Jump to ratings and reviews
Rate this book

গদ্য সমগ্র

Rate this book

315 pages, Hardcover

First published January 1, 2013

4 people are currently reading
53 people want to read

About the author

Bhaskar Chakraborty

20 books33 followers
ভাস্কর চক্রবর্তী (Bhaskar Chakraborty, কোথাও কোথাও Bhaskar Chakrabarti) (১৯৪৫-২০০৫) একজন বাঙালী কবি, এবং গদ্যকার।

জন্ম দেশভাগের দুই বছর আগে, কোলকাতার বরানগরে। পড়েছেন ব্রহ্মানন্দ কেশব চন্দ্র কলেজে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১০, প্রথম কাব্যগ্রন্থ বহুল আলোচিত শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা (১৯৭১)। লেখালেখির শুরু ষাটের দশকের মাঝখানে, লিখেছেন টানা চল্লিশ বছর, মৃত্যুর আগ অব্দি। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন স্কুল শিক্ষক।

তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে এসো , সুসংবাদ এসো (১৯৮১), রাস্তায় আবার (১৯৮৩), দেবতার সঙ্গে (১৯৮৬), আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে (১৯৮৯), স্বপ্ন দেখার মহড়া (১৯৯৩), তুমি আমার ঘুম (১৯৯৮), নীল রঙের গ্রহ (১৯৯৯), কীরকম আছো মানুষেরা (২০০৫), জিরাফের ভাষা (২০০৫)। গদ্যগ্রন্থের মাঝে প্রিয় সুব্রত, শয়নযান উল্লেখযোগ্য।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
10 (62%)
4 stars
6 (37%)
3 stars
0 (0%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 8 of 8 reviews
Profile Image for ORKO.
196 reviews197 followers
April 22, 2025
একটা ফুলস্টপের ওজন ০.০০০০০০০৩৫ আউন্স! কথাটা ভাস্কর লিখে রেখেছেন ‘শয়নযান’—এ। এই একটা মাত্র বাক্য পড়তে গিয়ে আমি ধাক্কা খাই বারবার। কবির কাছে শব্দের ভার তাহলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই চিন্তা রাক্ষসের মতো গ্রাস করে ফেলে আমাকে। ভাস্কর চক্রবর্তী প্রকৃত অর্থেই যে নিজের লেখায় ব্যবহৃত প্রতিটা শব্দ থেকে শুরু করে কমা,সেমিকোলন নিয়ে সচেতন ছিলেন তা বুঝতে অসুবিধা হয় না তার ডায়েরি পড়ে,কবিতা নিয়ে লেখাগুলো পড়ে। নোটখাতায় জমতে থাকে ঝিনুকের মাঝে লুকোনো মুক্তোর মতো শব্দ, আর কবিতায় সেসব শব্দ ব্যবহার হয়ে গেলে কেটে দিচ্ছেন তিনি! কোনো কথা, কোনো চিন্তা যাতে তারা আর পথ ঘুরে ফিরে না আসে। এমন কী অনেক চেনা শব্দও দেখা দিতে থাকে নোটখাতার লাইন টানা গরাদের মাঝে। সময়ের সাথে তারা বাড়তে থাকে প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে। একটা সময় গিয়ে যখন ভাস্কর সেগুলোকে বেশ ওজনদার মনে করতেন,তখন সেটা চলে যায় লেখার খাতায়,কবিতার পাতায়। সেসব চিন্তা,বাক্যগুলো আসতো পরিযায়ী পাখিদের মতো। অনেকটা পথ পেরিয়ে,সময় নিয়ে যখন পরিযায়ীরা ঘরে ফেরে, একইসাথে তো আনন্দ আর বিষণ্ণতার দুটো কন্ট্রাডিক্টরি অনুভূতি হয় তাদের। ভাস্করও বুঝতেন,আনন্দ থেকে বিষণ্ণতার দূরত্বটা বেশি নয়।

সব ভাষাতেই এমন কবি বিরল, যার কবিতায় একটি নতুন যুগ তার নিজের ভাষায় কথা বলে ওঠে। ভাস্কর চক্রবর্তী আমার কাছে প্রকৃত অর্থেই সেই বিরল জাতের কবি। তাঁর কবিতায় বাঙালির নগরজীবন, অবশেষে তার নিজের ভাষা খুঁজে পেয়েছে। কৃত্তিবাসী আন্দোলন এবং হাংরি আন্দোলন এ দুয়েরই মিলিত অভীষ্ট ছিল কবিতায় নাগরিক কণ্ঠস্বরের চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠা। সব মিলিয়ে কবিতায় নগর-যন্ত্রণার ভাব জমছিল অনেক, কিন্তু ভাষাটা ঠিক ফুটছিল না। এমন সময়, বিশ শতকের ষাটের দশকে, ভাস্কর চক্রবর্তী নামের এক নতুন কবির কবিতায় হঠাৎ শোনা গেল এই সব আশ্চর্য উচ্চারণ,

❝হাস্যকর তোমার অতীত হাস্যকর তোমার ভবিষ্যৎ...
ঘটনাহীন ঘটনাহীন মস্ত ঘটনাহীন তোমার জীবন
কফির কাপে, মিছেই তুমি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছো তোমার ব্যগ্র চামচ
তোমার মাথার ওপর চিরপুরাতন, সেই এক, পতনোন্মুখ চাঁদ
...এক শুয়োর এই সে দিন তোমাকে অপমান
করেছে, তোমার আত্মা, লম্বা জুতোর চেয়েও আরও লম্বা হয়ে গেছে হঠাৎ
...বছরের প্রথম দিনেও তুমি ঘুরে বেরিয়েছ একা একা
বছরের শেষ দিনেও তাই।❞


( 'দ্বিতীয় চিৎকার', শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা)

এই উচ্চারণের মাধ্যমেই, বাংলা কবিতায়, বিপন্ন - বিষণ্ণ নাগরিক মানুষের অথেনটিক কাব্যভাষার জন্ম হলো।
কাব্যভাষার আবিষ্কারই ভাস্করের কবিজীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ। অতঃপর এই নব আবিষ্কৃত ভাষায় ভাস্কর লিখে চললেন আধুনিক মানুষের নৈঃসঙ্গ্য, বিষাদ ও শূন্যতাবোধের অমোঘ অকাট্য সব কবিতা । সেই কবিতা এক দিকে যেমন নগরজীবনের কান্না, স্তব্ধতা ও দীর্ঘশ্বাসের অবিকল ধ্বনিচিত্র; অন্য দিকে তেমনই সেই কবিতা নগরজীবনের ক্লেদ, গ্লানি ও হতাশার বিরুদ্ধে এক ক্ষুব্ধ কবি হৃদয়ের নিরন্তর গেরিলাযুদ্ধের মরিয়া রেড বুক।

জীবনানন্দের হাত ধরে যার শুরু, পরবর্তীতে শক্তি ,শঙ্খ ,বিনয়, সুনীল হয়ে, হাংরি আর কৃত্তিবাসের পাড়া ঘুরেঘুরে চলছিল সেই আরবান ইয়াঙ্গস্ট বা নাগরিক যাপনের ছত্রেছত্রে লুকিয়ে থাকা অবদমিত ক্রোধ,না পাওয়া,দৈনন্দিন বিশ্বাসভঙ্গ এবং হতাশা ,আর বিকৃতিকে প্রকাশ করার মত উপযুক্ত ভাষার খোঁজও ...আচমকা এক কূলশীলহীন রাস্তার ছেলের হাত ধরেই এলো সেই উচ্চারণ যা আরবান জটিল যাপনের মূক অসহায়তাকে বাঙ্ময় করে তুলছিল। এই ক্ষয়াটে নাগরিক জীবনের অথেনটিক ভাষাতেই ভাস্কর লিখে গেলেন বিষাদ-বিস্ফোরণের রোজনামচা ,আশার আশাবরী কিংবা নির্লিপ্ততার চূড়ান্ত মহাকাব্য। তাই ভাস্করকে ভালো লাগে ,ভালোবাসতে ইচ্ছে করে ,কারণ ভাস্করের কবিতা খুনির হাসির মতো তীক্ষ্ণ,হাঁটুরের পায়ে-পায়ে মুছে যাওয়া আলপনার মতো জীবন্ত,পঞ্চদশীর প্রথম ঋতুস্রাবের মতো নিশ্চিত ,গরীব বিধবার পুত্রহারানোর গভীর শোকের মতো নির্মম।

যদি সমস্ত ভাষার ইতিহাসের পাঁক ঘেটে দেখি
অনেক বিখ্যাত কবিদেরই পাব যারা আমাদের মনের কথা একেবারে মনের মত করে লিখেছেন। কিন্তু তাদের আলাদা জীবন ছিল। ভাস্কর চক্রবর্তী এখানেই ভিন্ন ,কবিতা দিয়েই গড়ে নিয়েছিলেন নিজের আপাতসাধারণ জীবনকে। পরিচিত হাসিকান্না,পাওয়া না পাওয়া,সাময়িক নির্লিপ্তি আবার কখনো চকিত বিস্ফোরণকে উপজীব্য করে দিনের পর দিন গেঁথে গেছেন কবিতার জাল। জন্মদরিদ্র ভাস্করের কাছে কবিতা ধরা দিয়েছিল এক আনোখা মুক্তির আশায়।
কবিতার একটা পঙক্তির সাথে অন্য পঙক্তির অসীম দুরত্বের মধ্যেও যে এক নিবিড় নৈকট্য লুকিয়ে থাকে ,
ভাব ও ভাষার সহজতর ব্যবহারেও গভীর জীবনবোধকে রিপ্রেজেন্ট করা যায়,অহেতুক ঠেলেঠুলে দর্শনকে না ভরেও বারোয়ারি জীবনের পাতি রুটিনেও যে কবিতার
মাল্টিডাইমেনশনাল উপাদান লুকিয়ে থাকে,এই বিশ্বাসই ভাস্করকে আমার মনের কাছাকাছি এনে দিয়েছে।

গ্লানিময় ও অন্তঃসারশূন্য এই নগরজীবনের যথাযথ কাব্য রচনা করার জন্য এক দিকে ভাস্কর নিজের রাস্তায় ঘোরা জীবনকে একটা কবিতার গিনিপিগের মতো ব্যবহার করেছিলেন, অন্য দিকে এই কাব্যের যথাযথ আঙ্গিক রচনার জন্য ভাস্কর তৈরি করেছিলেন কবিতার ব্যক্তিগত ম্যানিফেস্টো, যাতে তিনি লিখেছিলেন,
‘কবিতার একটা লাইনের থেকে আরেকটা লাইনের দূরত্ব হবে কমপক্ষে একশো কিলোমিটার। কিন্তু, অদৃশ্য তলদেশে থাকবে মিলিমিটারের নিবিড় সম্পর্ক।’
শয়নযানকে বলা যেতে পারে ভাস্করের সেই নিজস্ব ধর্মের ইশারা,তার ব্যক্তিগত ম্যানিফেস্টো।

কিছুদিন আগে রাজীব মাহমুদের ‘স্বপ্নবড়ি’গল্পটা পড়তে গিয়ে দেখেছিলাম, এক কবির হঠাৎ আবিষ্কার করে যে তার চিন্তিত শব্দগুলো বেরিয়ে আসছে শরীরের নানা জায়গা থেকে— নখের নিচ থেকে, কানের ছিদ্র থেকে, চোখের কোণা থেকে, এমনকি নাভির গভীর থেকেও। মনে হয় এরা যেন হাওয়ার ভেতরে বাক্য আঁকতে চেষ্টা করছে। সেসব বাক্যের যেমন নানা রং তেমনি তাদের বাহারি মেজাজ: বাদামী অভিমানী বাক্য, শুভ্র প্রশান্ত বাক্য, লাল যৌবন থরথর বাক্য। শব্দগুলো যেন বহুদিন তার শরীরে বন্দী থাকার পর ছাড়া পেয়েই ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসছে, একে অন্যের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। ধীরে ধীরে নিজেকে ভারমুক্ত একটা স্থিতাবস্থায় আবিষ্কার করেন তিনি। ভাস্করের ব্যাপারটাও অনেকটা এই।

নোটখাতায়, ডায়েরিতে কবি ভাস্করের প্রেমিক-প্রেমিকারা যে ব্যক্তি ভাস্করকেও ভালোবেসে ফেলবেন তা অভিকর্ষ বলের টানের মতোই নিশ্চিত। ভাস্করের দিনলিপিতে বারবার স্পষ্ট হয়ে এসেছে জামা-প্যান্টের ভাঁজের আড়ালে লুকোনো রক্ত-মাংসের মানুষটার কথা। ১৯৭১ সালে বরানগর গণহত্যার সময় ভাস্কর চক্রবর্তী ২-৩ দিন ঘরবন্দী হয়ে থাকেন। এতো এতো লাশের মিছিল,মানুষের তথাকথিত বড়ই সস্তা জীবনটাকে গণহত্যায় এভাবে খরচ হয়ে যাওয়াটাকে ভাস্কর মেনে নিতে পারেন নি। এক দুশ্চিন্তার দৈত্য তার ঘাড়ে বেতালের মতো ভর করে,দুঃস্বপ্নের মতো প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে। ঘুমোতে পারেন না রাতের পর রাত। এর ঠিক দশ বছর পর, ১৯৮১ সালের এক ভোরে ভাস্কর বেরিয়ে পড়েন আত্মহত্যা করতে। বি.টি. রোডের ধারে বড় বড় ট্রাকের চাকার পাশে দাঁড়িয়ে, কয়েকটা সিগারেট হয়তো খেয়েছিলেন ভাস্কর। তারপর,ফিরে আসেন। তখন সকাল হয়ে গেছে। ভাস্করের এই ফেরাটা ছিল জীবনের দিকে ফেরা।

পরবর্তীতে ১৯৮২ সালের একটা এন্ট্রিতে দেখি,

‘কুয়াশার ভোর। বালি-ব্রিজ। মাফলার পরা ছেলেটা সিগারেটের শেষটুকু আঙুল দিয়ে ছুঁড়ে ফেললো গ��্গায়। ঘরে ফিরছে। ঢালু রাস্তা। কিছু দূরে, একটা সাধারণ কুকুরও আসছে।’


এ কি ভাস্কর নয়?!

ভাস্কর একদিকে স্ত্রীকে কাছে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে পড়ছেন। টেনশন সিনড্রোমটা তাকে কখনোই পুরোপুরি ছেড়ে যায় নি। সিগারেটের পর সিগারেট খেয়ে চলেছেন। কবিতা আসছে না। প্রচণ্ড আবেগ থরথর পরিস্থিতি। তখন ভাস্করকে দূর নক্ষত্রের কেউ মনে হয় না। মনে হয় যেন,তিনি আমাদেরই লোক।

ভাস্করের গদ্যে কবিতা সৃষ্টির প্রক্রিয়া,মনোজগতের পাশাপাশি এসেছে সমসাময়িক অন্য কবিদের কবিতা নিয়ে আলোচনা,প্রতিক্রিয়া, ব্যান্ডমাস্টার তুষার রায়ের মৃত্যুতে শোকাভিভূত ভাস্করের প্রতিচ্ছবি,কৃত্তিবাসের ইতিহাস। মাঝে মাঝে ভাস্কর সবাইকে এড়িয়ে কফি হাউসে একা একা যাচ্ছেন, শঙ্খ ঘোষের সাথে তার সখ্যতা, আড্ডার বিবরণ, সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমা নিয়ে ভাস্করের চিন্তাভাবনা— এসব কিছুই পাঠককে ভাস্করের আরও কাছাকাছি, সেই সময়টার কাছাকাছি নিয়ে যায়। শোনা যায়, ভাস্করের বাজানো নিজস্ব মাদলের শব্দ।
Profile Image for Harun Ahmed.
1,650 reviews418 followers
March 4, 2022
৪.৫/৫
"আমি ঠিক আমার মতোই।আমার থেকে আমি একটুও ভালো নই,একটু খারাপও নই।মহান হতে চাওয়ার একটা ধান্দা শুধু মাঝে-মধ্যে আমাকে পেয়ে বসে।" জানাচ্ছেন ভাস্কর।ঠিক তার কবিতার মতোই অকপট,বিশুদ্ধ আর মনোমুগ্ধকর।

"গদ্য সংগ্রহ" তে আছে ভাস্করের দিনলিপি,কাব্য সমালোচনা,নোটবুক আর মুক্তগদ্য। দিনলিপির ভাস্কর shamefully personal (এটার বাংলা কি "লজ্জাস্করভাবে ব্যক্তিগত" হতে পারে?)।দিনযাপনের গ্লানিতে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন,তার মধ্যে প্রেম;প্রেমিকা বাসবীকে দেখার জন্য-তার চিঠির জন্য অপেক্ষায় কাতর হচ্ছেন,কবিদের দলাদলি দেখে তাদের থেকে দূরে থাকতে চাইছেন,বিষণ্ণতা জড়িয়ে ধরতে চাইছে,তার মধ্যে সত্য ও সুন্দরের সাধনা করতে চাইছেন কবি।কখনো পারছেন,কখনো একেবারেই ভেঙে পড়ছেন।এই দিনলিপি পড়ে একইসাথে উপন্যাস ও কবিতা পড়ার আনন্দ পেয়েছি।আর মনে রাখার মতো অজস্র অজস্র উদ্ধৃতি। কোনটা রেখে কোনটা বলি?যখন বিরহব্যথায় কাতর হয়ে লেখেন, "বাসবীর বদলে,চিঠি এলো,বাসবী এলো না!" তখন তা হয়ে ওঠে কবিতা।আবার বইমেলা ঘুরে এসে লিখছেন, "অনেক সুন্দরীকে দেখলাম এবারের বইমেলায় যারা আমার কেউ নয়।" ব্যঙ্গ করে লিখছেন, "লোকে যাতে না পাগল ভাবে,সেই ভয়ে,সারাজীবন সুন্দর সুন্দর সব রঙিন পোশাক পরে গেলাম।" নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে লিখছেন, "মিনিটে মিনিটে এতো যে বলি শুয়োরের বাচ্চা-মুখ ফুটে কাউকেই বলতে পারি না তো!"
অল্প কয়েকজন কবির কবিতা নিয়ে সমালোচনা করেছেন কবি।সেই ছোট ছোট লেখাগুলো দারুণ সমৃদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন। আফসোস,তার এমন লেখা হাতে গোনা।
আর বইয়ের শেষ অংশ "প্রিয় সুব্রত,শয়নযান ও অন্যান্য রচনা" তো বিমোহিত করে দিয়েছে।এতো চমৎকার শব্দচয়ন,এতো চমৎকার জীবনদর্শন!!
কবিতা পড়ে যা অনুমান করেছিলাম,"গদ্য সংগ্রহ" পড়ে তা নিশ্চিত হলাম-ভাস্করের জীবন আর কবিতার মধ্যে কোনো ব্যবধান নেই।আজীবন কবিতাযাপন করে গেছেন তিনি।
বইয়ের সন্ধান দিয়ে ও বই পড়ার সুযোগ দিয়ে গুডরিডসবাসী ইয়াসিন রেজা বলেছিলো, "ভাস্কর আপনার আরো প্রিয় হবে।" সত্যিই তাই।কবি ভাস্কর প্রিয় ছিলেন,এবার মানুষ ভাস্কর আরো প্রিয় হলেন।ভাস্করের মধ্যে থাকা শুভ্র চিন্তার শুদ্ধ মানুষটির জন্য ভালোবাসা-যে আঘাত পায়,নুয়ে পড়ে,আবার উঠে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করতে পারে, "শেখা।বেঁচে থাকতে শেখা-বাঁচা।বেঁচে থাকা।স্রেফ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা-আর কিছু নয়।আর কিছুই নয়।"

(১১ নভেম্বর, ২০২১)
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
September 11, 2024
কবিদের গদ্য রচনার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ আছে। তাঁদের কবি প্রতিভা গদ্য কে ও ছুঁয়ে যায় বিশেষ ভাবে।রচনায় একটা বিশেষত্ব থাকে, কখনো কখনো উপন্যাসিকদের ও ছাড়িয়ে যান যেন।যেমন - বুদ্ধদেব,জীবনান্দ,শঙ্খ ঘোষ, জসিমউদ্দিন, মণীন্দ্র গুপ্ত প্রমুখ।

ভাস্কর চক্রবর্তী'র কবিতা আপাত বেশ সরল কিন্তু কেমন যেনো একটা ঘোর লাগা ব্যাপার আছে। আলংকারিক কোন বাহুল্য নেই কিন্তু উপমার কমতি ও নেই। উনার কবিতা খুব সহজেই মন দখল করে নেয়। ভাস্কর গদ্য খুব একটা লিখেন নি।তিনি আজীবন কবি ই ছিলেন, শুধুমাত্র কবি। তবুও এর মাঝে লিখেছেন ' কবি ও কবিতা, শয়নযান, প্রিয় সুব্রত আর মৃত্যর আগে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন ' পাখি সব করে রব' নামক গ্রন্থ।কিন্তু এর আগেই সারা জীবন মৃত্যুর সঙ্গ নিয়ে দ্বিধায় থাকা কবি, মৃত্যর সাথে পাড়ি দেন কোথাও। এই সংকলনে অপ্রকাশিত কিছু লেখা যোগ করা হয়েছে।

গদ্য সমগ্র তে আছে ভাস্কর চক্রবর্তীর ডায়েরি, নোটবুক, শয়নযান,প্রিয় সুব্রত ও অন্যান্য রচনা। ডায়েরি তে একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি নিজেকে প্রকাশ করেন। কোনরুপ ভণিতা ছাড়া নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেন। ডায়েরি আয়নার মতো,নিজের প্রকৃত চেহারা যেখানে বিবৃত হয়। ভাস্করের ডায়েরি পড়লে বোঝা যায় একজন কবি কতটা ক্ষতবিক্ষত হোন পৃথিবীর নখর আচড়ে।কবিতা এমনি এমনি আসেনা, হ্নদয়কে বিহ্বল করে,আত্মাকে ক্ষয় করে করে একেকটি কবিতার জন্ম দিতে হয়। ভাস্করের ডায়েরি মন্ত্রমুগের মতো পড়ছিলাম।পড়ছিলাম আর বিমূঢ় হচ্ছিলাম একজন ভাস্করের নিঃসঙ্গতায়, ভালো কবিতার লেখার আক্ষেপে আর মৃত্যর থেকে বার বার জীবনের দিকে ফিরে আসাতে। ভাস্কর কখনো আনন্দিত হয়েছেন, কখনো নিঃসঙ্গ থেকে মৃত্যুর কথা ভেবেছেন, কখনো বা কারো একটি চিঠির প্রতীক্ষায় ব্যাকুল থেকেছেন সারাটি সপ্তাহ, আবার নিজের প্রতিভা স্বীকৃত না পাওয়ায় ব্যথিত হয়েছেন। ভাস্করের ডায়েরি, নোটবুকে ওর একান্ত অনুভবসমূহ পড়তে পড়তে খুব নিকটাত্মীয় মনে হয়েছে উনাকে। সৃষ্টিশীল আর সংবেদনশীল মানুষ হবার যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ তা জেনেছি। নিজের মতো লিখতে না পারার আক্ষেপ এসেছে বারবার। কয়েকটি উদাহরণ দেই -

• জীবনের সেরা সময়টা আমি কবিতা না-লিখে কাটিয়েছি। আমার যদি সত্যই কোন ইতিহাস থাকে সেটা আমার না-লেখার ইতিহাস।
• বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিদিন যে ট্যাক্স দিতে হয়, তার নাম নিঃসঙ্গতা।
• শেষ পর্যন্ত আমার জীবনে যদি কোন লক্ষ্য থেকে থাকে, তা হলো, আত্মহত্যা না করা।
• কবির মতো একটা জীবন পেয়েছি।কিন্তু এই জীবন আমার পছন্দ নয়।

বাসবী চক্রবর্তীর প্রতি উনার ব্যাকুলতা অভিভূত করেছে আমাকে। একদিন উনি না এলে সারাদিন ভাস্কর অস্থির হয়ে থাকতেন। ভয় পেতেন যদি বাসবী একটু কম ভালোবাসে উনাকে। বারবার বলছেন ' আমাদের হেরে যাওয়া কি সাজে!'

কখনো বলছেন ' আমি বোধহয় বেঁচে আছি শুধু সিগারেট খেতে'! কিংবা ' তারাই মৃত, যারা বেচেঁ থাকার ভান করে।'

উনার শয়নযান, প্রিয় সুব্রত অসম্ভব চমৎকার লেখা। বেশ আত্মজৈবনিক তবুও কেমন অশরীরী, রহস্যাবৃত লেখা!

ভাস্কর চক্রবর্তী আপনার যাপিত জীবন এই কয়দিন যাপন করে, আমিও কি নৈঃশব্দ্য হয়ে উঠছি!?

রিভিউকাল - সেপ্টেম্বর ২০২২
Profile Image for Akhi Asma.
230 reviews464 followers
September 5, 2025
"মানুষের মত না, আলো না, স্বপ্ন না - পায়ের পাতা
আমার চওড়া হয়ে আসছে ক্রমশঃ - ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনলেই
বুক কাঁপে, তড়বড়ে নিঃশ্বাস ফেলি, ঘড়ির কাঁটা
আঙুল দিয়ে এগিয়ে দিই প্রতিদিন - আমার ভালো লা���ে না - শীতকাল
কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব"


It was with this line—শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা—that I first got to know Bhaskar Chakraborty. Later in 2021, when I noticed everyone on Goodreads reading শয়নযান (I think Disha apu even recommended it to me), I picked it up too. That’s when I came across lines like:

“রবীন্দ্রনাথ-কে নিয়ে যে বিপুল আলোচনা দেখি চারপাশের পত্র-পত্রিকায়, ভালো লাগতো যদি তার সিকিভাগও জীবনানন্দের কপালে জুটতো।”

“রবীন্দ্রনাথের কবিতা আমাদের কফির ক্রীম; জীবনানন্দ তা সযত্নে সরিয়ে দিয়েছেন।”

“বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন যে ট্যাক্স দিতে হয়, তার নাম নিঃসঙ্গতা।”

“সারাদিনে আমার শুধু দুটো ঘটনা ঘটে। এক, ঘ���ম-থেকে ওঠা। দুই, ঘুমোতে-যাওয়া। ঘুম থেকে উঠে প্রথমে আমার মনে হয় – ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুমোতে যাবার আগে ভাবি – আঃ, ঘুমোতে যাচ্ছি।”


These kinds of striking quotes stayed with me, and I even wrote a tiny Goodreads review back then. But years later, when I picked up the book again, I realized I remembered nothing of it, not even the feelings I had while reading it. Bhaskar himself might have called it Amnesia. When I checked Goodreads, I saw I had already marked it as read and left that small review.

Bhaskar babu was the kind of poet who felt poetry in the very core of his nerves. An amazing poet, with the sharpest word choice, no doubt about that. But in this book, we don’t just get the poems; we get the poet himself, or rather the scattered fragments and restless notes that only a poet could leave behind. গদ্য সমগ্র holds his diary, literary criticism, notebook, and personal prose. Bhaskar’s diary is unflinchingly personal, filled with anxiety, and its intensity is almost suffocating. The way he fixated on Bashobi Chakraborty, waiting endlessly for her letters, was disturbing to read(tbh that was super sick). He used the word ‘নার্ভাসিত’ so often that it felt like he lived and breathed nervousness. I like his poems, but the human Bhaskar? I don’t think I like him, not even a little. Still, I understand his nervousness and the way anxiety can consume you, and maybe that is why it felt so suffocating because it reminded me of how unbearable that kind of presence can be, even for the people around him.

Yet, despite not being a fan of his diary and notebook, I was completely absorbed by প্রিয় সুব্রত, শয়নযান ও অন্যান্য রচনা. I devoured those pages like I hadn’t eaten in days. His word choice there is mesmerizing and absolutely precise, and it completely captivated me!

There’s another thing. Again and again he wrote, “মিনিটে মিনিটে এতো যে বলি শুয়োরের বাচ্চা-মুখ ফুটে কাউকেই বলতে পারি না তো!” and “আমাদের হেরে যাওয়া কি সাজে!”

This unbearably depressed person also did something impossibly beautiful. He loved poetry with his entire being. And I realized something. Even though life was unbearable, Bhaskar wanted so badly to live. That desperate plea to stay alive in spite of unbearable suffering… where else have I seen that, except in my mother?

“শেখা। বেঁচে থাকতে শেখা-বাঁচা। বেঁচে থাকা। স্রেফ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা-আর কিছু নয়। আর কিছুই নয়।”

I’m so grateful to Harun bhai for sending me this book...thank you so much, bhaiya!
Profile Image for Zihad Saem.
123 reviews6 followers
April 22, 2025
ভাস্কর চক্রবর্তীর লেখার প্রতি আমার মুগ্ধতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার কবিতা, তার গদ্য বারবার আমাকে বিস্মিত করছে। ভাস্কর চক্রবর্তী আসলে আপাদমস্তক একজন কবিতা। যিনি সমস্ত জীবনটাই যাপন করেছেন কবিতায়। কবিতাকেই তিনি আঁকড়ে ছিলেন। তার বাহিরেও তার কিছু কিছু অসামান্য গদ্য রয়েছে।কবি ও কবিতা, প্রিয় সুব্রত শয়নযান ও অন্যন্যা রচনা ইত্যাদি। যখন কিনা ভাস্করের কবিতা সঙ্গে সবে সবে মাত্র পরিচয় হয়েছে, তখনই 'শয়নযান' পড়েছিলাম। তারপর 'গদ্যসমগ্র' পড়েছিলাম শব্দভুকের কল্যাণে। তখন ভাস্করকে আবিষ্কার করেছিলাম গদ্য এবং পদ্য,অর্থাৎ তার লেখার দুই মাধ্যমেই। বহুদিন বাদে গদ্যসমগ্রটা আবার নিয়ে বসেছিলাম। ভেবেছিলাম উল্টেপাল্টে কিছু পৃষ্ঠা দেখে রেখে দিবো। হলো না।সমস্তটা আবার পড়লাম। এবং ভাস্করের লেখায় আবারও তুমুল মুগ্ধ হলাম। তার ডায়েরি পড়ে বারবার বিস্মিত হয়েছি। অনুভব করেছি তার নিঃসঙ্গতা, বিষাদ,বিষণ্ণতাকে।কবিতা এবং তার প্রেমিকার (পরে বউ) বাসরী চক্রবর্তী প্রতি তার অনুভব, তার ব্যাকুলতায় মুগ্ধ করেছে ভীষণ ভাবে।
একজন কবি এক-একটি কবিতার জন্যে নিজেকে কতখানি ভাঙ্গেন-গড়েন-ক্ষয় করেন তা ভাস্করের ডায়েরি পড়েই বোঝা যায়।পড়তে পড়তেই দেখছি তিনি নিঃসঙ্গতায় কখনো মৃত্যুকে নিয়ে মাতাল হয়ে যাচ্ছেন।আবার ফিরে আসছেন কবিতার কাছে। কখনো নিজের স্বীকৃতি না পাওয়ার বেদনায় কুঁকড়ে উঠছেন।কখনো ভালো লেখার আক্ষেপে বেদনা তাড়িত হচ্ছেন। আর বারবার তাকে তার প্রিয়তম নিঃসঙ্গতায় ডুবে যেতে দেখে নিজেই হতবুদ্ধি হয়ে যাচ্ছিলাম।
শঙ্খ ঘোষ, জয় গোস্বামী, দেবারতি মিত্র, মণীন্দ্র গুপ্ত ইত্যাদি কবিদের গদ্য যেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ি, তেমনি ভাস্কর চক্রবর্তীর গদ্যও মন্ত্রমুগ্ধের মতোই পড়লাম।
Profile Image for Akash.
446 reviews149 followers
January 19, 2024
নোটখাতা আর ডায়রি, কবি ও কবিতার সমালোচনা, এবং আমার মতো উদাসীন পাঠকের জন্য অবশ্যপাঠ্য কিছু গদ্য (প্রিয় সুব্রত, শয়নযান, একটা-দুটো অন্ধকার, সাতাশ মাসের শেষদিনে, শার্ট প্যান্টের পকেট থেকে) নিয়ে ভাস্কর চক্রবর্তীর গদ্য সমগ্র।

এক-দু'লাইনের 'নোটখাতা আর ডায়রিতে' ভাস্করের জীবনদর্শন, সাহিত্যভাবনা, কাব্যসাধনা, লেখালেখি, প্রিয় সাহিত্যিকদের সম্পর্কে এক লাইনে তাঁর অনুভূতি এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ভালোলাগার লাইন টুকে রাখা। যেমনঃ

"শুধুমাত্র কবিতাই নয়, আমরা যেরকম উপন্যাস পড়তে চেয়েছিলাম, সেই উপন্যাসও জীবনানন্দই লিখলেন।"
"শঙ্খ ঘোষ : আমাদের পথ-চলার-পথ।"
"জীবনানন্দ আমাদের কাছে যতো প্রিয় ছিলেন, শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার থেকে খুব একটা কম প্রিয় ছিলেন না।"
"সুস্থতর আর শান্ত একটা পৃথিবী তৈরি করতে একদিন আমাদের প্রয়োজন হবে রবীন্দ্রনাথের।"
"বন্ধুত্ব দিয়ে কোনোদিনই সাহিত্যবিচার হয় না। সাহিত্যে কেনো grace mark নেই।"

'কবি ও কবিতা' অংশে ভাস্কর তাঁর কবিতা লেখা, প্রিয় কবি ও কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা করেছেন। যে পৃথিবীটা অচেনা আজানা অপরিচিত হয়ে হাজার জনের কাছে পড়ে আছে, ভাস্কর সেই পৃথিবীটার কথা বলার জন্যই কবিতা লিখেন বলে জানিয়েছেন 'কেন লিখি' নিবন্ধে। কবিদের মধ্যে আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, দেবারতি মিত্র, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, উৎপলকুমার বসু, জয় গোস্বামী, অরুণ মিত্র, প্রণবেন্দু দাশগুপ্তর কবিতা-ভাবনা ও কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা করে, তাঁদেরকে আমার মতো পাঠকের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া বলেছেন কৃত্তিবাস আর জয়যাত্রার বিজয়গাথা।

'একটা-দুটো অন্ধকার', 'প্রিয় সুব্রত', 'সাতাশ মাসের শেষদিনে', 'শার্ট প্যান্টের পকেট থেকে' গদ্যগুলো মোহগ্রস্ত পাঠকের মতো বারবার পড়তে হবে বারবার; কিন্তু কস্মিনকালেও মোহভঙ্গ হবে না। আর 'শয়নযান' তো আমার অসম্ভব প্রিয় একটা বই।

এখনও পড়েননি! কেন?
এখনও কিনেননি! কেন?
ধার কিংবা কোথাও বসে নয়; এই বইটা সবাইকে(বিশেষ করে শব্দভুকের সবাইকে) কেনার জন্য বিনীত অনুরোধ করলাম।

কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা কীভাবে লিখতে হয় তা ভাস্করের থেকে শিখলাম। কৃতজ্ঞ।।
Profile Image for নাহিদ  ধ্রুব .
143 reviews27 followers
March 19, 2022
ভাস্করের গদ্য পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে হলো আবারও ওঁর কবিতাগুলো পড়ি। পড়লাম। পড়া শেষে পেলাম একটা জটিল ইক্যুয়েশন মিলিয়ে ফেলার আনন্দ। এই বইটা চমৎকার, যেমন চমৎকার ভাস্করের কবিতা।
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
543 reviews
September 25, 2025
ভাস্কর চক্রবর্তীকে যত পড়ি, তত আরও মুগ্ধ হতে থাকি। মুগ্ধতা যেন চক্রের মতো বৃদ্ধি পেতে থাকে সময়ে সময়ে।
Displaying 1 - 8 of 8 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.