বাংলাদেশের ইতিহাস লেখার কাজ একাধারে বিপজ্জনক এবং দুরূহ। বাংলাদেশের ইতিহাসের যে বয়ানগুলো হাজির আছে, তার সিংহভাগ উদ্দেশ্যমূলক ও খন্ডিত। এই খণ্ডিত ইতিহাসে বেশির ভাগ সময় ভীরুরা ‘নায়ক’ আর বীরেরা ‘ভিলেন’ বা ‘খলনায়ক’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
আমাদেরকে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান যাঁদের সবচেয়ে বেশি সেই তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ্, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন শিরাজীরা আমাদের খণ্ডিত সেই ইতিহাসে হয় অনুপস্থিত, নয়তো উপেক্ষিত। আমাদের ইতিহাসের তথাকথিত সেক্যুলার বয়ান দাঁড়িয়ে আছে ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ আর ‘হাজার বছরের বাঙালি’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে।
সেই বয়ানে জমিদারি উচ্ছেদের লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী মুসলিম লীগকে ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী’ রাজনৈতিক দল হিসেবে উপস্থাপন করে ‘বাতিল’ করে দেয়া হয়েছে। সেই বয়ানে শেখ মুজিবের শাসনকাল ছিল ‘স্বর্ণযুগ’। তাহলে আসুন, এবার এই বই-এর হাত ধরে প্রবেশ করি সেই কথিত স্বর্ণযুগে। দেখে নিই, কেমন ছিল সেই দিনগুলো। মুছে দেয়া আর ভুলিয়ে দেয়া সেই ইতিহাসের জগতে আপনাকে স্বাগত জানাই। গল্পের মতো করে লেখা সেই ইতিহাস আপনাকে কখনো বিস্মিত করবে, কখনো আতঙ্কিত করবে, কখনো-বা কাঁদাবে। আর নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারবেন, এত রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে যেই স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার তওফিক হয়েছিল, আমাদের কোন আদি পাপে সেই রাষ্ট্রটা প্রায় ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। অতীতের ভুলগুলো জেনে আগামী প্রজন্ম নতুন এক ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- এটাই হোক সবার আকাঙ্খা।
বাঙালির ইতিহাস নেই - এই আক্ষেপ করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। পরমুহূর্তে সমাধান বাতলে দিয়ে লিখেছিলেন বাঙলার অতীত কাহিনি বাঙালিকেই লিখতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরোনো বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর পর্যায় মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী পাঁচ বছর। এত ঘটনাবহুল সময় একাত্তর ব্যতীত এই জাতির জীবনে কখনো এসেছে কিনা তা নিয়ে বির্তক বিশেষ থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধু শাসনামল নিয়ে অনেক গদ্যগাঁথা লেখা হয়েছে। স্মৃতিকথা,আত্মকথা কিংবা গবেষণাধর্মী বইও কমবেশি প্রকাশিত হয়েছে সেই সময় নিয়ে। ফেসবুক সেলেব্রিটি পিনাকী ভট্টাচার্যের বঙ্গবন্ধু শাসনামল নিয়ে লেখা 'স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ' বইটি আরও একটি নতুন সংযোজন বটে।
বিজেপি ভারতের সকল দুঃখ-দুর্দ্দশার জন্য নেহেরুকে দায়ী করতে পছন্দ করে। পিনাকী ভট্টাচার্যের বইটি পড়ে আমার মনে হলো বাংলাদেশের বিদ্যমান সকল প্রতিবন্ধকতার মূল হিসেবে তিনি স্বাধীনতাত্তোর আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড ও শেখ সাহেবকে দায়ী করতে চান। ও হ্যাঁ, সরাসরি নয় ; পরোক্ষভাবে।
ইতিহাস নিয়ে লেখালিখি অনেকটা রান্নায় লবণ দেওয়ার মতো। মাত্রাতিরিক্ত হলে খাওয়া যায় না, আবার আলুনির কারণে স্বাদ নষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের একটি অহংবোধ সবসময় ক্রিয়াশীল। তাই সদ্যস্বাধীন দেশে বিরোধী দলগুলোকে দলটি মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ রাজি হয়নি আওয়ামী লীগ-বহির্ভূত দল ও ব্যক্তিদের যুদ্ধকালীন গৌরবময় ভূমিকাকে সরলভাবে স্বীকার করতে। তাই তো আওয়ামী লীগের থেকেই জন্ম নিয়েছিল তাদের সবচেয়ে বড়ো প্রতিপক্ষ জাসদ। কেন জাসদসহ কিছু বামপন্থিদল বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াল তা নিয়ে কোনো বিশ্লেষণ পিনাকী ভট্টাচার্যের নেই। তিনি বিভিন্ন জনের বই থেকে স্রেফ তথ্যসূত্র উল্লেখ করে ঘটনা তুলে ধরেছেন। কী ঘটছে তা পাবেন। অথচ কেন ঘটেছে সেই উত্তর পিনাকীর বইতে নেই।
বঙ্গবন্ধুকে বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা আবশ্যক। তিনি মানুষ ছিলেন। তাই দোষ-ত্রুটির উর্ধ্বে তিনি নন - এই সরল সত্য স্বীকার করে নিলে পিনাকী ভট্টাচার্যের শেখ সাহেবকে 'ভিলেন' হিসেবে চিত্রিত করে এই বই লিখতে হতো না কিংবা লিখলেও লোকে তা অখাদ্য বলে বর্জন করতো। প্রশংসা যিনি দাবি করেন, সমালোচনার আঘাত তাকে সইবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এদেশে বঙ্গবন্ধুকে এমন উচ্চতায় নিজে যাওয়া হয়েছে যাতে বহুমাত্রিক দিকে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ নিঃশেষিত হয়ে গেছে। পথ মাত্র দুটি খোলা, এক. বঙ্গবন্ধুর সকল কীর্তিকে অস্বীকার করে শুধু তার শাসনামলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো বই লেখা এবং দুই. স্তুতিবাক্য সংবলিত অখাদ্য প্রসব করা। বাংলাদেশের এই মহামানবের ভালো-মন্দ নিয়ে নিরপেক্ষ কোনো লেখালিখির সুযোগ আজ চিরতরে রুদ্ধ।
যারা আজীবন বঙ্গবন্ধুর অন্ধ বিরোধিতা করে এসেছেন, তারা বইটিকে ঐশী কেতাবের মর্যাদা দিতে পারে। আবার, যারা শেখ সাহেবের দলদাস, তারাও সমস্বরে পিনাকীকে গাল দিতে পারেন। আমি বলব পিনাকী ভট্টাচার্য বইটি লিখেছেন শতভাগ অসৎ মনোভাব নিয়ে। কেন বঙ্গবন্ধুকে ঘৃণা করতে হবে তা প্রচার করাই পিনাকীর উদ্দেশ্য। যা কখনোই একজন খাঁটি লেখকের স্বভাব হতে পারে না।
জাসদের উত্থান পতন, তিনটি সেনা অভ্যুত্থান, বাংলাদেশের রক্তের ঋণ, এক জেনারেলের সাক্ষ্য, শেখ মুজিবের শাসনামল, শতাব্দী পেরিয়ে, বলেছি বলছি বলব প্রভৃতি গ্রন্থ ইতোমধ্যে যারা পড়ে ফেলেছেন, তারা বইটি না পড়লেও ঠকবেন না। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলোই তথ্যসূত্র হিসেবে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিহাসের তথ্যসূত্র হবে ইতিহাসবিষয়ক বিভিন্ন গ্রন্থ, স্মৃতিকথা, আত্মকথা প্রভৃতি। পিনাকী ভট্টাচার্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম'কে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একটি ফিকশন কীভাবে তথ্যসূত্র হয়!
পিনাকী ভট্টাচার্যের বয়ানের বিপরীত বয়ানওয়ালা অসংখ্য বই রয়েছে। একটা উদাহরণ দিই- তিনি দাবি করেছেন ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেনি। কিন্তু এম আর আখতার মুকুলের 'আমি বিজয় দেখেছি' বইতে সুস্পষ্টভাবে ৯৩ হাজারের হিসাব দেওয়া আছে৷ '৭৪ সালে ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদের বাসন্তীর জাল পরিহিত ছবির উল্লেখ করে মুজিবের ধবল ধোলাই করেছেন। অথচ একটু পড়াশোনা করলেই জানতে পারতেন চারণসাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন প্রমাণ করে দিয়েছিলেন বাসন্তীকে টাকা দিয়ে এই ভুয়া ছবিটি তুলেছিল আফতাব আহমেদ। হ্যাঁ, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের দায় বঙ্গবন্ধু এড়াতে পারবেন না। তবু যে অপরাধ তিনি করেননি, সে-ই দায় তাকে দেওয়া কেন?
ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে মহসীন হলে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানকে সরকার গ্রেফতার করে এবং মামলায় তার সাজা হয়। পিনাকী ভট্টাচার্য এই হত্যাকাণ্ডের কথা লিখেছেন। তবে গোপন করে গেছেন জেনারেল জিয়া এই হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে শফিউল আলম প্রধানকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
বইটি গতিময়। হয়তো একবসায় পড়তে পারবেন। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা ৯৫০ টাকা মূল্যের বইটি একটু বেশিই দামি হয়ে যাবে তাদের জন্য, যারা আমার মতো পিনাকী ভট্টাচার্যের অন্ধ ভক্ত নন। আর হ্যাঁ, বইটিতে চমৎকার কিছু প্রাসঙ্গিক ছবি পাবেন, যেগুলো তে ক্যাপশন লেখার নাম করে 'ইয়া বড়ো বড়ো গরু রচনা' লেখা হয়েছে।
বইটি পড়ার সৌভাগ্য হোল, যখন ডেলিভারি ম্যান ফোন দিয়ে বলল আপনার পার্সেল আছে তখন লাফিয়ে উঠেছিলাম আর বইটি পাওয়ার জন্য ৫০ টাকা টিপসও দিলাম। মহিউদ্দিন আহমদ এর বই যেমন গবেষণার জন্য দলিল হয়ে থাকবে, এই বইটিও ঠিক সেরকম পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা দলিল। তাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা এখানে পাবে। কেন ৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারেনি কেন ৯৬ সালের নির্বাচনের আগে বারবার ক্ষমা চাইতে হয়েছে। লেখক বইটির জন্য প্রচুর খেটেছেন, এত রেফারেন্স দিয়েছেন এত ছবি দিয়েছেন যার জন্য বইটির বিশ্বস্ততা অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে!! স্বাধীনতা উত্তর সরকারের শাসন ব্যবস্থা যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আমরা পেয়েছি সেটা একসাথে এত নিরপেক্ষ ভাবে কেউ লিখেনি। একটি বই তখনই ভালো লাগে যখন বইটি আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে। এখানে একটা কথা বলতে চাই ইন্ডিয়ান আর্মির যে লুটতরাজ এর কথা বলা হয়েছে সেটা সব ইন্ডিয়ান আর্মির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। আমাদের এক পরিচিতের টিভি নিয়ে গেছিল এক মেজর বিনিময়ে ৫০০টাকা জোর করে দিয়েছিলেন। আবার এক শিখ আর্মি তার মাথার পাগড়ী খুলে এক বীরঙ্গনার লজ্জা নিবারন করিয়েছেন। দুর্ভিক্ষ, লম্বা চুলের মাস্তানি এগুলো লেখক যা বর্ণনা করেছেন তার চেয়েও বেশি ছিল। ৯৬ এর নির্বাচনের আগে আমার আম্মা একটা বিদ্যুৎ অফিসে কাজের জন্য গিয়েছিলেন, তো ওখানে একজন অফিসার সিগারেট টানতে টানতে আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় আসবে একরকম নিশ্চিত ছিল। তো আম্মা তাকে বলল যদি এই ৫৫৫ সিগারেট খাওয়া ছড়তে পারো তবেই যদি আস?? ৭৪ এর দুর্ভিক্ষে যখন মানুষ নাখেয়ে রাস্তায় শুয়ে ছিল আর তোমরা আওয়ামী লীগাররা গায়ে ইন্ডিয়ান আর্দি পাঞ্জাবি আর হাতে ৫৫৫ সিগারেট নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছ। আমরা তখন ছোট ছিলাম কিন্তু এখন��� চোখের সামনে সব ভাসে!! যাক কেন নৌকা ভোট পায়না কেন জিয়া এত জনপ্রিয় হয়ে গেল সব উত্তরই পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য বইটি মাইলফলক। খুব সুন্দর লেখনী যেটা একজন লেখকের সবার আগে দরকার। এরকম একটি বই দেওয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
নীরদ চৌধুরীর একটা কথা দিয়ে শুরু করি, কথাটা অনেক টা এই রকম "আপন মাংস যেমন হরিণের বৈরী, তেমনি বাঙালিই বাঙালির প্রতিদ্বন্দ্বী। সে সাবানের মধ্যে যেটি নিকৃষ্টতম সেটির নাম দিয়েছে ‘বাংলা সাবান’, মদের মধ্যে যেটি নিকৃষ্টতম সেটির নাম দিয়েছে ‘বাংলা মদ’, অতএব দুর্মুখেরা বলাবলি করবেই, ‘এই নিরিখে জাতির মধ্যে সবচেয়ে মন্দ যে জাতি, সেটা হচ্ছে বাঙালি জাতি।"
মদ বা সাবানের আলোচনা অবান্তর মনে হলেও বাঙালির সাথে তুলনা যে যথার্থ তা আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রমাণিত। বাঙালির কর্ম না বলে, আমাদের বললাম কারণ আমি বাঙালির অংশ, তাদের পাপের ভাগিদার। শরীরের রক্ত হয়তো পরিবর্তনের উপায় থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু দূরাত্মাদের চিন্তা যা একবার মাথায় বসে গেছে তা থেকে বেরিয়ে আসা দুরুহ কাজ।
ঐতিহাসিক উপন্যাস আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হলেও ইতিহাসের বেপারে আমার ততক্ষণ প্রবল আগ্রহ থাকে যতক্ষণ না সাল, পিতামাতার নাম মুখস্থ করতে হচ্ছে। বুঝাতে চাইলাম সমাজ, সামাজিক বিজ্ঞান বা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বই ছাড়া সকল ইতিহাস বই ই আমাকে টানে অবশ্য উল্লেখিত বই গুলো আসলে ইতিহাসের বই কি না এই বেপারে দ্বিমতের যথেষ্ট সুযোগ আছে।
একটা প্রচলিত কথা আছে "যারে দেখতে নারি তার চলব বাঁকা", লেখক শেখ সাহেবের উত্তর পুরুষ দ্বারা নিগৃহীত হয়েছিলেন তাই ওনি সর্ববিষয়ে যে ভাবে যত দোষ নন্দ ঘোষ আকারে উপস্থাপন করেছেন ঐ সব ঘটনার দু একটা সহনীয় পর্যায়ে অন্য বর্ণনাও মনে হয় বইপত্রে পাওয়া যাবে। এই যে একই ঘটনা ভিন্ন বয়ান এখানেও বাঙালি হিসেবে আমাদের অথর্বতা প্রকাশ পায়।
১৯৭১ সালটা কি আজকের এই দিন থেকে হাজার হাজার বছর আগের? বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার গুলোর একটি এই মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে লাইনে লাইনে বিতর্ক। বিতর্কের উর্ধে, আমাদের লিখিত সুন্দর কোনো দস্তাবেজ নাই। প্রামাণ্য কোনো দলিল নাই। ঐ সব দলিল প্রস্তুতের পিছনে আমাদের কোনো আগ্রহও নাই। আর যে দলিল প্রস্তুত করা হয়েছে তারও প্রচার, পাঠের কোনো আয়োজন নেই।
শহীদের সংখ্যা, মুক্তিযুদ্ধের উপাধি এমন কি বীরশ্রেষ্ঠ দের নিয়ে পর্যন্ত বিতর্ক। মুক্তি যুদ্ধের পরের সময়ে যদি নজর দেয়া হয়, ধর্ষিত নারী এবং যুদ্ধ শিশুদের বেপারে সরকারের উদাসীনতা হতবাক করার মতো, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পরিবারে ফিরিয়ে দিতে না পারলেও সরকার তাদেরকে বিভিন্ন সরকারি চাকরি দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন বলে লেখক যে দাবি করেছেন এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য হলো " সংবিধানে নানা ধরনের চটকদার শব্দমালা থাকলেও সামগ্রিক বিচারে তা অসার, প্রতারণামূলক, স্ববিরোধীতায় ভরপুর।" এই যে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া, প্রধানমন্ত্রী অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকা, আইন সভার সদস্যদের বিরুদ্ধে আপাদমস্তক জনগণের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার ব্যবস্থা না থাকা, লিখিত আকারে জনগণের কথা থাকলেও বাস্তবে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগের তেমন কোনো সুযোগ না থাকা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার এর অনুপস্থিতি, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মানেই সব কিছু করার ক্ষমতা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী র প্রতি অবহেলা ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাবের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর সরকারি দলের বিরুদ্ধে আইনসভার সরকারি দলের সদস্য কোনো কথা বলার অধিকার না থাকায়, মূলত প্রধানমন্ত্রীর কথায় ই শুধু সংসদে জি হুজুর জি হুজুর ধারায় মঞ্চায়িত হয় যা ধোঁকাবাজি ছাড়া কিছু নয়। আপাদমস্তক জনগণের নামে রাজতন্ত্রের যে লিখিত রূপ, সংবিধানের নামে সবার সামনে আনা হয়, ঐ বিষয়ে লেখকের আলোচনা আমার কাছে যুক্তিক মনে হয়েছে।
শেখ সাহেব ছিলেন উদার এবং দয়ালু প্রকৃতির মানুষ, কেউ যদি তাঁকে জরিয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পরতো তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওনিও কেঁদে ফেলতেন। আবেগি, দয়ালু এবং জনগণের কাতারে নিজেকে ভাবা মানুষ টা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য, বা ভালো ভাবে বললে প্রধানমন্ত্রীত্ব পরিচালনার জন্য যতটা কঠোর হওয়ার দরকার ছিল ততটা হতে পারেন নি। যা রাষ্ট্রযন্ত্র কে আরু বিশৃঙ্খল করে তুলেছিল।
সরকারের দেশ পরিচলনায় অভিজ্ঞতা না থাকা, নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম স্বজনপ্রীতি এবং অস্ত্রের মুখে রেখে যাকে তাকে হুমকির পাশাপাশি সম্পদ লুটপাটের যে হিড়িক শুরু হয়েছিলো তা বাঙালির প্রকৃত পরিচয় বহন করে। ১৯৭৩ এ গাইবান্ধায় জনৈকা শাশুড়ি বস্ত্রাভাবে জামাইয়ের সামনে যেতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। এতোটাই বস্ত্র সংকটের মধ্যে ছিল দেশ। প্রশাসন পরিচালনায় একজন দক্ষ নেতার অসহায় অবস্থা প্রকাশ পায়।
পুত্র, ভাই, ভাতিজার দম্ভ আর অর্থ কামাইয়ের দৌরাত্ম্যে, যতা তথা যোগ্য লোকের চাকরি যেতে লাগলো, বসলো নতুন মুখ। সবই হতো শেখ সাহেবের নামে। যে নামের উপর আইন উল্টে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই নামে চললো সব, আইন সেটা উল্টেই রইল। কেউ সে দিকে দেখবার সময় পাইনি। যা বিনাবাক্যে দেশকে দু ভাগে ভাগ করে ফেলে। যাঁর সামগ্রিক ফলাফল ভালো ছিল না।
লেখক নানান দিক আলোচনা করেছেন, বহু তথ্য প্রথম শুনলাম, ওনার লেখার ধরণ সুন্দর। গুছানো লেখা এবং বেশ ভালো আলোচনা। কিন্তু লেখক কোনো ভাবেই নিরপেক্ষ ছিলেন তা বলা যাবে না। বাংলাদেশের ইতিহাস বড়ই অদ্ভুত, থ্রিলার মনে হতে পারে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা উত্তর শাসনামল অনেক বিতর্কিত একটা অধ্যায়। একের পর এক শাসক পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। নতুন রাষ্ট্রে শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছু ঠিক রাখতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন কিন্তু কোনোভাবেই যেন ঠিকভাবে দেশ চলছিল না। গুম, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, রক্ষীবাহিনী, গণবাহিনী, লালবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ের ইতিহাসকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই বিতর্কিত ইতিহাস রয়েছে। এর কারণ যারা ইতিহাস লিখে গিয়েছেন তারা কোনো না কোনোভাবে নিজেদের কিংবা নিজ দলের গা বাঁচিয়ে লিখেছেন। এই বইতে মূলত একটি নির্দিষ্ট ঘরানার বয়ান পাওয়া যাবে। ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ লেখক করেন নি। এতে কিন্তু লেখার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। সহজ, সাবলীল বর্ননার মাধ্যমে লেখক আমাদের ইতিহাসের অন্ধকার দিকগুলোর উল্লেখ করেছেন। লেখকের বিদ্বেষ মোটামুটি বোঝা যায় আওয়ামীলীগ এবং এর সমর্থনকারী গোষ্ঠীর প্রতি। তবে বিদ্বেষটাই ত সব না। এর মাঝে সত্য ইতিহাসও রয়েছে। এতকিছু ঘেটে স্বাধীনতার এত বছর পর এভাবে ইতিহাসের বর্ননার কৃতিত্ব ত দেওয়াই যায়।
বাংলাদেশের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর নাম। কিন্তু যুদ্ধোত্তর ও পূর্ব সময়ে বঙ্গবন্ধু কি আলাদা ব্যক্তি ছিলেন না? যুদ্ধের আগে তিনি একজন নেতা হিসেবে সম্মুখে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের পরে যখন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দাঁড়ালেন তখন তাঁর কান ভারী করার লোকের অভাব ছিল না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং প্রশাসন চালানোয় অনভিজ্ঞতার কারণে চাইলেও দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। একইসাথে আওয়ামীলীগের দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের দমনেও তেমন কঠোর পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেন নি। এই পদক্ষেপ নিতে না পারার ব্যাপারগুলোই অপরাধীদের উস্কানি দিয়েছে। রক্ষীবাহিনী, লালবাহিনী দ্বারা বিরোধীপক্ষকে দমন করার প্রক্রিয়াটাও ছিল সমালোচনার বিষয়। সিরাজ শিকদারের হত্যাকাণ্ড, জহির রায়হানের অন্তর্ধান পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর প্রতিক্রিয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড, নির্বাচনে কারচুপি, বাকশাল ইত্যাদি বঙ্গবন্ধুর শাসনামলকে বিতর্কিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বকারী দল হিসেবে আওয়ামিলীগ অবশ্যই প্রধান ভূমিকায় থাকার দাবিদার। কিন্তু যুদ্ধে ত অন্যান্য দলগুলোও অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধের পরে তাদের একেবারে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়াটা বিদ্বেষ তৈরি করেছে। একইসাথে বঙ্গবন্ধুকে এমন এক উচ্চতায় তোলা হয়েছিল, যা আওয়ামীলীগেরই ভেতরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছিল। ফল হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কার্যকর বিরোধী দল হিসেবে জাসদের উত্থান ঘটে। জাসদ ত আওয়ামীলীগের ভেতর থেকেই সৃষ্টি। জাসদের হঠকারিতা এবং সশস্ত্র কর্মকাণ্ড সরকারকে তাদের উপর ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। জাসদের অনেক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে রক্ষীবাহিনীর হাতে। একইভাবে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও গণবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত আক্রোশ, রাজনৈতিক সুবিধাবাদীদের প্ররোচনা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা কাজ করেছিল। ইতিহাসই আমাদের ভবিষ্যতের গতিপথ ঠিক করে দিবে। অথচ আমাদের ইতিহাসই অন্ধকারাচ্ছন্ন।
লেখক বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন। বইটা পড়লে মনে হবে ঐ সময়টা একেবারেই খারাপ ছিল, ভালো কিছু ছিল না। একপাক্ষিক বর্ননা ছিল, বিশ্লেষণ নেই ঘটনাগুলোর। তবে এই বর্ননার মাঝেও যে অনেক সত্য আছে, এটা স্বাভাবিক। বইটিকে কেউ ব্যবচ্ছেদ করলে এবং ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করলে বিষয়গুলো আরো স্পষ্ট হবে। শুধু এই বই পড়েই সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ হবেনা। হ্যাপি রিডিং।
The book has compiled some fascinating history that many people did not know (I guess). Anyway, it will add value to the post-independence history of Bangladesh. Goodreads for those who are seeking liberation war-related works (with facts) mostly. Thanks, Mr. Pinaki Bhattacharya.
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে এবং সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়েছে, সেগুলো থেকে সংকলন করেই পিনাকী ভট্টাচার্য এই বইটি রচনা করেছেন। বইটির কয়েক পাতা পরপরই তিনি ঐতিহাসিক ছবি সংযুক্ত করে তার নিচে কিছু মন্তব্য করেছেন। বিজয়ের দিন (১৬ ডিসেম্বর) থেকে শেখ মুজিবের মৃত্যুর দিন (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত ইতিহাস পাওয়া যাবে এই বইয়ে। লেখককে যারা পূর্ব থেকে চিনেন, তাদের তার ইতিহাস পাঠের দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব নিয়ে সন্দেহের বশে বইটি পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন; কিন্তু বইটিতে সে রকম কোনো পক্ষপাতিত্ব সামান্যই প্রকাশ পেয়েছে। বরং ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে যত লেখক ও রাজনীতিবিদ মন্তব্য করেছেন সেগুলোকে সুন্দরভাবে সংকলনই ছিল তার মূল কাজ। স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস নিয়ে যারা কোনো বই পড়েননি, তাদের জন্য এটি অনেকটাই যথেষ্ট হবে। দ্বিতীয় খণ্ডের প্রতীক্ষায় রইলাম।
এটা পিনাকী ভট্টাচার্যের লেখা কোনো মৌলিক বই নয়। বরং বিভিন্ন নন-ফিকশন বই থেকে তথ্য নিয়ে লেখা সংকলিত বই। পিনাকী ভট্টাচার্য খুব বেশি হলে প্রতি চ্যাপ্টারে নিজের মতো এক পাতা লিখেছেন। বাকীটা হুবহু বিভিন্ন বই থেকে নেয়া। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে এনে সমালোচনা করার আগে '৭১ পূর্ববর্তী শেখ মুজিব বা আওয়ামী লীগের ইতিহাস নিয়ে কথা বলা জরুরি ছিল। বইটা একরকম এক পেশে ভাবে না লিখে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্য সাজিয়েও মুজিব বা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা যেত। একপাক্ষিক ভাবে ইতিহাসের টুকরো অংশ নিয়ে আসায় এত সমালোচিত হয়েছেন। পিনাকীর নিজস্ব বিশ্লেষণগুলা এজন্যই সব পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারেনি।
This book is outstanding and I cannot appreciate the writer enough for his hard work and research. After such a long time I enjoyed a Bengali book to that extent. History can be shaped and modified according to the party that prevailed but how exactly it gets modified? If you want to find the answer then this book is for you. This book gives a holistic idea about the situation of Bangladesh after liberation war. Besides, this book is also pretty graphic to take its readers into the zone and presents us with rare images and photographs that new generations have missed out for long time. It got me hooked and I completed the book in less than 48 hours. Absolutely loved it and Kudos to the writer.
This book is outstanding and I cannot appreciate the writer enough for his hard work and research. After such a long time I enjoyed a Bengali book to that extent. History can be shaped and modified according to the party that prevailed but how exactly it gets modified? If you want to find the answer then this book is for you. This book gives a holistic idea about the situation of Bangladesh after liberation war. Besides, this book is also pretty graphic to take its readers into the zone and presents us with rare images and photographs that new generations have missed out for long time. It got me hooked and I completed the book in less than 48 hours. Absolutely loved it and Kudos to the writer.
This entire review has been hidden because of spoilers.
Pinaki Bhattacharya is the most prominent modern writer of Bangladesh who does research on the Independence war and post independence socio, economic & political situations. This book gives a totally different perspective of post Independence war of Bangladesh. In this book he had tried to show how Bangladesh looked like in post independence era in terms of political, economical and social aspects. The writer used numerous references in support of every sentence he wrote in the book making it most reliable book to read.
Good thing about the book is the writing style- it's like reading a story. It's not like a boring history book!
Good book. It has demonstrated post independence of Bangladesh. Media doesnt want to expose this Specially for Awameleague fears. More authors should write this kind of books. Bangladesh is a place where you can not criticize everyone.
This book has been banned from Rokomari due to Authors Criticism inside Bangladesh.
I am not going to give you soiler rather read it bu yourself. One of the greatest book of Bangladeshi history.
পিয়াকীর বই ভেবে কেউ যদি মনে করে এটা বায়াসড তাহলে আপনি দারুন লস করবেন। ইভেন আমিও কোমরে গামছা বেঁধে বসেছিলাম যে এখানে এক পক্ষকে তুলোধুনা করে হবে। বাট আমি পুরো থ। উনি লেখক হিসেবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ একটুও ঢালেননি বইতে। এই বই লিখতে উনার অনেক খাটতে হয়েছে যতটুক বুঝলাম। এতো এতো সব বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন যার জন্য উনাকে যেভাবেই এপ্রিশিয়ট করা হোক না কেন তবুও কম হবে। অসাধারণ তার কলমের চালনী। লেখক হিসেবে তিনি শতভাগ সৎ।
Most of the time I stood first in essay competition about our liberation war and the tragedy of 15 august. From class six I have learnt the history of Bangladesh especially about our liberation war and aftermath of it to 1975. But after reading this book I realised that I have to read the history again and no doubt the history will be authentic. Thanks a bunch to the writer.
যারা আগে থেকে এই টপিকের কোন বই পড়েনি তাদের এটা পড়া ঠিক হবে না। এই বইটা সাধারণ ইতিহাস লেখার মতো করে লেখা হয়নি, অনেকটা সিনেমার গল্পের মতো লেখা হয়েছে। এভাবে ইতিহাস অধ্যয়ন হয় কি না আমার সন্দেহ আছে। আমি অল্প কিছু ফ্যাকচুয়ার এররও পেয়েছি। তবে একসাথে অনেকগুলো সোর্স থেকে ইতিহাস কম্পাইল করা হয়েছে যেটা ফারদার রিডিং এর জন্যে ভালো।
The book has compiled some interesting history which many people did not know. Any way it will add value in the post independence history of Bangladesh. Bangladeshi reader had to pay more for poor quality printed book. the publisher to be fined and the writers to be say sorry publicly.
সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মেকে নতুন ইতিহাস সৃষ্টিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে - আমরা অপেক্ষায় আছি ঠিক আমাদের পরের প্রজন্ম আমাদের সুজলা সুফলা বাংলাদেশ কে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড় করাবে ।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Excellent. The writer has worked hard to give us a well-finished book. I read many books about 71 but did not know much about what happened after it. Thanks, Mr. Bhattacharya for your effort to publish a nice book.
This book may play a vital role in knowing the Unknown history of the Post Independent era of Bangladesh. What makes the book a masterpiece is the citations and sources mentioned by the writer. However must read number of books on the particular topic to inhibit the actual scenario.
We must read this book to know the actual Independence history of Liberation War of Bangladesh after by... Truth never be covered by fake propaganda...
বইটা তথ্যভিত্তিক। তথ্যসূত্র ও নির্ভরযোগ্য দলিলের উপর ভিত্তি করে লেখা। রাজনীতিতে নিরপেক্ষ ব্যাক্তিদের এই বই বেশ ভালো লাগবে। সত্যনিষ্ঠ লেখকের প্রতি রইল আমার অভিনন্দন ও শুভকামনা।
A unbiased view of 'Bangladesh after independence' with authentic sources. Would recommend to those few people who actually cares about history and cares about truth.