‘অতল জলের শহর’ একটি কল্পবিজ্ঞান অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। এটি স্যার আর্থার কন্যান ডয়েলের লেখা ‘ম্যারাকট ডিপ’ উপন্যাসের ভাবানুবাদ। মূল উপন্যাসটি প্রথমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ‘স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিন’-এর পাতায় ১৯২৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি। উপন্যাসটির শেষাংশ ওই ম্যাগাজিনেই প্রকাশিত হয়েছিল ‘দ্য লর্ড অব দ্য ডার্ক ফেস’ নামে ১৯২৯ সালের এপ্রিল ও মে মাসে। অদ্রীশ বর্ধনের কলমে উপন্যাসটির প্রথম বাংলা অনুবাদ বই আকারে প্রকাশিত হল। রয়েছে অসংখ্য পুরোনো ছবি সহ প্রোফেসর ম্যারাকট,মিস্টার সাইরাস হেডলে এবং মেকানিক বিল স্ক্যানলান এর জলের তলায় লুপ্ত আটলান্টিস শহর ঘিরে এক দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি।
জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৩২ | কলকাতায় | একটি শিক্ষক পরিবারে ছোট থেকেই অজানার দিকে দুর্নিবার আকর্ষণ | অ্যাডভেঞ্চারের টান জীবনে, চাকরিতে, ব্যবসায়, সাহিত্যে | চোদ্দবার চাকরি বদল | নামী একটি প্রতিষ্ঠানের পারচেস-ম্যানেজার পদে ইস্তফা দিয়ে পুরোপুরি চলে আসেন লেখার জগতে | গোয়েন্দাকাহিনী দিয়ে লেখালেখির শুরু | ' রচনারীতি র দিক থেকে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় এর উত্তরসুরী ' - অভিনন্দন জানিয়েছে একটি নামী সাপ্তাহিক | সেরা বিদেশী গোয়েন্দাকাহিনীকে পরিবেশন করেন বাংলায় | বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, অতীন্দ্রিয় জগৎ, অতিপ্রাকৃত, অনুবাদ - প্রায় সব ক্ষেত্রেই পেয়েছেন স্বীকৃতি | ভারতের প্রথম কল্পবিজ্ঞান পত্রিকা 'আশ্চর্য'র ছদ্দনামী সম্পাদক | এবং সম্পাদনা করেন 'ফ্যান্টাস্টিক' | সত্যজিত রায়ের সভাপতিত্বে প্রথম 'সায়ান্স ফিকশন সিনে ক্লাব' এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক | পত্রিকা, রেডিও, ফিল্মক্লাবের মাধুঅমে কল্পবিজ্ঞানকে আন্দোলন-আকারে সংগঠিত করেন | একাধিক পুরস্কার | কিশোর জ্ঞানবিজ্ঞান ও পরপর দু-বছর 'দক্ষিণীবার্তা'র শ্রেষ্ঠগল্প পুরস্কার | অনুবাদের ক্ষেত্রে 'সুধীন্দ্রনাথ রাহা'-পুরস্কার | ভালবাসেন: বই | গানবাজনা | দেশভ্রমণ
বহুদিন পরে কোনো কল্পবিজ্ঞানের বই পড়লাম। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা আর অদ্রীশ বর্ধনের সুনিপুণ রূপান্তরে আসলেই চমৎকার লাগলো। বিশেষত শেষের ক্লাইম্যাক্সটা দারুণ লেগেছে। এতোটাই আকর্ষণ করেছে বইটা এক বসায় শেষ করে ফেললাম।