মমিস্রোতে বেহায়াসিন্হ : রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য বলেছেন বারাণসীর ঘাটে এসে বসলাম, অদূরে মথুরায় রাধার নাভীর রক্তক্ষরণে ভেসে যাচ্ছে পথ, কানা ঘুড়ি কৃষ্ণের শিখিপুচ্ছে জটা বেঁধে অবলীলায় তপস্যা করছে। নিঃসঙ্গ ঝুলন্ত বারান্দায় মীরা নিউরনকে উপহার দিয়েছে অ্যালঝাইমার। সব ভুলে যাবার আগে সে ক্রোধে আর কান্নায় বিষ্ণুপ্রিয়া কে বলেছে তুমি তো চিত্রাঙ্গদা, তৃতীয় পাণ্ডব একান্ত ভাবে তোমার_'মমিস্রোতে বেহায়াসিন্থ' আমাকে এইভাবে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি উদভ্রান্তের মতো উড়ে যাওয়া আঁচল সামলাতে গিয়ে দেখছি অনুভূতি লেখা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। আমি পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে শিখি নি।..'অঙ্গে মাধব এলে, /এস্রাজের ও দাঁত গজায়'(নোঙর) এখানে নোঙর বাঁধল রক্তমাখা প্রেম, লকলকে শিখার জিভে 'ছায়াপথ পোড়া ছাই'মেখে দাঁড়িয়ে বিরহিনী, যে বলে' পাখি সুখ না_ছড়ালে পরাগও বিষ লাগে। 'আয়নার টুকরোগুলোতে একটা মাকড়সা আদরের মতো বুনে দিচ্ছে জাল... 'প্রণয় অসম্ভব কাব্যে এভাবেই 'বাঁশি' বেজে ওঠে। 'মমিস্রোতে বেহায়াসিন্থ'' আমার কিছু অকথিত কথাকে উপড়ে ফেললো, তারপর রোদে পুড়িয়ে আমাকে দিয়ে বলিয়ে নিচ্ছে '... আর মেহ্জবিন উদাস হ'তে হ'তে আমি পৌঁছে যেতে চাইছি তোমার জন্মমুহূর্তে, /যেখানে আমার কোনো স্মৃতি ছিল না। '(জতুবসন্ত) । পুরো কাব্যগ্রন্থ কৃষ্ণ জানার অধীর আগ্রহে এক বিস্রস্ত হৃদয়ের সমর্পিত হবার বাসনায় আধারের খোঁজ। এ যেন পোড়া হাড়িতে রেঁধে রেখেছে পরমান্ন, মেদ-মাংস_মজ্জায় গেঁথেছে ভৈরবীর কশেরুকার মালা, 'আদিম অন্ধকারে' নিবিড়কে জড়িয়ে জিভে নিয়েছে পুড়ে যাওয়া নক্ষত্রের স্বাদ। আমার মতো সাধারণ পাঠকের কাছে এ যেন এক ট্রেজারি, চিচিং ফাঁক এর মন্ত্রগুপ্তি নয়, বহু পাঠের পর ধীরে ধীরে গুহার মুখ হয়তো খুলে যাবে।
মমিস্রোতে বেহায়াসিন্হ : রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য বলেছেন বারাণসীর ঘাটে এসে বসলাম, অদূরে মথুরায় রাধার নাভীর রক্তক্ষরণে ভেসে যাচ্ছে পথ, কানা ঘুড়ি কৃষ্ণের শিখিপুচ্ছে জটা বেঁধে অবলীলায় তপস্যা করছে। নিঃসঙ্গ ঝুলন্ত বারান্দায় মীরা নিউরনকে উপহার দিয়েছে অ্যালঝাইমার। সব ভুলে যাবার আগে সে ক্রোধে আর কান্নায় বিষ্ণুপ্রিয়া কে বলেছে তুমি তো চিত্রাঙ্গদা, তৃতীয় পাণ্ডব একান্ত ভাবে তোমার_'মমিস্রোতে বেহায়াসিন্থ' আমাকে এইভাবে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি উদভ্রান্তের মতো উড়ে যাওয়া আঁচল সামলাতে গিয়ে দেখছি অনুভূতি লেখা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। আমি পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে শিখি নি।..'অঙ্গে মাধব এলে, /এস্রাজের ও দাঁত গজায়'(নোঙর) এখানে নোঙর বাঁধল রক্তমাখা প্রেম, লকলকে শিখার জিভে 'ছায়াপথ পোড়া ছাই'মেখে দাঁড়িয়ে বিরহিনী, যে বলে' পাখি সুখ না_ছড়ালে পরাগও বিষ লাগে। 'আয়নার টুকরোগুলোতে একটা মাকড়সা আদরের মতো বুনে দিচ্ছে জাল... 'প্রণয় অসম্ভব কাব্যে এভাবেই 'বাঁশি' বেজে ওঠে। 'মমিস্রোতে বেহায়াসিন্থ'' আমার কিছু অকথিত কথাকে উপড়ে ফেললো, তারপর রোদে পুড়িয়ে আমাকে দিয়ে বলিয়ে নিচ্ছে '... আর মেহ্জবিন উদাস হ'তে হ'তে আমি পৌঁছে যেতে চাইছি তোমার জন্মমুহূর্তে, /যেখানে আমার কোনো স্মৃতি ছিল না। '(জতুবসন্ত) । পুরো কাব্যগ্রন্থ কৃষ্ণ জানার অধীর আগ্রহে এক বিস্রস্ত হৃদয়ের সমর্পিত হবার বাসনায় আধারের খোঁজ। এ যেন পোড়া হাড়িতে রেঁধে রেখেছে পরমান্ন, মেদ-মাংস_মজ্জায় গেঁথেছে ভৈরবীর কশেরুকার মালা, 'আদিম অন্ধকারে' নিবিড়কে জড়িয়ে জিভে নিয়েছে পুড়ে যাওয়া নক্ষত্রের স্বাদ। আমার মতো সাধারণ পাঠকের কাছে এ যেন এক ট্রেজারি, চিচিং ফাঁক এর মন্ত্রগুপ্তি নয়, বহু পাঠের পর ধীরে ধীরে গুহার মুখ হয়তো খুলে যাবে।