যাম্পে দিল্লীর মতো করেই চওক, বাজার বসিয়ে ফেলতেন?
বঙ্কিমের সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে শুনেছি, পড়েছি অন্য উপন্যাসে। তবে তার অন্যান্য উপন্যাসের মতো রাজসিংহ পড়তে গিয়ে বোর হই নাই, আর মাথায় নতুন প্রশ্ন এসেছে বলেই এই বইতে চার তারা দেয়া।
A must read historical fiction about Raj Singh I, the Rana of Udaipur.
How many of us have heard about Raj Singh I? Hardly anyone. But, if you turn the pages of history, you will find out that he is one of the fewest kings of India, who resisted the zalim Aurangzeb's reign and managed to defeat him in a war.
The book starts with Rupnagar, a fictional kingdom in Rajputana. Chanchal Kumari, the princess of Rupnagar kicks and breaks a picture of Aurangzeb. When Aurangzeb comes to know about it, he gets angry and asks the king of Rupnagar to give her in marriage. On the advice of his Hindu wife, Jodhpuri Begum, she asks for help from Raj Singh I. Meanwhile, Nirmal Kumari, a lady-in-waiting of Chanchal, manages to enter the harem of Aurangzeb. She literally threatens him by her words and uphelds the Rajput honour. When Aurangzeb asks him men to forcefully feed her beef, Nirmal replied that she would drink poison instead of consuming beef. Aurangzeb gets enamoured by her and forgives her.
Aurangzeb imposes jaziya tax on his subjects. He starts an expedition to Udaipur. On the path, he destroys all the temples and massacres Hindu subjects. He, along with his sons are finally defeated by Raj Singh I after a long siege. Not only that, his concubine Udaipuri Mahal and daughter Zebunnisa were also captured by Raj Singh I. Aurangzeb fleds to Ajmer, where he is again defeated.
The book also focuses the rivalry in the Mughal harem. Zebunnisa had a lot of lovers but she could not fix with whom she could marry. The prominent of them was Mubarak Shah. Mubarak already had a wife Daria Bibi. Whenever, the princesses romances used to come to light, Aurangzeb used to murder the lover. However, Mubarak escaped unhurt. At the end of the story, Zebunnisa realises her mistake for betraying Mubarak and finally marries her.
Jodhpuri Begum is potrayed as a woman who upheld Rajput honour inspite of being married outside her community. She hated Alamgir. Udaipuri Begum was a drunkard.
বরাবরই পছন্দের বইয়ের তালিকায় থাকে ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসগুলো! 'রাজসিংহ' এর ব্যতিক্রম নয়।অনেকের কাছেই ইতিহাস বিরক্ত লাগে। কিন্তু উপন্যাস হলে মন্দ কি! মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এর সাথে রাজসিংহ মহারাণার যুদ্ধ নিয়ে লেখা। কিন্তু সামান্য একটা তসবিরকে কেন্দ্র করে পৃথিবীশ্বর এর পতনকালের সূচনা তারই একটা অংশ নিয়ে লেখা। সামান্য একজন রাজপুতের রণ কৌশল এর জন্য কিভাবে অসীম ক্ষমতাবান পৃথিবীশ্বর বারবার অপমানিত হয়েছেন সেটা জানার জন্য বইটা অবশ্যই পড়া দরকার। অনেকে পাঠক বইটা পড়াকালীন ভাববেন লেখক বোধহয় মুসলিমকে একটু হেয় করেই কথা বলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়লে বোধহয় সেই ভুল-ধারণাটা কেটে যাবে। বঙ্কিমচন্দ্রের একটা আমার মনে হয় এই সময়ে খুবই জরুরি এবং নৈতিক, "অন্যান্য গুণের সহিত যাহার ধর্ম আছে-সে হিন্দু হৌক, মুসলিম হোক, সেই শ্রেষ্ঠ। আর অন্যান্য গুণের সহিত যাহার ধর্ম নেই-সে হিন্দু হোক, মুসলিম হোক, সেই নিকৃষ্ট। " আর ঔরঙ্গজেব এর রঙমহালে(অন্দরমহল) যে পরিমাণ পাপাচার হয়েছে তাতে তার মাঝে ধর্ম ছিল বলে মনে হয় না। আর ঐতিহাসিক হলেও যেহেতু এটা উপন্যাস তাই লেখকের নিজের খামখেয়ালিপনা তো কিছু থাকবেই। তাই প্রকৃত ইতিহাস উপন্যাসে না খোঁজে শুধু উপন্যাস হিসেবে পড়লে বোধহয় বইটার আনন্দটা বেশি পাওয়া যায়। বিঃদ্রঃ কেউ যদি মোগল ইতিহাস সম্পর্কিত অন্য কোনো বইয়ের সন্ধান জানেন অবশ্যই রিকমেন্ড করবেন।
স্পষ্ট ভাবে বইটিতে ইতিহাসের মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি এবং ভারতের মুসলিম শাসনকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে । বইটি পড়ে উপভোগ করতে তো পারিই নেই ! বরং, মেজাজ খারাপ হয়েছে ।
নাম: রাজসিংহ লেখক : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশকাল : ১৮৮২ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৪০ (লেখার ফন্টের ওপর নির্ভর করে। আমার সংস্করণে ফন্ট অনেক বড় ও ফাঁকা। তাই হয়তো এত বেশি। কিন্তু স্বাভাবিক ফন্টে ১০০ এর মত হবে হয়তো।) এটি নাকি বঙ্কিমের একমাত্র বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস। 'চাঁদের পাহাড়'- এ শঙ্কর আফ্রিকায় অভিযানের সময় একটি বই নাকি অনেকবার পড়েছিল। সেটি হচ্ছে 'রাজসিংহ'। তাছাড়া রাজপুতানার ইতিহ��স আমার কাছে আগাগোড়াই অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়। এ বাদেও নানা জায়গায় বইটির নামে প্রশংসা শুনেছি। তাই বইটি অনেক পড়ার ইচ্ছে ছিল। বইয়ের ভাল দিকগুলো ও সমালোচনা দুটোই করছি। ভাল দিকগুলো : ১. কাহিনী : এটির কাহিনী রাজপুত রাজা রানা রাজসিংহের সাথে ঔরঙ্গজেবের যুদ্ধ। বঙ্কিমের এর আগে যে উপন্যাসগুলোর পড়েছি যেমন - দুর্গেশনন্দিনী, দেবী চৌধুরানী, আনন্দমঠ ইত্যাদি। সেগুলোর চেয়ে এটির কাহিনী অন���ক ভালো। বঙ্কিমের নানা উপন্যাস পড়তে গেলে (ঊনবিংশ শতাব্দীর হওয়ার কারণেই) বেশ সেকেলে মনে হয়। এটা যে না, তা না। কিন্তু মাত্রায় অনেক কম। বেশ টান টান। বিশেষ করে প্রথমার্ধে, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরুর আগে কাহিনীর ঘনঘটা বেশ ভালো। কয়েকটা জায়গায় সিনেমার মতো মনে হচ্ছিল। এছাড়া নানা জায়গায় প্লট রীতিমত unpredictable। ২. লেখনী: বঙ্কিমের যা লেখা পড়েছি প্রতিটিতেই লেখনী দুর্দান্ত। কিন্তু রাজসিংহে যেন আরো এক ধাপ বেশি। মাত্র কয়েক লাইনের মধ্যে এত সুন্দর ভাবে কোনো কামরা বা মহল থেকে শুরু করে রাজপুতানার প্রাকৃতিক অবয়ব বা দিল্লি শহরকে আঁকতে হয়তো শুধু বঙ্কিমই পারেন। লেখনী দ্বারাই একটা ঐতিহাসিক আবেশ তৈরি করে দিয়েছেন। তবে লেখনী কঠিনও বটে। কিছু জায়গায় অবশ্য লেখা দুর্বোধ্য হওয়ার কারণে বুঝতেও পারিনি। ৩. কাঠামো: উপন্যাসের সার্থকতা অনেকাংশে কাঠামোর ওপর নির্ভর করে। শুরু থেকেই বইটা আপনাকে টেনে নেবে ভেতরে। কাহিনীর গতি কোন ধারায় প্রবাহিত হয় সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়া কোথায় আগে ঘটনার ফল দেখিয়ে পরে প্রবাহ দেখাতে হবে বা time jump দেখাতে হবে তাও লেখক ভালো বুঝেছেন। ৪. চরিত্রায়ন: বইটির চরিত্র বর্ণনা লেখকের অন্য উপন্যাস গুলো হতে অনেক অনেক ভালো। বঙ্কিমের যে কটি উপন্যাস পড়েছি তার বেশির ভাগেরই চরিত্রগুলো one dimensional. কিন্তু এখানে বেশির ভাগই third dimensional না হলেও second dimensional. বিশেষ করে জেবউন্নিসা ও মবারকের চরিত্র দুটি বেশ ভালো। সমালোচনা: সাম্প্রদায়িকতা: বইটির সাম্প্রদায়িকতা বহুল সমালোচিত। যারা দ্বিমত পোষণ করে তাদের উদ্দেশে বলি। আমি দুটি বিষয় ভালো করেই জানি। প্রথমত, হিন্দুধর্ম কে glorify করা মানেই ইসলামবিদ্বেষ না। আবার, মুঘলদের বিপক্ষে যুদ্ধ বলেই যে ইসলাম বিদ্বেষে তাও না। ভারতের ইতিহাস কেবল মোগলদের ইতিহাসই না। বইটি বেশির ভাগ স্থানেই 'মুসলমান মাত্রই খারাপ' তা বলে না (তবে ব্যতিক্রম আছে)। তাছাড়া (বেশির ভাগ) স্থানেই ইসলামের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাছাড়া কিছু জাগায় ভারতবর্ষের নানা মুসলিম শাসক ও তাদের শাসনামলকে মহিমান্বিত করা হয়েছে। এ বাদেও, হিন্দুত্ববাদী চিন্তাকেও ' আনন্দমঠ ' এর মত চাপানো হয় নি। সুতরাং, ( আবারো, বেশির ভাগ স্থানেই) বইটি হিন্দুত্ববাদী বা ইসলাম বিদ্ধেষী না। কিন্তু, এগুলোর বিপরীতও আছে অনেক। মুসলমানদের হিন্দুদের নীচ জ্ঞান করা, মুসলিমদের প্রতি সহনশীল হিন্দুদের মুসলমানদের চাকর বলা, শেষের দিকে 'কোরাণ কুয়ায় ফেলিয়া দিল '(এটি সরাসরিই তো ইসলাম বিদ্বেষি) এগুলোর বিপক্ষে কি কোনো উত্তর আছে? প্লটের খাতিরে কখনো কখনো মূল ঘটনা বা চরিত্রদের ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায় জানি; কিন্তু এখানে জেবুন্নিসাকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার মত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মহীয়সী নারী সেই সময়ে ভারতবর্ষ তো বটেই সমগ্র বিশ্বে খুব কম ছিল। (তিনি বিখ্যাত ফারসি কবি ছিলেন। আওরঙ্গজেবের শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে প্রাসাদবন্দি করা হয়। সেখানে মোবারক নামের এক রক্ষীর সাথে তার নাকি প্রেম হয়। কিন্তু সেটি হয়তো রাজনৈতিক কারণেই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে রূপ নেয়। সেই বিষয়ে তার অনেক কবিতাও আছে)। কিন্তু তার সম্পর্কে এই ধরনের কথাবার্তা কোনোভাবেই justifiable না তো বটেই, বঙ্কিমের চরম মুসলিম বিদ্বেষ ও ইতিহাস বিকৃতি লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং, বঙ্কিমচন্দ্র যতই উপসংহারে লিখুন যে ' বইটি মুসলিম বিদ্বেষী না ,' তাতে সব সমস্যার সমাধান হয় না। বইটি আনন্দমঠ-এর পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক না হলেও, নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক। এছাড়াও, এত পুরোনো উপন্যাস তাই কিছু জিনিস নিশ্চয়ই মনমতো হবে না। তাই, সবমিলিয়ে খারাপ না(বিশেষ করে প্রথমার্ধ তো অনেক ভালো)। তবে সাম্প্রদায়িকতা না থাকলে আরো ভালো লাগতো । ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.২
राजसिंह मुगल बादशाह औरंगजेब और राजपूत राजा राजसिंह के बीच हुए युद्ध और झड़पों की कहानी है। यह पुस्तक बांग्ला से हिंदी में अनुवादित है। मूल उपन्यास १८८२ में छपा था। आज के भारत में तो शायद यह छप भी न पाता!
उपसंहार में ग्रंथकार स्वयं लिखते हैं कि पाठक अपने मन में यह न समझें कि हिन्दू-मुसलमान में किसी प्रकार का भेदभाव सिद्ध करना इस ग्रन्थ का उद्देश्य है। खैर इस कहानी में औरंगजेब की करारी हार दिखाई गई है और राज सिंह की विजय। बीच में कई कल्पनापोत चरित्र हैं जो कहानी को चलाते रहते हैं।
कहानी में एक वाकया है जब औरंगजेब के परिवार की कुछ महिलाएं युद्ध के समय राजपूतों द्वारा पकड़ी जाती हैं तो वो पूछती हैं कि कितनी अशर्फी लेकर उन्हें छोड़ दिया जायेगा? और जवाब मिलता है - "अगर बादशाह भारतवर्ष की कुल मस्जिदें - मय दिल्ली की जामा मस्जिद के तुड़वा दे सकें, मयूर सिंहासन को यहाँ भेज दें और साल दर साल हम लोगों को माल गुजारी देना स्वीकार करें, तो मैं तुम लोगों को छोड़ सकती हूँ "
दूसरे वाकये में राजपूत कुमारी उन बंदी राज परिवार के सदस्यों के बारे में आदेश देती हैं - "शराब! जब वह शराब मांगे, तब थोड़ा गोमूत्र देना!"
ज्यादा कुछ लिखने से कहानी सामने आ जाएगी। अनुवाद होने की वजह से मूल भाषा और उसके पेंच नहीं दिखाई पड़ते मगर कथानक की गति अच्छी है - पाठक को बाँध कर रखती है। पात्र भी दिलचस्प हैं, युद्ध शैली है, तो साथ में प्रेम कहानी भी है और है ईर्ष्या भी! पढ़कर देखें!
This entire review has been hidden because of spoilers.