- কিয়ামাত দিবসের একটি নাম হচ্ছে " আফসোসের দিন "। কারণ ভালো মন্দ সব মানুষই সেদিন আফসোস করতে থাকবে। ভালোরা আফসোস করবে কেন আরো বেশী নেক আমল করল না। আর মন্দদের তো আফসোসের কোন সীমাই থাকবে না। তীব্র আফসোসে সে নিজেই নিজের হাত কামড়াতে শুরু করবে। তবে সুখের বিষয় হলো - আল্লাহ দুনিয়ার জীবনেই আমাদেরকে সেই আফসোসের কারণ গুলো জানিয়ে দিয়েছেন যেন শেষ বিচারের দিনে আমাদেরকে আফসোস করতে না হয়! কত দয়ালু আমাদের রব!
কি সেই আফসোস গুলো? আর এর কারণ কি?এর থেকে মুক্তির উপায় কি? এই বিষয়গুলো এই বইয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন আমাদের দুনিয়ার জীবনকে ভালো আমল দিয়ে ভরিয়ে তুলি,যাতে কিয়ামাতের দিনে আমাদের আফসোস করতে না হয়। চলুন দুনিয়াতেই সতর্ক হয়ে যাই।
সারমর্ম: এই বইটি মূলত কিয়ামতের বিচার দিবস সম্পর্কে, যা আফসোসের দিন নামেও পরিচিত। কুরআন এবং হাদিস অনুসারে, লেখক বিভিন্ন অনুশোচনা বর্ণনা করেছেন যে প্রতিটি মানুষ সেদিন অনুভব করবে। কোরান ও হাদিসের রেফারেন্স অনুযায়ী কীভাবে সেই অনুশোচনা থেকে নিজেকে বাঁচানো যায় সে বিষয়েও লেখক ব্যাখ্যা করেছেন।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া: এই বইটি একটি ভাল স্মরণচিহ্ন যে সময় সীমিত, খুব দেরী হওয়ার আগে অনুতপ্ত হওয়া, যে যতক্ষণ আমরা শ্বাস নিচ্ছি, আল্লাহ আমাদের ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন। এই বইটি আল্লাহকে ভয় করার, জাহান্নামের আগুনকে ভয় করার, ভুল কাজের পরিণতিকে ভয় করার জন্য একটি ভাল অনুস্মারক।
এই বইটি রেফারেন্স অনুসারে বিচার দিবসকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছে। বর্ণনাটি তে প্রতিফলিত হয় আমাদের অনুশোচনা এবং কেন ক্ষমা চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি সময়ের সীমাবদ্ধতাকেও নির্দেশ করে, এটি চিত্রিত করে যে আমরা যতটা ভাবি ততটা সময় আমাদের হাতে নেই।
অন্যদিকে, বইটি বিচার দিবসে এবং জান্নাতে পুরস্কারের বর্ণনা দিয়েছে; ইঙ্গিত করে যে এই পৃথিবীতে সমস্ত কষ্টই সার্থক হবে যদি আমরা আল্লাহর বিধান মেনে চলি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি। কিয়ামতের দিনের আফসোস এবং পরিণতি বর্ণনা করার সময় লেখক কিছু ঐতিহাসিক উদাহরণ এবং অল্প কিছু সমসাময়িক উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে।
আমার মনে হয়েছে আরও উদাহরণ থাকলে ভাল হতো, বিশেষ করে সমসাময়িক উদাহরণ কারণ তারা রেফারেন্সগুলির যুক্তিসিদ্ধ ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করেছে। লেখক যে তাৎপর্য প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন তার পক্ষে সেই উদাহরণগুলো সঙ্গত প্রমাণ উপস্থাপন করেছে।
সীমিত উদাহরণের কারণে এটিকে ৪ ষ্টার রেটিং দেওয়া হয়েছে।