আটশ বছর হলো ইসলাম এদেশে এসেছে। ইসলামের প্রভাবে এদেশে একটি মুসলিম সমাজ গড়ে উঠেছে এবং সেই সমাজকে ভিত্তি করে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে। এই সংস্কৃতির বাগানে নানা রঙের ফুল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এই সংস্কৃতি যেমন সৃষ্টির রঙে রেঙেছে, তেমনি নানা প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্কৃতির মোকাবিলায় ইসলামই বাঙালি মুসলমানের পরিচয় জুগিয়েছে। ফাহমিদ-উর-রহমান তাঁর লেখার পুরো ক্যানভাসে ইতিহাসের এই ছবিটাই আঁকতে চেয়েছেন!
বাঙালি মুসলিম বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে অগ্রগণ্যদের নাম নিলে ফাহমিদ-উর-রহমানের নাম প্রথম কাতারেই থাকবে। তার সম্পাদিত গ্রন্থ পড়া হলেও তার লেখা বই এই প্রথমই পড়া হলো। বইয়ে বাঙালি মুসলিমদের পশ্চাদপদতার কারণ সন্ধান করা হয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির নামে কোলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু সংস্কৃতি আমদানির যে স্ক্যাম চলছে, কেন চলছে, কীভাবে চলছে সেটাও উঠে এসছে বইয়ে।
মুসলিমদের ও মোহামেডান সংস্কৃতিকে বাঙালি সেক্যুলাররা বিজাতীয় বলে আখ্যায়িত করেছে কিন্তু হিন্দুত্ববাদকে আবার সাদরে গ্রহণ করেছে। সেক্যুলার বাঙালিদের মুসলমান ও হিন্দুদের বুদ্ধিবৃত্তিক অসততার হেতু সন্ধান করেছেন লেখক।
মূলত বাঙালি ও মুসলমান সংস্কৃতির নানা দিক সংক্ষেপে এসেছে এই বইয়ে৷ পাশ্চাত্যবাদ, পুঁজিবাদ ইত্যাদি পাশ্চাত্য দর্শনের আলোচনা-সমালোচনা আছে আলোচ্য বইয়ে।
এক কথায় বললে- বাঙালি মুসলিমের সাংস্কৃতিক পরিচয় কী তার স্বরূপ কী এবং করণীয় কী তা জানা যাবে এই বইয়ে।